07/10/2025
নাগরপুর অত্র এলাকার চক্ষু ও মাথা ব্যাথা রোগীদের জন্য এক দারুন সু-খবর! বিশ্বমানের চক্ষু চিকিৎসা সেবা এখন নাগরপুরে।
এখন নাগরপুরে ডা. আনিস খান আই কেয়ার-এ পাচ্ছেন বিশ্বমানের চক্ষু সেবা। আগামী ১১ই অক্টোবর ২০২৫ইং রোজঃ শনিবার ডা. আনিস খান আই কেয়ার-এ রোগী দেখবেন দেশের সর্ববৃহৎ ও স্বনামধন্য চোখের হাসপাতাল ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, ফার্মগেইট, ঢাকা-এর
চক্ষু বিশেষজ্ঞ, ছানি, গ্লুকোমা, লেজার ও ফ্যাকো সার্জন
ডা. আনিসুর রহমান খান Anis Khan
এমবিবিএস, এফসিপিএস (চক্ষু), সিসিডি (বারডেম), লংটার্ম ফেলো (গ্লুকোমা)
সহকারী অধ্যাপক
ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকা।
চেম্বারঃ)
ডা. আনিস খান আই কেয়ার
DR.Anis Khan Eye Care
রাজিয়া শপিং কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা) নাগরপুর সরকারী কলেজের বিপরীতে, নাগরপুর।
রোগী দেখার সময়: প্রতি মাসের দ্বিতীয় শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
রোগী দেখার তারিখঃ ১১ই অক্টোবর ২০২৫ইং, রোজঃ শনিবার।
রোগী দেখার স্থানঃ ডা. আনিস খান আই কেয়ার।
রাজিয়া শপিং কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা) নাগরপুর সরকারী কলেজের বিপরীতে, নাগরপুর।
তাহলে আর দেরী নয়, চোখের যে কোন সমস্যার জন্য আজই যোগাযোগ করুন আপনার নিকটস্থ চোখের একমাত্র বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান ডা. আনিস খান আই কেয়ার, নাগরপুর-এ।
সিরিয়ালের জন্য
যোগাযোগঃ
আজাহার ইসলাম খান (কালাম) ম্যানেজার
01330-475190, 01331-173073
যোগাযোগঃ
মোঃ সালমান খান মানু মার্কেটিং অফিসার 01709-416642, 01719-599915
টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার ও নাগরপুর) আসনের মানুষের মুখে আজ সবচেয়ে আলোচিত নাম - ডা. আনিস। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে তাঁর মানবিক অবদান, সামাজিক কর্মকান্ড এবং আপসহীন রাজনৈতিক সাহসিকতা তাঁকে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
শৈশব ও শিক্ষাজীবন:
১৯৮১ সালে এক সম্ভ্রান্ত শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ডা. আনিস। তাঁর বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। মা ছিলেন পরিবার কল্যাণ সহকারী। দুই ভাই এবং এক বোনের মধ্যে তিনি পরিবারের ছোট সন্তান। প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন সিংহরাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, যেখানে তিনি বৃত্তি অর্জন করেন। পরবর্তীতে এলাসিন তারোক যোগেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াকালীন অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি লাভ করেন এবং ১৯৯৭সালে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করে। ১৯৯৯ সালে টাঙ্গাইল সরকারি মওলানা মুহাম্মদ আলী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ১০ম স্থান অর্জন করেন। সেই সূত্রে ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে।
চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন:
২০০৬ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হন। ২০১০ সালে ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২০১৬ সালে ডা. আনিস চক্ষু বিভাগের উপর বাংলাদেশের মেডিকেল সায়েন্সের সর্বোচ্চ ডিগ্রি এফ.সি.পি.এস ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ইস্পাহানী ইসলামিক চক্ষু হাসপাতাল, ফার্মগেট, ঢাকায় গ্লুকোমা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর পাশাপাশি তিনি নিজ এলাকায় নিয়মিত বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করে আসছেন। এসব ক্যাম্পে অসংখ্য মানুষ বিনামূল্যে চশমা, চক্ষু ড্রপ ও ছানি অপারেশনের সুবিধা পেয়েছেন। ২০২৩ সালে তিনি নাগরপুরে প্রতিষ্ঠা করেন "ডা. আনিস আই কেয়ার হাসপাতাল" একটি আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র, যা অসহায় ও অবহেলিত রোগীদের কাছে দ্রুত আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠে।
মানবিক সমাজসেবক:
চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডা. আনিস নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে দেলদুয়ার ও নাগরপুরে চক্ষু ক্যাম্প আয়োজন করেছেন। বিনামূল্যে চশমা, ঔষুধ বিতরণ এবং ছানি অপারেশনের মতো কার্যক্রম তাঁকে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছে।
রাজনৈতিক জীবন:
ছাত্রজীবন থেকেই নেতৃত্বগুণে পরিচিত ছিলেন ডা. আনিস। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময় (২০০৩-২০০৪) তিনি প্রথমে অর্থ সম্পাদক এবং পরে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে তিনি চিকিৎসকদের জনপ্রিয় সংগঠন ইন্টার্ন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইন্টার্ন) এর রাজনীতিতে যোগ দেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৯ ও ২০১২ সালে নির্বাচিত হন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর সেন্ট্রাল কাউন্সিলর হিসেবে।
২০০৬ সালে বি.এম.এ নির্বাচনে তিনি ডা. আজিজ ও ডা. জাহিদ প্যানেলে নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০০৯ সালের বি.এম.এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কারচুপির বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা নিয়ে ডাক্তার আজিজ ও ডাক্তার জাহিদ এর পক্ষে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। এ জন্য তৎকালীন প্রশাসন তাঁর চক্ষু বিভাগের ট্রেনিং বাজেয়াপ্ত করে। তবুও তিনি ন্যায়ের পক্ষে অবিচল
জনপ্রিয়তা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা:
মানবিক চিকিৎসা, সামাজিক উদ্যোগ ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড এই তিন ক্ষেত্রের মিলিত প্রচেষ্টায় ডা. আনিস আজ দেলদুয়ার ও নাগরপুরবাসীর আস্থার নাম। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন, আগামী নির্বাচনে তিনি-ই হবেন তাদের প্রকৃত প্রতিনিধি।
তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে:
আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার প্রসার।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ।
যুবসমাজকে কর্মসংস্থানের আওতায় আনা।
সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন।
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন।
ধর্মীয় স্বাধীনতা।
নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন।
আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
কৃষকের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ।
নিজ বক্তব্যে তিনি বলেন:
"আমার লক্ষ্য নাগরপুর ও দেলদুয়ারকে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় সমৃদ্ধ মডেল এলাকায় রূপান্তর করা। আমি চাই মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ।
এক বিশাল বিনামূল্যে চক্ষু কান্দি
ইফতার মাহফিল
উপসংহার:
ডা. আনিস শুধু একজন চিকিৎসক নন তিনি একজন মানবিক সমাজসেবক ও আপসহীন রাজনৈতিক সংগ্রামী। তাঁর সততা ও সাহসিকতা তাঁকে টাঙ্গাইল-৬ আসনের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক করে তুলেছে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, তাঁর হাত ধরেই দেলদুয়ার ও নাগরপুরে শুরু হবে উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার নতুন দিগন্ত।