Dr. TOPU

Dr. TOPU Diploma in Homeopathic Medicine & Surgery (DHMS)

বাচ্চার মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশঃআমাদের বাচ্চাদের ব্রেইনের ৯৫% গঠন হয় প্রথম ৫ বছরে। বাকি ৫% গঠন হয় পরের ৩ বছ...
15/05/2025

বাচ্চার মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশঃ
আমাদের বাচ্চাদের ব্রেইনের ৯৫% গঠন হয় প্রথম ৫ বছরে। বাকি ৫% গঠন হয় পরের ৩ বছরে। তাই প্রথম ৮ বছর আপনার সন্তানের জন্য - সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এর ভিতর ৫ বছর বেশী গুরুত্বপূর্ণ!

ফলে এই সময়ে সবচেয়ে careful থাকা উচিৎ! এই গঠন বলতে বুঝায় - ব্রেইনের connection তৈরী হওয়া।

যার যত connection তৈরী হবে, সে তত ব্রিলিয়ান্ট হবে!

এই connection তৈরীতে রঙিন খেলনা, পুষ্টিকর খাবার, বাচ্চার সাথে খেলা করা, গল্প বলা - এমনই অনেক কিছু নির্ভরশীল!

কিন্তু আমাদের দেশে - বাচ্চা কথা বলা শেখার আগেই - সবাই লাঠি নিয়ে বসে - ঠিকমত পড়ালেখা শিখছে তো?

#খাবারঃ

একসময় এদেশে মায়েদের বাচ্চার খাবারই ছিল - বার্লি আর সাগু!

তখন বার্লি Face বলে, একটা অপুষ্টির লক্ষ্মণ দেখা যেত। বাচ্চা হতো মোটাতাজা, মা মনে করতো - বেশ ভাল স্বাস্থ্য হয়েছে!

আজ সেই জায়গাটা নিয়েছে, সুজি! সুজি হয় চালের গুড়া, নাহলে গমের।

আবার এর সাথে কোন না কোন দুধ মিশ্রিত করে, সাথে থাকে চিনি। অথচ এর সবগুলোই অপুষ্টির জন্য যথেষ্ট।

কারণ গরীব হলে, গরুর দুধ মিশ্রিত করে - আর টাকা থাকলে infant formula. অথচ দুটোই বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক!

Infant formula'তে কোন কিছু মিশানো নিষেধ। আবার কোন চিকিৎসক লিখে দিলে - শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আমরা জানি সবসময়ই সুষম খাবার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে খিচুড়ি হলো, বাচ্চার সুষম খাবার।

অথচ মা'দের বুঝানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাথে যোগ হয়েছে - দাদা/দাদি, নানা/নানি।

মুরুব্বিদের ধারণা - তারাও তো বাচ্চা মানুষ করেছে, কখনো তো সমস্যা হয় নাই!

এর উত্তরে অনেক সময় বলি, দেশ যে ব্রিলিয়ান্ট জনসংখ্যার সংকটে ভুগছে, তা আপনাদের দান!

জাপানে প্রাইমারি স্কুলে কোন পরীক্ষা নেয় না! ওরা এই early childhood development এর উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

আর তাই সেরা ব্রিলিয়ান্ট ঐদেশে তৈরী হয়। আমাদের মত লাঠি হাতে নিয়ে শিক্ষা দেয় না।

#কেন_খিচুড়ি_সেরা?

আমরা সবাই বা অনেকেই জানি essential amino acid বলে, একটা শব্দ আছে। যা শরীর তৈরী করতে পারে না। ফলে বাহিরের খাবার খেয়ে সেই অভাব পূরণ করতে হয়।

একমাত্র খিচুড়িতেই সবগুলো পাওয়া সম্ভব (চালে আটটি আর বাকিগুলো ডালে থাকে)। ফলে চাল-ডাল একসাথে থাকলেই শুধু সবগুলো essential amino acid পাওয়া সম্ভব!

এছাড়াও ডিমে এইসবগুলো essential amino acid থাকে।

#ফলে_বাচ্চার_খাবার_হওয়া_উচিৎঃ

১) মায়ের বুকের দুধ ২ বছর পর্যন্ত, এর বাহিরে আর কোন দুধ নয়।

২) খিচুড়ি (চাল+ডাল+সয়াবিন/অলিভ ওয়েল+সবজি)

৩) ডিম

৪) মা যখন যা খাবেন - সেখান থেকে মাছ/মাংস/সবজি বাচ্চাকে দিবেন। (ফ্রেশ হতে হবে)

৫) সারাদিনে একবার ফল খাবে। #আঙ্গুর বাদে। বাচ্চা সকাল/দুপুর/রাত, প্রচুর ফল খায় - এটাও ভাল লক্ষ্মণ নয়। কারণ পেট ভরা থাকায়, অন্য প্রয়োজনীয় খাবার খাবে না।

সবশেষে মা'দের বলি - আপনার সন্তান যদি পড়ালেখা নাও করে - Early Childhood Development ঠিক থাকলে, রিক্সা চালক হলে - সেরা রিক্সা চালক হবে। বা চোর হলেও সেরা চোর হবে!

