27/06/2025
ডায়রিয়া কি এবং কি কি কারনে ডায়রিয়া হয়ে থাকে ? ডায়রিয়া হলে করনীয় কি কি ?
👉 ডায়রিয়া হলো বারবার পাতলা, জলীয় মল ত্যাগ করা। এটি এক ধরনের হজমজনিত সমস্যা, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি
ও লবণ বের করে দেয়।
---
✅ ডায়রিয়ার প্রধান কারণসমূহ :::
1. ভাইরাস সংক্রমণ – যেমন: রোটা ভাইরাস,
নরো ভাইরাস
2. *ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ –
যেমন: ই. কোলাই, সালমোনেলা, কলেরা
3. পরজীবী (Parasite) – যেমন: Giardia
4. অস্বাস্থ্যকর খাবার বা পানি গ্রহণ
5. অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
6. ফুড অ্যালার্জি বা ইনটলারেন্স – যেমন: দুধে
ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা
7. আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome)
8. মানসিক চাপ/উদ্বেগ
9. আন্ত্রিক রোগ বা ক্যান্সার (দুর্লভ ক্ষেত্রে)
➡️➡️ ডায়রিয়ার উপসর্গ :::
👉 ঘন ঘন পানির মতো মল
👉 পেট ব্যথা বা গ্যাঁজলা
👉 জ্বর (মাঝেমধ্যে)
👉 বমি
👉 দুর্বলতা বা পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন)
🛑 ডায়রিয়া হলে করণীয় :::
1. ORS (ওরস্যালাইন)
- বারবার খান, পানিশূন্যতা রোধ করে
- ঘরে তৈরি ORS বা প্যাকেটজাত
ওরস্যালাইন
2. সাধারণ খাবার
- খিচুড়ি, কলা, টোস্ট, স্যুপ
- দুধ বা তেলজাত খাবার পরিহার
3. জিঙ্ক ট্যাবলেট (বিশেষ করে শিশুদের)
১০–১৪ দিন পর্যন্ত দেওয়া হয়
4. পর্যাপ্ত পানি ও তরল
ডাবের পানি, স্যুপ, লেবুর শরবত
5. চিকিৎসকের পরামর্শ
যদি রক্তমিশ্রিত মল, জ্বর বা ২ দিনের বেশি
স্থায়ী হয় । বাচ্চা, বৃদ্ধ বা গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে
দ্রুত চিকিৎসা জরুরি
📕 সতর্কতা :
বাইরের পানীয় ও কাঁচা খাবার এড়িয়ে চলুন
হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন
নিচে ডায়রিয়ার ঘরোয়া প্রতিকার ও সাধারণ ওষুধের নাম দেওয়া হলো :::
🏠 ঘরোয়া প্রতিকার (Home Remedies) :::
👉 ওরস্যালাইন (ORS)
👉 প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১ গ্লাস
করে খান
👉 পাকা কলায় পটাশিয়াম ও ফাইবার থাকে,
মল ঘন করতে সাহায্য করে
👉 ভাতের মাড় হালকা, সহজে হজম হয় এবং
শরীর আর্দ্র রাখে
👉 দই/টকদই : প্রোবায়োটিক উপাদান লিভার
ও অন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে
👉 আদা পানি (কম পরিমাণে)
গ্যাঁজলা বা পেট ব্যথা কমায়
💊 সাধারণ ওষুধের নাম (শুধুমাত্র প্রয়োজনে, ডাক্তারের পরামর্শে):::
1. ORS Powder (Jeevan Jal/Oralit)
পানিশূন্যতা রোধে
2. Zinc Tablet (Zincovit, Zincolife)
শিশুর ক্ষেত্রে ।
3. Loperamide (Diarease, Imodium)
অতিরিক্ত বারবার মল ত্যাগ হলে, কিন্তু জ্বর
বা রক্ত থাকলে এড়িয়ে চলুন
4. Probiotic Capsules/Syrup (Econorm,
Darolac) অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ব্যালেন্স
বজায় রাখে
5. Antibiotic (যেমন Norfloxacin,
Metronidazole) শুধু ব্যাকটেরিয়াল
সংক্রমণ হলে, ডাক্তার প্রেসক্রাইব করলে
👉👉👉 যাদের ডায়াবেটিস, কিডনি বা হৃদরোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে ওরস্যালাইন ও ওষুধ বেছে নিতে হয় সতর্কভাবে ।