লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার৷ Labib Homeopathic Center

  • Home
  • Bangladesh
  • Rangpur
  • লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার৷ Labib Homeopathic Center

লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার৷ Labib Homeopathic Center সুন্দর স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করাই আমাদের লক্ষ্য.
🔔📞 01616210125

16/02/2025

শরতকালীন ঠান্ডা ও এল্যার্জির কার্যকরি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা :

হোমিওপ্যাথি একটি বিজ্ঞান-ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা যা অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য প্রাকৃতিক পদার্থের সাথে ওষুধ ব্যবহার করে
এটি শুধুমাত্র উপসর্গগুলির পরিবর্তে মূলের চিকিৎসা করে কাজ করে
এটি ব্রঙ্কাইটিস, সাইনোসাইটিস এবং কাশির মতো পুনরাবৃত্ত সংক্রমণের চিকিৎসায় বিশেষভাবে কার্যকর

Belladonna 30: কার্যকরভাবে উপসর্গগুলি যেমন কাশি (যা ভিড়ের কারণে ঘটতে পারে), চোখ/নাক/গলায় অস্বস্তি, গলা ব্যাথা, এবং আপনার মুখের মধ্যে ফুলে যাওয়া গ্রন্থিগুলির কারণে খাদ্য বা তরল গিলতে অসুবিধার মতো লক্ষণগুলিকে কার্যকরভাবে চিকিৎসা করে৷ এটি স্বরযন্ত্রের (ভয়েস বক্স) মতো শ্বাসযন্ত্রের টিস্যুতে প্রদাহ-বিরোধী প্রভাবের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতিতেও সাহায্য করতে পারে।

ব্যাপটিসিয়া: ফ্লু-এর মতো লক্ষণগুলির জন্য একটি ভাল প্রতিকার হতে পারে। এটি সর্দি কাশি এবং জ্বরের পাশাপাশি গলা ব্যথার জন্যও সহায়ক।

যা হোমিওপ্যাথিতে হজমে উন্নতি করতে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা অপসারণ করতে ব্যবহৃত হয়।

ব্রায়োনিয়া : কেউ কেউ ব্রায়োনিয়াকে শরতের সর্দি এবং কাশির জন্য সেরা হোমিওপ্যাথি বলে মনে করেন। এটি শুষ্ক, হ্যাকিং কাশিতে সাহায্য করে যা গতির সাথে খারাপ এবং চাপের সাথে ভাল।

অ্যাকোনাইট : এটি একটি হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার যা সর্দি এবং ফ্লুর চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যথার ওষুধ, জ্বর হ্রাসকারী এবং ঠান্ডা উপশমকারী হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। আপনার যদি এই উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি থাকে তবে 10 দিন পর্যন্ত প্রতিদিন তিনবার ক্যাপসুল আকারে অ্যাকোনাইট হোমিওপ্যাথি গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।

Eupatorium Perfoliatum : হল একটি হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার যা সর্দি এবং কাশির উপসর্গ থেকে মুক্তি দেয়। এটি সাইনোসাইটিস, খড় জ্বর, হাঁপানি, ফ্লু, ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়ার জন্যও বাধ্যতামূলক।
Eupatorium Perfoliatum শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ভারসাম্য দিয়ে কাজ করে যাতে এটি আরও কার্যকরভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এটি আপনার শরীরের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে যা ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো শরৎকালীন অবস্থার সাথে অসুস্থ হলে আপনি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অসুস্থ বোধ করতে পারেন।

অ্যালিয়াম সেপা: রাতে বা খাওয়ার সময় খারাপ হওয়া কাশির জন্য Allium Cepa একটি ভাল প্রতিকার। এটি ফুসফুস এবং সাইনাসের শুষ্কতার চিকিত্সার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

ফেরাম ফস 6X: হল খনিজ থেকে তৈরি হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার এবং অনেক উপসর্গের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, এগুলি আপনার গলা প্রশমিত করার একটি দুর্দান্ত উপায়, যা ঠান্ডার পরে ঘা এবং ঘামাচি হতে পারে। কোষের লবণ অন্যান্য সমস্যা যেমন সাইনাস কনজেশন এবং কাশিতেও সাহায্য করতে পারে।

জেলসেমিয়াম : শরতের সর্দি এবং কাশির জন্য একটি হোমিওপ্যাথি। এটি তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণগুলির চিকিত্সা করতে পারেসাধারণ ঠান্ডা, গলা ব্যথা, কাশি, এবং সর্দি সহ।

জেলসেমিয়াম সাইনোসাইটিস বা অন্যান্য অবস্থার চিকিৎসার জন্যও উপযোগী হতে পারে, ব্রংকাইটিসে যে এই উপসর্গ দ্বারা অনুষঙ্গী হয়।

Nux Vom: গ্রহণ করার সময় আপনার যদি এই লক্ষণগুলি থাকে:
কোষ্ঠকাঠিন্য
ডায়রিয়া
শুকনো মুখ (গিলতে না পারার অনুভূতি)
ঘাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে
পেশী দুর্বলতা - হাত বা বাহুতে ব্যথা অনুভব না করে বস্তু তুলতে অক্ষম

Pulsatilla 30: সর্দি এবং কাশির জন্য একটি ভাল প্রতিকার কিন্তু শিশুদের জন্যও সহায়ক। এটি সাইনোসাইটিস এবং ব্রঙ্কাইটিস সহ শরতের ঠান্ডা ঋতুর যেকোনো উপসর্গের চিকিৎসা করে। এটি ঠান্ডা আবহাওয়া বা এয়ার কন্ডিশনার সংবেদনশীল লোকদের জন্যও উপযুক্ত।

আর্সেনিকাম অ্যালবাম: শরতের সর্দি এবং ফ্লুর জন্য হোমিওপ্যাথি। এটি ডায়রিয়া, বমি, পেটের ক্র্যাম্প এবং ত্বকের সংক্রমণের চিকিত্সার জন্যও ব্যবহৃত হয়৷

শরতের ঠান্ডা বা ফ্লু হলে এই লক্ষণগুলি ছাড়াও আপনি অনুভব করতে পারেন:
সব সময় ক্লান্ত থাকার অনুভূতি (ক্লান্তি)
দুর্বল বোধ করা বা বিছানায় শুয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করতে অক্ষম হওয়া (দুর্বলতা)
একটি গলা ব্যথা যা এর জন্য ওষুধ খাওয়ার পরেও দূর হবে না (ব্যথা)

ব্রায়োনিয়া : হোমিওপ্যাথি হল বিকল্প ওষুধের একটি রূপ যা উপসর্গ নিরাময় বা উপশম করতে অত্যন্ত পাতলা পদার্থ ব্যবহার করে। শরতের সর্দি-কাশির জন্য ব্যবহৃত সবচেয়ে সাধারণ হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার হল ব্রায়োনিয়া। এই প্রতিকারটি শরতের সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর এবং ঠাণ্ডা লাগার সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে। এটি একটি ঠাসা নাক এবং সর্দি চোখ সঙ্গে ভিড় রোগীদের অস্থিরতা হ্রাস.

