
05/07/2025
প্রাচীন যুগের মানুষরা গাছ দিয়ে চিকিৎসা করত প্রাকৃতিক উপাদান এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে। তারা প্রকৃতির প্রতি গভীরভাবে নির্ভরশীল ছিল এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গাছের ভেষজ গুণাগুণ আবিষ্কার করেছিল। নিচে প্রাচীনকালে গাছ দিয়ে চিকিৎসা করার কিছু উপায় বলা হলো:
🌿 ১. গাছের পাতার ব্যবহার:
তুলসি, নিম, অর্জুন, গুলঞ্চ ইত্যাদি গাছের পাতা রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হতো।
পাতা বেটে বা সিদ্ধ করে বাত, সর্দি-কাশি, ত্বকের রোগ ইত্যাদি রোগে ব্যবহার করা হতো।
🌳 ২. গাছের ছালের ব্যবহার:
যেমন অর্জুন, অশ্বথ, বট গাছের ছাল জলে সিদ্ধ করে হৃদরোগ, ডায়রিয়া, ও বাত রোগে ব্যবহার করা হতো।
🌸 ৩. ফুলের ব্যবহার:
শিমুল, অর্জুন, বকুল, হরীতকী ইত্যাদি গাছের ফুল ও ফল প্রাকৃতিক ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হতো।
পেটের সমস্যা, রক্তশূন্যতা বা মাথাব্যথা উপশমে ব্যবহৃত হতো।
🌰 ৪. গাছের ফল ও বীজ:
আমলকী, হরীতকী, বহেড়া—এই ফলগুলো আজও আয়ুর্বেদে ব্যবহার হয়।
বীজ থেকে তেল বের করে ত্বক, চুল, বা হজমের সমস্যা উপশমে লাগানো হতো।
🌿 ৫. রস ও নির্যাস:
গাছের অংশ চিপে রস বের করে ঘা, চোখের সমস্যা, চর্ম রোগ ইত্যাদিতে লাগানো হতো।
যেমন, আলোevera বা ঘৃতকুমারী এর রস ত্বকে লাগানো হতো।
🧠 ৬. জ্ঞান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে:
এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো বংশ পরম্পরায় মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল।
অনেক সময় তান্ত্রিক বা আয়ুর্বেদাচার্য এরাও এসব চিকিৎসা করতেন।
প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি আজকের আধুনিক আয়ুর্বেদের ভিত্তি তৈরি করেছে। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট কোনো গাছ বা রোগ সম্পর্কে জানতে পারেন—আমি বিস্তারিত জানাতে পারি। 🌿