
05/07/2025
✅ কানের পর্দা ফেটে গেলে করনীয়ঃ
কানের ভেতরের দিকে একটি পর্দার মতো থাকে, যা টিমপ্যানিক মেমব্রেন নামে পরিচিত। মধ্যকর্ণ থেকে অন্তঃকর্ণের মাঝখানে এটি পর্দা হিসেবে থাকে। এটি খুবই স্পর্শকাতর, শব্দতরঙ্গ কানের পর্দায় কম্পন তৈরি করে।
এই কম্পন মধ্যকর্ণের ছোট ছোট হাড়ের মাধ্যমে অন্তঃকর্ণে পৌঁছায়। অতঃপর অন্তঃকর্ণ থেকে মস্তিষ্কে পৌঁছায়। এভাবে আমরা শুনতে পাই।
কিন্তু বহু কারণে এই পর্দা ফেটে যেতে পারে। এতে শুনতে অসুবিধা হয়, কখনো কখনো শ্রবণশক্তি পুরোপুরি লোপ পায়। কানের পর্দা ফেটে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে মধ্যকর্ণে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
💎 কানের পর্দা ফাটার কারণঃ
"""""""""""""""""""""""""""""
কানের পর্দা বিভিন্ন কারণে ফাটতে পারে বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেমনঃ-
👉 ১.কানের কোনো অসুখ যেমন-মধ্যকর্ণে ক্রনিক সাপোরেটিভ অটাইটিস মিডিয়া(CSOM) হলে।
👉 ২. কোনো কিছু দিয়ে কান খোঁচালে। যেমন-কটন বাড।
👉 ৩.কানে কোনো কিছু প্রবেশ করলে এবং অদক্ষ হাতে তা বের করার চেষ্টা করলে।
👉 ৪.দুর্ঘটনা বা আঘাতে কান ক্ষতিগ্রস্ত হলে।
👉 ৫.হঠাৎ কানে বাতাসের চাপ বেড়ে গেলে। যেমন-থাপ্পড় মারা, বোমা বিস্ফোরণ, অতি উচ্চ শব্দের শব্দ ইত্যাদি কারণে।
👉৬. কানের অন্য অপারেশনের সময়ও কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হলে।
👉৭.যাদের কানের পর্দা আগে থেকেই দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের ক্ষেত্রে নাক চেপে কানে বাতাস দিয়ে চাপ দিলে।
💎 উপসর্গঃ
""""""""""""""""""""""""""""""""""""
১.প্রথমে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, যা পরবর্তী সময়ে কমে আসে।
২.কান দিয়ে রক্ত পড়া। বিশেষ করে আঘাতজনিত কারণে কানের পর্দা ফেটে গেলে কান দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
৩.কানে কম শোনা।
৪.মাথা ঘোরানো( Vertigo)
৫.কানে শোঁ শোঁ বা ভোঁ ভোঁ শব্দ (Tinnitus) হওয়া।
💎 চিকিৎসা: লক্ষণ অনুযায়ী দিতে হবে।
💎পরামর্শঃ
"""""""""""""""""""""""""""""""""""
অনেকেই কানে কোনো সমস্যা হলে নিজেরাই কানের ড্রপ ব্যবহার করে, যা উচিত নয়। যাদের কানে আগে থেকেই কোনো সমস্যা আছে বা কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার ইতিহাস আছে, তাঁদের নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলা উচিত।
১. কানে কোনোভাবেই যেন পানি প্রবেশ না করে এ জন্য গোসলের সময় কানে তুলা বা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করে গোসল করুন।
২.সাঁতার কাটা যাবে না।
৩.উড়োজাহাজে ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
৪.উচ্চ শব্দে গান না শোনা, হেড ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
৫.কানে যাতে কোনো ইনফেকশন না হয়, এ জন্য কানো কোনো অসুবিধা হওয়ামাত্র ডাক্তার দেখিয়ে উপযুক্ত ওষুধ সেবন করা।
৬.কান না খোঁচানো।
৭.নিজে নিজে কোনো ওষুধ দেওয়া থেকে বিরত থাকা।
৮.কানে কোনো কিছু গেলে বা আটকে থাকলে নিজে তা বের করার চেষ্টা না করা।
নার্স শাকিল