04/10/2025
🧠 মাইগ্রেন: এক অদৃশ্য যন্ত্রণা, যা বদলে দেয় পুরো জীবন
. মাথাব্যথা আমাদের সবারই হয়, কিন্তু মাইগ্রেন শুধু সাধারণ মাথাব্যথা নয়। এটি এক ধরনের স্নায়ুবিক সমস্যা, যা হঠাৎ করেই একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন থামিয়ে দিতে পারে। অনেক সময় কয়েক ঘণ্টা থেকে টানা কয়েকদিন পর্যন্ত এ ব্যথা চলতে থাকে।
মাথাব্যথা না, তার চেয়েও বেশি কিছু
. মাইগ্রেন সাধারণত মাথার এক পাশে তীব্র ধুকপুক ধরণের ব্যথা দিয়ে শুরু হয়। সাথে থাকে বমি বমি ভাব, আলো বা শব্দে অস্বস্তি, চোখে ঝাপসা দেখা বা মাথা ঘোরা। অনেক রোগী জানান, ব্যথার সময় কাজ করা তো দূরের কথা, সাধারণ কথোপকথনও কষ্টকর হয়ে ওঠে।
কেন হয় এই ব্যথা?
. চিকিৎসকরা বলছেন, মাইগ্রেনের মূল কারণ মস্তিষ্কের স্নায়ু আর রক্তনালীর অস্বাভাবিক কার্যক্রম। জেনেটিক কারণও এখানে ভূমিকা রাখে। যাদের পরিবারে মাইগ্রেনের ইতিহাস আছে, তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি।
হঠাৎ করে কেন শুরু হয়?
মাইগ্রেন হঠাৎ শুরু হলেও এর পেছনে থাকে কিছু নির্দিষ্ট ট্রিগার—
. পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
. মানসিক চাপ
. হরমোন পরিবর্তন (বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে)
. চকলেট, ক্যাফেইন বা কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার
. পরিবেশগত প্রভাব যেমন অতিরিক্ত আলো, শব্দ বা গরম আবহাওয়া
নিয়ন্ত্রণের পথ
. মাইগ্রেনের স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে ওষুধ আর জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসকরা সাধারণত ব্যথা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ দেন,(যেমন Sumatriptan, Ibuprofen, বা Naproxen এর মত ওষুধ) আর দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি কমাতে প্রতিরোধমূলক ওষুধ ব্যবহার করেন। এর পাশাপাশি নিয়মিত ঘুম, ব্যায়াম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ট্রিগার খাবার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি।
কেন গুরুত্ব দিতে হবে?
. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মাইগ্রেন কর্মক্ষমতা হারানোর অন্যতম প্রধান কারণ। এটি শুধু মাথাব্যথার সমস্যা নয়, বরং একজনের কর্মজীবন, সামাজিক জীবন এমনকি মানসিক সুস্থতাও নষ্ট করে দিতে পারে। তাই পুনঃপুন তীব্র মাথাব্যথাকে হালকাভাবে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
#মাইগ্রেন #মাথাব্যথা #মাইগ্রেনেরব্যথা #আলইলাজ 🤕 😣 #আলেলাযব্দ
Ahmadullah