07/03/2025
উপন্যাস: মিমের ঠিকানা (পরবর্তী অধ্যায়)
অধ্যায় ৪: রহস্যের পথে
চিঠিগুলো পেয়ে মিমের মনে একটাই প্রশ্ন—এগুলো কে লিখেছে? কোথা থেকে এসেছে?
সে পুরোনো বইগুলো খুঁজে দেখতে লাগল। একদিন লাইব্রেরির বৃদ্ধ লাইব্রেরিয়ান তাকে ডেকে বললেন,
— “তোমার কি এই লেখাগুলো খুব পরিচিত লাগছে?”
মিম অবাক হয়ে বলল,
— “হ্যাঁ! আপনি জানেন কে লিখেছে?”
লাইব্রেরিয়ান হেসে বললেন,
— “অনেক বছর আগে এখানে একজন মেয়ে আসত, ঠিক তোমার বয়সী। সেও সবসময় নতুন কিছু শিখতে চাইত, নতুন কিছু লিখতে চাইত। তার নাম ছিল... মেহজাবিন।”
মিম হতভম্ব হয়ে গেল। মেহজাবিন! এ তো তার মা’র আসল নাম! কিন্তু মা তো কখনো বলেননি তিনি লেখালেখি করতেন! তাহলে?
অধ্যায় ৫: মায়ের গোপন গল্প
রাতে বাসায় ফিরে মিম তার মায়ের পুরোনো জিনিসপত্র খুঁজতে লাগল। একটা পুরোনো ডায়েরি পেল, যার প্রথম পাতায় লেখা ছিল—
"আমি একদিন লিখতে চাইব এমন গল্প, যেখানে প্রতিটি শব্দ হবে স্বাধীন।"
মিম অবাক হয়ে মাকে জিজ্ঞেস করল,
— “মা, তুমি কি আগে লিখতে?”
তার মা একটু চুপ করে রইলেন, তারপর মৃদু হাসলেন,
— “হ্যাঁ, লিখতাম। কিন্তু জীবন কখনো কখনো আমাদের স্বপ্ন থামিয়ে দেয়, মিম।”
মিম চোখে জল চলে এল।
— “তাহলে তুমি কেন থেমে গেলে, মা?”
মা মৃদু কণ্ঠে বললেন,
— “কারণ তখন আমার সবচেয়ে বড় গল্পটা ছিল তুমি।”
অধ্যায় ৬: নতুন শুরু
মিম বুঝতে পারল, সে শুধু নিজের স্বপ্ন নয়, মায়ের স্বপ্নও বয়ে নিয়ে চলেছে। মা তার স্বপ্নগুলো ভুলে গিয়েছিলেন সংসারের চাপে, কিন্তু মিম আর ভুলবে না।
পরের দিন, সে নিজের লেখাগুলো বের করে আবার লেখা শুরু করল। এবার শুধু নিজের জন্য নয়, মায়ের জন্যও।
চিঠির রহস্য সমাধান হয়েছে, কিন্তু মিমের নতুন গল্পের শুরু এখান থেকেই!
(শেষ)