04/05/2025
দাঁতের যত্নে যা যা করতে পারেন:
দাঁতের যত্ন নেওয়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গের যত্নের মতোই জরুরি। সুস্থ দাঁত শুধু সুন্দর হাসিই দেয় না, বরং খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে হজম করতে এবং স্পষ্ট উচ্চারণে কথা বলতেও সাহায্য করে। দাঁতের সঠিক যত্ন না নিলে দাঁতে পোকা লাগা (ডেন্টাল ক্যারিজ), মাড়ির রোগ (জিনজিভাইটিস, পেরিওডন্টাইটিস), দাঁত ব্যথা এবং মুখের দুর্গন্ধের মতো সমস্যা হতে পারে। তাই দাঁতের যত্ন নেওয়া অত্যাবশ্যক।
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা: প্রতিদিন অন্তত দুবার, সকালে নাস্তার পরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে নরম ব্রিসলের টুথব্রাশ ও ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। প্রতিটি দাঁতের ভেতরের ও বাইরের দিক এবং জিহ্বার উপরের অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। ব্রাশ করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না, অন্তত দুই মিনিট ধরে ব্রাশ করুন।
জিহ্বা পরিষ্কার করা: দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি জিহ্বাও পরিষ্কার করা জরুরি। জিহ্বাতে অনেক জীবাণু ও খাদ্যকণা জমে থাকে যা মুখের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। টাং স্ক্র্যাপার বা টুথব্রাশের উল্টো দিক দিয়ে হালকাভাবে জিহ্বা পরিষ্কার করুন।
ফ্লস ব্যবহার করা: দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যকণা ও জীবাণু ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিন একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করে দাঁতের ফাঁক পরিষ্কার করা উচিত।
মাউথওয়াশ ব্যবহার করা: ফ্লুরাইডযুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। তবে মাউথওয়াশ ব্রাশ ও ফ্লসের বিকল্প নয়।
সুষম খাবার গ্রহণ: চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খান। এগুলো দাঁতের ক্ষয়ের প্রধান কারণ। ফল, সবজি ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান যা দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী।
পর্যাপ্ত জল পান করা: পর্যাপ্ত জল পান করলে মুখ পরিষ্কার থাকে এবং খাদ্যকণা দাঁতের ফাঁকে জমতে পারে না।
নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া: বছরে অন্তত দুবার ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত পরীক্ষা করানো উচিত। ডেন্টিস্ট দাঁতের কোনো সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে এবং সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন।
দাঁত থাকুক ঝকঝকে, হাসি থাকুক অমলিন।
আসুন সবাই দাঁতের যত্ন নেই, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি।
মনে রাখবেন, একটু সচেতনতা ও নিয়মিত পরিচর্যা আপনার দাঁতকে দীর্ঘকাল সুস্থ রাখতে পারে।