Modern Diagnostic Home

Modern Diagnostic Home Modern Diagnostic Home is one of the Best Diagnostic Center in Pabna. Modern Diagnostic Home is a diagnostic center with state-of-the-art medical facilities.

মর্ডান ডায়াগনস্টিক হোম পাবনার অন্যতম সেরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মডার্ন ডায়াগনস্টিক হোম হল একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্পন্ন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যা রোগীদের জন্য বিস্তৃত রোগ নির্ণয়ের পরিষেবাগুলি তাদের নিজের প্রতিষ্ঠানে অফার করে৷ সর্বশেষ প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম সহ, আমাদের দক্ষ পেশাদারদের দল পরীক্ষাগার পরিষেবা, ইমেজিং এবং টেলিমেডিসিন পরামর্শ সহ সঠিক এবং দক্ষ ডায়গনিস্টিক পরীক্ষা প্রদান করে। আমাদের লক্ষ্য হল স্বাস্থ্যসেবাকে আমাদের রোগীদের জন্য আরও সহজলভ্য এবং সুবিধাজনক করে তোলার পাশাপাশি গুণমান এবং নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা। আপনার সমস্ত ডায়াগনস্টিক প্রয়োজনের জন্য আধুনিক ডায়াগনস্টিক হোমে চলে আসুন আজই। সপ্তাহে ৭ দিন পাচ্ছেন আমাদের সেবা।

Mordern Diagnostic Home is one of the best diagnostic center in Pabna. which offers a wide range of diagnostic services to patients at their own institutions With the latest technology and equipment, our team of skilled professionals provides accurate and efficient diagnostic tests including laboratory services, imaging and telemedicine consultations. Our mission is to make healthcare more accessible and convenient for our patients while maintaining the highest standards of quality and safety. Visit Modern Diagnostic Home for all your diagnostic needs today. Our service is available 7 days a week.

15/10/2025

সন্তান নেয়ার পূর্বের প্রস্তুতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছেন ডাঃ হাসানাত জাহান

যেসব খাবারে শরীরের তাপ কমে - দাবদাহের এ সময়টায় সুস্থ থাকতে চাইলে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে শরীর শীতল ও সতেজ রাখা খাবার। গর...
14/10/2025

যেসব খাবারে শরীরের তাপ কমে -
দাবদাহের এ সময়টায় সুস্থ থাকতে চাইলে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে শরীর শীতল ও সতেজ রাখা খাবার।

গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত তরমুজ খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়া তরমুজের প্রায় পুরোটাই পানি। ফলে স্বাভাবিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় দই রাখতে পারেন। দই পেট ও শরীর ঠান্ডা রাখে। এছাড়া দই অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া নিঃসরণ করে ও রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

শরীর প্রাকৃতিক উপায়ে ঠান্ডা রাখতে চাইলে ডাবের পানি পান করতে পারেন। এতে থাকা উপকারী বিভিন্ন খনিজ উপাদান শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। হজমের জন্যও ডাব সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

গরমে বেশি বেশি শসা খান। শসার একটি বড় অংশই পানি। ফলে এটি ডিহাইড্রেশন হতে দেবে না।

পুদিনা পাতাও শরীর প্রাকৃতিকভাবে শীতল রাখতে পারে। তাছাড়া আপেল খেতে পারেন। আপেলে ৮৬ শতাংশই পানি। শরীরের বাড়তি পানির চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন আপেল খান। আপেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

শরীর ঠান্ডা রাখতে পারে কলা। প্রতিদিন কলা খান গরমে সুস্থ থাকতে। কলা যেমন তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান দেয়, তেমনি আমাদের শরীরের টিস্যুগুলোকে বাড়তি পানি শুষে নিতে সহায়তা করে।

সুস্থ জীবন গঠনে ৭টি উপদেশ - ১. দৈনিক রুটিনের একটা অংশ হিসেবে ব্যায়াম করা২. ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস তৈরি করা৩. অপ্রয়োজন...
13/10/2025

সুস্থ জীবন গঠনে
৭টি উপদেশ -

১. দৈনিক রুটিনের একটা অংশ হিসেবে ব্যায়াম করা
২. ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস তৈরি করা
৩. অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট না করা
৪. জিমে যোগ দেওয়া
৫. বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামের সমন্বয়
৬. কাজের ফাঁকে ফাঁকে শারীরিক পরিশ্রম
৬. কাজের ফাঁকে ফাঁকে শারীরিক পরিশ্রম
৭। পরিমিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করা

কিডনি রোগ কেন হয়?ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিন ইনফেকশন, কিডনিতে পাথরসহ আরও অনেক কারণে কিডনি রোগ হয়। নিয়মিত পরিশ্রম ...
11/10/2025

কিডনি রোগ কেন হয়?
ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিন ইনফেকশন, কিডনিতে পাথরসহ আরও অনেক কারণে কিডনি রোগ হয়। নিয়মিত পরিশ্রম বা অতিরিক্ত বিশ্রাম ও ব্যায়াম না করা, পানি না খাওয়া এবং ধূমপান করা হতে পারে এ রোগের কারণ। অনেক সময় পরিবারের কারও কাছ থেকে এই রোগ সংক্রমিত হতে পারে।

কিডনি রোগের লক্ষণ
শরীর যদি ফুলে যায়, আর সেই ফোলাটা যদি শুরু হয় মুখমন্ডল থেকে।
প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলোনায় কমে গেলে।
প্রস্রাব যদি লাল হয় বা রক্ত যায়।
কোমরের দুই পাশে যদি ব্যথা হয়। এই ব্যথা তলপেটেও হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে।

তাছাড়া কিছু রোগ আছে যা থাকলে তাদের অবশ্যই কিডনি পরীক্ষা করতে হবে। যেমনঃ যদি ডায়াবেটিক থাকে, উচ্চ রক্তচাপ থাকে, কখনও যদি মুখমন্ড ফুলে গিয়ে থাকে, যদি কারও ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, এমন কোন মানুষ যদি থাকে যে খুব বেশি হাটাচলা করে বা না বসে বসে কাজ করেন আবার কোন করণে দীর্ঘদিন ব্যথার ঔষুধ খেতে হয়েছে এবং যারা পানি কম পানে অভ্যস্থ, বংশে যদি কারও কিডনি রোগ থাকে এসব ইতিহাস থাকলে বছরে অন্তত দুইবার কিডনি পরীক্ষা করানো উচিৎ।
কিডনী রোগের প্রতিকার
যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে অথবা যারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তাদের রোগমুক্তির জন্য কয়েকটি ব্যবস্থা রয়েছে।

যাদের উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, নেফ্রাইটিস আছে তাদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশে শতকরা ৮০ ভাগ কিডনি এই তিন কারণে নষ্ট হয়ে থাকে। এই তিনটি রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে শতকরা ৮০ ভাগ কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

এছাড়া যাদের ঘনঘন কিডনিতে ইনফেকশন হয় এবং যাদের পাথরজনিত রোগ আছে বা যাদের কিডনিতে বাধাজনিত রোগ আছে তাদের অতি সহজেই চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। একটু সতর্কতাই কিডনি ফেইলর থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

ক) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুনঃ রোগীদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, অতি-ওজন শরীরের জন্যে ক্ষতিকর এবং রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস সবই শুরু হয় বেশি ওজন থেকে। এছাড়া কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালীর রোগ হতে পারে। শতকরা ৩০ ভাগের বেশি কিডনি রোগ হয় ওজন বৃদ্ধিজনিত কারণে।

খ) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখুনঃ যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখবেন।

গ) কোলেস্টেরল কমানঃ যাদের রক্তে কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য প্রকার যেমন; ট্রাইগ্লিসারাইড, এলডিএল বেশি থাকে সেসব ক্ষেত্রে এগুলো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে খাদ্যাভাস পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। চর্বিজাতীয় খাবার বর্জন সর্বোত্তম যেমন; মাছের চর্বি খাওয়া যেতে পারে, এতে কোনো অসুবিধে নেই কিন্তু চিংড়ি মাছের মাথা এবং মাছের মগজ না খাওয়াই ভালো।

ঘ) নিয়মিত ব্যায়ামঃ কিডনি ভালো রাখার আরো একটা ভালো উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়ামে কোলেস্টরল যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তেমনি ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অল্প দূরত্বের রাস্তায় রিকশা বা গাড়িতে না চড়ে হাঁটার অভ্যাস এইসব ক্ষেত্রে অত্যন্ত ফলপ্রসূ। একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, জাপানে যারা সুউচ্চ পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে তারা সবচেয়ে দীর্ঘায়ু কেননা তারা বেশি হাঁটেন।

ঙ) ধুমপান পরিহার করুনঃ ধূমপান পরিহার করতেই হবে। ধূমপান একদিকে যেমন কিডনির ক্ষতি করে তেমনই রক্ত চাপও বাড়িয়ে দেয়, ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত করে তোলে, ব্রেইনের কার্যকারিতা নষ্ট করে, মানুষের জীবনী শক্তি কমিয়ে দেয় এবং ক্যান্সারের সৃষ্টি করে।

চ) পরিমিত পানি পান করাঃ পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এক্ষেত্রে খুব কম অথবা অতিরিক্ত পানি পান কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

ছ) অতিরিক্ত পেইনকিলার এবং ওষুধ সেবন না করা।

জ়) অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবার পরিহার করা।

তীব্র গরমে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসমস্যা ও চিকিৎসা -বৈশাখের প্রচণ্ড গরমে চারদিক অস্থির। সেই সঙ্গে রয়েছে বাতাসে অস্বাভাবিক আর্দ...
10/10/2025

তীব্র গরমে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসমস্যা ও চিকিৎসা -
বৈশাখের প্রচণ্ড গরমে চারদিক অস্থির। সেই সঙ্গে রয়েছে বাতাসে অস্বাভাবিক আর্দ্রতা। বেশ কিছুদিন বৃষ্টি না থাকার কারণে প্রচণ্ড গরমে সবার অবস্থা নাজেহাল। সারা দেশে এখন গরমের দাবদাহে জীবন ওষ্ঠাগত এবং জনজীবন বিপর্যস্ত। এ গরমে শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কী করতে হবে সেটা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।

গরমে বাড়ছে স্বাস্থ্য সমস্যা। ঘামাচি কিংবা পানি স্বল্পতার মতো সমস্যা প্রায় প্রত্যেকেরই হচ্ছে, আবার কেউ কেউ হিট স্ট্রোকের মতো মারাত্মক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এর সঙ্গে হতে পারে অবসাদ, অ্যালার্জি, সূর্যরশ্মিতে ত্বক পুড়ে যাওয়া, হজমের সমস্যায় বমি বা ডায়রিয়াজনিত রোগ ইত্যাদি।

* শরীরের ওপর দাবদাহের প্রভাব

মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে যখন শরীরের তাপমাত্রা-নিয়ন্ত্রকগুলোর কার্যক্ষমতা কমে যায়, তখন দুর্বলতা বা ক্লান্তি, মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, অবসাদ, কাজকর্মে অনীহা এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে হলে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে।

* পানিস্বল্পতা বা ডিহাইড্রেশন

গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা হয় তা হলো পানিস্বল্পতা। প্রচুর ঘামের কারণে পানির সঙ্গে সঙ্গে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণও বেরিয়ে যায়। এর ফলে শরীরের রক্তচাপ কমে যায়, দুর্বল লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। পানিস্বল্পতা গরমের খুব সাধারণ সমস্যা হলেও অবহেলা করলে তা মারাত্মক হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তি, যারা বাইরে অতিরিক্ত গরমের মধ্যে কাজ করেন এবং প্রয়োজনমতো পানি পান করার সুযোগ পান না, তারাই মারাত্মক ধরনের পানিস্বল্পতায় আক্রান্ত হন। এক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং কিডনি বিকল হওয়ার মতো জটিলতর সমস্যা হওয়াও বিচিত্র নয়।

* চর্মরোগ, ঘামাচি এবং অ্যালার্জি

গরমের কারণে ত্বকে ঘামাচি এবং অ্যালার্জি হতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হয়ে ঘর্মগ্রন্থি ও নালি ফেটে যায়, ফলে ত্বকের নিচে ঘাম জমতে থাকে। এটাই ঘামাচি। অনেক সময় ঘাম ও ময়লা জমে ঘর্মনালির মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানে ইনফেকশন হতে পারে। এতে ঘামাচি ও অ্যালার্জি বেড়ে যায় এবং ঘামে প্রচুর গন্ধ হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও ঘাম ও ময়লার কারণে ছত্রাকজনিত রোগও এ সময় বেশি হয়। গরমে যারা সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে বেশিক্ষণ থাকেন, তাদের ত্বক পুড়ে যেতে পারে। এতে ত্বক লাল হয়ে যায়, জ্বালাপোড়া করে, চুলকায় এবং ফোসকা পড়ে। একে সান বার্ণ বলে। মূলত সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিই এর জন্য দায়ী। যারা একটু ফর্সা বা যাদের ত্বক নাজুক, তাদের এ সমস্যা বেশি হয়।

* হিট স্ট্রোক বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

গরমের সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা হলো হিট স্ট্রোক। হিট স্ট্রোকের শুরুতে হিট ক্র্যাম্প দেখা দেয় যাতে শরীর ব্যথা করে, দুর্বল লাগে এবং প্রচণ্ড পিপাসা পায়। পরে হিট এক্সহসশন দেখা দেয়। এতে শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, মাথাব্যথা করে এবং রোগী অসংলগ্ন আচরণ করতে থাকে। এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে হিট স্ট্রোক হতে পারে। এর লক্ষণগুলো হলো তাপমাত্রা দ্রুত ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়, ঘাম বন্ধ, ত্বক শুষ্ক ও লাল হয়ে যায়, নিশ্বাস দ্রুত, নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত হয়, রক্তচাপ কমে যায়, খিঁচুনি হয়, মাথা ঝিম ঝিম করে এবং রোগী অসংলগ্ন ব্যবহার করতে থাকে। রোগীর প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, অজ্ঞান হয়ে যায়, এমনকি রোগী শকেও চলে যেতে পারে।

* বেশি আর্দ্রতাজনিত সমস্যা

তাপদাহের সময় আর্দ্রতা বেশি থাকলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ঘাম বের হলে শরীর ঠান্ডা হয়। তবে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ঘাম বের হতে পারে না। ফলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে অস্বস্তিকর সমস্যার সষ্টি হয়।

* মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি

শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি তীব্র গরমে অনেকের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। প্রচণ্ড গরমে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় যেটা তীব্র মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের সৃষ্টি করে।

* ফুড পয়জনিং এবং পেটের পীড়া

অনেকেই গরমে তৃষ্ণা মেটাতে বাইরে বা রাস্তাঘাটে বিক্রেতাদের কাছ থেকে অবিশুদ্ধ পানি বা শরবত খান। ফলে ডায়রিয়া ও বমিতে আক্রান্ত হতে পারেন। একই কারণে এ সময়টাতে পানিবাহিত রোগ যেমন-টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড, আমাশয়, জন্ডিস বা হেপাটাইটিস বেশি হয়। গরমে অনেকে প্রচুর পানি পান করেন, কিন্তু তাতে পর্যাপ্ত লবণ থাকে না। ফলে শরীরে লবণের অভাব দেখা দেয়। এ অবস্থায় ওর স্যালাইন ও টাটকা ফলের শরবত খাওয়া যায়। অতিরিক্ত গরমে অনেক সময় খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই খাবার খেলে বদহজমসহ অন্যান্য পেটের পীড়া দেখা দিতে পারে।

* কারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন

তাপদাহের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন বয়স্ক, শিশু বিশেষ করে যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম। শারীরিকভাবে অসুস্থ যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, হার্টের বা ক্যানসারের রোগী এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। যারা দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদে কায়িক পরিশ্রম করেন, তাদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। যেমন-কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক। খেলোয়াড়দের ঝুঁকির মাত্রা দ্বিগুণ। কারণ, শরীরচর্চার কারণেও তাপমাত্রা বেড়ে যায়। গৃহহীন মানুষেরা গরমের কারণে অনেক ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ, তাদের জন্য গরম এড়িয়ে চলার সুযোগ কম।

গর্ভাবস্থায় কী খেতে হবে - যথেষ্ট পরিমাণে ফলিক এসিড প্রাপ্তি কীভাবে নিশ্চিত করা যায়?শুধু খাবার থেকে দৈনিক ৬০০ মাইক্রোগ্রা...
09/10/2025

গর্ভাবস্থায় কী খেতে হবে -
যথেষ্ট পরিমাণে ফলিক এসিড প্রাপ্তি কীভাবে নিশ্চিত করা যায়?
শুধু খাবার থেকে দৈনিক ৬০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড পাওয়াটা কঠিন হওয়ায় আপনি প্রতিদিন সম্পূরক হিসেবে অন্তত ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড সেবন করতে পারেন। তাতে আপনার প্রয়োজনটা পূরণ হবে। আপনি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করার সময় থেকেই বা গর্ভধারণ নিশ্চিত হলেই এটা নেওয়া শুরু করতে পারেন। আপনার জন্য কোন সম্পূরকটি উপযুক্ত, সেটা বোঝার জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

গর্ভবতী মার জন্য কীভাবে নিরাপদে খাবার প্রস্তুত করা যায়?
খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
ব্যবহারের পর সব পাত্র ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
মাংস পুরোপুরি রান্না করতে হবে।
রান্না না করা শাকসবজি, সালাদের সবজি ও ফলমূল খুব সতর্কতার সঙ্গে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
যথাযথ তাপমাত্রায় খাবার সংরক্ষণ করতে হবে।
রান্নার পরপরই খাবার খেয়ে নিতে হবে।


গর্ভাবস্থায় কতটা বেশি খাওয়া দরকার?
প্রথম তিন মাসে আপনার কোনো বাড়তি খাবারের দরকার নেই। দ্বিতীয় তিন মাসে প্রতিদিন আপনার ৩৪০ ক্যালোরি বাড়তি দরকার হবে। আর শেষ তিন মাসে আপনার প্রতিদিন অতিরিক্ত ৪৫০ ক্যালোরি দরকার হবে। এই বাড়তি শক্তির জন্য হাতের কাছে স্বাস্থ্যকর হালকা খাবার যেমন বাদাম, দই ও তরতাজা ফলমূল রাখবেন। এ বিষয়ে উপযুক্ত পরিকল্পনা পেতে আপনার স্বাস্থ্য সেবাদাতার সঙ্গে কথা বলুন।



গর্ভধারণকালে কি ভেজিটেরিয়ান বা ভিগান ডায়েট মেনে চলা উচিত?
আপনি যদি ভেজিটেরিয়ান বা ভিগান ডায়েট অনুসরণ করেন তাহলে আপনাকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনি যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘বি১২’ ও ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করছেন। এ বিষয়ে সমাধান পেতে আপনার চিকিৎসক বা রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলুন।

গর্ভাবস্থায় বুক জ্বলা-গর্ভবতী মায়েদের বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি নানা কারণে যেমন খাবার ও ঔষধের জন্য হয়ে থাকে। তাই এসময় তাদ...
07/10/2025

গর্ভাবস্থায় বুক জ্বলা-
গর্ভবতী মায়েদের বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি নানা কারণে যেমন খাবার ও ঔষধের জন্য হয়ে থাকে। তাই এসময় তাদের বিভিন্ন খাবার গ্রহনে বিশেষ সতর্ক থাকা উচিত। চলুন জেনে নিই গর্ভকালীন বুক জ্বালাপোড়ার বিভিন্ন কারণ ও সমস্যাটি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে।

গর্ভাবস্থায় বুক জ্বলা সমস্যাটির মাত্রা বেড়ে যায় অপরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস ও যথেচ্ছা ঔষধ সেবনের কারণে। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খাবার ও ঔষধ গ্রহনের ব্যাপারে অধিক সাবধানী হওয়া প্রয়োজন। এসময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষুধ একদমই খাওয়া যাবেনা। কিছুটা বাড়তি সচেতন থাকলেই ক্ষতিকর সমস্যাটি এড়িয়ে চলা যায়। গর্ভাবস্থায় যে সমস্ত খাবার ও ঔষধ খেলে বুক জ্বালা করতে পারে ও তা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আজকে জানব।

গর্ভকালীন বুক জ্বলার জন্য দায়ী খাবার সমূহ

গর্ভকালীন সময়ে পেটে গ্যাসের আধিক্যের জন্য প্রধানত এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। তাই কিছু খাবার আছে যেগুলো এসময় খাওয়া ঠিক নয়। এই খাবার সমূহ প্রধানত পেটে্র মধ্যে গ্যাস তৈরি করে পরবর্তীতে বুকের মধ্যে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করে। নিম্নে এসব খাবার সামগ্রী সন্মন্ধে আলোচনা করা হলো।

১। চা অথবা কফি পান

চা কিংবা কফি আমাদের অনেকের প্রিয় পানীয় হলেও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি ক্ষতিকর। এ সময় অতিরিক্ত পরিমাণে চা-কফি পান করলে তাতে বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই এই সময়টিতে যতটুকু পারা যায় চা অথবা কফি পান করা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই এই সময়টিতে এমন সব খাবার খাওয়া দরকার যা তার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। এসময় প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত।

২। ফ্যাটি বা তৈলাক্ত খাবার দাবার

বিভিন্ন চর্বিজাতীয় খাবার সামগ্রী যেমন ঘি, মাখন,অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার সহ বিভিন্ন প্রকার ফাস্ট ফুড এই সময়টিতে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এসব চর্বিযুক্ত খাবার গর্ভবতী মায়েদের বুক জ্বালাপোড়ার জন্য বিশেষভাবে দায়ী।

৩। সাইট্রাস জাতীয় ফলমূল খাওয়া

গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন প্রকার সাইট্রাস জাতীয় ফল বুক জ্বালাপোড়া সৃষ্টির জন্য অনেকটা দায়ী। এসব ফল্মুলের মধ্যে রয়েছে লেবু, কমলা, আঙ্গুর, টমেটো ইত্যাদি। তবে কমলা বা আঙ্গুর খেলে বুক জ্বালাপোড়া নাও হতে পারে। তাই এসব ফল খাবার খাওয়ার আগে খেয়াল করতে হবে যে কোন ফলটি বুক জ্বালাপোড়া বাড়াচ্ছে এবং সেইগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।

৪। চকলেট খাওয়া

বুকে জ্বালাপোড়া হওয়ার জন্য চকলেট খাওয়া অনেকটা দায়ী। খুবই সামান্য পরিমাণে ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত চকলেট সাস্থের জন্য ক্ষতিকর। তাই উচিত গর্ভাবস্থায় যতটুকু পারা যায় কম খাওয়ার চেষ্টা করা।

৫। সোডা জাতীয় পানীয় খাওয়া

সোডা এবং সোডা জাতীয় পানীয় সবার জন্য ক্ষতিকর হলেও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি আরও বেশী ক্ষতিকর। তাই এসব পানীয় গর্ভকালীন সময়ে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই সব ক্ষতিকর পানীয় শুধু যে বুক জ্বালাপোড়ার যন্ত্রণাই তৈরি করে তাই নয় এসব খাবার শরীরে অন্যান্য সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। তাই এইসব বাজে পানীয় না খেয়ে তার পরিবর্তে টাটকা ফলের রস খাওয়া যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় যে সব নিয়ম মানা জরুরী

কতগুলি সাধারণ নিয়মকানুন মেনে চললেই এই সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই্ পাওয়া সম্ভব। এসব নিয়ম কানুনের মধ্যে রয়েছে-

বিভিন্ন ক্ষতিকর খাবার যেমন অতিরিক্ত তেলে ভাজাপোড়া জিনিস ও চর্বি যুক্ত খাবার ,টক জাতীয় খাবার, সস ইত্যাদি যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যতটুকু সম্ভব ত্যাগ করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য জাতীয় সমস্যা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

খাওয়ার মাঝখানে বেশি বেশি পানি পান করলে পাকস্থলিতে থাকা হজম সহায়ক হাড্রক্লোরিক এসিড অনেকটা পাতলা হয়ে যায়। যার ফলে খাবার হজম প্রক্রিয়ায় গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। এছাড়া এই এসিড বুকের উপরের দিকে চাপ দিয়ে জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি করতে পারে। তাই খাওয়ার মাঝখানে একান্ত প্রয়োজন না হলে পান না করাই ভালো। এছাড়া একসাথে বেশী পরিমাণে পানি পান না করে পুরো দিনে বার বার অল্প অল্প করে খাওয়া উচিত।

খাবার খাওয়া শেষ হতে না হতেই শুয়ে পড়া উচিত নয়। খাওয়ার পরে সামান্য একটু হাঁটাহাঁটি করা বা সোজা হয়ে বসে কিছুক্ষণ বই পড়া কিংবা টেলিভিশন দেখা যেতে পারে।
টাইট জামা পড়লে পাকস্থলী ও তলপেটে চাপ সৃষ্টি হয়ে এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আঁটসাঁট পোশাক না পড়ে ঢিলেঢালা জাতীয় কাপড় চোপড় পড়া উচিত।
বিছানায় শোয়া বা ঘুমাতে যাওয়ার সময় মাথার নিচে একটু উঁচু বালিশে শোয়া উচিত। বালিশের উচ্চতা ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি হলে ভালো হয়।

এসব নিয়ম মেনে চলার পরও সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
গর্ভধারণ ব্যাপারটা প্রতিটি মায়ের জন্য সুখকর তবে এ সময় খাবার দাবারের প্রতি খুবই বেশী সাবধান হওয়া উচিত। হঠাৎ বুক জ্বালা-পোড়া করলেই অনেকে নিজে নিজে ঔষধ হিসেবে অ্যান্টাসিড খেয়ে ফেলেন। কিন্তু শরীরে অন্যান্য সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে সমস্যা, পায়ুনালির সমস্যা বা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কোনো সমস্যা আছে কি না, সে ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে অ্যান্টাসিড খাওয়া ঠিক হবেনা। এই সময়টিতে একটু অসাবধানতা বা ভুল যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম দিতে পারে।

ডায়াবেটিস কি চিরতরে নিরাময় হয়?ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। সারা বিশ্বে এ রোগে প্রতি বছ...
06/10/2025

ডায়াবেটিস কি চিরতরে নিরাময় হয়?
ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। সারা বিশ্বে এ রোগে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এ জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হতে পারে কিডনিও। নতুন একটি গবেষণা বলছে, ওষুধ ছাড়াই টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদিও এটি নিয়ে এখনো আরো বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন

১৯৮০-২০১৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ কোটি থেকে বেড়ে ৪২ দশমিক ২ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসকে মহামারী হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রোগ থেকে উত্তরণের কার্যক্রম খুব সীমিত। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অন্য যেকোনো পদ্ধতি ব্যর্থ হলেও খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তন সফল হতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

কয়েক বছর আগে প্রকাশিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ফলে দেখা যায়, কোনো ধরনের ওষুধ গ্রহণ ছাড়াই নিবিড়ভাবে ওজন হ্রাসের মাধ্যমে টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এ ট্রায়ালকে ডায়াবেটিস রেমিশন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বলা হয় এবং এটার অন্যতম সহনেতা ছিলেন যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রয় টেইলর। তবে এ উপশমটি কীভাবে ঘটে এবং এটা কি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে? কিছু মানুষ অন্যদের থেকে কেন স্থায়ী উপশম লাভ করে? বা এ রোগ কি আবারো ফিরে আসতে পারে? ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ডাটা, কাটিং-এজ ইমেজিং এবং রক্ত পর্যবেক্ষণ কৌশল ব্যবহার করে অধ্যাপক টেইলর তার দলকে নিয়ে এ প্রশ্নগুলো উত্তর খোঁজা শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি সেই গবেষণাটি সেল মেটাবলিজম জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।



‘টুইন সাইকেল হাইপোথিসিস’ পরীক্ষা

এ গবেষণার লক্ষ্য ছিল এক দশকেরও বেশি সময় আগে প্রকাশ হওয়া অধ্যাপক টেইলর ও তার দলের ‘টুইন সাইকেল হাইপোথিসিস’ নতুন করে পরীক্ষার মাধ্যমে পুনরায় নিশ্চিত হওয়া। গবেষণাটি প্রস্তাব করেছিল, লিভারে ফ্যাট জমা হওয়ার ফল হলো টাইপ টু ডায়াবেটিস, যা ইনসুলিন প্রতিরোধ করে এবং রক্তে শর্করার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।

লিভারের চর্বিগুলোর এ বর্ধিত স্তরের কারণে লিপিডগুলো অগ্ন্যাশয়সহ বেশ কয়েকটি টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। আর ইনসুলিন তৈরি করা বিটা কোষগুলোর অবস্থান এ অগ্ন্যাশয়েই। এ কারণে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডগুলোর দীর্ঘমেয়াদি প্রকাশ বিটা কোষগুলোর জন্য ক্ষতিকর। গবেষকরা টাইপ টু ডায়াবেটিসের পুনরাবৃত্তির মূল প্যাথফিজিওলজিক প্রক্রিয়াগুলো বর্ণনা করতে চেয়েছিলেন, যা প্রাথমিকভাবে উপশম বা নিরাময় হলেও সেটা আবার ফিরে এসেছিল। এর কারণ উদ্ধারে গবেষকরা ১২-১৪ মাস এমআরআই স্ক্যান ব্যবহার করে অন্তঃকোষ এবং পেটের ফ্যাটকে পরিমাপ করেছেন। বিশেষভাবে তারা অগ্ন্যাশয় ও লিভারের চর্বি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।

বিশ্লেষণে গ্লুকোজ, এইচবিএ১সি, উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাপ অন্তর্ভুক্ত ছিল। দলটি ফ্যাটি অ্যাসিড, ইনসুলিন নিঃসরণ এবং বিটা-সেল ফাংশনও বিশ্লেষণ করেছিল।

লিভার ফ্যাট অগ্ন্যাশয়কে অচল করে দেয়

সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সিংহভাগ মানুষেরই দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ডায়াবেটিস ছিল না, তবে এটি কেবল লিভার ও অন্ত্রে ফ্যাট কম থাকাতেই সম্ভব হয়েছিল। বিশেষভাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যারা ১৫ কেজি বা তার বেশি ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছিলেন, তাদের ১০ জনের মধ্যে নয়জনই এ ফল পেয়েছিলেন। এর দুই বছর পর অংশগ্রহণকারীদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসমুক্ত ছিল। অথচ ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণে টানা ২৪ মাস সময় প্রয়োজন হয়। তবে এর বাইরে যাদের ডায়াবেটিস ফিরে এসেছিল, তাদের উচ্চ লিভার ট্রাইগ্লিসারাইড এবং উচ্চ ইন্টারপ্যানক্রিয়াটিক ফ্যাট স্তর ছিল।

বন্ধ্যাত্ব কোন অভিশাপ নয়! বন্ধ্যাত্বকে অভিশাপ ভাবার আগে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আজই চলে আসুন আমাদের প্রতিষ্ঠানে...
05/10/2025

বন্ধ্যাত্ব কোন অভিশাপ নয়!
বন্ধ্যাত্বকে অভিশাপ ভাবার আগে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আজই চলে আসুন আমাদের প্রতিষ্ঠানে। গাইনি বিষয়ে চিকিৎসা নিতে আর নয় ঢাকা যাওয়া পাবনার সেরা গাইনি চিকিৎসকের থেকে গাইনি বিষয়ে চিকিৎসা নিতে আজই চলে আসুন মর্ডান ডায়াগনস্টিক হোমে।
বিস্তারিত জানতে কল করুন- +880 1770-976553
ঠিকানাঃ ৩২১, ডাঃ ইসহাক ম্যানশন, গোপালপুর, পাবনা - ৬৬০০

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন-মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থায় সঠিক মাত্রায় ওজন বৃদ্ধি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওজন বৃ...
04/10/2025

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন-
মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থায় সঠিক মাত্রায় ওজন বৃদ্ধি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওজন বৃদ্ধির পরিমাণ কম-বেশি হলে নানান ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কতটুকু ওজন বাড়লে তা মা ও গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে, সেই হিসাবটা একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম। গর্ভধারণের আগে মায়ের ওজন ও শারীরিক গঠন কেমন ছিল, তার ওপর ভিত্তি করে গর্ভকালীন ওজন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অনেকটাই কম-বেশি হতে পারে।

সঠিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ওজন বৃদ্ধির হার কম কিংবা বেশি হলে সেটি মা ও গর্ভের শিশুর জন্য বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।[১] গর্ভাবস্থার কোন মাসে কতটুকু ওজন বাড়া উচিত, আদর্শ ওজন বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে করণীয় কী, ওজন ঠিকমতো না বাড়লে কিংবা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে গর্ভের শিশুর ওপর কী প্রভাব পড়বে—এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে

গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন চার্ট
গর্ভাবস্থায় কতটুকু ওজন বৃদ্ধি পাওয়া উচিত তা অনেকাংশে নির্ভর করে গর্ভধারণের ঠিক আগে আপনার ওজন স্বাভাবিক সীমায় ছিল কি না—তার ওপর। ওজন স্বাভাবিক সীমার মধ্যে ছিল কি না সেটি জানার জন্য সেই সময়ে আপনার ‘বিএমআই’ কত ছিল তা হিসাব করতে হবে।

যে ৫ টি খাবার গর্ভাবস্থায় খাবেন না - নিয়মিত পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া প্রত্যেক মানুষের জন্য খুব দরকারি এবং গর্ভাবস্থায় এটা আর...
03/10/2025

যে ৫ টি খাবার গর্ভাবস্থায় খাবেন না -
নিয়মিত পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া প্রত্যেক মানুষের জন্য খুব দরকারি এবং গর্ভাবস্থায় এটা আরও বেশি প্রয়োজনীয় বটে। এই সময় খাবারের মঝে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি, ভিটামিন থাকতে হবে যা থেকে গর্ভের সন্তান পর্যাপ্ত পুষ্টি, মিনারেল এবং ভিটামিন পেয়ে থাকে। তাই অনেক সময় আমরা না বুঝে অনেক ধরনের খাবার খেয়ে ফেলি যা গর্ভের সন্তান এবং মা উভয়ের জন্য ই ক্ষতির কারন হয়ে থাকে।
নিয়মিত পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া প্রত্যেক মানুষের জন্য খুব দরকারি এবং গর্ভাবস্থায় এটা আরও বেশি প্রয়োজনীয় বটে। এই সময় খাবারের মঝে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি, ভিটামিন থাকতে হবে যা থেকে গর্ভের সন্তান পর্যাপ্ত পুষ্টি, মিনারেল এবং ভিটামিন পেয়ে থাকে। তাই অনেক সময় আমরা না বুঝে অনেক ধরনের খাবার খেয়ে ফেলি যা গর্ভের সন্তান এবং মা উভয়ের জন্য ই ক্ষতির কারন হয়ে থাকে।

তাই আজ আমরা ৫ টি খাবার নিয়ে আলোচনা করব যা গর্ভাবস্থায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

১। চা / কফি

একজন গর্ভবতী মা কত টুকু ক্যাফেইন গ্রহণ করতে পারবেন তা নিয়ে অভিজ্ঞদের মাঝে এখনও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবুও কিছু চিকিৎসক বলেন “ একজন গর্ভবতী মা প্রত্যেকদিন ২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ করতে পারবেন” ক্যাফেইন যে কারনে অভিজ্ঞ চিকিৎসক রা নিতে না করেন তার কারন হল “ ক্যাফেইন সরাসরি মায়ের প্লাসেন্টা তে গিয়ে বেবির হৃদপিণ্ডে ভুমিকা রাখে”।

২। পনির বা চিজ

আমরা সবাই কম বেশি বার্গার খেতে পছন্দ করি আর সেই বার্গার যদি চিজ দিয়ে ভরা না হয় তবে বার্গারের স্বাদ থাকে না। গর্ভাবস্থায় যেহেতু মায়েদের একটু বেশি খাওয়া দাওয়া করতে হয় তাই অনেক সময় মায়েরা বার্গার খাওয়া শুরু করে, সমস্যা টা হয়ে যায় এখানে যখন তারা চিজ বা পনির দিয়ে বার্গার খেতে যান। কারন চিজ গর্ভাবস্থায় খুব ই বিপদ্দজনক খাবার। কারন এই চিজ গুলো সাধারণত পাস্তুরিত থাকে না আর অপাস্তুরিত এই সকল চিজ মা এবং গর্ভের বাচ্চা উভয়ের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। অপাস্তুরিত বলতে আমরা বুঝি পুরোপুরি কাচা দুধ থেকে যে চিজ টি তৈরি করা হয়।

৩। কলিজা

কলিজা বা কলিজা দিয়ে তৈরি খাবার এ প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে খুব ই বিপদজনক। এই সময়ে আপনার জন্য কত টুকু ভিটামিন গ্রহণ যোগ্য সেটা একজন অভিজ্ঞ ডক্টরের সাথে কথা বলে নিয়ে খারাপ খাবেন। অনেকে এই সময় অতিরিক্ত ভিটামিন খাওয়া শুরু করে কারন তাদের ধারনা বেশি ভিটামিন যুক্ত খাবার খেলে গর্ভের বাচ্চার জন্য খুব ভালো। এটা খুব ই ভুল একটি সিদ্ধান্ত। মনে রাখবেন আপনার খাবারের প্রত্যেক টা ব্যাপার আপনার সন্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই না বুঝে না জেনে বা ডক্টরের সাথে কথা না বলে অতিরিক্ত কিছুই খাবেন না।

৪। অপাস্তুরিত দুধ

“ অপাস্তুরিত দুধ” শব্দটা শুনে হয়ত একটু অবাক হয়েছেন যে এটা আবার কেমন দুধ। অপাস্তুরিত দুধ বলতে আসলে কাচা দুধ কে বোঝানো হয়। গ্রামে অনেক সময় ধারনা করা হয় কাচা গরুর দুধ খাওয়ালে বাচ্চা এবং মায়ের জন্য ভালো এটা একটি ভুল ধারনা। বরং এই অপাস্তুরিত দুধ আপনার বাচ্চার জন্য এমন কি আপনার জন্য ক্ষতির কারন হয়ে যেতে পারে। কারন দুধ কে পাস্তুরিত করাই হয় এই জন্য যাতে দুধের ভেতর থাকা জীবাণু গুলো ধ্বংস হয়ে যায়, এখন যদি আপনি এই কাচা দুধ সরাসরি পান করেন তবে কিন্তু সেই সকল জীবাণু দুধে রয়েই গেল। সুতরাং, অপাস্তুরিত দুধ থেকে বিরত থাকবেন।

৫। কাচা ডিম

অনেকেই আছে বলেন যে কাচা ডিম খুব ভালো সাস্থ্যর জন্য তাই অনেকেই আপনাকে বলবে সকাল বেলা একটা কাচা ডিম খেয়ে নিতে যাতে আপনার গর্ভের বাচ্চার স্বাস্থ্য সুগঠিত হয়। এটা একটি প্রচলিত ভুল ধারনা। কাচা ডিম শুধু নয় কাচা ডিমের তৈরি করা খাবার যেমন মেয়োনিস হতে শুরু করে কাস্টারড ও খাবেন না। হ্যাঁ, যদি সেই ডিম রান্না করা হয় অথবা ভালো ভাবে ভাজি করা থাকে তাহলে সমস্যা নেই। কাচা ডিম কেন খাবেন না? কাচা ডিম থেকে সাল্মনেল্লা নামক রোগের একটি সম্ভাবনা থাকে যা গর্ভাবস্থায় দেখা যায়। তাই এই সময় কাচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

প্রেগন্যান্সিতে পেটে ব্যথা, হতে পারে যে ৫ কারণে? প্রেগন্যান্সিতে পেটে ব্যথার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই সময় ছোটখাট ব্যথা...
02/10/2025

প্রেগন্যান্সিতে পেটে ব্যথা, হতে পারে যে ৫ কারণে?
প্রেগন্যান্সিতে পেটে ব্যথার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই সময় ছোটখাট ব্যথা, যে কোনও সমস্যাতেই উত্কণ্ঠায় ভুগতে থাকেন হবু মায়েরা। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বেশ কিছু কারণের জন্য পেটে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। মোটামুটি এই পাঁচটি কারণের জন্য আপনার পেটে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। প্রেগন্যান্সিতে পেটে ব্যথা হলে চিকিত্সকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে জেনে নিন যন্ত্রণার কারণ।
জরায়ু থেকে কুঁচকি পর্যন্ত দুটো বড় লিগামেন্ট থাকে। জরায়ু বড় হয়ে প্রসারিত হলে রাউন্ড লিগামেন্টের কাছাকাছি চলে আসার ফলে যন্ত্রণা হয়। ওঠা-বসা করতে গেলে, হাঁটলে, হাঁচি বা কাশি হলে ব্যথা অনুভূত হয়। সাধারণত দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এই ব্যথা বাড়ে। প্রেগন্যান্সির সময় এই ব্যথা বেশ কষ্টদায়ক হলেও ক্ষতিকারক নয়।
প্রেগন্যান্সি গ্যাস পেন
প্রথমে তলপেটে ব্যথা দিয়ে শুরু হয়। তারপর তা ছড়িয়ে পরে পেটের উপরের দিক থেকে বুক, পিঠে। প্রোজেস্টেরন হরমোনই এর জন্য দায়ী। প্রেগন্যান্সিতে শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্যনালীর কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। ফলে খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগে। কোলনে খাবার বেশিক্ষণ থাকার জন্য গ্যাস উত্পন্ন হয়। জরায়ু বড় হয়ে যাওয়ার কারণে অন্যান্য অঙ্গের উপরও চাপ পড়ে। যার ফলে পরিপাক ক্রিয়া ধীরে হয়। হজম যত আস্তে হবে, ততই গ্যাসের পরিমাণ বাড়বে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
এই সমস্যা হলে অন্য প্রেগন্যান্ট মহিলাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। অনেকেই প্রেগন্যান্সিতে এই সমস্যায় ভোগেন। হরমোনের মাত্রার তারতম্য, অতিরিক্ত বিশ্রাম, উত্কণ্ঠার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। যদি ডায়েটে পরিমাণ মতো ফাইবার ও জল না থাকে তা হলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন
প্রেগন্যান্সির ৬ সপ্তাহ কেটে গেলেই ইউরিনারি ট্রাক্ট বা ব্লাডার ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। প্রস্রাবের সময় জ্বালা করে, তলপেটে চাপ, বার বার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্যা হয়। গর্ভাবস্থায় এই ঝুঁকি বাড়ে। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, জরায়ু ব্লাডারের ঠিক উপরেই থাকে। জরায়ুর ওজন বাড়তে থাকলে তা ব্লাডারে চাপ দেওয়ার ফলে প্রস্রাব ঠিক মতো বেরোতে পারে না। ফলে ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। সাবধান না হলে কিডনির উপর প্রভাব পড়তে পারে। সময়ের আগেই গর্ভ যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। অস্বাভাবিক কম ওজনের শিশু জন্মানোরও ঝুঁকি থাকে।
ব্রাক্সটন-হিকস কনট্রাকশন
এটা প্রেগন্যান্সির সময় খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। জরায়ুর পেশীর সংকোচনের কারণে পেটে চাপ অনুভূত হয়। গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহ পর্যন্ত মাঝে মাঝেই এ রকম হতে পারে। যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তা হলে অবশ্যই চিকিত্সককে জানান। ডেলিভারির সময় এগিয়ে এলে কিন্তু এই ব্যথা গর্ভ যন্ত্রণার লক্ষণ হতে পারে।
গাইনি চিকিৎসায় সেরা সমাধান এখন পাবনায়। পাবনায় রয়েছে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ হাসানাত জাহান।
মর্ডান ডায়গনিস্টিক হোমে আজ পাবনার সেরা গাইনি চিকিৎসক ডাঃ হাসানাত জাহান রোগী দেখার মুহূর্তে। গাইনি চিকিৎসায় ডাঃ হাসানাত জাহান পাবনার মধ্যে সেরা একজন চিকিৎসক। পাবনার অন্যতম গাইনি বিশেষজ্ঞ এবং বন্ধ্যাত্ব সমস্যার অসংখ্য সফলতা অর্জনকারী ডাঃ হাসানাত জাহানের সাথে দেখা করতে চলে আসুন মর্ডান ডায়গনিস্টিক হোমে।
বিস্তারিত জানতে কল করুন- +880 1770-976553
ঠিকানাঃ ৩২১, ডাঃ ইসহাক ম্যানশন, গোপালপুর, পাবনা - ৬৬০০

Address

321, Drive Ishaque Mansion, Dr. Ishaque Lane, Gopalpur
Pabna
6600

Opening Hours

Monday 10:00 - 20:00
Tuesday 10:00 - 20:00
Wednesday 10:00 - 20:00
Thursday 10:00 - 20:00
Friday 10:00 - 15:00
Saturday 10:00 - 20:00
Sunday 10:00 - 20:00

Telephone

+8801770976553

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Modern Diagnostic Home posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Modern Diagnostic Home:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram