Ali Homeo Clinic আলী হোমিও ক্লিনিক

Ali Homeo Clinic আলী হোমিও ক্লিনিক এখানে পঞ্চাশ সহস্রতমিক ঔষধ দ্বারা চি?

লো প্রেশার হলে যেসব খাবার খাবেন.....
31/01/2025

লো প্রেশার হলে যেসব খাবার খাবেন.....

কিডনিতে পাথর হলে যে সকল লক্ষণ দেখা দেয়-
27/01/2025

কিডনিতে পাথর হলে যে সকল লক্ষণ দেখা দেয়-

প্রতিদিন বেশি বেশি করে পানি পান করুন
27/01/2025

প্রতিদিন বেশি বেশি করে পানি পান করুন

27/01/2025
27/01/2025
27/01/2025
Vitamin for human body....
27/01/2025

Vitamin for human body....

মানব দেহের  তথ্যঃ1: হাড়ের সংখ্যা: 2062: পেশী : 6393: কিডনি কাউন্ট: 24: দুধের দাঁতের সংখ্যা: 205: পাঁজর সংখ্যা: 24 (12 জ...
11/07/2024

মানব দেহের তথ্যঃ

1: হাড়ের সংখ্যা: 206
2: পেশী : 639
3: কিডনি কাউন্ট: 2
4: দুধের দাঁতের সংখ্যা: 20
5: পাঁজর সংখ্যা: 24 (12 জোড়া)
6: হার্ট রুম নম্বর: 4
7: বৃহত্তর ধমনী: আর্তা
8: সাধারণ রক্তচাপ: 120/80 mmhg
9: ফোন রক্ত: 7.4
10: মেরুদন্ডে ভারটেব্রা সংখ্যা: 33
11: ঘাড়ে ভেরটেব্রে সংখ্যা: 7
12: মাঝ কানে হাড়ের সংখ্যা: 6
13: মুখের হাড়ের সংখ্যা: 14
14: মাথার খুলিতে হাড়ের সংখ্যা: 29
15: বুকের হাড়ের সংখ্যা: 25
16: হাতে হাড়ের সংখ্যা: 60
17: মানুষের হাতের পেশীর সংখ্যা: 72
19: সবচেয়ে বড় অঙ্গ: ত্বক
20: সবচেয়ে বড় খাবার: লিভার
21: বৃহত্তম সেল: মহিলাদের ডিম
22: ক্ষুদ্রতম কোষ: শুক্রাণু কোষ
23: সবচেয়ে ছোট হাড়: মধ্য কানের যাত্রী
24: প্রথম সদস্য ইমপ্ল্যান্ট: কলেজ
25: পাতলা অন্ত্রের গড় দৈর্ঘ্য: 7 m
26: বড় অন্ত্রের গড় দৈর্ঘ্য: 1.5 মি
27: নবজাতকের মধ্য ওজন: 3 কেজি
28: এক মিনিটে পালস রেট: 72 গুন
29: শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা: 37°c
30: গড় রক্ত আকার: 4 থেকে 5 লিটার
31: লাল রক্ত কোষ বয়স: 120 দিন
32: সাদা রক্ত কোষ বয়স: 10 থেকে 15 দিন
33: গর্ভাবস্থার সময়কাল: 280 দিন (40 সপ্তাহ)
34: মানুষের পায়ে হাড়ের সংখ্যা: 60
35: প্রতিটি কব্জিতে হাড়ের সংখ্যা: 8
36: হাতে হাড়ের সংখ্যা: 27
37: বৃহত্তম এন্ডোক্রিন: থাইরয়েড
38: বৃহত্তম লিম্ফাটিক অঙ্গ: স্প্লিন
40: সবচেয়ে বড় হাড় এবং শক্তিশালী হাড়: নারী
41: ক্ষুদ্রতম পেশী: স্টেপডিয়াস (মধ্যম কান)
41: ক্রোমোজোম সংখ্যা (রাজবংশ): 46 (23 জোড়া)
42: হাড়ের সংখ্যা বেবি নাসেন্ট: 300
43: রক্ত স্ত্রী: 4.5 থেকে 5.5
44: রক্তের গ্রুপ গ্লোবাল ডোনার
45: ব্লাড ওয়ার্ল্ড রিসেপশন গ্রুপ: এবি
46: সবচেয়ে বড় সাদা বল: মনোসাইট
47: সবচেয়ে ছোট সাদা বল: লিমফোসাইট
48: লাল রক্তকোষ বৃদ্ধিকে বলা হয়: পলিগ্লোবুলি
49: শরীরে ব্লাড ব্যাংক হচ্ছে: স্প্লিন
50: জীবন নদীকে বলা হয়: রক্ত
51: সাধারণ স্তরের রক্ত কোলেস্টেরল: 100 মিলিগ্রাম / ডিএল
52: রক্তের তরল অংশ হল: প্লাজমা