ব্রায়োনিয়া অন্যান্য ওষুধের মতো উপসর্গের চিকিৎসা করার পরিবর্তে কারণকে লক্ষ্য করে শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে; এটি প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ছয় বছরের বেশি বয়সী শিশুদের চিকিত্সা করার সময় এটি বিশেষভাবে কার্যকর করে, যাদের একই লক্ষণ রয়েছে তবে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে ব্যবহৃত ঐতিহ্যগত ওষুধগুলি (যেমন অ্যাসপিরিন) ভালভাবে সাড়া দিতে পারে না।

ক্যামোমিলা : শরতের ঠান্ডার জন্য একটি হালকা সেরা হোমিওপ্যাথি। এটি খিঁচুনি, প্রদাহ এবং খিঁচুনি চিকিত্সার জন্যও ব্যবহৃত হয়।

ক্যামোমাইল আপনার শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্টে শ্লেষ্মা উৎপাদন বাড়িয়ে কাজ করে, যা আপনার ফুসফুসের টিস্যুতে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি কাশি বা হাঁচির কারণে সৃষ্ট ব্যথাও কমায় এবং কনজেশন উপশম করতে এবং গলার অংশে কফ জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

শরৎ সর্দি সাধারণ, এবং এটি আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়। গ্রীষ্মের গরম অবস্থা থেকে শরত্কালে খুব ঠান্ডা শরীর সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। এই কারণেই আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই সময়ে আঘাত করতে পারে।

এ সময় অনেকেই অ্যালার্জিতেও ভোগেন। এই সময়ে অসুস্থ হওয়ার অর্থ হল আপনি কাজের মূল্যবান দিনগুলি হারাবেন এবং পরের বছর আবার অসুস্থ হওয়ার অতিরিক্ত সুযোগ দেবেন।

আপনি যদি শরতের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে এই বেশ কয়েকটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আপনার জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে।

01/12/2023

শিশুর বমি বা বমন সমস্যা দেখা দিলে এর প্রতিকারে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।

30/11/2023

শিশু বা ছোট বেবির বিছানায় মূত্র ত্যাগ, ফোটা ফোটা মূত্র ত্যাগ, মূত্রের সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক নিরাময়।

সোরিয়াসিস রোগের  হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসা ( Homeopathic treatment of psoriasis ):সোরিয়াসিস একটি অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক, জ্বা...
08/10/2023

সোরিয়াসিস রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ( Homeopathic treatment of psoriasis ):

সোরিয়াসিস একটি অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক, জ্বালাকর রোগ । এই রোগটি নির্মূল করা খুব কঠিন ব্যাপার । এ চর্মরোগটি সহজে নির্মূল হতে চায়না । কিন্তু লক্ষণের উপর নির্ভর করে নিয়মিত হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবন করলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।

হোমিওপ্যাথিতে চর্মরোগের/ (Psoriasis) চিকিৎসার জন্য আলাদা কোন শর্টকাট রাস্তা নাই। রোগের নাম নয় বরং রোগের লক্ষণ এবং রোগের কারণ অনুযায়ী ঔষধ নির্বাচন করে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলেই আরোগ্যের আশা করতে পারেন। যে-কোন হোমিও ঔষধেই যে-কোন চর্মরোগ নিরাময় করা সম্ভব যদি সেই ঔষধের সাথে রোগটির লক্ষণ মিলে যায়।

⚡নিম্নে কয়েকটি হোমিও প্যাথিক ঔষধের ব্যবহার উল্লেখ করা হলো–

০১। Sulphur: চর্মরোগের/(Psoriasis) একটি সেরা ঔষধ হলো সালফার যদি তাতে অত্যাধিক চুলকানী এবং জ্বালাপোড়া থাকে। এই কারণে রোগীর মধ্যে অন্য কোন ঔষধের লক্ষণ না থাকলে অবশ্যই তার চিকিৎসা প্রথমে সালফার দিয়ে শুরু করা উচিত। যাদের চর্মরোগ বেশী বেশী হয়, তাদেরকে প্রথমে অবশ্যই দুয়েক মাত্রা সালফার খাওয়াতেই হবে এবং সালফার তার ভেতর থেকে সকল চর্মরোগ বের করে আনবে। পক্ষান্তরে যাদের চর্মরোগ বেশী বেশী হয় এবং শীতকাতর তাদেরকে প্রথমে খাওয়াতে হবে সোরিনাম (Psorinum)।
সালফারের প্রধান লক্ষণ হলোঃ সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, হাতের তালু- পায়ের তালু- মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই, রোগ বিছানার গরমে বৃদ্ধি পায়।

০২। Psorinum: সালফারের লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও সালফার ব্যর্থ হলে সোরিনাম কার্যকারী । কিন্তু সালফার থেকে সোরিনামের কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় ।
🧉সালফার গরম কাতর এবং সোরিনাম শীতকাতর ।

০৩। Petroleum: - যদি দেখেন কোন রোগের একজিমা বা চর্ম বা (Psoriasis) রোগ শীতকালে বৃদ্ধি হয় এবং গ্রীষ্মকালে আরম্ভ হইলেই আপনা-আপনি আরোগ্য হইয়া যায় তখন পেট্রোলিয়াম উচ্চ শক্তি প্রয়োগ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে । আরো মনে রাখবেন যে, যদি কোন রোগীর শীতের দিন হাত-পা আংগুল ফাটিয়া যায় , কানের পিছে ও অন্ডকোষে এবং কুঁচকিতে একজিমা হয় তাতে চুলকানির পর দুর্গন্ধ রস পরে ও মামড়ি জন্মে তখন পেট্রোলিয়াম অব্যার্থ মহৌষধ ।

০৩। Graphites: Psoriasis-এ গ্র্যাফাইটিসের প্রধান লক্ষণ হলো অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার চর্মরোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।

০৪। Arsenicum album: যে কোন Psoriasis সাথে যদি অস্থিরতা, জ্বালাপোড়া, পেটের অসুখ, রাতের বেলা রোগের বৃদ্ধি ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে আর্সেনিক খেতে হবে। আর্সেনিকে (Psoriasis)-এ চুলকানি, জ্বালা, স্ফীতি , শোথ, উদ্ভেদ -ফুস্কুড়ি জাতীয়, শুষ্ক- খশখশে, আঁশযুক্ত, ঠাণ্ডায় বৃদ্ধিও চুলকানি বৃদ্ধি। ফুসকুড়ি দেবে বিষাক্ত পুঁজযুক্ত উদ্ভেদ, তার সাথে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব। এসব ক্ষেত্রে আর্সেনিক ভালো কাজ করে।

০৫। Thuja occidentalis: মারাত্মক বা ভয়ঙ্কর ধরনের চর্ম রোগের ক্ষেত্রে একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে কোন চর্মরোগদেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি উচ্চ শক্তিতে এক মাত্রা খেয়ে নিতেহবে। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই সপ্তাহে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খুজা খেয়ে নেওয়া উচিত।

০৬। Kali sulphuricum: ক্যালি সালফ খুসকির মতো চামড়া ওঠা জাতীয় রোগের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। ক্যালি সালফের আরেকটি প্রধান লক্ষণ হলো হলুদ রঙ। যদি পূজেঁর রঙ, প্রস্রাবের রঙ অথবা কফের রঙ হলুদ হয়, তবে যে কোন রোগে ক্যালি সালফ প্রয়োগে ভাল ফল পাবেন।