তাই সবাই Early Childhood Development এর উপর সময় দিন। সঠিক খাবার নিশ্চিত করুন! সুজি/গরু/ছাগলের (২ বছর বয়স পর্যন্ত) দূধ খাওয়ানো বন্ধ করুন।

বি.দ্র. ছাগলের দূধে অতিরিক্ত অসুবিধা, এক ধরনের রক্তশূন্যতা রোগ হয়।

এক চুইংগামেই একশ থেকে তিন হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক ঢুকছে পেটে! চুইংগাম দু রকমের হয়। প্রাকৃতিক ও সিনথেটিক। আমরা শিশুদের যে ...
14/05/2025

এক চুইংগামেই একশ থেকে তিন হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক ঢুকছে পেটে!

চুইংগাম দু রকমের হয়। প্রাকৃতিক ও সিনথেটিক। আমরা শিশুদের যে চুইংগাম কিনে দিই, সেগুলো সিনথেটিক। তবে প্রাকৃতিক হোক বা সিনথেটিক— সব ধরণের চুইংগামেই রয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। এক টাকার একটি চুইংগামে প্রায় ১-৩ হাজার প্লাস্টিক কণা থাকতে পারে।

সম্প্রতি আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির একটি সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাটি তুলে ধরেন।

তারা জানান, চুইংগামে মূলত পলিইথিলিন ও পলিস্টাইরিনের মতো প্লাস্টিকের কণিকা থাকে। এগুলো কী তা বোঝার সুবিধার্থে বলা যায়— পলিইথিলিন পলিথিন ব্যাগ, পানির বোতল এবং পলিস্টাইরিন ওয়ান-টাইম কাপ, সিডি-ডিভিডি ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।

এই প্লাস্টিক কণাগুলো দেহ হজম করতে পারে না, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে দেহে। সে প্রভাবগুলো সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে এ ধরণের পণ্য থেকে দূরে থাকাই উত্তম।

ব্যাখ্যা: বিজ্ঞানপ্রিয়।
তথ্যসূত্র: আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি।

✅অ্যালার্জি সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান হল নিম পাতা। প্রতিদিন কয়েকটি নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন ঠান্ডা হলে সেই পানিতে গোসল ...
11/05/2025

✅অ্যালার্জি সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান হল নিম পাতা। প্রতিদিন কয়েকটি নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন ঠান্ডা হলে সেই পানিতে গোসল করলে দ্রুত সমাধান পাবেন। এছাড়া কাঁচা হলুদের সাথে নিম পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগালে দ্রুত উপশম হয়।
✅ নিম পাতায় মুখের জীবাণু ধ্বংস হয়। সেই সাথে মাড়ির ব্যথা কমে যায়। এর কান্ড দিয়ে বানানো মেসওয়াক দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ হয়।
✅ জ্বর, সর্দিকাশি হলে এই নিম পাতা ব্যবহারে সহজে এ সকল সংক্রমণ থেকে সুস্থ থাকবেন।
✅ নিম পাতায় চোখের চুলকানি ও অস্বস্তি দূর হয়।
✅ মাথার চুলে উকুন দূর করতে নিম পাতা খুবই কার্যকরী। এছাড়া চুলের গোড়া মজবুত হয় ও চুল পড়া বন্ধ হয় সেই সাথে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

সতর্কতাঃ
নিম পাতা অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত না। শিশুদের জন্য ও গর্ভবতী মহিলারা নিম পাতা ব্যবহার হতে বিরত থাকবেন।

🧍‍♂️শরীরের গোপন পরিচালক: মানবদেহের ৪৪টি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন!জানুন কোন হরমোন কী কাজ করে, ঘাটতি বা অতিরিক্ত হলে কী হতে পারে...
10/05/2025

🧍‍♂️শরীরের গোপন পরিচালক: মানবদেহের ৪৪টি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন!
জানুন কোন হরমোন কী কাজ করে, ঘাটতি বা অতিরিক্ত হলে কী হতে পারে!

আপনার শরীরের মধ্যে চলছে এক বিশাল "হরমোনাল ব্যালান্স" এর খেলা!
ইনসুলিন থেকে শুরু করে অক্সিটোসিন, থাইরক্সিন থেকে এন্ডোরফিন—প্রতিটি হরমোনই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার অনুভূতি, শক্তি, ঘুম, ক্ষুধা, মেজাজ, প্রজনন ক্ষমতা এমনকি জীবনের গতি!

আপনি জানেন কি?

ক্ষুধা বাড়ায় "ঘ্রেলিন", আবার দমন করে "লেপ্টিন"
"অ্যাড্রেনালিন" দিয়ে তৈরি হয় ফাইট অর ফ্লাইট মুড
"প্রোল্যাক্টিন" শুধু দুধ নয়, প্রজননের সাথেও জড়িত!
আর "সেরোটোনিন" ছাড়া জীবন একেবারেই ফাঁকা ফাঁকা লাগবে!

বিশেষত:
এই তালিকায় রয়েছে ৪৪টি প্রধান হরমোনের নাম, উৎপত্তি, কাজ ও ঘাটতি/অতিরিক্ত হওয়ার প্রভাব—সব একসাথে এক পোস্টে!

পোস্টটি পড়ে শেয়ার করতে ভুলবেন না!
কারণ, জানাটা যত বেশি, জীবনটা তত ভালো!

---
"মানবদেহের ৪৪টি হরমোন – কাজ, উৎস, ও অসামঞ্জস্যের প্রভাব!"

মানব দেহে প্রায় ৫০টিরও বেশি হরমোন রয়েছে, যেগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোন, তাদের কাজ ও ঘাটতি/বেশি হওয়ার প্রভাব তুলে ধরা হলো:

১. ইনসুলিন (Insulin)

উৎপত্তি: অগ্ন্যাশয় (Pancreas)
কাজ: রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘাটতি: ডায়াবেটিস (Type 1 বা Type 2)
অতিরিক্ত: হাইপোগ্লাইসেমিয়া (কম রক্তচিনি), দুর্বলতা

---

২. থাইরক্সিন (Thyroxine / T4)
উৎপত্তি: থাইরয়েড গ্রন্থি
কাজ: বিপাক হার নিয়ন্ত্রণ করে
ঘাটতি: হাইপোথাইরয়েডিজম (বিষণ্ণতা, ওজন বৃদ্ধি, দুর্বলতা)
অতিরিক্ত: হাইপারথাইরয়েডিজম (হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস)

---

৩. অ্যাড্রেনালিন (Adrenaline)
উৎপত্তি: অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি
কাজ: ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স, হঠাৎ বিপদের সময় শক্তি বৃদ্ধি
অতিরিক্ত: উচ্চ রক্তচাপ, উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা

---

৪. কর্টিসল (Cortisol)
উৎপত্তি: অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি
কাজ: স্ট্রেস হরমোন, রক্তে শর্করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
ঘাটতি: দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, রক্তচাপ হ্রাস
অতিরিক্ত: কুশিং’স সিনড্রোম (Cushing's Syndrome)

---

৫. এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন (Estrogen & Progesterone)
উৎপত্তি: ডিম্বাশয়
কাজ: নারী দেহের প্রজনন ও ঋতুচক্র নিয়ন্ত্রণ
ঘাটতি: অনিয়মিত ঋতুস্রাব, বন্ধ্যাত্ব
অতিরিক্ত: পিসিওএস, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি

---

৬. টেস্টোস্টেরন (Testosterone)
উৎপত্তি: অণ্ডকোষ
কাজ: পুরুষের যৌন বৈশিষ্ট্য ও পেশি বৃদ্ধি
ঘাটতি: যৌন দুর্বলতা, হতাশা
অতিরিক্ত: আগ্রাসী আচরণ, ব্রণ

---

৭. গ্রোথ হরমোন (Growth Hormone - GH)
উৎপত্তি: পিটুইটারি গ্রন্থি
কাজ: দেহের বৃদ্ধি ও কোষের গঠনে সাহায্য করে
ঘাটতি: বামনত্ব
অতিরিক্ত: জায়ান্টিজম বা অ্যাক্রোমেগালি

---

৮. অক্সিটোসিন (Oxytocin)
উৎপত্তি: হাইপোথ্যালামাস
কাজ: সন্তান জন্মের সময় জরায়ু সংকোচন, মাতৃস্নেহ বৃদ্ধি
ঘাটতি: সন্তান প্রসবে বিলম্ব
অতিরিক্ত: খুব কম প্রভাব দেখা যায়

---

৯. এলডোস্টেরন (Aldosterone)
উৎপত্তি: অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি
কাজ: শরীরে সোডিয়াম ও পানি সংরক্ষণ এবং পটাসিয়াম নির্গমন
ঘাটতি: ডিহাইড্রেশন, রক্তচাপ কমে যাওয়া
অতিরিক্ত: উচ্চ রক্তচাপ, পটাসিয়াম কমে যাওয়া

---

১০. প্রোল্যাক্টিন (Prolactin)
উৎপত্তি: পিটুইটারি গ্রন্থি
কাজ: স্তন্যদানকে উদ্দীপিত করে
ঘাটতি: দুধ উৎপাদনে সমস্যা
অতিরিক্ত: বন্ধ্যাত্ব, স্তন্যবৃদ্ধি (পুরুষের ক্ষেত্রেও)

---

১১. মেলাটোনিন (Melatonin)
উৎপত্তি: পাইনিয়াল গ্রন্থি
কাজ: ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে
ঘাটতি: ঘুমের ব্যাঘাত, ইনসোমনিয়া
অতিরিক্ত: অতিরিক্ত ঘুম, মন্থরতা

---

১২. ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH)
উৎপত্তি: পিটুইটারি গ্রন্থি
কাজ: ডিম্বাণু ও শুক্রাণু উৎপাদন
ঘাটতি: বন্ধ্যাত্ব
অতিরিক্ত: অস্বাভাবিক প্রজনন সমস্যা

---

১৩. লুটিনাইজিং হরমোন (LH)
উৎপত্তি: পিটুইটারি গ্রন্থি
কাজ: ডিম্বাণু নির্গমন ও পুরুষের টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ
ঘাটতি: প্রজননে সমস্যা
অতিরিক্ত: হরমোন ভারসাম্যহীনতা

---

১৪. অ্যান্টিডিউরেটিক হরমোন (ADH বা Vasopressin)
উৎপত্তি: হাইপোথ্যালামাস (সংরক্ষণ: পিটুইটারি)
কাজ: পানি সংরক্ষণ, প্রস্রাবের পরিমাণ কমানো
ঘাটতি: ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস (অতিরিক্ত প্রস্রাব ও পিপাসা)
অতিরিক্ত: পানি জমা হয়ে হাইপোনাট্রেমিয়া

---

১৫. প্যারাথাইরয়েড হরমোন (PTH)
উৎপত্তি: প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি
কাজ: রক্তে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণ
ঘাটতি: মাংসপেশির খিঁচুনি
অতিরিক্ত: অস্থি দুর্বলতা, কিডনির পাথর

---

১৬. ক্যালসিটোনিন (Calcitonin)
উৎপত্তি: থাইরয়েড গ্রন্থি
কাজ: রক্তে ক্যালসিয়াম কমায়
ঘাটতি/অতিরিক্ত: তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ, তবে হাড়ে প্রভাব ফেলে

---

১৭. ঘ্রেলিন (Ghrelin)
উৎপত্তি: পাকস্থলী
কাজ: ক্ষুধা উদ্দীপিত করে
ঘাটতি: ক্ষুধামান্দ্য
অতিরিক্ত: অতিরিক্ত খাওয়া ও মোটা হওয়া

---

১৮. লেপ্টিন (Leptin)
উৎপত্তি: ফ্যাট সেল (adipose tissue)
কাজ: ক্ষুধা দমন করে
ঘাটতি: অতিরিক্ত খাওয়া
অতিরিক্ত: লেপ্টিন রেজিস্ট্যান্স (মোটা হওয়া সত্ত্বেও ক্ষুধা না কমা)

---

১৯. সেরোটোনিন (Serotonin) (আংশিকভাবে হরমোন, আংশিক নিউরোট্রান্সমিটার)
উৎপত্তি: মস্তিষ্ক ও অন্ত্রে
কাজ: মেজাজ, ঘুম, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ
ঘাটতি: বিষণ্ণতা, উদ্বেগ
অতিরিক্ত: সেরোটোনিন সিনড্রোম

---

২০. ইরিথ্রোপয়েটিন (Erythropoietin – EPO)
উৎপত্তি: কিডনি
কাজ: রক্তে লাল কণিকা (RBC) তৈরি উদ্দীপিত করা
ঘাটতি: অ্যানিমিয়া
অতিরিক্ত: রক্ত ঘন হয়ে স্ট্রোক বা হৃদরোগের ঝুঁকি

---

২১. রেনিন (Renin)
উৎপত্তি: কিডনি
কাজ: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য রেনিন-অ্যাঞ্জিওটেনসিন সিস্টেম শুরু করে
ঘাটতি: রক্তচাপ কমে যাওয়া
অতিরিক্ত: উচ্চ রক্তচাপ

---

২২. অ্যাঞ্জিওটেনসিন II
উৎপত্তি: রেনিনের প্রভাবে লিভার থেকে
কাজ: রক্তনালী সংকুচিত করে রক্তচাপ বাড়ায়
অতিরিক্ত: উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকি

---

২৩. গ্লুকাগন (Glucagon)
উৎপত্তি: অগ্ন্যাশয় (প্যানক্রিয়াস)
কাজ: রক্তে গ্লুকোজ বাড়ানো
ঘাটতি: হাইপোগ্লাইসেমিয়া
অতিরিক্ত: রক্তে গ্লুকোজ অতিরিক্ত, ডায়াবেটিসে সমস্যা

---

২৪. ট্রাইয়োডোথাইরোনিন (T3)
উৎপত্তি: থাইরয়েড
কাজ: কোষের বিপাক বৃদ্ধি করে
ঘাটতি: মেটাবলিজম কমে যায়
অতিরিক্ত: হাইপারথাইরয়েডিজম

---

২৫. সোমাটোস্ট্যাটিন (Somatostatin)
উৎপত্তি: হাইপোথ্যালামাস ও প্যানক্রিয়াস
কাজ: অন্যান্য হরমোনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে
ঘাটতি: হরমোনের অতিনিঃসরণ
অতিরিক্ত: হরমোন নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত

---

২৬. এন্ডোরফিন (Endorphins)
উৎপত্তি: মস্তিষ্ক
কাজ: ব্যথা উপশম, আনন্দ অনুভব
ঘাটতি: বিষণ্ণতা
অতিরিক্ত: অতিরিক্ত উত্তেজনা, ব্যথা সংবেদন কমে যাওয়া

---

২৭. এনকেফালিন (Enkephalins)
উৎপত্তি: স্নায়ুতন্ত্র
কাজ: ব্যথা নিয়ন্ত্রণ
ঘাটতি: ব্যথা বেশি অনুভূত হওয়া
অতিরিক্ত: ব্যথা অনুভূতির বিকৃতি

