Dr. Md Samim Hossain

Dr. Md Samim Hossain MBBS (SSMC),BCS (Health)
FCPS (P-2) Neurosurgery
MS (Resident) Neurosurgery
Dhaka Medical College & Hospital

28/08/2025

রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া (Anemia)
-------------------------------------

রক্তশূন্যতা হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় হিমোগ্লোবিন কমে যায়।

✅ রক্তশূন্যতার কারণ

1. রক্তের অভ্যন্তরে ঘাটতি

‌‌আয়রনের অভাব ( সবচেয়ে বেশি দেখা যায়)

ভিটামিন B12 বা ফলিক এসিডের অভাব

থ্যালাসেমিয়া

2. রক্তক্ষরণ

অতিরিক্ত মাসিক রক্তক্ষরণ

আলসার, পাইলস বা অন্য কোনো কারণে অন্ত্রের রক্তপাত

3. অস্থিমজ্জার রোগ

লিউকেমিয়া

---

✅ রক্তশূন্যতার লক্ষণ

সবসময় দুর্বল লাগা, ক্লান্তি

মাথা ঘোরা বা মাথা ব্যথা

শ্বাসকষ্ট (অল্প হাঁটলেই হাঁপিয়ে যাওয়া)

ফ্যাকাশে চেহারা, ঠোঁট বা নখ সাদা হয়ে যাওয়া

হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া

চুল পড়া, নখ ভঙ্গুর হওয়া

---

✅ করণীয়

1. কারণ নির্ণয় করতে হবে – রক্ত পরীক্ষা (CBC, Hb%, Peripheral smear, Ferritin ইত্যাদি) করে জানা যায়।

2. খাবারের মাধ্যমে আয়রন ও ভিটামিন বৃদ্ধি

3. ঔষধ

ডাক্তারের পরামর্শে আয়রন ট্যাবলেট, ফলিক এসিড, ভিটামিন B12 দেওয়া হয়।

4. গুরুতর অবস্থায়

রক্ত দেওয়া (Blood transfusion) লাগতে পারে।

5. আন্ডারলাইনড রোগের চিকিৎসা

__________________

টায়ফয়েড জ্বর (Typhoid fever)---------------------------------------------- টায়ফয়েড জ্বর একটি সংক্রামক রোগ।---কারণ (Cause...
17/08/2025

টায়ফয়েড জ্বর (Typhoid fever)
----------------------------------------------

টায়ফয়েড জ্বর একটি সংক্রামক রোগ।

---

কারণ (Cause)
----------

ব্যাকটেরিয়া: Salmonella typhi

দূষিত পানি ও খাবার খাওয়ার মাধ্যমে

---

উপসর্গ (Symptoms)
-------------

ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা জ্বর

মাথাব্যথা

দুর্বলতা ও অবসাদ

পেটব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া

খিদে না লাগা

জিহ্বা সাদা হয়ে যাওয়া

---

জটিলতা (Complications)
--------------

অন্ত্র ফেটে যাওয়া (intestinal perforation)

অন্ত্র থেকে রক্তপাত

মস্তিষ্কে সংক্রমণ (encephalopathy)

মৃত্যুঝুঁকি (চিকিৎসা না করলে)

---

রোগ নির্ণয় (Diagnosis)

Widal test

Blood culture (সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য)

CBC (শ্বেত রক্তকণিকা সাধারণত কম থাকে)

---

চিকিৎসা (Treatment):( চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী)


অ্যান্টিবায়োটিক: যেমন Ciprofloxacin, Ceftriaxone, Azithromycin

পর্যাপ্ত পানি ও স্যালাইন

বিশ্রাম

পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার

---

প্রতিরোধ (Prevention)
----------------

নিরাপদ পানি পান করা

খাবার ঢেকে রাখা ও ভালোভাবে রান্না করা

হাত ধোয়ার অভ্যাস

টায়ফয়েড ভ্যাকসিন গ্রহণ

চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) -------------------------------------------চিকুনগুনিয়া হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা  মশার মাধ্য...
12/08/2025

চিকুনগুনিয়া (Chikungunya)
-------------------------------------------

চিকুনগুনিয়া হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়।

**এদের কামড় সাধারণত দিনের বেলা বেশি হয়।

কারণ
----------

Chikungunya virus

প্রধান বাহক: Aedes aegypti ও Aedes albopictus মশা।

লক্ষণ
----------

হঠাৎ উচ্চ জ্বর (১০২–১০৪°F)

তীব্র জয়েন্ট ব্যথা – হাত, পা, কব্জি, গোড়ালি, হাঁটু ইত্যাদিতে বেশি

মাথাব্যথা

চোখ লাল হওয়া

গায়ে ফুসকুড়ি

দুর্বলতা ও ক্লান্তি

ডায়াগনসিস
------------------

RT-PCR → ভাইরাস শনাক্তকরণ

IgM antibody ELISA

CBC

চিকিৎসা ( চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী)
-------------

🔹 নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল নেই
🔹 লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা

প্যারাসিটামল → জ্বর ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে

পর্যাপ্ত পানি ও বিশ্রাম

জয়েন্টের জন্য হালকা ফিজিওথেরাপি

প্রতিরোধ
--------------

মশার প্রজননস্থল ধ্বংস

মশারি, লং স্লিভ জামা, রিপেলেন্ট ব্যবহার

দিনের বেলাতেও সুরক্ষা নেওয়া জরুরি

ডেঙ্গু রোগ(Dengue Fever)---🦟 ডেঙ্গু রোগ কী?ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর, যা Aedes aegypti মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সাধারণত ...
31/07/2025

ডেঙ্গু রোগ(Dengue Fever)

---

🦟 ডেঙ্গু রোগ কী?

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর, যা Aedes aegypti মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সাধারণত বর্ষাকালে বেশি দেখা যায়। এই মশাটি দিনে কামড়ায়, বিশেষ করে সকাল ও বিকেলের দিকে।

---

🔬 কারণ (Cause):

ডেঙ্গু ভাইরাস (Dengue Virus বা DENV)। এই ভাইরাসের চারটি ধরন আছে:
DENV-1, DENV-2, DENV-3, DENV-4

---

⚠️ লক্ষণ (Symptoms):

লক্ষণ সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের ৪-৭ দিন পর শুরু হয়।

1. উচ্চ জ্বর (104°F বা তার বেশি)

2. মাথাব্যথা (বিশেষ করে চোখের পেছনে)

3. পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা (তাই একে Breakbone fever বলা হয়)

4. বমি ভাব বা বমি

5. ত্বকে র‍্যাশ / লালচে দাগ

6. পেটব্যথা বা ডায়রিয়া

7. নাক বা দাঁত থেকে রক্ত পড়া

8. হাত-পা বা শরীরে ফোলা (Severe cases)

---

⚠️ জটিল ডেঙ্গু (Severe Dengue বা Dengue Hemorrhagic Fever):

রক্তক্ষরণ

রক্তচাপ হ্রাস

শক সিনড্রোম

প্লেটলেট কমে যাওয়া (Platelet < 100,000)

অর্গান ফেলিওর

---

🏥 চিকিৎসা (Treatment): ( চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী)

ডেঙ্গুর নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। চিকিৎসা হলো supportive:

1. জল বা তরল খাবার বেশি বেশি (ORS, স্যালাইন, ফলের রস)

2. প্যারাসিটামল (Paracetamol) – জ্বর ও ব্যথা কমাতে

> ❌ Aspiring বা NSAID (Ibuprofen) একদম নয় – এটি রক্তক্ষরণ বাড়াতে পারে।

3. প্লেটলেট মনিটরিং

4. জটিল ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি

IV fluids

ব্লাড ট্রান্সফিউশন (রক্তপাত হলে)

---

✅ প্রতিকার / প্রতিরোধ (Prevention):

1. মশার কামড় থেকে বাঁচা:

মশারি ব্যবহার

ফুলহাতা জামা পরা

মশার ওষুধ বা রিপেলেন্ট ব্যবহার

2. Aedes মশার প্রজননস্থল ধ্বংস:

জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া (ফুলের টব, টায়ার, ড্রাম, কুলার)

পুকুর বা নালা পরিষ্কার রাখা

সাপ্তাহিকভাবে বাড়ির চারপাশে চেক করা

3. সচেতনতা:

ডেঙ্গু হলে বাসায় বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ

রক্তপাত হলে বা জ্বরের সঙ্গে বমি, পেটব্যথা, শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া

--

কোভিড রোগ (COVID-19)কোভিড রোগ (COVID-19) হলো একটি সংক্রামক রোগ, যা SARS-CoV-2 নামক এক ধরনের করোনাভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্টি...
19/06/2025

কোভিড রোগ (COVID-19)

কোভিড রোগ (COVID-19) হলো একটি সংক্রামক রোগ, যা SARS-CoV-2 নামক এক ধরনের করোনাভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় এবং তারপর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

---

🔬 রোগটির কারণ:

ভাইরাস: SARS-CoV-2

ছড়ায়:

হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া ছোট ছোট ড্রপলেট থেকে

সংক্রমিত ব্যক্তি স্পর্শ করার পর মুখ, নাক বা চোখ স্পর্শ করলে

---

⚠️ লক্ষণসমূহ (Symptoms):

লক্ষণ সাধারণত সংক্রমণের ২-১৪ দিনের মধ্যে দেখা দিতে পারে।
সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:

জ্বর

শুকনো কাশি

ক্লান্তি

অন্যান্য লক্ষণ:

গলা ব্যথা

শ্বাসকষ্ট

গন্ধ ও স্বাদ অনুভব না হওয়া

মাথাব্যথা

পেশী ও গাঁটে ব্যথা

ডায়রিয়া

ত্বকে র‍্যাশ

---

🚨 জটিলতা (Complications):

নিউমোনিয়া

শ্বাসকষ্টজনিত ব্যর্থতা

কিডনি বিকলতা

হৃদরোগ

মৃত্যু (বিশেষ করে বয়স্ক ও সহ-ব্যাধিযুক্ত রোগীদের মধ্যে)

---

🛡️ প্রতিরোধ ও করণীয়:

মাস্ক পরা

হাত ধোয়া (সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে)

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা

ভিড় এড়ানো

টিকা নেওয়া (COVID-19 ভ্যাকসিন)

---

💉 টিকা (Vaccination):

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন COVID-19 ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে, যেমন:

Pfizer-BioNTech

Moderna

Oxford-AstraZeneca

Sinopharm

Sinovac

Johnson & Johnson

---

🏥 চিকিৎসা:

হালকা লক্ষণ: বিশ্রাম, তরল পান, প্যারাসিটামল

গুরুতর লক্ষণ: অক্সিজেন থেরাপি, হাসপাতালে ভর্তি, কখনও কখনও স্টেরয়েড বা অ্যান্টিভাইরাল

---

ডায়াবেটিস (Diabetes)----------------------------------ডায়াবেটিস (Diabetes) হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী (ক্রনিক) রোগ যেখানে শরী...
28/05/2025

ডায়াবেটিস (Diabetes)
----------------------------------

ডায়াবেটিস (Diabetes) হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী (ক্রনিক) রোগ যেখানে শরীরে রক্তে গ্লুকোজ (চিনি) এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে। এটা হয় শরীরে ইনসুলিন নামক হরমোনের ঘাটতি বা ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ না করার কারণে।

ডায়াবেটিস এর ধরণ:
-----------------------------

১. টাইপ ১ ডায়াবেটিস:

শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।

সাধারণত শিশু ও তরুণদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

ইনসুলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

২. টাইপ ২ ডায়াবেটিস:

শরীর ইনসুলিন তৈরি করলেও তা সঠিকভাবে কাজ করে না (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স)।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।

ওষুধ, ডায়েট এবং ব্যায়াম দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৩. জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস (গর্ভকালীন ডায়াবেটিস):

গর্ভাবস্থায় ঘটে, এবং গর্ভের পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেরে যায়। তবে ভবিষ্যতে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

ডায়াবেটিস এর লক্ষণসমূহ:
--------------------------------------

১.ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া

২.অতিরিক্ত পিপাসা ও ক্ষুধা লাগা

৩.হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া

৪.দুর্বলতা ও ক্লান্তি

৫.ঘা বা ক্ষত দেরিতে শুকানো

৬.চোখে ঝাপসা দেখা

চিকিৎসা ও প্রতিকার
------------------------------

চিকিৎসাঃ(চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী)

১.ইনসুলিন থেরাপি (টাইপ ১ ও কিছু টাইপ ২ ক্ষেত্রে)

২.ওরাল মেডিসিন (টাইপ ২ এর জন্য যেমনঃ মেটফরমিন)

৩ নিয়মিত ব্লাড সুগার মনিটরিং

৪.চিকিৎসকের পরামর্শমতো ডায়েট ও ব্যায়াম

প্রতিকার ও প্রতিরোধঃ
-------------------------------

১.ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা

২.প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম

৩ শাকসবজি ও কম চিনি, কম কার্বোহাইড্রেট খাবার খাওয়া

৪.ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করা

৫.নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ

হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ)   --------------------------------------------হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ) একটি সাধারণ দীর্ঘমেয...
15/05/2025

হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ)
--------------------------------------------

হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ) একটি সাধারণ দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা, যা নিয়ন্ত্রিত না হলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি সমস্যা ইত্যাদি জটিলতা তৈরি করতে পারে।

হাইপারটেনশনের কারণসমূহ (Causes):
-------------------------------------------

হাইপারটেনশন দুই ধরনের হতে পারে:

১. প্রাথমিক (Essential) হাইপারটেনশন:

অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না।

ঝুঁকিপূর্ণ কারণ:

বয়স বৃদ্ধি

পারিবারিক ইতিহাস

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ

স্থূলতা

মানসিক চাপ

শারীরিক পরিশ্রমের অভাব

ধূমপান ও মদ্যপান

২. গৌণ (Secondary) হাইপারটেনশন:

নির্দিষ্ট রোগের কারণে হয়, যেমন:

কিডনি রোগ

হরমোনের অস্বাভাবিকতা (যেমন কুশিং সিনড্রোম, হাইপারঅ্যালডোস্টেরোনিজম)

থাইরয়েড সমস্যা

কিছু ওষুধ (যেমন স্টেরয়েড, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি)

চিকিৎসা (Treatment):
--------------------------------

১. জীবনধারার পরিবর্তন:

লবণ কম খাওয়া (প্রতিদিন

08/05/2025
অতিরিক্ত ওজন (Obesity)--------------------------------------অতিরিক্ত ওজন (Obesity বা Overweight) শরীরের জন্য অনেক ধরনের ...
07/05/2025

অতিরিক্ত ওজন (Obesity)
--------------------------------------

অতিরিক্ত ওজন (Obesity বা Overweight) শরীরের জন্য অনেক ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। নিচে এর সমস্যাগুলো এবং প্রতিকার দেওয়া হলো:

অতিরিক্ত ওজনের জন্য সম্ভাব্য স্বাস্থ্যসমস্যা:

1. হৃদরোগ: রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।

2. টাইপ ২ ডায়াবেটিস: ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যায়।

3. জয়েন্টের সমস্যা: হাঁটু ও কোমরের জয়েন্টে চাপ পড়ে, অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে পারে।

4. ঘুমের সমস্যা: স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হওয়া।

5. ক্যানসার: কিছু নির্দিষ্ট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, যেমন স্তন, কোলন ইত্যাদি।

6. মেনস্ট্রুয়াল সমস্যা ও বন্ধ্যত্ব: নারীদের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

7. মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা: আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা।

---

প্রতিকার ও করণীয়:

1. স্বাস্থ্যকর ডায়েট:

চিনি ও চর্বি কম খান।

শাকসবজি, ফলমূল, ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খান।

ছোট ছোট পরিমাণে বারবার খাবার খান।

2. নিয়মিত ব্যায়াম:

প্রতিদিন অন্তত ৩০–৪৫ মিনিট হাঁটুন বা হালকা ব্যায়াম করুন।

যোগব্যায়াম বা সাঁতার করলে ভালো।

3. পর্যাপ্ত ঘুম:

প্রতিরাতে অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমান।

4. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:

মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।

5. চিকিৎসকের পরামর্শ:

যদি ওজন খুব বেশি হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কিছু ক্ষেত্রে ওজন কমাতে ওষুধ বা সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।

02/05/2025

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ২০টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-

১. বজ্রপাতের ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
২. প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
৩. খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।
৪. কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
৫. খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া যাবে না। গাছ থেকে চার মিটার দূরে থাকতে হবে।
৬. ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক তারের নিচ থেকে নিরাপদ দূতত্বে থাকতে হবে।
৭. ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
৮. বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকে মতো করেই চিকিৎসা দিতে হবে।
৯. এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে অবস্থান করুন।
১০. যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
১১. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
১২. ঘন-কালো মেঘ দেখা গেলে অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন।
১৩. উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
১৪. বজ্রপাতের সময় জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
১৫. বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
১৬. কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
১৭. বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
১৮. বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
১৯. বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে অবস্থান করলে, গাড়ির থাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটিকে নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
২০. বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।

স্ট্রোক (Stroke)------------------------  স্ট্রোক (Stroke) একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা...
30/04/2025

স্ট্রোক (Stroke)
------------------------
স্ট্রোক (Stroke) একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হলে বা রক্তপাত হলে ঘটে।

---

স্ট্রোক রোগের কারণ:
-----------------------------

১. ইসকেমিক স্ট্রোক (Ischemic Stroke)

রক্তনালী ব্লক হয়ে গেলে হয় (প্রায় ৮৭% ক্ষেত্রে)।
কারণ:

রক্ত জমাট (থ্রম্বাসিস)

আর্টারির সংকোচন (Atherosclerosis)

হৃদরোগ (যেমন: অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন)

২. হেমোরেজিক স্ট্রোক (Hemorrhagic Stroke)

মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে রক্তপাত হলে হয়।
কারণ:

উচ্চ রক্তচাপ

অ্যানিউরিজম

ট্রমা বা মাথায় আঘাত

রক্ত পাতলা করার ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

৩. TIA (Transient Ischemic Attack)

অস্থায়ী রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, যাকে “মিনি স্ট্রোক” বলা হয়। সাধারণত স্থায়ী ক্ষতি হয় না, তবে ভবিষ্যতে বড় স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

---

স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ:
-----------------------------

অসাধারণ আচরণ দেখলে FAST নিয়ম মনে রাখুন:

F (Face drooping): মুখের এক পাশে অবশভাব

A (Arm weakness): এক হাত দুর্বল বা উঠাতে সমস্যা

S (Speech difficulty): কথা জড়িয়ে যাওয়া বা অস্পষ্ট হওয়া

T (Time to call emergency): দেরি না করে চিকিৎসা নিন

অন্যান্য লক্ষণ:

দৃষ্টিশক্তি হঠাৎ ঝাপসা হওয়া

হঠাৎ ভারসাম্য হারানো

তীব্র মাথাব্যথা

শরীরের এক পাশে অবশতা বা অনুভূতিশূন্যতা

---

স্ট্রোকের চিকিৎসা:( চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী)
---------------------------

১. ইসকেমিক স্ট্রোক:

tPA ওষুধ: রক্ত জমাট গলানোর জন্য (৩–৪.৫ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হয়)

মেকানিক্যাল থ্রমবেক্টমি: শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে জমাট রক্ত অপসারণ

২. হেমোরেজিক স্ট্রোক:

উচ্চ রক্তচাপ কমানো

সার্জারি করে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ

রক্তনালীর অ্যানিউরিজম বন্ধ করার প্রক্রিয়া

৩. পুনর্বাসন (Rehabilitation):

ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি, কর্ম থেরাপি

দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ও মানসিক সহায়তা

---

স্ট্রোক প্রতিরোধ ও প্রতিকার:
----------------------------------------

১. উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন

২. ধূমপান ও মাদক গ্রহণ বন্ধ করুন

৩. দৈনিক ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

৫. সুষম খাবার খান (কম লবণ, কম চর্বি)

৬. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন

৭. স্ট্রেস কমান

--

Address

Ramganj
3720

Telephone

+8801581508201

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md Samim Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Md Samim Hossain:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category