17/06/2025
এই পোস্টটা সবাই শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন।কাজে লাগবে আশাকরি।
🔴যেসব বাচ্চা সন্ধ্যার পর হাত-পায়ে ব্যাথা বলে অর্থাৎ Growing bone pain আছে তাদের Tab.Calbo JR (250mg) রাতে ১ টা করে ১ মাস খাওয়াবেন।
🟢 যেসব বাচ্চাদের দাঁত উঠতে দেরি হচ্ছে বা দাঁত এখনো ওঠে নাই Syp. D-Rise (2000 IU/5 ml(Cholecalciferol) ১ মিলি-১ বেলা -১ মাস খাওয়াবেন।
🔴 যেসব বাচ্চাদের রাতের বেলা নাক বন্ধ হয়ে যায় তাদের উঁচু বালিশে শোয়াবেন। এরপরও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে Norsol/solo Drop ১ ফোটা করে ২ নাকে দিয়ে দিবেন।
🟫 বাচ্চাদের Diaper Rash হলে কি করবেন?
✅প্রতিবার প্রস্রাব পায়খানা পর diaper change করতে হবে।
✅De-rash ointment -০৩ বেলা-- pampers পরানোর আগে লাগাবেন--০৭ দিন
❌Skin বেশি sensitive হলে pampers না পড়ানো ভালো।
🔴নবজাতক বাচ্চাদের ক্ষেএে বমি খুবই কমন একটা সমস্যা। নবজাতক শিশু বমি করলে কি ওষুধ দিবেন?
Omidon Pediatric Drop(5mg/ml)
৪-৫ ফোটা দিনে ৩ বার----৩-৫ দিন
🟫 বাচ্চাদের scabies হলে চিকিৎসা বাসায় কিভাবে চিকিৎসা শুরু করবেন?
✅আপনার বাচ্চার যদি scabies হয় তাহলে আপনি দিবেন Elimate plus lotion/Lorix cream
➡️ব্যবহারের নিয়ম কি?
✅রাতের বেলা ঘুমানোর আগে মুখ ও মাথা বাদে আপনার বাচ্চার সারা শরীরে এই লোশন লাগাবেন।
✅১২ ঘন্টা পর সকাল বেলা হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিবেন।
✅পরিবারের সকল সদস্য একসাথে একই নিয়মে বাব্যহার করবেন।
✅ব্যবহার্য সকল কাপড় চোপড় ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।লেপ তোষক রোদে দিবেন।
✅একই নিয়মে ৭ দিন পর এই লোশন ব্যবহার করবেন।
✅ডোজ কি?
১-৫ বছরের বাচ্চাদের জন্য : 1/4th tube (৪ ভাগের ১ ভাগ)
৬-১২ বছরের বাচ্চাদের জন্য : 1/2th tube (অর্ধেক)
১২ বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য : apply full tube (পুরোটা)
🟫 বাচ্চাদের পেটে ব্যাথা খুবই কমন একটা সমস্যা। চলেন বাচ্চাদের পেটে ব্যাথার সহজ একটা সমাধান দেই।
✅যদি আপনার বাচ্চার পেটে ব্যাথা থাকে তবে আপনি খাওয়াবেন-SYP. VISRAL/ALGIN
➡️বয়স অনুযায়ী সঠিক ডোজ কিভাবে দিবেন?
👉 ৬ মাস - ২ বছর: হাফ চামচ, দিনে ৩ বার (ভরা পেটে)
👉 ২ - ৬ বছর: ১ চামচ, দিনে ৩ বার (ভরা পেটে)
👉 ৬ - ১০ বছর: ১.৫ চামচ, দিনে ৩ বার (ভরা পেটে)
⏳ চিকিৎসার মেয়াদ: ৩-৫ দিন
আপনার বাচ্চার ডায়রিয়া হলে কী করবেন?
১. খাবারঃ
ORS, ডাবের পানি, খিচুড়ি, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, আলু ও কলা ভর্তা ভাত।
২. ORS /খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর নিয়মঃ
৬ মাসের আগে খাবার স্যালাইন দিবেন না।
< ২ বছর: প্রতিবার পায়খানার পর ১০-২০ চামচ।
> ২ বছর: প্রতিবার পায়খানার পর ২০-৪০ চামচ।
৩. Syp. Zinc/Xinc/Nid:
< ৬ মাস: হাফ চামচ দিনে ২ বার (১৪ দিন)।
> ৬ মাস: ১ চামচ দিনে ২ বার (১৪ দিন)।
৪. Probiotics/Enterogermina Sachet:
১ প্যাকেট পানি বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে ১ বার (৫ দিন)।
🟫বাচ্চাদের কাশি হলে কি করবেন?
☘️আপনার বাচ্চার যদি শুস্ক কাশি থাকে তবে Butamirate Citrate গ্রুপের ওষুধ দিবেন যা বাজারে Syrup Bukof/Mirakof নামে পাওয়া যায়।
🌸ডোজ কিভাবে দিবেন?
আপনি হিসাব করবেন প্রতি ১০ কেজিতে হাফ চামুচ বা ২.৫ মিলি করে ০৩ বেলা--০৫/০৭ দিন
↪️অর্থাৎ আপনার বাচ্চার ওজন যদি ২০ কেজি হয় তবে ১ চামুচ বা ০৫ মিলি করে ০৩ বেলা-০৫/০৭ দিন
এখন বলেনতো ১৫ কেজি ওজন হলে কতটুকু দিবেন?
এভাবে হিসাব করে দিবেন।
🌿আর যদি কফযুক্ত কাশি থাকে তবে
SYRUP. BRODIL LEVO (1 mg/5 ml):
১-৩ বছর: ২.৫ মিলি, ৩ বার (৭ দিন)।
🟫বাচ্চাদের সাধারণ সর্দি, এলার্জি বা হাঁচির ক্ষেত্রে কি করতে হবে?
Cetrizine গ্রুপের ওষুধ দিতে হবে। বাজারে এটি Alatrol Pediatric Drop নামে পাওয়া যায়।
👉 ডোজ কিভাবে দিবেন চলেন শিখায়।
আপনি হিসাব করবেন প্রতি কেজি ওজনে ৩ ফোটা।
ধরেন আপনার বাচ্চার ওজন ৫ কেজি, তবে তাকে ১৫ ফোটা বা ১ মিলি করে ১ বার দিবেন।
যদি আপনার বাচ্চার ওজন ১০ কেজি হয়, তবে তাকে ৩০ ফোটা বা ২ মিলি করে ১ বার দিবেন।
তাহলে বলেনতো ২.৫ কেজি হলে কতটুকু দিবেন?
এভাবে হিসাব করে দিবেন।
আরেকটা বিষয় বলি আপনাদের যেসব বাচ্চাদের রাতের বেলা বারবার ঘুম ভেঙে যায়-তাদেরকে উচু বালিশে শোয়াবেন এবং ঘুমানোর আগে Solo Nasal Drop ১ ফোটা করে ২ নাকে দিয়ে দিবেন। এতেও উঠে গেলে তখন
SOLO NASAL SPRAY
১ চাপ-২ নাকে দিবেন। কারণ ড্রপ থেকে স্প্রে ভাল কাজ করে।
🟫বাচ্চাদের ক্রিমির ওষুধ দেবার নিয়ম কি?
❌১ বছর বয়সের আগে বাচ্চাকে ক্রিমির ওষুধ খাওয়ানো যায় না।
✅৩ মাস পরপর বাচ্চাদের ক্রিমির ওষুধ দিতে হবে।
🔹 ১৩ মাস থেকে ২ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য:
বাচ্চাকে যখন প্রথম ক্রিমির ওষুধ দিবেন তখন শুরু করবেন Syp Delentin/Melphin দিয়ে।
ডোজ-
১ চামচ ১ বার, ৭ দিন পর আবার ১ চামচ।
🔹 ২৫ মাস বা তার বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য:
Syp. Solas: ১ চামচ সকালে এবং রাতে, এভাবে ৩ দিন।
অথবা
Syp. Almex: ২ চামচ ১ বার, ৭ দিন পর আবার ২ চামচ।
🟫আজ আপনাদের খুব সহজ করে শেখাবো বাচ্চার জ্বর হলে কিভাবে Paracetamol Syrup দিবেন?
আমরা হিসাব করবো প্রতি ৮ কেজি ওজনে ১ চামুচ বা ০৫ মিলি।
আপনার বাচ্চার ওজন যদি ৮ কেজি হয় তবে ১ চামুচ দিবেন। যদি ১৬ কেজি হয় তবে ২ চামুচ বা ১০ মিলি দিবেন।
কিন্তু যদি ১২ কেজি হয় তবে কতটুকু দিবেন?--৮ কেজিতে ১ চামুচ তাহলে ১২ কেজিতে দেড় চামুচ বা ৭.৫ মিলি।
এখন কথা হচ্ছে যদি ৭ কেজি হয় বা ৯ কেজি হয় বা ১১ কেজি হয় তাহলে কি করবেন?-আপনি মনে রাখবেন ৮ কেজিতে ০৫ মিলি। তাহলে ৭ কেজি হলে ৫ মিলির কিছুটা কম, ৯ কেজি হলে ৫ মিলির কিছুটা বেশি, ১১ কেজি হলে ৭.৫ মিলির কিছুটা কম। এভাবে হিসাব করে দিবেন
এখন তাহলে বলেনতো ৪ কেজি হলে কতটুকু দিবেন?
🟫 এখন আপনাদের কমন একটা ওষুধ Afrin Nasal Drop সম্পর্কে বলবো।
শিশুর ঠান্ডা বা অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হলে, Afrin Nasal Drop দ্রুত কার্যকরী হতে পারে। তবে, এটি ব্যবহারের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা দরকার!
🔹 জেনেরিক নাম:
এর সক্রিয় উপাদান Oxymetazoline Hydrochloride, যা নাকের রক্তনালী সংকুচিত করে দ্রুত নাক বন্ধভাব দূর করে।
🔹 কাজ কী?
✅ নাকের ভেতরের ফোলা টিস্যু কমায়
✅ দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করে
✅ আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করে
ডোজ:
১ ফোটা-২ নাকের ছিদ্রে-৩ বেলা
⚠ সতর্কতা:
✔ ৩ দিনের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো, নাহলে অভ্যাস হয়ে যেতে পারে
বাচ্চাদের কফযুক্ত কাশির জন্য প্রাকৃতিক সমাধান! 🌿✨
অনেকে আছেন, যারা বাচ্চাদের কফযুক্ত কাশিতে নেবুলাইজার ব্যবহার করতে চান না। তাদের জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে, যা কফ পাতলা করে বের হতে সাহায্য করতে পারে—
✅ গরম ভাপ (Steam Therapy):
একটি গামলায় গরম পানি রেখে বাচ্চাকে তার বাষ্প শ্বাস নিতে দিন (সরাসরি নয়, নিরাপদ দূরত্বে)। বাথরুমে গরম পানির শাওয়ার ছেড়ে দিয়েও এই কাজ করা যায়।
✅ মধু ও গরম পানি:
১ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এক চা-চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এটি গলায় শ্লেষ্মা কমাতে সহায়ক।
✅ গরম তরল পানীয়:
গরম স্যুপ, আদা-লেবুর চা (যদি বয়স উপযুক্ত হয়) বা উষ্ণ পানি কফ পাতলা করে ও বের হতে সাহায্য করে।
✅ হিউমিডিফায়ার বা ঘরের আদ্রতা বজায় রাখা:
শুষ্ক বাতাস কফকে আরও ঘন করে তোলে, তাই রুমে হালকা আর্দ্রতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
✅ পিঠে হালকা চাপ (Chest Percussion):
বাচ্চার পিঠে আলতোভাবে থাপড়ে দিলে কফ বের হতে সাহায্য করে।
❗ কখন ডাক্তার দেখাবেন?
যদি কফ খুব বেশি ঘন হয় ও বের না হয়
যদি শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়
যদি জ্বর, কাশি ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয়
প্রাকৃতিক উপায়ে স্বস্তি পেলেও, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি! ❤️
⭕বাচ্চাদের কফ দূর করতে টমেটো ও রসুনের স্বাস্থ্যকর স্যুপের রেসিপি। আমি যেভাবে আমার পেশেন্টদের বলি সেভাবেই লিখছি। আশাকরি এটা ফলো করলে উপকার পাবেন।
✨ উপকরণ:
২টি পাকা টমেটো (কাটা)
২ কোয়া রসুন (কুঁচি)
১ চা চামচ অলিভ অয়েল/ঘি
১ কাপ পানি
লবণ স্বাদ অনুযায়ী তবে পরিমাণে কম
🥄 প্রস্তুত প্রণালী:
১️⃣ প্যানে অলিভ অয়েল/ঘি দিয়ে রসুন হালকা ভেজে নিন।
২️⃣ টমেটো যোগ করে মাঝারি আঁচে নরম করুন।
3️⃣ পানি দিন ও ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
4️⃣ ভালোভাবে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন (বাচ্চারা যেন সহজে খেতে পারে)।
5️⃣ সামান্য লবণ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
এই স্যুপ বাচ্চাদের কফ দূর করতে সাহায্য করে।
বয়স অনুযায়ী ছেলে ও মেয়ে বাচ্চার আদর্শ ওজন (বাংলাদেশ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গড় অনুযায়ী) কত জানেন?
চলেন শেখায়➡️
ছেলে বাচ্চার ওজন:
১. জন্মের সময়: ৩.৩ কেজি
২. ১ মাস: ৪.৫ কেজি
৩. ২ মাস: ৫.৬ কেজি
৪. ৩ মাস: ৬.৪ কেজি
৫. ৪ মাস: ৭.০ কেজি
৬. ৫ মাস: ৭.৫ কেজি
৭. ৬ মাস: ৭.৯ কেজি
৮. ৭ মাস: ৮.৩ কেজি
৯. ৯ মাস: ৮.৯ কেজি
১০. ১ বছর: ৯.৬ কেজি
১১. ১.৫ বছর: ১১.০ কেজি
১২. ২ বছর: ১২.২ কেজি
১৩. ৩ বছর: ১৪.০ কেজি
১৪. ৪ বছর: ১৫.৫ কেজি
১৫. ৫ বছর: ১৭.৪ কেজি
১৬. ৬ বছর: ১৯.০ কেজি
১৭. ৭ বছর: ২১.০ কেজি
১৮. ৮ বছর: ২৩.০ কেজি
১৯. ৯ বছর: ২৫.৫ কেজি
২০. ১০ বছর: ২৮.০ কেজি
মেয়ে বাচ্চার ওজন:
১. জন্মের সময়: ৩.২ কেজি
২. ১ মাস: ৪.২ কেজি
৩. ২ মাস: ৫.১ কেজি
৪. ৩ মাস: ৫.৮ কেজি
৫. ৪ মাস: ৬.৪ কেজি
৬. ৫ মাস: ৬.৯ কেজি
৭. ৬ মাস: ৭.৩ কেজি
৮. ৭ মাস: ৭.৭ কেজি
৯. ৯ মাস: ৮.৪ কেজি
১০. ১ বছর: ৯.২ কেজি
১১. ১.৫ বছর: ১০.৮ কেজি
১২. ২ বছর: ১২.০ কেজি
১৩. ৩ বছর: ১৩.৯ কেজি
১৪. ৪ বছর: ১৫.২ কেজি
১৫. ৫ বছর: ১৬.৮ কেজি
১৬. ৬ বছর: ১৮.৪ কেজি
১৭. ৭ বছর: ২০.৫ কেজি
১৮. ৮ বছর: ২২.৪ কেজি
১৯. ৯ বছর: ২৪.৭ কেজি
২০. ১০ বছর: ২৭.০ কেজি
আপনার শিশুর হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা খাবার হজমে অসুবিধা হলে Ezylife Syrup হতে পারে একটি কার্যকর সমাধান। এটি মূলত হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ব্যবহৃত হয়।
Ezylife Syrup এর কাজ:
✔ হজম শক্তি বাড়ায়
✔ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
✔ অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে
শিশুদের জন্য বয়স অনুযায়ী ডোজ:
🔹 ১- ২ বছর: ২.৫ মিলি-১ বেলা
🔹 ২ - ৫ বছর: ০৫ মিলি-০১ বেলা
🔹 ৫ - ১২ বছর: ০৫ মিলি-০২ বেলা
🔹 ১২ বছর ও তার বেশি: ০৫ মিলি-০৩ বেলা
🩺 বাচ্চাদের দাঁদ রোগ: কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা।
বাচ্চাদের ত্বকে দাঁদ (Ringworm) হওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। এটি মূলত এক ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, যা সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।
🔍 লক্ষণসমূহ:
✅ গোলাকার লালচে দাগ, মাঝখান ফ্যাকাশে
✅ চুলকানি ও খোসা উঠতে থাকা
✅ সংক্রমিত স্থান ধীরে ধীরে বড় হতে থাকা
⚠ কারণ:
🔹 অপরিচ্ছন্নতা ও ঘাম জমে থাকা
🔹 সংক্রমিত ব্যক্তি বা পশুর সংস্পর্শে আসা
🔹 ভাগ করে ব্যবহৃত পোশাক, তোয়ালে বা চিরুনী
💊 চিকিৎসা ও প্রতিকার:
✔ Fungidal নামক ছত্রাকনাশক মলম ব্যবহার করুন আক্রান্ত জায়গায়।
✔ সংক্রমিত স্থানে খোঁচাখুঁচি করা এড়িয়ে চলুন
✔ শিশুর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন
✔ সংক্রমিত কাপড়-চোপড় গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকান
📌 পরামর্শ:
দাঁদ দীর্ঘস্থায়ী হলে বা চিকিৎসায় ভালো না হলে অবশ্যই শিশুর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন, শিশুকে সুস্থ রাখুন!
আপনার শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে কিনা বুঝবেন কিভাবে? 🤔
নিউমোনিয়া শিশুর ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, যা মারাত্মক হতে পারে। তাই প্রাথমিক লক্ষণ চিনে রাখা জরুরি!
শিশুর নিউমোনিয়ার লক্ষণ:
⚠️ প্রাথমিক লক্ষণ:
🔹 সাধারণ সর্দি-কাশির মতো শুরু হতে পারে
🔹 হালকা থেকে মাঝারি জ্বর
🔹 ক্ষুধামন্দা ও দুর্বলতা
⚠️ গুরুতর লক্ষণ:
🚨 দ্রুত শ্বাস নেওয়া (২ মাসের কম বয়সে >৬০ বার/মিনিট, ২-১২ মাসে >৫০ বার/মিনিট, ১-৫ বছরে >৪০ বার/মিনিট)
🚨 শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া (বুক দেবে যাওয়া)
🚨 ঠোঁট বা নখ নীলচে হয়ে যাওয়া
🚨 বারবার বমি বা খাওয়ায় অনীহা
🚨 শিশু খুব বেশি দুর্বল বা অসংলগ্ন হয়ে পড়া
⏩ কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
➡️ যদি উপরের গুরুতর লক্ষণগুলোর এক বা একাধিক লক্ষণ থাকে।
➡️ বাচ্চা যদি নিস্তেজ হয়ে যায় বা খাওয়ায় আগ্রহ না দেখায়।
➡️ জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়।
নিউমোনিয়া এড়াতে শিশুকে নিয়মিত টিকা দিন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখুন! ❤️