01/06/2022
যৌন ও ধাতু দূর্বলতায় হোমিওপ্যাথিক এবং :
ধাতু দূর্বলতা : অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো ধাতু দুর্বলতা । এ ধরনের সমস্যায় সপ্নাবেশ বা কম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বীর্যস্থলন হয়। সাধারণভাবে বলতে গেলে ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং অন্যান্য রোগের উপসর্গ।
ধাতু দূর্বলতা (Spermatorrhoea) এর কারণসমূহ : যৌবন কালে অস্বাভাবিক উপায়ে শুক্র ক্ষয় হলে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, হস্তমৈথুন এবং অতিরিক্ত যৌন মিলন করা ইহার প্রধান কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ্বরোগ ইত্যাদির কারণেও ইহা হতে পারে। আবার অনেক সময় সিফিলিস, গনোরিয়া, ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ স্বরূপ এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্বাভাবিক ভাবে হরমোনের অভাবে অথবা কৃত্রিম অতিরিক্ত মৈথন বা অস্বাভাবিক শুক্রপাত করতে থাকলে স্পারম্যাটোরিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আবার অনেক সময় অপুষ্টি বা ভিটামিন প্রভৃতির অভাবে অথবা দীর্ঘদিন রক্তশূন্যতা বা নানা প্রকার রোগে ভোগার ফলে ইহা দেখা দিতে পারে। যারা সাধারণত বেশি পরিমান যৌন মিলন করে, অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় করে তাদের শুক্রথলিতে শুক্র বেশি সঞ্চিত থাকে না। ইহার ফলে তাদের শুক্র নির্গত হলে দেখা যায় তাদের শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) কম এবং তা দেখতে বেশ তরল। ইহাতে রোগীর ভয়ানক দুর্বলতা সৃষ্টি হয়।
ধাতু দৌর্বল্য (Spermatorrhoea) এর লক্ষণসমূহ :স্পারম্যাটোরিয়ার লক্ষণযুক্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়। অনেক সময় পাতলা পানির মত। নির্গত শুক্রে ঘনত্ব (viscosity) খুব কম। রোগী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেহগত অপুষ্টির ভাব প্রকাশ পেয়ে থাকে। দেহের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং জীর্ণ শীর্ণ হয়ে পড়ে, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে। দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত হয়। রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়। ইহার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে। আবার এর কারণে সিফিলিস, গনোরিয়ার মত রোগের প্রকাশ লাভ করার সুযোগ হয়। শুক্রপাত বেশি হওয়ার দরুন দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ঘোরে, বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে। বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষধাহীনতার ভাব দেখা দেয়। ইহাতে পেনিস বা জননেদ্রীয় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে, তার শুক্রের ধারণ শক্তি একেবারে কমে যায়। রাত্রে স্বপ্ন দেখে শুক্র ক্ষয় হয়, আবার দিনের বেলায়ও নিদ্রাকালীন স্বপ্ন দেখে শুক্রপাত হয়।
সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়।, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়। পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়, স্মরণশক্তি কমে যায়, বুদ্ধিবৃত্তি কমে যায়, পুরুষাঙ্গের ক্ষীনতা ও দুর্বলতা দেখা যায়, চোখের চারদিকে কালিমা পড়ে, অকাল বার্ধক্য এবং ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এই বিশ্রী সমস্যার লক্ষণ মানুষের বিশেষ করে তরুনদের উন্নতির পথে প্রধান একটা অন্তরায় হয়ে দাড়ায়।
জটিল উপসর্গসমূহ :অতিরিক্ত অপুষ্টি রোগ ভোগ, রক্ত শুন্যতা, দুর্বলতা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ইহাতে তেমন জটিল উপসর্গ দেখা দেয় না। যাদের হরমোনের অভাব হয় বা বীর্যে শুক্রকীট থাকে না তাদের অনেক সময় এর দরুন সন্তান হয় না। এছাড়া শুক্রের ঘনত্ব (viscosity) নস্ট হওয়ার কারণে ইহা অতি সহজেই নির্গত হয় এবং এর ফলে যৌন আনন্দ পাওয়া যায় না। অনেক সময় এর ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মানসিক অশান্তি দেখা দেয় এবং নানা পারিবারিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই উপসর্গযুক্ত পুরুষদের স্ত্রীরা মানসিক অশান্তি এবং হতাশায় ভোগে। পরোক্ষভাবে সাংসারিক অশান্তি এই রোগের একটি জটিল উপসর্গ বলা যেতে পারে।
আরোগ্যকারী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা: উপরে বর্ণিত লক্ষণগুলির সব কয়টি বা কোন কোনটি এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। যেহেতু এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তি মানসিক ভাবে অনেক দুর্বল থাকে তাই রাস্তা ঘাটের তথাকথিত হারবাল, কবিরাজ, ভেষজ নামধারী চিকিত্সকরা তাদের খুব সহজেই প্রতারিত করে থাকে। কিন্তু দেখা যায় তাদের চিকিত্সায় এই সমস্যাটি পুরােপুরি নির্মূল হয় না। আর তখন ঐসব চিকিৎসকরা আক্রান্ত ব্যক্তিকে নানা প্রকার উত্তেজক ঔষধ দিয়ে এইগুলি সব সময় খেয়ে যেতে বলে। আর সহজ সরল ব্যক্তিরা আসল সত্যটা না জানার কারণে তাদের দেয়া ক্ষতিকর উত্তেজক ঔষধগুলি দিনের পর দিন ব্যবহার করে করে সমস্যাটিকে আরো জটিল থেকে জটিলতর করে তুলে।
হোমিওপ্যাথিতে ব্যবহৃত ঔষধসমুহের লক্ষণসহ আলোচনা করা হল।
Staphisagria : পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য।
বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।
Salix nigra: মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।(সোজাকথায়, এই ঔষধটি যাদের যৌনশক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাদেরটা বাড়িয়ে স্বাভাবিক করবে এবং যাদেরটা স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বেশী তাদেরটা কমিয়ে স্বাভাবিক করবে।)
Origanum marjorana: ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ।
Moschus Moschiferus : ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
Kali Bromatum : বিষন্নতা জনিত কারণে যৌন দুর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি হলো স্মরণশক্তির দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে, মৃগী ইত্যাদি ইত্যাদি।
Sabal serrulata: সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।
Lycopodium clavatum : লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।
Calcarea Carbonica: ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।পারেন।
Natrum carbonicum: যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।
Caladium seguinum: যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তারা ক্যালাডিয়াম খান ।
Agnus Castus : সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।
Nux Vomica : নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।
Phosphoricum Acidum : সাধারণত টাইফয়েড বা এরকম কোন মারাত্মক রোগের ভোগার কারণে, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গেলে অথবা একেবারে নষ্ট হয়ে গেলে (এবং সাথে অন্য আরো যে-কোন সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস আপনাকে সব ফিরিয়ে দিবে।
Selenium : যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।
* পুরুষাঙ্গ বড় করার জন্য Agnus castus (অতীতে যৌন অনাচার), Lycopodium (যাদের পেটে গ্যাস হয়) অথবা Baryta carb (জন্মগতভাবে বোকাটে)।
* মহিলাদের মাত্রাতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা দমনের জন্য Platinum, Baryta mur অথবা Salix nigra প্রতিদিন একবার করে খান। পুরুষদের অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা দমনের জন্য Salix nigra অথবা Agnus castus।
* অবিবাহিত মেয়েদের অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা দমনের জন্য Platinum.
* মহিলাদের যৌন মিলনে বিতৃষ্ণা দূর করতে- এগনাস কাস্ট
উপরে লক্ষণ অনুসারে যেকোনো একটি মেডিসিন উচ্চশক্তির ব্যবহার করুন এবং সাথে মাদার টিংচার এগুলো ব্যবহার করুন ইনশাল্লাহ রেজাল্ট ভালো পাবেন
সিমুল+ জিনসেন+ ডামিয়ানা + অশ্বগন্ধা +স্যালিক্স নাইগ্রা মাদার।
বায়োকেমিক
কেলি ফস 12×
ক্যালকেরিয়া ফস12×
নেট্রাম মিউর12×
--Colllected