জয় হোমিও হল, নরসিংদী

জয় হোমিও হল, নরসিংদী স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য পরামর্শ ও স?

02/10/2021

ডা. কেন্টের ১২টি পর্যবেক্ষণ ও ব্যাখ্যা:

১। দীর্ঘকালীন রোগের বৃদ্ধি, শেষ পর্যন্ত রোগীর ক্রমাবনতি।

ব্যাখ্যা : এক্ষেত্রে বুঝতে হবে জীবনীশক্তি খুব দুর্বল, ফলে গভীর অ্যান্টি-সোরিক ওষুধ সহ্য করতে পারছে না। তাই দীর্ঘকালীন রোগ বৃদ্ধি। বা 30 শক্তির বেশি অর্থাৎ উচ্চ শক্তির ঔষধ ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। নিম্ন শক্তির ঔষধ ব্যবহার করা উচিত ছিল। রোগের কারণে শরীরের কোন যন্ত্রের পরিবর্তন হয়ে গেছে। রোগ সারার অবস্থায় নাই। এই দীর্ঘকালীন বৃদ্ধিকে এখন‌ই কোন নিম্ন শক্তির ঔষধ দিয়ে উপশম করা দরকার। নচেৎ জীবন সংশয় হওয়ার আশঙ্কা আছে। এরূপ অবস্থায় প্রথম থেকেই নিম্ন শক্তির ঔষধ দিয়ে জীবনী শক্তিকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করা ভালো।

২। দীর্ঘকালীন বৃদ্ধি ও শেষে ধীরগতিতে রোগের উন্নতি।

ব্যাখ্যা : ঔষধ প্রয়োগের পর কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ রোগ বৃদ্ধির পর যদি অল্প অধীর গতিতে উপশম হতে থাকে, তাহলে বুঝবেন শরীরের ভিতরে অল্প হলেও টিসুর পরিবর্তন শুরু হয়েছে। জীবনীশক্তি যান্ত্রিক প্রক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তাই ধীরে ধীরে রোগ সারার দিকে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে রোগের গতি প্রকৃতি লক্ষ্য করে যেতে হবে। ঔষধ ঘন ঘন দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। তা কয়েক মাসও হতে পারে।

৩। তড়িঘড়ি কিন্তু সংক্ষিপ্ত ও জোরালো রোগ বৃদ্ধি, তারপর শুরু হয় অতি দ্রুত গতিতে রোগের উন্নতি।

ব্যাখ্যা : এক্ষেত্রে বুঝতে হবে জীবনীশক্তির প্রতিক্রিয়া খুবই জোরালো, শরীরে কোন যান্ত্রিক পরিবর্তন হয়নি, অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্রের খারাপ কোনো পরিবর্তন হয়নি। এক্ষেত্রে রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হবে ও নিরাময় দীর্ঘস্থায়ী হবে। এই বৃদ্ধি হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি। অস্বাভাবিক নয়। বুঝতে হবে, ঔষধ নির্বাচন সঠিক হয়েছে কিন্তু শক্তি ও মাত্রা একটু বেশি হয়েছে। ঔষধ প্রয়োগের পর বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেলে, ঔষধ পুনঃ প্রয়োগ করা যাবে না। তরুণ রোগের ক্ষেত্রে প্রায় এসব লক্ষ্য করা যায়।

৪। কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে দেখা যায় ঔষধ প্রয়োগের পর রোগ আদৌ বৃদ্ধি হয় না বরং স্বাভাবিক নিরাময়ের দিকে যাচ্ছে।

ব্যাখ্যা : এ অবস্থা থেকে বোঝা যায় ঔষধের শক্তি ও মাত্রা সঠিক হয়েছে, যা সচরাচর আশা করা যায় না। জীবনীশক্তি যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। শরীরের কোন যান্ত্রিক পরিবর্তন হয়নি।

৫। রোগ লক্ষণ সমূহের প্রথমে উপশম শুরু হলো তারপরে বৃদ্ধি হতে থাকলো।

ব্যাখ্যা : ওষুধ প্রয়োগের কয়েক দিন বা ১/২ সপ্তাহ পর থেকে ঔষধ প্রয়োগের আগের অবস্থা ফিরে আসে। অনেক সময় কিছু লক্ষণ নিয়ে ফিরে আসে।

ডা. কেন্ট এর দুটি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন যথা :

(ক) নির্ধারিত ঔষধটি হয়তো আংশিক সঠিক হয়েছে, ফলে রোগ পূর্ণ নিরাময়ের বদলে, উপশম হয়েছিল তাই কয়েকদিনের মধ্যে আবার লক্ষণগুলি ফিরে আসছে। এর মানে রোগীকে ধাতুগত ভাবে যথাযথ বিচার বিশ্লেষণ করা হয়নি।
কিন্তু যদি ঔষধ সুনির্বাচিত হয়েছে বলে মনে হয় তাহলে আরো উচ্চ শক্তি প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাতেও রোগলক্ষণ ফিরে ফিরে আসলে, আরো উচ্চ শক্তি দিতে হবে।

(খ) তাতেও নিরাময় না হলে বুঝবেন রোগটি সারার অবস্থায় নাই। সে ক্ষেত্রে নির্বাচিত ঔষধের নিম্নশক্তি দিয়ে রোগটিকে উপশম করে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

মন্তব্য : সুনির্বাচিত আন্টি-মায়াজমটিক ঔষধে ১/২ মাত্রাতেই কাজ হয় ও পূর্ণ আরোগ্য হয়।

৬। ঔষধ প্রয়োগের পর খুব কম সময়ের জন্য রোগ লক্ষণ উপশম হয়।

ব্যাখ্যা : ঔষধ প্রয়োগের পর দীর্ঘকালীন ও স্থায়ী রোগ আরোগ্য থাকার কথা কিন্তু তা থাকছে না। কারণ এমন কিছু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে আছে ফলে এমন হচ্ছে।
যথা : কেউ নেশা জাতীয় দ্রব্য তামাক, জর্দা, মদ ইত্যাদি সেবন করে, ফলে ঔষধের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এসব ত্যাগ করলেই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে এটাই প্রমাণ হয় যে ঔষধ নির্বাচন সঠিক আছে, রোগীর জীবনীশক্তি ঠিক আছে।
অনেক সময় চিররোগের ক্ষেত্রে রোগ না সারার পিঁছনে কোন ধাতুগত কারণ লুকিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে কোন আন্টি-মায়াজমটিক ঔষধ প্রয়োগে বাধা দূর হয়ে স্থায়ী আরোগ্য হয়। আবার এমনও হতে পারে যে দেহের অভ্যান্তরে যন্ত্রাংশ খুব খারাপ অবস্থায় আছে বা ধ্বংস হয়ে গেছে। যা চিররোগের ক্ষেত্রে হয়, সে ক্ষেত্রে ফলাফল অস্থায়ী হতে পারে।
অচির রোগের ক্ষেত্রে ঔষধ পুনঃ পুনঃ প্রয়োগ করা উচিত, তাতে প্রতিবারেই অল্প সময়ের জন্য হলেও উপশম দেখা দিবে, শেষ পর্যন্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে।

৭। রোগ লক্ষণগুলি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছে তবুও রোগী পূর্ণভাবে সুস্থতা অনুভব করছে না।

ব্যাখ্যা : হোমিওপ্যাথি মতে ঔষধ প্রয়োগের পর রোগ লক্ষণগুলি বিলুপ্তি হওয়ার সাথে সাথে মন ভালো হবে, শরীরে জোর পাবে, মন ও শরীর তাজা হবে, ক্ষুধা, ঘুম হজম, মল, মুত্র ত্যাগ স্বাভাবিক হবে, স্বাছন্দবোধ করবে। কিন্তু এর ব্যাতিক্রম হলে বুঝবেন রোগী সুস্থ হয়নি।
রোগী ও পূর্ণ সুস্থতা ফিরেও আসছে না; কারণ দেহ অভ্যন্তরে এমন কিছুর অভাব আছে বা দেহের যন্ত্রাংশের এমন কিছু স্থায়ী ক্ষতি হয়ে গেছে যে , রোগীকে খানিকটা সুস্থ করলেও পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে পারছে না।
যদিও ঔষধ নির্বাচন সঠিক হয়েছে, যথেষ্ঠ সময় নিয়ে কাজ করছে, রোগ লক্ষণ দুর হয়েছে, তবুও রোগী পূর্ণ না হয়ে আংশিক সুস্থ হচ্ছে।
বুঝতে হবে এ রোগটি সম্পূর্ণ সুস্থ হবে না বা হবার নয়।

৮। এমন কিছু কিছু রোগী আছে যারা প্রত্যেকটি ঔষধ সেবন করে প্রুভারের মতো আচরণ করে।

ব্যাখ্যা : এইসব রোগীরা অল্পতেই এমনই উত্তেজিত যে, যে কোন বাহিরের বস্তুতে সে অদ্ভুত উত্তেজিত হয়, ঠিক তড়কা রোগীর মতো। যে কোন কারণেই হোক এদের স্নায়ুতন্ত্র ভীষণভাবে উত্তেজিত হয়। এদের শরীর হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রুভিংয়ের জন্য বেশ উপুযুক্ত। বিশেষ করে উচ্চতর শক্তি প্রয়োগ করলে এদের শরীরে ঔষধের লক্ষণাবলী পরিস্কারভাবে ফুটে উঠে।

এসব ক্ষেত্রে তরুণ রোগ সারাতে কোন অসুবিধা হয় না। কিন্তু চির রোগে উচ্চতর শক্তির ঔষধ প্রয়োগ করলে এই ধরণের রোগীরা অদ্ভুত আচরণ করে। তবে ৩০, ২০০ শক্তিতে স্বাভাবিক আচরণ করে।
মন্তব্য : এসব রোগীরা দুরারোগ্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সারার অযোগ্য।

৯। প্রুভারদের উপর হোমিও ঔষধের কার্যাবলী ।

ব্যাখ্যা : সুস্থ প্রুভারদের দ্বারা সঠিক পদ্ধতিতে নিখুঁত ও সম্পূর্ণভাবে প্রুভিং হওয়া উচিৎ। কারণ তা থেকেই নিখুঁত মেটিরিয়া মেডিকা তৈরী হবে। তাতে প্রুভাররা উপকৃত হন। প্রুভারদের ধাতুগত বৈচিত্র ভালো ভাবে লক্ষ্য করে লিখে রাখা উচিত। কারণ প্রুভিংয়ের পর কোন পরিবর্তন হলে তা প্রুভিংকৃত ঔষধের লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হবে এবং ঔষধের লক্ষণাবলী স্পষ্ট হবে। অর্গাননে নিদৃষ্ট করা আছে কিভাবে প্রুভিং হওয়া উচিত।

১০। ঔষধ প্রয়োগের পর নতুন নতুন লক্ষণাবলী দেখা দেয়।

ব্যাখ্যা : যদি দেখা যায় ঔষধ প্রয়োগের পর প্রচুর পরিমানে নতুন নতুন লক্ষণ বার বার ফিরে আসছে আবার চলেও যাচ্ছে কিন্তু রোগীর চিহিৃত নিদৃষ্ট লক্ষণাবলী যাচ্ছে না বা সারছে না তা হলে বুঝবেন ঔষধ নির্বাচন সঠিক হয়নি।
হয়তো এটা ঠিক যে এগুলো রোগীর নতুন লক্ষণ নয়। এগুলি পুরানো লক্ষণ, যা রোগীর স্বরণে ছিলো না।
এসব ঘটনা প্রমান করে ঔষধ নির্বাচন সঠিক হয়নি। নতুন করে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে ঔষধ নির্বাচন করতে হবে।

১১। ঔষধ প্রয়োগের পর রোগীর পুরানো লক্ষণাবলী একের পর এক ফিরে আসছে।

ব্যাখ্যা : যদি দেখা যায় পুরানো লক্ষণাবলী একের পর ফিরে আসছে, কিছুদিন পর চলেও যাচ্ছে এবং ক্রমশ সুস্থবোধ করছে, তাহলে বুঝবেন রোগী সারার পথে
আছে। এক্ষেত্রে ঔষধ পুনঃ প্রয়োগ প্রয়োজন নাই। লক্ষণাবলীর এই আসা-যাওয়া বহুদিন চলতে পারে, মাসের অধিক কাল চলতে পারে। লক্ষ্য করতে হবে লক্ষণগুলি দেহের অভ্যন্তর হতে বাহির দিকে, উপর থেকে নীচের দিকে, দেহের বেশি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের দিকে যাচ্ছে কি না ?
যদি দেখা যায় পুরানো কোন লক্ষণ এসে চলে না গিয়ে থেকে গেল তাহলে ঔষধটি পুনঃ প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে বা নতুন কোন ঔষধ নির্বাচনের প্রয়োজন হতে পারে।

১২। ঔষধ প্রয়োগের পর থেকে রোগ লক্ষণাবলী উল্টো পথে চলছে।

ব্যাখ্যা : রোগ সারার নিদৃষ্ট নিয়ম আছে। যথা :
(ক) রোগীর রোগ লক্ষণসমূহ উপর থেকে নীচ অর্থাৎ মাথা থেকে পায়ের দিকে যাবে।
(খ) দেহের অভ্যন্তর হতে বাহির দিকে যাবে।
(গ) দেহের বেশি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ থেকে কম গুরুত্ব অঙ্গের দিকে যাবে।
কিন্তু যদি দেখা যায় রোগ লক্ষনগুলি এই নিয়মের উল্টোপথে চলছে তাহলে বুঝতে হবে রোগটি সারার পথে নাই। এবং ক্রমশই রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যথা - চর্মরোগ ভালো হয়ে হাঁপানী দেখা দিলো বা বাতের অসুখ ভালো হয়ে হার্টের অসুখ দেখা দিলো। এই লক্ষণ মোটেও ভালো নয়। দ্রুত এই অবস্থাকে প্রতিষেধক করতে হবে। এই ভাবে রোগ লক্ষণ উল্টো পথে প্রসারিত হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে

21/01/2021
Maintain, be healthy & happy life...
09/10/2020

Maintain, be healthy & happy life...

07/10/2020
07/10/2020
16/07/2020

Address

Narsingdi
1600

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when জয় হোমিও হল, নরসিংদী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category