চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা

বগুড়ায় এই প্রথম  #লিভার_ফুসফুস_কিডনি_ক্যান্সার_টিউমার_এর_মাইক্রোওয়েব_এবলেশন  #লিভার_ফুসফুস_কিডনি_ক্যান্সার_টিউমার_এর_রেড...
29/08/2023

বগুড়ায় এই প্রথম

#লিভার_ফুসফুস_কিডনি_ক্যান্সার_টিউমার_এর_মাইক্রোওয়েব_এবলেশন
#লিভার_ফুসফুস_কিডনি_ক্যান্সার_টিউমার_এর_রেডিওফ্রিকুয়েন্সি_এবলেশন

22/08/2023
গাইনেকোমেশিয়া (পুরুষের মেয়েলী স্তন)গাইনেকোমেশিয়া বা পুরুষের স্তন বৃদ্ধিজনিত সমস্যা ইদানীং খুব প্রকট আকার ধারণ করেছে। পুর...
13/08/2023

গাইনেকোমেশিয়া (পুরুষের মেয়েলী স্তন)

গাইনেকোমেশিয়া বা পুরুষের স্তন বৃদ্ধিজনিত সমস্যা ইদানীং খুব প্রকট আকার ধারণ করেছে। পুরুষদের মাঝে এই সমস্যা থাকা সত্বেও সামাজিক ট্যাবুর কারণে তা অপ্রকাশিতই থেকে যায়। আধুনিক সমাজে স্থূলতা বা শারীরিক ওজন বেড়ে যাবার কারণে এর হার অনেক বেড়েছে। স্তন বৃদ্ধি জনিত সমস্যা একজন রোগীর জীবন দুঃসহ করে ফেলতে পারে। বিশেষত যুবকদের এই সমস্যা দেখা দিলে বন্ধুদের কাছ থেকে টিটকারির স্বীকার হওয়া খুব ই স্বাভাবিক। ক্রমশ আপনজন দ্বারা হেনস্তা হবার শঙ্কায় এই রোগীদেরআত্মবিশ্বাস হ্রাস পেতে থাকে, জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। ভয়ঙ্কর মানসিক ও সামাজিক সমস্যা দেখা দেয়। লাইপোসাকশনের মাধ্যমে সম্পুর্ন দাগবিহীন ভাবে গাইনেকোমেশিয়া রোগী একটি সার্জারীর মাধ্যমে জীবন এ সুন্দর একটি পরিবর্তন আনতে পারেন।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগের কারণ যানা যায় না এবং বাকী কারণ গুলোর মধ্যে বিভিন্ন হরমোনের সমস্যা, ঔষধ, ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগের কারণে হয়ে থাকে। ঔষধ এর মাধ্যমে সাধারণত এর সন্তোষজনক চিকিৎসা সাধারণত সম্ভব হয় না। সার্জারীর মাধ্যমে একজন গাইনেকোমেশিয়া রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে।

তাহলে আর দেরী কেন, আত্মবিশ্বাস ই সাফল্যের ভিত।
ডাঃ মাসফিক আহাম্মেদ
সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগ
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ,
বিশেষজ্ঞ প্লাস্টিক, রিকন্সট্রাক্টিভ , কসমেটিক সার্জন।
এমবিবিএস, এম এস (প্লাস্টিক সার্জারী),
ইডিসি( বারডেম)





 #ডেঙ্গু (DENG-gey) জ্বর হল একটি মশা-বাহিত ভাইরাস-ঘটিত রোগ। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে প্রথমবার ডেঙ্গু-তে আক্রান্ত রোগীর বিশেষ ক...
19/07/2023

#ডেঙ্গু (DENG-gey) জ্বর হল একটি মশা-বাহিত ভাইরাস-ঘটিত রোগ। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে প্রথমবার ডেঙ্গু-তে আক্রান্ত রোগীর বিশেষ কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায় না। শুধু অল্প কিছু ক্ষেত্রেই রোগের প্রভাব গভীর হয়।