০৭। Sepia: তলপেটে বল বা চাকার মতো কিছু একটা আছে মনে হয়। রোগী তল পেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পায়খানার রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে এই ভয়ে দুই পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে, সর্বদা শীতে কাঁপতে থাকে, দুধ সহ্য হয় না, ঘনঘন গর্ভপাত হয়, স্বামী-সন্তান-চাকরি-বাকরির প্রতি আকর্ষণ কমে যায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে যে-কোন চর্মরোগে সিপিয়া খেতে পারেন। Sepia -Q ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রে কঠিন একজিমা , সোরিয়াসিস ভালো হতে দেখেছি ।

০৮। Mezereum: মেজেরিয়ামের প্রধান লক্ষণ হলো মাথার থেকে মোটা মোটা চামড়ার মতো চলটা উঠতে থাকে, এগুলোর নীচে আবার পূঁজ জমে থাকে, চুল আঠা দিয়ে জট লেগে থাকে, পূঁজ থেকে এক সময় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে, চুলকানীর জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় ইত্যাদি।

০৯। Hepar sulph‍: হিপার সালফের প্রধান লক্ষণ হলো এরা সাংঘাতিক সেনসেটিভ (over-sensitiveness), এতই সেনসেটিভ যে রোগাক্রান্ত স্থানে সামান্য স্পর্শও সহ্য করতে পারে না, এমনকি কাপড়ের স্পর্শও না। কেবল মানুষের বা কাপড়ের স্পর্শ নয়, এমনকি ঠান্ডা বাতাসের স্পর্শও সহ্য করতে পারে না। সাথে সাথে শব্দ (গোলমাল) এবং গন্ধও সহ্য করতে পারে না। হিপারের শুধু শরীরই সেনসেটিভ নয়, সাথে সাথে মনও সেনসেটিভ। অর্থাৎ মেজাজ খুবই খিট-খিটে। কাটা-ছেড়া-পোড়া ইত্যাদি ঘা/ক্ষত শুকাতে হিপার বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

১০। Natrum muriaticum: মুখ সাদাটে এবং ফোলা ফোলা, বেশী বেশী লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খায়, কথা শিখতে বা পড়াশোনা শিখতে দেরী হয়, ঋতুস্রাবে রক্ত ক্ষরণ হয় খুবই অল্প, পা মোটা কিন্তু ঘাড় চিকন, মানসিক আঘাত পাওয়ার পর কোন চর্মরোগ হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে যে কোন চর্মরোগে নেট্রাম মিউর খেতে পারেন।
উচ্চ শক্তি প্রয়োগে আশ্চর্য ফল হয় ।

১১। APIS MELLIFICA : মৌমাছি হুল ফুটালে যেরুপ জ্বালা যন্ত্রণা হয়, সেরুপ জ্বালা যন্ত্রনা। অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা, রোগ লক্ষণ সমূহ তীব্র ও দ্রুত বেগে আসে। সমস্ত শরীরে বা চোখের নিচের পাতায় শোথ বা ফোলা। তৃষ্ণার অভাব, ঘামের অভাব, প্রস্রাবের পরিমাণ কম। বিমর্ষ ও অতি সহজেই কেঁদে ফেলে, যেন না কেঁদে থাকতে পারে না, খিটখিটে স্বভাব, অত্যন্ত ব্যস্ত ও চঞ্চল। কাজ করতে গেলে হাতের জিনিস পরে যায় । এসব লক্ষণ যদি কোন চর্ম পীড়ায় দেখিতে পাওয়া যায় তাহলে বিলম্ব না করিয়া এপিস মেল প্রয়োগ করলে ফলাফল পাবেন ।

১২। Causticum: যদি দেখেন কোন রোগীর চর্মরোগ চুলকানির জন্য অ্যালোপ্যাথি ( মার্কারী) বা সালফার দ্বারা অবরুদ্ধ হয় , তখন কস্টিকাম অধিক উপকারী । যাদের গায়ের রং কালো , শরীরের গঠন বলিষ্ঠ প্রকৃতির তাদের ক্ষেত্রে কষ্টিকাম ভালো কাজ করে । ২০০ , ১ এম , প্রয়োজনে আরো উচ্চ শক্তি প্রয়োগ করিবেন ।

১৩। Croton Tiglium: ক্রোটন টিগ চর্মরোগের/সোরিয়াসিসের একটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো চর্মরোগে প্রচুর চুলকানি থাকে কিন্তু জোরে চুলকানো রোগী সহ্য করতে পারে না। কেননা তাতে আরাম হয় না বরং সাংঘাতিক ব্যথা পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে হালকা ভাবে চুলকালে অথবা মালিশ করলে রোগী আরাম পায়।

১৪। Rhus toxicodendron: রাস টক্সের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড অস্থিরতা, রোগী এতই অস্থিরতায় ভোগে যে এক পজিশনে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে পারে না। রোগীর শীতভাব এমন বেশী যে তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালিতেছে, নড়াচড়া করলে (অথবা শরীর টিপে দিলে) তার ভালো লাগে অর্থাৎ রোগের কষ্ট কমে যায়, স্বপ্ন দেখে যেন খুব পরিশ্রমের কাজ করিতেছে। পাশের চিত্রের ন্যায় লালচে এবং ফোষ্কা জাতীয় চর্মরোগের বা সোরিয়াসিস এর জন্য রাসটক্স এক নাম্বার ঔষধ।

১৫। Arnica montana: যে কোন ধরনের আঘাত, থেতলানো, মচকানো, মোচড়ানো, ঘুষি, লাঠির আঘাত বা উপর থেকে পড়ার কারণে কোন চর্মরোগ হলে আর্নিকা খেতে হবে। আক্রান্ত স্থানে এমন তীব্র ব্যথা থাকে যে, রোগী কাউকে তার দিকে আসতে দেখলেই সে ভয় পেয়ে যায় (কারণ ধাক্কা লাগলে ব্যথার চোটে তার প্রাণ বেরিয়ে যাবে)। উপরের লক্ষণগুলোর কোনটি থাকলে যে কোন রোগে আর্নিকা প্রয়োগ করতে পারেন।

১৬। Mercurius solubilis: মার্ক সল ঔষধটির প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না, ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা ঝরে।
১৭। সিফিলিনামঃ পায়খানা করার সময় কোথানি, অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায়, রোগী ঠান্ডা পানির জন্য পাগল ইত্যাদি। ঘামের কারণে যাদের কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে যায়, তাদের যে কোন রোগে মার্ক সল প্রয়োগ করতে পারেন। মার্ক সল যেহেতু এন্টি-সিফিলিটিক ঔষধ তাই সিফিলিস রোগী বা তাদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের যে কোন রোগে এটি ভাল কাজ করে।

১৮। Cantharis: জ্বালা-পোড়া এবং ছিড়ে ফেলার মতো ব্যথা হলো ক্যান্থারিসের প্রধান লক্ষণ। ভীষণ জ্বালাপোড়া থাকলে যে কোন চর্মরোগে ক্যান্থারিস ব্যবহার করতে পারেন। এটি জলাতঙ্ক রোগের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। এটি যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে ভীষণভাবে। কোন জায়গা পুড়ে গেলে একই সাথে খাওয়ান এবং পানির সাথে মিশিয়ে পোড়া জায়গায় লাগান। এটি পেটের মরা বাচ্চা, গর্ভফুল বের করে দিতে পারে এবং বন্ধ্যাত্ব নির্মূল করতে পারে।

💊💊 অন্যান্য ওষুধ সমূহ- আর্সেনিক আয়োড, নেট্রাম সালফ, ক্যালকেরিয়া কার্ব, আরটিকা ইউ, পেনিসিলিন, ব্যাসিলিনাম বা টিউবারকুলিনাম, মেডোরিনাম, কোনিয়াম , ইচিনেসিয়া ইত্যাদি ।

প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ
🩺 ডাঃ মামদুদুর রহমান
লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার
রংপুর.
📞 01616210125।
রোগী দেখার সময়ঃ
বিকাল ০৫.০০ হতে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।

07/10/2023

পুরুষের যৌন দুর্বলতা দূর করার হোমিও চিকিৎসা।

👂 কান পাকা/(কানে পুঁজ) রোগের (Otitis Media) চিকিৎসা পদ্ধতিঃরোগের বিবরন : কানে জল প্রবেশ করিয়া, ঠান্ডা লাগিয়া, প্রদাহ হইয়...
08/08/2023

👂 কান পাকা/(কানে পুঁজ) রোগের (Otitis Media) চিকিৎসা পদ্ধতিঃ

রোগের বিবরন : কানে জল প্রবেশ করিয়া, ঠান্ডা লাগিয়া, প্রদাহ হইয়া, হাম, জ্বর, বসন্তাদির পর কানে পুঁজ দেখা দেয়। কান পাকা পুরাতন হইলে বধিরতা আনায়ন করে। পুরাতন কান পাকা সহজে আরোগ্য হইতে চায়না।

🥨 কান পাকার উপসর্গ ?
১. মাঝে মাঝে কান দিয়ে পুঁজের মতো বা পানির মত ঝরে।
২. সামান্য ঠাণ্ডা-সর্দি লাগলেই পানি বা পুঁজ পড়া পুনরায় শুরু হয়ে যায়।
৩. কানে ব্যথা হতে পারে।
৪. কান চুলকাতে পারে।
৫. কানে ঝিঁঝিঁ শব্দ হতে পারে।
৬. কানে কম শুনতে পারে।

🩺 চিকিৎসাঃ

১। ক্যাপ্সিকাম (Capsicum) : পুরাতন কান পাকা, কর্ণ কপাট ছিদ্র হইয়া হলুদ বর্ণের ঘণ পুঁজ নির্গত হয়। মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা হইলে এই ঔষধ উপকারে আসে।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 200 বা 1m সপ্তাহ অন্তর সকাল বিকাল দুই মাত্রা সম্পূর্ণ আরোগ্য না হইলে-10m, 50m, Cm ১৫ দিন বা মাসান্তে এক মাত্রা।

২। বোরাক্স (Borax) : নিম্ন গতিতে আতংক। অর্থাৎ নিচের দিকে নামিতে বা নামাইতে ভয় পাওয়া ইহার বিশেষ লক্ষন। এই ধাতুর রোগীদের কান থেকে ঘন সাদা বর্ণের পুঁজ নির্গত হইলে বোরাক্স অব্যর্থ।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 3x, 6x প্রত্যহ তিন মাত্রা। পুরাতন রোগীর জন্য- 200 বা 1m সপ্তাহ অন্তর সকাল বিকাল দুই মাত্রা। বহু পুরাতন কান পাকা- 10m, 50m বা Cm শক্তি ব্যবহারে অনেক উপকার। উপর উল্লেখিত বিশেষ লক্ষনে শিশুদের কান পাকা 3x দিনে তিন বার সেবন করিতে দেওয়ায় বহু রোগী আরোগ্য হয়।

৩। টেলিউরিয়াম (Tellurium) : নতুন বা পুরাতন কান পাকায় ইহা একটি প্রসংশনীয় ঔষধ। কানের পুঁজ মাংস ধোয়া জলের ন্যায় পাতলা, ভিষন দুর্গন্ধ, লোক কাছে বসিতে চায় না। দুর্গন্ধ যুক্ত কান পাকায় এই ঔষধ ব্যবহারে বহু রোগী উপকার হইয়াছে।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 প্রত্যহ দুই মাত্রা। পুরাতন রোগীদের জন্য- 200, 1m বা আরো উচ্চ শক্তি।

৪। সোরিনাম (Psorinum) : নতুন পুরাতন উভয় প্রকার কান পাকায় উৎকৃষ্ট ঔষধ। হলুদ বর্ণের পুঁজে অত্যন্ত দুর্গন্ধ। মল-মূত্র ঘর্ম মুখে দুর্গন্ধ স্ফূর্তিহীন, শীতে কাতর, অপরিস্কার, নোংড়া রোগীদের ইহা অব্যর্থ।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 200 বা 1m সকাল বিকাল দুই মাত্রা। পুরাতন রোগীর জন্য- 10m, 50m Cm ।

৫। মার্কুরিয়াস সল (Mere Sol) : কানে পুঁজ, রক্ত মিশ্রিত, পুঁজে, ভীষন দুর্গন্ধ। হলুদ বা সবুজ বর্ণের পুঁজের সঙ্গে রক্ত। কানে যন্ত্রনা রাতে বৃদ্ধি, বিছানায় গরমে বৃদ্ধি ইত্যাদি লক্ষনে ইহা উপকারী।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 200 বা 1m পুরাতনে আরো উচ্চ শক্তি সকাল বিকাল দুই মাত্রা।

৬। টিউবারকিউলিনাম (Tuberculinum) : প্রায়ই সর্দি ঠান্ডা লাগিয়াই থাকে। নাকে সর্দি কানে পুঁজ, পুঁজে মাংস পঁচার মত দুর্গন্ধ, পুরাতন কান পাকা কিছুতেই আরোগ্য না হইলে ইহাতে প্রযোজ্য।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 200 বা 1m সকাল বিকাল দুই মাত্রা। পুরাতন রোগীর উ্চ্চ শক্তি আরোগ্য করে।

৭। থুজা (Thuja) : পুরাতন কান পাকা, কানের পুঁজ পঁচা মাংসের মত দুর্গন্ধ, কানের ভিতর গেজ হইলে থুজা তাহার আরোগ্য করিতে পারে।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 200 হইতে উচ্চ শক্তি।

৮। আর্নিকা মন্ট (Arnica Mont) : কান পাকা, কানের ভিতর কাঠি বা পালকাদী দিয়ে খোঁচানো কারনে অন্যান্য ঔষধে উপকার না হইলে আর্নিকায় উপকার হয়।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 1m, 10m বা আরো উচ্চ শক্তি। সপ্তাহ বা পনের দিন অন্তর সকাল বিকাল দুই মাত্রা। পিউর গ্লিসারিন দুই ফোঁটা করিয়া দিনে তিন বার কানে বাহ্যিক প্রয়োগ করিলে আরো শীঘ্র উপকার হয়।

৯। ভায়োলা অডোরেটা (Viola Odorate) : কানে ভীষন বেদনার সহিত পুঁজ নির্গত হইতে থাকিলে এই ঔষধ সেবন উপকার হয়। পুঁজ স্রাবের সহিত কান বেদনা এই ঔষধ সেবন করিতে দিয়া অনেক রোগীর উপকার হইতে দেখিয়াছি।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দুই তিন ঘন্টা অন্তর।

🥜🥜 বাইওকেমিক চিকিৎসাঃ

১। ক্যালকেরিয়া সালফ (Calcarea Sulph) : নতুন বা পুরাতন কান পাকায় গন্ধ বিহীন হলূদ বর্ণের ঘন পুঁজে ইহা উপকারী।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 12x, 30x, 200x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে দিবসে দুইবার। হোমিওপ্যাথিক মতে ক্যালকেরিয়া সালফ 200 বা 1m পুরাতন কান পাকায় উচ্চ শক্তি ব্যবহারে যথেষ্ট উপকার পাইয়াছি।

২। সাইলেসিয়া (Silicea) : কানে পুঁজ মাংস ধোয়া জলের মত, পাতলা দুর্গন্ধময় পুঁজে ইহা অব্যর্থ।
🥣 সেবন বিধি : শক্তি 12x হইতে উচ্চ শক্তি দিনে দুই বার। হোমিওপ্যাথিক মতে ক্যালকেরিয়া সালফ 200 বা 1m বা আরো উচ্চ শক্তি উপকারী (সাইলেসিয়া) ধাতুগত লক্ষন অন্য স্থানে পাবেন।

🥧🧉 পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থাপনাঃ

কানের ভিতর পালক বা কাঠি দিয়া খোঁচানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ডুব দিয়া স্নান করিলে কান পাকা আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। সর্ব প্রকার কান পাকায় ফেরাম ফস 3x চুর্ন কানের ভিতর বাহ্যিক প্রয়োগের কান পাকা আরোগ্য হয়। মুলেন অয়েল দুই তিন ফোঁটা দিনে তিন বার কানের ভিতর প্রয়োগ করিলে কান পাকা আরোগ্য হয়।
------------------------------------
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ
🩺 ডাঃ মামদুদুর রহমান
লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার
রংপুর. 📞01616210125।
রোগী দেখার সময়ঃ
বিকাল ০৫.০০ হতে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।

👼 মাইগ্রেন বা মাথা ব্যাথার কারন ও প্রতিকারে গুরুত্বপূর্ন হোমিওপ্যাথিক ওষুধঃ-বর্তমান দিনে মাইগ্রেন বা আধকপালি একটি মারাত্...
08/08/2023

👼 মাইগ্রেন বা মাথা ব্যাথার কারন ও প্রতিকারে গুরুত্বপূর্ন হোমিওপ্যাথিক ওষুধঃ-

বর্তমান দিনে মাইগ্রেন বা আধকপালি একটি মারাত্মক সমস্যা। নারী পুরুষ উভয়েই এই রোগে ভোগেন। তবে মহিলারা পুরুষের চেয়ে এই রোগে তুলনামূলকভাবে বেশি ভোগেন।এই রোগে মাথা যন্ত্রনা মাথার এক পাশ দিয়ে শুরু হয়ে আর এক দিকে স্হানান্তরিত হয় এবং কিছু ঘন্টা থেকে কিছুদিন অব্দি থাকে।

🔥🌊⚡ মাইগ্রেনের রোগলক্ষণঃ
এই রোগের লক্ষণগুলি হল -
- তীব্র মাথা যন্ত্রনা
- বমি বমি ভাব
- আলো,শব্দ সহ্য করতে না পারা
- খিদে কমে যাওয়া
- শরীরে ক্লান্তিবোধ
- ঠিকমতো ঘুম না হওয়া
- মুড পরিবর্তন হওয়া
- মানসিক অবসাদ
- কোনো কাজে মন না বসা
- অনেক সময় রোগী কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয় ইত্যাদি ।

🛟🚨 চকলেট, মদ্যপান , তামাক জতীয় যে কোন দ্রব্য সেবন ও ফাস্টফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ।

🥜🥜হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে মাইগ্রেন পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব।

১। Belladonna: মাইগ্রেনের জন্য সবচেয়ে ঘন ঘন ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ। মাথা ব্যাথা সহিংস ও চরিত্রের কম্পিত হয়, সেখানে সময়গত অঞ্চলের টনটনানি হয়. ব্যথা কোনো প্রাক উপসর্গ ছাড়াই হঠাৎ শুরু হয়, ব্যথা স্পর্শ উপর খারাপ, গোলমাল বা হালকা এবং কোনো হেঁচকা বা হঠাৎ আন্দোলন দ্বারা, ঠান্ডা বাতাস বা কোনো এক্সপোজার ব্যথা এনেছে. ব্যথা চাপ থেকে আর ভালো, মুখ গরম এবং লাল হয়।

২। Glonoine : কনজেসটিভ মাথাব্যাথা সঙ্গে মাইগ্রেনের জন্য খুবই উপযুক্ত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ। সেখানে মাথা থেকে রক্ত ​​তাড়াহুড়ো নেই, তাপ ও ​​মুখের লালভাব এবং মাথা দেখা যায়, ব্যথা সাধারণত চরিত্রের কম্পিত হয়, সেখানে মাথা শক একটি অনুভূতি হয় এবং এই নাড়ি সাথে সুসংগত রয়েছে কিনা, এই মাথা ব্যাথা অন্য কোন আকারে সূর্য বা তাপ মধ্যে নিগমন দ্বারা কুপিত হয়, রোগীর মাথার চারপাশে কোন উষ্ণতা সহ্য করতে পারে না।

৩। Natrum Mur : খুব সাধারণভাবে মাইগ্রেন যে কোনো মানসিক বিষাদ বা মানসিক চাপ থেকে দেখা দেয় দুটো কারণে জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রক্তহীন মাথাব্যাথা জন্য ভাল হয়, এ ধরনের মাথাব্যথা প্রায়ই তরুণ মেয়েরা মধ্যে দেখা যায়, সেখানে মাথাব্যাথা সঙ্গে সাময়িক অন্ধত্ব, ব্যথা যেন মাথার ভিতর মারধর ছোট হাতুড়ি হাজার হাজার হয়, ব্যথা দিনে বৃদ্ধি এবং সূর্যাস্তের পর উত্তম, মুখের ম্লানতা মাথা ব্যাথা সাথে, ব্যথা eyestrain দ্বারা আলোড়ন সৃষ্টি করা যেতে পারে।

৪। Sanguinaria : ডান পার্শ্বযুক্ত মাইগ্রেনের জন্য একটি খুব সাধারণভাবে ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ। ব্যথা প্রায়ই পশ্চাৎকপাল অর্থাৎ মাথার পিছনে মধ্যে শুরু হয় এবং ডান চোখের মধ্যে settles। সেখানে মাথার শিরা ও সময়গত অঞ্চলের স্ফীতি হয়, মাথাব্যাথা প্রকৃতিতে মেয়াদী এবং প্রত্যেক সপ্তম দিনে ঘটে।

৫। Spigelia : মাইগ্রেন মাথাব্যথা যে বামদিকে ঘটতে জন্য খুব দরকারী হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার। এই ঔষধ ব্যথা বাম চোখের উপর স্থির, একটা অনুভূতি যেন মাথার চারপাশে শক্ত ব্যান্ড হয়, ব্যথা স্পর্শ বা গতি দ্বারা কুপিত হয়।

------------------------------------
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ
🩺 ডাঃ মামদুদুর রহমান
লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার
রংপুর. 📞01616210125।
রোগী দেখার সময়ঃ
বিকাল ০৫.০০ হতে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।

😘 জ্বরঠোসা/হার্পিসের হোমিওপ্যাথিক প্রতিকারঃ ১। রাসটক্স: নানা রকম চর্ম পীড়ার উপর রাসটক্স এর কার্যকারিতা দেখে মুগ্ধ হতে হ...
08/08/2023

😘 জ্বরঠোসা/হার্পিসের হোমিওপ্যাথিক প্রতিকারঃ

১। রাসটক্স: নানা রকম চর্ম পীড়ার উপর রাসটক্স এর কার্যকারিতা দেখে মুগ্ধ হতে হয়। তেমনি ভাবে হার্পিসের জন্য রাসটক্স একটি কার্যকরী ঔষধ । রসপূ্র্ন বা রসশূর্ন এই উভয় প্রকার উদ্ভেদই ইহার দ্বারা আরোগ্য হয়। মুখে একজিমা বা সমগ্র শরীরে একজিমা সেইসঙ্গে বেদনা ,জ্বালা, চুলকানি ও ঝিনঝিন থাকে, তাহা হইলে রাসটক্স নির্দেশ করা যায় । শিশুদের মাথায় অ্যাকজিমা, বিস্তার শীল হারপিস, রসপূর্ণ উদ্বেদ, পুঁচ পূর্ণ বিসর্গ ইত্যাদি চর্ম রোগের ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী । চর্মরোগে শরীরে লাল লাল দাগড়া-দাগড়া ঘা ও তাহা ক্রমশ ফুসকা বা পুড়িয়া ঝলসিয়া যাইবার মত হইলে রাসটক্স উপকারী । ইহার রোগী শীতকাতর, সেজন্য সামান্যতম ঠান্ডা সহ্য করতে পারেনা ।
🥣 মাত্রা - ৩০-১এম ।

🫐 যে কোন রোগের ক্ষেত্রে রাসটক্স ব্যবহার করার জন্য চারটি কথা স্মরণ রাখা একান্ত প্রয়োজন-
🕶️ প্রথম সঞ্চালন বৃদ্ধি অথচ শারীরিক অস্থিরতাজনিত অবিরত নড়াচড়ার ইচ্ছা ও তাতে উপশম।
🕶️ রাত্রিকালে ও ঠান্ডায় বিশেষ করিয়া বর্ষায় ভিজে ঠাণ্ডায় বৃদ্ধি।
🕶️ উত্তাপে উপশম ও রাতে বৃদ্ধি ।
🕶️ জিহ্বার অগ্রভাগ ত্রিভুজাকার লাল বর্ণ ।

২। আর্সেনিক এলবাম : শুস্ক হারপিস, হার্পিসের চর্মের উপর শক্ত টিবলীর মত ফুলিয়া থাকে ।হার্পিসে প্রায়ই দুর্গন্ধ থাকে, মাথা হইতে কপাল পর্যন্ত প্রায়ই এই একজিমা মত চর্মপীড়া বিস্তৃত হইতে দেখা যায়। চুলকানোর পর অসহ্য জ্বালা থাকে ।
শীতল জলে চুলকানি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, কিন্তু গরমে চুলকানির উপসম ঘটে।
আক্রান্ত পার্শ্বে শয়ন করিলে, বেলা ১ টা হইতে ২ টার মধ্যে, রাত্রি দ্বিতীয় প্রহরের পরে, ঠান্ডায় এবং শীতল বস্তু পানাহারে হার্পিসের চুলকানি বৃদ্ধি পায়।
🥣 মাত্রা- ৩০-১০এম।

🫐 যে কোন রোগের ক্ষেত্রে যে বিশেষ লক্ষণের উপর ভিত্তি করে আর্সেনিক এল্বাম প্রয়োগ করা যেতে পারে- ১) মৃত্যুভয়, ২) ছটফটানি ও এপাশ-ওপাশ করা, ৩) সর্ব্বাঙ্গে আগুনে ফোড়ার মত জ্বালা কিন্তু গরমে উপসম, ৪) মধ্যরাতে ও মধ্য দিবা রোগের বৃদ্ধি (Mid night and mid day), ৫) নাসিকা দিয়া জলের মত গরম সর্দ্দি, ৬) চিৎ হইয়া শুইতে অক্ষমতা, ৭) সন্ধেহ প্ররায়ন, ৮) সবল পিপাসা থাকা সত্ত্বেও ক্ষণে ক্ষণে স্বল্প জলপান, ৯) জলপান করা মাত্রই বমি ও কখনও পাতলা পায়খানা ।

৩। ক্যান্থারিস : হারপিসে পুড়া ফোষ্কার মত উদ্ভেদ , উহা পাকে ও ঘা হয় । উদ্ভেদ গুলোতে আগুনে পুড়িয়া যাওয়ার মত জ্বালা সেই সঙ্গে প্রস্রাবের পূর্বে, সময়ে ও উপরে প্রচন্ড- জ্বালা। উদ্ভেদ গুলোতে চুলকাইলে রক্তস্রাব ঘটে এবং প্রচন্ড জ্বালা থাকে । অত্যন্ত দুর্বলতার সহিত বহির্ভাগ ও অভ্যন্তরে অত্যন্ত জ্বালা ও টাটান ব্যথা । চর্ম পীড়ার সহিত গলা, পাকস্থলীতে, মূত্রাশয়ে আগুনে পুড়িয়া যাওয়ার মত জ্বালা। উপরোক্ত লক্ষণ থাকলে হারপিস ক্যান্থারিস প্রয়োগ করা চলে ।
🥣 মাত্রা - ৩০- ১এম।

৪। ক্যালেন্ডুলা বা বাউচি ওয়েল Q : ১ ড্রাম অলিভ অয়েলের সাথে ১০ থেকে ২০ ফোটা মাদার টিংচার মিশ্রন করিয়া আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারে । ইহাতে ভালো ফল পাওয়া যায়।

🥩🌰 অন্যান্য হোমিওপ্যাথি ঔষধ সমুহ : ভেরিওলিনাম, মার্ক সল, সিলিসিয়া, এসিড নাইট, এপিস মেল, সিপিয়া, থুজা, নেট্রাম মিউর ইত্যাদি।
------------------------------------
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ
🩺 ডাঃ মামদুদুর রহমান
লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার
রংপুর. 📞01616210125।
রোগী দেখার সময়ঃ
বিকাল ০৫.০০ হতে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।

হোমিওপ্যাথিতে থ্যালাসিমিয়া নিরাময়ে যে সকল ঔষধ রয়েছেঃথ্যালাসেমিয়া মারাত্মক রোগ হলেও সহজেই তা প্রতিরোধ করা যায়। এটি বংশগত ...
07/08/2023

হোমিওপ্যাথিতে থ্যালাসিমিয়া নিরাময়ে যে সকল ঔষধ রয়েছেঃ

থ্যালাসেমিয়া মারাত্মক রোগ হলেও সহজেই তা প্রতিরোধ করা যায়। এটি বংশগত রোগ। বাবা-মা এ রোগের বাহক হলে সন্তানও আক্রান্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, সাধারণত চাচাতো ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ে হলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আক্রান্তদের রক্তের লাল কণিকা RBC তাড়াতাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। বাড়ে আয়রনের পরিমাণ। এ কারণে আক্রান্তকে ২০-৩০ দিন পর পর রক্ত দিতে হয় এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত আয়রন বের করতে ওষুধ সেবন করতে হয়। খুব ছোট শিশুদের মধ্যে রক্তশূন্যতা, জ্বর, শারীরিক বৃদ্ধি না হওয়া, মাথা, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখে চিকিৎসক থ্যালাসেমিয়া রোগ সন্দেহ করেন এবং রক্তের বিশেষ মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
-----++

💮💮 থ্যালাসেমিয়ার - টাইপ
⚡আলফা থ্যালাসেমিয়া
⚡বিটা থ্যালাসেমিয়া
বিটা থ্যালাসেমিয়ার চেয়ে আলফা থ্যালাসেমিয়া কম তীব্র হয়। আলফা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির। বিটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা বেশি। তবে বিশ্বে আলফা থ্যালাসেমিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি।

🎗️আলফা থ্যালাসেমিয়া: এর জন্য ১৬ নম্বর ক্রোমোজ়োমে উপস্থিত আলফা-চেন উৎপাদনকারী জিনের মিউটেশন বা ডিলিশন দায়ী। চারটি জিন দিয়ে আলফা থ্যালাসেমিয়া চেন তৈরি হয়।
বাবা-মায়ের থেকে প্রাপ্ত চারটির মধ্যে এক বা একাধিক জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে আলফা থ্যালাসেমিয়া হয়। জিন যত ত্রুটিপূর্ণ হবে, সমস্যা তত বাড়বে।
🕶️একটি ত্রুটিপূর্ণ জিন হলে থ্যালাসেমিয়ার কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যাবে না। তবে আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে তাঁর সন্তানের মধ্যে এই রোগ ছড়াতে পারে।
🕶️দু'টি জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে হালকা উপসর্গ দেখা যাবে। একে বলে আলফা থ্যালাসেমিয়া মাইনর বা আলফা থ্যালাসেমিয়া ট্রেট।
🕶️তিনটি জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে থ্যালাসেমিয়ার উপসর্গ মাঝারি থেকে মারাত্মক আকার ধারণ করে। একে বলা হয় হিমোগ্লোবিন এইচ ডিজ়িজ়।
🕶️চারটি জিনই ত্রুটিপূর্ণ হলে বলা হয় আলফা থ্যালাসেমিয়া মেজর বা হাইড্রপস ফিটালিস।

🎗️বিটা থ্যালাসেমিয়া: ২টি জিন দিয়ে বিটা থ্যালাসেমিয়ার চেন গঠিত হয়। মা-বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত জিন ত্রুটিপূর্ণ হলেই বিটা থ্যালাসেমিয়া হয়ে থাকে।
🕶️ একটি জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে কিছুটা কম উপসর্গ দেখা যায়। একে বলা হয় বিটা থ্যালাসেমিয়া মাইনর বা বিটা থ্যালাসেমিয়া ট্রেট।
🕶️ দু'টি জিন ত্রুটিপূর্ণ হলে মাঝারি থেকে মারাত্মক উপসর্গ দেখা যায়। একে বলে বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর অথবা হাইড্রপস ফিটালিস।

👤নবজাতক যে শিশুদের এই সমস্যা থাকে, তারা কিন্তু জন্মের সময়ে বেশ স্বাস্থ্যবান হয়। তবে জন্মের প্রথম দু'বছরের মধ্যেই এর উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।
-------

এ রোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
এ জন্য অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তিনি যথাযথ ওষুধে চিকিৎসা করবেন।
💊রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রেঃ সিয়ানোথাস, অ্যাসিড সালফ, ফেরাম মেট, আর্সেনিক এ্যালব, অ্যান্ড্রাগ্রাফিস, চায়না, কার্ডুয়াস মেরি, ক্যালকেরিয়া ফ্লোর, ইউক্যালিপটাস, থুজা, মেডোরিনামসহ, লক্ষণের উপর ভিত্তি করে অনেক ওষুধ আসতে পারে।
------------------------------------
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ
🩺 ডাঃ মামদুদুর রহমান
লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার
রংপুর. 📞01616210125।
রোগী দেখার সময়ঃ
বিকাল ০৫.০০ হতে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।

শিশুর ভয়/উদ্বেগের (Fear/Anxiety) হোমিওপ্যাথিক নিরাময়ঃভয় এই অনুভূতিটির সঙ্গে পরিচিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে...
07/08/2023

শিশুর ভয়/উদ্বেগের (Fear/Anxiety) হোমিওপ্যাথিক নিরাময়ঃ

ভয় এই অনুভূতিটির সঙ্গে পরিচিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে মানুষের এই সাধারণ অনুভূতিটি কখনো কখনো রোগের লক্ষণ হয়ে দেখা দেয়। শিশুকাল ভয় অনুভূতিটির সঙ্গে পরিচিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। শিশুর বয়স যখন ৬-৭ মাস তখন থেকেই সে ভয় পাওয়ার অভিব্যক্তি দেখায়। স্বাভাবিক ভাবে বিকশিত হতে থাকা একটি শিশু এই সময় তার মা বা আপনজন তার চোখের আড়ালে যেতে দিতে চায় না। মা বা আপনজনকে দেখতে না পেলে কান্নাকাটি করে, বিরক্ত হয়। মা বা তার ঘনিষ্ঠজনকে খুঁজতে থাকে। ভয় অনুভূতিটার সঙ্গে এভাবেই প্রথম পরিচয় ঘটে।

আবার শিশুর আশপাশে অপরিচিত কেউ উপস্থিত হলেও শিশুটি বিরক্ত হয়, কান্নাকাটি করে, বা আরও সোজা কথায় বলতে পারি ভয় পায়। এই পরিবর্তন গুলো ২-৩ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিষয়গুলো শিশুর মধ্য থেকে চলে যাবার কথা। যদি না যায় তাহলেই এটাকে এসটা সমস্যা হিসেবে আমরা চিহ্নিত করতে পারি।কোনো অজানা পরিস্থিতি কিংবা যখন আমাদের নিরাপত্তাবোধ হুমকির মুখে- এ ধরনের কোনো বিষয় যখন আমাদের চিন্তায় আসে তখন আমদের শারীরিক এবং মানসিক কিছু পরিবর্তন ঘটে। বিবর্তনের ধারায় মানুষের শরীরবৃত্তীয় এবং মানসিক এই পরিবর্তন গুলোর একটি নির্দিষ্ট ধারা তৈরি হয়ে আছে। এই পরিবর্তন গুলো দিয়ে মানুষ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক হয়, নিজের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে পারে।বিপদ আসন্ন বা খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে এই অনুভূতিগুলো এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন সব কিছু মিলিয়েই প্রচলিত অর্থে আমরা উদ্বেগ বা ইংরেজিতে ANXIETY বলে থাকি। এবং উদ্বেগের পার্থক্য হচ্ছে প্রথমটি নির্দিষ্ট একটি চেনা পরিবেশ বা বস্তুর প্রতি হঠাৎ সতর্ক হয়ে যাওয়া আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে অচেনা, মনের ভেতরের, বিবাদমান পরিস্থিতিতে হওয়া অনির্দিষ্ট ভাবে সতর্ক হওয়ার অনুভূতি।

🧌🗣️👤ভয় বা উদ্বিগ্নতার জন্য যে পরিবর্তন গুলো ঘটে, তাদের আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।
শারীরিক
এবং মানসিক।

পরিবর্তনের মধ্যে দেখা যায় মাথা ব্যথা, মাথার ভেতর হালকা মনে হওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, ঘাড় ব্যথা, মুখ শুকিয়ে আসা বা পিপাসা লাগা, কাঁপুনি, হাত-পা ঠাণ্ডা অথবা অবশ হয়ে আসা, বুক ধড়ফড় করা, হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া, শ্বাসকষ্ট, প্রস্রাব আটকে যাওয়া, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, পেটের ভেতর অস্বস্তি ভাব, ঘুমের ব্যঘাত।
পরিবর্তন গুলোর মধ্যে আরও রয়েছেঃ মনোযোগের ব্যঘাত, সিদ্ধান্তহীনতা, অনিশ্চয়তার আশঙ্কা, মৃত্যু ভয়, স্মরণশক্তি হ্রাস, অকারণেই বিরক্ত বোধ করা, শব্দের প্রতি অতিরিক্ত স্পর্শকাতরতা অস্থিরতাসহ নানা উপসর্গ।

🍷🥤হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা-

১। Aconite Nap: রোগের হঠাৎ আক্রমণ। শিশু হঠাৎ ভয় পেয়ে কেঁপে উঠে, মৃত্যু ভয়, অস্থিরতা, বুক ধড়ফড় করা। নিজ ঘরে একা থাকতে পছন্দ, লোকজন কোলাহল অপছন্দ। ভয় পেয়ে কোন রোগের উতপত্তি।
🧉ভোগকাল সাপেক্ষে ১x-৩০ শক্তি।

২। Argent Nit: সর্বদা কথা বলার ইচ্ছা, সঙ্গ পছন্দনীয়। শুস্ক ক্ষীণদেহ, ক্ষয়িত মাংস, চোখ কোটরাগত। মাথার ভেতর যেন সুড়সুড় করে পোকা হাঁটতেছে। দ্রুত চলাচল করে, দ্রুত কথা বলে, উদ্বিগ্ন, উত্তেজিত, নার্ভাস।

৩। Belladona: শিশু ভয় পেয়ে চোখ মুখ লাল, হাত-পা কাঁপে।
🧉৩x-৬ শক্তি ফলপ্রদ।

৪। Canabis Ind: মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখা বা মৃত ব্যক্তি নিয়ে ভয়ের কোন স্বপ্ন দর্শণ। মনে করে সে পাগল হবে, অনবরত মাথা নাড়ে, কথা বলে। কথা বলতে বলতে ভুলে যায়, গুছিয়ে বলতে পারেনা।
🧉৩০-২০০ শক্তি উপকারী।

৫। Kali Brom: ঘুমের ঘোরে শিশু আঁতকে উঠে কাঁদতে থাকে, শরীর কাঁপে। লেখাপড়া বা বিজনেজ সংক্রান্ত মানসিক পরিশ্রম থেকে উদ্বেগ, ফোবিয়া। মস্তিস্ক শূণ্য ভাব, মাথার ভেতর যেন সুড়সুড় করে পোকা হাঁটতেছে এমন অনুভব, ক্ষুধা লোপ, অনিদ্রা,স্মরণশক্তি হ্রাস।
🧉২০০-১এম শক্তি প্রযোজ্য।

৬। O***m: ভূত প্রেতের ভয় কিংবা অদৃশ্য কাল্পনিক বস্তু দেখে ভয় পেয়ে কোন রোগের সূত্রপাত। 🧉৩০-২০০ শক্তি।

৭। Arsenic Album: মৃত্যু ভয়, একলা থাকতে পারেনা।
🧉৩০- পর্যায়ক্রমে উচ্চশক্তি।

৮। Chloral Hydrate: শিশু ঘুম থেকে ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠে।

💊 বায়োকেমিক ঔষধ :
Kali Phos: নিদ্রাকালে বিভিন্ন স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে আঁতকে উঠে। 🧉১২x শক্তি।
------------------------------------
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন-
🩺 ডাঃ মামদুদুর রহমান
লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার
রংপুর. 📞01616210125।
রোগী দেখার সময়ঃ
বিকাল ০৫.০০ হতে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।

🤡👺 শিশুর জেদ, অতিরিক্ত রাগসহ বেশ কিছু সমস্যার হোমিওপ্যাথিক প্রতিকারঃ💊 শিশুদের লক্ষনের উপর ভিত্তি করে কিছু হোমিওপ্যাথি ঔষ...
07/08/2023

🤡👺 শিশুর জেদ, অতিরিক্ত রাগসহ বেশ কিছু সমস্যার হোমিওপ্যাথিক প্রতিকারঃ

💊 শিশুদের লক্ষনের উপর ভিত্তি করে কিছু হোমিওপ্যাথি ঔষধ---

১। Staphysagri (২০০--) : সামান্য কথাতেই রাগ এলে, নিজেকে সামলাতে না পারলে, রাগে জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলতে থাকলে, জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করতে থাকে।

২। Tuberculinum (২০০ বা ১ মি): শিশুদের যদি খুব জেদী বা রাগি হয়, কিছুতেই তাকে খুশি করা না যায়, না হাসে, কাউকে ভয় না পায়, লাথি বা ঘুষি দেখায়।

৩। Baryta Carbonica (২০০ বা ১ মি): লাজুক, ভীতু, কিছু হলেই কোনো জিনিস বা মায়ের পেঁছনে লুকোতে থাকে, অচেনা লোকদের ভয় পেলে, মন বা শরীর অবিকাশিত হয়ে থাকলে, অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলাধূলা না করলে।

৪। Sulphur (২০০ বা ১ মি): জেদী, কারোর পরোয়া করে না, যেটা মনে আসে সেইটাই করে বা বলে।

৫। Baryta Carbonica (২০০, বা ১ মি): শিশুদের বিকাশ যদি খুব ধীর গতিতে হতে থাকে, যেমন হাঁটতে শেখা, কথা বলা, দাঁত গজানো, ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি।

৬। Aurum Muriaticum Natronatum (৬ বা ৩০ ): অন্ডকোষ যদি নিচে না নামে।

৭। Tuberculinum (২০০ বা ১ মি ): দুধে যদি এলার্জি হয়।

৮। Hepar Sulph ৩০/ Acid Sulph ৩০: শিশুদের গা থেকে টকগন্ধ বেরোলে।

৯। Natrum Muriaticum ৩০ঃ শিশুদের যদি দেরীতে কথা বলতে শেখে।

১০। Calcarea Carb (২০০ বা ১ মি ): শিশুদের যদি দেরীতে হাঁটতে শেখে।

১১। Aethusa ৩০ঃ দুর্বলতার কারণে মাথার বোঝ যদি সামলাতে না পারে।

১২। Zincum Metallicum ৩০ঃ শারীরিক বা মানসিক দুর্বলতা।

১৩। Ignatia (২০০ বা ১ মি): ভয় বা শাস্তির কারণে হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যাওয়া।

১৪। Silicea (২০০ বা ১ মি): শিশুদের যদি ঠান্ডা বেশি লাগে।

১৫। Thuja (২০০ বা ১ মি): শিশুদের টীকা দেওয়ার পর অসুস্থতা।

১৬। Calcarea Carb (২০০ বা ১ মি): শিশুদের যখন খুব জেদ হয়, মোটা হতে থাকে।

১৭। O***m (২০০ বা ১ মি): যখন শিশুরা মিথ্যে কথা বলা বা চুরি করার মনোবৃত্তি এসে যায়।
------------------------------------
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন-
🩺 ডাঃ মামদুদুর রহমান
লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার
রংপুর. 📞01616210125।
রোগী দেখার সময়ঃ
বিকাল ০৫.০০ হতে রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।

Address

Satmatha
Rangpur
5400

Telephone

+8801616210125

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when লাবিব হোমিওপ্যাথিক সেন্টার৷ Labib Homeopathic Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram