17/10/2025
মুসলিম শিশু এবং নারীদের বিধর্মী কর্তৃক ধ/_°র্ষণ , স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া , একটানা ধ/_°র্ষিত হবার পরও ঐ ছেলের প্রতি মোহাবিষ্ট হয়ে থাকায় - কিছু কমন ক্লু আছে।
লাস্ট ৬ মাসের কেসগুলো স্টাডি করলে দেখা যায় -
শিশু বা নারীদের কিছু খাবার দিয়ে ( চকলেট / আইসক্রিম ) , উপহার ( ফুল / রুমাল ) দিয়ে - খুব অল্প সময়ে মোহাবিষ্ট করে ফেলা হয়েছে ।
আপনি নিজেকে খুব স্কলার দাবী করলেও কিছু নিষিদ্ধ চর্চা বা বিদ্যা নিয়ে সায়েন্স বেশি আলোচনা করতে চায়না বা তার সাথে পেরে ওঠেনা।
আমি ২০১৭ র আগ পর্যন্ত কেও এই যাদুবিদ্যার কথা বললে , মনে মনে তাকে জ্ঞানহীন, ব্যাক ডেটেড বেকুম মনে করতাম , ( বুদ্ধিবৃত্তিক কৃতদাসত্বে মস্তুিষ্ক বন্দিত্বের কারণে ) ।
ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে ইসলাম সুস্পষ্ট ঘোষনা দিয়েছে -
চর্চা না করার। এই চর্চায় আপনি ঈমান হারাবেন , সরাসরি কাফিরে পরিণত হবেন এবং একবারও যদি কারও উপর প্রয়োগ করেন বা কাওকে প্রয়োগ করতে প্ররোচিতও করেন - আপনি হাক্কুল ইবাদ নষ্টকারী ঘোষিত হবেন এবং আপনার ক্ষমা চাওয়ার পথ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে যতোক্ষণ না আপনি আক্রান্ত ব্যক্তির সমস্ত ক্ষতি শতভাগ ফেরত দিয়ে তওবা না করতে পারেন !
ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালা জাদু বিদ্যা শরিয়াহ র সম্পূর্ণ বিপরীত, অন্ধকার এক রাস্তা , যা ডেভিল বা শয়তানের পূজা, আরাধনার সাথে শতভাগ সম্পৃক্ত। এই চর্চায় ডেভিল কে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হিসেব করেই কালাযাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক প্রয়োগ করা হয়।
ব্যক্তিগত জীবনে আমি বহু রোগী পেয়েছি যাদের রোগ, শারিরীক অবনতি , হঠাৎ প্যারালাইসিস, মারাত্মক খিঁচুনী এমনকি মৃত্যও মেডিকেল সায়েন্স দিয়ে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব । সব মেডিকেল রিপোর্ট নরমাল আসার পরও , কোনো নির্দিষ্ট ডায়াগনোসিসে পৌঁছাতে না পারা , রোগীর রোগের কোনো মেডিকেল ক্লু না পাওয়া , রোগীর হিস্ট্রিতে এমন কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনার উপস্হিতি আমাকে ২০১৭ সালে বাধ্য করে এই বিষয়ে স্টাডি করার।
আমি পড়াশুনা শুরু করি এবং একটা নির্দিষ্ট স্তরে গিয়ে আমি বুঝতে পারি আর বেশি স্টাডি করা ইসলামে নিষিদ্ধ এবং আমি এই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ জগতের মাত্র এক চিমটি বালু পরিমান জ্ঞান আহরণ করেছি।
ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালা যাদুর কাউন্টার হিসাবে কুরআন অনুযায়ী রূকাইয়াহ নিয়েও আমি পড়াশুনা করি। আমার তাবত মেডিকেল নলেজ , ডিগ্রী যখন সারেন্ডার করে অতিপ্রাকৃত কিছু ঘটনার কাছে বা সূত্রের কাছে ,
আমি অনেক ক্ষেত্রে রোগীর পরিবারকে চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি স্পিরিচুয়াল সাপোর্ট ( প্যালিয়েটিভ মেডিসিনের অংশ ) হিসাবে রূকাইয়াহ করার ব্যক্তিগত পরামর্শ দিয়েছি এবং বেশ কিছু রোগী সম্পূর্ণ সুস্হ্যতাও ফেরত পেয়েছেন ।
এই নোংরা এবং ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ চর্চা নিয়ে আমি সোশাল মিডিয়ায় বেশি আলোচনা করতে একদমই রাজী নই, তবু যেটুকু আলোচনা প্রয়োজন সেটুকু করছি।
নারীর মাসিকের সেনিটারী প্যাড বা সরঞ্জাম , চুল , কর্তিত নখ , দৈনিক ব্যবহৃত সরঞ্জাম ( পানির বোতল, ব্যাগ , বা নিত্য প্রয়োজনীয় যে কোনো কিছু ) , কাপড়ের সামান্য কর্তিত অংশ ( স্কুল ড্রেস, শাড়ি বা যে কোনো পোশাক) , ছবি , মাতার নাম ( চন্দ্রগ্রহন , সূর্যগ্রহন , জোয়ার ভাটা, উল্কাপাতের সময়ে রাত্রি দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রহর ) - এই ক্ষেত্রগুলোতে সহজেই কালা যাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক প্রয়োগ করা সম্ভব।
এই নিষিদ্ধ চর্চা হয় সবচেয়ে বেশি ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, উত্তরখন্ড, পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু স্হান আর এর স্বর্গ ধরা হয় কামরূপ কামাখ্যাকে।
আমি আজ সামান্য আলেচনা করলাম ,
বিস্তারিত লিখবো।
পরিত্রাণের একমাত্র পথ ইসলাম নির্দেশিত রূকাইয়াহ করা।
( চলবে ......, পর্ব ১)
আসিফ সৈকত