12/08/2025
🦋হোমিওপ্যাথির হেল্প টিপস~
1✍️পা ফস্কাইয়া পড়িয়া,হোচট খাইয়া,ভারীদ্রব্য উঠাইতে গিয়া,কোন আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গর্ভস্রাবের আসঙ্কায় সদৃশ ঔষধ ঃআর্ণিকা।
2✍️গোসলে সালফারের সার্বদৈহিক,রাসটক্সে চর্মরোগ ও বাত,নেট্রাম সাল্ফে হাঁপানি,ক্যালকেরিয়া কার্বে আমবাত ও বাতের বৃদ্ধি।
3✍️অগ্নিদগ্ধ স্হানে ক্যান্থারিস মাদার এক আউন্স উষ্ণ গরম পানিতে ৪/৫ফোটা মিলিয়ে পরিস্কার কাপড়ের টুকরা ভিজিয়ে পট্টি দিলে দগ্ধ স্হানে জ্বালাপোড়া কমে যায় এবং ফোস্কা পড়ে না।দগ্ধ স্হানে ফোস্কা পড়ার পরে আসলে রোগীর জন্য ৬,৩০,২০০ শক্তি সেবন করতে দিলে ক্ষত হয় না।দগ্ধ স্হানে ক্ষত সারতে বিলম্ব হলে কষ্টিকাম সেবনে দ্রুত আরোগ্য লাভ করবে।
4✍️গাড়িতে চড়লে রোগ বৃদ্ধির সদৃশ ঔষধ কোকুলাস ইন্ডিকা,গাড়িতে উঠলে উপশম হলে সদৃশ ঔষধ এসিড নাইট্রিক।
5✍️পানি দেখে বা পানির শব্দে রোগ বৃদ্ধির সদৃশ ঔষধ:লাইসিন,উজ্জ্বল আলোয় রোগ বৃদ্ধির সদৃশ ঔষধ ষ্ট্রামোনিয়াম।
6✍️শিশুর গায়ে অম্লগন্ধ,বারবার ধৌত করা সত্ত্বেও দুর না হলে সদৃশ ঔষধ:
এসিড সাল্ফ,হিপার সাল্ফ,ম্যাগ কার্ব,রিউম ইত্যাদি।
7✍️যে সকল রোগীর সকল রোগ বজ্রপাতের সময় ও পুর্বে বৃদ্ধি পায় তাদের সদৃশ ঔষধ: ফসফরাস,সোরিনাম,মেডোরিনাম,সিপিয়া,রডোডেন্ড্রন।
8✍️মাথা ব্যাথার সময় জোরে চেপে ধরলে আরামদায়ক সদৃশ ঔষধ পালসেটিলা,গরম কাপড়ে চেপে বাধিয়া রাখিলে আরামে সাইলেসিয়া।
9✍️থুজা অক্সিডেন্টালের রোগী চিত্রঃমণের মাঝে বদ্ধমূল ধারনা,অনিদ্রা,নিদ্রাকালে ঘর্ম,লবন প্রিয়,মৃত ব্যাক্তির স্বপ্ন,আঁচিল ইত্যাদি।
10✍️রমনীর ঋতুস্রাব সময়ের পূর্বে ও অতিরিক্ত,গর্ভপাতের পর শরীরটা ভালো যাচ্ছে না,অমাবস্যায় একমাত্রা সালফার জরুরি।**ডাঃ লিলি।
11*মৎস্য খাইতে বেশি প্রীয় রোগীর সদৃশ ঔষধ: ফসফরাস,নেট্রাম মিউর,নেট্রাম সাল্ফ রিউম ইত্যাদি।
12*নেট্রাম মিউরের রোগী সান্ত্বনায় রোগযন্তনা বৃদ্ধি পায়,পালসেটিলার রোগী সান্ত্বনা চায়,আর্জেন্টাম নাই রোগী উৎকন্ঠায় ব্যাকুল।
13*ভিরেট্রাম এলবমের রোগী চিত্র:মল দুর্গন্ধ,ঘর্ম,বমন অতিরিক্ত,অদম্য পিপাসা,অম্লখাদ্যের ইচ্ছা,উন্মাদন,অশ্লীল বাচালতা ইত্যাদি।
14*মাথায় অতিরিক্ত ঘর্মাক্ত হলে সদৃশ ঔষধ: ক্যালকেরিয়া কার্ব,স্যানিকুলা, সাইলেসিয়া,ম্যাগনেসিয়া মিউর ইত্যাদি।
15*মাথা ব্যাথার সময় জোরে চেপে ধরলে আরামদায়ক সদৃশ ঔষধ পালসেটিলা,গরম কাপড়ে চেপে বাধিয়া রাখিলে আরামে সাইলেসিয়া উপযোগী।
16*শরীরের বিশেষ স্থানের মাংসপেশী নেচে নেচে উঠলে সদৃশ ঔষধ:এগারিকাস,ইগ্নেসিয়া, জিঙ্কাম,ক্রোকাস স্যাট ইত্যাদি।
17*ওপিয়ামের রোগীচিত্রঃঅর্ধনির্মীলিত চক্ষু,নিদ্রালুতা,নাকডাকা,পক্ষাঘাতের মত দুর্বলতা ও অনুভুতিহীন,কোষ্ঠবদ্ধতা,গরমকাতর ইত্যাদি।
18*শিশুর গায়ে অম্লগন্ধ,বারবার ধৌত করা সত্ত্বেও দুর না হলে সদৃশ ঔষধ:এসিড সাল্ফ,হিপার সাল্ফ,ম্যাগ কার্ব,রিউম ইত্যাদি।
19*ঋতুস্রাবের আগে সময় ও পরে স্নায়বিক মাথাব্যথার সদৃশ ঔষধ:ল্যাকেসিস,লিলিয়ান, সিকেলি,ক্রোকাস স্যাট ইত্যাদি।
20*এসিড ফ্লোর ও এসিড পিকরিক ছাড়া আর সকল এসিডের রোগীর স্বাধারন লক্ষণ হলো দুর্বলতা ও শীতকাতরতা।
21*বাত রোগীর কেলি কার্ব প্রথম বৃদ্ধি ছাড়া ক্রিয়া শুরু করে না।রোগ বৃদ্ধি দেখে ঘাবড়ে ঔষধ পাল্টিয়ে ভুল করবেন না।
22*শিশুর দাঁত উঠার সময়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হলে সদৃশ ঔষধ: ক্রিয়োজোট,
ষ্ট্যাফিসাগ্রিয়া,ক্যালকেরিয়া ফ্লোর,ক্যালকেরিয়া ফস ইত্যাদি
23*রোগীর ঢেকুরে পঁচা ডিমের গন্ধ বের হলে সদৃশ ঔষধ :আর্ণিকা মন্টেনা, গ্রাফাইটিস, এন্টিম টার্ট,সোরিনাম ইত্যাদি।
24*প্রস্রাবে ঘোড়ার চোনার মতো ঝাঁঝালো গন্ধ থাকা রোগীর সদৃশ ঔষধ: এসিড নাইট্রিক, এসিড বেঞ্জোয়িক,মেডোরিনাম ইত্যাদি।
25*বোরাক্সের রমনীর গাঢ় স্বেতপ্রদর,মাসিক কম,বাধক,সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা কম,১/২টি সন্তান হয়, কোঁকড়ানো চুল ইত্যাদি।
26*চুল গুচ্ছ বদ্ধ কোঁকড়ানো রোগীর সদৃশ ঔষধ:বোরাক্স,লাইকোপোডিয়াম,এসিড ফ্লোর,সোরিনাম,টিউবারকুলিনাম ইত্যাদি।
27*নানা প্রকার টিকার কুফল যুক্ত রোগীর চিকিৎসা করার প্রারম্ভে এক মাত্রা উচ্চ শক্তির থুজা প্রয়োগে রোগীর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় পরে সুনির্দিষ্ট ঔষধ সেবনে রোগ সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করে।থুজা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে ব্যর্থ হলে সালফার অথবা সোরিনামের প্রয়োজন হয়। এই সকল ঔষধ বিফলে পাইরোজিনাম ২/১মাত্রা প্রয়োগের ফলে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়,রোগীর সদৃশ ঔষধটি দ্রুত কার্যকর হবে, রোগীর আদর্শ আরোগ্য লাভ করবে।
28*ভীষণ স্বার্থপর রোগীর সদৃশ ঔষধ: সালফার,আর্সেনিক,লাইসিন, ল্যাকেসিস,পালসেটিলা, সিপিয়া,টিউবারকুলিনাম ইত্যাদি।
29*রোগী সামান্য প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না রেগে যায়,সদৃশ ঔষধ: ইগ্নেসিয়া,ফেরামমেট,এনাকার্ডিয়াম,কোকুলাস ইন্ডিকা ইত্যাদি
30*ক্রুদ্ধ স্বভাবের রোগীর সদৃশ ঔষধ:নাক্স ভুমিকা,হিপার সাল্ফ, আর্সেনিক,সোরিনাম,স্ট্যাফিসেগ্রিয়া,এসিড নাইট্রিক ইত্যাদি।
31*বংশগত মানসিক রোগীর সদৃশ ঔষধ:ল্যাকেসিস,ফসফরাস,সিফিলিনাম,ভিরেট্রাম এলবাম,আর্জেন্ট নাই/মেট,অরাম এনাকার্ডিয়াম ইত্যাদি।
32*ঠান্ডা লাগার প্রবনতা আরোগ্যে সদৃশ ঔষধঃক্যাল-কার্ব,ক্যাল-ফস,কেলি-কার্ব, কেলিফস,লাইকো,মার্ক,হিপার,ব্যারাইটা কার্ব ইত্যাদি।
33*কেলি কার্বের রোগী চিত্র:মোটাদেহ,ক্রোধী,ঝগড়াটে,ভীত,শীতকাতর,খাদ্য গ্রহণের পর ও রাত ৩টা-৫টায় রোগ বৃদ্ধি।
34*ধাতুগত গভীর কার্যকররী:সাইলেসিয়া,ফসফরাস,হিপারসাল্ফ,সালফার,কেলি কার্বের প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুর আশংকা থাকে।
35*ডাঃ বার্নেটের মতে টিকার কুফলে মৃগী,দৃষ্টিলোপ,নখবিকৃতি,হাঁপানি,ঋতুর গোলযোগ,টিউমার,ফোঁড়া,চর্মরোগ,মস্তিষ্কের বিকৃতি ইত্যাদি হয়।
36*ঋতুস্রাব কালে রমনীর চোখমুখে আগুনের হলকা প্রবাহিত হলে সদৃশ ঔষধ:ফেরম মেট,স্যাংগুনেরিয়া নাইট,গ্লোনইন ইত্যাদি।
37*স্পাইজেলিয়ার রোগী:সামান্য কারণে ক্রোধ,অসন্তুষ্টি,শব্দ,নড়াচড়া অসহ্য,সূচালো বস্তুতে ভয়,ক্রিমি গ্রস্থ,স্পর্শে শিউরে উঠে ইত্যাদি।
38*অস্ত্রপাচার স্হানে সুচফোটানো বেদনা আরোগ্যে ষ্ট্যাফিসাগ্রিয়া একমাত্র ঔষধ।মর্ফিয়ার চেয়েও বেশি কার্যকর।
39✍️সিপিয়ার রমনীকে কখনোই স্নেহময়ী জননী বা প্রেমময়ী স্ত্রী বলা যায় না।উভয়ের প্রতি উদাসীন।এই ঔষধটিকে রজকিনীর ঔষধ বলা হয়।কাপড় ধোয়ার সময় অসুস্থ হয়,সামান্য ঠান্ডা সহ্য হয় না।ভীষণ কোষ্ঠকাঠিন্য মলত্যাগ করতে কষ্ট মনে করে মলদ্বারে একটি বল দ্বারা অবরুদ্ধ রয়েছে।মূত্রে ঝাঁঝালো গন্ধ।জরায়ুর দূর্বলতা যোনিদ্বার দিয়ে নেমে আসে। পিঁড়িতে বসতে ভীত যেন সবকিছু যোনিদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসবে।
40✍️সিকেলি করের স্হূলমাত্রা প্রয়োগে গর্ভধারণে বাধা দেয়,গর্ভস্রাব করায়,গর্ভফুল নিস্ক্রান্ত করতে এ্যালোপ্যাথিতে ব্যবহৃত হয়।সিকেলির এই অপপ্রয়োগে রমনীদের স্বাস্হ্যহানীর কারণ হয়।
41✍️সিকেলির করের রোগিনী ক্রোধী,দুর্বল,ক্ষীনদেহ,রক্তস্রাব প্রবণতা,স্রাবের ক্ষতকারিত্ব ও দূর্গন্ধ,সর্বাঙ্গে সুড়সুড়ি বোধ ইত্যাদি।
42✍️জিঙ্কাম মেট রোগীর বৈশিষ্ট্য:হাতপায়ের কম্প,উত্তেজনার পরে অবসাদ,উদ্ভেদ,স্রাব,দাত উঠতে বাধাগ্রস্ত হয়ে তড়কা,মেনিঞ্জাইটিস ইত্যাদি।
43✍️ইগ্নেসিয়ার রোগীর সবকিছুতেই অসঙ্গতি যেমন অর্শরোগীর চলাফেরায় আরাম,পাকস্থলী খালি/খাইলে আরাম নাই,ধামলে কাশি বৃদ্ধি ইত্যাদি।
44✍️পালসেটিলার রোগীই শুধু খোলা আবহাওয়ায় রোগ হ্রাসের লক্ষণ আছে।এরুপ লক্ষণ সিপিয়া,ফেরম মেট ও কেলি আইয়োডেও আছে।
45✍️গাড়িতে চড়লে কানের শ্রবণ রোগ বৃদ্ধির সদৃশ ঔষধ কোকুলাস ইন্ডিকা,গাড়িতে উঠলে উপশম হলে সদৃশ ঔষধ এসিড নাইট্রিক।
46✍️উদারাময়ের ঔষধ নির্বাচণঃ-
দুষিত জল পানে উদরাময় হলে ক্যাম্ফর,জিন্জিবার উপযোগী সদৃশ ঔষধ।
47✍️এলুমিনা :-মেরুদন্ড মধ্যে তপ্ত লৌহশলকা প্রবিষ্ট হইবার ন্যায় বেদনা;পক্ষাগাত, অন্ধকারে বা চক্ষুমুদ্রিত করিয়া চলিতে পারেনা।
48✍️ক্রোধের কারণে জন্ডিসে ক্যামোমিলা,বালকদের পেটের বেদনায় ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া,আন্ত্রিক লক্ষণে ব্রাইয়োনিয়া উপযোগী সদৃশ ঔষধ।
49✍️চায়না বা সিঙ্কোনার রোগীচিত্র:বল/বীর্য/রক্তক্ষরণে ভঙ্গস্বাস্থ্য,কুইনের কুফল,শীতার্ত, রক্তস্রাব প্রবণ,অজীর্ণ,পেটফাপা,ডিসপেপসিয়া---।
50✍️আর্জেন্ট নাইট্রিকামের রোগী চিত্র: চিকন দুর্বল,উৎকণ্ঠা,উদ্বেগপূর্ণ ভবিষ্যতে অমঙ্গলের ভয়,গরমকাতর,গলা শ্লেষ্মাময়,গলা খেকড়ানী স্বভাব ইত্যাদি।
🌻আইসক্রিম খেয়ে উদরাময় হলে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আর্সেনিক,ব্রাইয়োনিয়া।
🌻রসালো ফল খেয়ে উদরাময় হলে সদৃম ঔষধ ভেরেট্রাম এলবম,চায়না।
🌻পেঁয়াজ খেয়ে উদরাময় হলে সদৃশ ঔষধ থুজা।
🌻শামুক খেয়ে উদরাময় হলে ব্রোমিয়াম,লাইকোপোডিয়াম।
🌻দুধ পানে উদরাময় হলে ক্যালকেরিয়া কার্ব,নেট্রাম কার্ব,নিকোলাস,সালফার
🌻নিম্ন শক্তিতে ব্যবহার এর পর হাড় নরম ,ভঙ্গুর হতে পারে:- ক্যালকেরিয়া ফস,ক্যাল্ক ফ্লুওর,ক্যালরিয়া কার্ব, ক্যালকেরিয়া হাইপো ফস ইত্যাদি।