Nuclear Health Care Center

Nuclear Health Care Center "Doctor can treat you but only Allah can heal you"

 #ব্রেন_স্ট্রোক ও তার প্রতিকার  ❓১. ব্রেন স্ট্রোক কী?ব্রেন স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার কারণে কোষের ...
27/03/2025

#ব্রেন_স্ট্রোক ও তার প্রতিকার

❓১. ব্রেন স্ট্রোক কী?
ব্রেন স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার কারণে কোষের মৃত্যু। এটি দুই প্রকার:
- ইস্কেমিক স্ট্রোক (৮৫% ক্ষেত্রে): রক্তনালিতে ব্লকেজ (রক্তজমাট বা কোলেস্টেরল প্লাক)।
- হেমোরেজিক স্ট্রোক: রক্তনালি ফেটে রক্তক্ষরণ (উচ্চ রক্তচাপ বা অ্যানিউরিজমের কারণে)।

📌২. লক্ষণসমূহ (FAST মেমোনিক):
- Face (মুখ বেঁকে যাওয়া),
- Arm (হাত দুর্বল বা অবশ),
- Speech (অস্পষ্ট কথা),
- Time (দ্রুত হাসপাতালে যান)।
অন্যান্য লক্ষণ: হঠাৎ মাথাব্যথা, দৃষ্টিশক্তি হারানো, ভারসাম্য হারানো, বিভ্রান্তি।

⚠️৩. ঝুঁকির কারণ:
- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, স্থূলতা, হৃদরোগ (অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন), পারিবারিক ইতিহাস।
- ট্রান্সিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (TIA): অস্থায়ী লক্ষণ; ভবিষ্যতে স্ট্রোকের পূর্বসংকেত।

🔊৪. জরুরি ব্যবস্থা:
- লক্ষণ দেখা মাত্র #অবিলম্বে_হাসপাতালে_যান (প্রতিটি মিনিট গুরুত্বপূর্ণ)।
- সিটি/এমআরআই স্ক্যান করে স্ট্রোকের ধরন শনাক্ত করা হয়।

🩺💊৫. চিকিৎসা:
👉ইস্কেমিক স্ট্রোক:
- tPA (ক্লট-বাস্টার): লক্ষণ শুরুর ৪.৫ ঘন্টার মধ্যে।
- মেকানিক্যাল থ্রম্বেক্টমি: বড় রক্তজমাট অপসারণ (৬-২৪ ঘন্টার মধ্যে)।
👉হেমোরেজিক স্ট্রোক:
- রক্তচাপ কন্ট্রোল, অস্ত্রোপচার (অ্যানিউরিজম ক্লিপিং), বা এন্ডোভাসকুলার প্রক্রিয়া।

🫵👊৬. প্রতিরোধ:
- জীবনযাত্রা পরিবর্তন: ধূমপান ত্যাগ, ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্য (ফল, শাকসবজি, কম লবণ), অ্যালকোহল পরিহার করুন।
- ঔষধ: উচ্চ রক্তচাপ/ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট (হৃদরোগ থাকলে), অ্যাসপিরিন।
- নিয়মিত চেকআপ: কোলেস্টেরল ও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য মনিটরিং।

🌄৭. পুনর্বাসন:
- শারীরিক থেরাপি: চলনশক্তি ফিরে পেতে।
- অকুপেশনাল থেরাপি: দৈনন্দিন কাজের দক্ষতা।
- স্পিচ থেরাপি: কথা ও গিলতে সাহায্য।
- মানসিক স্বাস্থ্য: ডিপ্রেশন বা উদ্বেগ মোকাবিলা।

🔥৮. গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- স্ট্রোক বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও পক্ষাঘাতের প্রধান কারণ।
- দ্রুত চিকিৎসা #প্রাণ বাঁচাতে ও জটিলতা কমায়।
- ৩০% স্ট্রোকের রোগীর পুনরাবৃত্তি হয়; প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি।
Dr Mahfuz Ali Mamun

সূত্র: WHO ও ন্যাশনাল স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন।
দ্রুত সাড়া দেওয়াই স্ট্রোক মোকাবিলার চাবিকাঠি! ⏱️🏥

🔴হার্ট অ্যাটাক কী?হার্ট অ্যাটাক (Myocardial Infarction) হলো হৃদপিণ্ডের পেশিতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে টিস্যু...
25/03/2025

🔴হার্ট অ্যাটাক কী?
হার্ট অ্যাটাক (Myocardial Infarction) হলো হৃদপিণ্ডের পেশিতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে টিস্যুর ক্ষতি বা মৃত্যু ঘটলে। এটি সাধারণত করোনারি ধমনীতে চর্বি (প্লাক), রক্ত জমাট বাঁধা, বা ধমনী সংকুচিত হওয়ার কারণে ঘটে। এর ফলে হৃদপিণ্ডের একটি অংশ অক্সিজেন ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়, যা জীবনহানির কারণ হতে পারে।

🔴হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ:
১. বুকের মাঝখানে তীব্র চাপ, ব্যথা বা অস্বস্তি (যা কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়)।
২. ব্যথা বাম হাত, ঘাড়, চোয়াল, পিঠ বা পেটে ছড়িয়ে পড়া।
৩. শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব বা বমি, ঠান্ডা ঘাম, মাথা ঘোরা।
৪. মহিলাদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলি কম স্পষ্ট হতে পারে (যেমন: পেটে ব্যথা, ক্লান্তি)।

🟢প্রতিকার ও চিকিৎসা:

তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ:
১. জরুরি সাহায্য নিন: লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স কল করুন (ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি নম্বর বা স্থানীয় হাসপাতালে যোগাযোগ)।
২. অ্যাসপিরিন:চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ৩০০ মিলিগ্রাম অ্যাসপিরিন চিবিয়ে খেতে পারেন (রক্ত জমাট বাঁধা কমাতে)।
৩. বিশ্রাম নিন:শান্ত হয়ে বসুন বা শুয়ে পড়ুন, কোনো শারীরিক পরিশ্রম করবেন না।
✅চিকিৎসা পদ্ধতি:
- অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট: বন্ধ ধমনী খুলতে ব্যালুন বা জালিকা (স্টেন্ট) ব্যবহার।
- থ্রম্বোলাইটিক ওষুধ: রক্ত জমাট দ্রবীভূত করার ইনজেকশন।
- বাইপাস সার্জারি: রক্তনালী বাইপাস করার অপারেশন (গুরুতর ক্ষেত্রে)।

💊ওষুধ: (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)
- রক্ত পাতলা করণে: অ্যাসপিরিন, ক্লোপিডোগ্রেল।
- কোলেস্টেরল কমানো: স্ট্যাটিন।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: বিটা-ব্লকার, ACE inhibitors।

📌প্রতিরোধের উপায়:
১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: কম চর্বি, কম লবণ, তাজা শাকসবজি, ফল ও আঁশযুক্ত খাবার খান।
২. নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম (হাঁটা, সাইকেল চালানো)।
৩. ধূমপান ত্যাগ: ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে।
৪. ওজন ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: BMI ১৮.৫-২৪.৯ এর মধ্যে রাখুন।
৫. মানসিক চাপ কমাতে:যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা কাউন্সেলিং নিন।
৬. নিয়মিত চেকআপ: রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও সুগার লেভেল পরীক্ষা করুন।

🔔মনে রাখবেন: হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে **সময় নষ্ট করবেন না**। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে ক্ষতি কম হয়। প্রতিরোধই সর্বোত্তম চিকিৎসা!

🔔
✅অর্থাৎ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম,
Dr. Mahfuz Ali (Mamun)

(তথ্যসূত্র: American Heart Association, WHO)

⁉️ CPR  (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) প্রয়োজনে যে পরিস্থিতিগুলোতে প্রয়োজন হয় তা নিম্নরূপ:♻️ ১. হৃদযন্ত্র ও শ্বাস-প্রশ...
25/03/2025

⁉️ CPR (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) প্রয়োজনে যে পরিস্থিতিগুলোতে প্রয়োজন হয় তা নিম্নরূপ:

♻️ ১. হৃদযন্ত্র ও শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে:
- ব্যক্তি **অসাড়** (কোনো প্রতিক্রিয়া নেই) এবং **স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নেই** (বা শুধুমাত্র হাঁপানি শ্বাস)।
- পালস অনুভব করা যায় না (বিশেষ করে ক্যারোটিড ধমনীতে) বা পালস চেক করতে অসুবিধা হলে।

♻️ ২. নির্দিষ্ট জরুরি পরিস্থিতি:
- **হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট** (যেমন হার্ট অ্যাটাক, অ্যারিদমিয়া)।
- **ডুবে যাওয়া**: জল ফুসফুসে ঢুকে শ্বাস বন্ধ হলে।
- **শ্বাসনালী অবরোধ** (চোকিং): বস্তু শ্বাসনালীতে আটকে গেলে।
- **বিদ্যুৎস্পৃষ্ট** বা **গুরুতর পোড়া**।
- **মাদক overdose বা বিষক্রিয়া**: শ্বাস বা হৃদস্পন্দন বন্ধ হলে।
- **অ্যানাফিল্যাকটিক শক**: তীব্র অ্যালার্জিজনিত শ্বাসকষ্টে।
- **হাইপোথার্মিয়া**: অত্যন্ত ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে (এক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে CPR চালাতে হয়)।

♻️ ৩. শিশু ও নবজাতকের ক্ষেত্রে:
- শিশুরা প্রায়শ শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা (যেমন শ্বাসনালী অবরোধ, শ্বাস বন্ধ) থেকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে যায়। দ্রুত CPR শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ।

♻️ ৪. আঘাত বা ট্রমা:
- গুরুতর দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তি অসাড় ও শ্বাসহীন হলে (যদি মেরুদণ্ড বা ঘাড়ে আঘাতের আশঙ্কা থাকে, তবে CPR চালানো প্রাধান্য পাবে)।

---

📶CPR শুরু করার ধাপসমূহ:
১. **সচেতনতা পরীক্ষা:** কাঁধে টোকা দিয়ে জোরে জিজ্ঞাসা করুন, "আপনি ঠিক আছেন?"
২. **জরুরি সাহায্য ডাকুন:** আশেপাশে কাউকে ৯৯৯ বা স্থানীয় জরুরি নম্বরে কল করতে বলুন। যত দ্রুত সম্ভব তাকে হসপিটাল নেওয়ার জন্য।
৩. **শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা:** ১০ সেকেন্ডের মধ্যে শ্বাস না থাকলে বা অস্বাভাবিক শ্বাস (গ্যাস্পিং) থাকলে CPR শুরু করুন।
৪. **বুক চাপ দিন:** হার্টের ওপর দুই হাত রেখে প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার চাপ দিন (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)।
৫. **প্রাণরক্ষাকারী শ্বাস (যদি প্রশিক্ষিত থাকেন):** ৩০টি চাপের পর ২টি শ্বাস দিন।

⚠️ গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
- **হাত-only CPR:** প্রশিক্ষণ না থাকলে শুধু বুক চাপ দিন (Hands-Only CPR)।

⛔ সতর্কতা: যদি ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও পালস স্বাভাবিক থাকে, CPR চপড়র দরকার নেই। CPR শুধুমাত্র লাইফ-সাপোর্টিং টেকনিক এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তার জন্য।

21/09/2023
 #ডেঙ্গু_সতর্কতা-মনে করুন আপনার জ্বর হলো। এখন কি করবেন?* এটা নর্মাল, সিজনাল, এই কথা চিন্তা করা বন্ধ।* দেখি ১-২দিন, দেখাদ...
03/08/2023

#ডেঙ্গু_সতর্কতা-
মনে করুন আপনার জ্বর হলো। এখন কি করবেন?
* এটা নর্মাল, সিজনাল, এই কথা চিন্তা করা বন্ধ।
* দেখি ১-২দিন, দেখাদেখি বন্ধ।
* আমার তো সর্দি কাশি আছে,তাহলে এটা ডেঙ্গু না, ভাবা বন্ধ করুন।
কারন?
ডেঙ্গু জ্বরের প্যাটার্ন পাল্টেছে। একসময় চিকিৎসকরা সর্দি কাশি থাকলে আর ডেঙ্গু ভাবতো না। এখন আর সেটা নেই। গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে একটা আউটব্রেকের সময় যে কোন ফিভারেই শুরুতেই ভাবতে হবে আমি আউটব্রেকের কবলে পড়েছি। এটাই হচ্ছে নির্দেশিত। একটা সময় র‍্যাশ হতো, এখন র‍্যাশ দেখাই যায়না খুব একটা। এবছর জ্বরের তীব্রতাতেও পরিবর্তন এসেছে, অনেকেরি ১০০-১০১ এ ডেঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড শরীর ব্যথার কারণে এটাকে ব্রেক বোন ফিভার বলতো আগে, এবছর সেই প্যাটার্নেও পরিবর্তন এসেছে, আগে ৫-৬দিনের দিন রোগীর কন্ডিশন খারাপ হতো, এখন ৩দিনের মাথাতেই ইভেন জ্বরের ১-২দিনেও কেউ কেউ ক্রিটিকাল কন্ডিশনে চলে যাচ্ছে।
ডেঙ্গুর ক্লাসিক্যাল সিম্পটম:
তীব্র জ্বর, প্রচন্ড শরীর ব্যথা, বিশে করে কোমর ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, মাথা ব্যথা। তবে বর্তমান ডেঙ্গুতে এমনটা নাও থাকতে পারে।
করণীয় -১:
প্রথম দিনেই হসপিটাল গিয়ে তিনটি টেস্ট করে ফেলা।
১)CBC
2)Dengue NS1
3) SGOT
করার পর কি করবেন? কারণ NS1 positive means আপনার ডেঙ্গু নিশ্চিত। কিন্তু ধরুন কোন কারণে আপনার রিপোর্ট সব নর্মাল আসলো। প্রথম দিনে এটা হতেই পারে। তবে সব নর্মাল আসার সম্ভাবনা কম।
প্রথমেই CBC report এর HCT/PCV নামে একটা টার্ম আছে, হেমাটোক্রিট বা প্যাকড সেল ভলিউম, এটা কত পার্সেন্ট আছে মার্ক করে ফেলবেন বা লিখে ফেলবেন। কারণ এটাই আপনাকে পরবর্তীতে অনেক কিছু গাইড করবে। ধরুন আপনার আসলো ৩৬%, আপনার হিমোগ্লোবিন ১২%, তাহলে নর্মাল এবং প্রথম দিন এটা নর্মাল আসবে। আর নর্মাল রেঞ্জ আপনার কত সেটি জানা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের দেশে ডেমোগ্রাফিক্যালি হেমাটোক্রিট ক্লাসিফাই করা নেই। তাই নিজের বেজ লাইন জেনে রাখবেন। হেমাটোক্রিট আপনার হিমোগ্লোবিনের ৩গুন সাধারণ অবস্থায়।
যদি দেখেন আপনার SGOT সাধারণ মাত্রার চাইতে ১-২গুন বেশি, তাহলে ওকে, এটাকে সাধারণ অবস্থা ভেবে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু যদি SGOT ৪-৫গুন হয়ে যায়, তবে এই রোগী সামনের দিকে খারাপ হওয়ার চান্স অনেক বেশি। তাই সতর্ক হয়ে যেতে হবে আগেই।
করণীয়-২:
প্রথম দিনেই ডাক্তার দেখাবেন। প্যারাসিটামল ছাড়া কোন ব্যথার মেডিসিন খেয়েছেন তো বিপদ আছে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ শুনবেন ও মেনে চলবেন।
করণীয়-৩:
প্রতিদিন CBC টেস্ট করতেই হবে মাস্ট। সিবিসি করে কি চেক করবেন? Platelet? না। HCT বা হেমাটোক্রিট। বিলিভ মি, যত প্যাশেন্ট মারা যাচ্ছেন, সব ডেঙ্গু শক সিন্ড্রমে, কেউ প্লাটিলেট বা ব্লিডিং হয়ে মারা যাচ্ছেন না। হেমোরেজিক ডেঙ্গুর চাইতে এখন আমাদের দেশে ডেঙ্গু শক হচ্ছে বেশি। আর এই হেমাটোক্রিট আপনাকে ইন্ডিকেশন দিবে এই শক সম্পর্কে। CBC থেকে আপনি কিভাবে কি বুঝবেন এবং দ্রুত হসপিটাল যাবেন?
যদি দেখেন আপনা HCT/PCV প্রথম দিনের নর্মাল রেঞ্জের চাউতে অনেক বেড়ে গেছে, ধরুন ছিলো ৩৫%, এখন ৪০%-৪৫%, তাহলে আপনার প্লাজমা লিকেজ হচ্ছে, শক।
যদি দেখেন হিমোগ্লোবিন এবং HCT দুটোই প্রথম দিনের চাইতে অনেক কমে গেছে, তবে আপনার শরীরে কোথাও ব্লিডিং হচ্ছে, সাথে কালো পায়খানা, লাল প্রশ্রাব, দাঁতের মাড়ি থেকে, নাক থেকে রক্ত পড়ছে। দ্রুত হসপিটাল ভর্তি হবেন। এক মুহুর্ত দেরি করা যাবেনা।
আর কী কী বুঝা যাবে CBC থেকে? যদি আপনার WBC count বা হোয়াইট ব্লাড কাউন্ট ৫হাজারের নিচে নেমে যায়, লিউকোপিনিয়া, এবং মনে রাখবেন, WBC count না কমার আগে আপনার প্লাটিলেট কমবে না। WBC count কমার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার Platelet count কমতে শুরু করবে। Platelet count যখন ১লাখের নিচে নেমে যাবে, তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার প্লাজমা লিকেইজ শুরু হবে, এবং আপনি শকের দিকে ধাবিত হবেন। তাহলে CBC কতটা গুরুত্বপূর্ণ আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। মনে রাখবেন, প্রতিদিন CBC করতে হবে। প্লাটিলেট কমে গেলে মরবেন না, তাই প্লাটিলেট নিয়ে হাহুতাশ করবেন না। প্লাটিলেট ২০হাজারের নিচে না নামলে অন্য কোন প্রব্লেম না থাকলে ব্লিডিং হয়না, কারোর ১০হাজারেও কিছু হয়না। এটা আমাদের দেশে একটা অকারণ আতঙ্ক। পেপে পাতাও খাওয়া লাগবেনা, প্লাটিলেট যখন বাড়বে, একদিনেই কয়েক লাখ বেড়ে যাবে।
ক্রিটিকাল ফেইজ:
--------------------------
মনে রাখবেন, জ্বর থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু রোগী মারা যায়না, বরং বিপদ শুরু হয় মূলত জ্বর কমার পর এবং সাধারণত আগে ৫-৬দিনের মাথায় ক্রিটিকাল ফেইজ শুরু হতো, কিন্তু এখন ৩দিনের শুরুতেই রোগীরা শকে চলে যাচ্ছে। ইভেন অনেকে জ্বর থাকা অবস্থাতেই ক্রিটিকাল হয়ে যাচ্ছে। তাই ফিভার কমে গেলে আরও সতর্ক হতে হবে। এই ফেজে আপনার প্লাটিলেট দ্রুত কমে যাবে। কিন্তু আগেই বলেছি, আপনাকে দেখতে হবে হেমাটোক্রিট।
এই ফেজে আর কী কী করলে বুঝতে পারবেন আপনার রোগী খারাপ হচ্ছে কিনা?
#ব্লাড_প্রেশার মাপবেন। দিনে ৪-৫বার মিনিমাম। বরং প্রথম দিন থেকেই মাপবেন।
এক্ষেত্রে ধরেন অনেকেরি আগে থেকে বিশেষ করে মেয়েদের ব্লাড প্রেশার লো থাকে, সো মাপার সময় আগে কত থাকতো জেনে নিবেন। বাসায় একটা ব্লাড প্রেশার মেশিন রাখবেন, ডিজিটাল মেশিন হলে পর পর দুইবার মাপবেন, আর ম্যানুয়াল হলে একবার মাপবেন।
এতে কি বুঝা যাবে? যদি ব্লাড প্রেশার সিস্টোলিক আইমিন উপরেরটা ১০০ এর নিচে নেমে যায় এবং ডায়স্টলিক মানে নিচেরটা ৬০ এর নিচে নেমে যায়, তবে এলার্ট হয়ে যান।
কিন্তু ধরেন উপরের প্রেশার ১০০-১১০ আর নিচেরটা ৯০। আপনি ভাবলেন নর্মাল। বা ৯০/৭০ বা ১২০/১০০। না, এটা নর্মাল না। দুটোর বিয়োগফল কত আসে? অনেক কাছাকাছি না? এটাকে বলে ন্যারো পালস প্রেশার এবং এই পালস প্রেশার যদি ২০ এর কম হয়, অর্থাৎ দুটোর পার্থক্য যদি ২০ এর কম হউ, ইউ আর ইন শক ওর আপনি শকে যাচ্ছেন।
দ্রুত হসপিটাল।
এই ক্রিটিকাল ফেজে আর কী কী বিষয় গুরুত্বপূর্ণ?
তীব্র পেটে ব্যথা হচ্ছে কিনা? এটা শকের লক্ষন।
লো প্রেশারের সাথে আপনার রোগীর হাত ও পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে কিনা, এটা শকের লক্ষন।
আপনার রোগী অস্থিরতা দেখাচ্ছে কিনা, একদম নেতিয়ে দূর্বল ফ্যাকাশে হয়ে গেলো কিনা, বিপদ চিহ্ন।
খুব ভালোকরে প্রশ্রাবের দিকে খেয়াল করবেন। কয়বার প্রশ্রাব করছে, কতটুকু প্রশ্রাব হচ্ছে প্রতিবার। যদি প্রশ্রাব কমে যায়, অল্প প্রশ্রাব হয়, হসপিটাল সোজা ভর্তি হয়ে যাবেন।
রোগীর কি শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? পেট ফুলে যাচ্ছে? হঠাৎ করে গা ঝাকুনি দিয়ে খিচুনি হচ্ছে? দ্রুত হসপিটাল নিয়ে যান।
আর কি করতে পারেন? হাতের আঙুলের নখে জোরে চাপ দিয়ে ধরুন কিছুক্ষণ, নখ সাদা হয়ে গেলে এবার ছাড়ুন, এবার ভালোভাবে খেয়াল করুন নখের রঙ ফিরে আসতে কত সময় লাগছে, যদি বেশি সময় লাগে, বেশি বলতে কত? ২ সেকেন্ডের বেশি লাগলে আপনার রোগী শকে আছে। এটাকে বলে ক্যাপিলারি রিফিল টাইম।
আর কি করতে পারেন?
ব্লাড প্রেশার মেশিন নিন, এবার হাতের কব্জি মাঝে রেখে যেভাবে ব্লাড প্রেশার মাপবেন সেভাবে বাতাস দিয়ে টাইট করুন, টাইট অবস্থায় ৪-৫মিনিট দিয়ে রাখুন, এবার বাতাস ছাড়ুন, এবং খেয়াল করুন বাহুতে লাল লাল কতগুলো দাগ পড়েছে ছোট ছোট, ছোট্ট একটা বক্স কল্পনা করে যদি মনে হয় অনেক বেশি লাল লাল স্পট, দ্রুত হসপিটাল চলে যান। এটাকে বলে টর্নিকেট টেস্ট। সব রিপোর্ট নর্মাল আসলেও যদি আপনার টর্নিকেট টেস্ট পজিটিভ আসে, নিশ্চিত থাকুন আপনার ডেঙ্গু। এটা একদম প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন করবেন।
বমি ও পাতলা পায়খানা:
-----------------------------------
দিনে ৩বারের বেশি বমি করলে, ৩বারের বেশি পাতলা পায়খানা হলে সোজা হসপিটাল চলে যাবেন। একমুহূর্ত দেরি করা যাবেনা।
বাসায় কি করবেন?
---------------------------
প্রচুর পরিমানে তরল খাওয়াবেন। ২-৩লিটার, ডাবের পানি, আধা লিটার পানিতে গোলানো স্যালাইনের পানি, স্যুপ,শরবত লবন চিনি দেয়া খাওয়াবেন। যতক্ষণ মুখে খেতে পারবে খাওয়াবেন, যখন আর পারবেনা, বমি হবে অনেক, পাতলা পায়খানা, হসপিটাল নিয়ে যাবেন।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক থাকবেন।
বেশিরভাগ রোগী মারা যায় শুরুতেই ডাক্তারের পরামর্শ না নেয়াতে, বিপদ চিহ্ন না জানাতে, বাসায় থেকে রোগী খারাপ করে ফেলে।
******ডায়বেটিস, হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক, কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, SLE প্যাশেন্ট হলে প্রথম দিনেই হসপিটাল ভর্তি করে দিবেন।
********আপনার বাড়ির কাছের হসপিটালে আগে যাবেন।
সব সরকারি হসপিটালের ম্যানেজমেন্ট ভালো, বারান্দায় শুয়ে থাকলেও, কারণ সরকারি হসপিটাল এবং মেডিকেল কলেজ গুলোতে ন্যাশনাল গাউড লাইন মেনে চিকিৎসা দেয়া হয়।
*******বাসায় পালস অক্সিমিটার থাকলে অক্সিজেন স্যাচুরেশন চেক করবেন।
********কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে হার্ট ইনভলভ হয়ে যাবে, দেরি করলে অর্গান ফেইলিউর হয়ে যায়। ভাইরাল মায়োকার্ডাইটিস কিংবা একিউট কিডনি ইঞ্জুরির রোগীর জন্য আইসিউ লাগবেই। এসব রোগী বাইরে ম্যানেজ করা যায়না। রোগী খারাপ দেখলে সকল প্রস্তুতি রাখুন। যে কোন ইসিজি চেঞ্জেস, বিশেষ করে ট্যাকিকার্ডিয়া, শ্বাস দ্রুত হওয়া মানে ট্যাকিপেনিয়া বিপদ চিহ্ন। খারাপ হওয়ার আশংকা বেশি। কারো কারো ক্ষেত্রে প্লুরাল ইফিউশন অর্থাৎ লাংসে পানি চলে আসতে পারে।
*******মনে রাখবেন, প্রতিদিন সিবিসি টেস্ট, ডাক্তারের পরামর্শ, হসপিটাল এডমিশনের প্রস্তুতি, প্রচুর তরল খাওয়ানো, ব্লাড প্রেশার মাপা, বিপদ চিহ্ন খেয়াল করা, দেরি না করে হসপিটাল নেয়া, জ্বর কমে গেলে আরও সতর্ক হওয়া, প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন মেডিসিন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়ানো।
*******ডেঙু এখন আর শুধু ঢাকাতে সীমাবদ্ধ না, সারা বাংলাদেশে ছড়িয়েছে।
*******দিনে রাতে যে কোন সময় ডেঙ্গু মশা কামড়ায়।
*******পরিষ্কার নোংরা সব পানিতেই ডেঙ্গু হচ্ছে।
*******Dengue NS1 test জ্বর শুরু হওয়ার ৩দিন পর করলে লাভ নেই। সেক্ষেত্রে CBC, SGOT, Dengue Antibody (IgG+IgM) করতে হবে।
*******যারা রক্ত তরল করার মেডিসিন খান, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেটি বন্ধ রাখবেন কিংবা খাবেন। কোন অবস্থাতেই নিজে নিজে বন্ধ বা খাওয়া যাবেনা।
সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহর কাছে বেশি বেশি সুরক্ষা চাইবেন। চারপাশ পরিষ্কার রাখবেন।
সতর্ক থাকবেন।
তথ্যসূত্র:
------------
Dengue National Guideline
CDC

⭕কিডনি ভালো রাখার উপায় :🕹নিয়মিত ব্যায়াম করুন।🕹ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন।🕹রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে রাখুন।🕹পরিম...
29/01/2023

⭕কিডনি ভালো রাখার উপায় :

🕹নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

🕹ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন।

🕹রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে রাখুন।

🕹পরিমিত আহার করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন।

🕹ধুমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন।

🕹অপ্রয়োজনীয় ওষুধ যেমন ব্যথানাশক ও এন্টিবায়োটিক সেবন বন্ধ করুন।

🕹নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করান।

🕹পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করুন।

🕹অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

🕹স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করুন।

Dear husband, Remember how beautiful, smooth and sculpted her body was at the beginning of your marriage She is still th...
23/01/2023

Dear husband,
Remember how beautiful, smooth and sculpted her body was at the beginning of your marriage
She is still the same beautiful woman with the same spirit that I have always loved
The difference is that she gave you children today and gave you life.
The price for that was the loss of her beauty and grace
Do not complain about your wife because of her fat increased and do not think that she likes it! But the mother's affection inside her makes her turn a blind eye to all of that and her only concern is her child and your happiness
Remember that this tummy was once the warm home
Who hugged your children for 9 months with all their pain, fatigue and weight, to seal them with the pain of childbirth.
A thousand mercy to our mothers 💚💚

 #স্কার্ভিঃ এমন একটি রোগ যা খাবারে ভিটামিন সি এর অভাবের কারণে বিকাশ লাভ করে। কোলাজেন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি (য...
09/09/2022

#স্কার্ভিঃ এমন একটি রোগ যা খাবারে ভিটামিন সি এর অভাবের কারণে বিকাশ লাভ করে। কোলাজেন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি (যা অ্যাসকরবিক অ্যাসিডও বলে) শরীরের জন্যও অত্যাবশ্যক। কোলাজেন হল এক ধরণের প্রোটিন যা বিভিন্ন ধরণের কলা বা টিস্যুতে, যেমন ত্বক, রক্তনালী, হাড় এবং কার্টিলেজে (যা অস্থিগ্রন্থির পৃষ্ঠকে আচ্ছাদন করে থাকে) পাওয়া যায়। ভিটামিন সি ছাড়া কোলাজেন প্রতিস্থাপন করা যায় না এবং বিভিন্ন ধরণের টিস্যু ভেঙে যায়।
🍊( ভিটামিন সি-এর দৈনিক চাহিদা পূর্ণবয়স্কদের ৪০ মিলিগ্রাম এবং স্তন্যদানকারীর ৮০ মিলিগ্রাম)

🔥🔥 #কারণঃ
খাবারে ভিটামিন সি এর অভাবজনিত কারণে স্কার্ভি রোগ হয়। এছাড়াও আরও কিছু কারণ রয়েছে, যেমন-
•💊অ্যালকোহল বা ড্রাগের উপর নির্ভরতা।
•😒তীব্র বিষাদ বা স্কিৎজোফ্রেনিয়ার মত জটিল মানসিক অবস্থা।
•⛔কেমোথেরাপির মত চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফলে খিদে কমে যাওয়া।
•⛔ক্রোহনের রোগ বা আলসারেটিভ কোলাইটিসের ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যা খাদ্য হজমের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, সেই কারণে পাকযন্ত্রের অভ্যন্তরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।

🔍🔍 #উপসর্গের মাধ্যমে স্কার্ভি রোগ নির্ণয় করা যায়: ✍এ রোগে শিশুদের দেখতে ফ্যাকাশে মনে হয়, নিস্তেজ ভাব দেখায়, কিছুই খেতে চায় না, শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। হাত-পা ফুলে গিয়ে তীব্র রূপে বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে, যা স্পর্শ করলেই তারা কাঁদতে শুরু করে।
✍বড়দের দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, রক্ত ঝরে। রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। দাঁতের সংক্রমণ হয়ে পুঁজ বের হয়। l

💪 #প্রতিরোধ : ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কমলালেবু🍊, পেঁপে🥑, স্ট্রবেরি🍓, পাতিলেবু 🍋খেতে হবে

08/09/2022

Address

Rajshahi
6280

Telephone

+8801819202028

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nuclear Health Care Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nuclear Health Care Center:

Share