24/08/2022                                                                            
                                    
                                                                            
                                            muscle spasms/ মাসেল স্পাজম/পেশির খিচুনি 
মাংসপেশিতে টান পড়া একটি অতি পরিচিত বিষয়। ডাক্তারী ভাষায় এটি 'মাসল পুল','স্ট্রেইন', 'মাসল স্পাজম', 'ক্র্যাম্প' ইত্যাদি নামে পরিচিত। তবে লোকমুখে এটি পরিচিত রগে টান পড়া বা খিল ধরা হিসেবে। 
মাসল স্পাজম খুবই সাধারণ ব্যাপার এবং শরীরের যেকোনো পেশি এতে আক্রান্ত হতে পারে। মাসল স্পাজম সাধারণত ঊরু, পা, হাত, বাহু, তলপেট এবং কখনো কখনো বুকের অস্থি বরাবর হয়ে থাকে। তবে কাঁধ, ঘাড়, পিঠের মাংসপেশিতে টান পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এতে শরীরের ওই অংশটিতে ভীষণ ব্যথা হয়। ল্যাকটিক অ্যাসিড নিঃসরণের জন্য জ্বালাপোড়া করে। এ কারণে মাংসপেশি নাড়াচাড়া করা যায়না।
মাসল স্পাজমে কেমন বোধ হয়ঃ
মাসল স্পাজমে আক্রান্ত ব্যক্তি পেশিতে হালকা থেকে প্রচ- টান অনুভব করে। এতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এ সময় আক্রান্ত এলাকা স্পর্শে স্বাভাবিকের চেয়ে কঠিন বোধ হয়। এ ছাড়া আক্রান্ত স্থানে মৃদু টান বা ঝাঁকি দেওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান হতে পারে। এটি কয়েক সেকেন্ড থেকে ১৫ মিনিট এমনকি বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
কারা মাসল স্পাজমে আক্রান্ত হয়?
যেকোনো সময় যে কেউ মাসল স্পাজমে আক্রান্ত হতে পারে। বৃদ্ধ, তরুণ কেউই এর বাইরে নয়। শিশু ও বৃদ্ধ (৬৫ বছর বয়সী), অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন এমন ব্যক্তি এবং অসুস্থরা বেশি মাসল স্পাজমে আক্রান্ত হন।
মাসল স্পাজমের কারণ
শারীরিক কার্যকলাপের আগে যথেষ্ট ওয়ার্মআপ না করা। পেশিতে অবসাদ। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ব্যায়াম। পানিশূন্যতা।
পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা।
চিকিৎসা
মাসল স্পাজম অর্থাৎ ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফ দিলে আরাম পাওয়া যায়। বরফ টুকরো কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে ১০ মিনিট দিয়ে আবার বিরতি দিয়ে ১০ মিনিট ধরে রাখতে হবে। এভাবে তিন থেকে চার ঘণ্টা পরপর বরফ দিতে হবে।
মাসল স্টেচিং করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে ডাক্তার ও ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন।
ডাক্তার দেখিয়ে ব্যথার ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে মাসল স্পাজমের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হলো ফিজিওথেরাপি। ব্যথা বেশি হলে সঙ্গে সঙ্গেই একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক  দেখান দ্রুত ভালো হয়ে যাবেন।    
ডাবের পানি,বিভিন্ন স্পোর্টস ড্রিংকস,ফ্রূট জুস, মিনারেল এইগুলা সাধারণত মাসেল স্পাজমের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে থাকে
ডাঃ আশফাকুর রহমান আশিক (পিটি)
ফিজিওথেরাপিস্ট ও ইনচার্জ 
নাটোর ফিজিও কেয়ার 
সি সি লি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের পাশে (শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন) বলারী পাড়া,নাটোর
যোগাযোগঃ০১৬৩৭০১৩৩৮০