#ডেঙ্গুর_সাধারণ_উপসর্গ_গুলি

#উচ্চ_জ্বর (40°C/104°F)
#তীব্র_মাথার_যন্ত্রণা
#চোখের_পিছনে_ব্যথার_অনুভূতি
#মাংসপেশি_এবং_অস্থি_সন্ধি_bone_তে_যন্ত্রণা
#বমিভাব
#মাথাঘোরা
#গ্রন্থি_ফুলে_যাওয়া
#ত্বকে_বিভিন্ন_স্থানে_ফুসকুড়ি

বগুড়ায় এই প্রথম বিশেষজ্ঞ বার্ন(পোড়া), প্লাস্টিক ও কসমেটিক  সার্জন নিয়মিত রোগী দেখছেন ও অপারেশন করছেন। ডাঃ মাসফিক আহাম্মে...
18/06/2023

বগুড়ায় এই প্রথম
বিশেষজ্ঞ বার্ন(পোড়া), প্লাস্টিক ও কসমেটিক সার্জন
নিয়মিত রোগী দেখছেন ও অপারেশন করছেন।

ডাঃ মাসফিক আহাম্মেদ
সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগ।

রোগী দেখার সময়ঃ
প্রতিদিন বিকাল ৫ টা হইতে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত।
রয়েল হসপিটাল
শেরপুর রোড, ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ডে এর দক্ষিণ পার্শ্বে
মোবাইলঃ ০১৭১৬৩৩৪৪০০

রমজানের সাহরি ও ইফতার কেমন হবেসারা দিন রোজা রেখে সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্য সাহ্‌রি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই সাহ্‌রি খে...
29/03/2023

রমজানের সাহরি ও ইফতার কেমন হবে

সারা দিন রোজা রেখে সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্য সাহ্‌রি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই সাহ্‌রি খেতে চান না অথবা খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে যান। এটা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। সাহ্‌রি সারা দিনের কাজ করার শক্তি জোগায়। তাই সাহ্‌রিতে একটু সময় নিয়ে পরিমিত পরিমাণে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত।
ভাতের সঙ্গে সবজি, মাছ অথবা মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে।

দুধ, কলা, ভাত খাওয়াই যেতে পারে।
এ ছাড়া দুধ-কলা-ভাত অথবা আম-দুধ-ভাত খাওয়া যায়। ভাত, সবজি ও মাছ খাওয়ার পর এক কাপ দুধ ও খেজুর খেলে সারা দিন সুন্দরভাবে রোজা রাখা যায়। অনেকেরই চা-কফি পান করার অভ্যাস থাকে। তাই অনেকেই সাহ্‌রিতে খাবার খাওয়ার পর চা অথবা কফি পান করে থাকেন, এটা মোটেও উচিত নয়।

সাহরিতে চা বা কফি খাওয়া উচিত না। সাহ্‌রিতে যথাসম্ভব সালাদ, ডাল, ভাজা সবজি বা মাছ এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এতে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তবে সাহ্‌রি খাওয়ার পর একটি বা দুটি খেজুর খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়; যা সারা দিন পানিশূন্যতা রোধ করতে সাহায্য করে।

রমজানে শরীরের সুস্থতা ও পুষ্টি চাহিদার কথা বিবেচনা করলে ইফতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাধারণত মুখরোচক বিভিন্ন খাবার দিয়ে ইফতার মেনু তৈরি করে থাকি, কিন্তু আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদার কথা বিবেচনা করি না। একটি পুষ্টিসম্মত ইফতারে সাধারণত কী ধরনের খাবার থাকা উচিত, সেটা জানানো যাক।

আমাদের ইফতারে ভাজাপাড়ো থাকেই
অবশ্যই ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দিয়ে ইফতার করা উচিত। যথাসম্ভব সহজপাচ্য খাবার ইফতার মেনুতে রাখতে হবে। ইফতারে প্রথমে বিশুদ্ধ পানির সঙ্গে খেজুর খাওয়া উচিত। এরপর শরবত অথবা জুস খাওয়া যায়। আমরা ট্র্যাডিশনালি ইফতারে ছোলা খেয়ে থাকি। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ইফতারে সহজপাচ্য খাবার হিসেবে মুড়ি, চিড়া, দই, খই অথবা সবজি দিয়ে নুডলস ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া মৌসুমি ফল ও সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যা ভিটামিন ও মিনারেলসের চাহিদা পূরণ করে।

ইফতারে আমরা সাধারণত প্রচুর ভাজাপোড়া খাবার খেয়ে থাকি, যেমন: পিঁয়াজু, বেগুনি, বেসন দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের চপ, এমনকি অনেক সময় বাইরে থেকে মুখরোচক খাবার কিনে আনি, যা মোটেও উচিত নয়।

ভাজাপোড়া খাবারের ক্ষেত্রে যেকোনো একটি বা দুটি আইটেম রাখা যায়। যেমন: যেদিন ছোলার সঙ্গে পিঁয়াজু খাওয়া হয় সেদিন বেগুনি বাদ দেওয়া যায়। পিঁয়াজু অথবা বেসন দিয়ে ভাজা বেগুনি ও বিভিন্ন ধরনের চপ সবই ডাল জাতীয় খাবার। প্রতিদিন এ ধরনের খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পুরো রমজান মাস এ ধরনের খাবার খাওয়া হলে স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন: ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, হাত-পায়ে ব্যথা হতে পারে।

চপ জাতীয় খাবার সব সময় বেসন দিয়ে না ভেজে ডিম অথবা ব্রেডক্র্যাম দিয়ে ভাজা গেলে সমস্যা এড়ানো যায়।

ইফতারে মেনু পরিবর্তন করা উচিতইফতারে মেনু পরিবর্তন করা উচিত
ইফতারে প্রতিদিন একই মেনু না রেখে দু-এক দিন পরপর মেনু পরিবর্তন করা উচিত। ইফতারে ডিম ও দুধের তৈরি খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া ইফতারের কিছুক্ষণ পর একটি ডিম সেদ্ধ খাওয়া যেতে পারে, যা আমাদের ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে।

চিকেন পক্স বা জলবসন্ত ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক রোগ। ভ্যারসিলো জস্টার নামের একটি ভাইরাসের কারণে জলবসন্ত হয়। যেকোনো বয়সেই ...
14/03/2023

চিকেন পক্স বা জলবসন্ত ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক রোগ। ভ্যারসিলো জস্টার নামের একটি ভাইরাসের কারণে জলবসন্ত হয়। যেকোনো বয়সেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও শিশু ও অল্পবয়সীরা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে।

জলবসন্তের লক্ষণ

শুরুর দিকে শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, মাথাব্যথা করা, গা-হাত-পা ব্যথা করা এমনকি পিঠেও ব্যথা হতে পারে। একটু সর্দি-কাশিও হতে পারে। এরপর জ্বর জ্বর ভাব হবে। এগুলো রোগের পূর্ব লক্ষণ। এরপর শরীরে ঘামাচির মতো কিছু উঠতে দেখা যায়। তারপর সেটা একটু পর বড় হতে থাকে এবং ভেতরে পানি জমতে থাকে। খুব দ্রুতই শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। আর এভাবে জলবসন্ত হয়ে গেলে রোগীর অনেক জ্বর আসবে। শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হবে আর সঙ্গে সর্দি-কাশিও থাকবে।

বসন্ত রোগের সংক্রমণ
বসন্ত সংক্রামক রোগ হওয়ায় কোনো সুস্থ ব্যক্তি বসন্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে এতে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষ করার বিষয় হলো জলবসন্ত রোগের সংক্রমণটা মূলত হয় রোগীর দূষিত চামড়া থেকে। জলবসন্তের গুটির ভেতরে পানি জমা থাকে। গুটি শুকিয়ে যেতে থাকলে ওপরের চামড়াটা ঝরে পড়ে। এই কালো হয়ে যাওয়া চামড়ায় জীবাণু থেকে যায় এবং এটা খুবই সংক্রামক। গুটি শুকিয়ে যেতে থাকলে শরীর অনেক চুলকায়। অনেকে তখন এগুলো চুলকিয়ে টেনে তুলে ফেলে। কিন্তু এটা করা একেবারেই ঠিক না। আর শুকনো চামড়াগুলো জমিয়ে পুড়িয়ে ফেলাই ভালো।

এই রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে হলে রোগীকে অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে। তাকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে এবং তার বিছানাপত্র নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। শরীরের ফুসকুড়ি পুরোপুরি শুকানো এবং ঝরে না যাওয়া পর্যন্ত অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ রোগীকে এভাবে আলাদা রাখাটাই শ্রেয়। তবে, রোগীর ঘর যেন পরিষ্কার ও আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে।

জলবসন্তের প্রতিষেধক
যদিও চিকেন পক্স বা জলবসন্ত একটা ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ, তার পরও এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখন বসন্তের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আছে। শিশুর জন্মের ৪৫ দিন পর থেকে যেকোনো বয়সে এই ভ্যাকসিন নেওয়া যায়। আর যারা ভ্যাকসিন নিয়েছে, তাদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা নেই। অযথা রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ারও প্রয়োজন নেই। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এ রোগ ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সাধারণত ভালো হয়ে থাকে।

রোগীকে কী খাওয়াবেন?
এ সময়ে রোগীকে অনেক পুষ্টিকর খাবার দেওয়া প্রয়োজন হয়। তবে খাবারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, সবজি সবকিছুই খাওয়া যাবে। আর শরীরের দুর্বলতা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে রোগীকে বেশি বেশি করে খেতে হবে।

কীভাবে গোসল করবেন?
জলবসন্ত হওয়ার পরও নিয়মিত গোসল করা যায়। এতে কোনো সমস্যা হয় না। তবে গোসল শেষে শরীর ঘষে মোছা যাবে না, আলতো করে মুছে নিতে হবে। স্বাভাবিক পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। আর রোগীর ব্যবহূত পোশাক, বিছানার চাদর, শোবার ঘর অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এ রোগে শরীরে দাগ হয়, তাই এ সময়ে ডাবের পানি খুব উপকারী এবং ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া এবং গোসল করলেও উপকার পাওয়া যাবে।

19/02/2023

This beauty cannot be enjoyed without seeing it.

28/01/2023

#পিআরপি_কি
#বয়স্কদের_কেন_হাটুতে_ব্যাথা_হয়
#হাটুর_ব্যাথায়_পিআরপি_থেরাপি_কিভাবে_কাজ_করে
#পিআরপি_থেরাপি

ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ-আল-মাসুদ
এমবিবিএস, ডিবিএসএন্ডটি (বিএসএমএমইউ)
এফসিজিপি, সিসিডি (বারডেম)
সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বগুড়া।

মূলত তিনটি কারণে ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। আঘাতজনিত, ক্ষয়জনিত এবং বাতজনিত। আঘাতজনিত ব্যথা খেলাধুলার ইনজুরি বা কোনো দুর্ঘটনায় লিগামেন্টের আঘাত থেকে হাঁটু বা জয়েন্টে ব্যথা হতে থাকে। আবার হাঁটুর জয়েন্টের কাছে কারটিলিস নামের যে নরম হাড় থাকে, সেখানে ক্ষয় দেখা দিলে হাঁটুর ব্যথা হয়।

পিআরপি অর্থ হচ্ছে প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা। পিআরপি থেরাপিতে শরীরের নির্ধারিত অংশে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিশেষ প্রোটিন সরবরাহের একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতি প্রয়োগে আপনার শরীর থেকেই রক্ত নিয়ে তা থেকে প্লাটিলেট (অনুচক্রিকা) ও প্লাজমাকে (রক্তের বর্ণহীন সাদা অংশ) আলাদা করা হয়।

প্রায়ই দেখা যায় হাঁটু ব্যাথার কারণে বয়স্কদের হাঁটাচলায় কষ্ট হয়। দিন দিন চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার প্রবণতাও বাড়ছে। যার অন্যতম কারণ হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা বয়সজনিত ক্ষয়বাত। বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকেরা পিআরপি (প্লেটিলেট রিচ প্লাজমা) থেরাপির মাধ্যমে হাঁটু ব্যথার দীর্ঘস্থায়ী উপশম অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।

প্রশ্ন : হাঁটুর বয়সজনিত ক্ষয়বাত বা অস্টিওআর্থ্রাইটিস কী ?
উত্তর : বয়স্কদের হাঁটুর অস্থি (হাড়) ও তরুণাস্থি (নরম হাড়) গুলোতে ক্ষয়ের কারণে গঠনগত পরিবর্তন হয়ে যে রোগ হয়, তাকেই হাঁটুর বয়সজনিত ক্ষয়বাত বা হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস বলে।

প্রশ্ন : কারা ঝুঁকিতে আছে ?
উত্তর : যাদের বয়স ৫০ এর অধিক, পুরুষের তুলনায় মহিলাদের বেশি হয়।

প্রশ্ন : পি.আর.পি থেরাপি (প্লেটিলেট রিচ প্লাজমা) কি ?
উত্তর : রোগীর শরীরের নিজস্ব রক্ত হতে বিশেষ পদ্ধতিতে সেন্ট্রিফিউজ/ঘূর্ণন মেশিনের মাধ্যমে প্লেটলেট বা অনুচক্রিকার স্তর আলাদা করা হয়, যে স্তরে প্রচুর গ্রোথ ফ্যাক্টর(উৎপাদনকারী পদার্থ) থাকে। গ্রোথ ফ্যাক্টর সম্ম্রদ্ধ অনুচক্রিকার এই স্তরটিকে বলা হয় পি.আর.পি (প্লেটিলেট রিচ প্লাজমা)

প্রশ্ন : কীভাবে হাঁটুর ক্ষয়বাত বা অস্টিওআর্থ্রাইটিসে পিআরপি চিকিৎসা করা হয় ?
উত্তর : প্রথমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হয়, হাঁটুর ক্ষয়বাত বা অস্টিওআরথ্রাইটিস রোগটি কোন পর্যায়ে আছে। এর ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা দেয়া হয়। মূলত রোগীর শরীর থেকে রক্ত নেয়া হয়, এরপর রক্ত থেকে পিআরপি আলাদা করে এটিকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে হাঁটুর ভিতরে
দেয়া হয়।

প্রশ্ন : হাঁটু ব্যাথায় পিআরপি থেরাপি কিভাবে কাজ করে ?
উত্তরঃ প্লেটিলেট বা অনুচক্রিকা হল গ্রোথ ফেক্টরে পরিপূর্ণ একটি কোষ। যখন কোন জায়গায় ক্ষত হয়, তখন এই প্লেটলেট এসে ক্ষত জায়গায় জড়ো হয়। তারপর প্লেটলেট বেশ কিছু সংখ্যক গ্রোথ ফেক্টর ছেড়ে দেয়। বিজ্ঞানীরা লক্ষ করলেন, যদি এই প্লেটলেট আমরা আক্রান্ত হাঁটুর ভিতরে বেশী পরিমাণে দেয়া যায়, তাহলে বেশী পরিমাণে গ্রোথ ফেক্টর পাওয়া যাবে। যা হাঁটুর তরুণাস্থি বা নরম হাড়ের ক্ষয় পূরণে অনেক সাহায্য করবে।

প্রশ্ন : হাঁটুতে পি,আর,পি ইঞ্জেকশন কতবার দেওয়া উচিত ?
উত্তর: সাধারণত ছয় মাস সময়সীমার মধ্যে তিনটি পিআরপি পর্যন্ত ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে

প্রশ্ন : কতদিন পর পর পি,আর,পি ইঞ্জেকশনগুলো দেওয়া হয় ?
উত্তর: সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর পর দেওয়া হয়।

প্রশ্ন : হাঁটুর ক্ষয়বাতের চিকিৎসায় পি,আর,পি কতটুকু কার্যকরী ?
উত্তর: সাধারণত পি,আর,পি থেরাপি নেয়ার ছয় থেকে নয় মাস পর এর পরিপূর্ণ ফল পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, হাঁটুর তরুনাস্তি/নরম হাড়ের ক্ষয় পূরণ ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা কমানোর জন্য পি,আর,পি থেরাপি খুবই কার্যকর।

পি.আর.পি থেরাপির কি বিশ্বস্বীকৃত ?
হ্যা,আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোতে সফলতার সাথে হাঁটু ক্ষয়বাতের চিকিৎসায় পিআরপি থেরাপি প্রয়োগ করা হচ্ছে।

Address

Puran Bogra
5800

Telephone

+8801712499791

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram