20/09/2020
♦ #পরিচিতি: এটি একটি রক্ত পরিসঞ্চালন জনিত জটিল রোগ। এটি সাধারনত রক্ত দেওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে হয়ে থাকে।যখন
আমাদের শরীরে রক্তের প্রয়োজন হয় তখন নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে রক্ত নিয়ে থাকি( যেমন মা,বাবা,ভাই,বোন,ছেলে,মেয়ে)। এই রক্তকে রোগীর শরীরের রক্ত বাইরের রক্ত ভাবে এবং এর বিরুদ্ধে এ্যান্টিবডি নামক প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করে। বিপরীত প্রক্রিয়াও হয় আর তখন ই বেশি সমস্যা হয়ে থাকে।রোগীর রক্তের বিরুদ্ধে এ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং রক্তের কনিকা গুলো ভেংগে ফেলে। এর ফলে আমাদের শরীরে রক্ত কমতে থাকে এবং অন্যান্য জটিল উপসর্গ দেখা দেয়।
👨👨👦স্বামীর রক্ত স্ত্রী কে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারন বাচ্চার রক্ত সম্পর্কিত জটিল রোগ হয় এবং বাচ্চা মারা যায় জন্মের আগে অথবা জন্মের কয়েক ঘন্টার মধ্যে।
♦ #উপসর্গঃ রক্তশূন্যতা,জন্ডিস,লাল লাল র্যাশ,ডায়ারিয়া,শ্বাসকষ্ট,প্রেসার কমে যাবে,পালস বেড়ে যাবে।
♦ #প্রতিরোধঃ এই রোগের নির্ধারিত কোন প্রতিরোধ অথবা চিকিৎসা নেই।এই রোগটি একবার হয়ে গেলে এর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ৯০%।কারন অনেকেই বুঝতেই পারিনা।
♦ #প্রতিকার: আমদের নিকট আত্মীয়(মা,বাবা,ভাই,বোন,স্বামী,স্ত্রী,ছেলে,মেয়ে) থেকে রক্ত নেওয়া বন্ধ করতে হবে যদি বিকল্প ব্যবাস্থা থাকে।
সহজে আমরা শরীরে রক্ত পরিসঞ্চালন করবনা যদি ইমারজেন্সি না হয় (সুষম খাবারে মাধ্যমে তা পুরন করার চেষ্টা করতে হবে) ।রক্ত দেওয়ার আগে ভালোভাবে ক্রস ম্যাচিং এবং প্রয়োজন হলে রিভার্স ক্রস ম্যাচিং করে নিতে হবে।
আসুন আমরা নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি।
" রক্ত দিন জীবন বাঁচান "
শারিউল ইসলাম
৪র্থ বর্ষ
যশোর মেডিকেল কলেজ,যশোর