---

২৮. থাইরোট্রপিন (TSH – Thyroid Stimulating Hormone)
উৎপত্তি: পিটুইটারি
কাজ: থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণে সহায়তা
ঘাটতি: হাইপোথাইরয়েডিজম
অতিরিক্ত: হাইপারথাইরয়েডিজম

---

২৯. অ্যাক্টিএইচ (ACTH – Adrenocorticotropic Hormone)
উৎপত্তি: পিটুইটারি
কাজ: কর্টিসল নিঃসরণে সহায়তা
ঘাটতি: কর্টিসল ঘাটতি
অতিরিক্ত: কুশিং'স সিনড্রোম

---

৩০. হিউম্যান করিওনিক গনাডোট্রপিন (hCG)
উৎপত্তি: গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা
কাজ: গর্ভধারণ বজায় রাখা
ঘাটতি: গর্ভপাতের ঝুঁকি
অতিরিক্ত: টিউমার, মোলার প্রেগন্যান্সি

---

৩১. হিউম্যান প্লাসেন্টাল ল্যাকটোজেন (hPL)
উৎপত্তি: প্লাসেন্টা
কাজ: গর্ভাবস্থায় শিশুর জন্য গ্লুকোজ সরবরাহ
ঘাটতি: গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ঝুঁকি
অতিরিক্ত: মাতৃগ্লুকোজ লেভেল অতিরিক্ত

---

৩২. ইনহিবিন (Inhibin)
উৎপত্তি: ডিম্বাশয় ও অণ্ডকোষ
কাজ: FSH নিয়ন্ত্রণ
ঘাটতি: প্রজননে সমস্যা
অতিরিক্ত: প্রজনন দমন

---

৩৩. রিল্যাক্সিন (Relaxin)
উৎপত্তি: প্লাসেন্টা ও ডিম্বাশয়
কাজ: গর্ভকালীন জরায়ু ও পেলভিস নরম করা
ঘাটতি: প্রসবের সমস্যা
অতিরিক্ত: অস্থিসন্ধির ব্যথা

---

৩৪. গ্যাসট্রিন (Gastrin)
উৎপত্তি: পাকস্থলী
কাজ: অ্যাসিড নিঃসরণ
ঘাটতি: হজমে সমস্যা
অতিরিক্ত: আলসার

---

৩৫. সেক্রেটিন (Secretin)
উৎপত্তি: অন্ত্র
কাজ: প্যানক্রিয়াসকে বাইকার্বনেট নিঃসরণে উদ্দীপিত করা
ঘাটতি: হজমে সমস্যা
অতিরিক্ত: পেট ফাঁপা

---

৩৬. কোলেসিস্টোকাইনিন (CCK)
উৎপত্তি: ক্ষুদ্রান্ত্র
কাজ: পিত্ত নিঃসরণে সহায়তা, খিদে নিয়ন্ত্রণ
ঘাটতি: হজম সমস্যা
অতিরিক্ত: ক্ষুধামান্দ্য

---

৩৭. মোটিলিন (Motilin)
উৎপত্তি: অন্ত্র
কাজ: অন্ত্রের গতি বাড়ানো
ঘাটতি: কোষ্ঠকাঠিন্য
অতিরিক্ত: ডায়রিয়া

---

৩৮. ভিআইপি (VIP – Vasoactive Intestinal Peptide)
উৎপত্তি: অন্ত্র
কাজ: অন্ত্রের রক্তপ্রবাহ ও নিঃসরণ বাড়ায়
ঘাটতি: হজমে সমস্যা
অতিরিক্ত: ডায়রিয়া

---

৩৯. নিউরোপেপ্টাইড Y
উৎপত্তি: মস্তিষ্ক
কাজ: ক্ষুধা ও শক্তি সঞ্চয়
ঘাটতি: ক্ষুধামান্দ্য
অতিরিক্ত: ওজন বৃদ্ধি

---

৪০. অ্যাডিপনেকটিন (Adiponectin)
উৎপত্তি: ফ্যাট সেল
কাজ: ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি
ঘাটতি: টাইপ ২ ডায়াবেটিস ঝুঁকি
অতিরিক্ত: দুর্বলতা

---

৪১. লিপোকালিন-২ (Lipocalin-2)
উৎপত্তি: ফ্যাট টিস্যু
কাজ: প্রদাহ ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা
ঘাটতি/অতিরিক্ত: গবেষণাধীন, তবে ডায়াবেটিসে ভূমিকা থাকতে পারে

---

৪২. রেটিনল বাইন্ডিং প্রোটিন ৪ (RBP4)
উৎপত্তি: লিভার ও ফ্যাট সেল
কাজ: ভিটামিন A পরিবহন
ঘাটতি: দৃষ্টির সমস্যা
অতিরিক্ত: ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স

---

৪৩. হেপসিডিন (Hepcidin)
উৎপত্তি: লিভার
কাজ: আয়রন শোষণ নিয়ন্ত্রণ
ঘাটতি: আয়রন ওভারলোড
অতিরিক্ত: অ্যানিমিয়া

---

৪৪. ট্রপোনিন (Hormone-like protein)
উৎপত্তি: হৃৎপিণ্ডের কোষ
কাজ: হৃৎপিণ্ডের ক্ষত নির্দেশক
অতিরিক্ত: হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত

প্রসাবের রঙ দেখে স্বাস্থ্যের পরিচয় -👉 হলুদ প্রসাব হলে আপনি রোগ ভোগের থেকে সামান্য  দূরে আছেন।👉হাল্কা লাল প্রসাব হলে নিউম...
09/05/2025

প্রসাবের রঙ দেখে স্বাস্থ্যের পরিচয় -
👉 হলুদ প্রসাব হলে আপনি রোগ ভোগের থেকে সামান্য দূরে আছেন।
👉হাল্কা লাল প্রসাব হলে নিউমোনিয়া হয়েছে।
👉গাঢ় লাল রঙের প্রসাব হলে লিভারের সমস্যা হয়েছে।
👉গাঢ় সাদা রঙের প্রসাব হলো সুগারের সমস্যা হয়েছে।

কোমরের ব্যথা কমবেশি সব মানুষের হয়। এই ব্যথা যুবক থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সেই হতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ প্...
06/05/2025

কোমরের ব্যথা কমবেশি সব মানুষের হয়। এই ব্যথা যুবক থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সেই হতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক লোক জীবনে কখনও না কখনও এ ব্যথায় আক্রান্ত হয়। শুরু থেকে কোমরের ব্যথা নির্মূল করতে না পারলে রোগীকে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

মূলত কয়েকটি কারণে কোমর ব্যথা হয়। যেমন:
�১। ওজন উচ্চতা অনুযায়ী বেশি হলে।�২। ভারী বস্তু তোলার কাজ করলে।�৩। কোমরে চোট পেলে।�৪। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করলে।�৫। পা পিছে কোথাও পড়ে গেলে।�৬। নিয়মিত গাড়ি চালালে।�৭। সাধারণত কুঁজো হয়ে হাঁটলে বা বসলে।�৮। গর্ভধারণ সময়ে।�৯। হঠাৎ কোনো কারণে হাড়, মাংসপেশি, স্নায়ু—এই তিনটি উপাদানের সামঞ্জস্য নষ্ট হলে।

উপসর্গ
* প্রথমে কোমরে অল্প ব্যথা থাকলেও ধীরে ধীরে ব্যথা বাড়তে থাকে
* অনেক সময় হয়তো রোগী হাঁটতেই পারে না
* ব্যথা কখনও কখনও কোমর থেকে পায়ে ছড়িয়ে পড়ে
* পায়ে ঝিনঝিন ধরে থাকে
* অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে এ ব্যথা কিছুটা কমে আসে
* কোমরে সামান্য নড়াচড়া হলেই এ ব্যথা বেড়ে যায়
* সকালে ঘুম থেকে উঠে পা ফেলতে সমস্যা হতে পারে
* হাঁটতে গেলে পা খিঁচে আসে বা আটকে যেতে পারে
* ব্যথা দুই পায়ে বা যেকোনো এক পায়ে নামতে পারে
* কোমরের মাংসপেশি কামড়ানো ও শক্ত ভাব হয়ে যাওয়া
* পা অবশ ও ভারী হয়ে যায়, পায়ের শক্তি কমে যায়
* প্রাত্যহিক কাজে, যেমন- নামাজ পড়া, তোলা পানিতে গোসল করা, হাঁটাহাঁটি করা ইত্যাদিতে কোমরে ব্যথা হওয়া

কোমর ব্যথায় ঘরোয়া চিকিৎসা
* সেঁক দিন: কোমরের যে জায়গায় ব্যথা সেখানে সেঁক দিলে যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যাবে।
* আদা: আদাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এই পটাশিয়ামের অভাবের ফলে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন নিয়ম মেনে আদা খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
* হলুদ: দুধের সঙ্গে নিয়ম করে হলুদ খেলে কোমরের ব্যথা অনেকটাই কমতে পারে।
* মেথি বীজ: গুড়াঁ দুধের সঙ্গে মেথি বীজের মিশ্রণ তৈরি করে ব্যথার জায়গায় ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন।

* লেবুর শরবত: লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি যন্ত্রণা উপশমে খুবই কার্যকারী।
* অ্যালোভেরা: প্রতিদিন নিয়ম করে অ্যালোভেরা শরবত খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
* ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাদ্য: প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ, ঘি, পনির, ফল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর নিয়মিত শরীরচর্চা করতে ভুলবেন না।

কোমর ব্যথা কমানোর জন্যে কিছু এক্সারসাইজ
১) বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে দুই হাত শরীরের দুই পাশে রেখে দুই পা সোজা করে শুতে হবে। হাঁটু ভাঁজ না করে এক পা ওপরের দিকে তুলুন যত দূর সম্ভব। ১০ সেকেন্ড পা তুলে রাখতে হবে। একইভাবে অপর পা ওপরে তুলুন এবং একই সময় নিন।
২) এবার একইভাবে হাঁটু ভাঁজ না করে একসঙ্গে দুই পা তুলুন এবং একই সময় নিন।

৩) এবার এক হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে হাঁটুকে বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন। ১০ সেকেন্ড থাকুন। একইভাবে অপর হাঁটু বুকে লাগাতে হবে।
এই এক্সারসাইজ করার পরেও ব্যথা না কমলে সম্পূর্ণ চিকিৎসা পেতে আপনাকে সঠিক মোবিলাইজেশন, ম্যানুপুলেশন, স্ট্রেচিংয়ের মতো চিকিৎসা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন। অল্প বয়সেই কোমর ব্যথা কিন্তু অবহেলা করা যাবে না! হাড় ক্ষয় রোধে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে।

কোমর ব্যাথায় হোমিও চিকিৎসাঃ
কোমরের ব্যথায় সুনির্বাচিত হোমিও ঔষধ বেশ ফলপ্রসু -- যা বহুল পরিক্ষিত । লক্ষণসমষ্টি নির্ণয় করে রোগের হ্রাস-বৃদ্ধি ও ধাতুগত দিক বিবেচনায় রেখে নিম্নলিখিত ওষুধগুলো ব্যাবহার করা যেতে পারে।

কোমর ব্যাথার কিছু হোমিও ঔষধঃ

* রাস টক্স: রাস টক্স প্রাথমিক কোমর ব্যথার চমৎকার ঔষধ ভারি কাজ বা একটানা বেশীক্ষণ বসে থাকার কারনে কোমর ব্যথা।

রাসটক্সের রোগী বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারে না কিছুক্ষণ পরেই উঠে দাঁড়িয়ে যায় এবং হাঁটাচলা শুরু করে তাতেই কোমর ব্যথার আরাম হয়।
* ব্রায়োনিয়াঃ তরুন ও পুরাতন কোমর ব্যথায় ব্রায়োনিয়া ব্যবহৃত হয়।

কোমরে সূচ ফোঁটানোর মত ব্যথা, রোগী কোনভাবেই নড়াচড়া করতে চায়না চুপচাপ শুয়ে থাকতে চায়, একটু নড়াচড়া বা হাঁটাচলা করলেই তার কোমর ব্যথা বেড়ে যায়।

* রুটাঃ তরুন কোমর ব্যথার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হলো রুটা, রুটার রোগীরা হাঁটাচলা বা উঠাবসায় হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার মতো এক শব্দ হয় ।
এবং কোমর ব্যথা ডান পার্শ্বে চাপিয়া শুইলে এবং সোজা হয়ে শুইলে আরামবোধ করে।

* আর্নিকাঃ পড়ে গিয়ে আঘাত পেলে বা যেকোন উপায়ে আঘাত পেয়ে কোমরব্যথা হলে আর্নিকা কার্যকরী।
আর্নিকার রোগীরা শক্ত বিছানায় শুতে পারে না, তাই সবসময় নরম বিছানা চায়।

* লিডামঃ বাত ব্যথা কোমর থেকে উপরের দিকে ধাবিত হয়। বসে থাকলে বা বসা থেকে উঠতে গেলে বৃদ্ধি।
ঠান্ডা পানি বা বরফ লাগালে আরাম।

* কেলকেরিয়া ফ্লোরঃ কোমরের হাড় ক্ষয় হেতু কোমর ব্যথা হলে কেলকেরিয়া ফ্লোর কার্যকরী, সাথে কোমরে শক্তবোধ হয়।

* হাইপেরিকামঃ আঘাত লাগার ফলে সৃষ্ট দীর্ঘদিনের পুরাতন কোমর ব্যথা হলে হাইপেরিকাম কার্যকরী।

* কেলি কার্বঃ পুরাতন কোমর ব্যথার চমৎকার ঔষধ কেলি কার্ব, কোমরে অসহ্য শুচ ফোঁটানো ব্যথা এবং ব্যথা রাতের বেলায় বেশি হয় বিশেষ করে রাত্রি ২-৩টার দিকে।

* কষ্টিকামঃ যে সকল মহিলারা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করে তাদের জন্য কষ্টিকাম অমৃতের মত।

তবে হোমিও চিকিৎসা অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে। তাছাড়া হিতে বিপরীত হতে পারে।

👉 বাচ্চাদের দাঁতের যত্ন নিয়ে যারা অবহেলা করেন, তারা এই লেখাটা পড়েন।পরফাইরোমোনাস জিনজাইভালিস। দাঁতে থাকা ৬০০+ প্রজাতির ব্...
05/05/2025

👉 বাচ্চাদের দাঁতের যত্ন নিয়ে যারা অবহেলা করেন, তারা এই লেখাটা পড়েন।

পরফাইরোমোনাস জিনজাইভালিস। দাঁতে থাকা ৬০০+ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে একটি। ২০১৯ সালে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি আলঝেইমার রোগীদের মস্তিষ্কে খুঁজে পাওয়া যায়, যা মূলত দাঁতের ক্যাভিটি থেকে রক্তনালির মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়।

এবার আসি অন্য গল্পে। ইদুর নিয়ে একটা গবেষণা হয়। দেখা যায়, ইদুরের দাঁত থেকেও একই ব্যাকটেরিয়া রক্তের সাথে ব্রেইনে পৌঁছায়। এরপর গোটা মস্তিষ্কজুড়ে তৈরি করে ব্যাকটেরিয়ার কলোনি।

কলোনিগুলো রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিশেষ এক প্রোটিন তৈরি করে। ধীরে ধীরে স্নায়ুকোষ ধ্বংস করাই এই প্রোটিনের কাজ। যা আলঝেইমার রোগের কারণ। ইদুরের এই গবেষণা থেকে জানা যায়, এই ব্যাকটেরিয়া আলঝেইমারের জন্য দায়ী।

তবে মানুষের মস্তিষ্কে এই ব্যাকটেরিয়া একইভাবে কাজ করে কি না, তা এখনও পরিস্কার জানা যায়নি। প্রয়োজন আরও বিস্তর গবেষণার। ব্যপারটি নিশ্চিত হলে আলঝেইমার চিকিৎসার নতুন কিছু দিক উন্মোচন হবে।

আপনিও কি খাওয়ার পরে,গ্যাসের ওষুধ খান?⁉️অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ক্ষেত্রে প্রায় সবার মধ্যেই একটি অভ্যাস লক্ষ্য করা যায়। তা ...
05/05/2025

আপনিও কি খাওয়ার পরে,গ্যাসের ওষুধ খান?⁉️

অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ক্ষেত্রে প্রায় সবার মধ্যেই একটি অভ্যাস লক্ষ্য করা যায়। তা হলো অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে একটা গ্যাসের ওষুধ বা অ্যান্টি–আলসার ওষুধ সেবন। প্রশ্ন হলো, সব অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গেই কি গ্যাসের ওষুধ খেতে হবে? যদি না হয়, তাহলে
👉কোন কোন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে গ্যাসের ওষুধ খেতে হবে? চলুন জেনে নিই।

১. অ্যান্টি–আলসার বা গ্যাসের ওষুধ মূলত নিঃসৃত অ্যাসিড প্রশমিত করে। সেইসঙ্গে অ্যাসিড নিঃসরণ হ্রাস করে। সুতরাং গ্যাসের ওষুধ বা অ্যান্টি–আলসার ওষুধ শুধু সে সব ওষুধের সঙ্গেই খেতে হবে, যা অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়।
২. যেসব ওষুধ সেবনের ফলে পেট ভরা ভরা লাগে, বুকের জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি পায় বা বমি বমি ভাব বা ক্ষুধামান্দ্য বৃদ্ধি পায়, সেগুলোর সঙ্গেও মাঝেমধ্যে প্রয়োজনে খাওয়া যেতে পারে। এ কারণেই কোন কোন ওষুধের সঙ্গে সাময়িকভাবে গ্যাসের ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন ব্যথার ওষুধ, স্টেরয়েড, হার্টের ওষুধ, র'ক্ত পাতলা করার ওষুধ, আয়রন ট্যাবলেট, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক যেমনা টেট্রাসাইক্লিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন ইত্যাদি।

✅অ্যান্টি–আলসার বা গ্যাসের ওষুধ কেন খাবারের আগে খেতে হবে?
👉খাবারের পরে অ্যান্টি–আলসার বা গ্যাসের ওষুধ খেলে এর কার্যকারিতা ৫০ শতাংশ কমে যায়। তাই এটি খাবারের অন্তত আধঘণ্টা আগে খেতে হবে। একান্তই যদি খাওয়ার আগে ওষুধ খেতে মনে না থাকে, তাহলে খাওয়ার আধঘণ্টা পরে খাওয়া যেতে পারে। তবে তাতে কার্যকারিতা প্রায় অর্ধেক কমে যায়।
�📌যত্রতত্র অ্যান্টি–আলসার বা গ্যাসের ওষুধ সেবনের ফলে কী কী স'ম'স্যা হতে পারে?
👉১. পাকস্থলীর উপকারী ও প্রয়োজনীয় ব্যাক্টেরিয়া মারা যায়।
👉২. ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি হজমে সমস্যা হয়।
👉৩. অ্যান্টি–আলসার বা গ্যাসের ওষুধের প্রভাবে অন্য ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে।
তাই অ্যান্টি–আলসার বা গ্যাসের ওষুধ সেবনের ব্যাপারে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা পরিহার করে এই ওষুধের সঠিক ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে।

এতোদিন হোমিওপ্যাথিকে যারা অবৈজ্ঞানিক বলেছেন তাঁরা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে ২০০ বছর পিঁছিয়ে ছিলেন। কারন আপনারা এ-যুগে গবেষণা করে য...
04/05/2025

এতোদিন হোমিওপ্যাথিকে যারা অবৈজ্ঞানিক বলেছেন তাঁরা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে ২০০ বছর পিঁছিয়ে ছিলেন। কারন আপনারা এ-যুগে গবেষণা করে যা পাচ্ছেন তা ২০০ বছর আগেই মহাত্মা হ্যানিম্যান প্রমান করে গেছেন।

Address

Trishal
Mymensingh
2220

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. TOPU posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category