19/10/2023
বিষয় প্যারাসিটামল ট্যাবলেটস
প্যারাসিটামল নামের ট্যাবলেটগুলি অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ। এই ট্যাবলেটস জ্বর কমাতে এবং অল্প ব্যথা কমাতে সাধারণত ব্যবহৃত হয়।
এর মধ্যে থাকে অ্যামাইনোফেনল নামক বিষাক্ত কম্পোজিশন।
১৮৯৩ সালে জোসেফ মেরিন নামক বিজ্ঞানী নাইট্রোফেনাল এবং গ্লেসিয়াল এ্যাসিটিক অ্যাসিড ইত্যাদি কেমিক্যাল নিয়ে কাজ করা কালীন এই বিষাক্ত কম্পোজিশন এ্যমাইনোফেনল আবিষ্কার করেন।
লোকে সামান্য কিছুতেই মুড়ি-মুড়কির মতন খায়।
বিখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ডরটা ক্লিমাসিজক বলেছেন ---
Paracetamol poisoning is usually a result of an international su***de,
অর্থাৎ নিজের ইচ্ছামতন যত খুশি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রথম ক্ষতি আরম্ভ হয় লিভারে। লিভার আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় হেপাটোসাইট ইনজুরি এবং নেক্রোসিস। ২৫% লোকের সিভিয়ার লিভার ড্যামেজ হয়ে লিভারের কার্যক্ষমতা অনেক কমিয়ে দেয়, এবং ৫০% লোকের লিভারের কাজ পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়, যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় আমরা বলে থাকি লিভার ফেলিওর।
একটি ট্যাবলেট খাওয়ার দুই থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে রক্তের মধ্যে থাকা অ্যাসিটামাইনোফ্রেন নামের বিষাক্ত কেমিক্যালটি বাড়তে থাকে, এই বিষাক্ত কেমিকাল লিভারে ঢুকে যায় তাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় হেপাটোটক্সিসিটি ।
দিনের পর দিন বেশি ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য শরীরে ক্ষতি হতে আরম্ভ করে , সেই সব ক্ষতিগুলি কে চিকিৎসকরা চারটি ফেজে ভাগ করেছেন ----
ফেজ ---১) বমি বমি ভাব বা বমি, পেট ব্যথা , শরীরে ঘাম বেশি হতে থাকা, মুখ চোখ ফ্যাকাসে হতে থাকা, এবং দুর্বলতা,
ফেজ --২) লিভার বেশি পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে, উপর পেটের ডান দিকে ব্যথা আরম্ভ হয়, জন্ডিস দেখা দিতে পারে, রক্তের সিরাম অ্যামাইনোট্রানসফারেজ বেড়ে যায়, বিলিরুবিনের মাত্রাও বেড়ে যায়, রক্তের সুগার কমে যায়, এবং আরো কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়, যাদেরকে এক কথায় বলা হয় মেটাবলিক এ্যাসিডোসিস ।
ফেজ --৩ লিভারের কার্যক্ষমতা আরও কমে যায়, চিকিৎসায় পরিভাষায় আমরা বলি ফালমিন্যান্ট লিভার ফেলিওর। মস্তিষ্কের কিছু সমস্যা দেখা দেয় যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় এনকেফালোপ্যাথি। কিডনি খারাপ হতে আরম্ভ করে --রক্তে ক্রিয়েটিনির লেভেল বাড়তে থাকে।
ফেজ --৪ -- মৃত্যু এগিয়ে আসে। কপি ডাঃরবিন বর্মন স্যারের ওয়াল থেকে