Dr.Rubia Khatun-Gynae Specialist

Dr.Rubia Khatun-Gynae Specialist এমবিবিএস,বিসিএস,এম.এস,সহকারী অধ্যাপক(গাইনী বিশেষজ্ঞ ও সার্জন)

ঢাকায় মধ্যম মানের একটা হাসপাতালেও সিজারের চার্জ প্রায় ৫০ হাজার।সেখানে ঢাকার মিরপুরের ওজিএসবি হাসপাতালে এরকম সুলভ মূল্যে ...
09/12/2025

ঢাকায় মধ্যম মানের একটা হাসপাতালেও সিজারের চার্জ প্রায় ৫০ হাজার।সেখানে ঢাকার মিরপুরের ওজিএসবি হাসপাতালে এরকম সুলভ মূল্যে অপারেশন সেবা পাওয়া রোগীদের জন্য আশীর্বাদ!!সকল সেবাগ্রহীতার জন্য শুভকামনা💚

(অনলাইন থেকে সংগৃহীত)সৃষ্টির রহস্যঃ কোন কল্পকাহিনী নয়, এ যে বৈজ্ঞানিক সত‍্য…...আল্লাহর অলৌকিক সিগনেচার- জিঙ্ক স্পার্ক।প...
02/12/2025

(অনলাইন থেকে সংগৃহীত)
সৃষ্টির রহস্যঃ কোন কল্পকাহিনী নয়, এ যে বৈজ্ঞানিক সত‍্য…...

আল্লাহর অলৌকিক সিগনেচার- জিঙ্ক স্পার্ক।
প্রতিবার মিলনের পরে নারী সঙ্গিনীর জরায়ুর অভ্যন্তরে অপেক্ষমান ডিম্বাণুর সন্ধানে দেড় থেকে দুই কোটি শুক্রকীট তাদের ফ্ল্যাজেলা বা লেজ দিয়ে ম্যারাথন সাঁতার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। এই সাঁতারে মাত্র একটি পুরুষ শুক্রাণু বিজয়ী হয়। এরপর শুক্রানু তার মোটা মাথাটি নারীর অপেক্ষমান ডিম্বাণুতে ঢুকাতে পারলেই নিষিক্ত হয়ে গেলো, একটি নতুন সন্তানের জীবনের সূচনা হলো।

পুরুষ ও নারীর এই দুই কোষের মিলনে যে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোস্কোপিক বস্তুটি মায়ের জরায়ুর গায়ে ঝুলে যায় জোঁকের মতো তার নাম 'ভ্রূণ'। পৃথিবীর সব মানুষ এইভাবে দুই বিপরীত লিঙ্গের সম্মিলনে ভ্রূণ অবস্থা থেকে শুরু করে পরিপূর্ন শিশু হিসাবে জন্ম নেয়।

হেরা গুহায় কুরআনুল করিমের সর্ব প্রথম নাজেল হওয়া পাঁচ আয়াতের দ্বিতীয় আয়াতেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানব সৃষ্টির গোপন গোমর উন্মুক্ত করে দিয়ে বলেছেন,- খালাকাল ইনছা-না মিন ‘আলাক' অর্থাৎ তিনি মানুষকে 'আলাক' অবস্থা থেকে তৈরি করেছেন। অথচ কোরআন নাজেলের সময় 'আলাক' দেখার আর বোঝার জন্য ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ছিলোনা।

একবচন আরবি ও হিব্রু শব্দ 'আলাকা'র বহুবচন আলাক শব্দেটির চারটি অর্থ আছে,-- জমাট রক্ত, ঝুলে থাকা জমাট রক্ত, সৌদি আরবের জিজান প্রদেশের ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের পানিতে বাস করা ক্ষুদ্র রক্তপিণ্ডের চেহারার এক ধরণের জোঁক যেটিও ঝুলে থাকে, আর শুধু যে কোন কিছু ঝুলে থাকা বোঝাতেও 'আলাক' শব্দ ব্যবহৃত হয়। সবগুলি অর্থ একই ভাব প্রকাশ করেছে যে মানব জন্মের শুরু যে ভ্রূণের মাধ্যমে তা প্রথম দিনে মায়ের জরায়ুর দেয়ালে আরব দেশের পানির জোঁকের মতো ঝুলে থাকে। বিশ্বখ্যাত এমব্রায়োলজিস্ট অধ্যাপক কিথ ম্যুর কোরআনের এমব্রায়োনিক আয়াত সমূহ নিয়ে গবেষণা তার টেক্সট বইয়ে সংযুক্ত করে বিশদ ভাবে লিখেছেন।

যাইহোক যে বিষয়টি বলার জন্য ভ্রূণ নিয়ে উপরোক্ত ভূমিকা দেয়ার প্রয়োজন হলো তা হচ্ছে এই বিষয়ে নতুন একটি আবিষ্কার। সম্প্রতি ভ্রুনের নিষেকের মুহূর্তটিকে বিজ্ঞানীরা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে ছবি তুলেতে সক্ষম হয়েছেন।

এবং বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে দেখেছেন, জীবন তৈরি হবার মুহূর্তটি একটি ক্ষুদ্র আলোর ঝলকানি দ্বারা চিহ্নিত হয়। বিজ্ঞানীরা এটির নাম দিয়েছেন "জিঙ্ক স্পার্ক"।
পুরুষ শুক্রাণুর সাথে সফল সংস্পর্শে আসার পর নারী ডিম্বাণু অতিদ্রুত লক্ষ লক্ষ জিঙ্ক আয়ন নিঃসরণ করে নববর্ষের ১২টা ১ সেকেন্ডের সময়কার আতশবাজির মতো - যার ফলে এই সংক্ষিপ্ত আলোর ঝলকানি দেখা যায়।

এই আভা ক্ষণস্থায়ী এবং কেবল শক্তিশালী ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের নীচে দৃশ্যমান। প্রথমে ইঁদুরের ডিমে দেখা গেলেও, পরে মানুষের ডিমেও এই ঘটনাটি নিশ্চিত করা হয়েছে। জিঙ্ক স্পার্কের উপস্থিতি এখন ল্যাবরেটরি গর্ভায়ন বা টেস্টটিউব বেবি তৈরির সময় একটি নির্ভরযোগ্য সূচক হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। কারণ জিঙ্ক স্পার্ক বা আলো দেখেই ডাক্তাররা নিশ্চিত হতে পারেন যে নিষেকের সাফল্য ঘটেছে, এবং এখন একজন নতুন মানুষ পৃথিবীতে আসতে যাচ্ছে।

এই আবিষ্কার জীবনের একেবারে শুরুতে একটি বিরল এবং অত্যাশ্চর্য ঘটনা। এটি একটি অসাধারণ দৃশ্যমান প্রমাণ। ছবিতে দেখুন জিঙ্ক-আলোর একটি মাইক্রোস্কোপিক বিস্ফোরনের চিত্র ধারণ করা হয়েছে, যা গর্ভধারণের সঠিক মুহূর্তের ইঙ্গিত দিয়েছে।

এই বৈজ্ঞানিক তথ্যটি জানার পরে আল্লাহর বিশেষ আলো বা নূরের উপমা বিষয়ে সূরা আন নূর এর ৩৫ আয়াতের কথা মনে এলো। তিঁনি বলেন, "আল্লাহ্‌ আসমানসমূহ ও জমিনের নূর, তাঁর নূরের উপমা একটি দীপাধার, যার মধ্যে আছে একটি প্রদীপ; প্রদীপটি একটি কাঁচের আবরণের মধ্যে স্থাপিত, কাঁচের আবরণটি যেন উজ্জ্বল নক্ষত্র; যা প্রজ্জ্বলিত করা হয় বরকতময় যাইতূন বৃক্ষের তেল দ্বারা যা পূর্ব দিকেরও নয় এবং পশ্চিম দিকেরও নয়, আগুন তাকে স্পর্শ না করলেও যেন তার তেল উজ্জ্বল আলো দিচ্ছে; নূরের উপর নূর, আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছা তাঁর নূরের দিকে পথ দেখান, আর আল্লাহ্‌ মানুষের জন্য উপমা পেশ করেন এবং আল্লাহ্‌ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ"।

আল্লাহ জানেন, ভবিষ্যতের চিন্তাশীল মানুষেরা একদিন সৃষ্টি রহস্য খুঁজতে যেয়ে মানব সৃষ্টির মুহূর্তে "জিঙ্ক স্পার্ক" এর আলো দেখতে পাবে, তখন বিশ্বাসী বান্দারা এই ক্ষণস্থায়ী আলোকের বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পবিত্র নূরকে অনুধাবন করার চেষ্টা করে ফিসফিসিয়ে অন্তর থেকে বলে উঠবে - সুবহানাল্লাহ, কি এক সুররীয়ালিস্টিক আয়াত আল্লাহর নূরের উপমা নিয়ে!

এইভাবে আল্লাহ হয়তো তার প্রতিটি সৃষ্ট জীবের মধ্যে তার অলৌকিক নূরের মলিকিউলার সিগ্নেচার বসিয়ে প্রমান রাখেন যে সব সৃষ্টজীবনের স্রষ্টা একমাত্র আল্লাহ জাল্লাহ শানুহু।

বৈজ্ঞানিক তথ্য সূত্রঃ
#জিঙ্কস্পার্ক #নিষিক্তকরণ #কোষ জীববিজ্ঞান

মাত্র ১৬ বছরের এক কিশারী মা প্রসবজনিত জটিলতা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যাবে আমরা কেউ মেনে নিতে পারি নি।তাইতো রোগী বাঁচাতে...
25/11/2025

মাত্র ১৬ বছরের এক কিশারী মা প্রসবজনিত জটিলতা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যাবে আমরা কেউ মেনে নিতে পারি নি।তাইতো রোগী বাঁচাতে হাসপাতালের প্রত্যেকটা স্টাফ এক ভয়ানক যুদ্ধে নেমে পড়েছিল গতকাল রাতে।রোগী Primigravida with 29 weeks pregnancy with Abruptio placenta with tranverse lie with preterm labour নিয়ে এসেছে।জরায়ু ফুল তার স্বাভাবিক জায়গা থেকে ছুটে গেছে,ফুল স্পিডের ট্যাপের মত রক্ত চলে যাচ্ছে শরীর থেকে, মূহূর্তেই রোগী শকে চলে গেছে।সরকারী হাসপাতালে এসব কেস অনেক ম্যানেজ করেছি।প্রাইভেট হাসপাতালে এমন ক্রিটিক্যাল রোগী সাধারণত ভর্তি নেয় না।আমরা চাইলে রোগীকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো পারতাম।এক্ষেত্রে রোগী যাত্রাপথে মারা যেতে পারত,যেমনটি ঘটেছিল আমার চাচাত বোন মরিয়মের বেলায়(আল্লাহ তায়ালা ওকে বেহেশতবাসী করুন,আমিন)।এসব রোগী দেখলেই চোখের সামনে আসে মরিয়মের মুখ।রাস্তায় মারা গেলে হয়ত নিজে সেফ সাইডে থাকতাম,কিন্তু বিবেকের দংশনে দিনরাত মরতাম। তাই সবদিক ভেবে রোগীর স্বজনদের থেকে মৃত্যুঝুঁকি আছে মর্মে ডাবল রিস্কবন্ড নিয়ে আল্লাহর নামে যুদ্ধে নামলাম।রোগীর বাড়ি দত্তপাড়া,শহর থেকে কাছেই,মুহূর্তের মধ্যে স্বজনরা এসে ৫ ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করে দিয়েছিল।এনেস্থেশিয়া বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক(অব.) আ.সালাম স্যার এনেস্থেশিয়া দিয়েছিলেন এবং পুরোটা সময় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে রোগীর ভাইটাল মেইনটেইন করেছেন।অবশেষে আমরা Internal podalic version করে মৃত বাচ্চা ও গর্ভফুল ন্যাচারাল পথে বের করে রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধে সফল হই।আলহামদুলিল্লাহ!! ধন্যবাদ জনসেবা হাসপাতালের প্রত্যেক যোদ্ধা ইসমাইল,লিটন,সোনালী,সোলাইমান,উর্মি সহ সকল নার্স,আয়া যারা এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।ধন্যবাদ জনসেবা হাসপাতালের পরিচালক যিনি এত ক্রিটক্যাল রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির অনুমতি দিয়েছেন।
বিঃদ্রঃ সকল রোগীর স্বজনদের জন্য-
আজকে রোগী বেঁচে আছে, তাই হয়তো বাহবা দিবেন।এত কিছুর পরেও রোগী অপারেশন টেবিলে মারা যেতে পারে!তখন দয়া করে হাসপাতাল ভাংচুর আর ডাক্তারের গায়ে হাত তুইলেন না।মনে রাখবেন,তাঁরা রোগী বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে,জীবন বাঁচানোর একমাত্র মালিক আল্লাহ!

22/11/2025

এটাই পৃথিবী!মাটি আর পানির গোলাকার একটা খন্ড।নিশ্চয়ই প্রচন্ড কম্পনে এটা বিস্ফোরিত হবে!অথচ এর উপরেই আমরা অহংকারে বীরদর্পে হাটি!

A lot of thanks toThe United Specialized Hospital,Natore to celebrate my promotion as Asst.Professor specially.Please ke...
25/10/2025

A lot of thanks toThe United Specialized Hospital,Natore to celebrate my promotion as Asst.Professor specially.Please keep me in your prayers that I can serve the best for my country.

এই সংরক্ষিত নমুনাটিতে দেখা যাচ্ছে—একটি শিশুর ফুসফুস ও শ্বাসনালী (trachea), যে দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে।লাল বৃত্ত দেওয়া অংশে...
21/10/2025

এই সংরক্ষিত নমুনাটিতে দেখা যাচ্ছে—একটি শিশুর ফুসফুস ও শ্বাসনালী (trachea), যে দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে।
লাল বৃত্ত দেওয়া অংশে দেখা যাচ্ছে ছোট একটি বস্তু সম্ভবত একটি চীনাবাদাম, যা ঠিক carina-র জায়গায় আটকে গিয়ে পুরো শ্বাসনালী বন্ধ করে দেয়।

এক মুহূর্তেই শিশুটি নিঃশ্বাস নিতে পারেনি…
এভাবেই কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে নিঃশেষ হয়ে যায় একটি প্রাণ।

মনে রাখবেন, ৪ বছরের নিচের শিশুদের জন্য শ্বাসরোধ (choking) একটি প্রতিরোধযোগ্য কিন্তু মারাত্মক মৃত্যুর কারণ।

বাদাম,
আঙুর,
হটডগ,
শক্ত মিষ্টি বা ছোট খেলনা
এসব একবারে পুরো শ্বাসনালী বন্ধ করে দিতে পারে।

অভিভাবকদের জন্য জরুরি পরামর্শ:

খাবার ছোট ছোট টুকরো করে দিন

ছোট বাচ্চাকে বাদাম, পপকর্ন, শক্ত মিষ্টি দেবেন না

Heimlich maneuver ও back blows করার নিয়ম শিখে রাখুন

কয়েক সেকেন্ডেই জীবন-মৃত্যুর পার্থক্য তৈরি হয়।
শেয়ার করুন,
একটু সচেতনতা — হয়তো বাঁচিয়ে দেবে আপনার সন্তানের জীবন ❤️

~Dr-Abdur Rahman

18/10/2025
16/10/2025

টাইফয়েড ভ্যাক্সিন নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান বিশেষজ্ঞদের
--------
ফেসবুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি লেখা ভাইরাল হয়েছে। লেখাটি যিনি লিখেছেন তিনি চিকিৎসক বা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নন এবং ডিজিজ এপিডেমিওলজি সম্পর্কে তার কোন ধারনা নেই। তার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে পরে বলছি, প্রথমে তার লেখার দাবিগুলো ডিবাংক করি।

লেখক দাবী করেছেন আইসিডিডিআরবি নাকি গবেষণায় পেয়েছে দেশে টাইফয়েড আক্রান্তের হার ১% এবং সেখান থেকে বলতে চেয়েছেন ১০০ জনে ৯৯ জনেরই প্রাকৃতিকভাবে টাইফয়েড হয়না। প্রথমত,
আইসিডিডিআরবি এ ধরনের কোন গবেষণা করেনি। এটা আমার কথা না, জানিয়েছেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের এসিস্টেন্ট সায়েন্টিস্ট ডা: গাজী সালাহউদ্দীন মামুন। বরং তাদের ACORN-HAI গবেষণায় তারা দেখেছেন ২ বছরে (২০২৩-২৪) হাসপাতালে ডায়রিয়া ও অন্যান্য ইনফেকশন নিয়ে ভর্তি হওয়া ৮২৯ জন রোগীর মাঝে ২৪৯ জনের (৩০% এর বেশি) রক্তে টাইফয়েড জীবানু বিদ্যমান।

এ সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় গবেষণাটি হয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তান এই তিন দেশ মিলিয়ে "এশিয়া প্রজেক্ট"-এ। ২০১৬-২০১৯ সাল পর্যন্ত ঢাকার ২টি হাসপাতালের আউটডোরে যারা ৩ বা তার চেয়ে বেশি দিনের জ্বর নিয়ে এসেছে, ইনডোরে যারা সম্ভাব্য টাইফয়েড জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন এবং কোন রকম আঘাত ছাড়া ক্ষুদ্রান্তের ছিদ্র নিয়ে ভর্তি হয়েছেন এবং এমন ১৭,৪৪১ জনের মাঝে ৪৮৭৩ জনের (২৮%) রক্তে নিশ্চিতভাবে টাইফয়েডের জীবানু পাওয়া গেছে।

নেপালে ২২% এবং পাকিস্তানে ২৫% লোকের ক্ষেত্রে টাইফয়েডের জীবাণু পাওয়া গেছে। এই গবেষণায় আরও বলেছে বাংলাদেশে সমগ্র জনগোষ্ঠীতে নতুনভাবে টাইফয়েড (ইনসিডেন্স) রোগে আক্রান্তের হার প্রতি লাখে ৯১৩ জন (~১%)। ভাইরাল লেখাটির লেখক মূলত এই হিসাবটিই দিয়েছেন। এবং এখান থেকেই দাবী করেছেন ৯৯% লোক টাইফয়েড আক্রান্ত হয়না প্রাকৃতিকভাবে। গবেষণাটি আইসিডিডিআরবির নয়।

১% ব্যাপারটি খুবই কম মনে হতে পারে আপাত দৃষ্টিতে। তাই চলুন অন্যান্য রোগের সাথে তুলনা করি। বাংলাদেশে ১৯৯০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন রোগের হার ভিত্তিক সবচেয়ে বড় গবেষণা যেটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিখ্যাত জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে তার একজন ক্ষুদ্র সহলেখক ছিলাম আমি। আমাদের সেই গবেষণায় দেখা গেছে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে সকল ধরনের ক্যান্সার এর হার প্রতি লাখে "মাত্র" ৫৩০ জন (০.৫৫%), সকল ধরনের হৃদরোগের হার প্রতি লাখে "মাত্র" ৪৩৫৫ জন (৪.৫%), স্ট্রোকের হার প্রতি লাখে "মাত্র" ৮৩৪ জন (০.৮৭%)।

এই হিসাব থেকে কি বলা যায় যে প্রাকৃতিকভাবে দেশের ৯৯.৪৫% লোকের ক্যান্সার হবে না, ৯৫.৫% লোকের হৃদরোগ হবে না কিংবা ৯৯.১৩% লোকের স্ট্রোক হবে না? না, এটা বলা যায় না কারন মানুষের বয়স, ঝুকি, লিঙ্গ, অভ্যাস, ইত্যাদি নানা কিছুর ভিত্তিতে ঝুকির মাত্রা পরিবর্তি হয়। সহজ একটি উদাহরন দেই, ল্যানসেটে প্রকাশিত আমাদের গবেষণাটিতে আমরা পেয়েছি বাংলাদেশে ২০১৯ সালে সব ধরনের কারন জনিত মৃত্যুর হার ছিলো প্রতি লাখে ৭১৪ জন (০.৭১%)। তাহলে কি বলা যায় বাংলাদেশে ৯৯.২৯% লোকের কখনো মৃত্যু হবে না?!

অদ্ভূত শোনাচ্ছে না? ঠিক তাই, রাজিব সাহেবের হিসাবও একই রকম বাস্তবতা বিবর্জিত। বাস্তবে বর্তমান সময়ে প্রতি ৪ জনে ১ জন (২৫%) ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুকিতে আছেন। ২০১৯ সালে সকল মৃত্যুর কারনে মাঝে স্ট্রোক ছিলো ১ নাম্বার, ২য় কারন হৃদরোগ, ৩য় প্রধান কারন শ্বাসতন্ত্রের ক্রনিক রোগ।

ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণাটিতে আমরা দেখেছি বাংলাদেশে প্রতি লাখে ৫ জন টাইফয়েডে মৃত্যুবরণ করে যা মোট জনসং্খ্যার হিসেবে বছরে প্রায় ৮০০০ জন। এদের মাঝে ৬৮% শিশু, অর্থাৎ ৫৪৪০ জন শিশু। টাইফয়েড টিকার কার্যকারিতা ৮৫%, তাহলে এই ৬৮০০ জনের অন্তত ৪৬২৪ জন শিশু টিকার কারনে বেচে যাবে। এছাড়াও আরও হাজার হাজার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাচবে।

টাইফয়েড রোগের কেস ফ্যাটালিটি রেট অর্থাৎ এই রোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২.৫% অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনে আড়াই জন মারা যেতে পারে। কোভিডের শুরুর দিকে এই হার ছিলো ২-৫% আর তাতেই সারা বিশ্ব বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। ভাগ্য ভালো যে টাইফয়েড হাচি কাশি বা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। মৃত্যু ছাড়াও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকের ক্ষুদ্রান্ত্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া, রক্তপাত, লিভার ফেইলউর, সেপসিস এমনকি পার্মানেন্ট ব্রেইন ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।

নিকটাত্মীয়দের মাঝে আমার বড় মামার টাইফয়েড জনিত কারনে পার্মানেন্ট ব্রেইন ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিলো। খুজলে এমন আরও অনেককেই পাবেন। আধুনিক যুগে শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক এর কারনে টাইফয়েড এর চিকিৎসা সহজ হয়েছে কিন্তু ঘন ঘন অপিরিমিত মাত্রায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারনে জীবাণুরা এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে পড়ছে। দেখা গেছে আগে ছোট খাট এন্টিবায়োটিক খেলে সেরে যেত কিন্তু এখন উচ্চমাত্রা দামী রিসার্ভ এন্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। ফলে চিকিৎসার খরচ ও বাড়ছে।

লেখক দাবী করেছেন টাইফয়েডের ভ্যাকসিন ইউরোপ আমেরিকায় দেয়া হয়না। ঠিক, কেননা সে দেশে টাইফয়েড এর জীবানু নেই। টাইফয়েড এর জীবাণু দক্ষিন এশিয়ায় বেশি তাই এখানে টিকা দেয়া হয়। এটাই গণ টিকার নিয়ম, যে দেশে যে রোগ বেশি সে দেশে সেই টিকা। একই কারনে ইউরোপ আমেরিকায় যক্ষার টিকা দেয়া হয়না।

আমি ইংল্যান্ডে ৪ বছর থেকেছি, বর্তমানে কানাডায় আছি। এসব যায়গায় গণটিকা দেয়া হয় মিজেলস, মামপ্স, হেপাটাইটিস, রুবেলা, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস সহ নানা রোগের বিরুদ্ধে। এছাড়াও প্রতি সিজনে ইনফ্লুয়েঞ্জা এর টিকাও দেয়া হয় বিনামূল্যে, বয়স্কদের দেয়া হয় হার্পিস জুস্টারের টিকা। আমাদের দেশে এগুলোর প্রচলন নেই। অনেকে নিজ পয়সায় কিনে নেন। টাইফয়েড অনেক মানুষ বিশেষ করে শিশুদের আক্রান্ত করে বলেই সরকার পয়সা খরচ করে বিনামূল্যে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।

লেখক রাজিব সাহেব বলছে এতে ওষুধ কোম্পানির লাভ। টাইফয়েড এই টিকার দাম ২-৩ হাজার টাকা বড়জোর, অন্যদিকে টাইফয়েড আক্রান্ত হলে ৭-১৪ দিনের এন্টিবায়োটিক, জ্বর ও অন্যান্য লক্ষণ নিরাময় মিলিয়ে ওষুধের মোট খরচ এর চেয়ে অনেক বেশি। হাসপাতালে ভর্তি হলে সেটার আলাদা খরচ এবং রোগ জটিল হলে সামগ্রিক খরচ বেড়ে লক্ষাধিক টাকা হয়ে যেতে পারে। সুতরাং ভ্যাকসিন দিয়ে সবাইকে সুরক্ষিত করাটা ওষুধ কোম্পানির জন্য বেশি লাভজনক নাকি এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ বিক্রি করা বেশি লাভ জনক?

টাইফয়েডের যে ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে সেটি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। এটি কোন পরীক্ষালব্ধ ভ্যাকসিন নয়। এর কার্যকারিতা প্রমানিত। এটি নেপাল ও পাকিস্তানেও দেয়া হয়েছে, ভারতের অনেকগুলো রাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, ইরাক, ঘানা, লাইবেরিয়া, জিম্বাবুয়ে সহ বহু দেশে এই ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। কানাডায় টাইফয়েড জীবাণু নেই তবে কানাডিয়ানরা এই সব দেশের কোনটিতে যেতে চাইলে ভ্রমণ সতর্কতা হিসেবে টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিতে বলে।

এবার আসি লেখক রাজিব আহামেদ এর কথায়। এই ব্যক্তি চিকিৎসক বা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নন। তিনি একজন সেলস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট অর্থাৎ ব্যবসায়িক পণ্য বিপনন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ। সেলস নিয়ে তিনি কর্পোরেট ট্রেনিং দেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিএ ও জার্নালিজম ডিপ্লোমা। তিনি নিজেকে স্বাস্থ্য গবেষক বলে পরিচয় দেন কিন্তু তার কোন প্রকাশিত গবেষণা পত্র নেই। তবে তিনি বাংলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক ও মার্কেটিং বিষয়ক নানা বই লিখেছেন। তিনি স্বাস্থ্য বিষয়ক বই লেখা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্পোরেট কর্মশালার আয়োজন করেন যার ফি ২০০০ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত! অর্থাৎ তার একটি সেশনের মূল্য টিকার দামের চেয়ে বেশি।

অবধারিতভাবেই তিনি তার স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা প্রপাগান্ডা বিশ্বাসযোগ্য করতে ধর্মের আশ্রয় নেন। অথচ টাইফয়েড টিকা গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহিত করে বক্তব্য দিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ও ইসলামি পন্ডিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বনামধন্য জনাব আ ফ ম খালিদ হোসেন (লিংক প্রথম কমেন্টে)। ধর্মীয় রেফারেন্সের ক্ষেত্রে খালিদ হোসেনে ভরসা রাখবেন নাকি মার্কেটিং গুরু রাজীব আহামেদে?

তবে আমি যেহেতু বাংলাদেশে থাকি না, বাংলাদেশে রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত নই, কোন ওষুধ কোম্পানির সাথে জড়িত নই, স্বাস্থ্য বিষয়ক কোন বই লিখি না বা ২৫ হাজার টাকার ওয়ার্কশপ করাই না তাই এই লেখার পেছনে আমার কোন কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট বা স্বার্থ জড়িত নেই। রাজিব আহমেদ এর ক্ষেত্রে আছে। তবুও আমার কথা বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই। আপনি চাইলে নিজেই খুজে দেখতে পারেন, আমি কমেন্টবক্সে আমার দেয়া তথ্যের রেফারেন্স যোগ করেছি। গবেষণা প্রবন্ধ পড়ার অভ্যাস না থাকলে আপনি চ্যাট জিপিটিকেও জিজ্ঞেস করতে পারেন।

মোদ্দাকথা হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক দেখে কোন ইনফ্লুয়েন্সার এর কথায় বিভ্রান্ত হবেন না বিশেষ করে স্বাস্থ্য তথ্যের ব্যাপারে। তথ্য দেখলে তা যাচাই করুন নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে যেমন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, সিডিসি, এফডিএ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বৈজ্ঞানিক জার্নাল। শিক্ষিত হোন, সচেতন হোন যেন কেউ আপনাকে নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।

লেখক:
ডা. মো: মারুফুর রহমান
এমবিবিএস, এমপিএই (এপিডেমিওলজি), এমএসসি (মলিকুলার মেডিসিন),
পিএইচডি ক্যান্ডিডেট
ডিভিশন অফ ক্লিনিক্যাল মেডিসিন,
দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ শেফিল্ড, যুক্তরাজ্য
dr.marufrhmn@gmail.com

এটা কোনো নবজাতকের ছবি নয় এটা এক মায়ের গর্ভের শিশুর আল্ট্রাসাউন্ড!বিজ্ঞান এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেAI-Enhanced 8K Ultraso...
12/10/2025

এটা কোনো নবজাতকের ছবি নয়
এটা এক মায়ের গর্ভের শিশুর আল্ট্রাসাউন্ড!

বিজ্ঞান এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে
AI-Enhanced 8K Ultrasound প্রযুক্তিতে
মা-বাবা এখন তাদের অনাগত সন্তানকে জীবন্ত মুখে-মুখে দেখতে পাচ্ছেন!

আগে আল্ট্রাসাউন্ড মানেই ছিল ঝাপসা সাদা-কালো ছায়া।
তারপর এলো 3D ও 4D যেখানে শিশুর হাসি, ভ্রু কুঁচকানো, এমনকি হাত-পা নাড়ানোও দেখা যেত।
কিন্তু এখন, AI প্রযুক্তি সেই ছবিগুলোকে রূপ দিচ্ছে অবিশ্বাস্য বাস্তবতায়
প্রতিটি মুখের রেখা, ঠোঁটের বাঁক, চোখের পাপড়ির ছায়া পর্যন্ত দেখা যায় 8K আল্ট্রা রিয়েলিস্টিক ইমেজে!

সাধারণত ২৮ থেকে ৩৪ সপ্তাহে এই স্ক্যানটি সবচেয়ে ভালো ফল দেয়।
মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই পাওয়া যায় শিশুর জীবন্ত প্রতিকৃতি,
যা জন্মের পর দেখা ছবির সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে যায়!

বাংলাদেশেও এখন ঢাকাসহ বড় কিছু প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই 3D, 4D ও উন্নত AI-enhanced স্ক্যানের সুযোগ আসতে যাচ্ছে।
8K লেভেলের ইমেজিং
খুব শিগগিরই এই দেশেও সহজলভ্য হবে।

এই প্রযুক্তি শুধু একটা ছবি নয়
এটা এক মায়ের প্রথম ছোঁয়া,
এক বাবার প্রথম হাসি,
আর এক পরিবারের প্রথম ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।
collected from
https://www.facebook.com/share/1GugRTV4Qd/

Address

Natore

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Rubia Khatun-Gynae Specialist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram