মাকনুন রুকইয়াহ - Maqnun Ruqyah

মাকনুন রুকইয়াহ - Maqnun Ruqyah Ruqyah For Spritual Healing
রাজশাহী শহরে রুকইয়াহ এর জন্য যোগাযোগ করুনঃ 01829114729

30/07/2025

দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত

আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার আখেরী রাসূল। তিনি গোটা মানবজাতির জন্য আল্লাহ তাআলার সর্বশেষ দূত। তাই তাঁর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য ছাড়া আল্লাহতে বিশ্বাস ও আল্লাহর আনুগত্যের দাবি অর্থহীন। কুরআন মজীদের বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়টি ঘোষিত হয়েছে।

আল্লাহকে পাওয়ার একমাত্র পথ খাতামুন্নাবিয়ীন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ। তাই তাঁর জন্য হৃদয়ের গভীরে মহববত ও ভালবাসা পোষণ করা এবং তাঁর জন্য আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে দুআ করা প্রত্যেক উম্মতির ঈমানী কর্তব্য।

কুরআন মজীদে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য দরূদ পাঠের তথা আল্লাহর দরবারে তাঁর জন্য দুআ করার আদেশ করেছেন। এটা একদিকে যেমন আল্লাহর কাছে তাঁর রাসূলের মর্যাদার প্রমাণ অন্যদিকে মুমিন বান্দার রহমত ও বরকত লাভের অন্যতম উপায়।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর উপর রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতারা তাঁর জন্য রহমতের দুআ করেন। সুতরাং হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ পড় এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও। (সূরা আহযাব : ৫৬)

এখানে কিছু ফযীলত উল্লেখ করা হল। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই সহজ ও মূল্যবান আমলটি বেশি বেশি করার তাওফীক দিন।

১. রহমত, মাগফিরাত ও দরজা বুলন্দির আমল

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন-

من صلى علي صلاة صلى الله عليه بها عشراً



যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে, বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন।-সহীহ মুসলিম ১/১৬৬; জামে তিরমিযী ১/১০১

অন্য হাদীসে আছে, হযরত আনাস রা. বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

من صلى علي صلاة واحدة صلى الله عليه عشر صلوات، وحطت عنه عشر خطيئات، ورفعت له عشر درجات.

যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা বুলন্দ হবে।-সুনানে নাসায়ী ১/১৪৫; মুসনাদে আহমদ ৩/১০২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২/৪৩

অন্য বর্ণনায়, আবু বুরদা রা. থেকে বর্ণিত আছে, তার আমলনামায় দশটি নেকী লেখা হবে।-আলমুজামুল কাবীর, তবারানী ২২/৫১৩

আবু হুরায়রা রা. থেকেও দরূদের এই ফযীলত বর্ণিত হয়েছে।-মুসনাদে আহমদ ২/২৬২, হাদীস : ৭৫৬১

২. ফেরেশতারা মাগফিরাতের দুআ করেন

হযরত আমের ইবনে রবীআহ রা. বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি-

من صلى علي صلاة، لم تزل الملائكة تصلي عليه ما صلى علي، فليقل عبد من ذلك أو ليكثر. (قال السخاوي في القول البديع، ص : 25 : حسّن شيخنا هذا الحديث. وقال الشيخ شعيب الأرناؤوط : حديث حسن. اه)



আমার উপর দরূদ পাঠকারী যতক্ষণ দরূদ পড়ে ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকে। সুতরাং বান্দার ইচ্ছা, সে দরূদ বেশি পড়বে না কম।-মুসনাদে আহমদ ৩/৪৪৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৯০৭

৩. দরূদ পাঠকারীর জন্য শাফাআত অবধারিত

রুওয়াইফি ইবনে ছাবিত আলআনসারী রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ দরূদ পাঠ করবে তার জন্য আমার সুপারিশ অবধারিত হয়ে যাবে।

اللهم صل على محمد وأنزله المقعد المقرب عندك يوم القيامة. (قال الهيثمي في مجمع الزوائد : رواه البزار والطبراني في الأوسط والكبير، وأسانيدهم حسنة. اه)

-আলমুজামুল কাবীর, তবারানী ৫/৪৪৮১; মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/২৫৪

৪. কিয়ামতের দিন নবীজীর সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে

আবদুললাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

أولى الناس بي يوم القيامة أكثرهم علي صلاة

কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে, যে আমার উপর সবচেয়ে বেশি দরূদ পড়েছে।

(رواه الترمذي وقال : هذا حديث حسن غريب)

-জামে তিরমিযী ১/১১০

৫. দোজাহানের সকল মকসূদ হাসিল হবে

হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. বলেন, একবার আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিকরুল্লাহর খুব তাকিদ করলেন। আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে থাকি। আমি আমার দুআর কতভাগ আপনার জন্য নির্ধারণ করব? তিনি বললেন, তোমার যে পরিমাণ ইচ্ছা।

আমি বললাম, চারভাগের এক ভাগ? তিনি বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। তবে বেশি করলে আরো ভালো।

আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। তবে বেশি করলে আরো ভালো।

আমি বললাম, তাহলে তিন ভাগের দুই ভাগ? তিনি বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা হয়। তবে বেশি করলে আরো ভালো।

আমি বললাম, তাহলে কি আমার দুআর পুরোটাই হবে আপনার প্রতি দরূদ? তিনি বললেন, তবে তো তোমার মকসূদ হাসিল হবে, তোমার গুনাহ মাফ করা হবে।

رواه الترمذي وقال : هذا حديث حسن. اه وقال الهيثمي : رواه الطبراني، وإسناده حسن.)

-জামে তিরমিযী ২/৭২; মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/২৪৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪৫

৬. যে চায় তাকে কোঁচর ভরে দেওয়া হোক

হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে চায় আমাদের উপর অর্থাৎ আহলে বাইতের উপর দরূদ পাঠের সময় তাকে পাত্র ভরে দেওয়া হোক, সে যেন এভাবে দরূদ পড়ে-

اللهم صل على محمد النبي وأزواجه أمهات المؤمنين وذريته وأهل بيته كما صليت على آل إبراهيم إنك حميد مجيد. (ومن سره أن يكتال بالمكيال الأوفى إذا صلى علينا أهل البيت فليقل ... )

-সুনানে আবু দাউদ ১/১৪১

৭. গরীব পাবে সদকার সওয়াব

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মুসলমানের দান করার সামর্থ্য নেই সে যেন দুআয় বলে-

اللهم صل على محمد عبدك ورسولك، وصل على المؤمنين والمؤمنا

✍️ " মাওলানা মুহাম্মাদ ইমদাদুল্লাহ "

24/07/2025

যদি কেউ (রাক্বী) তোমাকে জিজ্ঞাসা করে: "তোমার মায়ের নাম কি?" তাহলে জেনে রেখো যে সে একজন প্রতারক।যেকোনো রাক্বী এমনকি যদি সে ধার্মিক দেখায়, যদি সে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে- "তোমার মায়ের নাম কি?" এবং তোমাকে এই প্রশ্নটি করে জানে রাখো যে সে একজন প্রতারক।যে কোন রাক্বী যিনি ধূপ এবং ধোঁয়া ব্যবহার করেন তিনি একজন প্রতারক।কারণ এই ধরনের অভ্যাসগুলি যাদুকর, প্রতারক এবং ভবিষ্যদ্বাণীকারীদের। যে কোনও রাক্বী যিনি বিড়বিড় করেন অস্পষ্ট শব্দ করে জেনে রাখুন যে তিনি একজন প্রতারক।যে কোন রাক্বী তোমাকে বলে: "আল্লাহর কসম, যে তোমাকে জাদু করেছে সে অমুক, অমুকের পুত্র" অথবা: "যে তোমাকে ক্ষতি করেছে সে অমুক, অমুকের পুত্র" জেনে রাখো যে সে ইবলিসের দূতদের একজন এবং শয়তানের প্রতিনিধি।এটা সম্পূর্ণরূপে অসম্ভব। এটা কেবল ওহির মাধ্যমেই জানা সম্ভব আল্লাহর পক্ষ থেকে, যিনি মহান ও মহানুভব। আর জিবরাঈল (আ.)-এর ওহি আনা বন্ধ হয়ে গেছে রাসূল (ﷺ)-এর ইন্তেকাল এর সাথে সাথেই। তাহলে এখন কে তাকে জানাচ্ছে?শয়তানরা!"আমি কি তোমাদের জানাবো কার উপর শয়তানরা অবতীর্ণ হয়? তারা অবতীর্ণ হয় প্রতিটি পাপী মিথ্যাবাদীর উপর" যে রাক্বী তোমাদেরকে তাবিজ, কাপড়, সুতো, হাতের ছাপ বা এ জাতীয় কিছু দেয়, জেনে রাখো যে সে একজন প্রতারক।যে রাকি কফির কাপে ভাগ্য পড়ে জেনে রাখুন যে তিনি একজন প্রতারক যে রাক্বী ময়লা নিয়ে খেলেন এবং মাটিতে আঁকেন জেনে রাখুন যে তিনি একজন প্রতারক।যে কোন রাক্বী আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখ বুজে বিড়বিড় করে, জেনে রাখো সে একজন প্রতারক আর আজ এমন লোকের সংখ্যা কত? আমরা মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি তাদের সংখ্যা কমিয়ে দেন এবং মুসলমানদের তাদের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেন।
~শাইখ আব্দুল আজিজ ফারহান আল আনজি (হাফিঃ)

23/07/2025

👉👉৪০ দিনে জীবন পরিবর্তনের ২০টি চ্যালেঞ্জ👈👈

👉১. ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ত করা।
👉২. ঘুম থেকে উঠার পর দোয়া পড়া, মেসওয়াক করা।
👉৩. ওযুর করার পড়ে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা।
👉৪. রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
👉৫. গোসল ফরজ হলে ফযরের আগে গোসল করা।
👉৬. আযান শোনা ও আযানের উত্তর দেওয়া।
👉৭.ফযরের সুন্নত ও ফরজ আদায় করা।
👉৮. সূর্যোদ্বয়ের আগে কোরআন তিলাওয়াত করা।
👉৯. সূর্যোদ্বয়ের পরে ইশরাকের নামাজ আদায় করা।
👉১০. প্রতিদিন ১২ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করা।
👉১১. সালাতুল দোহা আদায় করা।
👉১২. সময়মতো ফযর, যোহর, আছর,
মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করা।
👉১৩. প্রতি ফরয নামাজের পর আয়াতুল কুরসি, ৩ কুল পাঠ করা।
👉১৪.প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নত রোজা রাখা।
👉১৫. প্রতিমাসে আইয়ামে বীজের রোজা রাখা।
👉১৬. প্রতি শুক্রবার সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।
👉১৭. প্রতিদিন সূরা ওয়াকিয়াহ ও সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা।
👉১৮. প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে সূরা মূলক ও
সূরা বাক্কারার শেষ ২ আয়াত তিলাওয়াত করা।
👉১৯.প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে আল্লাহর কাছে
ক্ষমা চাওয়া। আর সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া।
👉২০. দিনে অন্তত ৭০ বার ইস্তেগফার করা।

🌿🌿🌿আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন এবং সবাইকে
বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন। আ-মীন।🌿🌿🌿

19/07/2025

আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى مَعَهُ وَاحِدٌ يَتْبَعُهُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَيَبْقَى عَمَلُهُ.

তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির পেছনে পেছনে যায়- তার পরিবার-পরিজন, তার ধন-সম্পদ ও তার আমল। তা থেকে দুটি জিনিস ফিরে আসে, একটি তার সঙ্গে থেকে যায়। ফিরে আসে তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ আর থেকে যায় তার আমল।

সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৫১৪ (ফুআদ আবদুল বাকী তাহকীককৃত) ৬০৭০ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)

18/07/2025

শুক্রবারের বিশেষ আমলঃ

১। সুরা কাহফ তিলওয়াত করা ( বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে অল্প অল্প করে পড়তে পারবেন ইনশাআল্লাহ, একবারে না পারলে।)

২। দুরুদ পাঠ বেশি বেশি ( যেকোনো ছোট দুরুদ পড়তে পারবেন তবে দুরুদে ইব্রাহিম পড়া উত্তম ।)

৩। ইস্তেগফার পাঠ।

৪। বেশি বেশি দোয়া করা ( বিশেষ করে আসরের পর থেকে মাগরিবের আগে পর্যন্ত।)

17/07/2025

" শরীর বন্ধ, ঘর বন্ধ, বাড়ি বন্ধ। একবার বন্ধ করলে কিয়ামতের আগে আর খুলবে না বা একবার বন্ধ করলে ১০০ বছরের গ্যারান্টি!!!

এইসকল ধোঁকাবাজি কথা যারা বলে ওইসকল ভন্ডদের থেকে বিরত থাকুন। ইসলামে এই সকল কুসংস্কারের কোনো অস্তিত্ব নাই।

নিজের ঘর, বাড়ি, সম্পদ, সন্তান সকল কিছু হেফাজতের জন্য। সকল ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত সকাল সন্ধ্যার মাসনুন আমল গুলো করুন, বড়রা বাচ্চাদের পড়ে নিয়মিত ফুঁ দিন। এবং নিয়মিত সূরা বাকারাহ তিলওয়াত করুন। একদিনে সম্পূর্ণ পড়ে শেষ করতে না পারলে, অল্প অল্প করে ভাগ করে নিয়ে পড়ুন।

ইনশাআল্লাহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সকল অদৃশ্য ক্ষতি, সকল অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ থেকে হেফাজত করবেন।

15/07/2025

বদ নজর, জিন-শয়তান ও কালোজাদুতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অসংখ্য জীবন ও পরিবার এর ভুক্তভোগী।

আপনাদের সমস্যার কথা ভেবে আমরা এ বিষয়ে একটি লিফলেট তৈরি করেছি, যেখানে জিন-জাদু ও বদ নজর থেকে আত্মরক্ষা পাওয়ার কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আগ্রহীগণ আমাদের আফতাবনগর অফিসে এসে লিফলেটটি সংগ্রহ করতে পারেন। চাইলে পিডিএফ ফাইলও ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

পিডিএফ লিংক মন্তব্যের ঘরে।

15/07/2025

জ্বিন - যাদুর পেশেন্টদের বৃষ্টির সময়ে করণীয়ঃ

* সুস্থতার নিয়তে কিচ্ছুক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজবেন।

* প্রচুর পরিমাণে দোয়া করবেন রবের কাছে। বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়।

* রুকইয়াহ'র সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যাবহার করার জন্য বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখবেন।

এই মূল্যবান সময়টা অবহেলায় পার করবেন না।

14/07/2025

যে ১০ টি আমল যে কোন বালা মুসিবত ও বিপদ থেকে অবশ্যই মুক্তি দিবেঃ

তাওবাহঃ

কুরআনে আছে , যে কোন বিপদ গুনাহের কারণে হয়ে থাকে।
"মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে যাতে তিনি তাদেরকে তাদের কোন কোন কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা (অসৎ পথ হতে) ফিরে আসে।" - [ সূরা রুম - ৪১ ]
গুনাহ থেকে তাওবাহ মানুষ কে বিপদ থেকে মুক্তি দান করে।

তাকওয়াঃ

‘যে কেউ আল্লাহতায়ালার ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তার জন্য সঙ্কট থেকে উত্তোরণের কোনো পথ তৈরি করে দেবেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিজিক দেবেন যা তার ধারণারও বাইরে।’ –সূরা তালাক: ২

