Dr Masum Parvag

Dr Masum Parvag Personalized care for a healthier, more active life.

Dr. Masum Parvag (PT)
Physiotherapist | BPT (India)
Specialist in Musculoskeletal Disorders
Helping you relieve pain, restore mobility, and regain functional strength.

“ধূমপানের ভয়াল ফল, নিঃশ্বাসই যখন হয়ে ওঠে মৃত্যুবার্তা ”🤔ভাবুন......আপনি আর আপনার সন্তান সকালে হাঁটতে বের হচ্ছেন। শীতের হ...
02/06/2025

“ধূমপানের ভয়াল ফল, নিঃশ্বাসই যখন হয়ে ওঠে মৃত্যুবার্তা ”

🤔ভাবুন......
আপনি আর আপনার সন্তান সকালে হাঁটতে বের হচ্ছেন। শীতের হালকা কুয়াশা, পাখির ডাক—সবই চমৎকার। কিন্তু আপনি হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ থেমে যান। শ্বাস নিতে পারছেন না... বুক চেপে আসে... মাথা ঘুরছে...

আপনার সন্তান চিন্তিত হয়ে বলে, “আব্বু, আপনি ঠিক আছেন তো?” আপনি মাথা নাড়েন, কিন্তু কণ্ঠে কোনো শব্দ নেই। এমন একটি ক্ষণেই আপনার দীর্ঘ দিনের ধূমপানের হিসেব চুকিয়ে দেয় ফুসফুস নামের নিষ্ঠাবান অঙ্গটি।

সিওপিডি (COPD) কী?
সিওপিডি (COPD) হলো এমন এক প্রাণঘাতী রোগ যা ধীরে ধীরে ফুসফুসকে নষ্ট করে ফেলে।
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত শ্বাসকষ্টে ভোগে, এবং শেষমেশ নরমাল জীবনযাপনও অসম্ভব হয়ে ওঠে।

👉 এটি আসলে দুই ধরনের প্রধান রোগের সমন্বয়:
1. ক্রনিক ব্রংকাইটিস (Chronic Bronchitis) – যেখানে শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত কফ জমে এবং কাশি লেগেই থাকে।
2. এমফিসেমা (Emphysema) – যেখানে ফুসফুসের অভ্যন্তরীণ এয়ারস্যাকস (বায়ুথলি) ধ্বংস হয়ে যায়।

🚬 প্রধান কারণ ধূমপান – নিঃশ্বাস কেড়ে নেওয়া যার অভ্যাস ☹️

>>>> “একটা বিড়ি মাত্র ৩ টাকা…..
কিন্তু এই ৩ টাকায় আপনি ধীরে ধীরে গিলে ফেলছেন নিজের ফুসফুস।”

📌 কিছু ভয়ঙ্কর তথ্য-
>> ধূমপান করা ব্যক্তিদের মধ্যে ৮০%-এর বেশি মানুষ এক পর্যায়ে সিওপিডিতে আক্রান্ত হন।
>> নিয়মিত ধোঁয়ায় বসবাসকারী মানুষ (যেমন রান্নার ধোঁয়া, ফ্যাক্টরির গ্যাস) অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।
>> যারা ধূমপান না করেও "প্যাসিভ স্মোকার" হিসেবে অন্যের ধোঁয়া গ্রহণ করেন, তারাও এই রোগে আক্রান্ত হন।

❗ আর কী কী কারণে সিওপিডি হতে পারে?
🔹 রান্নার সময় পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা না থাকলে।
🔹 ধুলাবালি, কেমিকেল বা গ্যাসযুক্ত পরিবেশে নিয়মিত থাকা।
🔹 শিশু বয়সে নিয়মিত শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়া হওয়া।
🔹 বংশগত কারণে (বিশেষ ধরনের প্রোটিনের অভাব)।
🔹 কোনো কারণে ফুসফুসে সংক্রমণ হলে এবং সময়মত চিকিৎসা না হলে।

😰 সিওপিডি আক্রান্ত মানুষ কেমন জীবনযাপন করেন?
শ্বাস নিতেই যেন লড়াই করতে হয় প্রতিটি মুহূর্তে, দিনে ১০ বার ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। সিঁড়ি উঠা দূরের কথা, বিছানা থেকে উঠতেই ক্লান্ত হয়ে যায়। বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় – কারণ শ্বাস আটকে আসে, পায়ে পানি জমে যায়, মুখ ফুলে যায়, কথা বলার মাঝেও কাশি ও হাঁপানি লেগে থাকে, একসময় অক্সিজেন সিলিন্ডার হয় জীবনের একমাত্র ভরসা

এই মানুষগুলোর হৃদয় চায় একটু মুক্ত বাতাস। কিন্তু ফুসফুস আর সেটা দিতে পারে না...🥺🥹

🔍 লক্ষণগুলো কী কী?
✔️ প্রতিদিন কাশি এবং কফ জমে থাকা।
✔️ সামান্য হাঁটাহাঁটিতেই শ্বাসকষ্ট।
✔️ বুকে চাপ লাগা ও শ্বাসের সময় হাঁপ ধরার অনুভব।
✔️ নাক-কান-গলা বারবার বন্ধ থাকা।
✔️ ঠান্ডা লাগলে দীর্ঘদিন সেরে না উঠা।
✔️ নি:শ্বাসে সাঁই সাঁই শব্দ।
✔️ ক্লান্তি ও ঘন ঘন ঘুম।
✔️ একসময় ওজন কমে যাওয়া, পেট ফোলা অনুভব হওয়া।

🚨 সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ:
> ধূমপান সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করুন এখনই।
> রান্নার চুলা যেন ভেন্টিলেটেড থাকে এটি গ্রামের মায়েদের জন্য বড় পরামর্শ।
> কাজের সময় ধুলো, গ্যাস থেকে নিজেকে বাঁচাতে মাস্ক পরুন।
> ফুসফুসের সমস্যা থাকলে নিয়মিত ডাক্তার দেখান।
> ঠান্ডা, কাশি, কফ ইত্যাদি অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নিন।
> ইনহেলার বা ওষুধ ব্যবহারে নিয়ম মেনে চলুন।
> ব্যায়াম, হাঁটাচলা ও শ্বাস প্রশ্বাস ব্যায়াম (ব্রিদিং এক্সারসাইজ) করুন।
> ফুসফুসের কার্যক্ষমতা জানতে নিয়মিত স্পিরোমেট্রি পরীক্ষা করুন।

"সিওপিডি প্রতিরোধ করা যায়, কিন্তু একবার হলে আর পুরোপুরি সারানো যায় না। তাই আজই সচেতন হোন, পরিবারকে নিরাপদ রাখুন।"

সচেতনতায়-
ডা: মাসুম পারভেজ
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট
বি.পি.টি. ( ইন্ডিয়া)

“শরীর জুড়ে টিউমার, ত্বকে ফুঁসকুড়ি, চোখে মুখে দাগ, আর মস্তিষ্কে দৌড়ায় আতঙ্ক…”এই সবকিছু একত্রে ঘটে একটি বিরল ও জটিল রোগে —...
01/06/2025

“শরীর জুড়ে টিউমার, ত্বকে ফুঁসকুড়ি, চোখে মুখে দাগ, আর মস্তিষ্কে দৌড়ায় আতঙ্ক…”

এই সবকিছু একত্রে ঘটে একটি বিরল ও জটিল রোগে — যার নাম Tuberous Sclerosis Complex (TSC)।

📌 রোগটির পরিচয়
টিউবারস্ক্লেরোসিস স্ক্লেরোসিস হলো একটি বংশগত (জেনেটিক) রোগ, যেখানে দেহে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে (বিশেষ করে মস্তিষ্ক, ত্বক, কিডনি, চোখ, হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসে) বিনাইন (অঘাতক হলেও বিপজ্জনক) টিউমার তৈরি হয়।

এই রোগটি শরীরের TSC1 বা TSC2 জিনে পরিবর্তনের ফলে ঘটে। এই জিনদ্বয় স্বাভাবিকভাবে কোষের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু পরিবর্তিত হলে অতিরিক্ত কোষ জন্মায়, ফলে গঠিত হয় টিউমার।

⚠️ লক্ষণ ও চিহ্ন
TSC রোগীর উপসর্গ ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ লক্ষণ তুলে ধরা হলো:

🧠 স্নায়বিক (Neurological):
মৃগী বা খিঁচুনি (Seizures) – ছোট শিশুদের মধ্যেই প্রথম প্রকাশ পায়, মানসিক বিকাশে বিলম্ব – শেখার সমস্যা, কথাবার্তায় সমস্যা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD) – আচরণগত সমস্যা।

🧴 ত্বকে:
মুখে অ্যাংজিওফাইব্রোমা – গালের দুপাশে ছোট লালচে গুটির মত কোমরে বা পিঠে “শাগ্রিন প্যাচ” নামক রুক্ষ দাগ, “অ্যাশ লিফ স্পট” – পাতার মত সাদা দাগ।

💓 অন্যান্য অঙ্গ:
> কিডনিতে টিউমার – রক্তপাত বা কিডনি অকেজো হতে পারে
> হৃদপিণ্ডে টিউমার – শিশু বয়সে সমস্যা দেখা দেয়
> ফুসফুসে সমস্যা – মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

🧬 এই রোগের কারণ কী?
TSC হয় মূলত জিনগত পরিবর্তনের কারণে। দুইটি প্রধান জিন জড়িত:
১. TSC1 (hamartin তৈরি করে)
২. TSC2 (tuberin তৈরি করে)

এই জিনগুলো কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিভাজনকে নিয়ন্ত্রণ করে। যদি এগুলোতে মিউটেশন হয়, তখন কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ে এবং টিউমার সৃষ্টি করে।

👉 অনেক ক্ষেত্রেই এটি পরিবার থেকে আসে, তবে ৬০-৭০% ক্ষেত্রে এটি নতুন মিউটেশন হিসেবেও হতে পারে।

🏥 চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা
TSC-এর কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে রেখে রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়।

🧠 স্নায়বিক ব্যবস্থাপনা:
> খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণের ওষুধ
> Brain surgery (যেসব ক্ষেত্রে খিঁচুনি রোধ করা সম্ভব না)

👩‍⚕️ নিয়মিত পরীক্ষা:
MRI/CT scan – মস্তিষ্ক, কিডনি ও ফুসফুসে টিউমার পর্যবেক্ষণ স্কিন বায়োপসি – ত্বকের পরিবর্তন বিশ্লেষণ।

💊 ওষুধ:
mTOR inhibitors (যেমন Sirolimus, Everolimus) – কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনে।

👩‍⚕️ থেরাপি:
স্পিচ থেরাপি, আচরণগত থেরাপি, বিশেষ শিক্ষা — অটিজম বা বিকাশজনিত বিলম্বে।

❗ মানুষ কীভাবে সচেতন হবে?
🔹 ছোট শিশুদের যদি বারবার খিঁচুনি হয় — ডাক্তার দেখান
🔹 শিশুর মুখে বা শরীরে অস্বাভাবিক ফুঁসকুড়ি, দাগ থাকলে — চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
🔹 পারিবারিক ইতিহাস থাকলে, সন্তান জন্মের পরই জেনেটিক কাউন্সেলিং করান
🔹 শিশুর মানসিক বিকাশে বিলম্ব দেখলে বিশেষজ্ঞ থেরাপিস্ট এর সহায়তা নিন।

💬 ভাবুন একবার…
একটি শিশু মুখে শত শত ফোঁড়ার মতো গুটি নিয়ে বড় হচ্ছে। তার স্বপ্নগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কারণ সমাজ তার চেহারা দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকায়।

👉 রোগ তার চেহারা দিয়েছে, কিন্তু অবহেলা, বঞ্চনা, বিদ্রুপ দিয়েছে সমাজ।

📢 আমাদের দায়িত্ব কী?
✅ সচেতনতা ছড়ান — এই রোগ ছোঁয়াচে নয়, এটি জেনেটিক
✅ রোগীকে ভালোবাসুন, অবহেলা নয়
✅ পরিবার ও সমাজে রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন
✅ সরকারের উচিত — এই দুর্লভ রোগে আক্রান্তদের জন্য বিশেষ সহায়তা, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করা

📚 শেষ কথা
টিউবারস্ক্লেরোসিস স্ক্লেরোসিস হয়তো দুর্লভ, কিন্তু রোগীরা দুর্বল নয়। যদি সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তবে তারাও আমাদের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। তাদের পাশে দাঁড়ান, তাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে পড়তে দেবেন না।

সচেতনতায়-
ডা: মাসুম পারভেজ
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট
বি.পি.টি. ( ইন্ডিয়া)

"ট্রি সিনড্রোম~ এক ভয়ংকর চর্মরোগ, যার শরীর হয়ে ওঠে গাছের মতো"ভাবুন, আপনার হাত বা পায়ে গাছের ডালপালার মতো শক্ত কিছু জন্ম ...
30/05/2025

"ট্রি সিনড্রোম~ এক ভয়ংকর চর্মরোগ, যার শরীর হয়ে ওঠে গাছের মতো"

ভাবুন, আপনার হাত বা পায়ে গাছের ডালপালার মতো শক্ত কিছু জন্ম নিচ্ছে। আপনি আর ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না, খেতে পারছেন না, নিজেকে স্পর্শ করতে পারছেন না।
এই রোগের নামই হলো — "ট্রি সিনড্রোম"।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় এপিডারমোডিসপ্লাসিয়া ভেরুসিফর্মিস (Epidermodysplasia Verruciformis)। এটি একটি অত্যন্ত বিরল ও বংশগত চর্মরোগ, যেখানে রোগীর শরীর ধীরে ধীরে গাছের বাকলের মতো দেখতে এক ধরনের কঠিন বৃদ্ধিতে ঢেকে যায়।

⚠️ ট্রি সিনড্রোমের কারণ
ট্রি সিনড্রোম হয় যখন মানবদেহে HPV (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) সংক্রমণ ঘটে, এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। বিশেষ করে যাদের জিনগত ত্রুটি রয়েছে (EVER1 বা EVER2 জিনের সমস্যা), তাদের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা যায়।

🩺 লক্ষণসমূহ
- হাত, পা বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গাছের বাকলের মতো বৃদ্ধি
- খসখসে, মোটা, শক্ত ও বেদনাদায়ক বৃদ্ধি
- দৈনন্দিন কাজ করতে অক্ষমতা
- চলাফেরা বা হাত দিয়ে কিছু ধরা প্রায় অসম্ভব
- ত্বকের ব্যথা ও কখনো রক্তপাত

😔 মানসিক ও সামাজিক প্রভাব
এই রোগ শুধুমাত্র শরীরকেই কাবু করে না, একজন মানুষকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন, অবহেলিত ও হতাশ করে তোলে। অনেক রোগী সমাজের চোখ রাঙানি ও বিদ্রুপের ভয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন।

⚕️ চিকিৎসা
বর্তমানে ট্রি সিনড্রোমের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতিতে উপশম সম্ভব:
1. সার্জারি- বারবার এই বৃদ্ধিগুলো অপসারণ করতে হয়
2. রেটিনয়েডস ও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ- কোষ নিয়ন্ত্রণে ও ভাইরাস ঠেকাতে সাহায্য করে
3. ইমিউন থেরাপি- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে
4. সাইকোলোজিকাল থেরাপি- রোগীর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা

✅ কীভাবে সচেতন হবো?
🔹 ত্বকে অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
🔹 HPV ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন থাকুন
🔹 পারিবারিক ইতিহাস থাকলে শিশুদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করুন
🔹 Tree Syndrome রোগীদের সামাজিকভাবে সমর্থন দিন
🔹 রোগীদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা না করে সহানুভূতিশীল হোন

🧠 ভাবুন একবার…
একজন মানুষ তার নিজের চুল আঁচড়াতে পারে না, কারণ তার হাত গাছের শিকড়ের মতো শক্ত হয়ে গেছে।
তার মুখে খাবার তোলার শক্তি নেই, কারণ আঙুলগুলো আর বাঁকাতে পারে না।

👉 এই অসুস্থতা তার পছন্দ নয়, এটি তার দুর্ভাগ্য।
আপনি কী তাকে আরো কষ্ট দেবেন? না, পাশে দাঁড়াবেন?

📢 আপনার দায়িত্ব কী?
> এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিন
> যারা আক্রান্ত, তাদের উৎসাহ দিন
> সচেতন হোন, সচেতন করুন
> Tree Syndrome নিয়ে ভয়ের নয়, সহানুভূতির প্রয়োজন

সচেতনতায়-
ডা: মাসুম পারভেজ
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট
বি.পি.টি. ( ইন্ডিয়া)

🔴 সেলুলাইটিস হলো ত্বকের নীরব শত্রু – সাবধান না হলে বিপদ বড়একটা ছোট্ট কাটা, হালকা আঁচড় বা সামান্য ফুসকুড়ি থেকেও শুরু হতে ...
29/05/2025

🔴 সেলুলাইটিস হলো ত্বকের নীরব শত্রু – সাবধান না হলে বিপদ বড়

একটা ছোট্ট কাটা, হালকা আঁচড় বা সামান্য ফুসকুড়ি থেকেও শুরু হতে পারে এক ভয়ংকর যন্ত্রণা—যার নাম সেলুলাইটিস (Cellulitis)।

সাধারণ ত্বকের নীচে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে মারাত্মক প্রদাহ তৈরি করে। রোগীর পা ফুলে যায়, লাল হয়ে ওঠে, প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং চিকিৎসা না করলে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে শরীরের অন্যান্য অংশে এমনকি রক্তে, যা লাইফ থ্রেটেনিং হতে পারে।

🔍 সেলুলাইটিস কী?
সেলুলাইটিস হলো ত্বকের গভীর স্তরে (Dermis এবং Subcutaneous Tissue) ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তীব্র ব্যথা, ফোলা, লালচে ভাব ও জ্বরের সৃষ্টি করে।

সবচেয়ে বেশি দেখা যায়:
> পায়ে (বিশেষ করে তলপায়ে ও পায়ের পেছনের অংশে)
>হাতে বা বাহুতে
>চোখের চারপাশে (Orbital cellulitis – সবচেয়ে বিপজ্জনক)

🦠 এর কারণ কী?
সাধারণত দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া এই সংক্রমণের জন্য দায়ী:
১. Streptococcus
২. Staphylococcus aureus (মাঝেমধ্যে MRSA নামক রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াও হতে পারে)

ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে যদি:
🔹ত্বকে কাটা/ছেঁড়া থাকে
🔹পোকার কামড় হয়
🔹পা ফেটে যায় বা ঘা হয়
🔹খালি পায়ে ময়লা বা ভেজা স্থানে হাঁটা হয়
🔹 অস্ত্রোপচারের পর সঠিক যত্ন না নেওয়া হয়

⚠️ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি কারা?
> ডায়াবেটিস রোগী
> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম (যেমন HIV, কেমোথেরাপি নেওয়া রোগী)
> বয়সের কারণে দুর্বল ব্যক্তি
> এলার্জি বা একজিমা আক্রান্ত
> স্থায়ী ফোড়া বা ঘা আছে এমন রোগী

🧠 লক্ষণসমূহ:
১. সংক্রমিত স্থানে লালচে ভাব (redness)
২. গরম হয়ে যাওয়া
৩. ফোলা ও ব্যথা
৪. ত্বক টাইট হয়ে যাওয়া
৫. জ্বর বা কাঁপুনি
৬. দুর্বলতা বা ক্লান্তি
৭. কোনো ক্ষেত্রে ঘা বা পুঁজও দেখা দিতে পারে

🏥 কী হতে পারে যদি চিকিৎসা না করেন?
> Abscess (পুঁজ জমা) হতে পারে
> সংক্রমণ রক্তে ছড়িয়ে পড়ে হতে পারে Sepsis (জীবন ঝুঁকিপূর্ণ)
> Gangrene (চামড়া মরে যাওয়া) হতে পারে, যা অস্ত্রোপচার ছাড়া ঠিক হয় না
> Repeated cellulitis বা ক্রনিক ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে

✅ প্রতিরোধে করণীয়:
🔹 চামড়ায় কোনো কাটাছেঁড়ায় সতর্ক থাকুন
🔹 খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস পরিহার করুন
🔹 ডায়াবেটিক হলে পায়ের যত্নে নিয়মিত থাকুন
🔹 চামড়ার শুষ্কতা রোধে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
🔹 কোনো ফোড়া বা ঘা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে এন্টিসেপ্টিক ব্যবহার করুন
🔹 পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন এবং কাপড় পরিবর্তন করুন নিয়মিত
🔹 ব্যথা বা লাল ভাব হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

💊 চিকিৎসা কী?
সেলুলাইটিস সঠিক সময়ে ধরা পড়লে অ্যান্টিবায়োটিকেই সারিয়ে তোলা যায়। তবে দেরি করলে হাসপাতাল ভর্তি হয়ে IV অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হয়। অতিরিক্ত জ্বর, পা বেশি ফুলে গেলে, পুঁজ জমলে বা হার্ট রেট বেড়ে গেলে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।

💡 ভাবুন...
একটি ছোট আঁচড় বা পায়ের ফাটা থেকে যদি পা এমন ফুলে যায়, ব্যথা হয়, হাঁটতে না পারেন— তাহলে আপনি কি আর কখনো সেই কাটা বা আঁচড়কে ছোট করে দেখবেন?

সতর্ক থাকুন। নিজের যত্ন নিন। তবেই এই ভয়ংকর ব্যাকটেরিয়া আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না।

📢 একটি বার্তা – একটি জীবন বাঁচাতে পারে। আপনি হয়তো জানেন, কিন্তু আপনার পরিবার, প্রতিবেশী বা বন্ধু জানে না। তাদের জানাতে পারেন আপনি।

শেয়ার করুন এবং সচেতনতা ছড়ান।

সচেতনতায়-
ডা: মাসুম পারভেজ
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট
বি.পি.টি. ( ইন্ডিয়া)

🌿 ভাবুন, যদি আপনার প্রতিটি সকাল শুরু হয় ব্যথা দিয়ে...প্রতিদিন আমরা হাত-পা নাড়িয়ে কাজ করি, হাঁটি, পরিবারের জন্য রান্না কর...
28/05/2025

🌿 ভাবুন, যদি আপনার প্রতিটি সকাল শুরু হয় ব্যথা দিয়ে...

প্রতিদিন আমরা হাত-পা নাড়িয়ে কাজ করি, হাঁটি, পরিবারের জন্য রান্না করি, সন্তানকে কোলে নিই— কিন্তু যদি সেই সাধারণ কাজগুলোই একসময় যন্ত্রণার হয়ে দাঁড়ায়?

গাঁটের ব্যথা (Joint Pain) বা আর্থ্রাইটিস (Arthritis) এমন একটি রোগ, যা ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এটি শুধু শারীরিক কষ্ট নয়, মানসিকভাবে ভেঙে দেয় একজন মানুষকে।

🧠 ভাবুন...
আপনার মা সকালে বিছানা থেকে উঠতেই পারছেন না। আপনার বাবা হেঁটে বাজারে যেতে পারছেন না। আপনার নিজের হাত দিয়ে মোবাইল ধরা, কলম ধরা বা কারো হাত ধরা কষ্টকর হয়ে গেছে। এই কষ্ট কেউ বুঝে না, যতক্ষণ না আপনি নিজে ভুক্তভোগী হন।

⚠️ কেন হয় এই রোগ?
গাঁটের ব্যথা বা গাউট, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ওস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে হতে পারে:
> শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড
> হাড়ের ক্ষয়
> অটোইমিউন ডিজঅর্ডার (যেমন RA)
> বার্ধক্যজনিত পরিবর্তন
> অতিরিক্ত ওজন
> খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মাংস, চর্বি ও প্রসেসড খাবার

✅ কী করলে রক্ষা পাবেন?
> রক্ত পরীক্ষা করে ইউরিক অ্যাসিড, CRP, RA ফ্যাক্টর পর্যবেক্ষণ করুন।
> নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও হালকা ব্যায়াম করুন।
> ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
> পানি বেশি পান করুন।
> উচ্চ প্রোটিন, লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
> প্রয়োজনে অর্থোপেডিক বা রিউমাটোলজিস্ট ডাক্তার দেখান।

❤️ মনে রাখবেন:
রোগকে গোপন করলে, রোগ আপনাকে গোপন করে দেয়—সমাজ থেকে, পরিবার থেকে, জীবনের আনন্দ থেকে।

আজই আপনি সচেতন হোন।
আপনার একটুখানি যত্ন হয়তো কারো হাতের বাঁক, পায়ের ছাপ, বা মায়ের আদর করা স্পর্শ ফিরিয়ে দিতে পারে!

✊ সচেতনতা ছড়ান – ব্যথাহীন জীবন গড়ুন!
📢 আপনি জানেন, অন্যকে জানান।
শেয়ার করুন এই বার্তা, ছড়িয়ে দিন সচেতনতার আলো।

সচেতনতায়-
মোঃ মাসুম পারভেজ
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট
বি.পি.টি (ইন্ডিয়া)

#গাঁটের_ব্যথা #সচেতনতা_বাঁচায়_জীবন

“ধূমপানে হারিয়ে যায় জীবনের ছোঁয়া – বারগার্স ডিজিজের ভয়াবহতা”ভাবুন.......আজ সকালে আপনি দাঁড়িয়েছেন আপনার ঘরের বারান্দায়। আ...
27/05/2025

“ধূমপানে হারিয়ে যায় জীবনের ছোঁয়া – বারগার্স ডিজিজের ভয়াবহতা”

ভাবুন.......

আজ সকালে আপনি দাঁড়িয়েছেন আপনার ঘরের বারান্দায়। আপনি এক কাপ চায়ের সাথে জ্বলিয়ে ফেলেছেন আরেকটা বিড়ি। ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ে গিয়ে মিলিয়ে গেল বাতাসে।

কিন্তু জানেন কি? ঠিক সেই মুহূর্তে আপনার শরীরের ভিতর ধীরে ধীরে মৃত্যু শুরু হয়ে গেছে।

⭕ বারগার্স ডিজিজ – অঙ্গ হারানোর এক নির্মম যাত্রা

বারগার্স ডিজিজ কোনো সাধারণ অসুস্থতা নয়। এটি এমন এক নীরব ঘাতক, যা প্রথমে আঙুলে আক্রমণ করে… তারপর পায়ে… তারপর একে একে কেড়ে নেয় আপনার চলাফেরা, স্পর্শের অনুভূতি, এমনকি জীবন।

▶️ আপনার আঙুল কালো হয়ে যায়
▶️ আপনার পায়ের তলা পচে যায়
▶️ আপনার ঘা শুকায় না, বরং বাড়তেই থাকে এবং শেষে ডাক্তার বলে দেয়: "এই পা আর রাখতে পারছি না, কেটে ফেলতে হবে।"

⚠️ কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে?
> আপনি যদি ধূমপায়ী হন – আপনি ঝুঁকিতে আছেন।
> আপনি যদি ভাবেন "আরও কিছুদিন খাবো, পরে ছেড়ে দিবো" – > আপনি খেলছেন আগুন নিয়ে।
> আপনি যদি তামাক চিবিয়ে খান, বা নস্যি ব্যবহার করেন – আপনিও নিরাপদ নন।

আরোও একটু ভাবুন:
🚸আপনার সন্তানটি যখন বলে, "আব্বু, চলো খেলতে যাই" – আপনি বলবেন, "বাবা, পা নেই তো!"
🚸আপনার স্ত্রী আপনাকে খাওয়াতে বসায়, আর আপনি নিজের হাতটা তুলতেই পারেন না
🚸আপনি হুইলচেয়ারে বসে দেখছেন – এই জীবনটা আপনি নিজেই ধ্বংস করেছেন

⁉️একটি কঠিন প্রশ্ন:

>>>>> একটা সিগারেটের দাম হয়তো ১৫ টাকা। কিন্তু আপনি কি জানেন, একটা কাটা পায়ের দাম কত?

✅ সমাধান একটাই – আজই বন্ধ করুন তামাক
▶️আজই সিদ্ধান্ত নিন – “আর নয় ধূমপান, বাঁচব নিজের জন্য, পরিবারের জন্য”
▶️চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, যদি কোনো লক্ষণ দেখা দেয়।

নিজে সচেতন হোন,
অন্যকেও সচেতন করুন।

সচেতনতায়-
মো: মাসুম পারভেজ।
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট
বি.পি.টি (ইন্ডিয়া)

ডেভেলপমেন্টাল মাইলস্টোন (Developmental Milestones) হচ্ছে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের নির্দিষ্ট ধাপ বা পর্যায়, যেখানে তারা শার...
17/05/2025

ডেভেলপমেন্টাল মাইলস্টোন (Developmental Milestones) হচ্ছে শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের নির্দিষ্ট ধাপ বা পর্যায়, যেখানে তারা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও ভাষাগত কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করে।

ডেভেলপমেন্টাল মাইলস্টোন ৪টি মূল ভাগে ভাগ করা হয়:
1. মোটর স্কিল (Motor Skills):
মোটা মাংসপেশির কাজ: বসা, হামাগুড়ি, হাঁটা, দৌড়ানো।
সূক্ষ্ম কাজ: আঙুল দিয়ে জিনিস ধরা, লিখতে শেখা ইত্যাদি।

2. ভাষা ও যোগাযোগ (Language and Communication):
কথা বলা, শব্দ অনুকরণ, অন্যের কথা বোঝা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া।

3. জ্ঞান ও চিন্তা শক্তি (Cognitive Skills):
সমস্যা সমাধান, রঙ চেনা, সংখ্যা শেখা, খেলনার ব্যবহার বোঝা।

4. সামাজিক ও মানসিক বিকাশ (Social and Emotional Skills):
হাসি, চোখে চোখ রাখা, অপরের প্রতি সহানুভূতি, খেলায় অংশ নেওয়া।

বয়সভিত্তিক কিছু সাধারণ মাইলস্টোন উদাহরণ:
- ৩ মাস হাসে, শব্দে সাড়া দেয়
- ৬ মাস বসতে পারে, শব্দ করে খেলে
- ৯ মাস হামাগুড়ি দেয়, নিজের নাম চিনে
- ১২ মাস দাঁড়াতে শেখে, “মা/বাবা” বলে
- ১৮ মাস হাঁটে, ছোট বাক্য ব্যবহার করে
- ২ বছর ২-৩ শব্দের বাক্য গঠন করে
- ৩ বছর রং চিনে, বন্ধুদের সাথে খেলে
- ৪-৫ বছর গল্প বলতে পারে, জামা পরতে শেখে

ডেভেলপমেন্টাল মাইলস্টোনের গুরুত্বঃ
১. শিশু স্বাভাবিকভাবে বিকাশ করছে কিনা তা বোঝা যায়।
২. যদি কোন দেরি বা সমস্যা দেখা দেয়, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
৩. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের চিহ্নিত করা সহজ হয়।

--------------------------------------------------------

মোঃ মাসুম পারভেজ
ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট (ইন্ডিয়া)

.     ইঞ্জেকশন দিয়ে  নাকের পলিপ          অপসারণ করবেন না।      এতে  ভয়াবহ পরিনতি হতে পারে।🎈১. গ্রামের সাধারণ মানুষদেরকে ...
16/05/2025

. ইঞ্জেকশন দিয়ে নাকের পলিপ
অপসারণ করবেন না।
এতে ভয়াবহ পরিনতি হতে পারে।
🎈১. গ্রামের সাধারণ মানুষদেরকে বলছি - নাকের ভিতর গোটা/পলিপ হলে ভুলেও কোন গ্রাম্য/ হাতুড়ে / ঘরুয়া চিকিৎসক দ্বারা ইঞ্জেকশন দিয়ে বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে নাকের পলিপ অপারেশন করাবেন না।
🎈২. এতে নাকের চিরস্থায়ী মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
🎈৩. নাক বোঁচা, বাকা বা বসে যেতে পারে।
🎈৪. নাকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে একদম বিশ্রী হয়ে যাবে নাক।
🎈৫. এখান থেকে অন্যান্য খারাপ অসুখও হতে পারে।
🎈৬. নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসা না হলেও ভাল পরামর্শ পাবেন।
🎈৭.ভাল হয় জেলা সদর বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া।
🎈৮. ছবির মত নাক এমন বিশ্রী হয়ে গেলে
ভাল হওয়ার উপায় কি?
🎈৯. মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি হওয়া। বা প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো। .. .. . ... .. ...... ... ... .......... .......
১০.⛔সৈয়দপুরে পাইলস এর অপচিকিৎসা
১১. সৈয়দপুরে পাইলস এর কবিরাজি অপারেশন বা অপচিকিৎসা এর রমরমা ব্যাবসা ঃ-

🌐১২. ইঞ্জেকশন দিয়ে সৈয়দপুরে পাইলস অপারেশন করা উচিৎ হবে কি?
🌐১৩. মোটেও না। এতে পাইলস সাময়িক উপসম হলেও পরে বিভিন্ন মারাত্মক জটিলতা এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে।
(সৌজন্যে BCS HEALTH CADRE & Facebook)
১৪.🌐গ্রামের সহজ সরল মানুষদেরকে বলবো
১৫.🌐কাউরো মিস্টি কথায় ভুলে এভাবে নিজের অপুরনীয়/ভয়াবহ ক্ষতি করবেন না।
১৬.🌐আমি এই পোস্টে ভুল কিছু লিখে থাকলে তা যেকেউ সংশোধন বা সংযোজন করলে খুশি হবো।
ছবিতে- এক রোগীর নাকের পলিপ ইঞ্জেকশন দিয়ে অপসারণ করতে গিয়ে নাকের ভয়াবহ অবস্থা।

সজিনা পাতা (Moringa leaf) স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য অত্যন্ত পরিচিত। এটি "মিরাকল ট্রি" বা "অলৌকিক গাছ" নামেও পরিচিত। নিচে ...
06/05/2025

সজিনা পাতা (Moringa leaf) স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য অত্যন্ত পরিচিত। এটি "মিরাকল ট্রি" বা "অলৌকিক গাছ" নামেও পরিচিত। নিচে সজিনা পাতার কিছু মূল উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:

1. পুষ্টিগুণে ভরপুর: সজিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, C, ও E, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ও প্রোটিন থাকে। এটি দুধ, গাজর ও কলার চেয়েও বেশি পুষ্টিকর।

2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

3. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: সজিনা পাতা ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

4. রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে: এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমাতে পারে।

5. চুল ও ত্বকের যত্নে: সজিনা পাতায় থাকা ভিটামিন E ও C চুল পড়া রোধ করে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও পরিষ্কার রাখে।

6. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: এতে থাকা আঁশ হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

7. রক্তশূন্যতা দূর করে: এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন (লোহা) থাকে, যা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।




23/04/2025

Techniques of Arthroplasty (Total Hip Replacement) - THR

আয়র‌নের অভাবে শিশুদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ অসুবিধা তুলে ধরা হলো:1. রক্তাল্পতা (অ্...
21/04/2025

আয়র‌নের অভাবে শিশুদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ অসুবিধা তুলে ধরা হলো:

1. রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া): আয়রনের অভাবে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়, ফলে শরীরে অক্সিজেন পরিবহন কমে যায়।

2. শারীরিক দুর্বলতা: শিশুরা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে, খেলাধুলা বা দৈনন্দিন কাজে আগ্রহ হারায়।

3. মেধা ও মনোযোগের সমস্যা: আয়রনের ঘাটতি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে প্রভাব ফেলে। ফলে শেখার ক্ষমতা, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি কমে যায়।

4. ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া: আয়রন কম থাকলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ফলে তারা সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।

5. অবিকশিত বৃদ্ধি: আয়রনের অভাব শিশুর দৈহিক বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

6. ত্বকের বিবর্ণতা ও নিস্তেজতা: রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকায় ত্বক ফ্যাকাশে বা বিবর্ণ দেখায়।

নিশ্চিতভাবেই, শিশুদের বয়সভিত্তিক আয়রনের অভাবে কী কী সমস্যা হতে পারে, তা নিচে ভাগ করে তুলে ধরা হলো:

১. নবজাতক থেকে ৬ মাস পর্যন্ত:

মায়ের দুধে থাকা আয়রনের উপর নির্ভর করে, তাই মা যদি আয়রন-ঘাটতিতে ভোগেন, শিশুও আক্রান্ত হতে পারে।

সম্ভাব্য সমস্যা:
ধীরে ধীরে ওজন ও দৈহিক বৃদ্ধি।
বেশি কান্না বা বিরক্তি।
ঘুমের সমস্যা

২. ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত:

এ সময় শিশুর আয়রনের চাহিদা বেড়ে যায়, কারণ তারা দ্রুত বেড়ে ওঠে।

সম্ভাব্য সমস্যা:
অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা)।
খাবারে আগ্রহ কমে যাওয়া।
দুর্বলতা ও বেশি ঘুমানো।
সংক্রমণে সহজে আক্রান্ত হওয়া (ইমিউন কমে যায়)।

৩. ২ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত:

এই বয়সে শিশু বেশি একটিভ হয় ও শেখার প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে।

সম্ভাব্য সমস্যা:
শেখার দক্ষতায় বিলম্ব (late development milestones)।
মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা।
খেলার সময় ক্লান্ত হয়ে যাওয়া বা নিষ্ক্রিয়তা।
মুখে ক্ষত, পেটের সমস্যা (যেমন: কোষ্ঠকাঠিন্য)।

৪. ৬ থেকে ১২ বছর:

স্কুলে যাওয়া, মানসিক ও শারীরিক চাপ বেড়ে যায়।

সম্ভাব্য সমস্যা:
পড়াশোনায় মন না বসা।
ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়া বা শক্তি কম থাকা।
সংক্রমণে বেশি আক্রান্ত হওয়া (ঠান্ডা, জ্বর)।
ত্বক ও চুলে নিস্তেজভাব।

শিশুর ডায়েটে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার (যেমন: পালং শাক, ডিম, মাংস, মাছ, ডাল, কলা, খেজুর) অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পাশাপাশি ভিটামিন C জাতীয় খাবার (কমলা, আমলকী) আয়রন শোষণে সহায়তা করে।

আয়রন দুই ধরনের হয়:
১. হিম আয়রন (Heme Iron) – প্রাণিজ উৎস থেকে আসে, সহজে শোষিত হয়।
২. নন-হিম আয়রন (Non-Heme Iron) – উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে আসে, শোষণ তুলনামূলক কম হয়, তবে ভিটামিন C এর সঙ্গে নিলে শোষণ বাড়ে।

নিচে আয়রনসমৃদ্ধ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:

প্রাণিজ উৎস (হিম আয়রন):

গরুর কলিজা (লিভার) – খুব বেশি আয়রন থাকে

গরু বা খাসির মাংস

মুরগির কলিজা

মাছ (বিশেষ করে চিংড়ি, ইলিশ)

ডিমের কুসুম

উদ্ভিজ্জ উৎস (নন-হিম আয়রন):

পালং শাক, কচুশাক, লালশাক

মসুর, মুগ, ছোলা ডাল

বাঁধাকপি, মেথি পাতা

সিম, মটরশুঁটি, ব্রকলি

খেজুর, কিশমিশ, শুকনো আলুবোখারা

তিল, চিয়া সিডস, ফ্ল্যাক্স সিডস

গুড় (বিশেষ করে খেজুরের গুড়)

বাদাম (কাজু, পেস্তা, চিনা বাদাম)

ওটস ও ব্রাউন রাইস

আয়রন শোষণে সহায়ক খাবার (ভিটামিন C সমৃদ্ধ):

কমলা, মাল্টা

লেবু

আমলকী

টমেটো

পাকা পেপে

স্ট্রবেরি

আয়রন খাবারের পরপরই ভিটামিন C জাতীয় কিছু খেলে উপকার হয়।

ভিটামিন C যুক্ত ফল (কমলা, মাল্টা, পাকা পেপে) দুপুর বা রাতে খেতে দিন, এতে আয়রনের শোষণ বাড়ে।

চা বা দুধ আয়রনের শোষণে বাধা দেয়, তাই খাবারের পরপর না দেওয়া ভালো।

পানি ও ঘুম ঠিক রাখার দিকে খেয়াল রাখুন।

Address

Sundarganj
Rājshāhi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Masum Parvag posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Masum Parvag:

Share