1.🚸একজন মানুষের শরীরে দেহের ওজনের ৭ শতাংশ পরিমান রক্ত থাকে।
2.🚸রক্তের সার্বজনীন দাতা গ্রুপ কি O
O- (সব মানুষকে দেওয়া যায়)‌।
O+ (O-,A-,B-,AB-, দিতে পারে না)।
3.🚸রক্তের সার্বজনীন গ্রহীতা গ্রুপ AB
AB-( O+,A+,B+,AB+, গ্রহণ করতে পারে না)
AB+( সবার থেকে গ্রহণ করতে পারেন)।
4.🚸একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে কোষের সংখ্যা ছয় লক্ষ কোটি থেকে দশ লক্ষ কোটি।
5.🚸অস্থির আবরনীর নাম - পেরিঅস্টিয়াম ।
6.🚸হৃদপিন্ডের আবরনীর নাম - পেরিকার্ডিয়াম।
7.🚸কিডনীর আবরনীর নাম - ক্যাপসুল।
8.🚸যকৃতের আবরনী নাম - পেরিটোনিয়াম।
9.🚸ফুসফুসের আবরনীর নাম - প্লুরা।
10.🚸লালাগ্রন্থীর আবরনীর নাম - এপিথেলিয়াম
11.🚸মস্তিষ্কের আবরনীর নাম - মেনিনজেস
12.🚸শুক্রাশয়ের আবরনীর নাম -মেসোরকিয়াম
13.🚸ডিম্বাশয়ের আবরনীর নাম - মেসোভেরিয়াম
14.🙋পুংজনন গ্রন্থিতে পাওয়া যায় – টেস্টোসটেরন
15.🙋স্ত্রীজনন গ্রন্থিতে পাওয়া যায় – ইস্ট্রোজেন।
16.🙋রক্ত সংবহন তন্ত্র আবিস্কার করেন – উইলিয়াম হার্ভে।
17.🙋রক্তের গ্রুপ আবিস্কার করেন – ল্যান্ড স্টীনার।
18.🚸মানুষের রেচন অঙ্গগুলি হলো – ত্বক, ফুসফুস, যকৃত ও বৃক্ক।
19.🚸প্রধান রেচন অঙ্গ – বৃক্ক প্রায় ৭৫% নিষ্কাষন করে।
20.🚸বৃক্ক দেখতে অনেকটা – সীমের বীজের মতো
21.🙋শব্দ দূষনের ফলে সৃষ্টি হয় – উচ্চ রক্তচাপ।
22.🙋মানুষের মস্তিস্কের ওজন – ১.৫০ কেজি।
23.🙋নাড়ীর স্পন্দন প্রবাহিত হয় – ধমণীর মধ্য দিয়ে।
24.🙋রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে – রক্ত শুন্যতা সৃষ্টি হয়।
25.🙋ডায়াবেটিস রোগ হয় – ইনসুলিনের অভাবে।
26.🙋ডায়াবেটিস রোগির রক্তে বৃদ্ধি পায় – গ্লুকোজ।
27.🙋মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ ও রক্ত বাঁধাকে বলে – স্ট্রোক
28.🙋হিমােসাইটোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে রক্তকণিকার সংখ্যা নির্ণয় করা যায় ।
29.🙋হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রিত হয় দেহের হাইপোথ্যালামাস অংশ দ্বারা।
30.🙋একটি বৃক্কে নেফ্রনের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ
31.🙋ক্ষুদ্রান্ত্রের দৈর্ঘ্য ৬ মিটার
32.🙋মানবদেহে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হাইপোথ্যালামাস
33.🙋 মানুষের লালায় টায়ালিন এনজাইম থাকে ।
34.🙋স্নায়ুতন্ত্রের গাঠনিক একক নিউরন।
35.🙋রেচনতন্ত্রের গাঠনিক একক নেফ্রন।
36.🙋কংকালতন্ত্রের গাঠনিক একক অস্থি।
37.🙋যকৃতের গাঠনিক একক হেপাটোসাইট।
38.🙋হৃৎপিন্ড -মানবদেহের প্রাণ।
39.🙋যকৃত -জীবন-সমুদ্রের কর্মমুখর পােতাশ্রয়।
40.🙋অস্থি -রক্ত কনিকা তৈরীর কারখানা
41.🙋জল -ফ্লুইড অফ লাইফ
42.🙋ক্রোমােজোম - বংশগতির ভৌত ভিত্তি
43.🙋হরমোন - দেহের রাসায়নিক বার্তা বাহক।
44.🙋যকৃত- মানবদেহের ল্যাবরেটরী
45.🙋বৃক্ক -মানবদেহের ছাঁকনযন্ত্র
46.🙋হিমােগ্লোবিন -রবিন হুড অনু
47.🙋শ্বেতরক্তকনিকা -মানব দেহের আনুবীক্ষনিক সৈনিক।
48.🙋রাইবােসােম -প্রােটিন তৈরীর কারখানা
49.🙋অ্যামাইনাে অ্যাসিড -প্রােটিন তৈরীর কাঁচামাল
50.🙋RNA -প্রােটিন তৈরীর ব্লু-প্রিন্ট
51.🙋জিনোম -মাস্টার ব্লুপ্রিন্ট
52.🙋DNA -মাস্টার মলিকিউল
53.🙋কোন রোগ শরীরের কোন অংশে হয়

⚫একজিমা:- ত্বকে।
⚫ক্যাটরাকট(চক্ষুর ছানি):- চক্ষু।
⚫আরথ্রাইটিস(গেঁটেবাত):- গ্রন্থিসমূহে।
⚫জন্ডিস:- লিভার,চক্ষু,শরীর।
⚫টিউবারকিউলোসিস(যক্ষা):- ফুসফুসে।
⚫ট্রাকোমা:- চক্ষু।
⚫ডায়াবেটিস:- অগ্নাশয়।
⚫ডিপথেরিয়া:- গলা।
⚫নিউমোনিয়া:- ফুসফুস।
⚫পাইওনিরয়া:- দাঁতের মাড়ি।
⚫পাইলস:- নিম্নমনালীর শিরায়।
⚫মেনিনজাইটিস:- স্পাইনাল কর্ড ও মস্তিষ্ক।
⚫রিউমাটিজম(বাতরোগ) :- গ্রন্থি।
🙋স্নায়ুতন্ত্র👍
🚯স্নায়ুতন্ত্রের অবস্থান : মস্তিষ্ক ।
🚯মানব মস্তিষ্কের ওজন : 1200-1400 গ্রাম।
🚯মানব মস্তিষ্কের আয়তন : 1450 ঘনসেমি ।
🚯স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক : নিউরন।
🚯মানব শরীরের সবচেয়ে বড় কোশ- স্নায়ুকোশ।
🚯স্নায়ুকোশ বিভাজিত না হবার কারণ : সেন্ট্রিওলের অনুপস্থিতি।
🚯নিউরােন কী কী অংশ দ্বারা গঠিত :- কোশদেহ ও প্রলম্বিত অংশ।
🚯প্রলম্বিত অংশ কী কী দ্বারা গঠিত : আ্যাক্সন ও ডেনড্রন ।
🚯নিউরােনে অবস্থিত দীর্ঘ শাখাবিহীন প্রলম্বিত অংশ- অ্যাক্সন
54.ℹ️মানুষের করোটি স্নায়ু 12 জোড়া
🌞প্রথম: অলফ্যাক্টরি স্নায়ু
🌞দ্বিতীয়: অপটিক স্নায়ু
🌞তৃতীয়: অকিউলোমোটর স্নায়ু
🌞চতুর্থ: ট্রকলিয়ার স্নায়ু
🌞পঞ্চম: ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু
🌞যষ্ঠ: অ্যাবডুসেন্স স্নায়ু
🌞সপ্তম: ফেসিয়াল স্নায়ু
🌞অষ্টম: অডিটরি স্নায়ু
🌞নবম: গ্লসোফ্যারিঞ্জিয়াল স্নায়ু
🌞দশম: ভেগাস স্নায়ু
🌞একাদশ: স্পাইনাল অ্যাকসেসরি স্নায়ু
🌞দ্বাদশ: হাইপোগ্লসাল স্নায়ু

হোমিওপ্যাথ কে ?যাহা কিছু চক চক করে তাহাই যেমন সোনা নহে, তেমনই হোমিওপ্যাথিক ঔষধ রোগীতে প্রয়োগ করিলেই হোমিওপ্যাথ হওয়া যায় ...
15/05/2024

হোমিওপ্যাথ কে ?
যাহা কিছু চক চক করে তাহাই যেমন সোনা নহে, তেমনই হোমিওপ্যাথিক ঔষধ রোগীতে প্রয়োগ করিলেই হোমিওপ্যাথ হওয়া যায় না। যে কোন চিকিৎসকের একান্ত প্রয়োজনীয় সাধারণ গুণাবলী ছাড়াও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে কতকগুলি বিশেষ গুণের অধিকারী হইতে হইবে। তবেই তিনি হোমিওপ্যাথ নাম ধারণ করিবার যোগ্যতা অর্জন করিবেন বলিয়া আমার বিশ্বাস। অন্যথায় হোমিওপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথ সম্মন্ধে সাধারণের ভ্রান্ত ধারণার অবসান হইবে না। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা-শাস্ত্র সম্পূর্ণ আয়ত্ত করা খুবই দুরূহ বলিয়া আমি মনে করি। তথাপি সত্যের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা, অদম্য অধ্যবসায়, নিরলস প্রচেষ্টা এবং দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের দ্বারা এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে যথেষ্ট সাফল্য লাভ করা সম্ভব। অন্যের সমালোচনা নহে, আজ আমাদের আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্ম-সমালোচনার সময় আসিয়াছে – আমরা কে কতটুকু নিম্নোক্ত গুণাবলীর অধিকারী ?

(১) জীবিত মানুষের মধ্যে জীবনীশক্তির অস্তিত্বে বিশ্বাসী হইতে হইবে। সুস্থতা, রোগগ্রস্থতা এবং আরোগ্য জীবনীশক্তিরই রূপান্তর মাত্র এই উপলদ্ধিই হইল হোমিওপ্যাতিক শাস্ত্রের প্রথম সোপান। দুর্ভাগ্যবশতঃ জীবনীশক্তিতে বিশ্বাসী নহেন, এমন হোমিওপ্যাথের সংখ্যা নগণ্য নহে। তাই আমরা রক্তে ও প্রস্রাবে শর্করা কমাইতে সাইজিজিয়াম, রক্তের চাপ কমাইতে রাউলফিয়া, যকৃতে শক্তিবৃদ্ধিতে চেলিডোনিয়াম, কারডুয়াস প্রভৃতির মাদার টিনচারস্ হামেশাই ব্যবহার করিয়া আসিতেছি। সমগ্র মানুষকে বাদ দিয়া দেহ যন্ত্রের এবং জীবনীশক্তি বাদ দিয়া শুধুই মানুষটির চিকিৎসা চলিতেছে।

(২) ভেষজের এবং জীবাণুর সূক্ষ্ণ শক্তিতে বিশ্বাসী হইতে হইবে। জীবনী শক্তিতে বিশ্বাসী না হইলেও ঔষধের ও জীবাণুর সূক্ষ্ণ শক্তিতে বিশ্বাসী হওয়া সম্ভব নহে। তাই, আমরা সুনির্বাচিত ঔষধ নিম্নশক্তিতে এবং অধিক পরিমানে ব্যবহার করি তাহার বস্তুগত প্রতিক্রিয়া (Physiological action)-র আশায়। ফলে, শুধু, রোগীর কষ্টের সাময়িক উপশম দেওয়া ছাড়া, সারা জীবনে বহু হোমিওপ্যাথ একটিও চির-রোগের স্থায়ী নিরাময়ে সক্ষম হন না। ঔষধের গুণগত শক্তি (Dynamic action) যে অসীম ক্রিয়ার অধিকারী, তাহা যদি আমরা সম্যক উপলদ্ধি করিতে পারি, তবে কখনোই নিম্নশক্তিতে নিজেদেরকে আর আবদ্ধ রাখিতে প্রয়াস পাইব না । জীবাণুর সূক্ষ্ণ-শক্তিতেত বিশ্বাস নাই বলিয়াই আমাদের মধ্যে সংশয় দেখা দেয়—হোমিওপ্যথিক ঔষধ জীবাণু ধ্বংস করিতে পারে কি ? তাই, বিকোলাই, ম্যালেরিয়া, টিটেনাস, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগের নাম শুনিলে আমরা ভয় পাই এবং অন্য চিকিৎসাশাস্ত্রের শরণাপন্ন হইবার পরামর্শ দেই।

(৩) সত্যের প্রতি অনুরাগী হইতে হইবে এবং পরীক্ষালদ্ধ সত্য ঘটনাকেই একমাত্র হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করিতে হইবে। কোন প্রকার ভিত্তিহীন মতবাদ, যুক্তিহীন অভিজ্ঞতা বা নীতিহীন আশ্রয় গ্রহণ করো চলিবে না।

মহাত্মা হ্যানিম্যান গতানুগতিকতার স্রোতে নিজেকে ভাসাইয়া দেন নাই। পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষার দ্বারা যাহা অসত্য বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে, তাহাই ত্যাগ করিয়াছেন এবং একমাত্র পরীক্ষালদ্ধ সত্যকেই আঁকড়াইয়া ধরিয়াছেন। আজ আমরা তাঁহার আবিস্কৃত বৈজ্ঞানিক তথ্য ও সত্যকে শুধুমাত্র পুরাতন মতবাদের দোহাই দিয় আধুনিকতার খোলস পরাইতে চাহিতেছি। মাধ্যাকর্ষণ প্রভৃতি বৈজ্ঞানিক সত্য কি পুরাতন বলিয়া ত্যাগ করিতে হইবে? হ্যানিম্যান পৌনে দুইশত বৎসর পূর্বে যাহা বলিয়াছেন, বর্তমান যুগে তাহার পরিবর্তন প্রয়োজন, এই মতবাদের ধারক ও বাহকগণ উগ্র আধুনিকতার নামে হোমিওপ্যাথিতে পেটেন্ট, টনিক, একযোগে একাধিক ঔষধের প্রয়োগ, হোমিও-স্পেসিফিক প্রভৃতি অ-হোমিওপ্যাথিক পন্থার আশ্রয় গ্রহণ করিতেছেন এবং করিতে শিখাইতেছেন। পরিবর্তনেরর জন্যই পরিবর্তন, অভিজ্ঞতার নামে যথেচ্ছাচার প্রকৃত হোমিওপ্যাথ সৃষ্টির পথে আজ প্রধান অন্তরায় হইয়া দাঁড়াইয়াছে।

(৪) হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের প্রত্যেকটি ইন্দ্রিয় খুব প্রখর শক্তি-সম্পন্ন হওয়া একান্ত দরকার। দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, ঘ্রাণশক্তি, ইত্যাদির কোনটি কম শক্তি সম্পন্ন হইল সঠিক রোগী-চিত্র পাইতে অনেক সময় ষথেষ্ট অসুবিধা হয়।

(৫) পর্যবেক্ষণ করিবার উপযুক্ত মানসিকতা এবং একাগ্রতা থাকা চাই। রোগী-লিপি প্রস্তুত করিতে, ঔষধ ও রোগীচিত্র হৃদয়ঙ্গম করিতে এবং সর্বোপরি ঔষধ প্রয়োগের পর তাহার প্রতিক্রিয়া নির্ধারণ করিতে পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা প্রকৃত হোমিওপ্যাথ মাত্রই স্বীকার করিবেন। এই পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার অভাবই হোমিওপ্যাথিতে অসাফল্যের প্রধান কারণ বলিয়া মনে করি।

(৬) কোন প্রকার ভ্রান্ত, বদ্ধমূল ধারণার বশবর্তী হইলে চলিবে না। সত্যের নিকট আনুগত্য স্বীকার করিলে তবেই সর্বপ্রকার গোঁড়ামী ও ভ্রান্ত ধারণার অবসান সম্ভব। ভিত্তিহীন অভিজ্ঞতা হইতে গৃহীত ধারণা, পূর্বসূরীদের ভ্রান্ত ধারণার অন্ধ অনুকরণ এবং সহজে বাজিমাৎ করিবার কৌশল একবার বদ্ধমূল হইলে তাহা দূর করা অত্যন্ত দূরূহ। নিজে যাহা জানি বা বুঝি, তাহাই ঠিক; অন্যেরা কেহ কিছুই জানেন না বা বোঝেন না –এই বদ্ধমূল ধারণা হইতেই হোমিওপ্যাথিতে দলাদলির সৃষ্টি এবং রোগী ও ঔষধ সম্পর্কেও এই ধরনের বদ্ধমূল ধারণাই বহু অসাফল্যের কারণ।

(৭) বিশ্বস্ততার সহিত হ্যানিম্যানের নির্দেশিত পন্থায় রোগী-লিপি প্রস্তুত করিবার কৌশল আয়ত্ত করিতে হইবে। চিররোগে রোগী-লিপি ছাড়া চিকিৎসা করা অসম্ভব বলিয়াই আমার মনে হয়। রোগী-লিপি ছাড়া ঔষধের ক্রিয়া নির্ণয় করা বা দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্র দেওয়া কোন প্রকৃত হোমিওপ্যাথের পক্ষে সম্ভব নহে।

(৮) হোমিওপ্যাথিক রীতি অনুসারে রোগের উত্তেজক, ধারক ও বাহক কারণগুলি সম্যক উপলদ্ধি করিতে হইবে। জীবাণু রোগ সৃষ্টি করে –এ সম্বন্ধে সন্দেহের অবকাশ নাই। কিন্তু রোগসৃষ্টিতে জীবাণুর স্থান অনেক পরে। জীবাণুর পূর্বে এবং পরে আরও অনেক কারণ আছে, সেগুলি জানিলে তবেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্ভব।

(৯) রোগ-আরোগ্যের পথের বাধাগুলি সম্যক্ অবগত হইয়া তাহা দূরীকরণের জ্ঞান অর্জন করিতে হইবে। রোগী নিয়মিত মদ্যপান করে এবং রাত্রি জাগরণ করে। এসব ক্ষেত্রে নাক্সভমিকা যতই খাওয়ানো যাক না কেন, অভ্যাস পরিবর্তন না করাইলে আরোগ্য করা সম্ভব নহে। এইরূপ অনেক বাধা আছে। সেগুলি না জানিয়া শুধু ঔষধ নির্বাচন করিলেই প্রকৃত হোমিওপ্যাথের কর্তব্য শেষ হইবে না।

(১০) রোগ ও রোগীর পক্ষে ক্ষতিকর খাদ্য, পানীয়, অন্যান্য দ্রব্য, অভ্যাস ও পরিবেশ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন থাকিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে হইবে।

(১১) হোমিওপ্যাথির মূল নীতিগুলির উপর শ্রদ্ধাশীল হইতে হইবে এবং কোন কারণেই নীতি-বিগর্হিত পথে না চলিবার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করিতে হইবে। শুধু অতি দ্রুত কি উপায়ে ধনী হওয়া যায়, এই মানসিকতায়, চিন্তাভাবনাহীন ঔষধ নির্বাচনই অহোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রধান কারণ। গোঁড়ামীর আশ্রয় গ্রহণ না করিয়াও নিজের উপর আস্থা এবং হোমিওপ্যাথি-শাস্ত্রের উপর দৃঢ় বিশ্বাসের দ্বারা পূর্বোক্ত উদ্দেশ্য সাধন করা যায়—হয়ত বা একটু দেরীতে।

(১২) লক্ষণের মূল্যায়ণ ও তদ্বারা ঔষধ ও রোগীচিত্র সম্যক্ অবগত হওয়ার কঠিন প্রচেষ্টায় ব্রতী হইতে হইবে। লক্ষণের মূল্যায়ণ করিতে যিনি সক্ষম, হোমিওপ্যাথিতে সাফল্য তাঁহার করতলগত। খ্যাত, অখ্যাত যে চিকিৎসকের মধ্যেই এই বিশেষ গুণটি বিদ্যমান, তিনি আমার নমস্য।

(১৩) চিররোগে হ্যানিম্যানের দীর্ঘ ১২ বৎসরের নিরলস অনুসন্ধানের ফসল মায়াজম্ । এই মায়াজম্ তত্ত্বে বিশ্বাসী হইতে হইবে এবং মায়াজম্ বিরোধী ঔষধ প্রয়োগে চিররোগের মূলোচ্ছেদ করিবার কঠিন ব্রত গ্রহণ করিতে হইবে। অন্যথায় সারাজীবন শুধু রোগের সাময়িক উপশম দিয়াই সন্তুষ্ট থাকিতে হইবে। চির-রোগগ্রস্থ রোগীকে সম্পূর্ণ নিরাময় করিয়া যে শান্তি লাভ করা যায়, তাহা চিরকাল অজ্ঞাতই থাকিয়াই যাইবে।

(১৪) উচ্চশক্তিযুক্ত হোমিওপ্যাথিক ঔষধের অপব্যবহারের ফলে রোগীর যে অপরিমেয় ক্ষতি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হইতে পারে—ইহা সম্যক্ অবগত হইয়া, উচ্চশক্তিযুক্ত ঔষধ মুড়ি-মুড়কির ন্যায় প্রয়োগ করা হইতে বিরত হইতে হইবে। অন্যথায় অন্য কাহারো নিকট না হোক, নিজের বিবেকের নিকট অবশ্যই জবাবদিহি করিতে হইবে।

(১৫) সুনির্বাচিত উচ্চশক্তিযুক্ত এক মাত্রা ঔষধ প্রয়োগের ফলে কত রকমের পরিবর্তন সংঘটিত হইতে পারে, সেই সকল পরিবর্তনের তাৎপর্য কি এবং তাহার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্রে কি করণীয়, তাহা অনুধাবন করিবার মতে পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতার অধিকারী হইতে হইবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের প্রথম ব্যবস্থাপত্র মোটামোটি সুনির্বাচিত হয়। কিন্তু ঔষধ প্রয়োগের পর যে পরিবর্তন আসে আমরা তাহার তাৎপর্য অনুধাবন না করিয়াই দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্র দেই। ইহাই হোমিওপ্যথিতে অসাফল্যের সর্বাপেক্ষা প্রধান কারণ বলিয়া আমার বিশ্বাস।

(১৬) দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্র কি, কেন, কোথায়, কখন এবং কিভাবে নির্ণয় করিতে হইবে, সে সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞানলাভের চেষ্টা করিতে হইবে। একটি ঔষধ প্রয়োগের নীতিতে বিশ্বাসী হইতে হইবে। একত্রে যাঁহারা একাধিক ঔষধের ব্যবস্থাপত্র দেন, তাঁহারা কি করিয়া দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্র নির্ণয় করেন, তাহা আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের বাহিরে।

(১৭) কোন কোন ক্ষেত্রে সাময়িক উপশম-প্রদানকারী ঔষধের প্রয়োগ বিধেয় এবং অপরিহার্য্য। সেই সব ক্ষেত্রে উচ্চশক্তিযুক্ত আরোগ্যকারী ঔষধ প্রয়োগ করিলে রোগীর ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশী। হোমিওপ্যাথি মৃত লোক বাঁচাইতে পারে না। যে সব রোগীর আরোগ্যলাভ সম্ভব, সেই সব রোগীই আরোগ্যলাভ করে—একথা হ্যানিম্যান, ডাঃ কেন্ট প্রভৃতি সকলেই বলিয়াছেন। যে রোগীর জীবনীশক্তি এমন স্তরে নামিয়া গিয়াছে যে, ঔষধের ক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া করিবার শক্তি নাই – সেই সব রোগীকে আরোগ্যকারী ঔষধ উচ্চশক্তিতে প্রয়োগ করিলে প্রতিক্রিয়াস্বরূপ দেহযন্ত্রের বিপর্যয় অনিবার্য হইয়া উঠে এবং রোগী দ্রুত মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হইতে থাকে। এই সকল ক্ষেত্রে নিম্নশক্তির সাধারণ-ক্রিয়াশক্তিসম্পন্ন ঔষধ প্রয়োগ করিয়া রোগীকে যতটা সম্ভব উপশম দেওয়ার চেষ্টা করাই প্রকৃত চিকিৎসকের একমাত্র কর্তব্য।

(১৮) ঔষধের ক্রিয়াকাল জানিতে হইবে এবং তদনুসারে প্রথম ব্যবস্থাপত্রের ফল নির্ধারণ করিতে হইবে। গভীর-ক্রিয়াশক্তিসম্পন্ন কোন ঔষধ প্রয়োগ করিয়া সাত বা দশদিন পরে দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্র স্থির করিবার চেষ্টা করিলেই ব্যর্থতা আসিবে।

(১৯) সর্বপ্রকার গোঁড়ামী ত্যাগ করিতে হইবে এবং ভুল ঔষধ নির্বাচন করিয়া অহেতুক দীর্ঘদিন অপেক্ষা করিবার প্রবণতা বর্জন করিতে হইবে। যেহেতু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ করিয়া ক্রিয়ার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করিতে হয়, তাই ভুল ঔষধ প্রয়োগ করিয়াও মাসের পর মাস অপেক্ষা করা এবং রোগীকে অনিবার্যভাবে মৃত্যুর দিকে আগাইয়া দেওয়া চিকিৎসকের কর্তব্য নহে।

(২০) ঔষধ-চিত্র, ঔষধের ক্রিয়াকাল এবং ঔষধের প্রয়োগজনিত পরিবর্তনগুলি সম্যক্ উপলদ্ধি করিবার জন্য হ্যানিম্যানের মেটিরিয়া মেডিকা পিউরা, অ্যালেনের এনসাইক্লোপিডিয়া প্রভৃতি পুস্তক পাঠ করিয়া ঔষধের প্রুভিং সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করিতে হইবে।

প্রকৃত হোমিওপ্যাথ হইতে হইলে উল্লিখিত বিষয়গুলি সম্বন্ধে যথাসাধ্য জ্ঞান অর্জন করিতে হইবে। এই জ্ঞানের উপর ভিত্তি করিয়া যে হোমিওপ্যাথি গড়িয়া উঠিবে, সেই হোমিওপ্যাথিই হইবে ভারতবর্ষের কোটি কোটি রোগযন্ত্রণাক্লিষ্ট মানুষের আশার আলো, চিকিৎসকের পরম লক্ষ্য এবং চিকিৎসা-শাস্ত্রের বিস্ময়

তথ্যসূত্র: গ্রন্থের নাম- হোমিও সাথী, লেখক - ডাঃ এস. পি. দে, পৃষ্ঠা ৪-৯পোস্ট শিরোনাম : হোমিওপ্যাথির মনিমুক্তা, বিখ্যাত লেখকদের বিখ্যাত লেখা থেকে পাঠ (হোমিওপ্যাথ কে ?)

Address

Mohela Bazar, Chatmohar
Pabna
6630

Opening Hours

Monday 08:00 - 12:30
16:00 - 22:00
Tuesday 08:00 - 12:30
16:00 - 22:00
Wednesday 08:00 - 12:30
16:00 - 22:00
Thursday 08:00 - 12:30
16:00 - 22:00
Friday 08:00 - 12:00
16:00 - 22:00
Saturday 08:00 - 12:30
16:00 - 22:00
Sunday 08:00 - 12:30
16:00 - 22:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ali Homeo Clinic আলী হোমিও ক্লিনিক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Ali Homeo Clinic আলী হোমিও ক্লিনিক:

Share