30/09/2025
🎪বয়ঃসন্ধির পর থেকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের ঘনত্ব (Bone Density) ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে মেনোপজের পর হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই বয়সভিত্তিক হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ ও যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। নিচে বয়সভেদে হাড়ের যত্ন ও প্রতিরোধমূলক টিপস দেওয়া হলো:
🧒 শিশু ও কিশোর বয়স (১০–১৮ বছর)
▪ পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো (দুধ, ডিম, মাছ, ডাল, সবুজ শাকসবজি)।
▪ প্রতিদিন আউটডোর খেলাধুলা ও সূর্যের আলোতে থাকা।
▪ মোবাইল/টিভির আসক্তি কমিয়ে শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ানো।
👩🦱 তরুণ বয়স (১৯–৩০ বছর)
▪ হাড়ের ঘনত্ব সর্বোচ্চ হয় এ সময়, তাই নিয়মিত ব্যায়াম (বিশেষ করে ওজনভিত্তিক এক্সারসাইজ) করা উচিত।
▪ ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করা।
▪ সুষম খাদ্যের মাধ্যমে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম (প্রতিদিন প্রায় ১০০০ মি.গ্রা.) ও ভিটামিন ডি গ্রহণ করা।
🧑 মধ্য বয়স (৩১–৫০ বছর)
▪ দুধ, দই, মাছ, শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখা।
▪ প্রতিদিন হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম বা হালকা জিম করা।
▪ লম্বা সময় বসে না থেকে অ্যাকটিভ লাইফস্টাইল বজায় রাখা।
▪ চিকিৎসকের পরামর্শে বোন ডেনসিটি টেস্ট (DEXA scan) করানো যেতে পারে।
👵 প্রবীণ বয়স (৫০ বছরের পর)
▪ নারীদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিস ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই বাড়তি যত্ন প্রয়োজন।
▪ ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট বা ইনজেকশন প্রয়োজনে নিতে হতে পারে।
▪ ভারসাম্য রক্ষা করার ব্যায়াম (Balance exercise) করা, যাতে পড়ে গিয়ে হাড় ভাঙার ঝুঁকি কমে।
▪ ঘর-বাড়িকে ফল-প্রুফ রাখা (ফ্লোরে পিচ্ছিলতা না থাকা, সিঁড়ি নিরাপদ করা)।
✅ সার্বিক টিপস:
▪ প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম।
▪ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
▪ ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা।
▪ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
🟩যোগাযোগঃ
Saic General Hospital Ltd.
Bhai Pagla Mazar Lane, Bogura
☎ 01936-005870, 01936-005871
🌐www.saicgeneralhospital.com