RDR marriage media

RDR marriage media Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from RDR marriage media, Marriage Therapist, Sapahar.

find your life partner
good life happy family
⎯⃝ Ⓑʳ𝕆🎀
সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য পাত্র-পাত্রী প্রত্যাশিত ভাইবোনদের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান
আর ডি আর ম্যারেজ মিডিয়া

RDR marriage media
11/07/2024

RDR marriage media

দ্বীনদার পাত্রী চাই বিস্তারিত তথ্য দিয়ে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।আসসালামু আলাইকুম।নাম: পিতা:মাতা :ব্লাড গ্রুপ :জন্মসাল : জন...
11/07/2024

দ্বীনদার পাত্রী চাই বিস্তারিত তথ্য দিয়ে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।
আসসালামু আলাইকুম।

নাম:
পিতা:
মাতা :
ব্লাড গ্রুপ :
জন্মসাল :
জন্মস্থান:
ঠিকানা: গ্রাম/রাস্তা:
বর্তমান ঠিকানা :
ঠিকানা:
পেশা :

বৈবাহিক অবস্থা:

পরিবারের অবস্থান :

উচ্চতা :

গায়ের বর্ণ :

ধর্ম :

ওজন :

পড়াশোনা :

বাবার পেশা :

মায়ের পেশা :

ভাই/বোন :
অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার:
পাত্র-পাত্রী ছবি
যেমন পাত্র/পাত্রী চাই :

জাজাকআল্লাহ খাইরান।

বিয়ের উদ্দেশ্যবিয়ের বহুমুখী উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমন—বিভিন্ন গুনাহ ও পাপাচার থেকে নিজেকে সংবরণ করার মাধ্যমে দ্বিন ও ঈমানের হ...
16/05/2024

বিয়ের উদ্দেশ্য
বিয়ের বহুমুখী উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমন—বিভিন্ন গুনাহ ও পাপাচার থেকে নিজেকে সংবরণ করার মাধ্যমে দ্বিন ও ঈমানের হেফাজত করা, নারীজাতির তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, বৈধ পন্থায় মানববংশের বিস্তার ঘটানো, নবীজি (সা.)-এর একটি মহৎ সুন্নাতকে বাস্তবায়ন করা ইত্যাদি। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, বিয়ে আমার সুন্নাত, যে তা পালন করবে না সে আমার দলভুক্ত নয়। (মুসলিম, হাদিস ১৪০০, ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৮৪৬, ফাতহুল কদির : ৩/১৮৭, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৬/২২)

"বিয়ের পর নিজের মনের মত বানিয়ে নেওয়া"যে ছেলেটা ২৬ বছর ধরে আল্লাহর অবাধ্যতা করে আসছে, আল্লাহর কাছে সিজদাবত হয়নি, কখনো রোজ...
10/05/2024

"বিয়ের পর নিজের মনের মত বানিয়ে নেওয়া"

যে ছেলেটা ২৬ বছর ধরে আল্লাহর অবাধ্যতা করে আসছে, আল্লাহর কাছে সিজদাবত হয়নি, কখনো রোজা রাখেনি তাকে বিয়ের পর আপনি আল্লাহর একান্ড বাধ্যগত বান্দা বানিয়ে ফেলবেন, নামাজে পা বন্দি করা ফেলবেন, রোজদার বানিয়ে ফেলবেন এমন ভাবা নিতান্তই আপনার আবেগ।

যে মেয়ে বাইশ বছর ধরে পর্দা করেনি, অসংখ্য ছেলে বন্ধুদের সাথে মেশামেশি করে বড় হয়েছে, মাহরাম নন-মাহরামে যাচাই বাছাই এ তো-য়া-ক্কা করেনি, যার চরিত্রে দ্বীনদারিতার ছিটে ফোটে নেই তাকে বিয়ের পর সাচ্চা পর্দানশীল বানিয়ে ফেলবেন, তার ছেলে বন্ধুদের থেকে দূরে রাখবেন বা দ্বীনদার বানিয়ে ফেলবেন এমন ভাবাও আপনার নিছক কল্পনা। এটাও আবেগ।

বিয়ের পাত্র-পাত্রী এর ক্ষেত্রে একটু ছাড় দিতেই অনেক কিছু হারিয়ে যায় যদি দ্বীনদারিতা/চরিত্রে ছাড় দেওয়া হয়।

তাই বিয়ের আগেই দেখে শুনে ভেবে বিয়ে করুন, বিয়েটা শুধু সারাজীবনের নয়, মরনের পরেরও। আপনার জান্নাতী বা জা/হা/ন্না/মী হবার ব্যাপারগুলোও এটার সাথে রিলেটেড হয়ে যায়।

অতএব, বিয়ে তো করি, বিয়ের পর নিজের মত বানিয়ে নিবনি এটা ভুল ধারণা।

অনেকে বলবে, বিয়ের পর যদি দুয়া করি আল্লাহ তো হেদায়াত দিতেও পারেন?

হ্যাঁ, আল্লাহ তায়ালাই হেদায়াতের মালিক, তিনি হেদায়াত দিলে, অন্তর পরিবর্তন করে দিলে তো আলহামদুলিল্লাহ, আর যদি আপনার জীবনসঙ্গীনির তকদীরে আল্লাহ তায়ালা হেদায়াত না লিখে রাখেন? তাহলে তো আপনার ইহ/কাল-পর/কাল দুইটাই গেল!

বিয়ে করা হয় দ্বীনের অর্ধেক পূরনে, যাকে বিয়ে করলে দ্বীনের অর্ধেক পূরণ হবে না, বরং নিজের যেটুকু দ্বীন ছিল সেটুকুও হুম/কির মুখে পড়তে পারে, কি লাভ তাকে বিয়ে করে? আমরা বাস্তববাদী হই।

সংগৃহীত

RDR marriage media
07/05/2024

RDR marriage media

পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে যা করতে বলেছেন নবীজি
বিয়ে-শাদি মানবজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেননা, নারী-পুরুষ সৃষ্টিগতভাবেই একে অপরের পরিপূরক। নারী ছাড়া পুরুষ এবং পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন অসম্পূর্ণ। মানবেতিহাসে সভ্য সমাজে বিয়ে ও পরিবারের গুরুত্ব কখনো কমেনি; বরং আধুনিক সমাজে অধঃপতন থেকে বেছে থাকতে, পরিবার ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জোর দাবি উঠেছে।

বস্তুত, জীবনে বিয়ে-শাদির গুরুত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না। আল্লাহ তাআলা হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করার পর হজরত হাওয়া (আ.)-কে তার জীবনসাথিরূপে সৃষ্টি করেন। তাদের বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে চলমান।পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তাঁর (আল্লাহ) নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও মায়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রুম, আয়াত : ২১)
যেমন পাত্রী নির্বাচন করতে বলেছেন নবীজি

ধরুন, এখন আপনার বিয়ের বয়স হয়েছে। আপনি বিয়ের কথা ভাবছেন। তাহলে জেনে রাখা জরুরি যে কেমন পাত্রী নির্বাচন করা উচিত। পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিক মানদণ্ড হলো দুইটি : সৌন্দর্য ও দ্বীনদারি। অর্থাৎ কোনো নারীকে বিয়ের আগে ধর্তব্য হলো- তার সৌন্দর্য। এরপর তার দ্বীনদারি ও ধার্মিকতা।সুতরাং যদি কোনও পাত্রী পছন্দ হলে, শরিয়তসম্মত পন্থায় বিয়ের জন্য অগ্রসর হোন। তারপর যদি তার দ্বীনদারি ঠিক থাকে, তাহলে বিয়ে করুন। অন্যথায় বর্জন করুন। অর্থাৎ বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রী নির্বাচন ও প্রত্যাখ্যান হয় যেন দ্বীনদারিকে কেন্দ্র করে। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ.) বলেছেন, ‘কোনো পুরুষ যদি কোনও নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তাহলে সর্বপ্রথম তার সৌন্দর্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে। যদি এ ব্যাপারে তার প্রশংসা করা হয়, তাহলে তার দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। দ্বীনের ক্ষেত্রে যদি প্রশংসিত হয়, তাহলে বিয়ে করবে; অন্যথায় দ্বীনের কারণে প্রত্যাখ্যান করবে। কিন্তু এমনটি করা ঠিক নয় যে— প্রথমেই দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে, আর এ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় হলে সৌন্দর্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে; এরপর সৌন্দর্যের ব্যাপারে প্রশংসনীয় না হলে— ফিরিয়ে দেবে। তাহলে এ প্রত্যাখ্যান হবে সৌন্দর্যের কারণে; দ্বীনের কারণে নয়।’ (শরহু মুনতাহাল ইরাদাত, লিল-ইমাম বুতি : ২/৬২১)সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে যা খেয়াল রাখতে বলেছেন নবীজি

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে, তখন সম্ভব হলে— তার এমন কিছু যেন দেখে নেয়, যা তাকে বিবাহে উৎসাহিত করে।’
বর্ণনাকারী বলেন, আমি একটি মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেবার পর তাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা-অন্তরে গোপন রেখেছিলাম। অতঃপর আমি তার মাঝে এমন কিছু দেখি— যা আমাকে তাকে বিয়ে করতে আকৃষ্ট করল। অতঃপর আমি তাকে বিয়ে করি।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২০৮২)
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! কোন স্ত্রী সর্বোত্তম? তিনি বলেন, ‘(স্বামী) যে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে পুলকিত হয়, কোনো নির্দেশ দিলে আনুগত্য করে এবং সে তার নিজস্ব ব্যাপারে বা তার অর্থ-সম্পদের ব্যাপারে স্বামী যেটা অপছন্দ করে— তার বিপরীত কিছু করে না।’ (মুসনাদে আহমদ, সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সহিহা; হাদিস : ১৮৩৮)

সৌন্দর্যের বিষয়টি যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

উল্লেখ্য যে, সৌন্দর্য বলতে কেবল বাহ্যিক রূপ-সৌন্দর্য বোঝায় না। বরং মনন ও সুকুমারবৃত্তির সৌন্দর্যও এর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ বিশেষ গুণ-বৈশিষ্ট্য, জ্ঞান, মেধা, যোগ্যতা ও বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদিও অপরিহার্য। যদিও মানুষ কারো গুনাগুণ বিচারের আগে তার বাহ্যিক রূপ-সৌন্দর্য অবলোকন করে।

প্রসঙ্গত, বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয়টি আপেক্ষিক। কারণ, সবার দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়। একজনের কাছে কাউকে আকর্ষণীয় মনে হলেও অন্যের কাছে তা নাও হতে পারে। কারও কাছে ফর্সা ভালো লাগে, আবার কারও কাছে ভালো লাগে মৃদু শ্যামলা।
সুতরাং বিয়ের আগে এ বিবেচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, মনের পরিতৃপ্তি ও প্রশান্তি অর্জন করা। চরিত্রের সুরক্ষা ও চোখ অবনমিত রাখার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আপনি যদি এমন নারীকে বিয়ে করেন, যার দিকে তাকালে আপনার মনে আকর্ষণ সৃষ্টি হয় কিংবা ভালো লাগে, তাহলে স্বভাবতই মনে প্রশান্তি আসবে। পাশাপাশি পরনারী থেকে দৃষ্টি অবনমিত রাখতে সহায়ক হবে। (তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- তাকওয়া বা আল্লাহভীতি)। কারণ, এই সৌন্দর্য ও আকর্ষণবোধ ছাড়া দাম্পত্যজীবনে বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়।
দ্বীনদারির ক্ষেত্র যেমন হওয়া চাই

আল্লাহর রাসুল (সা.) দ্বীনদার মেয়েকে বিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, ‘নারীদের (সাধারণত) চারটি বিষয় দেখে বিয়ে করা হয়। যথা: ক. তার ধন-সম্পদ। খ. বংশমর্যাদা। গ. রূপ-সৌন্দর্য। ঘ. দ্বীনদারি বা ধার্মিকতা। তবে তুমি দ্বীনদার (ধার্মিক) নারীকে বিয়ে করে সফল হও; অন্যথায় তুমি লাঞ্ছিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০৯০; মুসলিম, হাদিস : ১৪৬৬; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২০৪৭)
আর এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ধার্মিকতা ও নীতি- নৈতিকতা হীন নারী একজন পুরুষের জন্য এবং তার পরিবার ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মারাত্মক ফিতনা, অশান্তি এবং ধ্বংসের কারণ।

পাত্র নির্বাচনে কোন বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে?

প্রসঙ্গত মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে চরিত্রবান ও দ্বীনদার যুবককে অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ। কেননা, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের নিকট এমন কোনো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, যার চরিত্র ও দ্বীনদারিতে তোমরা সন্তুষ্ট; তবে তোমরা তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দাও। যদি তোমরা তা না করো, তবে তা পৃথিবীতে বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং ব্যাপক বিশৃঙ্খলার কারণ হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস :১০৮৪; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৯৬৭)

বিশেষ করে চরিত্রবান, সভ্য-শিষ্টাচারসম্পন্ন ও সঠিক আকিদা-বিশ্বাসের কোনো যুবক পেলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেননা, তার মধ্যেই প্রকৃত দ্বীন পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি কোনো মেয়ের বিয়ে বিলম্ব হয়ে যাওয়ার কারণে ঈমানের কমতি ও চারিত্রিক স্খলনের আশঙ্কা করে এবং উত্তম দ্বীনদার পাত্র পাওয়া না যায়; তাহলে তুলনামূলক যাকে ভালো পাওয়া যায়, তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া যেতে পারে। আল্লাহ সাহায্যকারী।
আল্লাহ তাআলা প্রতিটি পুরুষ-নারীকে তার পছন্দ মতো মানুষকে বিয়ে করার তাওফিক দিন। সুস্থ ও সুন্দর দাম্পত্যজীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে যা করতে বলেছেন নবীজিবিয়ে-শাদি মানবজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেননা, নারী-পুরুষ সৃষ্টিগতভাবেই...
07/05/2024

পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে যা করতে বলেছেন নবীজি
বিয়ে-শাদি মানবজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেননা, নারী-পুরুষ সৃষ্টিগতভাবেই একে অপরের পরিপূরক। নারী ছাড়া পুরুষ এবং পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন অসম্পূর্ণ। মানবেতিহাসে সভ্য সমাজে বিয়ে ও পরিবারের গুরুত্ব কখনো কমেনি; বরং আধুনিক সমাজে অধঃপতন থেকে বেছে থাকতে, পরিবার ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জোর দাবি উঠেছে।

বস্তুত, জীবনে বিয়ে-শাদির গুরুত্ব বলার অপেক্ষা রাখে না। আল্লাহ তাআলা হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করার পর হজরত হাওয়া (আ.)-কে তার জীবনসাথিরূপে সৃষ্টি করেন। তাদের বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে চলমান।পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তাঁর (আল্লাহ) নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও মায়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রুম, আয়াত : ২১)
যেমন পাত্রী নির্বাচন করতে বলেছেন নবীজি

ধরুন, এখন আপনার বিয়ের বয়স হয়েছে। আপনি বিয়ের কথা ভাবছেন। তাহলে জেনে রাখা জরুরি যে কেমন পাত্রী নির্বাচন করা উচিত। পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিক মানদণ্ড হলো দুইটি : সৌন্দর্য ও দ্বীনদারি। অর্থাৎ কোনো নারীকে বিয়ের আগে ধর্তব্য হলো- তার সৌন্দর্য। এরপর তার দ্বীনদারি ও ধার্মিকতা।সুতরাং যদি কোনও পাত্রী পছন্দ হলে, শরিয়তসম্মত পন্থায় বিয়ের জন্য অগ্রসর হোন। তারপর যদি তার দ্বীনদারি ঠিক থাকে, তাহলে বিয়ে করুন। অন্যথায় বর্জন করুন। অর্থাৎ বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রী নির্বাচন ও প্রত্যাখ্যান হয় যেন দ্বীনদারিকে কেন্দ্র করে। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ.) বলেছেন, ‘কোনো পুরুষ যদি কোনও নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, তাহলে সর্বপ্রথম তার সৌন্দর্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে। যদি এ ব্যাপারে তার প্রশংসা করা হয়, তাহলে তার দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। দ্বীনের ক্ষেত্রে যদি প্রশংসিত হয়, তাহলে বিয়ে করবে; অন্যথায় দ্বীনের কারণে প্রত্যাখ্যান করবে। কিন্তু এমনটি করা ঠিক নয় যে— প্রথমেই দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে, আর এ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় হলে সৌন্দর্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে; এরপর সৌন্দর্যের ব্যাপারে প্রশংসনীয় না হলে— ফিরিয়ে দেবে। তাহলে এ প্রত্যাখ্যান হবে সৌন্দর্যের কারণে; দ্বীনের কারণে নয়।’ (শরহু মুনতাহাল ইরাদাত, লিল-ইমাম বুতি : ২/৬২১)সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে যা খেয়াল রাখতে বলেছেন নবীজি

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে, তখন সম্ভব হলে— তার এমন কিছু যেন দেখে নেয়, যা তাকে বিবাহে উৎসাহিত করে।’
বর্ণনাকারী বলেন, আমি একটি মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেবার পর তাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা-অন্তরে গোপন রেখেছিলাম। অতঃপর আমি তার মাঝে এমন কিছু দেখি— যা আমাকে তাকে বিয়ে করতে আকৃষ্ট করল। অতঃপর আমি তাকে বিয়ে করি।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২০৮২)
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! কোন স্ত্রী সর্বোত্তম? তিনি বলেন, ‘(স্বামী) যে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে পুলকিত হয়, কোনো নির্দেশ দিলে আনুগত্য করে এবং সে তার নিজস্ব ব্যাপারে বা তার অর্থ-সম্পদের ব্যাপারে স্বামী যেটা অপছন্দ করে— তার বিপরীত কিছু করে না।’ (মুসনাদে আহমদ, সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সহিহা; হাদিস : ১৮৩৮)

সৌন্দর্যের বিষয়টি যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

উল্লেখ্য যে, সৌন্দর্য বলতে কেবল বাহ্যিক রূপ-সৌন্দর্য বোঝায় না। বরং মনন ও সুকুমারবৃত্তির সৌন্দর্যও এর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ বিশেষ গুণ-বৈশিষ্ট্য, জ্ঞান, মেধা, যোগ্যতা ও বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদিও অপরিহার্য। যদিও মানুষ কারো গুনাগুণ বিচারের আগে তার বাহ্যিক রূপ-সৌন্দর্য অবলোকন করে।

প্রসঙ্গত, বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয়টি আপেক্ষিক। কারণ, সবার দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়। একজনের কাছে কাউকে আকর্ষণীয় মনে হলেও অন্যের কাছে তা নাও হতে পারে। কারও কাছে ফর্সা ভালো লাগে, আবার কারও কাছে ভালো লাগে মৃদু শ্যামলা।
সুতরাং বিয়ের আগে এ বিবেচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, মনের পরিতৃপ্তি ও প্রশান্তি অর্জন করা। চরিত্রের সুরক্ষা ও চোখ অবনমিত রাখার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আপনি যদি এমন নারীকে বিয়ে করেন, যার দিকে তাকালে আপনার মনে আকর্ষণ সৃষ্টি হয় কিংবা ভালো লাগে, তাহলে স্বভাবতই মনে প্রশান্তি আসবে। পাশাপাশি পরনারী থেকে দৃষ্টি অবনমিত রাখতে সহায়ক হবে। (তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- তাকওয়া বা আল্লাহভীতি)। কারণ, এই সৌন্দর্য ও আকর্ষণবোধ ছাড়া দাম্পত্যজীবনে বেশি দূর যাওয়া সম্ভব নয়।
দ্বীনদারির ক্ষেত্র যেমন হওয়া চাই

আল্লাহর রাসুল (সা.) দ্বীনদার মেয়েকে বিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, ‘নারীদের (সাধারণত) চারটি বিষয় দেখে বিয়ে করা হয়। যথা: ক. তার ধন-সম্পদ। খ. বংশমর্যাদা। গ. রূপ-সৌন্দর্য। ঘ. দ্বীনদারি বা ধার্মিকতা। তবে তুমি দ্বীনদার (ধার্মিক) নারীকে বিয়ে করে সফল হও; অন্যথায় তুমি লাঞ্ছিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০৯০; মুসলিম, হাদিস : ১৪৬৬; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২০৪৭)
আর এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ধার্মিকতা ও নীতি- নৈতিকতা হীন নারী একজন পুরুষের জন্য এবং তার পরিবার ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মারাত্মক ফিতনা, অশান্তি এবং ধ্বংসের কারণ।

পাত্র নির্বাচনে কোন বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে?

প্রসঙ্গত মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে চরিত্রবান ও দ্বীনদার যুবককে অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ। কেননা, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের নিকট এমন কোনো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, যার চরিত্র ও দ্বীনদারিতে তোমরা সন্তুষ্ট; তবে তোমরা তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দাও। যদি তোমরা তা না করো, তবে তা পৃথিবীতে বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং ব্যাপক বিশৃঙ্খলার কারণ হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস :১০৮৪; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৯৬৭)

বিশেষ করে চরিত্রবান, সভ্য-শিষ্টাচারসম্পন্ন ও সঠিক আকিদা-বিশ্বাসের কোনো যুবক পেলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেননা, তার মধ্যেই প্রকৃত দ্বীন পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি কোনো মেয়ের বিয়ে বিলম্ব হয়ে যাওয়ার কারণে ঈমানের কমতি ও চারিত্রিক স্খলনের আশঙ্কা করে এবং উত্তম দ্বীনদার পাত্র পাওয়া না যায়; তাহলে তুলনামূলক যাকে ভালো পাওয়া যায়, তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া যেতে পারে। আল্লাহ সাহায্যকারী।
আল্লাহ তাআলা প্রতিটি পুরুষ-নারীকে তার পছন্দ মতো মানুষকে বিয়ে করার তাওফিক দিন। সুস্থ ও সুন্দর দাম্পত্যজীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

06/05/2024

Address

Sapahar

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when RDR marriage media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram