https://www.facebook.com/416347774906026/

SuperMom Monalisa, Natore (2025)

07/12/2025

গর্ভকালীন সময়ে মায়ের সবচেয়ে বড় চিন্তা— বাচ্চাটা ঠিকমতো বাড়ছে তো? আসলে কিছু লক্ষণ দেখে প্রাথমিকভাবে আন্দাজ করা যায়, তবে সঠিক নিশ্চয়তা দিতে পারে শুধু চিকিৎসকের স্ক্যান ও চেকআপ। তবুও সচেতন থাকা জরুরি।

যে লক্ষণগুলো লক্ষ্য করবেন—

✅ মায়ের ওজন ধীরে ধীরে বাড়ছে
প্রতি মাসে সামান্য ওজন বাড়া স্বাভাবিক। হঠাৎ বেশি বা কম হলে ডাক্তারকে জানান।

✅ বেবি মুভমেন্ট নিয়মিত হওয়া
৫–৬ মাসের পর বাচ্চার নড়াচড়া ভালোভাবে টের পাওয়া যায়। নড়াচড়া হঠাৎ কমে গেলে অবহেলা করবেন না।

✅ পেটের আকার ঠিকমতো বাড়ছে
গর্ভের সপ্তাহ অনুযায়ী পেটের সাইজ বাড়ে। হঠাৎ বাড়া/কম বাড়া সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।

✅ মায়ের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ভালো থাকা
অতিরিক্ত দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়া, বা উচ্চ রক্তচাপ—এসব থাকলে শিশুর গ্রোথেও প্রভাব পড়ে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—

🔍 আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্ট ও ডাক্তারের গ্রোথ মনিটরিংই আসল প্রমাণ।
ডাক্তারই বলতে পারবেন শিশুর ওজন, পানি, প্লাসেন্টা ও বৃদ্ধি স্বাভাবিক আছে কিনা।

নিজের শরীরের পরিবর্তনগুলোকে গুরুত্ব দিন। যেকোনো অস্বাভাবিকতা অনুভব করলে দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। সুস্থ মা মানেই সুস্থ বাচ্চা। 💛

#গর্ভকালীন_পরামর্শ

06/12/2025

❄️ শীতকালে গর্ভবতী মায়েদের কিছু সাধারণ ভুল বা অসতর্কতা গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। শীতের সময় সংক্রমণ—বিশেষ করে সর্দি, কাশি ও ফ্লু—বেশি ছড়ায়, আর গর্ভাবস্থায় মায়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমে যায়। যদি মা ঠাণ্ডা পরিবেশে বেশি সময় থাকেন, পর্যাপ্ত উষ্ণতা না নেন, বা সংক্রমিত মানুষের সংস্পর্শে আসেন, তাহলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এই সংক্রমণ বা জ্বর গর্ভস্থ শিশুর ওপর পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত যদি তা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা শ্বাস-কষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়।

এছাড়া শীতকালে পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পাওয়া, সঠিক ভিটামিন-D বা পুষ্টির অভাব, কম পানি পান করা ইত্যাদি সমস্যা গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি ও হাড়-দাঁতের বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভবতী মা যদি অসম্পূর্ণ খাবার খান, খেতে অনীহা থাকে বা ঠাণ্ডার কারণে কম খাওয়া-দাওয়া করেন, তাহলে শিশুর ওজন কম হওয়া, দুর্বলতা বা পুষ্টিহীনতার সম্ভাবনা বাড়ে। আবার শীতে ঘরবন্দী থাকার ফলে ভেন্টিলেশন কম থাকে—যা বাতাসে জীবাণুর উপস্থিতি বাড়িয়ে মাকে সহজেই অসুস্থ করতে পারে।

তবে এই ঝুঁকিগুলো প্রতিরোধ করা খুব সহজ—শুধু কিছু সচেতনতা ও সঠিক যত্নই যথেষ্ট। তাই এই মৌসুমে একটু বেশি সচেতন থাকা জরুরি। নিচে শীতকালে গর্ভবতী মায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু যত্নের বিষয় তুলে ধরা হলো—

✅ ১. উষ্ণ কাপড় পরে থাকুন

শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখা খুবই জরুরি।

নরম, আরামদায়ক উষ্ণ পোশাক ব্যবহার করুন

মাথা, কান ও পা ঢেকে রাখুন

খুব ভারী বা আঁটসাঁট পোশাক পরবেন না

✅ ২. ত্বকের যত্ন নিন

শীতে ত্বক খুব দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়।

প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন

লিপ বাম ব্যবহার করে ঠোঁট ফাটার সমস্যা কমান

খুব গরম পানি দিয়ে গোসল না করে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন

✅ ৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

ঠান্ডায় পানি কম খাওয়া হয়, কিন্তু শরীরের পানির চাহিদা একই থাকে।

দিনে অন্তত ৬–৮ গ্লাস পানি পান করুন

ফলের রস বা স্যুপ খেতে পারেন

✅ ৪. পুষ্টিকর খাবার খান

গর্ভাবস্থায় শরীরের শক্তি বেশি লাগে, তাই খাবারে বিশেষ যত্ন দরকার।

শাকসবজি, ডাল, ডিম, মাংস, দুধ ও ফল খান

নিয়মিত গরম স্যুপ, খিচুড়ি, হালকা ভাত–ডাল খেতে পারেন

জাঙ্ক ফুড ও বেশি ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন

✅ ৫. হালকা ব্যায়াম করুন

শরীর সচল রাখতে হালকা হাঁটা বা গর্ভবতীদের উপযোগী ব্যায়াম করতে পারেন।

রোদে হালকা হাঁটা শরীরের জন্য খুব ভালো

ব্যায়ামের আগে–পরে পানি পান করুন

কোন ব্যায়াম আপনার জন্য উপযোগী তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলো করুন

✅ ৬. রোদে বসুন (Vitamin D)

শীতকালে রোদ কম থাকে, তাই সুযোগ পেলেই কিছুক্ষণ রোদে বসুন।
এটি হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

✅ ৭. ঘরকে পরিষ্কার ও বাতাস চলাচলযোগ্য রাখুন

প্রতিদিন কিছুক্ষণ জানালা খুলে বাতাস চলাচলের সুযোগ করুন

ঘর অতিরিক্ত ঠান্ডা না রেখে আরামদায়ক উষ্ণ রাখুন

✅ ৮. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন

শীতকালে ক্লান্তি বেশি অনুভূত হতে পারে।

নিয়মিত ঘুমান

দুপুরে অল্প বিশ্রাম নিন

শীতের সময় একটু বাড়তি যত্ন নিলে মা ও বাচ্চা দুজনই সুস্থ থাকবে। গর্ভকালীন যেকোনো পরিবর্তন বা অস্বস্তি হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

04/12/2025

গর্ভের পানি বেড়ে যাওয়া : কারণ, লক্ষণ ও করণীয়:
গর্ভে বাচ্চার চারপাশে থাকা পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে পলিহাইড্রামনিওস বলা হয়।
এটি সাধারণত আল্ট্রাসাউন্ডে ধরা পড়ে এবং সময়মতো খেয়াল রাখলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

✅ কেন হয়? (Possible Causes)

মায়ের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস

বাচ্চার জন্মগত সমস্যা (যেমন: পানি গিলতে না পারা)

যমজ প্রেগন্যান্সি

গর্ভের ভেতরে ইনফেকশন

অনেক সময় স্পষ্ট কোনো কারণ ছাড়াও হতে পারে

✅ লক্ষণ (Common Symptoms)

পেট দ্রুত ও অস্বাভাবিকভাবে বড় হওয়া

শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া

পেটে ভারী ভাব, টান বা চাপ

পা বা শরীরে ফোলা

আগে থেকে ব্যথা বা পেট শক্ত হওয়া

⚠️ ঝুঁকি (Possible Complications)

আগেভাগে প্রসব ব্যথা শুরু হওয়া (Preterm labor)

বেবির উল্টা বা ভুল অবস্থান

নাভির নাড়ির সমস্যা (Cord Prolapse)

প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ

✅ করণীয় (What to Do)

নিয়মিত আল্ট্রাসাউন্ড ও ডাক্তারের চেকআপ

ডায়াবেটিস থাকলে সুগার কন্ট্রোল

অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম কমানো

বাম কাতে শোয়া ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম

অস্বাভাবিক ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পানি কমে/বাড়ে মনে হলে বা বাচ্চার নড়াচড়া কমে গেলে দ্রুত হাসপাতালে যান

#গর্ভের_পানি #প্রেগনেন্সি #মায়ের_যত্ন

02/12/2025

মাত্র ২ বছর বয়স এতটুকু প্রাণ চলে গেল হিংস্র শেয়ালের থাবাই। আজ কিশোরগঞ্জে ছোট্ট হুমায়রাকে শিয়ালের থাবাই ঝোপের ভিতরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়—একটি পরিবার মুহূর্তেই অন্ধকারে ডুবে গেল।
যে হাতে পুতুল ধরার কথা ছিল, সেই হাত আজ আর নেই… যে চোখে হাসি ফুটতো, সেই চোখ আজ চিরতরে বন্ধ।

আমরা শুধু খবর শুনে কষ্ট পাই,
কিন্তু সেই বাবা-মায়ের বুক ভাঙা আওয়াজ—
তা ভাষায় লেখা যায় না… 💔

আজ বেশ কিছু জাতীয় গণমাধ্যমে একটা মর্মস্পর্শী সংবাদ প্রকাশিত হয়। হুমায়রা নামে মাত্র ২ বছর বয়সি এক শিশুকে বাড়ির উঠান থেকে শিয়াল ঝোপের দিকে টেনে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে পরবর্তীতে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের উত্তর রাজকুন্তী-পুঁথিপাড়া গ্রামে। রাতের দিকে শিশুটিকে তার চাচার বাড়ি থেকে তার নিজের বাড়িতে যাওয়ার পথে — উঠানের পাশের ঝোপে শিয়াল হামলা চালায়। প্রথমে কোনো কিছু বুঝতে না পারলেও, কিছুক্ষণ পর মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন শিশুটিকে খুঁজতে শুরু করলে ঝোপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। পুরো দেহে নখের আঁচড়, কামড়ের দাগ এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মাংসের অভাব ছিল।

শিশুটির বাবা, হুমায়ুন কবির, এলাকার একটি ব্যাটারি-চালিত অটোরিকশা চালাতেন। তিনি জানান, এশার আজানের পর তার মেয়ে চাচার বাড়িতে ছিল; পরে মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য ফিরে আসার সময় একা বের হয় — আর তারপর এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলছেন, পূর্বে ওই এলাকার বন–জঙ্গল ও কৃষিজমি থাকায় শিয়ালের খাদ্য ছিল। এখন বন–জঙ্গল কমে যাওয়ায়, যুগপৎ লোকালয়ে শিয়ালের আহার সংকটে বাড়তি উপদ্রব দেখা দিচ্ছে।

এই ঘটনা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দেয়—শিশুদের নিরাপত্তায় সামান্য অসতর্কতাও বড় বিপদ তৈরি করতে পারে।
যেসব এলাকায় ঝোপঝাড়, পরিত্যক্ত জমি বা বন্যপ্রাণীর চলাচল আছে, সেখানে শিশুদের কখনও একা চলাফেরা করতে দেওয়া উচিত নয়।

🙏 হুমায়রার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

02/12/2025

🌼 মর্নিং সিকনেসে কী খাবেন আর কী এড়াবেন?

গর্ভাবস্থার শুরুর দিকের বমিভাব, বমি ও অস্বস্তি—যাকে আমরা Morning Sickness বলি—এটা অনেক মায়েরই সাধারণ সমস্যা। সঠিক খাবার নির্বাচন করলে এই অস্বস্তি অনেকটাই কমানো যায়।

✅ যা খাবেন (Eat)

১. ছোট ছোট বিরতিতে অল্প করে খাবার

একবারে বেশি না খেয়ে সারাদিনে ৫–৬ বার অল্প অল্প করে খেলে বমিভাব কমে। এতে পেট খালি থাকে না এবং অ্যাসিড জমে না।

২. শুকনো খাবার যেমন—বিস্কুট, টোস্ট

ভোরে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথেই ১–২টি ড্রাই বিস্কুট বা টোস্ট খেলে সকালের বমিভাব অনেকটাই কমে।

৩. হালকা খাবার

খিচুড়ি, সুপ, লঘু খাবার এগুলো পেটে আরাম দেয়। ভারী, অতিরিক্ত মসলাদার খাবারের চেয়ে এগুলো হজমে সহজ।

৪. ভাত বা পাতলা রাইস স্যুপ

সাদা ভাত, রাইস স্যুপ বা পাতলা পান্তা—এসব পেটে আরাম আনে এবং বমিভাব কমায়।

৫. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

শরীর হাইড্রেটেড থাকলে বমিভাব কমে। অল্প অল্প করে পানি পান করুন। নারকেল পানি, ওআরএসও খেতে পারেন (ডাক্তারের পরামর্শে)।

---

❌ যা এড়াবেন (Avoid)

১. ঝাল, টক ও মসলাযুক্ত খাবার

ঝাল বা অতিরিক্ত মশলাদার খাবার অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে বমিভাব আরও বাড়াতে পারে।

২. তেল-চর্বিযুক্ত, ভাজা খাবার

বার্গার, পিজা, ভাজাপোড়া—এসব খাবার হজমে কঠিন এবং অস্বস্তি বাড়ায়।

৩. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার

যে খাবারে ফ্যাট বেশি, সেগুলো পেটে ভারি ভাব তৈরি করে বমিভাব বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪. পেট খালি রাখা যাবে না

দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়, যা মর্নিং সিকনেস আরও খারাপ করে।

৫. কফি, কোমল পানীয় ও ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়

ক্যাফেইন বমিভাব, অস্বস্তি এবং অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে। এসব এড়িয়ে চলাই ভালো।

মর্নিং সিকনেস গর্ভাবস্থার একটি সাধারণ ও সাময়িক সমস্যা। তবে আপনার অস্বস্তি যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায় বা পানি-খাবার কিছুই রাখতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

#গর্ভকালীন_পরামর্শ #মর্নিংসিকনেস

01/12/2025

হার্টের ব্যথা নাকি স্বাভাবিক ব্যথা কিভাবে বুঝবেন? হার্ট অ্যাটাক হলে কোথায় ব্যথা করে?
হার্টের ব্যথা (Chest Pain) অনেক সময় শরীর আমাদের আগে থেকেই সতর্ক করে। কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না কোন ব্যথা খারাপ, আর কোনটা সাধারণ গ্যাস বা পেশির ব্যথা। হার্টের ব্যথার লক্ষণগুলো ঠিকমতো জানলে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো যায়।

🔥 হার্টের ব্যথা সাধারণত কেমন হয়?
হার্টের ব্যথা সবসময় তীব্র নয়—অনেক সময় চাপ, ভারী অনুভূতি বা জ্বালাপোড়া হিসেবেও দেখা দেয়।
সাধারণত ব্যথা অনুভূত হয়—

বুকের মাঝখানে চেপে ধরা ব্যথা

বুকে ভারী লাগা বা পাথরের মতো চাপ

বুকের মধ্যে জ্বালাপোড়া (Acidity মনে হলেও আসলে হার্টের ব্যথা হতে পারে)

📍 হার্টের ব্যথা কোথায় ছড়ায়?

হার্টের ব্যথা শুধু বুকে থাকে না, শরীরের বিভিন্ন অংশেও ছড়িয়ে যেতে পারে—

বাম হাতে বা দুই হাতেই ছড়িয়ে পড়া

কাঁধে বা ঘাড়ে ব্যথা

চোয়ালে ব্যথা বা টান অনুভব

পিঠের মাঝখানে ভারী ব্যথা

বুকের ব্যথার সাথে ঘাম, বমি, মাথা ঘোরা

এসব লক্ষণগুলো একসাথে দেখা গেলে সতর্ক হওয়া জরুরি।

⚠️ হার্টের ব্যথার সাথে কোন কোন উপসর্গ থাকে?

শ্বাস নিতে কষ্ট
ঠান্ডা ঘাম
হঠাৎ ক্লান্ত লাগা
বমি ভাব
শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া
দ্রুত বা অনিয়মিত হার্টবিট
এগুলো হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক সিগনাল হতে পারে।

🏥 কখন হাসপাতালে যাবেন? (Emergency Signs)

নিচের যেকোনো একটি লক্ষণ থাকলেই দেরি না করে অবিলম্বে হাসপাতালে যান—

যদি বুকের ব্যথা ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়
ব্যথা বাম হাত, ঘাড় বা চোয়ালে ছড়ায়
শ্বাস নিতে কষ্ট ও ঠান্ডা ঘাম দেখা দেয়
মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মতো লাগে
বয়স ৪০-এর বেশি, ডায়াবেটিস/ব্লাড প্রেশার/কোলেস্টেরল আছে এমন হলে।
আগেও হার্টের সমস্যা থাকলে।

হার্টের ব্যথা কখনোই অবহেলা করার মতো নয়। দ্রুত চিকিৎসা নিলে প্রাণঘাতী অবস্থা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।

💡 যা করবেন (প্রাথমিকভাবে)

ব্যথা শুরু হলে বসে পড়ুন

বেশি নড়াচড়া করবেন না

গভীর শ্বাস নিন

ঘরের অন্যদের জানান

অ্যাসপিরিন (১টি 300mg) অনেক ক্ষেত্রে জীবন বাঁচাতে পারে—তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত খাবেন না

❤️‍🩹 হার্টের সুস্থতার জন্য করণীয়

নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম

কম লবণ ও কম তেল

ধূমপান সম্পূর্ণ বন্ধ

মানসিক চাপ কমানো

নিয়মিত চেকআপ (BP, Sugar, Lipid profile)

29/11/2025

পেটের কোন অংশে ব্যথা হলে কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে?
পেটের ব্যথা খুব সাধারণ একটি সমস্যা হলেও এর স্থান অনুযায়ী কারণ ভিন্ন হতে পারে। তাই ব্যথা কোন অংশে হচ্ছে, সেটি বুঝতে পারলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। নিচে সহজভাবে অঞ্চলভিত্তিক ব্যথার সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরা হলো—

🔴 উপরের পেটের ব্যথা:
গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি বা আলসারের লক্ষণ হতে পারে। এই অংশে খাবার হজমের সমস্যা বেশি দেখা যায়।

🟠 ডান ওপরের পেটের ব্যথা:
লিভার বা গলব্লাডারের সমস্যা—যেমন ফ্যাট লিভার, জন্ডিস বা গলস্টোনের ব্যথা।

🟢 বাম ওপরের পেট:
অগ্ন্যাশয় বা পাকস্থলীর সমস্যায় ব্যথা হতে পারে।

🔵 নাভির চারপাশে ব্যথা:
গ্যাস, অজীর্ণ বা হজমের সমস্যা থাকলে এ অংশে অস্বস্তি বেশি হয়।

🟣 ডান নিচের পেট:
এপেন্ডিসাইটিসের সম্ভাবনা থাকে। হঠাৎ তীব্র ব্যথা হলে অবহেলা করা ঠিক নয়।

🟤 বাম নিচের পেট:
কোলন বা বৃহদান্ত্রের সমস্যার কারণে ব্যথা হতে পারে।

🟩 মহিলাদের নিচের পেট:
ইউটেরাস, ওভারি বা পিরিয়ড–সংশ্লিষ্ট ব্যথা দেখা দিতে পারে।

🔶 ডান পাশের পেট:
কিডনিতে পাথর, ইনফেকশন বা ইউরিনারি সমস্যা।

🔷 বাম পাশের পেট:
কিডনি সমস্যা, গ্যাস বা ইনফ্ল্যামেশন—এগুলোর কারণে ব্যথা হতে পারে।

👉 যে কোনো পেটব্যথা দীর্ঘ সময় থাকে বা হঠাৎ তীব্র হয়, সঙ্গে বমি, জ্বর বা রক্তক্ষরণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

#পেটব্যথা #স্বাস্থ্যপরামর্শ #হেলথটিপস #গ্যাস্ট্রিক #কিডনি_সমস্যা #লিভারকেয়ার #হজমেরসমস্যা #বাংলা_স্বাস্থ্য

28/11/2025

"My little prince 💙"

27/11/2025

আমরা প্রায়শই একটি ভুল ধারণা পোষণ করি: যে বাচ্চাটি দেখতে গোলগাল, মোটাসোটা বা হৃষ্টপুষ্ট, সে-ই একমাত্র সুস্থ। সমাজ বা পরিবারে নতুন বাবা-মায়েদের প্রায়ই এই ধরনের মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয় — "আহা রে, বাচ্চাটা বড্ড রোগা!", "একটু মোটা হলে দেখতে ভালো লাগত, মনে হচ্ছে স্বাস্থ্য ভালো না"।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, শিশুর সুস্থতা কেবলমাত্র তার শারীরিক গঠনের উপর নির্ভর করে না। এই ধারণাটি কেবল ভুল নয়, বরং এটি শিশুর সুস্থ বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আসুন জেনে নিই কেন শুধুমাত্র ওজন বা চেহারা দিয়ে বাচ্চার সুস্থতা বিচার করা উচিত নয় এবং সুস্থতার আসল মানদণ্ড কী:

১. শারীরিক গঠন বংশগত হতে পারে
শিশুর শারীরিক গঠন অনেকটাই তার জিন বা বংশগতির উপর নির্ভর করে। বাবা-মা যদি রোগা হন, তবে স্বাভাবিকভাবেই তাদের সন্তানও রোগা হতে পারে। এটি অসুস্থতার লক্ষণ নয়, বরং প্রাকৃতিক গঠন। প্রত্যেকের শরীরের বিপাক ক্রিয়া (metabolism) ভিন্নভাবে কাজ করে।

২. ওজন বাড়ালেই সুস্থতা নিশ্চিত হয় না
অনেক সময় জোর করে বেশি খাইয়ে বাচ্চার ওজন বাড়ানো হয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন শৈশব স্থূলতার (childhood obesity) ঝুঁকি বাড়ায়, যা পরবর্তী জীবনে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের কারণ হতে পারে। তাই, "স্বাস্থ্যবান" মানেই "সুস্থ" নয়।

৩. সুস্থতার প্রকৃত মানদণ্ড কী?
একজন শিশু সত্যিই সুস্থ কিনা তা বোঝার জন্য তার ওজনের পরিবর্তে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে নজর দিন:

সক্রিয়তা এবং প্রাণবন্ততা: শিশু কি সারাদিন হাসিখেলি করে, দৌড়ঝাঁপ করে? যদি সে খেলাধুলায় আগ্রহী হয় এবং তার মধ্যে প্রাণশক্তি থাকে, তবে সে সুস্থ।
পর্যাপ্ত ঘুম: একটি সুস্থ শিশু নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়ে এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করে।

নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া: জোর করে খাওয়ানো ছাড়াই যদি শিশু স্বাভাবিক রুচিতে খাবার খায় এবং সব ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ত হয়, তাহলে চিন্তা নেই।
স্বাভাবিক বৃদ্ধি: বয়স অনুযায়ী তার উচ্চতা, ওজন এবং শারীরিক বিকাশ স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে কিনা, তা একজন শিশু বিশেষজ্ঞের (pediatrician) কাছে নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে নিশ্চিত হোন। মনে রাখবেন, বৃদ্ধির চার্ট (growth chart) হলো আসল নির্দেশক, প্রতিবেশীর মন্তব্য নয়।

হজমের সমস্যা না থাকা: শিশুর পেট পরিষ্কার থাকে এবং হজমের কোনো বড় সমস্যা না হলে সে সুস্থ।

৪. মানসিক সুস্থতাও জরুরি
শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য তার শারীরিক সুস্থতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। যে শিশু হাসিখুশি থাকে, নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী এবং মানসিকভাবে উৎফুল্ল থাকে, সে অবশ্যই সুস্থ।

আসুন, আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করি। বাচ্চার গাল ফোলা বা ভুঁড়ি দেখেই তাকে সুস্থ সার্টিফিকেট দেওয়া বন্ধ করি। এর পরিবর্তে, তার সার্বিক বিকাশ, প্রাণবন্ত আচরণ এবং ডাক্তারের দেওয়া স্বাস্থ্য রিপোর্টের উপর ভরসা রাখি।
প্রতিটি শিশুই অনন্য। তাদের নিজস্ব গতিতে বড় হতে দিন।

#শিশুরস্বাস্থ্য #অভিভাবকত্ব #সুস্থ_বিকাশ

26/11/2025

পিত্তথলির পাথর হওয়া থেকে বাঁচতে কী করবেন?
পিত্তথলির পাথর (Gallstones) আমাদের দেশে খুব সাধারণ একটি সমস্যা। ভুল খাদ্যাভ্যাস, দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকা, অতিরিক্ত তেল–চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং অনিয়মিত জীবনযাপন—এসবের কারণে খুব কম বয়সেও এই সমস্যা হতে পারে। তবে সুখবর হলো—সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললে এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।

✅ ১. নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও ফাইবার–সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া

আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন—
✔ সবুজ শাকসবজি
✔ ফলমূল
✔ ডাল, ওটস, ব্রাউন রাইস
✔ কম তেল/কম চর্বিযুক্ত খাবার
এসব খাবার হজমশক্তি ঠিক রাখে এবং পিত্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল জমতে দেয় না।

✅ ২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করলে শরীরের টক্সিন বের হয়, পিত্ত ঘন হয় না, ফলে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
লেবু–মেশানো পানি বা উষ্ণ পানি আরও কার্যকর।

✅ ৩. নিয়েমিত শরীরচর্চা করুন

অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা Gallstone-এর বড় কারণ।
প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম থাকলে—
✔ ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে
✔ পিত্তথলির কাজ ঠিক থাকে
✔ চর্বি জমা কমে

✅ ৪. হঠাৎ করে ক্র্যাশ ডায়েট করবেন না

অনেকেই দ্রুত ওজন কমাতে হঠাৎ খাবার কমিয়ে ফেলেন—এটা পাথর হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি।
ওজন কমাতে হলে ধীরে ধীরে, সপ্তাহে ০.৫–১ কেজির বেশি নয়।

✅ ৫. তেল–চর্বিযুক্ত খাবার কমান

লাল মাংস, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত দুধ–ঘি–বাটার, জাঙ্ক ফুড—এসব কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং Gallstone তৈরি করতে পারে।

✅ ৬. ধূমপান থেকে দূরে থাকুন

ধূমপান শুধু হার্ট–ফুসফুস নয়, পিত্তথলির কার্যক্রমেও খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ করুন।

✅ ৭. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন

যাদের পরিবারে পিত্তথলির পাথরের ইতিহাস আছে, বা হজমের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকে—
✔ বছরে একবার আল্ট্রাসোনোগ্রাফি
✔ প্রয়োজন হলে লিভার ফাংশন টেস্ট
এগুলো করলে সমস্যা আগেভাগে ধরা সম্ভব।

সুস্থ জীবন–যাপন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসই হলো পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধের মূল চাবিকাঠি।
আজ থেকেই নিজের প্রতিদিনের অভ্যাসে ছোট পরিবর্তন আনুন—নিজেকে রাখুন সুস্থ ও নিরাপদ।

#পিত্তথলির_পাথর #স্বাস্থ্যসচেতনতা #ডায়েটটিপস

24/11/2025

বাংলাদেশে যদি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়—সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কোন শহর?

🟥 সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে: সিলেট (Sylhet)

কারণ:
দাউকি ফল্টের ঠিক কাছে (বাংলাদেশের সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকম্প উৎস)

অতীতে বড় ভূমিকম্পে সবচেয়ে শক্ত কম্পন অনুভূত হয়েছে

পাহাড়ি অঞ্চল + নরম মাটি → কম্পন অনেক বেশি বাড়িয়ে ফেলবে

পুরনো ও মাঝারি শক্তির বিল্ডিং ভেঙে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা

সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি:

বহু পুরনো ভবন ধসে পড়তে পারে

রাস্তা/ব্রিজে ফাটল

পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস

বিদ্যুৎ/পানি/গ্যাস লাইন ভেঙে বড় ক্ষতি

হাসপাতাল-পর্যায়ের চাপ বেড়ে যাবে অনেকগুণ

🟧 দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝুঁকি: চট্টগ্রাম

কারণ:

কক্সবাজার–চট্টগ্রাম সিসমিক বেল্ট

পাহাড় + উপকূলীয় নরম মাটি

বড় কম্পনে ভূমিধস অত্যন্ত সম্ভাব্য

সম্ভাব্য ক্ষতি:

পাহাড়ি সড়ক/বসতি ভেঙে পড়া

বন্দর ও শিল্প এলাকায় বড় আর্থিক ক্ষতি

বহুতল ভবন ধসে হতাহতের সম্ভাবনা

বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘসময় অচল

🟥 মানবিক ক্ষতির দিক থেকে সবচেয়ে বিপদে: ঢাকা

কারণ:

দেশব্যাপী সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নগরী

নরম পলিমাটি → দূরের কম্পনও ঢাকায় প্রবল হবে

বহু অনিয়ন্ত্রিত/পুরনো ভবন

সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি:

ভবন ধস: সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু/আহত

আগুন লাগার ঘটনা (গ্যাস লাইন ক্ষতিগ্রস্ত)

রাস্তা ব্লক → উদ্ধার কাজ ব্যাহত

হাসপাতালগুলোতে তীব্র চাপ

যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে

🟨 মাঝারি–উচ্চ ঝুঁকিতে: ময়মনসিংহ

কারণ:

ঢাকার খুব কাছে

কিছু সক্রিয় ফল্ট লাইনের নিকটতা

সম্ভাব্য ক্ষতি:

মাঝারি–উচ্চ কম্পনে পুরনো ভবন ধস

সড়কে ফাটল

জরুরি সেবায় ব্যাঘাত

🟩 মাঝারি ঝুঁকিতে: রাজশাহী ও রংপুর

কারণ:

সক্রিয় ফল্ট থেকে দূরে হলেও দুর্বল ভবন এবং নরম মাটি সমস্যা

সম্ভাব্য ক্ষতি:

পুরনো আবাসিক ভবন ভেঙে পড়া

ব্রিজ/কানেক্টিং রোড ক্ষতিগ্রস্ত

পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় অচলাবস্থা

🟦 কম–মধ্যম ঝুঁকিতে: খুলনা ও বরিশাল

কারণ:

ভূমিকম্প উৎস দূরে

কিন্তু অবকাঠামো দুর্বল ও উপকূলীয় মাটির বৈশিষ্ট্য ক্ষতি বাড়াতে পারে

সম্ভাব্য ক্ষতি:

মাঝারি মাত্রার ভবন ধস

রাস্তাঘাটে ফাটল

নদীতীরবর্তী এলাকায় মাটি ধ্বস

📍 সারসংক্ষেপ (সহজ ভাষায় র‍্যাংকিং)

সর্বোচ্চ ঝুঁকি:
➡️ ১) সিলেট
➡️ ২) চট্টগ্রাম
➡️ ৩) ঢাকা
➡️ ৪) ময়মনসিংহ
➡️ ৫) রাজশাহী
➡️ ৬) রংপুর
➡️ ৭) খুলনা
➡️ ৮) বরিশাল

#ভূমিকম্প #সিলেট #চট্টগ্রাম #ঢাকা #বাংলাদেশ

23/11/2025

ভূমিকম্প এমন একটি বিপর্যয়, যা শুরু হওয়ার পর মানুষের প্রতিক্রিয়াই ঠিক করে দেয় দুর্ঘটনার মাত্রা কতটা বাড়বে। আমাদের দেশে অনেকে মনে করেন “বাইরে দৌড়ে বের হলেই নিরাপদ”—কিন্তু বাস্তবে শহরের সংকীর্ণ পরিবেশ, উঁচু ভবন আর মাথার উপর ঝুলে থাকা কাঠামোর কারণে রাস্তাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা।

ক. ভূমিকম্প শুরু হলে কী করবেন?

ভূমিকম্প শুরু হওয়ার পর সেকেন্ডের সিদ্ধান্ত আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।
প্রথম যেটি করবেন—স্থির থাকুন, মাথা সুরক্ষিত রাখুন।

ঘরের ভেতর থাকলে মজবুত কোনো জায়গাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করুন—যেমন শক্ত টেবিল বা ভারী খাটের নিচে আশ্রয় নিন।

এতে উপর থেকে কিছু ভাঙলেও পুরোটা আপনার গায়ে এসে পড়বে না।

পরিবারের সবাইকে নিয়ে আগে থেকেই একটি সেফ পয়েন্ট ঠিক করে রাখুন—কোন কক্ষে বা কোন টেবিলের নিচে লুকাবেন।

জরুরি পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখুন একদম ছোট একটি প্যাকেটে
– টর্চ
– কিছু পানি
– শুকনো খাবার
এগুলো কাছেই রাখুন যেন অন্ধকার বা ধুলোয় পথ চিনতে সমস্যা না হয়।

বড় ভূমিকম্পের পর অনেক সময় ছোট ছোট ধাক্কা আসে আবার। তাই রাতে ঘুমানোর সময়ও মাথা ঢাকার মতো কিছু হাতের কাছে রাখা ভালো।

সম্ভব হলে নিয়ম করে গ্যাস লাইনের মেইন সুইচ বন্ধ রাখুন। যেকোনো দুর্ঘটনার সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ আগুন থেকেই শুরু হয়।

খ. ভূমিকম্প থেমে গেলে কী করবেন?

কম্পন থামল মানেই বিপদ শেষ নয়—বরং এরপরই নতুন ঝামেলা দেখা দেয়।

বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই অতিরিক্ত খাবার-পানি আগে থেকে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।

বাজারে বা রাস্তায় অযথা ভিড় করবেন না। বিপর্যয়ের পর মানুষ আতঙ্কে এমনভাবে কেনাকাটা শুরু করে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।

গুজব ছড়ানো হয় সবচেয়ে বেশি এই সময়—
শোনা মাত্র বিশ্বাস করবেন না।
নিশ্চিত তথ্য ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না।

ঘর দীর্ঘ সময় খালি রাখার সিদ্ধান্ত নিলে চুরি বা লুটের ঝুঁকি থাকে। তাই কোথাও আশ্রয় নেওয়ার আগে পরিবার–পাড়া–পড়শি মিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন।

ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। সর্বোপরি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনাই বাঁচাতে পারে আপনার ও আপনার পরিবারের অমূল্য জীবন।।

SuperMom Monalisa

07/12/2025

06/12/2025

04/12/2025

02/12/2025

02/12/2025

01/12/2025

29/11/2025

28/11/2025

27/11/2025

26/11/2025

24/11/2025

23/11/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Practice

Shortcuts

Share

Category