What are the opening hours?

Wednesday 09:00 - 17:00 Thursday 09:00 - 17:00 Friday 09:00 - 17:00 Saturday 09:00 - 17:00 Sunday 09:00 - 17:00

https://www.facebook.com/473287585878579/

Dr.Saiful Islam Shakil, Narayanganj (2025)

20/06/2025

😎

08/05/2025

আপনার এনেস্থেশিওলজীস্ট কে জানুন:

“অপারেশন থিয়েটারে আপনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সঙ্গীটি কে?”

অনেকেই জানেন না, অস্ত্রোপচারের সময় শুধুমাত্র সার্জনই নন, বরং আপনার শারীরিক নিরাপত্তার পেছনে একজন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক কাজ করছেন—
তিনি হলেন এনেস্থেশিওলজীস্ট।

একজন এনেস্থেশিওলজীস্ট কী করেন?
✔️ রোগীর সার্বিক শারীরিক মূল্যায়ন
✔️ এনেস্থেসিয়ার ধরন নির্ধারণ (Local/Regional/General)
✔️ অপারেশনের সময় শ্বাসপ্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলো পর্যবেক্ষণ
✔️ অস্ত্রোপচারের পরে ব্যথা ব্যবস্থাপনা ও জাগরণ প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান
✔️ সংকটময় মুহূর্তে জরুরি চিকিৎসা প্রদান

এনেস্থেশিওলজীস্ট আছেন কোথায়?

অস্ত্রোপচার কক্ষে

ইমার্জেন্সি রুমে

আইসিইউ-তে

ডেলিভারি রুমেও

অথচ, আমরা অনেক সময় তাঁর নামও জানি না।

চলুন, পরিচিত হই এই নীরব অভিভাবকের সঙ্গে।
কারণ নিরাপদ অস্ত্রোপচার শুধু সার্জন নির্ভর নয়—
এনেস্থেশিওলজীস্টও নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ।

#আপনারএনেস্থেশিওলজীস্টকে_জানুন

31/03/2025

অ্যাড্রেনালিন: জীবন রক্ষাকারী একটি ওষুধ

অ্যাড্রেনালিন (Adrenaline), যাকে এপিনেফ্রিন (Epinephrine) নামেও চেনা হয়, একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। এটি একটি হরমোন ও নিউরোট্রান্সমিটার, যা মানবদেহে স্বাভাবিকভাবেই অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি (adrenal glands) থেকে নিঃসৃত হয় এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে শরীরকে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করে।

কখন অ্যাড্রেনালিন ব্যবহার করা হয়?

✅ অ্যানাফাইল্যাক্সিস (Anaphylaxis):

মারাত্মক অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হলে (যেমন খাবার, ওষুধ, বা পোকার কামড়ে) শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

অ্যাড্রেনালিন দ্রুত শ্বাসনালী খুলে দেয়, রক্তচাপ বাড়ায় এবং শকের (shock) হাত থেকে বাঁচায়।

✅ হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট:

CPR (Cardiopulmonary Resuscitation)-এর সময় হার্ট পুনরায় চালু করার জন্য অ্যাড্রেনালিন দেওয়া হয়।

এটি রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।

✅ অ্যাজমার মারাত্মক অ্যাটাক:

যখন সাধারণ ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধ কাজ করে না, তখন অ্যাড্রেনালিন শ্বাসনালী প্রসারিত করে এবং রোগীকে শ্বাস নিতে সহায়তা করে।

✅ রক্তচাপ কমে গেলে (Hypotension & Shock):

দুর্ঘটনা বা বড় অস্ত্রোপচারের পর রক্তচাপ খুব কমে গেলে রোগীকে বাঁচাতে এটি ব্যবহার করা হয়।

কীভাবে অ্যাড্রেনালিন কাজ করে?

হার্টবিট বাড়ায়, ফলে রক্তচলাচল দ্রুত হয়।

রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়।

ব্রঙ্কোডাইলেশন ঘটায়, অর্থাৎ ফুসফুসের বায়ুপথ খুলে দেয়।

মস্তিষ্ককে সতর্ক করে, যাতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।

অ্যাড্রেনালিন একটি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, যা জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীকে বাঁচাতে ব্যবহৃত হয়। এনেস্থেশিওলজিস্ট, জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এই ওষুধকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করে বহু প্রাণ বাঁচিয়ে থাকেন।

28/03/2025

Our OT complex...

26/03/2025

Big shout out to my newest top fans! 💎 Md Murad Hossain

26/03/2025

My Favourite workstation...

24/03/2025

আজকে তামিম ইকবালের অসুস্থতার ঘটনায় সিপিআর (CPR) নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে।

চলুন জেনে নেই,

CPR (Cardiopulmonary Resuscitation) কি?

CPR (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) হলো একটি জরুরি চিকিৎসা পদ্ধতি, যা তখন প্রয়োগ করা হয় যখন কারো হৃদস্পন্দন বা শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এটি মূলত বুকের উপর চাপ (chest compressions) ও মুখে-মুখে শ্বাস (rescue breaths) দেওয়ার মাধ্যমে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসকে কৃত্রিমভাবে সচল রাখার চেষ্টা করে।

---

কখন CPR দিতে হয়?

CPR তখন দিতে হয় যখন একজন ব্যক্তি—

1. হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায় এবং কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না।

2. শ্বাস নেয় না বা গ্যাসপিং শ্বাস নেয় (agonal breathing)।

3. হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেছে (Cardiac Arrest)।

4. ডুবে যাওয়ার পর শ্বাস নিতে পারছে না।

5. বৈদ্যুতিক শক বা দুর্ঘটনার কারণে সংজ্ঞাহীন হয়ে গেছে।

---

কেনো CPR দেওয়া হয়?

CPR দেওয়ার প্রধান কারণ হলো—

অক্সিজেনযুক্ত রক্ত মস্তিষ্ক ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পৌঁছানো নিশ্চিত করা, যাতে কোষগুলো বেঁচে থাকে।

হৃদযন্ত্র পুনরায় সচল হওয়ার সুযোগ তৈরি করা, যতক্ষণ না পেশাদার চিকিৎসা (যেমন ডিফিব্রিলেশন) পাওয়া যায়।

রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো ও তাকে বাঁচানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা।

---

CPR কিভাবে দেওয়া হয়?

CPR সাধারণত CAB পদ্ধতি অনুসরণ করে:

1. C – Compressions (বুকের চাপ)

রোগীকে শক্ত সমতল জায়গায় শুইয়ে দিন।

দুই হাতের তালু ব্যবহার করে বুকের মাঝখানে (স্টার্নামের উপর) চাপ দিন।

প্রতি মিনিটে 100-120 বার চাপ দিন (প্রতি 30 বার চাপের পর ২ বার শ্বাস দিন)।

প্রতিবার চাপ দেওয়ার গভীরতা প্রায় ২ ইঞ্চি (৫ সেমি) হওয়া উচিত।

2. A – Airway (বায়ু চলাচলের পথ খুলুন)

রোগীর মাথা সামান্য পেছনে হেলিয়ে দিন এবং থুতনিটা উপরে তুলুন (Head tilt-chin lift)।

মুখে কিছু আটকে থাকলে সরিয়ে ফেলুন।

3. B – Breathing (শ্বাস দেওয়া)

রোগীর নাক চেপে ধরে মুখে-মুখে দুইবার শ্বাস দিন।

প্রতিটি শ্বাস ১ সেকেন্ড ধরে দিন এবং দেখুন বুক ফুলছে কি না।

তারপর পুনরায় ৩০ বার বুকের চাপ দিন।

⚠ বিঃদ্রঃ যদি CPR প্রশিক্ষিত না হন, তাহলে শুধু বুকের চাপ (Hands-only CPR) দিন।

---

বিশেষ টিপস

CPR শুরু করার আগে রোগীকে সাড়া দেয় কি না তা পরীক্ষা করুন।

জরুরি সহায়তার জন্য দ্রুত 999 বা স্থানীয় এমার্জেন্সি নম্বরে কল করুন।

যতক্ষণ না মেডিকেল টিম আসে, CPR চালিয়ে যান।

শিশুদের জন্য CPR করার সময় বুকের চাপের গভীরতা ১.৫ ইঞ্চি (৪ সেমি) এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুপাত পরিবর্তিত হতে পারে।

চিকিৎসক ব্যতীত একজন সাধারণ মানুষও যদি সিপিআর প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন তাহলে তিনি এটা প্রয়োগ করে মূল্যবান জীবন বাঁচাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন।

✅ CPR দ্রুত ও সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে জীবন বাঁচানো সম্ভব!

19/03/2025

#সিজারিয়ান_সেকশন ও #ব্যাক_পেইন

অনেক মায়েদের ধারণা সিজারিয়ান অপারেশনের পরেই স্থায়ী ব্যাক পেইন বা পিঠে বা কোমড়ে ব্যথা হয়!
আসলেই কি তাই??

সিজারিয়ান সেকশনের পর স্পাইনাল অ্যানেস্থেশিয়া নেওয়ার কারণে স্থায়ী ব্যাক পেইন হয়—এটি মূলত একটি মিথ।

তবে কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক ব্যথা হতে পারে, যা সাধারণত কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।

কেন এই ধারণা প্রচলিত?

১. সুই দেওয়ার জায়গায় সাময়িক ব্যথা – স্পাইনাল অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়ার সময় পিঠে সূঁচ ঢোকানো হয়, যা সামান্য টিস্যু ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। ফলে কয়েকদিন হালকা ব্যথা থাকতে পারে।
২. গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত পরিবর্তন – গর্ভাবস্থায় হরমোনের কারণে লিগামেন্ট ও জয়েন্টগুলো ঢিলা হয়ে যায়, যা প্রসবের পরও কিছুদিন ব্যথা দিতে পারে।
3. ডেলিভারির পরে ব্যাক পেইন সাধারণ ঘটনা – অনেক মায়েদেরই প্রসবের পর হরমোনের প্রভাবে ও ভারসাম্যের পরিবর্তনের কারণে পিঠ ব্যথা হতে পারে, যা অনেক সময় অ্যানেস্থেশিয়ার জন্য ভুল বোঝা হয়।

স্থায়ী ব্যথা কবে হতে পারে?

বিরল কিছু ক্ষেত্রে, যদি –

আনফেক্টেড টেকনিক ব্যবহার করা না হয় এবং ইনফেকশন হয়

বহুবার সূঁচ ঢোকানোর দরকার হয়

দীর্ঘ সময় বিছানায় শুয়ে থাকা হয় (Post-dural puncture headache-এর কারণে)

তাহলে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, তবে এটি খুবই বিরল ঘটনা।

স্পাইনাল অ্যানেস্থেশিয়ার কারণে স্থায়ী ব্যাক পেইন হওয়ার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। বেশিরভাগ সময় এটি গর্ভাবস্থা ও প্রসব-পরবর্তী শারীরিক পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকে, যা স্বাভাবিকভাবেই ভালো হয়ে যায়।

এনেস্থিসিয়া সম্পর্কিত এইধরনের আরো তথ্য পেতে পেইজে ফলো দিতে পারেন।

ধন্যবাদ।

18/03/2025

#সিজারিয়ান_সেকশন ও #এনেস্থিসিয়া :

সিজারিয়ান সেকশনের (Cesarean Section) জন্য সাধারণত দুটি প্রধান ধরনের এনেস্থেসিয়া ব্যবহার করা হয়:

1. আঞ্চলিক (Regional) এনেস্থেসিয়া

এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি মা ও শিশুর জন্য তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। এতে মা জেগে থাকেন এবং সন্তানের জন্মের মুহূর্ত অনুভব করতে পারেন। প্রধান দুটি পদ্ধতি হলো—

(ক) স্পাইনাল এনেস্থেসিয়া (Spinal Anesthesia):

একবারই ইনজেকশন দিয়ে কোমরের নিচের অংশ অনুভূতিহীন করা হয়।

দ্রুত কাজ করে এবং সাধারণত ১.৫-২ ঘণ্টা কার্যকর থাকে।

(খ) ইপিডিউরাল এনেস্থেসিয়া (Epidural Anesthesia):

ইপিডিউরাল ক্যাথেটার ব্যবহার করে ধাপে ধাপে ওষুধ দেওয়া হয়, যা দীর্ঘসময় কার্যকর থাকতে পারে।

বিশেষ করে প্রসবকালীন ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্যও এটি ব্যবহার করা হয়।

2. সাধারণ (General) এনেস্থেসিয়া

যখন আঞ্চলিক এনেস্থেসিয়া দেওয়া সম্ভব হয় না বা জরুরি অবস্থায় দ্রুত অপারেশন করতে হয়, তখন এটি ব্যবহার করা হয়।

এতে মা সম্পূর্ণ অজ্ঞান থাকেন এবং অপারেশনের কিছুই অনুভব করেন না।

তবে এটি মা ও শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে, তাই সাধারণত বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এটি ব্যবহার করা হয় না।

কোনটি বেছে নেওয়া হবে?

সাধারণত স্পাইনাল এনেস্থেসিয়া বেশি ব্যবহৃত হয়।

যদি স্পাইনাল না দেওয়া যায় বা দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়, তবে ইপিডিউরাল এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয়।

যদি মা রক্তপাতজনিত জটিলতায় থাকেন বা জরুরি সিজার হয়, তখন জেনারেল এনেস্থেসিয়া ব্যবহার করা হতে পারে।

15/03/2025

আমার ছাদ বাগানের স্ট্রবেরি....

15/03/2025

এপেন্ডিসাইটিস কী?

এপেন্ডিসাইটিস হলো অ্যাপেনডিক্স (Appendix) নামক ছোট অঙ্গের প্রদাহ বা সংক্রমণ। অ্যাপেনডিক্স হলো অন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট, নলাকার অঙ্গ, যা সাধারণত ডান দিকের নিচের পেটে থাকে। এটি কোনো কাজের জন্য খুব প্রয়োজনীয় নয়, তবে যখন এতে সংক্রমণ হয়, তখন তীব্র ব্যথা ও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

---

এপেন্ডিসাইটিসের কারণ:

এপেন্ডিসাইটিস সাধারণত অ্যাপেনডিক্সের ভেতরে কোনো কারণে অবরোধ সৃষ্টি হলে হয়। এর কিছু সম্ভাব্য কারণ হলো—

1. মল জমে যাওয়া – অ্যাপেনডিক্সের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে।

2. সংক্রমণ – অন্ত্রে কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে অ্যাপেনডিক্স ফুলে যেতে পারে।

3. অপরিচিত বস্তু – ফলের বীজ বা অন্য কোনো কঠিন বস্তু অ্যাপেনডিক্সের মুখ বন্ধ করে দিতে পারে।

4. আন্ত্রিক সমস্যা – ক্রোনস ডিজিজ বা অন্য কোনো অন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগের কারণে হতে পারে।

---

লক্ষণসমূহ:

এপেন্ডিসাইটিস হলে সাধারণত নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা যায়—
✔ পেটের ডানদিকের নিচে তীব্র ব্যথা (সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং সময়ের সাথে বাড়তে থাকে)।
✔ বমি বা বমি বমি ভাব
✔ অরুচি ও খাবারে অনীহা
✔ মৃদু জ্বর
✔ কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
✔ পেট ফুলে যাওয়া

---

চিকিৎসা:

এপেন্ডিসাইটিস হলে সাধারণত অস্ত্রোপচার (সার্জারি) করাই প্রধান চিকিৎসা। দুই ধরনের অপারেশন করা হয়—

1. ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাপেন্ডেকটোমি – ছোট ছিদ্র করে ক্যামেরা ও অস্ত্রোপচার যন্ত্র প্রবেশ করিয়ে অ্যাপেনডিক্স কেটে ফেলা হয়। এটি কম জটিলতা ও দ্রুত সুস্থতার জন্য ভালো।

2. ওপেন অ্যাপেন্ডেকটোমি – পেট কেটে সরাসরি অ্যাপেনডিক্স অপসারণ করা হয়। যদি সংক্রমণ বেশি থাকে বা অ্যাপেনডিক্স ফেটে যায়, তাহলে এই পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়।

---

জটিলতা:

✔ অ্যাপেনডিক্স ফেটে যেতে পারে, যা পেটের ভেতরে সংক্রমণ (পেরিটোনাইটিস) সৃষ্টি করতে পারে।
✔ এপেনডিকুলার অ্যাবসেস হতে পারে, যেখানে পুঁজ জমে ব্যথা ও জ্বর সৃষ্টি করে।

---

প্রতিরোধের উপায়:

✔ প্রচুর ফাইবারযুক্ত খাবার (ফল, সবজি, শস্য) খাওয়া ভালো।
✔ পর্যাপ্ত পানি পান করা দরকার।
✔ কোষ্ঠকাঠিন্য এড়িয়ে চলা উচিত।

যদি তীব্র পেটব্যথা হয়, তবে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।

14/03/2025

কেমন ছিলো এনেস্থিসিয়া আবিষ্কারের আগের অপারেশনের ব্যবস্থা গুলো??

এনেস্থেসিয়া আবিষ্কারের আগে অস্ত্রোপচার (সার্জারি) ছিল অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং ঝুঁকিপূর্ণ।

তখনকার দিনে অপারেশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল ব্যথা ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো কিভাবে সে সময়ে অপারেশন করা হতো—

১. ব্যথা উপশমের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি

এনেস্থেসিয়া না থাকায় অস্ত্রোপচারের সময় রোগীরা প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করত। ব্যথা কমানোর জন্য নিচের কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো—

মদ ও আফিম: কিছুক্ষণের জন্য ব্যথা কমাতে রোগীদের মদ, আফিম, বা মরফিন খাওয়ানো হতো।

শক্তভাবে ধরা বা বেঁধে রাখা: রোগী যাতে নড়াচড়া করতে না পারে, সে জন্য কয়েকজন সহকারী রোগীকে চেপে ধরে রাখত।

ঠান্ডা বা ঝাঁকুনি দেওয়া: কোনো কোনো ক্ষেত্রে বরফ বা ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীরের কিছু অংশ অবশ করার চেষ্টা করা হতো। কিছু সময় রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে তখন অস্ত্রোপচার করা হতো।

ধ্যান ও সম্মোহন (Hypnosis): কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে মানসিকভাবে ব্যথা সহ্য করার জন্য প্রশিক্ষিত করা হতো।

২. অপারেশন দ্রুত শেষ করার চেষ্টা

যেহেতু ব্যথা কমানোর কার্যকর উপায় ছিল না, তাই অস্ত্রোপচার খুব দ্রুত করার চেষ্টা করা হতো।

দক্ষ সার্জনরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই হাত বা পা কেটে ফেলতে পারত।

অনেক সময় রোগী ব্যথার কারণে জ্ঞান হারাত, যা সার্জনদের জন্য সুবিধাজনক হতো।

অস্ত্রোপচার সংক্ষিপ্ত রাখার জন্য শুধুমাত্র জীবন রক্ষাকারী বা জরুরি অপারেশন করা হতো।

৩. সংক্রমণ প্রতিরোধের অভাব

এনেস্থেসিয়া আবিষ্কারের আগের সময়ে অস্ত্রোপচারে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের খুব কম ব্যবস্থা ছিল।

হাত ধোয়া বা জীবাণুমুক্ত অস্ত্রোপচার সরঞ্জামের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়নি।

অস্ত্রোপচারের পর সংক্রমণের কারণে অনেক রোগী মারা যেত।

কিছু ক্ষেত্রে গরম তেল বা আগুন দিয়ে কাটা অংশ দগ্ধ করে রক্তপাত বন্ধ করা হতো।

৪. মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতি

রোগীদের অস্ত্রোপচারের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা হতো। ধর্মীয় রীতিনীতির মাধ্যমে তাদের সাহস দেওয়া হতো।

এনেস্থেসিয়ার আবিষ্কার (১৮৪৬ সালে ইথার এবং পরবর্তীতে ক্লোরোফর্ম) সার্জারির ইতিহাসে বিপ্লব এনেছে। এর ফলে অস্ত্রোপচার ব্যথামুক্ত ও নিরাপদ হয়েছে, এবং জটিল ও দীর্ঘ অপারেশন করা সম্ভব হয়েছে।

Dr.Saiful Islam Shakil

20/06/2025

08/05/2025

31/03/2025

28/03/2025

26/03/2025

26/03/2025

24/03/2025

19/03/2025

18/03/2025

15/03/2025

15/03/2025

14/03/2025

Address

Opening Hours

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category

Wednesday	09:00 - 17:00
Thursday	09:00 - 17:00
Friday	09:00 - 17:00
Saturday	09:00 - 17:00
Sunday	09:00 - 17:00