
01/07/2025
১৯৯৬ সালের এক বসন্ত সকালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে ভয়ানক টিক পোকার কামড়ে ‘লাইম ডিজিজ’-এ আক্রান্ত হন আমেরিকান নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ এলি লোবেল। ১৫ বছর হুইলচেয়ারে কাটিয়ে, অবশেষে তিনি ‘ইচ্ছামৃত্যু’ বেছে নিতে যান ক্যালিফোর্নিয়ার পাহাড়ি এক গ্রামে। কিন্তু সেদিনই ঘটে যায় এক অলৌকিক ঘটনা—হঠাৎ এক ঝাঁক মৌমাছির হুলে আক্রান্ত হন এলি। ছোটবেলায় মৌমাছির হুলে কোমায় যাওয়া এলির মনে হয়েছিল, এবার বুঝি সত্যিই শেষ।
কিন্তু তা হয়নি। বরং শুরু হয় তাঁর পুনর্জন্মের গল্প।
হাসপাতালে নেওয়ার পর শুরু হয় প্রচণ্ড জ্বর, ব্যথা—চিকিৎসা বিজ্ঞান যাকে বলে Herxheimer Reaction। এতে বোঝা যায়, শরীরে থাকা ভয়ানক ব্যাকটেরিয়াগুলো মরছে। তিন দিনের মধ্যেই এলির অচল শরীরের ব্যথা কমে, স্মৃতি ফিরে আসে, হাঁটতে শুরু করেন তিনি।
পরে গবেষণায় জানা যায়, মৌমাছির বিষে থাকা Melittin নামের পেপটাইড Borrelia burgdorferi ব্যাকটেরিয়ার কোষ গলিয়ে দিতে পারে। এলি এরপর নিজেই শুরু করেন “অ্যাপিথেরাপি”—প্রতিদিন ১০টি মৌমাছির হুল শরীরে প্রয়োগ। এভাবে কয়েক হাজার হুল নেওয়ার পর তিন বছরেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন এলি।
এখন তিনি কাজ করছেন মৌ-খামারের সঙ্গে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এই বিষ শুধু লাইম নয়, এইচআইভি ভাইরাস ও ক্যান্সারের কোষেও প্রভাব ফেলতে পারে।
এলি লোবেলের গল্প জানিয়ে দেয়—প্রকৃতি কখনো কখনো বিষ দিয়েই বিষকে হারায়।