19/10/2024
শিশুরা হচ্ছে কাঁদা মাটির মতো—এ কথা অনেকটাই সত্য। কারণ একটি শিশু তার চারপাশের পরিবেশ, মাতাপিতা, শিক্ষক এবং সমাজের দ্বারা গঠিত ও প্রভাবিত হয়। শিশুদের মন ছোটবেলায় খুবই কোমল ও গ্রহণক্ষম থাকে। এসময় তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের ভিত্তি গড়ে ওঠে। ঠিক যেমন কাঁদা মাটিকে নানা রূপে গড়ে তোলা যায়, তেমনি শিশুদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনা ও যত্ন দিয়ে সুশিক্ষিত ও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
প্রথমেই মাতাপিতার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা শিশুর প্রথম শিক্ষক। শিশুরা পরিবারের সদস্যদের আচরণ, কথাবার্তা ও মানসিকতা অনুকরণ করে। যদি বাবা-মা তাদের সন্তানের সামনে ভালো উদাহরণ স্থাপন করেন, যেমন নম্রতা, শৃঙ্খলা, এবং পরিশ্রমের মূল্যবোধ শেখান, তবে শিশু সেই গুণাবলী অর্জন করতে পারে। অন্যদিকে, যদি শিশুরা নেতিবাচক আচরণ দেখে বড় হয়, তাহলে তারা সহজেই ভুল পথে পরিচালিত হতে পারে।
তাছাড়া, শিশুর শিক্ষাজীবনে শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন শিক্ষকও কাঁদা মাটির মতো এই শিশুকে তার ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করেন। শিক্ষার মাধ্যমেই শিশুরা শৃঙ্খলা, নৈতিকতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।
তবে শুধুমাত্র শিক্ষাব্যবস্থাই নয়, সমাজও শিশুর বিকাশে বড় প্রভাব ফেলে। শিশুরা তাদের চারপাশের সামাজিক মূল্যবোধ, সংস্কৃতি এবং আচরণের সঙ্গে পরিচিত হয়ে বেড়ে ওঠে। সমাজ যদি ইতিবাচক ও সুস্থ থাকে, তবে শিশুর মানসিক বিকাশও সুন্দর হবে।
সর্বোপরি, শিশুরা সত্যিই কাঁদা মাটির মতো, এবং মাতাপিতা ও সমাজ তাদেরকে যেভাবে গঠন করবে, তারাই ভবিষ্যতের মানুষ হয়ে উঠবে। তাই শিশুদের গঠনে সচেতনতা, সঠিক শিক্ষা, ভালো মূল্যবোধ এবং সুস্থ পরিবেশ প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।