Dr. Nasimul Nayem

Dr. Nasimul  Nayem এমবিবিএস ডাক্তার। চেম্বার: ইসলামীয়া ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মোরেলগঞ্জ বাগেরহাট, খুলনা।

বাংলাদেশে  অপব্যবহার  হওয়া ঔষধ এর মধ্যে অন্যতম হল ভিটামিন ট্যাবলেট।খাবারের রুচি কমে গেলেই দোকানে  গিয়ে ভিটামিন ট্যাবলেট ...
01/05/2025

বাংলাদেশে অপব্যবহার হওয়া ঔষধ এর মধ্যে অন্যতম হল ভিটামিন ট্যাবলেট।

খাবারের রুচি কমে গেলেই দোকানে গিয়ে ভিটামিন ট্যাবলেট কিনে আনে অনেকেই। শুধু ভিটামিন এর অভাবের কারনেই রুচি কমে যায় না বা শরীর দূর্বল হয় না। অনেক রোগ আছে, যেই রোগে শরীর দূর্বল হতে পারে বা খাবারের প্রতি রুচি কমে যেতে পারে।

তাই, এই রকমের সমস্যা দেখা দিলে একজন এম.বি.বি.এস. ডাক্তার এর পরামর্শ নিবেন।


14/04/2025

বাচ্চার কষা পায়খানা তে দুশ্চিন্তা না করে জেনে নিন কেন বাচ্চার পায়খানা কষা হয় এবং এর থেকে প্রতিকারের উপায় কি
#বাচ্চারকষাপায়খানা, #অনিয়মিতপায়খানা

25/03/2025

হার্ট অ্যাটাক : অল্প বয়স, বেশি বয়স এবং অন্যান্য!!

আগে ভাবা হতো যে নরমালি হার্টের রোগ বয়স্ক মানুষদের হয়। বিশেষ করে ৫০ বছরের উপরের বয়সের মানুষদের। কিন্তু এখন মাঝে মাঝেই দেখা যায় ৪০ বছরের নিচেও হার্টের রোগ হচ্ছে। আবার অনেক অ্যাথলেট এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অল্প বয়সে। স্বাভাবিকভাবে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন আসে যে অ্যাথলেটরা অনেক নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করে বা ব্যায়াম করে তাহলে তাদের কেন অল্প বয়সে হার্ট ডিজিজ হচ্ছে। এর পেছনে কিছু কারণ আছে আজকে সেগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করব

****বেশি বয়সে হার্ট এর রোগ হওয়ার রিস্ক ফ্যাক্টর

১.বয়স
২.হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ
৩.ডায়াবেটিস
৪.রক্তের চর্বি বেড়ে যাওয়া
৫.সিডেন্টারি লাইফ স্টাইল বা শারীরিক পরিশ্রম না করা
৬.অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া
৭.কিডনির এক ধরনের রোগ যেটাকে ক্রনিক কিডনির ডিজিজ বলে
৮.মদ্যপান করা
৯.ধূমপান করা
১০.পরিবারের অন্য কারো হার্টের রোগ থাকা
১১.অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।

***অল্প বয়সে হার্টের রোগের রিস্ক ফ্যাক্টর

উপরে যেগুলো বলেছি সেগুলোর পাশাপাশি নিচেরর কিছু

১.এক ধরনের জেনেটিক সমস্যা familial hypercholesterolemia
২.অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা জাঙ্ক ফুড বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া
৩.মাদক সেবন
৪.সময়মতো না ঘুমানো বা পরিমিত ঘুমের অভাব।

***বয়স বেশি হওয়ার সাথে সাথে হার্ট এটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কেন ?

যখন বয়স বাড়তে থাকে তখন রক্তের নালীতে চর্বি জমা হয় এবং কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কিছু মেকানিজমের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ব্লক তৈরি হয়।

হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট এর বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকার জন্য কি করা প্রয়োজন ?

প্রথমত সকলের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে

• শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম অথবা অন্তত প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাটাহাটি করতে হবে
• খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। তেল চর্বি জাতীয় খাবার বা ভাজা পোড়া, জাঙ্ক ফুড বা অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণ থেকে দূরে থাকতে হবে
• যেকোনো ধরনের নেশা থেকে দূরে থাকতে হবে
• নির্দিষ্ট একটা বয়সের পরে বিশেষ করে ৪০ বছর বয়সের বেশি হলে প্রতিবছর অন্তত ব্লাড প্রেসার মেপে দেখা, রক্তের গ্লুকোজ পরিমাপ করা এবং রক্তের চর্বি পরীক্ষা করে দেখতে হবে
• দুশ্চিন্তা কম করতে হবে এবং সঠিক সময় মত ও পরিমান মত ঘুমাতে হবে।

প্রতিবছর কিছু রুটিন পরীক্ষা করে দেখা উচিত

৪০ বছরের বেশি হলে প্রতিবছর অন্তত একবার

• রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার
• ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগার
• রক্তের চর্বি (রক্তের কোলেস্টেরল দেখা )
• বুকের ecg।

কোন কোন লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া উচিত ?

• বুকে বিশেষ করে বাম দিকে চাপ অনুভব করা বা ব্যথা অনুভব করা
• অতিরিক্ত বুক ধুক ধুক করা
• অল্প একটু হাঁটলে বা কাজ করলে শ্বাসকষ্ট হওয়া অথবা ক্লান্ত হয়ে যাওয়া
• বুকের ব্যথা বাম হাতের দিকে অথবা চোয়ালের দিকে ছড়িয়ে পড়া।

উপদেশ

যেহেতু এখন অল্প বয়সেই অনেক মানুষের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে, তাই এই বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন । স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর জীবন যাপন করুন। সচেতন থাকুন।উপরের কোন সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

Dr.Nasimul Nayem
MBBS
GENERAL PHYSICIAN

19/03/2025

বেশিরভাগ দাউদ ভালো হতে চায় না শুরুতে অপচিকিৎসার কারণে । তাই অপচিকিৎসা না করে শুরুতেই একজন এমবিবিএস ডাক্তারের চিকিৎসা নিন দাউদ থেকে রোগ মুক্তি লাভ করুন।

16/03/2025

কথায় কথায় গ্যাস এর ঔষধ খেয়ে নিজের ক্ষতি করছেন না তো?

15/03/2025

স্ক্যাবিস এ আক্রান্ত হলে সময়মত একজন এম বি বি এস ডাক্তার এর চিকিৎসা নিন এবং নিয়ম মেনে চলুন। সুস্থ হয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ।

মানুষের চিকিৎসা দেয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ, এটা ব্রেনের কাজ। চিকিৎসা দেয়া কখনোই সহজ কাজ নয়। যেমনঃবমি হলে বমির ঔষধব্যথা হলে ব্...
07/03/2025

মানুষের চিকিৎসা দেয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ, এটা ব্রেনের কাজ। চিকিৎসা দেয়া কখনোই সহজ কাজ নয়। যেমনঃ
বমি হলে বমির ঔষধ
ব্যথা হলে ব্যথার ঔষধ ইত্যাদি।

এই বমি বা ব্যথার ঔষধ আবার অনেক আছে। একেক রোগীর জন্য একেকটা। রোগী সিলেকশনে ভুল হলে বা রোগীর জন্য ভুল ঔষধ সিলেকশন হলে রোগীর ক্ষতি হবে।

একজন রোগীর কেস হিস্ট্রি শেয়ার করছি। উনি আমার পুরাতন রোগী, উনারা ডায়াবেটিস, হাইপ্রেসার আছে এবং ২ বছর আগে স্ট্রোক করেছিলেন।
এবার ফলোআপ এ আসছেন রোজায় কিভাবে ঔষধ খাবেন সেটার জন্য।

সাথে উনার দাঁতের সমস্যা, দাঁতের ডাক্তার দেখিয়েছেন, উনার পরামর্শে কিছু ঔষধ খাচ্ছেন, সেগুলো দেখাবেন। আমি দাঁতের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন চাইলাম। দেখে অবাক হলাম
১) এই রোগীকে ব্যথা কমানোর জন্য etoricoxib দেয়া হয়েছে। স্ট্রোক ও হার্টের রোগীদের এই ঔষধ দেয়া যাবে না। দিলে রোগীর হার্ট এট্যাক ও স্ট্রোক এর ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

২) দাঁতের চিকিৎসক হিসেবে যাকে দেখানো হয়েছে উনি BDS করা ডেন্টিস্ট নন। উনার দন্ত চিকিৎসার কোন শিক্ষা নেই।

যাহোক, আমি রোগীকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কেন উনাকে দেখাচ্ছেন। উনি বললেন- উনাকে দেখলে টাকা কম লাগে তাই দেখাই। শুধু আমি না, আমরা সবাই দেখাই।

আমি সব সময় বলি কম টাকায় কখনো ভালো জিনিস পাওয়া যায় না। সস্তায় বা ফ্রি চিকিৎসা কখনোই ভালো হবে না। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ঠিক করতে হলে
১) চিকিৎসা ফ্রি দেয়া হয় বা নামমাত্র মূল্য দিয়ে চিকিৎসা হয় এটা বন্ধ করতে হবে।
২) মেডিকেল ইন্সুরেন্স চালু করতে হবে, সবাইকে ইন্সুরেন্স এর আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
৩) মেডিকেল শিক্ষা বা কারা ডাক্তার হতে পারবে তার ক্রাইটেরিয়া পরিবর্তন করতে হবে। সারা পৃথিবীতে যেভাবে বা যে ক্রাইটেরিয়া পূরণ করলে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারে তা করতে হবে।
৩) বাংলাদেশে কারা ডাক্তার তা নিদিষ্ট করতে হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য যারা ডাক্তার সেজে মানুষের অপচিকিৎসা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

Collected from Dr.Ratin Mondal

07/03/2025

কিছু কিছু যায়গাতে স্ক্যাবিস এবং দাউদ মহামারির মত হয়ে গেছে। এখানে চুলকায়, যেখানে সেখানে চুলকায়। সমস্যা হল অনেক মানুষ এই চুলকানিকে নরমাল এলার্জি মনে করে শুধু চুলকানির ঔষধ খাচ্ছে, কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। কারন নরমাল এলার্জি জনিত চুলকানি না এইটা। তাই সকল চুলকানিকে এলার্জি না ভেবে একজন এম বি বি এস ডাক্তার এর চিকিৎসা নিন।

ডাক্তার নাসিমুল ইসলাম
এম বি বি এস
জেনারেল ফিজিশিয়ান

ডায়াবেটিস: বংশগত প্রবণতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?অনেক রুগী এসে বলে যে তাদের বাবা বা মা এর ডায়াবেটিস আছে, বাবা, মা এর ডায়াবেটি...
19/02/2025

ডায়াবেটিস: বংশগত প্রবণতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

অনেক রুগী এসে বলে যে তাদের বাবা বা মা এর ডায়াবেটিস আছে, বাবা, মা এর ডায়াবেটিস থাকলে সন্তানের ডায়াবেটিস হওয়ার রিস্ক কতটুকু?

ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে জিনগত (genetic) কারণ একটি বড় ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিস-এর ক্ষেত্রে বংশগত প্রবণতা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়।

➡ পরিবারের কোনো সদস্যের ডায়াবেটিস থাকলে ঝুঁকি কতটা বেড়ে যায়?
✔ যদি অভিভাবকদের মাঝে যেকোনো একজন (বাবা বা মা) টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তাহলে আপনার ঝুঁকি প্রায় ৪০%।
✔ যদি বাবা এবং মা দুইজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তাহলে ঝুঁকি বেড়ে ৭০-৮০% পর্যন্ত হতে পারে!

➡ কেন বংশগতভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে?
বেশ কিছু নির্দিষ্ট জিন শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা তৈরি করে।

➡ তবে কেবল জিন নয়, জীবন যাত্রার মান ও গুরুত্বপূর্ণ!
আপনার যদি বংশগত ঝুঁকি থাকে, তবে কিছু সতর্কতা নিয়ে সহজেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব:
✅ স্বাস্থ্যকর খাবার খান (কম শর্করা, বেশি প্রোটিন ও ফাইবার)।
✅ প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।
✅ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
✅ পরিমিত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
✅ নিয়মিত রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করুন।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকলেও সুস্থ জীবনযাত্রার মাধ্যমে এটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব! তাই এখন থেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

আপনার পরিবারের কারও ডায়াবেটিস আছে? আপনি কীভাবে সচেতন থাকছেন? কমেন্টে জানান!

18/02/2025

অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার কুফল: যা জানা প্রয়োজন!

আমাদের দেশে অনেকেই সামান্য পেটে গ্যাস হলেই ওষুধ খেতে শুরু করেন। তবে জানেন কি, নিয়মিত ও অপ্রয়োজনীয়ভাবে গ্যাসের ওষুধ (যেমন: অ্যান্টাসিড, প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর বা PPI) সেবনের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আসুন বিস্তারিত জেনে নেই।

---

১. পেটের স্বাভাবিক অ্যাসিড কমিয়ে ফেলে

গ্যাসের ওষুধ, বিশেষ করে PPI (যেমন Omeprazole, Esomeprazole, Pantoprazole) দীর্ঘদিন খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায়। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হতে সমস্যা হয় এবং পেটে ফোলাভাব ও বদহজম দেখা দিতে পারে।

২. পুষ্টির অভাব সৃষ্টি করে

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দীর্ঘদিন খেলে শরীরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের অভাব দেখা দিতে পারে, যেমন:

ভিটামিন B12: অভাবে ক্লান্তি, দুর্বলতা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম: দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ খেলে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

৩. কিডনির ক্ষতি করতে পারে

PPI গ্রুপের ওষুধ বেশি দিন খেলে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কারণ, এই ওষুধগুলো কিডনির ফিল্টারেশন ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

৪. ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়

পাকস্থলীর অ্যাসিড আমাদের দেহের জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বেশি ওষুধ খেলে অ্যাসিড কমে গিয়ে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া (যেমন: Clostridium difficile) সহজেই আক্রমণ করতে পারে, যার ফলে ডায়রিয়া বা অন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে।

তাহলে করণীয় কী?

✅ ওষুধের পরিবর্তে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন – ভাজাপোড়া, ঝাল ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার কম খান।
✅ নিয়মিত ব্যায়াম করুন – হজম ক্ষমতা বাড়বে এবং গ্যাস কমবে।
✅ সঠিক নিয়মে ওষুধ নিন – ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

শেষ কথা

গ্যাসের ওষুধ কখনোই দীর্ঘমেয়াদে গ্রহণ করা উচিত নয়। সাময়িক আরামের জন্য নিয়মিত এই ওষুধ খাওয়া ভবিষ্যতে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সুষম খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ দিন।

আপনি কি দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ খান? কমেন্টে আপনার অভিজ্ঞতা জানান!

#গ্যাস্ট্রিক #স্বাস্থ্য #ওষুধেরকুফল #পেটেরসমস্যা #প্রাকৃতিকচিকিৎসা

16/02/2025

কেন তাড়াতাড়ি ঘুমানো ও তাড়াতাড়ি উঠা গুরুত্বপূর্ণ?—বিজ্ঞান ও বায়োকেমিস্ট্রির ব্যাখ্যা

মানুষের ঘুমের সময় ও গুণমানের ওপর সরাসরি নির্ভর করে তার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। দেরি করে ঘুমানো এবং সকালে দেরি করে উঠার ফলে শরীরের বিভিন্ন হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্লান্তি, অবসাদ ও রোগপ্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।

১. সার্কেডিয়ান রিদম ও মেলাটোনিন হরমোন

আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি, সার্কাডিয়ান রিদম, প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলে। সন্ধ্যা নামার পর পিনিয়াল গ্রন্থি (Pineal Gland) থেকে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে।

🔹 রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে মেলাটোনিনের নিঃসরণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। এই সময়ে ঘুমাতে গেলে গভীর ও রিফ্রেশিং ঘুম হয়।
🔹 দেরি করে ঘুমালে মেলাটোনিনের নিঃসরণ কমে যায়, ফলে ঘুমের মান খারাপ হয় এবং সকালে ক্লান্তিভাব অনুভূত হয়।

২. কর্টিসল ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

সকাল বেলা কর্টিসল (Cortisol) নামক হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়, যা শরীরকে সক্রিয় ও সজাগ রাখে।
✅ ভোরে উঠলে কর্টিসল নিঃসরণ স্বাভাবিক থাকে, ফলে সকালেই এনার্জি বেড়ে যায়।
❌ সকালে দেরি করে উঠলে কর্টিসল নিঃসরণে ব্যাঘাত ঘটে, যার ফলে সারাদিন অলসতা ও স্ট্রেস বেড়ে যায়।

৩. গ্রোথ হরমোন ও শরীরের পুনর্গঠন

✅ রাতের প্রথম দিকে (সাধারণত রাত ১০টা থেকে ২টার মধ্যে) পিটুইটারি গ্রন্থি (Pituitary Gland) থেকে গ্রোথ হরমোন (Growth Hormone) নিঃসৃত হয়, যা টিস্যু পুনর্গঠন, পেশির বিকাশ এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
❌ দেরি করে ঘুমালে এই হরমোনের নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে ওজন বেড়ে যায় এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা কমে যায়।

৪. ঘুম ও মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার

তাড়াতাড়ি ঘুমালে সেরোটোনিন (Serotonin) ও ডোপামিন (Dopamine) হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে, যা ভালো মুড, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তির জন্য প্রয়োজনীয়।
❌ রাত জেগে থাকলে সেরোটোনিনের নিঃসরণ কমে এবং ডোপামিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যার ফলে উদ্বেগ, হতাশা ও মনোযোগের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

৫. মেটাবলিজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণ

✅ ভোরে উঠলে শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা (Insulin Sensitivity) ভালো থাকে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
❌ দেরি করে উঠলে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা (Insulin Resistance) বৃদ্ধি পায়, ফলে ওজন বেড়ে যায় এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

সংক্ষেপে, তাড়াতাড়ি ঘুমানোর ও ওঠার উপকারিতা:

✅ গভীর ও প্রশান্তিদায়ক ঘুম হয়
✅ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি ভালো হয়
✅ ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়
✅ স্ট্রেস কমে যায়, মুড ভালো থাকে
✅ শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়

শেষ কথা

তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং সকালে ওঠা কেবল অভ্যাস নয়, এটি আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই ঘুমের রুটিন বদলে আজ থেকেই সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবনযাপন শুরু করা উচিত!

16/02/2025

🛑 পান, জর্দা ও গুল—আপনার স্বাস্থ্যের জন্য নীরব ঘাতক! 🚫

আমাদের দেশে পান, জর্দা ও গুল খাওয়ার প্রচলন অনেক পুরোনো। অনেকেই মনে করেন, এগুলো তেমন ক্ষতিকর নয় বা ধূমপানের মতো ভয়ংকর নয়। কিন্তু গবেষণা বলছে, এগুলোও ধূমপানের মতোই ভয়ানক, বিশেষ করে মুখের ক্যানসার, দাঁতের ক্ষতি ও হৃদরোগের জন্য!

⚠ পান, জর্দা ও গুল খেলে কী কী ক্ষতি হয়?

1️⃣ মুখের ক্যানসার ও গাল, জিহ্বা ও ঠোঁটের ক্ষত

জর্দা ও গুলে থাকা নিকোটিন ও কেমিক্যাল দীর্ঘদিন ব্যবহারে মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

অনেক সময় মুখের ভেতরের টিস্যু শক্ত হয়ে যায়, মুখ ভালোভাবে খুলতে সমস্যা হয়।

2️⃣ দাঁতের সমস্যা

দাঁতে হলদে ও কালো দাগ পড়ে যায়।

দাঁতের ক্ষয় হয় ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে।

দীর্ঘমেয়াদে দাঁত পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

3️⃣ হজমের সমস্যা ও গ্যাস্ট্রিক

পান ও জর্দার কারণে এসিডিটি বেড়ে যায়।

দীর্ঘদিন গুল ব্যবহার করলে মুখের লালা উৎপাদন কমে গিয়ে খাওয়ার সমস্যা হতে পারে।

4️⃣ উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি

নিকোটিন রক্তনালী সংকুচিত করে, ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।

এতে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে।

5️⃣ নেশা সৃষ্টি করে ও ধীরে ধীরে আসক্তি বাড়ায়

নিকোটিন ধীরে ধীরে মস্তিষ্কে নেশার অনুভূতি তৈরি করে।

নিয়মিত খেতে থাকলে আসক্তি হয়, যা ছাড়া কঠিন হয়ে যায়।

✅ এখনই এই ক্ষতিকর অভ্যাস বাদ দিন!

🔹 ধীরে ধীরে এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন।
🔹 চুইংগাম বা স্বাস্থ্যকর খাবার খান, যাতে মুখ ব্যস্ত থাকে।
🔹 চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, প্রয়োজনে নেশা ছাড়ার সাহায্য নিন।

আপনার নিজের ও পরিবারের সুস্থতার জন্য আজই পান, জর্দা ও গুল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিন! ❤️

আপনি কি এই বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা বা মতামত শেয়ার করতে চান? কমেন্টে জানান! 📝

Address

Bonpara
Natore
6432

Telephone

+8801303473091

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Nasimul Nayem posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Nasimul Nayem:

Share

Category