Dr. Md. Jamirul Islam

Dr. Md. Jamirul Islam ডা. মোঃ জামিরুল ইসলাম
এমবিবিএস (ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এফসিপিএস (নিউরোলজি)-শেষ পর্ব।

08/07/2025

🩺 সিনকোপ (Syncope): হটাৎ অজ্ঞান হওয়া

সিনকোপ হলো একটি অস্থায়ী অজ্ঞান হওয়া (Transient Loss of Consciousness), যা ঘটে মস্তিষ্কে সাময়িকভাবে রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে। এর বৈশিষ্ট্য:

▪️দ্রুত শুরু
▪️স্বল্পস্থায়ী
▪️স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হওয়া।

সিনকোপ নিজে কোনও রোগ নয়, বরং একটি উপসর্গ। এর কারণ নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

🔹রোগের প্রক্রিয়া (প্যাথোফিজিওলজি):

➤সিস্টেমিক রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে যায়।

➤এতে ব্রেইনস্টেমের রেটিকুলার অ্যাক্টিভেটিং সিস্টেম ব্যাহত হয়, যা সচেতনতা নিয়ন্ত্রণ করে।

➤সাধারণত, ২০ সেকেন্ডের মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসে, এবং সিজারের মতো বিভ্রান্তি বা জড়তা থাকে না।

🔹 সিনকোপের প্রকারভেদ :
সিনকোপকে মূলত তিনট ভাগে ভাগ করা যায়:

১.রিফ্লেক্স (স্নায়ুবাহিত) সিনকোপ:

➤ভ্যাসোভ্যাগাল (সাধারণ অজ্ঞান): ভয়, ব্যথা বা গরমে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে হয়।

➤সিচুয়েশনাল সিনকোপ: প্রস্রাব, পায়খানা, কাশির সময় হতে পারে।

➤ক্যারোটিড সাইনাস অতিসংবেদনশীলতা: গলা ঘোরানো, টাইট কলার পরা বা শেভ করার সময় হতে পারে।

২.অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন:

➤দাঁড়ালে সিস্টোলিক BP ≥২০ mmHg বা ডায়াস্টোলিক ≥১০ mmHg কমে গেলে এটি বলা হয়।

➤কারণ: পানিশূন্যতা, স্নায়ুরোগ (যেমন: পারকিনসন), ওষুধ (যেমন: ডাইইউরেটিক, হাইপারটেনসিভ ওষুধ)।

৩.কার্ডিয়াক সিনকোপ:

➤হৃদস্পন্দনের গোলমাল (ব্র্যাডিকার্ডিয়া, ট্যাকিকার্ডিয়া) অথবা হৃদযন্ত্রের গঠনগত সমস্যার কারণে হয় (যেমন: অ্যাওর্টিক স্টেনোসিস)।

➤সাধারণত অত্যন্ত হঠাৎ হয়, পূর্বাভাস ছাড়া।

➤এই ধরনটি সবচেয়ে বেশি জীবনহানিকর।

⚠️ সতর্কতা সংকেত:

নিম্নলিখিত উপসর্গ থাকলে অবিলম্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন:

➤ব্যায়াম বা শুয়ে থাকার সময় অজ্ঞান হওয়া।
➤অজ্ঞান হওয়ার আগে বুক ধড়ফড় বা বুক ব্যথা
➤পারিবারিকভাবে আকস্মিক মৃত্যুর ইতিহাস
➤হার্টের রোগের ইতিহাস
➤ECG তে অস্বাভাবিকতা

🔹প্রয়োজনীয় পরীক্ষা:

➤ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষা – সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
➤ECG (ইসিজি): হৃদস্পন্দনের ছন্দে সমস্যা শনাক্তে
➤ইকোকার্ডিওগ্রাম: হৃদপিণ্ডের গঠনগত বা ভাল্বের ত্রুটি খুঁজে বের করতে
➤২৪ ঘণ্টার হল্টার মনিটর: মাঝে মাঝে হওয়া অ্যারিথমিয়া শনাক্তে
➤টিল্ট টেবিল টেস্ট: স্নায়ুবাহিত সিনকোপ শনাক্তে
➤অর্থোস্ট্যাটিক BP মাপা: শুয়ে ও দাঁড়িয়ে রক্তচাপের পরিবর্তন মূল্যায়নে

🩺 চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:

কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা নির্ধারিত হবে:

✅ ভ্যাসোভ্যাগাল সিনকোপ:
➤আশ্বস্ত করা
➤পানি ও লবণের পরিমাণ বাড়ানো
➤শরীরের পেশি শক্ত করে ধরা (counter-pressure maneuvers)
➤গরম বা ভিড়ের জায়গা এড়িয়ে চলা

✅ অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন:
➤পানিশূন্যতা সংশোধন
➤ওষুধের মাত্রা ঠিক করা
➤যে রোগের কারণে হচ্ছে তার চিকিৎসা করা।

✅ কার্ডিয়াক সিনকোপ:
➤কার্ডিওলজিস্টের মাধ্যমে যথাযথ মূল্যায়ন
➤প্রয়োজন হলে পেসমেকার, ওষুধ বা ক্যাথেটার অ্যাবলেশন।

তাই সিনকোপের কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য একজন চিকিৎসক কে দেখান।

ডা. মোঃ #জামিরুল ইসলাম
সহকারী রেজিস্ট্রার
নিউরোমেডিসিন বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

#চেম্বার : সেবা ক্লিনিক, শান্তিমোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
#সাক্ষাত: রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার।
#সময়: বিকেল ৪টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত।
#সিরিয়াল: ০১৩৩১৭৪৭৪২২

07/07/2025

🔹অচেতনতা: Unconsciousness🔹

আমরা প্রতিদিন নানা রকম রোগ বা উপসর্গের মুখোমুখি হই, যার মধ্যে একটি ভয়াবহ ও জীবনঝুঁকিপূর্ণ উপসর্গ হলো অচেতনতা বা Unconsciousness।

🔹অচেতনতা কাকে বলে?

অচেতনতা হলো এমন এক অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি বাইরের উত্তেজনায় (যেমন—আওয়াজ, স্পর্শ, ব্যথা) সাড়া দেন না এবং স্বাভাবিক শারীরিক কাজকর্ম করতে অক্ষম হন। মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

এই অবস্থা কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনও থাকতে পারে।

🔹 অচেতনতার সম্ভাব্য কারণ:

১.মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়া
-স্ট্রোক (Stroke)
-হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়া
-হার্টের সমস্যা

২.মস্তিষ্কে আঘাত:
-মাথায় আঘাত বা ট্রমা
-মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ

৩.রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়া (Hypoglycemia)
-ডায়াবেটিক রোগীর ইনসুলিনের অতিরিক্ত মাত্রা
-না খেয়ে থাকা

৪.মৃগী রোগ (Epilepsy)
-খিঁচুনির শুরুতে বা পরে চেতনা হারিয়ে ফেলা

৫.অক্সিজেনের ঘাটতি:
-শ্বাসকষ্ট, গ্যাস বা ধোঁয়ার কারণে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়া

৬.ওষুধ বা বিষক্রিয়া
-ঘুমের ওষুধ বা এলকোহলের অতিরিক্ত ব্যবহার
-বিষাক্ত পদার্থ সেবন

৭.ইনফেকশন বা জ্বর
-মেনিনজাইটিস
-এনসেফালাইটিস
-টক্সিক শক সিনড্রোম

🔹অচেতন রোগীর ক্ষেত্রে প্রাথমিক করণীয়:

1.রোগীকে নিরাপদ স্থানে শুইয়ে দিন – বাম দিকে কাত করে (Left Lateral Position)।

2.জ্ঞান আছে কি না পরীক্ষা করুন – ডাকে সাড়া দেয় কিনা দেখুন।

3.শ্বাস-প্রশ্বাস যাচাই করুন – শ্বাস নিচ্ছে কি না দেখুন, না থাকলে CPR শুরু করুন।

4.মুখে কিছু দেবেন না – অচেতন অবস্থায় কিছু খাওয়ানো মারাত্মক হতে পারে।

5.বমি করলে মাথা পাশে ঘুরিয়ে দিন – যাতে শ্বাসনালীতে ঢুকে না যায়।

6.দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান – যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিতে হবে।

🔹কখন দ্রুত চিকিৎসা জরুরি?

-রোগীর জ্ঞান ফিরছে না
-খিঁচুনি হচ্ছে
-শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
-রক্তচাপ বা পালস পাওয়া যাচ্ছে না
-মাথায় আঘাত ছিল
-অজানা বিষ বা ওষুধ খাওয়ার সন্দেহ

🔹অচেতনতা প্রতিরোধে যা করণীয়:

➤ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত চেকআপ করুন
➤দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকবেন না
➤উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের চিকিৎসা নিন
➤ঘুমের ওষুধ, এলকোহল বা বিষাক্ত পদার্থ থেকে দূরে থাকুন

অচেতনতা এমন একটি উপসর্গ যার কারণ হতে পারে কোন প্রাণঘাতী রোগ। তাই দেরি না করে দ্রুত কোন চিকিৎসককে দেখান বা হাসপাতালে রুগীকে নিয়ে যান।

ডা. মোঃ #জামিরুল ইসলাম
সহকারী রেজিস্ট্রার
নিউরোমেডিসিন বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

#চেম্বার : সেবা ক্লিনিক, শান্তিমোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
#সাক্ষাত: রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার।
#সময়: বিকেল ৪টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত।
#সিরিয়াল: ০১৩৩১৭৪৭৪২২

06/07/2025

🔹ফি দিয়ে অনলাইনে চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ🔹

ব্যস্ততার কারনে বা দূরত্বের কারনে অনেকে সরাসরি চেম্বারে আসতে পারেন না।

তাই চেম্বারে রোগী দেখার পাশাপাশি তাদের অনুরোধে আজ থেকে চালু করলাম- 'ফি এর বিনিময়ে অনলাইনে চিকিৎসা পরামর্শ'।

🔹যে মাধ্যমে রুগী দেখা হবে:
১। WhatsApp
২। Messenger
৩। Imo

🔹সময়: প্রতিদিন
সকাল ৭:৩০টা থেকে ৮:৩০ টা
ও রাত ৯:৩০ টা থেকে ১১টা।

🔹নিয়মাবলী:
১। অনলাইন অ্যাপয়নমেন্ট এর জন্য প্রথমে Dr. Md. Jamirul Islam পেজের ইনবক্স এ মেসেজ দিন।

২। তারপর বিকাশ বা নগদে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে একটি মোবাইল নাম্বার দেওয়া হবে।

৩। তারপর সেই নাম্বারে ফি সেন্ড মানি করার পর নিম্নোক্ত তথ্য লিখে পেজে মেসেজ দিতে হবে:

➤রুগীর নাম:
➤বয়স:
➤যে নাম্বার থেকে টাকা পাঠিয়েছেন সে নাম্বার:

৪। তারপর চেক করে আপনাকে অ্যাপয়নমেন্ট দেওয়া হবে ও অনলাইন পরামর্শ এর সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।

৫।যেকোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ নাম্বার: ০১৩৩১৭৪৭৪২২

অনলাইনে সেবা নিন
সুস্থ থাকুন

04/07/2025

✅ডেংগু জ্বর

বর্ষাকাল এলেই আমাদের দেশে ডেংগু জ্বরের প্রকোপ দেখা যায়। মশাবাহিত এই ভাইরাল রোগটি অনেক ক্ষেত্রেই ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, যদি শুরুতেই লক্ষণগুলো চিনে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।



✅ ডেংগু জ্বরের সাধারণ লক্ষণসমূহ:

1.উচ্চ জ্বর (১০১–১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট)
2.পাতলা পায়খানা ও পেট ব্যথা।
3.চোখের পেছনে ব্যথা
4.পেশি ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা (যাকে অনেকে "ব্রেক বোন ফিভার" তথা হাড় ভাঙ্গা ব্যথা বলেন)
5.বমি বা বমিভাব
6.ত্বকে র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি
7.তীব্র মাথাব্যথা ।

✅ কী করবেন, কী করবেন না?

✅ যা করবেন:
➤প্রচুর বিশুদ্ধ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খান
➤পূর্ণ বিশ্রামে থাকুন
➤ডাক্তারের পরামর্শে প্যারাসিটামল খান।
➤নিয়মিত CBC পরীক্ষা করে প্লেটলেট কাউন্ট, হেমাটোক্রিট লেভেল, টোটাল WBC কাউন্ট দেখতে হবে।
➤চিকিৎসক এর পরামর্শে প্রয়োজনে অন্যান্য রক্ত পরীক্ষা করান।
➤জ্বর বা পাতলা পায়খানা শুরু হলে দেরি না করে হাসপাতালে যান।

❌ যা করবেন না:

➤নিজে থেকে এন্টিবায়োটিক বা ব্যথানাশক (যেমন: আইবুপ্রোফেন, ডাইক্লোফেনাক) সেবন করবেন না
➤জ্বর বা পাতলা পায়খানাকে হালকাভাবে নেবেন না
➤মশার কামড়কে অবহেলা করবেন না

✅প্রতিরোধই সবচেয়ে ভালো প্রতিকার

ডেংগু নিরাময়যোগ্য হলেও এর কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক নেই। তাই প্রতিরোধই একমাত্র উপায়:

➤বাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখুন
➤দিনে এবং রাতে মশারি ব্যবহার করুন
➤ফুলহাতা জামা পরুন
➤ঘরের জানালায় মশা প্রতিরোধী নেট ব্যবহার করুন

ডা. মোঃ জামিরুল ইসলাম
সহকারী রেজিস্ট্রার,
নিউরোমেডিসিন বিভাগ,
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

#চেম্বার: সেবা ক্লিনিক, শান্তিমোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
#সাক্ষাত: প্রতি রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার, #সময়: বিকেল ৪টা হতে রাত ৯টা।
#সিরিয়াল:০১৩৩১৭৪৭৪২২

27/06/2025

#নিউরোমেডিসিন সম্পর্কিত রোগের লক্ষণঃ

অনেকে নিউরোমেডিসিন সম্পর্কিত রোগের লক্ষণ বা রোগগুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাই রোগীদের সুবিধার্থে সহজ বাংলায় নিউরোমেডিসিন সম্পর্কিত রোগের লক্ষণগুলো কিছুটা তুলে ধরলাম:

১.মাথাব্যথা, মাইগ্রেন
২.মাথা ঘোরা ও ঝিমঝিম করা
৩.হাত পা কনকন করা
৪.হাত পা ঝিনঝিন করা
৫.হাত পা জ্বালাপোড়া করা
৬.হাত পায়ে শিটাস লাগা
৭.হাত পায়ে অবশ ভাব
৮.হাত পায়ে সু্ঁই ফুড়ার অনুভূতি
৯.শরীর আবোধা লাগা
১০.হাত পায়ে টান ধরা
১১.হাত পায়ের মাংস চাবানো
১২.হাত পা বিষবিষ করা
১৩.ঘুম জনিত সমস্যা
১৪.রগ এর সমস্যা
১৫.স্ট্রোক, প্যারালাইসিস
১৬.হাত পায়ের শক্তি কমে যাওয়া
১৭.হাঁটা চলার অসুবিধা/ ভারসাম্যহীনতা
১৮.মুখ বেঁকে যাওয়া
১৯.ঘাড়, কোমর ও মেরুদণ্ডের ব্যথা
২০.মাংসপেশী শুকিয়ে যাওয়া
২১.খিঁচুনি, মৃগীরোগ
২২.হাত পা এর কাঁপুনি
২৩.অজ্ঞান হওয়া
২৪.অটিজম
২৫.স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
২৬.ব্রেইন ও নার্ভ এর অন্যান্য সমস্যা।

