Modern Diagnostic Home

Modern Diagnostic Home Modern Diagnostic Home is one of the Best Diagnostic Center in Pabna. Modern Diagnostic Home is a diagnostic center with state-of-the-art medical facilities.

মর্ডান ডায়াগনস্টিক হোম পাবনার অন্যতম সেরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মডার্ন ডায়াগনস্টিক হোম হল একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্পন্ন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যা রোগীদের জন্য বিস্তৃত রোগ নির্ণয়ের পরিষেবাগুলি তাদের নিজের প্রতিষ্ঠানে অফার করে৷ সর্বশেষ প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম সহ, আমাদের দক্ষ পেশাদারদের দল পরীক্ষাগার পরিষেবা, ইমেজিং এবং টেলিমেডিসিন পরামর্শ সহ সঠিক এবং দক্ষ ডায়গনিস্টিক পরীক্ষা প্রদান কর

ে। আমাদের লক্ষ্য হল স্বাস্থ্যসেবাকে আমাদের রোগীদের জন্য আরও সহজলভ্য এবং সুবিধাজনক করে তোলার পাশাপাশি গুণমান এবং নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা। আপনার সমস্ত ডায়াগনস্টিক প্রয়োজনের জন্য আধুনিক ডায়াগনস্টিক হোমে চলে আসুন আজই। সপ্তাহে ৭ দিন পাচ্ছেন আমাদের সেবা।

Mordern Diagnostic Home is one of the best diagnostic center in Pabna. which offers a wide range of diagnostic services to patients at their own institutions With the latest technology and equipment, our team of skilled professionals provides accurate and efficient diagnostic tests including laboratory services, imaging and telemedicine consultations. Our mission is to make healthcare more accessible and convenient for our patients while maintaining the highest standards of quality and safety. Visit Modern Diagnostic Home for all your diagnostic needs today. Our service is available 7 days a week.

পুরুষেরও হতে পারে বন্ধ্যাত্ব রোগ - পুরুষের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের লক্ষণপুরুষ বন্ধ্যাত্বের লক্ষণগুলি সনাক্ত করা এই সমস্যাটি ম...
26/07/2025

পুরুষেরও হতে পারে বন্ধ্যাত্ব রোগ -
পুরুষের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ
পুরুষ বন্ধ্যাত্বের লক্ষণগুলি সনাক্ত করা এই সমস্যাটি মোকাবেলা করার জন্য অপরিহার্য কারণ সফল গর্ভধারণের জন্য পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্য প্রয়োজনীয়। যাইহোক, বন্ধ্যাত্বের কোন লক্ষণ দেখা বা লক্ষ্য করা সত্যিই কঠিন, কিছু লক্ষণ আছে যা পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব নির্দেশ করতে পারে। তার মধ্যে কয়েকটি হল:

যৌন ইচ্ছা হ্রাস:
যৌন ফাংশনে পরিবর্তন পুরুষ বন্ধ্যাত্বের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। একটি ইরেকশন পেতে বা বজায় রাখতে ক্রমাগত ব্যর্থতা, বা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (ED), অন্তর্নিহিত উর্বরতার সমস্যাগুলি নির্দেশ করতে পারে। লিবিডো হ্রাস বা যৌন ইচ্ছা হ্রাস হরমোনের অস্বাভাবিকতাও নির্দেশ করতে পারে যা শুক্রাণু উত্পাদনকে প্রভাবিত করে।

বীর্যপাতের সমস্যা:
বীর্যপাত সংক্রান্ত সমস্যা সম্ভবত বন্ধ্যাত্বের ইঙ্গিত হতে পারে। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন, যা ঘটে যখন বীর্য লিঙ্গ ছেড়ে মূত্রাশয় দিয়ে বেরিয়ে যায়, বা অকাল বীর্যপাত প্রজনন সিস্টেমের সাথে সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

পিণ্ড, ব্যথা বা ফোলা:
বন্ধ্যাত্ব সহ পুরুষদের মধ্যে লক্ষণগুলির আরেকটি গ্রুপ হল শারীরিক অস্বস্তি। সংক্রমণ, ভেরিকোসেলস (বর্ধিত টেস্টিকুলার শিরা), বা অন্যান্য অন্তর্নিহিত সমস্যা যা উর্বরতাকে প্রভাবিত করে, অণ্ডকোষের অঞ্চলে ব্যথা বা ফুলে যেতে পারে। গলদ বা অস্বাভাবিকতা থাকলে টেস্টিকুলার ক্যান্সার হতে পারে এবং থেরাপি উর্বরতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ
পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, তবে, বন্ধ্যাত্বের সঠিক কারণটি তাদের জীবনধারা পছন্দ, অবস্থা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর ভিত্তি করে একজন রোগীর থেকে অন্য রোগীর থেকে আলাদা হতে পারে। পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের কয়েকটি কারণ নিম্নরূপ:

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে পুরুষের উর্বরতা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হতে পারে। গাইনেকোমাস্টিয়া এবং স্তনের টিস্যু বৃদ্ধির অন্যান্য লক্ষণ (যেমন মুখ বা শরীরের চুলের বৃদ্ধি কমে যাওয়া) হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নির্দেশ করতে পারে। এই ভারসাম্যহীনতাগুলি পিটুইটারি গ্রন্থি, যা হরমোন উত্পাদন নিয়ন্ত্রণ করে, বা অণ্ডকোষের সমস্যা দ্বারা আনা হতে পারে।

নিম্ন শুক্রাণুর গুণমান এবং গণনা:
শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা এবং রূপবিদ্যায় পরিবর্তন সম্ভবত পুরুষ বন্ধ্যাত্বের সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ। কম শুক্রাণুর সংখ্যা, দুর্বল শুক্রাণুর গতিশীলতা এবং অপরিণত শুক্রাণুর আকৃতির কারণে সফল গর্ভধারণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বীর্য বিশ্লেষণ, পুরুষের উর্বরতা নির্ধারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডায়গনিস্টিক টুল, এই পরিবর্তনগুলি মূল্যায়ন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

অন্তর্নিহিত দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা সমস্যা:
পুরুষ বন্ধ্যাত্ব বিভিন্ন চিকিৎসা অবস্থার ফলে হতে পারে। সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন (STIs) এবং ডায়াবেটিসের মতো অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যাধি প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। সিস্টিক ফাইব্রোসিসের মতো অসুস্থতা দ্বারাও উর্বরতা প্রভাবিত হতে পারে, যার ফলে ভ্যাস ডিফারেন্স (যে টিউবগুলি শুক্রাণু সরবরাহ করে) অস্তিত্বহীন বা আটকে যেতে পারে।

কত বছর ব্যবধানে দ্বিতীয় সন্তান নেবেন? পরিবার-পরিকল্পনা নিয়ে বেশিরভাগ নবদম্পতি দ্বিধায় থাকেন। আমাদের দেশের বর্তমান স্লোগা...
26/07/2025

কত বছর ব্যবধানে দ্বিতীয় সন্তান নেবেন?
পরিবার-পরিকল্পনা নিয়ে বেশিরভাগ নবদম্পতি দ্বিধায় থাকেন। আমাদের দেশের বর্তমান স্লোগান— দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়। এটি হয়তো আমাদের জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে নিয়ম করা। সন্তান বেশি হলে, তাদের সমতার সঙ্গে বড় করতে না পারাও একটি কারণ।

আমাদের সমাজে একটি শিশু হলে পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, তার আরেকজন সঙ্গী দরকার। তখন মা-বাবাও আরেকটি সন্তান নিতে আগ্রহী হন।এখন প্রশ্ন হলো— প্রথম সন্তানের পর কত বছর দেরি করব আরেকটির জন্য?

এ বিষয় নিয়ে কাজ করা বেশিরভাগ সংগঠন প্রায় একই কথা বলেছে। তারা কয়েকটি সময়ের পরামর্শ দিয়েছে। আর এই সময়ের ব্যবধান প্রায় সবই কাছাকাছি। কোথাও বলা হয়েছে— প্রথম সন্তান নেওয়ার দুই থেকে তিন বছর পর দ্বিতীয় সন্তান ভালো। কোথাও এ ব্যবধান তিন থেকে পাঁচ বছর। আবার কেউ কেউ বলছেন, আদর্শ সময় হলো পাঁচ বছর।

এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়— কেন এত দেরি করতে হবে? কারণ একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে পেটের সন্তানের সম্পূর্ণ পুষ্টির জোগান আসে মায়ের কাছ থেকে। মিনারেলস থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব কিছু মা থেকে নেয়। সবশেষে প্রসবের ধকলও মায়ের ওপরই যায়।

আবার সন্তানের জন্মের পরই কিন্তু মায়ের কাজ শেষ হয়ে যায় না। দুই বছর পর্যন্ত স্তন্যপান করান। এ ক্ষেত্রে মায়ের শরীরে অনেক ঘাটতি দেখা দেয়। শিশু স্তন্যপান ছেড়ে দিলেও মায়ের এতদিনের শরীরের ঘাটতি পূরণে বেশ সময় প্রয়োজন হয়।

আমরা মনে করি, প্রথম সন্তানের পর মাকে এক থেকে দুই বছর সময় দিতে হবে। তার পর আরেকটি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করলে তা মায়ের জন্য ভালো হবে। পাশপাশি যে সন্তান পৃথিবীতে আসবে তার জন্যও ভালো হবে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে— দুই সন্তানের মধ্যকার ব্যবধান কম হলে মা ও শিশুর কী কী অসুবিধা হতে পারে? মায়ের রক্তশূন্যতা হতে পারে। রক্তশূন্যতা থেকে অনেক রোগের উৎপত্তি হয়। মা দুর্বল থাকেন। ফলে আগে ও পরে মিলে দুটি শিশুর ঠিকমতো যত্ন করতে পারবেন না। ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেটের সন্তান সেভাবে বাড়বে না। অ্যানিমিয়া থেকে সিরিয়াস অ্যানিমিয়া হতে পারে।

ভয়ঙ্কর বিষয় হলো— অ্যানিমিয়া থেকে হার্ট ফেইলর পর্যন্ত হতে পারে। রক্তশূন্যতায় মায়ের ডেলিভারির পরে জরায়ুতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রচুর রক্তপাত হতে পারে। রক্তপাতের কারণে আরও রক্তশূন্যতা তৈরি হতে পারে। আরও অনেক জটিলতা হতে পারে। তার পর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে।

পেটের শিশুর নানা জটিলতা দেখা দেয়। মায়ের রক্তশূন্যতার কারণে সন্তানও সুস্থ হয় না। মায়ের পানি ভাঙতে পারে। শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা লোপ পেতে পারে। বারবার ইনফেকশন হবে। জন্ডিস হবে। গ্রোথ ঠিকমতো হবে না। হাসপাতালে যাওয়া লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শিশু বুকের দুধ পায় না। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা লোপ পায়। আমরা তো জনসংখ্যাকে জনশক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে চাই, সেটি করা সম্ভব হবে না।

৩৫ শতাংশ নারী গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত -দেশের ৩৫ শতাংশ নারী গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। গর্ভবতী ৮৩ শতাংশ নারীই জ...
25/07/2025

৩৫ শতাংশ নারী গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত -
দেশের ৩৫ শতাংশ নারী গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। গর্ভবতী ৮৩ শতাংশ নারীই জানেন না যে, গর্ভাবস্থার ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হয়। আগে থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত না হলেও অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এই সময়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। দেশে গর্ভাবস্থায় আক্রান্তের এই উচ্চ হার থাকা সত্ত্বেও এ সম্পর্কে নেই সচেতনতা। অন্তঃসত্ত্বা নারীর ৭৯ শতাংশ নিজে ও তার পরিবারের অন্য স্বজন—মা, স্বামী, শাশুড়ি কিংবা অন্য সদস্যরা এ সম্পর্কে জানেন না।

আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ) তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের গ্রামে ৮ শতাংশ ও শহরে প্রায় ১৩ শতাংশ নারী গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) ২০১৭-১৮-এর উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশের ৩৫ শতাংশ নারী গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আক্রান্তের এই উচ্চ হার থাকলেও অন্তঃসত্ত্বা নারী নিজে, তার মা, স্বামী, শাশুড়িসহ পরিবারের প্রায় ৭৯ শতাংশ সদস্য এ সম্পর্কে জানেন না। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার কথা জানেন না ৮৩ শতাংশ।

সচেতনতা জরুরি :জনসচেতনতা খুব জরুরি। নতুন দম্পতিকে গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার আগে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতন হতে হবে। পরিবারগুলোকে বোঝাতে হবে, মা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সন্তানও ঝুঁকিতে পড়ে। যাদের ডায়াবেটিস আগে ছিল, কিন্তু এখন নেই বা যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জানতে হবে, কখন নিরাপদে গর্ভধারণ করা যাবে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে মায়ের প্রি-একলাম্পসিয়া, একলাম্পসিয়া, গর্ভে পানির আধিক্য বা পানির অভাব, চোখ ও অন্যান্য জটিলতা হতে পারে। গর্ভের শিশু আকারে অস্বাভাবিক বড়, জন্মগত ত্রুটি, সময়ের আগে জন্ম, এমনকি গর্ভে নবজাতকের মৃত্যুও হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ - বর্তমান বিশ্বে হৃদ্‌রোগ এক নম্বর মরণব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত। নানা ধরনের হৃদ্‌রোগ...
24/07/2025

শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ -
বর্তমান বিশ্বে হৃদ্‌রোগ এক নম্বর মরণব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত। নানা ধরনের হৃদ্‌রোগ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইস্কেমিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি। এর ফলে হৃদ্‌যন্ত্র রক্ত ভালোভাবে পাম্প করতে পারে না।

বেশির ভাগ সময় করোনারি ধমনি রোগে হৃৎপিণ্ডের পেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছাতে পারে না। ফলে হৃৎপিণ্ডের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এই রোগে ওষুধে কাজ না হলে অস্ত্রোপচার দরকার হতে পারে।

ইস্কেমিক কার্ডিওমায়োপ্যাথিতে আক্রান্ত রোগীর হৃৎপিণ্ডের বাঁ ভেন্ট্রিকল দুর্বল এবং আকারে বড় হয়ে যায়। বাঁ ভেন্ট্রিকল হলো হার্টের প্রধান পাম্পিং চেম্বার। তাই দুর্বল বাঁ ভেন্ট্রিকল হার্টের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

কীভাবে বুঝবেন
ইস্কেমিক কার্ডিওমায়োপ্যাথিতে আক্রান্ত হলে শ্বাসপ্রশ্বাসে দুর্বলতা অনুভব, পা ফুলে যাওয়া, খুব ক্লান্তি লাগা, প্রাত্যহিক কাজকর্ম ও ব্যায়াম করার শক্তি না পাওয়া, প্রায়ই বুকে ব্যথা হওয়া ও কাশি, হঠাৎ হঠাৎ বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরা বা মাঝে মাঝে হালকা মাথাব্যথা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

আক্রান্ত কারও কারও ইস্কেমিক কার্ডিওমায়োপ্যাথির কোনো লক্ষণ না-ও থাকতে পারে। কারণ, করোনারি আর্টারি রোগ, হার্ট অ্যাটাক, করোনারি ভাস্কুলাইটিস, করোনারি আর্টারি ডিসেকশন, মাইক্রোভাস্কুলার রোগ, ফাইব্রোমাসকুলার ডিসপ্লাসিয়া, প্রিঞ্জমেটাল অ্যানজাইনা—ইত্যাদি কারণে ইস্কেমিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি হতে পারে।

কাদের ঝুঁকি বেশি
হৃদ্‌রোগ আর হার্ট অ্যাটাকের পারিবারিক ইতিহাস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, ডায়াবেটিস ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, বিএমআই ৩০-এর বেশি, শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকা ইত্যাদি এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

-ADVERTISEMENT-

Ads by

রোগনির্ণয়
একজন কার্ডিওলজিস্ট অবস্থা বুঝে রোগীকে কিছু পরীক্ষা করাতে পারেন। যেমন রক্ত পরীক্ষা, ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম, বুকের এক্স-রে, থোরাসিক ইকোকার্ডিওগ্রাম, ট্রেডমিল টেস্ট, কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশন। এ ছাড়া এমআরআই স্ক্যান, নিউক্লিয়ার মেডিসিন ইমেজিং, মায়োকার্ডিয়াল বায়োপসিও করতে দিতে পারেন।

চিকিৎসা
কার্ডিয়াক ফাংশন উন্নতির জন্য চিকিৎসা করা হয়। বুকে ব্যথার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনের পাশাপাশি লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। তবে ওষুধে কাজ না হলে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হবে। প্রয়োজনে ডিভাইস প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিতে পারেন চিকিৎসক।

প্রতিকার
প্রতিদিন খাবারে লবণের পরিমাণ ২ মিলিগ্রাম থেকে ৩ মিলিগ্রামের মধ্যে রাখা। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা। ধূমপান বর্জন করা। দেহের উচ্চতা অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর ওজন রাখা। মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করা। ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো।

গর্ভাবস্থায় কী খেতে হবে - যথেষ্ট পরিমাণে ফলিক এসিড প্রাপ্তি কীভাবে নিশ্চিত করা যায়?শুধু খাবার থেকে দৈনিক ৬০০ মাইক্রোগ্রা...
23/07/2025

গর্ভাবস্থায় কী খেতে হবে -
যথেষ্ট পরিমাণে ফলিক এসিড প্রাপ্তি কীভাবে নিশ্চিত করা যায়?
শুধু খাবার থেকে দৈনিক ৬০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড পাওয়াটা কঠিন হওয়ায় আপনি প্রতিদিন সম্পূরক হিসেবে অন্তত ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড সেবন করতে পারেন। তাতে আপনার প্রয়োজনটা পূরণ হবে। আপনি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করার সময় থেকেই বা গর্ভধারণ নিশ্চিত হলেই এটা নেওয়া শুরু করতে পারেন। আপনার জন্য কোন সম্পূরকটি উপযুক্ত, সেটা বোঝার জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

গর্ভবতী মার জন্য কীভাবে নিরাপদে খাবার প্রস্তুত করা যায়?
খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
ব্যবহারের পর সব পাত্র ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
মাংস পুরোপুরি রান্না করতে হবে।
রান্না না করা শাকসবজি, সালাদের সবজি ও ফলমূল খুব সতর্কতার সঙ্গে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
যথাযথ তাপমাত্রায় খাবার সংরক্ষণ করতে হবে।
রান্নার পরপরই খাবার খেয়ে নিতে হবে।


গর্ভাবস্থায় কতটা বেশি খাওয়া দরকার?
প্রথম তিন মাসে আপনার কোনো বাড়তি খাবারের দরকার নেই। দ্বিতীয় তিন মাসে প্রতিদিন আপনার ৩৪০ ক্যালোরি বাড়তি দরকার হবে। আর শেষ তিন মাসে আপনার প্রতিদিন অতিরিক্ত ৪৫০ ক্যালোরি দরকার হবে। এই বাড়তি শক্তির জন্য হাতের কাছে স্বাস্থ্যকর হালকা খাবার যেমন বাদাম, দই ও তরতাজা ফলমূল রাখবেন। এ বিষয়ে উপযুক্ত পরিকল্পনা পেতে আপনার স্বাস্থ্য সেবাদাতার সঙ্গে কথা বলুন।



গর্ভধারণকালে কি ভেজিটেরিয়ান বা ভিগান ডায়েট মেনে চলা উচিত?
আপনি যদি ভেজিটেরিয়ান বা ভিগান ডায়েট অনুসরণ করেন তাহলে আপনাকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনি যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘বি১২’ ও ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করছেন। এ বিষয়ে সমাধান পেতে আপনার চিকিৎসক বা রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলুন।

বন্ধ্যাত্ব প্রতিকারে সচেতনতা- কোনো দম্পতি যদি কোনো ধরনের জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ছাড়া পূর্ণ এক বছর একসঙ্গে বসবাসের পরও সন্ত...
22/07/2025

বন্ধ্যাত্ব প্রতিকারে সচেতনতা-
কোনো দম্পতি যদি কোনো ধরনের জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ছাড়া পূর্ণ এক বছর একসঙ্গে বসবাসের পরও সন্তান ধারণে ব্যর্থ হন, তবে একে বন্ধ্যাত্ব (ইনফার্টিলিটি) সমস্যা বলা হয়ে থাকে।
বন্ধ্যাত্ব দুই ধরনের। প্রাইমারি, অর্থাৎ যাঁদের কখনো সন্তান হয়নি ও সেকেন্ডারি, অর্থাৎ যাঁদের আগে গর্ভধারণ হয়েছে, কিন্তু পরে আর হচ্ছে না।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ দম্পতি সাধারণত চেষ্টার প্রথম বছরে গর্ভধারণে সমর্থ হন। ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছরে গর্ভধারণ হয়। বাকি যে ১০ শতাংশ থাকে, তাঁদের মূলত চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। অতএব বিয়ের পর সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এক থেকে দুই বছর নিজেরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া উচিত।
বন্ধ্যাত্বের ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে নারী, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ, বাকি ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের কোনো সমস্যা থাকে।

কোন সমস্যায় কোন ডাক্তারের কাছে যাব?ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেহের প্রতিটি অংশের চিকিৎসা দিতে পারেন (সার্জারি বা অস্ত্...
21/07/2025

কোন সমস্যায় কোন ডাক্তারের কাছে যাব?
ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেহের প্রতিটি অংশের চিকিৎসা দিতে পারেন (সার্জারি বা অস্ত্রোপচারের বিষয়াদি বাদে)। জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, কাশি, পেটব্যথা ইত্যাদি নানাবিধ উপসর্গ নিয়েই তাঁদের কাছে যাওয়া যেতে পারে। তবে প্রয়োজনে তাঁরা আপনাকে নির্দিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠিয়েও দিতে পারেন।

কাশি বা শ্বাসকষ্টের জন্য বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, কেবল ফুসফুস বা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাতেই শ্বাসকষ্ট হয় না। হৃৎপিণ্ডের সমস্যাতেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এমনকি রক্তশূন্যতার রোগীও একপর্যায়ে শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারেন। তাই বক্ষব্যাধি চিকিৎসক আপনাকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ কিংবা রক্তরোগ বিশেষজ্ঞের কাছেও যেতে বলতে পারেন।

হৃদ্‌রোগের জন্য হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ (কার্ডিওলজিস্ট) যেমন রয়েছেন, তেমনি হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপচারের জন্য কার্ডিয়াক সার্জনও রয়েছেন।

পেটব্যথা, অ্যাসিডিটি, বমি, পাতলা পায়খানার জন্য যেতে পারেন পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞের কাছে। রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া কিংবা কালো পায়খানা হবার মতো উপসর্গেরও চিকিৎসা করবেন তিনি।

হাড় ভেঙে বা মচকে গেলে কিংবা হাড়ে টিউমারজাতীয় কিছু দেখা দিলে অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।

শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার জন্য যেতে পারেন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে (ফিজিওথেরাপিস্ট নয়)। জয়েন্ট আক্রান্ত হয়, এমন নির্দিষ্ট কিছু রোগের জন্য রিউমাটোলজিস্টের কাছেও যেতে হতে পারে।

নখ উপড়ে গেলে, পায়ুপথের সমস্যা কিংবা দীর্ঘমেয়াদী কোষ্টকাঠিন্য হলে জেনারেল সার্জনের কাছে যেতে পারেন। পাঁজরে আঘাতের জন্য প্রয়োজন থোরাসিক সার্জন।

প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে বা বেড়ে গেলে, মুখ ফুলে গেলে কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। পেট ফোলা বা রক্তবমির মতো সমস্যা হতে পারে লিভারের সমস্যায়। লিভারের সমস্যা ধরা পড়লে লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রস্রাব করতে অসুবিধা হলে, অল্প অল্প করে প্রস্রাব ঝরলে ইউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হোন।

মাসিক অনিয়মিত হলে হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ডায়াবেটিসের জন্যও তাঁরাই বিশেষজ্ঞ।

রক্তরোগ (রক্তের ক্যানসারসহ) চিকিৎসা দেন হেমাটোলজিস্ট। অন্যান্য ক্যানসারের চিকিৎসা দেন অনকোলজিস্ট।

যৌন সমস্যায় অবহেলা নয়! যৌন জনিত সমস্যায় চিকিৎসা নিতে আজই চলে আসুন মর্ডান ডায়াগনস্টিক হোম।বিস্তারিত জানতে কল করুন- +880 ...
19/07/2025

যৌন সমস্যায় অবহেলা নয়! যৌন জনিত সমস্যায় চিকিৎসা নিতে আজই চলে আসুন মর্ডান ডায়াগনস্টিক হোম।
বিস্তারিত জানতে কল করুন- +880 1770-976553
ঠিকানাঃ ৩২১, ডাঃ ইসহাক ম্যানশন, গোপালপুর, পাবনা - ৬৬০০

সিজারের পর করণীয় কী কী? সিজারিয়ান অপারেশনের পর যত দ্রুত সম্ভব হালকা কাজকর্মে ফিরে গিয়ে নিজেকে সক্রিয় রাখতে হবে। হালকা হা...
17/07/2025

সিজারের পর করণীয় কী কী?
সিজারিয়ান অপারেশনের পর যত দ্রুত সম্ভব হালকা কাজকর্মে ফিরে গিয়ে নিজেকে সক্রিয় রাখতে হবে। হালকা হাঁটাহাঁটি দিয়ে শুরু করতে পারেন। এসময়ে অপারেশনের কাটা স্থানের যত্ন নিতে হবে। ব্যথা থাকলে প্যারাসিটামল অথবা আইবুপ্রোফেন সেবন করতে পারেন। যোনিপথে হালকা রক্তপাত হতে পারে, এজন্য স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করবেন।
একদিকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিবেন, অন্যদিকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে চেষ্টা করবেন। প্রচুর পানি পান করবেন। পরিমাণমতো পুষ্টিকর খাবার খাবেন। নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

পুরুষদের বন্ধ্যত্বের কারণ কী?নিম্নলিখিত কারণগুলি পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে।বীর্য এবং শুক্রাণু (Semen and ...
14/07/2025

পুরুষদের বন্ধ্যত্বের কারণ কী?

নিম্নলিখিত কারণগুলি পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে।

বীর্য এবং শুক্রাণু (Semen and s***m)
কম শুক্রাণু সংখ্যা, কম শুক্রাণু গতিশীলতা এবং অস্বাভাবিক আকৃতির শুক্রাণু, শুক্রাণুর জন্য ডিম্বাণু পর্যন্ত পৌঁছানোকে কঠিন করে তুলতে পারে।

অণ্ডকোষ (Testicles)
টেস্টিকুলার ক্যান্সার, অসংরক্ষিত অণ্ডকোষ, সংক্রমণ, সার্জারি বা অণ্ডকোষে আঘাতের মতো বিষয়গুলি বীর্যের গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে।

স্টেরিলাইজেশন (Sterilisation)
ভ্যাসেকটমি হল একটি সার্জিকাল পদ্ধতি যেখানে টিউবগুলি (ভ্যাস ডিফিরেন্স) যা শুক্রাণু বহন করে, তা ফার্টিলাইজেশন প্রতিরোধ করতে কেটে ফেলা হয়।

বীর্যপাতজনিত রোগ (Ej*******on Disorders)
বীর্যপাতের অসুবিধার ফলে যৌনমিলনের সময় বীর্য রিলিজ করতে সমস্যা হতে পারে।

হাইপোগোনাডিজম (Hypogonadism)
নিম্ন টেস্টোস্টেরন মাত্রা বীর্যের গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে এবং গর্ভধারণের সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

ওষুধ ও ড্রাগ (Medicines and Drugs)
স্টেরয়েড, ভেষজ ওষুধ এবং কেমোথেরাপির মতো কিছু ওষুধ শুক্রাণুর সংখ্যা, গতিশীলতা এবং গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে।

বন্ধ্যত্বের লক্ষণ(Symptoms of Infertility)
মহিলাদের বন্ধ্যত্বের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে সংক্ষিপ্ত, দীর্ঘস্থায়ী, অনিয়মিত বা অনুপস্থিত মাসিক চক্র। পুরুষদের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে যৌনকর্মের পরিবর্তন, ফুলে যাওয়া অণ্ডকোষ বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।

শিশুদের অপুষ্টিতে ভোগায় এমন অনেক সমস্যাগুলির মধ্যে কৃমির কারনে অপুষ্টি অন্যতম। শিশুরা প্রায়ই পেটে ব্যথার কথা বলে , খেতে...
13/07/2025

শিশুদের অপুষ্টিতে ভোগায় এমন অনেক সমস্যাগুলির মধ্যে কৃমির কারনে অপুষ্টি অন্যতম। শিশুরা প্রায়ই পেটে ব্যথার কথা বলে , খেতে চায় না, এবং খাবার নিয়ে অভিযোগ করে।

এই সময়ে, শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী প্রত্যেক শিশুকে অবশ্যই কৃমিনাশক দিতে হবে এবং অপুষ্টিদূর করতে শিশুর পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর দিতে হবে।

লক্ষন:

১. পেট ফোলা বা গ্যাস

২. ওজন কমে যাওয়া

৩. পেটে ব্যথা

৪. ঘন ঘন খাওয়া বা খাওয়ায় অনিহা

৫. জ্বর বা শুকনো কাশি

৬. প্রস্রাব করতে গেলে ব্যাথা

৭. ঘুমের সমস্যা

৮. খাদ্যে অরুচি,

৯. পাতলা পায়খানা,

১০. বমি বমি ভাব,

১১. পায়খানার রাস্তায় চুলকানি

১২. রক্তশূন্যতা



কিভাবে বুঝবেন?

শিশুর মল পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজেই কৃমির উপদ্রব চিহ্নিত করা যায়।

খাদ্য ব্যবস্থাপনা:

কুমড়ো বীজ:

কুমড়োর বীজ কিউকারবিটাসিন নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি পরিপাকতন্ত্রের কৃমিকে প্যারালাইজড করে দেয় এবং পরে সহজেই মলের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।

পেঁপে বীজ:

পেঁপের বীজে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। এটিতে শক্তিশালী অ্যানথেলমিন্টিক এবং অ্যান্টিঅ্যামিবিক প্রপার্টিস রয়েছে যা অন্ত্রের পরজীবীগুলিকে মেরে ফেলে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মধুর সাথে পেঁপের বীজ অন্ত্রের পরজীবী অপসারণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। পেঁপের বীজের গুঁড়ো গরম পানিতে মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে শিশুকে দিতে পারেন ভালো ফলাফলের জন্য। আপনার শিশুকে দেওয়া যাবে কিনা তা অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে দিন।



রসুন:

রসুনে কিছু অত্যন্ত কার্যকরী অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি প্যারাসাইট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অন্ত্রের কৃমি এবং তাদের ডিম ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ২ বছরের নিচের শিশুর জন্য মা খাবারে বা সালাদে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন।

কাঁচাহলুদ

কাচাহলুদ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। দুধের সাথে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

গাজর

গাজর ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিনের বড় উৎস। এটি বাচ্চাদের কৃমি এবং অন্যান্য পেটের রোগেও সাহায্য করে। বিটা-ক্যারোটিন অন্ত্রের কৃমির ডিম ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। তবে অবশ্যই খুব ভালো ভাবে গাজর ধুয়ে নিতে হবে।

তুলসী

তুলসীর কৃমিনাশক গুণ রয়েছে। এটি হজমের সমস্যা, পেটের কৃমি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও উপকারী। তুলসী পাতার ঔষধি গুণ রয়েছে বলে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রভাব রয়েছে, ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ এবংরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ফিতাকৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে শসর বীজ খাওয়াতে পারেন শিশুকে। শশার বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন এক চা-চামচ করে খেলে কৃমির সমস্যায় দ্রুত ভালো হবে।

সচেতনতা:

প্রথমেই শিশুকে বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিয়ে কৃমিনাশক দিতে হবে। একই সাথে পরিবারের সকলকে কৃমিনাশক গ্রহনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

শিশুর খাবার প্রস্তুত করার আগে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।

শিশুর জন্য ব্যাবহারের সকল হাড়ি পাতিল ও অনান্য সামগ্রী পরিষ্কার রাখতে হবে।

১. কাচা শাক সবজী শিশুকে দেওয়া যাবে না।

২. ডিম ভালো করে সিদ্ধ করে শিশুকে দিতে হবে।

৩. শিশুর খাবার পানি ও ব্যবহারের পানি ফুটিয়ে দিতে হবে।

৪. ফল খাওয়ানোর আগে খুব ভালো করে ধুয়ে দিতে হবে।

তাপপ্রবাহে অন্তঃসত্ত্বা নারীর সতর্কতা -তীব্র তাপপ্রবাহে অধিকাংশ মানুষই নানা শারীরিক সমস্যায় পড়তে পারেন। অন্তঃসত্ত্বা নার...
09/07/2025

তাপপ্রবাহে অন্তঃসত্ত্বা নারীর সতর্কতা -
তীব্র তাপপ্রবাহে অধিকাংশ মানুষই নানা শারীরিক সমস্যায় পড়তে পারেন। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি হতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরবৃত্তীয় কারণে গর্ভবতী নারীরা উচ্চ তাপমাত্রার প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীল থাকেন। অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি ঝুঁকিতে থাকে গর্ভস্থ সন্তানও। তাই তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় গর্ভবতী নারীদের নিজের ও স্বজনদের সতর্ক থাকতে হবে; নিতে হবে বিশেষ যত্ন।

প্রচুর তরল দরকার

গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর তরল বা তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এই গরমে অন্তত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনমতো খাওয়ার স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবুপানি, টক দই, তরমুজ বা শসার মতো ফলমূল খাওয়া দরকার।

খাবার বাছাইয়ে সচেতনতা

অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে। গরমে বাসি, খোলা বা বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো। বাড়িতে তৈরি হালকা মসলার সহজপাচ্য খাবার অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্য আদর্শ।

চা, কফি ইত্যাদি ক্যাফেইন–জাতীয় খাবার হৃৎস্পন্দন ও দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। সুতরাং এসব এড়িয়ে চলা উচিত।

পানিশূন্যতা যেন না হয়

অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ঘাম বেশি হওয়ার কারণে পানিশূন্যতা বেশি হতে পারে। ঠোঁট–জিব শুকিয়ে এলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমলে ও রং গাঢ় হলে এবং শরীর অবসন্ন লাগলে বুঝতে হবে, শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। এ জন্য পর্যাপ্ত পানি পান, অতিরিক্ত গরম বা বদ্ধ জায়গায় দীর্ঘক্ষণ না থাকা, রোদে কম যাওয়া ইত্যাদি মেনে চলতে হবে। দীর্ঘক্ষণ ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম উচিত নয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বা ঘরে হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা চালিয়ে যেতে হবে।

আরামদায়ক পোশাক

গরমে অন্তঃসত্ত্বা নারীর পোশাক হতে হবে আরামদায়ক সুতি কাপড়ের, পাতলা ও ঢিলেঢালা। গরমে ঘামাচি, চুলকানি ও অ্যালার্জির ঝুঁকি থাকে। তাই বারবার ঠান্ডা পানিতে হাতমুখ ধোয়া ভালো। প্রয়োজনে প্রতিদিন একাধিকবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় গোসল করা যেতে পারে। বাইরে গেলে ছাতা, সানগ্লাস ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিত।

পর্যাপ্ত ঘুম

গরমে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রাম না হলে তাতে নিজের বা গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রাম নিশ্চিত করা দরকার।

কখনো কখনো সব নির্দেশনা মেনে চললেও নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

Address

Pabna

Opening Hours

Monday 10:00 - 20:00
Tuesday 10:00 - 20:00
Wednesday 10:00 - 20:00
Thursday 10:00 - 20:00
Friday 10:00 - 15:00
Saturday 10:00 - 20:00
Sunday 10:00 - 20:00

Telephone

+8801770976553

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Modern Diagnostic Home posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Modern Diagnostic Home:

Share