22/10/2025
#কাপিং_থেরাপির_উপকারিতাঃ
☞ কাপিং থেরাপি লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম সক্রিয় করে।
☞ বড় রক্তনালীগুলোকে পরিষ্কার করে এবং রক্ত সঞ্চালন সক্রিয় করে।
☞ কাপিং থেরাপি লিম্ফ্যাটিক গ্রন্থি ও রক্ত নালী পরিষ্কার করে বিশেষ করে পায়ের পাতার। যা কিনা পরবর্তীতে সারা দেহে ছড়িয়ে পরতে পারত, এটা শরীরে থেকে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় মেডিসিনও দেহ থেকে বের করে দেয়।
☞ শরীরের অভ্যন্তর (রিফ্লেক্স জোন) এর প্রতিক্রিয়ার অবস্থা সক্রিয় ও উদ্দীপ্ত করে, ফলে আক্রান্ত অঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মস্তিস্কের মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
☞ শরীরের ভিতরে শক্তি চলাচলের পথ পরিষ্কার করে জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ৫০০০ বছর আগে চীন ও জাপানীরা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে।
☞ চিকিৎসার পরে মানবদেহের ত্বক ও পেশীতে অবশিষ্ট অপ্রয়োজনীয় ঔষধ ও বিষ দেহ থেকে শুষে নিতে কাপিং থেরাপি দারুন কার্যকরি। এর ফলে রক্ত থেকে ইউরিক এসিড ও জয়েন্ট থেকে ক্রিস্টাল বের করে দেয়া সহজ হয় ফলে গাউট রোগ ভাল হয়।
☞ দেহের কোন স্থানে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বা কোন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন কম হলে তা দূর করতে কাপিং করার দরকার হয়।
☞ দেহের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ইম্যুনিটি গ্লান্ডস, বিশেষ করে থাইমাস গ্লান্ড যাহা পিঠে ৪র্থ ভার্টিব্রা বরাবর কাপিং করা হয়।
☞ হরমোন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাড়ের ৭ম সার্ভাইকাল ভার্টিব্রা বরাবর কাপিং করা হয়।
☞ মানসিক দিক ব্যবস্থা দেয়া হয় : ঘাড়ের ৭ম ভার্টিব্রা, লাম্বার ৫ম ভার্টিব্রা, গলব্লাডারের নট (লাম্বার ১ম ও থোরাসিক ১২তম) বরাবর কাপিং করলে, এটা নার্ভাসনেস, রাগ, বিষন্নতা, অবসাদ, প্রতিক্রিয়া, নিষ্ঠুরতা ও বেপরোয়া ভাব নিয়ন্ত্রণ করে, রোগীর মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়। ঔষধের প্রতি দেহের দ্রুত সারা নিশ্চিত করে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী দ্রুত সুস্থ্য হয়ে ওঠে।
★হিজামা'র বিশেষ কিছু উপকারিতাঃ★
(১) শরীরের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা,ঘাড়, হাটু এবং কোমর ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
(২) মাথা ব্যথার জন্য বিশেষ উপকারী।
(৩) শরীর থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ/Toxin বের করে নিয়ে আসে,
(৪) শরীরের ব্যথা/ জ্বালাপোড়া হৃাস করে,
(৫) ত্বক পরিষ্কার করে।
(৬) রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে,
(৭) ঘুমের উন্নতি করে
(৮) শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে,
(৯) কিডনি ও লিভারকে পরিস্কার করে ,
(১০) হৃদ রোগের ঝুকি কমায় এবং হার্ট সুস্থ রাখে,
(১১) বৃদ্ধ মানুষের বাত/ব্যথা নিপীড়ন করে ,
(১২) গ্যাস্ট্রিক দূর করে।
★বিষক্রিয়ার চিকিৎসায় হিজামাঃ★
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বর্ননা করেছেন যে, এক ঈহুদী মহিলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিষ যুক্ত গোস্ত খেতে দিয়েছিল, তাই তিনি তাকে সংবাদ পাঠিয়ে বললেন “কেন তুমি তা করলে?”
মহিলাটি উত্তরে বলল, “যদি আপনি সত্যিই আল্লাহর বার্তা বাহক হন তবে আল্লাহ আপনাকে জানিয়ে দিবেন এবং আপনি যদি তাঁর বার্তা বাহক না হন তবে আমি মানুষকে আপনার থেকে নিরাপদ রাখতাম”!
যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহার যন্ত্রনা অনুভব করতে লাগলেন, তিনি হিজামা গ্রহণ করলেন। একদা ইহরাম অবস্থায় তিনি সফরে বের হলেন এবং ঐ বিষের যন্ত্রনা বোধ করলেন, তখন তিনি হিজামা গ্রহণ করলেন। [আহমাদ ১/৩০৫]
কাপিং থেরাপি নিতে #যোগাযোগ করুনঃ ০১৭৮২০৪৮৯২২
সাগরপাড়া, রাজশাহী।
(মহিলাদের জন্য মহিলা থেরাপিস্ট আছেন।)