ডা. মোঃ #জামিরুল ইসলাম
সহকারী রেজিস্ট্রার,
নিউরোমেডিসিন বিভাগ,
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

#চেম্বার: সেবা ক্লিনিক, শান্তিমোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
#সাক্ষাত: প্রতি রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার #সময়: বিকেল ৪টা হতে রাত ৯টা।
#সিরিয়াল: ০১৭৩৩১-৭৪৭৪২২

26/06/2025

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫ এর সকল পরীক্ষার্থীর জন্য রইলো শুভকামনা

25/06/2025

🔹ঘাড় ব্যথা🔹

সকালের আলোয় চোখ মেলতেই টের পেলেন—ঘাড় ঘোরাতে পারছেন না, চুল আঁচড়াতে গেলে ব্যথা, সোজা তাকাতে গেলেও ব্যথা, যেন এক অদৃশ্য শিকলে বাঁধা আছে ঘাড়টা।

এই যন্ত্রণার নাম—ঘাড় ব্যথা।

🎯 ঘাড় ব্যথা কেন হয়?

আমাদের ঘাড়ে আছে ৭টি কশেরুকা (cervical vertebrae), যাদের উপর পুরো মাথার ভার। এই ভার যদি আপনার ভুল অভ্যাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভুলভাবে চাপ পড়ে, তখনই শুরু হয় সমস্যা।

সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলো হলো:

➤মোবাইল বা ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ নিচু হয়ে থাকা
➤অফিস ডেস্কে একটানা বসে কাজ
➤উঁচু বালিশে ঘুমানো
➤দুর্ঘটনায় হঠাৎ ঘাড়ে টান পড়া (Whiplash injury)
➤বয়সজনিত হাড়ের ক্ষয় (Cervical Spondylosis)
➤অতিরিক্ত মানসিক চাপ

🚨 কখন দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?

➤ব্যথা ক্রমশ বাড়ছে বা এক সপ্তাহেও কমছে না
➤হাত বা আঙুল দুর্বল হয়ে যাচ্ছে
➤জ্বর, ওজন কমে যাওয়া বা রাতের বেলায় ব্যথা বেশি হচ্ছে
➤হঠাৎ আঘাত বা দুর্ঘটনার পর ব্যথা শুরু
➤ব্যথা মাথাব্যথার সাথে একসাথে হচ্ছে

🩺 চিকিৎসা কীভাবে হয়?
অধিকাংশ ঘাড় ব্যথার চিকিৎসা হয় ঔষধ, বিশ্রাম এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কিছু না করাই উত্তম।

🧘‍♂️ প্রতিরোধই সবচেয়ে বড় চিকিৎসা

ঘাড় ব্যথা বন্ধ করতে চাইলে — দৈনন্দিন জীবনে কিছু সহজ পরিবর্তন আনুন:

✔️ চোখের সমান উচ্চতায় স্ক্রিন ব্যবহার করুন
✔️ প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর ২ মিনিট ঘাড় নাড়ান
✔️ সোজা হয়ে বসার অভ্যাস গড়ুন
✔️ মোটা বালিশ পরিহার করুন
✔️ প্রতিদিন ১০ মিনিট ঘাড়ের হালকা স্ট্রেচিং করুন

❌ ঘাড় ব্যথা হলে যা কখনো করবেন না:

➤বারবার ঘাড়ে টান দেওয়া বা জোর করে নাড়ানো
➤যন্ত্রপাতি দিয়ে নিজে ম্যাসাজ করা
➤ইচ্ছেমতো ব্যথার ওষুধ খাওয়া

তাই ঘাড়ব্যথা হলে দেরি না করে একজন চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।

ডা. মোঃ #জামিরুল ইসলাম
সহকারী রেজিস্ট্রার
নিউরোমেডিসিন বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

#চেম্বার : সেবা ক্লিনিক, শান্তিমোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
#সাক্ষাত: রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার।
#সময়: বিকেল ৪টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত।
#সিরিয়াল: ০১৩৩১৭৪৭৪২২

18/06/2025

✅ Post-Viral Fatigue: ভাইরাস চলে গেলেও ক্লান্তি কেন থাকে?

সাধারণ সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেংগু, চিকুনগুনিয়া কিংবা কোভিড-১৯—এই সব ভাইরাল ইনফেকশন আমরা জীবনে এক বা একাধিকবার পেরিয়ে এসেছি। ভাইরাস চলে যাওয়ার পর অনেকেই ভাবেন, “এই তো ভালো হয়ে গেলাম।” কিন্তু দেখা যায়, রোগ সেরে গেলেও শরীর ও মনে যেন এক অদৃশ্য ক্লান্তি রয়ে যায়। দিনভর অলস লাগা, কাজ করতে ইচ্ছা না হওয়া, ঘুমিয়েও ঘুম না আসা, মাথা ব্যথা—এসব উপসর্গ নিয়ে শুরু হয় Post-Viral Fatigue।

✅ Post-Viral Fatigue আসলে কী?

Post-viral fatigue হলো ভাইরাল সংক্রমণের পর শরীরে দীর্ঘস্থায়ী দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করা, যেখানে রোগের প্রধান উপসর্গগুলো সেরে গেলেও ক্লান্তি কেটে যায় না। এটি কিছুদিন থেকে শুরু করে মাসখানেক বা তারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। তবে সাধারণত ২-৪ সপ্তাহ থাকে।

✅ লক্ষণসমূহ:

➤স্থায়ী ও অসহনীয় ক্লান্তি (চেষ্টা করেও কাজ করতে না পারা)
➤মাথা ঝিমঝিম করা
➤মনোযোগে ঘাটতি, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া
➤ঘুমের সমস্যা
➤পেশি বা জয়েন্টে ব্যথা
➤হালকা পরিশ্রমেও দম ধরে আসা
➤মানসিক অস্থিরতা, হতাশা

✅ কেন হয় এই ক্লান্তি?

১.ইমিউন সিস্টেমের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া: ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শরীরে ইনফ্ল্যামেটরি কেমিক্যাল (সাইটোকাইন) বেড়ে যায়, যা সেরে যাওয়ার পরও কিছু সময় থেকে যায়।
২.নিউরোলজিক্যাল প্রভাব: কিছু ভাইরাস স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে, যার ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা সাময়িকভাবে কমে যায়।
৩.মেটাবলিক বা হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা
৪.ঘুম ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
৫.মানসিক চাপ ও উদ্বেগ

✅ কে বেশি ঝুঁকিতে?

➤যাদের ভাইরাল সংক্রমণ তীব্র ছিল
➤যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল
➤যাদের আগে থেকেই মানসিক উদ্বেগ বা হতাশা আছে
➤যাদের কাজের চাপ বেশি

✅চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:

পোস্ট-ভাইরাল ফ্যাটিগের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ মানলেই এই ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব:

✔ধীরে ধীরে রুটিনে ফেরা: বিশ্রাম ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করুন। হঠাৎ করেই আগের মতো কাজ করতে যাবেন না।

✔ ঘুম ঠিক রাখুন: পর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

✔পর্যাপ্ত পানি ও পুষ্টিকর খাবার খান: দুধ, ডিম, শাকসবজি, ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

✔ হালকা ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন হালকা হাঁটা বা যোগ ব্যায়াম ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।

✔স্ট্রেস কমান: মেডিটেশন, বন্ধু-পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, প্রার্থনা এসব মানসিক শান্তি দিতে পারে।

✔ প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: যদি উপসর্গগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় বা আরও খারাপ হয়, তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।

Post-viral fatigue হলো একপ্রকার শারীরিক ও মানসিক পুনর্গঠনের সময়। এটা কোনো দুর্বলতার চিহ্ন নয়, বরং আপনার দেহ ও মন আপনাকে “ধীরে চলো” বলছে। তাই নিজের শরীরকে সময় দিন, বিশ্রাম দিন। ধীরে ধীরে আপনি আগের মতোই সুস্থ ও কর্মক্ষম হয়ে উঠবেন।

স্বাস্থ্যবান থাকুন, সচেতন থাকুন।

ডা. মোঃ জামিরুল ইসলাম
সহকারী রেজিস্ট্রার
নিউরোমেডিসিন বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

#চেম্বার : সেবা ক্লিনিক, শান্তিমোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
#সাক্ষাত: রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার।
#সময়: বিকেল ৪টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত।
#সিরিয়াল: ০১৩৩১৭৪৭৪২২

17/06/2025

✅ ডার্মাটোমায়োসাইটিস:
ত্বক ও মাংসপেশির রোগ

ধরুন, কারো চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতে সমস্যা হচ্ছে বা কেউ চুল আঁচড়ানোর জন্য হাত উপরে তুলতে পারছে না এরকম লক্ষণ এর কথা বলছে। এরকম ক্ষেত্রে ভাবনায় আসতে পারে ডার্মাটোমায়োসাইটিস নামক একটি বিরল মারাত্মক রোগ।

এটি পেশি এবং ত্বকে একসাথে প্রভাব ফেলে। রোগীর দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) ভুলবশত নিজের পেশি ও ত্বকের কোষগুলিকে আক্রমণ করে, যার ফলে দুর্বলতা ও চর্মরোগ দেখা দেয়।

✅রোগের লক্ষণসমূহ:

ডার্মাটোমায়োসাইটিস সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয়, তবে হঠাৎ করেও দেখা দিতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

✔পেশির দুর্বলতা:
➤কাঁধ, ঊরু ও ঘাড়ের পেশিতে ব্যথাহীন দুর্বলতা ফলে
-সিঁড়ি ভাঙা,
-বসা থেকে উঠা,
-চুল আঁচড়ানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।

✔ত্বকের পরিবর্তন:
➤চোখের পাতায় বা গালে বেগুনি বা লালচে ফুসকুড়ি,
➤গট্রন সাইন (Gottron's papules – হাতের গিঁটের ওপর লালচে চাকা)
➤V sign বা shawl sign (গলায়, বুকে বা পিঠে র‍্যাশ)
➤গলা ব্যথা বা গিলতে কষ্ট
➤জ্বর,
➤ওজন কমে যাওয়া ও ক্লান্তিভাব।

✅রোগের কারণ:
➤এটি অটোইমিউন রোগ, অর্থাৎ দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের শরীরকেই আক্রমণ করে।

➤কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাস সংক্রমণ, জেনেটিক ফ্যাক্টর, বা ক্যান্সারের সাথেও সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে।

✅ রোগ নির্ণয় (Diagnosis)

➤রক্ত পরীক্ষা (CPK, ANA, Anti-Mi-2, Ku antibody ইত্যাদি)
➤ইএমজি (EMG – পেশির বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরীক্ষা)
➤এমআরআই (MRI – পেশির প্রদাহ দেখা)
➤পেশি ও ত্বকের বায়োপসি

✅ চিকিৎসা:
ডার্মাটোমায়োসাইটিস একটি চ্যালেঞ্জিং রোগ, তাই ত্বকে অস্বাভাবিক র‍্যাশ বা পেশির দুর্বলতা দেখা দিলে দ্রুত #নিউরোমেডিসিন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডা. মোঃ জামিরুল ইসলাম
সহকারী রেজিস্ট্রার
নিউরোমেডিসিন বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

#চেম্বার : সেবা ক্লিনিক, শান্তিমোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
#সাক্ষাত: রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার।
#সময়: বিকেল ৪টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত।
#সিরিয়াল: ০১৩৩১৭৪৭৪২২

14/06/2025

✅ পায়ে টান ধরা:

পায়ে টান ধরা বা Muscle cramp একটি ভীষণ অস্বস্তিকর উপসর্গ, যা হঠাৎ করে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথাসহকারে শক্ত হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেখা দেয়। এই সমস্যাটি সাধারণত সাময়িক হলেও বারবার বা দীর্ঘস্থায়ী হলে এর পেছনে স্নায়বিক, বিপাকীয় বা রক্ত চলাচলের সমস্যাও লুকিয়ে আছে কিনা তা দেখতে হবে।

✅ পায়ে টান ধরার কারণসমূহ:

১.ফিজিওলজিক্যাল:

➤ মাংসপেশির অতিরিক্ত ব্যবহার: বেশি মাত্রার ব্যায়াম (vigorous exercise) বা শারিরীক পরিশ্রম করলে শরীরে পানি ও লবণঘাটতি দেখা দেয়।
➤এক ভঙ্গিমায় দীর্ঘ সময় বসে থাকা
➤বয়স বাড়ার সাথে সাথে রাতের বেলায় টান ধরার প্রবণতা বাড়ে।

২.ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা: সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাটতির ফলে স্নায়ু ও পেশির স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।

৩.বিপাকীয় সমস্যা:

➤ডায়াবেটিস : ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
➤হাইপোথাইরয়ডিজম: থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতির কারণে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে।
➤Chronic kidney disease (CKD) – ইউরিয়া ও টক্সিন জমে পেশি সংকোচনে সমস্যা তৈরি হয়

৪.ওষুধ এর পার্শপ্রতিক্রিয়া:
➤ডাইউরেটিকস– পানি ও পটাশিয়ামের ঘাটতি তৈরি করে
➤স্ট্যাটিন – পেশিতে ব্যথা ও টান ধরার অন্যতম কারণ
➤নিফেডিপিন বা বেটা ব্লকার জাতীয় কিছু ওষুধ

৫.নিউরোলোজিক্যাল সমস্যা:

➤মোটর নিউরন ডিজিজ
➤পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি
➤লাম্বার রেডিকুলোপ্যাথি (মেরুদণ্ডের নিচের অংশে স্নায়ু চেপে যাওয়া)

🧪 কিভাবে নির্ণয় করা হয়? (Diagnosis)

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি clinical diagnosis, তবে নিচের পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে:

➤Serum electrolytes – Na⁺, K⁺, Ca²⁺, Mg²⁺
➤Renal & liver function tests
➤Thyroid function test
➤Blood glucose (ডায়াবেটিস নির্ধারণে)
➤EMG (Electromyography) – স্নায়ু ও পেশির মধ্যে বৈদ্যুতিক কার্যক্রম নিরূপণে

💊 চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা (Management)

১.সাধারণ পরামর্শ:

➤পায়ের মাংসপেশি হালকা স্ট্রেচিং করা
➤পর্যাপ্ত পানি পান করা (বিশেষ করে ব্যায়ামের পরে)
➤ঘুমানোর সময় পায়ের পজিশন ঠিক রাখা
➤ম্যাসাজ এবং গরম পানির সেঁক

২.ওষুধ (প্রয়োজনে):
চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী।

⚠️ কখন সতর্ক হবেন?

➤ঘন ঘন ও দীর্ঘস্থায়ী টান
➤দুর্বলতা বা সংবেদনশীলতার পরিবর্তন
➤একপাশে টান ও ব্যথা একত্রে হলে
➤রাতে ঘন ঘন ঘুম ভেঙে গেলে।

#পায়ে #টান ধরা সাধারণ সমস্যা হলেও এটি বিভিন্ন metabolic, neurological অথবা electrolyte imbalance এর উপসর্গ হতে পারে।

তাই একে হালকা ভাবে না নিয়ে একজন #নিউরোমেডিসিন চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।

ডা. মোঃ জামিরুল ইসলাম
সহকারী রেজিস্ট্রার
নিউরোমেডিসিন বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

#চেম্বার : সেবা ক্লিনিক, শান্তিমোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
#সাক্ষাত: রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার।
#সময়: বিকেল ৪টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত।
#সিরিয়াল: ০১৩৩১৭৪৭৪২২

Address

Nawabganj

Opening Hours

Monday 16:00 - 21:00
Tuesday 16:00 - 21:00
Wednesday 16:00 - 21:00
Thursday 16:00 - 21:00
Friday 10:00 - 16:00
Sunday 16:00 - 21:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Jamirul Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share