Dr. Abdun Noor PT

13/07/2025

09/07/2025

ফিজিওথেরাপি প্রফেশনে যেখানেই অন্যায় সেখানেই বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন - বিপিএ । বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল ব্যতীত ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা সম্পূর্ন অবৈধ।

ফিজিওথেরাপি সেন্টারে সেই অবৈধ অভিযান ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে আগামী শনিবার ১২ জুলাই সকাল ১০টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের, মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বিপিএ আয়োজন করেছে এক প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন।

আপনারা যার যার অবস্থান থেকে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক দের নায্য দাবী বাস্তবায়নে সমর্থন করুন।

09/07/2025

ফিজিওথেরাপি সেন্টারে অবৈধ অভিযান ও হয়ারনি বন্ধের দাবিতে, সংবাদ সম্মেলন।
স্থানঃ মাওলানা মোঃ আকরাম খাঁ হল, জাতীয় প্রেসক্লাব, শাহবাগ ঢাকা।
সময়ঃ সকাল ১০টা

আয়োজনেঃ বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন - বিপিএ

08/07/2025

হৃদয় একটা নাম। একটা ছেলে।
বয়স উনিশ।গাজীপুরের গ্রিনল্যান্ড পোশাক কারখানায় কাজ করত ইলেকট্রিক মেকানিক হিসেবে।
বহুত দিনের স্বপ্ন ছিল—একটা মোটরসাইকেল কিনবে, ঈদের দিন মা-বোনকে উঠিয়ে ঘুরাবে।

তবে সেই স্বপ্নের আগে মালিকের চোখে তার পরিচয় ছিল—“গরিব মিস্ত্রি,অশিক্ষিত মজুর”।

শনিবার সকাল। কারখানায় কিছু গোলমাল হয়। হৃদয় নাকি ‘অফিশিয়াল নির্দেশনা না মেনে’ সার্ভিস দিয়েছিল।
বাকি কর্মীরা বলে— সে শুধু যা খারাপ হয়েছিল ঠিক করছিল।
কিন্তু মালিকপক্ষের কেউ কেউ বলে— "অর্ডার অমান্য।"

তাদের মনে হলো—“একটা গরিব ছেলে এত সাহস দেখায়?”
তাকে ডেকে আনা হয় অফিসে।
তারপর... দরজা বন্ধ।
লোহার রড, পাইপ, বুট, ঘুষি...
পিটিয়ে... থেঁতলে... নিস্তেজ করে ফেলে তাকে।

একজন সহকর্মী দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলেছিল,
— “ভাই, বাঁচান, ওরে মারতেছে।”
জবাব আসে,
— “তোদেরও উচিত শিক্ষা দিতে হবে।”

ঘণ্টা খানেক পর হৃদয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকে কারখানার পেছনের ঘরে।হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন—
“ডেড অন অ্যারাইভাল।”
চোখদুটো অর্ধ খোলা, এক হাত মুঠো করা। যেন কিছু বলতে চেয়েও পারেনি।

এই খবর যেন কেউ না জানে—এমন চেষ্টায় উঠে পড়ে লাগে মালিকপক্ষ।
পুলিশ আসে, ফাইল তৈরি হয়,
“অসুস্থ হয়ে মৃত্যু”
বলা হয়—“হৃদয়ের পরিবার শান্ত আছে।”
তবে হৃদয়ের মা তখন পাগলের মতো দৌড়াচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায়,
চিৎকার করে বলছে—
“আমার ছেলে অসুস্থ ছিল না! ওরে পিটিয়ে মারছে… ওর মুখের ওপর পা দিছে!”

কিছু শ্রমিক জানে, দেখে—রাস্তায় নামতে চায়।
তাদের জবাব দেয় রাষ্ট্র।
পুলিশ, র‌্যাব, জলকামান।
বলা হয়,
— “তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।”
আর সাহসী সাংবাদিকতা বলে—
“গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা।”

একটা জাতীয় দৈনিক এমন শিরোনাম করে,“একটি মহল বেতন না বাড়ানোর ইস্যুতে কারখানায় উত্তেজনা ছড়াতে চায়”
হৃদয়ের নাম একটিও নেই সেই খবরে।

তাকে কবর দেওয়া হয় সন্ধ্যাবেলা।
চারজন শ্রমিক কাঁধ দেয়, এক ভাই ফোনে কান্না চেপে রাখে—
কারণ সে মালয়েশিয়ায়।
মা শুধু একবার জিজ্ঞেস করে—
— “ওরে মারলো ক্যান গো? উনি কি মানুষ আছিল না?”
কেউ উত্তর দেয় না।

এই জুলাই ছিল শ্রমিকের জন্য। ব্যানারে লেখা ছিল “মজুরের অধিকার, দেশের অগ্রগতি।”
কিন্তু হৃদয়ের জন্য এই জুলাই হলো শুধু একটা কাফনের মাস।

হৃদয়ের গায়ে সার্টিফিকেট ছিল না, ডিগ্রি ছিল না কিন্তু গায়ে রক্ত ছিল,
হৃদয়ে স্বপ্ন ছিল।
আর এখন, শুধু কবরের মাটিতে তার নাম—“হৃদয়, পিতাঃ আব্দুল মালেক, মৃত্যুঃ ২০২৫, কারণ: পেটানো।”

রাষ্ট্র চুপ।
মিডিয়া ব্যস্ত “গুজব প্রতিরোধে”।
আর আমাদের বিবেক?
সেটা হয়তো বিক্রি হয়ে গেছে সেই কারখানার আগুনপ্রতিরোধী হেলমেটের টেন্ডারে।

হৃদয়ের নামে কোনো দিবস হবে না।
কিন্তু তার রক্ত লেগে থাকবে আমাদের নীরবতায়।
@জাহিদুল ইসলাম তুষার

18/06/2025

আলহামদুলিল্লাহ!

যখন মুসলিম বিশ্বের শাসকরা চুপ…
যখন মার্কিন ভয়ে কাঁপছে বিশ্ব…
তখন ৮৬ বছরের আয়াতুল্লাহ আল খামেনি একা দাঁড়িয়ে আছেন দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে!

তিনি মাথা নত করেননি, ভয় পাননি, পিছিয়েও যাননি।

ইতিহাস গড়ছেন তিনি— ন্যায়ের পক্ষে, উম্মাহর পক্ষে।
হে আল্লাহ, তাঁর সহায় হোন। আমিন।

18/06/2025

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি 🇮🇷
আমার বয়স হয়েছে আমার শরীরের এখন কোনো মূল্য নেই!
এই যু/দ্ধ আমি শুধু চেয়ারে বসে দেখছি, ইস/রায়েল যদি মনে করে আমাকে হ/ত্যা করলে তারা বিজয়ী হবে, তাহলে এটা তাদের ভুল ধারণা।

এই যু/দ্ধ পরিচালনা করেছে ইরানের যুবকরা এবং তারা অপরাজিত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমাকে হ/ত্যা করলেও ইরানের ক্ষতি হবে না, ইরান নৈতিকতার উপর রয়েছে এবং থাকবে। ইরান দুনিয়ার কারো গোলামীর করে না!

27/05/2025

ওয়ার্টেনবার্গ সিন্ড্রোম (Wartenberg Syndrome) — একটি কম পরিচিত কিন্তু প্রায়ই ভুলভাবে নির্ণয় হওয়া স্নায়বিক সমস্যা!

এটি এমন একটি অবস্থা যা অনেক সময় কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম বা ডি কুয়ারভেইনের টেনোসাইনোভাইটিস বলে ভুল করা হয়।

⸻ কী এটি?
ওয়ার্টেনবার্গ সিন্ড্রোম (Cheiralgia Paresthetica) হল superficial radial nerve–এর চাপে পড়া। এটি একটি শুধুমাত্র অনুভূতিসম্পন্ন স্নায়ু, যা হাতের পেছনের দিকের ত্বকে অনুভূতি প্রদান করে।

⸻ মূল উপসর্গগুলো:
• বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনী আঙুলের পেছনে ঝিনঝিন, অসাড়তা বা জ্বালাপোড়া
• কোনো পেশি দুর্বলতা থাকে না
• কব্জি নড়াচড়া বা টাইট ঘড়ি/ব্যান্ড পরলে বাড়ে

⸻ ডায়াগনোসিস কীভাবে করা হয়?
• ক্লিনিক্যাল হিস্ট্রি ও ফিজিক্যাল পরীক্ষা — উপসর্গগুলোর প্রকৃতি, অবস্থান, ও কীভাবে বাড়ে তা বিশ্লেষণ করা হয়
• টিনেল সাইন — হাতের radial nerve বরাবর চাপ দিলে যদি সেই অঞ্চলে ঝিনঝিন বা ব্যথা হয়, তবে এটি ইতিবাচক হয়
• ডায়াগনস্টিক নার্ভ ব্লক — সাময়িকভাবে স্নায়ু ব্লক করে উপসর্গ কমে কিনা দেখা হয়
• Nerve Conduction Study (NCS)/EMG — স্নায়ুর কাজ কতটা ব্যাহত হয়েছে তা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়
• আল্ট্রাসাউন্ড বা MRI — কখনও কখনও সংকোচনের কারণ নির্ণয়ে সহায়ক হতে পারে

⸻ যেসব অবস্থার সাথে প্রায়ই গুলিয়ে ফেলা হয়:

1. কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম – এটি হাতের তালু প্রভাবিত করে

2. ডি কুয়ারভেইন’স টেনোসাইনোভাইটিস – মূলত ব্যথা থাকে, ঝিনঝিন নয়

3. সার্ভাইক্যাল র‌্যাডিকুলোপ্যাথি – গলা থেকে শুরু হয়

4. র‍্যাডিয়াল টানেল সিন্ড্রোম – গভীর বাহুর ব্যথা ও দুর্বলতা

5. পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি – সাধারণত দুই পাশে হয় এবং ধীরে বাড়ে

⸻ চিকিৎসা:
° ফিজিওথেরাপি
• চাপমুক্তকরণ (টাইট ব্যান্ড/ঘড়ি এড়িয়ে চলা)
• কব্জির স্প্লিন্ট
• নার্ভ গ্লাইডিং এক্সারসাইজ
• NSAIDs প্রয়োগ
• প্রয়োজনে সার্জিকাল ডিকম্প্রেশন

একজন ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে আমি দেখেছি—অনেক রোগী সঠিক রোগ নির্ণয়ের আগেই অনেক ধাপে চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। সচেতনতা ও সঠিক মূল্যায়নই সঠিক চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি।

আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি এ ধরনের উপসর্গ অনুভব করেন, দেরি না করে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।

25/05/2025

ফুটড্রপ (Foot Drop): কারণ, নির্ণয় ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

ফুটড্রপ কী?
ফুটড্রপ (Drop Foot) একটি চলাফেরার সমস্যা, যেখানে পায়ের সামনের অংশ উঠাতে অক্ষমতা দেখা যায়। এতে হাঁটার সময় পা ঘষে চলার প্রবণতা হয়। এটি কোনো রোগ নয়, বরং স্নায়ু, পেশি বা অস্থি-সংক্রান্ত সমস্যার একটি লক্ষণ।

কারণ (Physiology & Pathophysiology):
ফুটড্রপ সাধারণত টিবিয়ালিস অ্যান্টেরিয়র, এক্সটেনসর হ্যালুসিস লংগাস ও এক্সটেনসর ডিজিটোরাম লংগাস পেশির দুর্বলতা বা পক্ষাঘাতের কারণে হয়।

স্নায়ুর ক্ষতি: কমন পেরোনিয়াল নার্ভে (বিশেষ করে হাঁটুর নিচে ফিবুলার হেডে), বা লাম্বার স্পাইন (L4-L5) থেকে স্নায়ুর চাপ

পেশি রোগ: মাসকুলার ডিসট্রোফি, কম্পার্টমেন্ট সিন্ড্রোম

মস্তিষ্ক বা স্পাইনাল কর্ড: স্ট্রোক বা স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি

নির্ণয় (Physiotherapy Diagnostic Tests):
১. গেইট অ্যানালাইসিস: হাঁটার ধরন পর্যবেক্ষণ (উঁচু পা তোলা, পা ঘষে হাঁটা)
২. ম্যানুয়াল মাসল টেস্টিং (MMT): পায়ের সামনের পেশির শক্তি পরীক্ষা
৩. রিফ্লেক্স টেস্ট: গোড়ালির ও হাঁটুর রিফ্লেক্স পরীক্ষা
৪. সেন্সেশন টেস্ট: পায়ের সামনের ও বাইরের অংশে অনুভূতির পরীক্ষা

চিকিৎসা (Physiotherapy Treatment):
১. পেশি শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম:

পায়ের সামনে উঠানো (ডরসিফ্লেশন) এক্সারসাইজ

থেরাব্যান্ড ব্যবহার করে রেসিস্টেড ট্রেনিং

২. স্ট্রেচিং ব্যায়াম:

ক্যালফ মাংসপেশি (গ্যাস্ট্রোকনিমিয়াস ও সোলিয়াস) স্ট্রেচ

অ্যান্কেল জয়েন্টে প্যাসিভ মোবিলিটি বজায় রাখা

৩. নিউরোমাসকুলার ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন (NMES):

টিবিয়ালিস অ্যান্টেরিয়রে ইলেকট্রোড দিয়ে পেশি সক্রিয় করা

৪. গেইট ট্রেনিং:

সঠিকভাবে পা রাখা শেখানো, প্রয়োজনে সহায়ক ডিভাইস ব্যবহার

ট্রেডমিল, মেঝে হাঁটা, বাধা অতিক্রম অনুশীলন

৫. অর্থোটিক ব্যবস্থাপনা:

AFO (Ankle Foot Orthosis) ব্যবহারে পা ওঠানো বজায় রাখা এবং পড়ে যাওয়া রোধ

৬. প্রোপ্রিওসেপটিভ ও ব্যালান্স ট্রেনিং:

ব্যালান্স বোর্ড ও অনিরাপদ পৃষ্ঠে অনুশীলন

৭. কার্যকরী প্রশিক্ষণ (Functional Training):

সিঁড়ি ওঠা-নামা, চেয়ার থেকে উঠা, বিভিন্ন দিকে হাঁটার অনুশীলন

৮. রোগীকে শিক্ষা প্রদান:

সঠিক অবস্থান, অরথোসিস ব্যবহারের নিয়ম, বাড়ির ব্যায়াম, এবং নিরাপদ চলাচলের কৌশল

সতর্কতা:
প্রথম লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। নিয়মিত থেরাপি এবং সঠিক পরিচর্যা ফুটড্রপ সমস্যায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি আনতে পারে।

24/05/2025

সরকারিভাবে ফিজিওথেরাপি পেশাকে স্বীকৃতি ও নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন পাস হলেও, বাস্তবায়নের গতি ধীর। ফলস্বরূপ, সুশৃঙ্খল ক্যারিয়ার গঠনের স্বপ্ন প্রতিনিয়ত ভেঙে পড়ছে নতুন প্রজন্মের ফিজিওথেরাপিস্টদের সামনে।

সময় এসেছে—পেশাগত মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে আওয়াজ তোলার। স্বাস্থ্য খাতে সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য, ফিজিওথেরাপিস্টদের ন্যায্য অবস্থান নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

ফিজিওথেরাপিস্টদের ন্যায্য অধিকার শুধু একটি দাবিই নয়, এটি স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের একটি মৌলিক ভিত্তি।








#ফিজিওথেরাপির_স্বীকৃতি_চাই
#ন্যায্য_অধিকার_চাই
#স্বাস্থ্যখাতে_সমতা
#ফিজিওথেরাপি_পেশার_স্বীকৃতি

23/05/2025

স্ট্রোক বা ব্রেইন ইনজুরির পর কাঁধের সাবলাক্সেশন (Shoulder Subluxation) একটি সাধারণ সমস্যা। এর ব্যবস্থাপনায় স্লিং, টেপিং ও ইলেকট্রিকাল স্টিমুলেশন (NMES) কখন ব্যবহার করবেন, তা অনেক সময় বিভ্রান্তিকর হতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ নির্দেশনা দেওয়া হলো:

✅ সঠিক হ্যান্ডলিং ও পজিশনিং অপরিহার্য – রোগীর কাঁধ ও হাতের সঠিক অবস্থান বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেন সাবলাক্সেশন না বাড়ে।

✅ Neuromuscular Electrical Stimulation (NMES):
স্ট্রোকের ৬ মাসের মধ্যে থাকলে, প্রতি সপ্তাহে ৩-৭ বার এবং প্রতিবার কমপক্ষে ১ ঘণ্টা ব্যবহার করা উচিত।

✅ হেমি স্লিং (Hemi Shoulder Sling) শুধুমাত্র তখন ব্যবহার করুন যখন হাত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাসিড থাকে (কোনো সক্রিয় মুভমেন্ট নেই) এবং রোগীকে হাঁটাচলার সময় সাপোর্ট দরকার হয়।
✨ যদি রোগীর হাতে কিছুটা সক্রিয় মুভমেন্ট থাকে, তাহলে ট্রান্সফার বা হাঁটার সময় রোগীকে স্ক্যাপুলা ও কাঁধের মাংসপেশি সক্রিয় করতে উৎসাহিত করুন।

✅ টেপিং ও NMES একসাথে ব্যবহার করা যেতে পারে যদি উপযুক্ত হয়।

ইলাস্টিক (Kinesio) টেপ বা রিজিড টেপ ব্যবহার রোগীর সাবলাক্সেশনের পরিমাণ ও বর্তমান মোটর ফাংশনের উপর নির্ভর করে নির্বাচন করুন।

✅ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি – ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিলে কাঁধের স্থিতি ও ফাংশন উন্নত করা সম্ভব। শুধু সাপোর্ট ডিভাইসের ওপর নির্ভর না করে সক্রিয় থেরাপি নিতে হবে।

মনে রাখবেন – NMES, টেপিং এবং স্লিং সবই সহায়ক পদ্ধতি। এগুলো মূল থেরাপির বিকল্প নয়।
মূল থেরাপি হওয়া উচিত যেগুলো রোগীর মোটর রিকভারি বাড়ায়, যেমন:

টাস্ক স্পেসিফিক ট্রেনিং

হাই ইন্টেনসিটি গেইট ট্রেনিং / ফাংশনাল ট্রেনিং / অকুপেশনাল ট্রেনিং

গ্রেডেড মোটর ইমেজারি (যেমন: মিরর বক্স, মেন্টাল প্র্যাকটিস)

15/05/2025

সমুদ্রের ঢেউ বলে দেয় জীবনের গল্প – উত্থান-পতন সবই সৌন্দর্যের অংশ।