তাওয়াক্কুলঃ

‘‘আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, তিনিই তার জন্যে যথেষ্ট।’’ [সূরা আত-তালাক, আয়াত: ৩]

সবর ও সলাতঃ

আল্লাহ্‌ তা'আলা ই কুরআনে বলেছেন, সবর ও সলাতের মাধ্যমে সাহায্য চাইতে।
'হে মুমিনগণ! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সহিত আছেন। ' (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৩)।

দুয়াঃ

যে কোন বিপদাপদ কাটিয়ে আল্লাহর কাছে দুয়া করা অত্যন্ত কার্যকর। হাদিসে আছে,
সালমান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু'আ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎকাজ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই হায়াত বাড়াতে পারে না।
তিরমিযী ২১৩৯, হাদীস সম্ভার ৩৬৪৪ সহীহুল জামে’ ৭৬৮৭) সহিহাহ ১৫৪ ইবনে মাজাহ ৯০-৪০২২ আহমাদ ২১৮৮১, ২১৯০৭, ২১৯৩২

ইস্তিগফারঃ

‘যে ব্যক্তি নিজের জন্য ‘ইস্তিগফার’ (ক্ষমা প্রার্থনা) আবশ্যক করে নেবে, আল্লাহ তাকে সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন, সব সংকীর্ণতা থেকে উদ্ধার করবেন এবং তাকে এমনভাবে জীবিকার ব্যবস্থা করবেন যা তার চিন্তার বাইরে। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩৮১৯)

দরুদঃ

একজন সাহাবি রাসূলকে বলেছিলেন, তিনি তাঁর উপর সর্বদা দরুদ পাঠ করবেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘যদি তুমি তাই করো, তবে তোমার সকল চিন্তা ও উৎকণ্ঠা দূর করা হবে (প্রয়োজন পূরণ হবে) এবং তোমার পাপসমূহ ক্ষমা করা হবে।’’
[তিরমিযি: ২৪৫৭, হাকিম: ২/৪৫৭, হাদিসটি সহিহ]

দুয়া ইউনুসঃ

সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার নবী যুন-নূন ইউনুস (আঃ) মাছের পেটে থাকাকালে যে দু’আ করেছিলেন তা হলঃ “ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ- (সূরা আম্বিয়া ৮৭)।
যে কোন মুসলিম লোক কোন বিষয়ে কখনো এ দু’আ করলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা তার দু’আ কবুল করেন। [ তিরমিজি ৩৫০৫ ]

সদাকাহঃ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সদাকাহ আল্লাহ তা'আলার অসন্তুষ্টি কমিয়ে দেয় এবং অপমানজনক মৃত্যু রোধ করে।
(তিরমিজি ৬৬৪)

14/07/2025

"বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ুন সকল বিপদ থেকে আল্লাহ হেফাজত করবেন।"

ইনশাআল্লাহ

13/07/2025

বোবা ধরার সমস্যা ও করণীয়…


বোবা ধরার শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। বোবা ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস হলো ঘুমের মধ্যে অথবা শুয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অল্প সময়ের জন্য কথা বলতে না পারা এবং নড়াচড়া করতে না পারার একটা অবস্থা। এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তি যদিও নিজের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকেন। এরসাথে কখনো বুকে একধরনের চাপ অনুভব করা, ভয় পাওয়া, কারো নিশ্বাস অনুভব করা ইত্যাদি থাকতে পারে।

বোবা ধরা যেসব কারণে হতে পারে :
শারীরিক মানসিক কারণে।
মস্কিষ্কের অসামঞ্জস্যতা, ভারসাম্যহীন খাদ্যাভাস, অপরিমিত ঘুম, উপুর হয়ে ঘুমানো ইত্যাদি কারণে এই সমস্যা হতে পারে। মানসিক কারণে বোবা ধরার সমস্যা নিয়মিতভাবে হওয়ার সম্ভাবনা কম। এক্ষেত্রে অনেকদিন পরপর এরকম হতে পারে। তাই বোবা ধরার সমস্যা হলেই জিন জড়িত এরকম বলে দেয়া ঠিক না।

জ্বিন সংক্রান্ত কারণে।
মানুষ যখন ঘুমে থাকে তখন সে একধরনের অবচেতন অবস্থায় চলে যায়। তাই এই সময়ে শয়তান যতভাবে সম্ভব আক্রমণ করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে এবং ঘুম থেকে উঠার সময়টাতে। শয়তান জ্বিন মানুষকে মানসিকভাবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে আক্রমণ করে ভয় দেখাতে অথবা তার দখল নিতে চেষ্টা করে। শারীরিকভাবে আক্রমণ করা অনেকভাবে হতে পারে। যেমন- বোবা ধরা, আঘাত করা, শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা ইত্যাদি। (শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করলে তাকে আসক্ত জ্বিন হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।)

সমস্যার সমাধান:
প্রথম কথা হল, আল্লাহ যা ফরজ করেছেন(যেমন- নামাজ, পর্দা ইত্যাদি) সেগুলো ঠিকমত আদায় করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে একটি শয়তান নিযুক্ত করে দেই, অতঃপর সেই সর্বক্ষণ তার সাথী হয়ে থাকে” । সুরা যুখরুফ, আয়াত ৩৬

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফরজ কাজের পাশাপাশি মাসনুন আমলগুলো করলে আল্লাহর ইচ্ছায় বোবা ধরার সমস্যা ভালো হয়ে যায়। আল্লাহর কালাম সকল রোগের শিফা। আপনার সমস্যা মানসিক অথবা জিনগত যে কারণেই হোক ঘুমানোর আগে অযু করে মাসনুন আমল করে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। দিনের কোন সময়ে অথবা রাতে যখনই ঘুমাবেন তার আগে অযু করে মাসনুন আমল করে নিতে চেষ্টা করবেন। কী কী করবেন পয়েন্ট আকারে বলি-

১. অযু করে ডানকাতে ঘুমাবেন। উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।
২. শোয়ার পূর্বে আউযুবিল্লাহ পড়ে কাপড় বা ঝাড়ু দিয়ে বিছানা ভালোমত ঝেড়ে নিবেন।
৩. আয়াতুল কুরসি, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়বেন।
৪. সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে নিবেন। এভাবে ৩ বার করবেন। মানে প্রতিটা সুরা একবার করে পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে নিবেন। তারপর আরো দুইবার এভাবে করবেন। মোট তিনবার।
৫. ঘুমানোর আগের দোয়া পড়া। (اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি।’
৬. ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়া। (الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ)
অর্থ : ‘সব প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করেছেন এবং তার দিকেই আমাদের পুনরুত্থান।’

~ বোবা ধরার সমস্যার পাশাপাশি যদি আপনার জিন আক্রান্তের অন্যান্য লক্ষণ মিলে যায় তাহলে আপনার উচিত উপরে বলা আমলগুলোর পাশাপাশি রুকইয়াহ করা। জিন আক্রান্তের লক্ষণগুলো এখানে পাওয়া যাবে- জিনের আসরের লক্ষণ এবং জ্বিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়।

~ প্রতিদিন রাতে সুরা মুলক তিলাওয়াত করা।

~ পরিমিত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন নিয়মিত। ঘুমের আগে ভরপেট না খাওয়া বা খাওয়ার পর পরই কোন হাটাহাটি বা কাজ না করে ঘুমাতে যাবেন না।

দ্রষ্টব্যঃ মহিলাদের পিরিয়ড অবস্থায়ও সকাল সন্ধ্যা ও ঘুমানোর আগের মাসনুন আমল করা যাবে।

Address

নর্দানের মোড়, রুয়েটের পকেট গেট, তালাইমারি রাজশাহী।
Rajshahi
6400

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মাকনুন রুকইয়াহ - Maqnun Ruqyah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to মাকনুন রুকইয়াহ - Maqnun Ruqyah:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram