04/09/2025
মেয়েদের বাচ্চা কনসিভ না হওয়ার প্রধান কারণ
অনেক দম্পতি বিয়ের পরও দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও গর্ভধারণ করতে পারেন না। এর পেছনে থাকতে পারে শারীরিক, হরমোনাল, মানসিক ও জীবনযাত্রাগত নানা সমস্যা।
ডিম্বাশয় ও ডিম্বাণুর সমস্যা
ডিম্বস্ফোটন (Ovulation) না হওয়া – মাসিক নিয়মিত হলেও ডিম্বাণু বের নাও হতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) – সবচেয়ে সাধারণ কারণ, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
বয়সজনিত সমস্যা – ৩৫ বছরের পর ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমে যায়।
Premature Ovarian Failure – কম বয়সে ডিম্বাশয়ের কার্যক্ষমতা হারানো।
ফলোপিয়ান টিউবের সমস্যা
টিউব ব্লক হওয়া – ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন বাধা পায়।
সংক্রমণ (PID, TB) – টিউব ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আঠালো টিস্যু (Adhesion) – পূর্ববর্তী সার্জারি বা এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে।
জরায়ুর সমস্যা
ফাইব্রয়েড, পলিপ, সেপটাম – ভ্রূণ বসতে (implant) সমস্যা হয়।
এন্ডোমেট্রিয়াল আস্তরণ দুর্বল – ভ্রূণ টিকতে পারে না।
এন্ডোমেট্রিওসিস – জরায়ুর বাইরের টিস্যুতে প্রদাহ তৈরি করে, টিউব ও ডিম্বাশয় ক্ষতিগ্রস্ত করে।
হরমোনাল সমস্যা
থাইরয়েডের অসামঞ্জস্যতা – Hypo বা Hyperthyroidism এ সমস্যা হয়।
প্রোল্যাক্টিন বেড়ে যাওয়া (Hyperprolactinemia) – ডিম্বস্ফোটন বন্ধ করে দেয়।
হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট – ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, কর্টিসল, LH/FSH-এর অসামঞ্জস্যতা।
সংক্রমণ
পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (PID) – টিউব ব্লক ও প্রদাহ তৈরি করে।
যৌনবাহিত রোগ (STDs – Chlamydia, Gonorrhea) – প্রজনন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত করে।
জীবনযাত্রা ও মানসিক কারণ
অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও উদ্বেগ – হরমোনাল ব্যাঘাত ঘটায়।
অতিরিক্ত মোটা বা খুব কম ওজন – মাসিক ও ডিম্বস্ফোটন বিঘ্নিত হয়।
ধূমপান, অ্যালকোহল বা নেশা – ডিম্বাণুর গুণগত মান নষ্ট করে।
অনিয়মিত ঘুম, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, অস্বাস্থ্যকর খাবার
বয়স ও অন্যান্য কারণ
৩৫ বছরের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়।
জেনেটিক কারণ – জন্মগত কিছু সমস্যা থাকতে পারে।
পূর্ববর্তী গর্ভপাত বা জটিলতা – জরায়ুর আস্তরণ দুর্বল করে।
কিছু ওষুধ বা কেমোথেরাপি – ডিম্বাশয়ের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
মনে রাখবেন:
অনেক ক্ষেত্রে শুধু মহিলাই নন, পুরুষের শুক্রাণুর সমস্যা (সংখ্যা কম, গুণমান খারাপ, নড়াচড়া কম) থাকলেও গর্ভধারণ হয় না। তাই দু’জনকেই পরীক্ষা করা জরুরি ✅
゚