আল-রাজী হেলথ এন্ড হিজামা সেন্টার Al-Razi Health & Hijama Centre

  • Home
  • Bangladesh
  • Satkhira
  • আল-রাজী হেলথ এন্ড হিজামা সেন্টার Al-Razi Health & Hijama Centre

আল-রাজী হেলথ এন্ড হিজামা সেন্টার Al-Razi Health & Hijama Centre Consultation, Hijama Therapy, Cupping Therapy, Counselling, Psychotherapy, PRP Therapy

30/09/2025
❤️বিশ্ব হার্ট দিবস: সুস্থ হৃদয়ই প্রকৃত সম্পদ❤️প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব হার্ট দিবস। দিনটির মূল ...
29/09/2025

❤️বিশ্ব হার্ট দিবস: সুস্থ হৃদয়ই প্রকৃত সম্পদ❤️

প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব হার্ট দিবস। দিনটির মূল উদ্দেশ্য হলো— হৃদরোগের ক্রমবর্ধমান ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা এবং মানুষকে একটি সুস্থ হৃদয়ের অধিকারী হতে উদ্বুদ্ধ করা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগ বর্তমানে পৃথিবীতে মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ।

❤️দিবসের ইতিহাস ও থিমঃ

১৯৯৯ সালে বিশ্ব হার্ট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনি বায়েস দে লুনা প্রথম হার্ট দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। এরপর ২০০০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এটি প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়। প্রথমে এটি সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার পালিত হলেও ২০১১ সাল থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটিকেই নির্দিষ্ট করা হয়। বর্তমানে ৯০টিরও বেশি দেশ বিভিন্ন প্রচারাভিযান ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করে।

বিশ্ব হার্ট ফেডারেশন প্রতি বছর একটি বিশেষ থিম ঘোষণা করে। ২০২৫ সালের থিম হলো— ‘Don't Miss a Beat’। এই থিমের মাধ্যমে হৃদরোগের লক্ষণ উপেক্ষা না করা, সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া এবং প্রতিরোধমূলক জীবনযাত্রা মানার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পালিত থিমগুলোর মধ্যে ছিল ‘Use Heart for Action’ এবং ‘Use Heart, Know Heart’।

এই দিবসটির মূল গুরুত্ব হলো— হৃদরোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং মানুষকে স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় অনুপ্রাণিত করা। এর মধ্যে রয়েছে: নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা, ধূমপান ও মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্য উদ্যোগ জোরদার করা।

❤️দিনটি যেভাবে পালিত হয়ঃ

বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়। বাংলাদেশেও বিভিন্ন আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—স্কুল, কলেজ ও অফিসে সচেতনতামূলক আলোচনা ও সেমিনার আয়োজন, বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে হার্ট চেক-আপ ক্যাম্প স্থাপন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতামূলক পোস্ট, ওয়েবিনার, পোস্টার প্রতিযোগিতা, ওয়াকাথন, র‍্যালি এবং বিশেষজ্ঞের বক্তব্য ও প্রচারের আয়োজন ইত্যাদি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘সুস্থ হৃদয়ই প্রকৃত সম্পদ’ এবং ‘প্রতিটি হৃদস্পন্দন মূল্যবান’। দ্রুতগতির যান্ত্রিক জীবনযাত্রার কারণে আজকের প্রজন্ম মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও শারীরিক অনিয়মের শিকার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের ২০২২’ বা এসভিআরএস-২০২২ (প্রকাশ ২০২৪) তথ্য অনুসারে, দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ। দেশের মোট মৃত্যুর ২১ শতাংশ ঘটছে হৃদরোগের কারণে। মোট মৃত্যুর ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশের কারণ হার্ট অ্যাটাক।
অন্যদিকে, তালিকার ৮ নম্বরে রয়েছে নানা ধরনের হৃদরোগ, যা মোট মৃত্যুর ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। হার্ট অ্যাটাক ও নানা ধরনের হৃদরোগ মিলিয়ে ২১ দশমিক ১২ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। অর্থাৎ দেশে প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর একটি হচ্ছে হৃদরোগে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বে যে পরিমাণ মানুষ মৃত্যুবরণ করে তার শতকরা ৩১ শতাংশ হৃদরোগের কারণে। বাংলাদেশেও হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। উন্নত আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর জীবনাভ্যাস, অসচেতনতা এসব কারণে হৃদরোগ শুধু বড়দের নয় শিশু-কিশোরদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।

তাই হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে হলে দৈনন্দিন জীবনযাপনে ছোট ছোট বেশ কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। যেমন, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা, ধূমপান ও মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা ইত্যাদি।

বিশ্ব হার্ট ডে শুধু একটি দিন নয়, বরং এটি আমাদের হৃদয়ের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রতিদিনের এক অনস্বীকার্য অঙ্গীকার। বিশেষজ্ঞরা এই দিনটির স্লোগানকে সামনে রেখে বলছেন, ‘ভালোবাসুন আপনার হৃদয়কে, এ টাই আপনার জীবন। আজ যত্ন নিন, কাল বাঁচুন।’

সব মিলিয়ে,
সুস্থ হৃদয় মানে সুস্থতার সাথে দীর্ঘায়ু এবং একটি সুখী সমৃদ্ধ জীবন।
তাই এই দিনের জন্য শুধুমাত্র সচেতনতা নয় বরং প্রতিদিনের জীবনাচরণে পরিবর্তন আনাই আসল লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন।

ডাঃ মোঃ সাইফুল আলম

🛑কোষ্ঠকাঠিন্য কি?পায়খানা কষা বা শক্ত হওয়াকেই মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এটি খুব পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকেরই মাঝ...
26/09/2025

🛑কোষ্ঠকাঠিন্য কি?
পায়খানা কষা বা শক্ত হওয়াকেই মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এটি খুব পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকেরই মাঝে মাঝে পায়খানা খুব শক্ত হয়ে যায়, মলত্যাগের সময় অনেকক্ষণ কসরত করতে হয়। এ ছাড়া পায়খানার পর মনে হয় পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয়নি। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পায়খানা শক্ত হয়, যার কারণে অনেকে মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভব করেন। কারো কারো ক্ষেত্রে একটানা তিন–চারদিন পায়খানা নাও হতে পারে। এগুলো সবই সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পাইলস বা অর্শ রোগ কিংবা এনাল ফিসার বা গেজ রোগ এর মতো পায়ুপথের রোগ তৈরি হতে পারে। পায়খানা কষা কেন হয় তা জেনে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে কোনো প্রকার ঔষধ ছাড়াই সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়েই এই সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব।

🛑কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ কী কী?
সাধারণত সপ্তাহে যদি তিন বারের কম পায়খানা হয়, তবে সেটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যেসব লক্ষণ থাকতে পারে সেগুলো হলো—
➡️পায়খানা শুকনো, শক্ত চাকার মত হওয়া
➡️পায়খানার আকৃতি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়া
➡️পায়খানা করতে কষ্ট হওয়া
➡️পেট পরিষ্কার হচ্ছে না এমন মনে হওয়া
➡️পেটে ব্যথা হওয়া, পেট ফাঁপা লাগা, বা বমি বমি ভাব হওয়া।

🛑কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়?
নানাবিধ কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন ও গুরুত্বপূর্ণ ৬টি কারণ হলো—

১. খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ না থাকা
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা
৩. শুয়ে-বসে থাকা ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
৪. পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা
৫. মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা
৬. ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এই কারণগুলো কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি করে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে এগুলো সমাধান করা সহজ হবে।

১. যথেষ্ট ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া
ফাইবার বা আঁশ হলো এক ধরনের শর্করা। পেট পরিষ্কার হওয়ার জন্য ফাইবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরিপাকতন্ত্রের যে জায়গায় পায়খানা তৈরি হয় ও জমা থাকে, সেখানে ফাইবার অনেকটা স্পঞ্জের মত কাজ করে।

পানি শোষণ ও ধারণ করার মাধ্যমে ফাইবার পায়খানায় পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে পায়খানা নরম ও ভারী হয়, সহজেই শরীর থেকে বের হয়ে আসে। কিন্তু খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার না থাকলে পায়খানা শক্ত হয়ে যায়, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

২. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা
পানি খাবারের ফাইবারের সাথে মিলে পায়খানাকে ভারী ও নরম করে। এর ফলে পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে পায়খানা চলাচল সহজ হয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

৩. শুয়ে-বসে থাকা ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র অর্থাৎ পেটের ভেতরে থাকা নাড়িভুঁড়ি সচল হয়। এতে স্বাভাবিকভাবে পায়খানা বেরিয়ে আসে। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব হলে তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

৪. পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা
পায়খানা শক্ত হলে অনেকে টয়লেটে যেতে চায় না, কারণ তখন মলত্যাগ করতে কিছুটা কষ্ট হয়। কিন্তু পায়খানার বেগ আসলে তা যদি আটকে রাখা হয়, তাহলে শরীর ক্রমশ সেখান থেকে পানি শুষে নিতে থাকে। পেটের ভেতর পায়খানা জমিয়ে রাখলে সেটা দিন দিন আরও শক্ত হতে থাকে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

৫. মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা
অনেক সময় মানসিক চাপ, কোনো কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকা বা বিষণ্ণতায় ভোগার ফলে শরীরের স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতির ছন্দপতন হয়, শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

৬. ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে —
➡️ট্রামাডল বা ওপিয়েট জাতীয় ব্যথার ঔষধ
➡️আইবুপ্রোফেন
➡️আয়রন ট্যাবলেট
➡️ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট
➡️কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত কিছু ঔষধ
➡️এ ছাড়া একসাথে পাঁচটার বেশি ঔষধ খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

🛑কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় কী?
যেসব কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। নিচে ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করা যায় তা তুলে ধরা হয়েছে।

১. খাবারের তালিকায় ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে
পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আছে এমন খাবার খেতে হবে। সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডাল, লাল আটা ও লাল চালের মতো গোটা শস্যদানা বেশি করে খাওয়া উচিত। কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে দৈনিক প্রায় ৩০ গ্রাম ফাইবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।তবে খাবারের তালিকায় ফাইবারের পরিমাণ হুট করে বাড়ানো উচিত নয়। কারণ হঠাৎ ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বাড়িয়ে ফেললে বায়ুর সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া পেট ফাঁপা, তলপেটে তীব্র ব্যথাসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে।

তাই খাদ্য তালিকায় ফাইবারের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। গতকাল যদি শুধু একটি ফল খেয়ে থাকেন, তাহলে আজ দুটো খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন। সাথে কিছু বাদাম খান। রান্না করা সবজি খেতে না চাইলে ভাতের সাথে টমেটো, শসা, গাজর কেটে সালাদ খাওয়া শুরু করতে পারেন।

২. দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে
পানি পায়খানা নরম করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর কর‍তে সহায়তা করে। এ ছাড়া ফাইবারজাতীয় খাবার প্রচুর পানি শোষণ করে। তাই ডায়েটে ফাইবার বাড়ানোর সাথে সাথে পানি পান করার পরিমাণও বাড়াতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার ও পানি খেলে সাধারণত কয়েকদিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

ফাইবারের সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করা না হলে পেটের ভেতরে থাকা নাড়িভুঁড়ির মুখ আটকে যেতে পারে। এমন অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হয়। এই পরিস্থিতি এড়াতে দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করতে হবে।

৩. প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতে হবে
নিয়মিত শরীরচর্চা বা হালকা ব্যায়াম করতে হবে। শরীর সচল রাখলে তা পায়খানা নরম রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।

আপনার বয়স যদি ১৯ থেকে ৬৪ এর মধ্যে হলে সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা মাঝারি ধরনের ব্যায়াম, যেমন দ্রুত হাঁটা বা সাইকেল চালানো উচিত। যদি আরেকটু বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম করতে চান তাহলে দৌড়ানো, ফুটবল খেলা, দড়ি লাফ, সাঁতার কাটা — এগুলো বেছে নিতে পারেন। ভারী ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত সোয়া ১ ঘণ্টা বা ৭৫ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে।

ব্যায়ামের মধ্যে ভারী ব্যায়াম বা প্রতিদিন দৌড়ানো বেছে নিতে হবে, তা নয়। শরীরকে চলমান রাখতে হাঁটাচলা, হালকা স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম ইত্যাদির মধ্যে যেকোনোটাই বেছে নেওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে হাঁটাহাঁটি বা হালকা শরীরচর্চাও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

অন্যকিছু করার সুযোগ না হলে প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে শুরু করতে পারেন। এক বেলা দিয়ে শুরু করুন, এরপর সকাল-সন্ধ্যা দুই বেলা করে হাঁটুন। প্রথমে সপ্তাহে তিন দিন এভাবে হেঁটে আস্তে আস্তে সেটা পাঁচ দিনে নিয়ে আসুন। এরপর ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে থাকুন। এতে কিছুটা হলেও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

৪. পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা যাবে না
পায়খানা চেপে রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা গুরুতর হতে থাকে। এর ফলে পাইলস ও এনাল ফিসার বা গেজ রোগ সহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পায়খানার বেগ আসলে যত দ্রুত সম্ভব টয়লেটে চলে যেতে হবে।

যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য মলত্যাগের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্যান বা লো কমোডে বসা। তাই সম্ভব হলে লো কমোড ব্যবহার করতে পারেন।আর যদি হাই কমোড ব্যবহার করতে হয় সেক্ষেত্রে পায়ের নিচে ছোট টুল দিয়ে পা উঁচু করে বসতে পারেন, যাতে হাঁটু দুটি কোমরের উপরে থাকে। এতে মলত্যাগ সহজ হবে। নিচে বোঝার সুবিধার জন্য আমরা একটি ছবি সংযুক্ত করে দিয়েছি।

৫. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করার ব্যবস্থা নিতে হবে
মন ভালো হয় এমন প্রশান্তিমূলক কাজ করতে পারেন। এটা হতে পারে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, গান শোনা, প্রার্থনা করা বা আপনজনের সাথে সময় কাটানো। যদি আপনি ডিপ্রেশন কিংবা উদ্বিগ্নতা (Anxiety) রোগে ভুগে থাকেন, তাহলে সেই রোগের চিকিৎসা নিন। আপনার মানসিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যও আস্তে আস্তে সেরে উঠবে।

৬. ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে নতুন ঔষধ শুরু করার পরে যদি মনে হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে গেছে, তাহলে আপনার ডাক্তারকে জানান। তিনি প্রয়োজনে ঔষধ বদলে দিতে পারেন, বা কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসার জন্য অন্য আরেকটি ঔষধ যোগ করতে পারেন।

🛑কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে?
নিচের ৯টি অবস্থায় দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন—

১. ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান না হলে
২. দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগা বা পেট ফাঁপা লাগলে
৩. অনেকদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার পর ডায়রিয়া শুরু হলে
৪. পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া বা আলকাতরার মতো কালো পায়খানা হলে
৫. পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হলে
৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে পেট ব্যথা বা জ্বর আসলে
৭. সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগলে
৮. কোনো কারণ বা চেষ্টা ছাড়াই ওজন অনেক কমে গেলে কিংবা শুকিয়ে গেলে
৯. রক্তশূন্যতায় ভুগলে

🛑দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী কী সমস্যা হয়?
অনেকদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ‘ফিকাল ইম্প্যাকশান’ হতে পারে। এর অর্থ আপনার মলদ্বারে পায়খানা জমা হয়ে আটকে থাকতে পারে। ফিকাল ইম্প্যাকশান এর প্রধান লক্ষণ হচ্ছে অনেকদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার পরে ডায়রিয়া হওয়া।

এমনটা হলে চিকিৎসার জন্য সাধারণত নিচের চারটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়—
১. জোলাপ: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শক্তিশালী ল্যাক্সেটিভ বা জোলাপ সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়।
২. সাপোজিটোরি: মলদ্বার দিয়ে পিচ্ছিলকারী ঔষধ দেওয়া হয়, যাতে পায়খানা নরম হয়ে বেরিয়ে আসে।
৩. মিনি এনেমা: মলদ্বার দিয়ে তরল ঔষধ প্রবেশ করানো হয়, যাতে পায়খানা বেরিয়ে আসে।
৪. কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি বা যন্ত্রপাতির সাহায্যে মলদ্বার থেকে পায়খানা অপসারণ করা হয়।








বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর অনুমান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ২৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ অ্যাজমায় আক্রান্ত ছিলেন। গ্লোবাল বার্ডেন...
26/09/2025

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর অনুমান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ২৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ অ্যাজমায় আক্রান্ত ছিলেন।

গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ (GBD) স্টাডি অনুমান করেছে যে ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ২৬ কোটিরও বেশি মানুষ অ্যাজমায় আক্রান্ত।

​২০১৯ সালে অ্যাজমার কারণে প্রায় ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর ৯০%-এরও বেশি মৃত্যু হয়েছে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে, কারণ সেখানে সঠিক রোগ নির্ণয় এবং প্রয়োজনীয় ইনহেলড ওষুধের অভাব রয়েছে।

​আঞ্চলিক ভিন্নতা ভেদে অ্যাজমা আক্রান্তের হার উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, যা জনসংখ্যার প্রায় ১% থেকে ১৮% পর্যন্ত হতে পারে।

​সাম্প্রতিক দশকগুলোতে (১৯৯০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত) বয়স-সমন্বিত বিস্তারের হার কিছুটা কমলেও, সামগ্রিকভাবে অ্যাজমার বোঝা অত্যন্ত বেশি।

কেলোরেক্টাল ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী তৃতীয় সর্বাধিক ক্যান্সার। ২০২২ সালে, বিশ্বব্যাপী ১৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৪২৫ জন নতুন করে এই ...
21/04/2025

কেলোরেক্টাল ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী তৃতীয় সর্বাধিক ক্যান্সার। ২০২২ সালে, বিশ্বব্যাপী ১৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৪২৫ জন নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এটি ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ, যা বছরে প্রায় ৯ লক্ষ ৪ হাজার ১৯ জনের মৃত্যুর কারণ।

যুক্তরাষ্ট্রে (২০২৫ সালের আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রাক্কলন):
* পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যেই তৃতীয় সর্বাধিক সাধারণভাবে নির্ণয় করা ক্যান্সার (ত্বকের ক্যান্সার বাদে)।
* প্রায় ১ লক্ষ ৭ হাজার ৩২০ জন নতুন করে কোলন ক্যান্সারে (পায়ুবিহীন বৃহদান্ত্রের ক্যান্সার) আক্রান্ত হবেন (পুরুষদের মধ্যে ৫৪,৫১০ জন এবং মহিলাদের মধ্যে ৫২,৮১০ জন)।
* প্রায় ৪৬ হাজার ৯৫০ জন নতুন করে রেক্টাল ক্যান্সারে (মলান্ত্রের ক্যান্সার) আক্রান্ত হবেন (পুরুষদের মধ্যে ২৭,৯৫০ জন এবং মহিলাদের মধ্যে ১৯,০০০ জন)।
* কলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আজীবন ঝুঁকি পুরুষদের জন্য প্রায় ২৪ জনে ১ জন এবং মহিলাদের জন্য ২৬ জনে ১ জন।

এবার আসুন আমরা
কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
জেনে নিই:

কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণ :
১. মলের সাথে রক্ত যাওয়া মলের রং গাঢ় বা আলকাতরার মতো হওয়া।
২. মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন, যেমন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পরিমান হ্রাস।
৩. ওজন হ্রাস
৪. রক্তপাতের জন্য আয়তন কমে অ্যানিমিয়া হয়ে ক্লান্ত ফ্যাকাশে লাগা

কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুকি বাড়াতে পারে যেসব কারনে:-
১.ধূমপান ও মদ্যপান
২.বয়স বৃদ্ধি
৩.স্থূলতা
৪.অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া
৫.যাদের আগে থেকেই পলিপ আছে
৬.শাক সবজি ফলমূল কম খাওয়া
৭.শারিরীক পরিশ্রম কম করা

সুস্থ কোলনের জন্য উপকারী খাদ্য সমূহ:
১.সবুজ শাকসবজি
২.গাজর
৩.টমেটো
৪.শশা
৫.পুষ্টিকর ফলমূল
৬.রাস্পবেরী
৭.ঢেড়শ
৮.ব্রকলি
৯.চীনা বাদাম
১০.স্ট্রবেরি

কোলোরেক্টাল ক্যান্সার ঝুকি কমাতে যে পদক্ষেপ গুলো নেওয়া আবশ্যক :
১.স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ ডাল,শিম,মাছ, ডিম,সবুজ তরকারি,সতেজ ফলমূল।

২.নিজেকে সক্রিয় রাখাঃ দৈনিক অন্তত ৬-৮ ঘন্টা ঘুম,সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম করা,দৈনিক অন্তত ৩০ মি শারিরীক পরিশ্রম করা।

৩.নিয়ন্ত্রণঃ ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা।

৫. অতিবেগুনী রশ্মি এড়িয়ে চলা।

৬. ঝুকি কমানোঃ নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো।

14/04/2025
08/04/2025
নবজাতক শিশুকে চুমু দেবার আগে একশত বার চিন্তা করুন। সাবধান---------------১ জুলাই ২০১৭ সালে ইউ এস এর আইওয়াতে জন্ম হয়েছিল ম...
30/03/2025

নবজাতক শিশুকে চুমু দেবার আগে একশত বার চিন্তা করুন।

সাবধান---------------

১ জুলাই ২০১৭ সালে ইউ এস এর আইওয়াতে জন্ম হয়েছিল মারিয়ানা সিফ্রিট এর। সুন্দর স্বাস্থ্যবান বাচ্চা ছিল সে। ৭ জুলাই, তার মা বাবার বিয়ের অনুষ্ঠানের মাত্র দু ঘন্টা পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখলেন সে মেনিঞ্জাইটিসএইচ এস ভি-১ এ আক্রান্ত। যা কি না হারপিস মেনিঞ্জাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হয়েছে। এই ভাইরাস সেক্সুয়াল কন্ট্যাক্টের দ্বারা ট্রান্সমিটেড হতে পারে। মা থেকে সন্তানের মধ্যেও ছড়াতে পারে। কিন্তু মারিয়ানার বাবা মাকে পরীক্ষা করে ফল নেগেটিভ পাওয়া গেল।

সুতরাং ডাক্তাররা অনুমান করলেন তাদের বাড়িতে কোন ব্যক্তি এসেছিল যে ওই রোগের ক্যারিয়ার ছিল এবং মারিয়ানার ঠোঁটে চুম্বন করেছিল।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দু দিনের মধ্যে মারিয়ানাকে ছয়বার ব্লাড ট্রান্সফিউসন করা হয়েছিল। কিন্তু তার কিডনি এবং লিভার কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।

১১ জুলাই নিকোল সিফ্রিট ফেসবুকে পোস্ট করলেন তাঁর বাচ্চার ব্রেন হার্ট লাং 'স্টপড ফাংশনিং'।

পরদিন ১২ জুলাই সকালে মারিয়ানার মৃত্যু হয়।

তাই বলি, কেউ যদি আদিখ্যেতা করে আপনার শিশুকে চুমু খেতে চায়, কান ধরে দরজার বাইরে বার করে দিন। শিশুর জীবনের বিনিময়ে কোন ভদ্রতা নয়।

সংগৃহীত। শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

09/03/2025

ডিসলেক্সিয়া হল একটি শিক্ষাগত সমস্যা যেখানে একজন ব্যক্তির পড়া, লেখা এবং বানান করতে অসুবিধা হয়, যদিও তার বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিক। এই সমস্যার কারণে শব্দ চেনা এবং সঠিকভাবে পড়া কঠিন হয়, এবং প্রায়ই অদ্ভুত বানান ভুল হয়। এটি সাধারণত ভাষার ধ্বনিগত সমস্যার কারণে ঘটে, যা অক্ষর এবং ধ্বনির মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে অসুবিধা করে।

ডিসলেক্সিয়া সমাধানের উপায়:

পেশাদার সহায়তা:
বক্তৃতা-ভাষা রোগ বিশেষজ্ঞ (SLP): এদের সাথে কাজ করা ভাষাগত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞানী: এরা নিরীক্ষণ ও শিক্ষার পরিকল্পনা করতে পারেন।
বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক: ডিসলেক্সিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষার পদ্ধতি তৈরি করতে সক্ষম।

বিশেষ শেখার প্রোগ্রাম:
গঠনমূলক সাক্ষরজ্ঞান প্রোগ্রাম: যেমন ওর্টন-গিলিংহ্যাম, যেটি ক্রমানুসারে ও বহু ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে শেখানো হয়।
ফনিক্স-ভিত্তিক শেখা: এটি শব্দ এবং অক্ষরের সম্পর্ক শেখায়, যা পড়া ও বানানে গুরুত্বপূর্ণ।

সহায়ক প্রযুক্তি:
টেক্সট-টু-স্পিচ সফটওয়্যার: লেখা শব্দকে কথায় রূপান্তর করে পড়তে সাহায্য করে।
স্পিচ-টু-টেক্সট সফটওয়্যার: কথা বলা শব্দকে লেখায় রূপান্তর করে লিখতে সাহায্য করে।
অডিওবুক: বই শুনে পড়ার সুযোগ দেয়।

কৌশল এবং পদ্ধতি:
মাল্টিসেন্সরি লার্নিং: এটি দৃশ্য, শ্রবণ এবং স্পর্শের মাধ্যমে একসঙ্গে শেখার পথ তৈরি করে।
সংগঠিত দক্ষতা: সময় ও কাজের ব্যবস্থাপনা করার জন্য রুটিন এবং পরিকল্পনাকারী ব্যবহার করা।
মেমোরি এইডস: যেমন মেমোনিক্স, যা তথ্য মনে রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত অনুশীলন
পড়ার অনুশীলন: নিয়মিত পড়া, সহজ বই দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে চ্যালেঞ্জিং বইতে প্রবেশ করা।
লেখার অনুশীলন: বানান ও লেখার অনুশীলন বিভিন্ন কার্যকলাপের মাধ্যমে করা।
ধ্বনিগত সচেতনতা: শব্দের মধ্যে ধ্বনি চেনা ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কার্যকলাপ করা।

মানসিক ও সামাজিক সমর্থন:
সমর্থক পরিবেশ: পরিবার ও বন্ধুরা উৎসাহ এবং সহানুভূতি প্রদান করা।
সহায়ক গ্রুপ: ডিসলেক্সিয়ার সাথে অন্যদের সাথে যুক্ত হওয়া।
পরামর্শদান: ডিসলেক্সিয়ার মানসিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য পেশাদার পরামর্শ।

পিতামাতার ভূমিকা:
সক্রিয় অংশগ্রহণ: পিতামাতা তাদের শিশুর শিক্ষার প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকা।
-গৃহ কার্যক্রম: বাড়িতে শিক্ষা গেম এবং কার্যকলাপের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা।

স্কুলে সুবিধা:
পরীক্ষার অতিরিক্ত সময়: পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া।
বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি: লিখিত পরীক্ষার বদলে মৌখিক পরীক্ষা বা প্রকল্প।
ক্লাসরুম সমন্বয়: বসার ব্যবস্থা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নির্দিষ্ট শিক্ষাদানের পদ্ধতি।

Mermaid babyএটি একটি অত্যন্ত বিরল সমস্যা, প্রতি ১ লাখ জন্মে এমন শিশুর মধ্যে ১টি শিশু দেখা যায়।Mermaid baby বলতে সাধারণত ...
06/03/2025

Mermaid baby
এটি একটি অত্যন্ত বিরল সমস্যা, প্রতি ১ লাখ জন্মে এমন শিশুর মধ্যে ১টি শিশু দেখা যায়।

Mermaid baby বলতে সাধারণত Sirenomelia বা Mermaid Syndrome বোঝানো হয়।

এটি একটি বিরল জন্মগত ত্রুটি, যেখানে শিশুর দুই পা একসঙ্গে জোড়া লেগে থাকে, দেখতে অনেকটা কাল্পনিক মৎসকন্যার (Mermaid) লেজের মতো।
এজন্য এটাকে mermaid (মৎস্য কন্যা) syndrome বলা হয়।

Mermaid Syndrome-এর বৈশিষ্ট্য:
১. দুই পা একসঙ্গে যুক্ত হয়ে জন্মায়।
২. পায়ের হাড় ও পেশির গঠন স্বাভাবিকের তুলনায় ভিন্ন হতে পারে।
৩. কিডনি, মূত্রনালী, অন্ত্র বা জননাঙ্গের ত্রুটি থাকতে পারে এবং
৪. রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা থাকতে পারে।

কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কারণসমূহ:
এই অবস্থার সঠিক কারণ পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
জেনেটিক সমস্যা,
গর্ভাবস্থায় অপুষ্টি বা রক্তসঞ্চালনের জটিলতা
ডায়াবেটিসসহ কিছু রোগের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে
চিকিৎসা ও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা:
Sirenomelia-তে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত জন্মের পর বেশি দিন বাঁচতে পারে না, কারণ তাদের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ত্রুটি থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে ভালো হয় কিন্তু বেশিরভাগ ই মৃত্যুবরণ করে

ছবিতে নির্দেশিত mermaid baby টাও জন্মের কিছুক্ষণ পর ই মারা যায়।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।

05/03/2025

I. Developmental Stages and Tasks

A. Physical, Cognitive, Social, and Emotional Development (Birth to Adolescence)
Infancy (0–2 years)
Physical: Rapid growth in height and weight; development of motor skills (from reflexes to purposeful movements).
Cognitive: Sensorimotor exploration; object permanence (around 8–9 months).
Social/Emotional: Attachment formation (primary caregivers), stranger anxiety, basic trust vs. mistrust (Erikson).

Early Childhood (2–6 years)
Physical: Development of gross and fine motor skills (running, jumping, drawing).
Cognitive: Preoperational thinking (Piaget), egocentrism, symbolic play, rapid language development.
Social/Emotional: Parallel to cooperative play; development of self-concept, initiative vs. guilt (Erikson).

Middle Childhood (6–12 years)
Physical: Slower, steady growth; improved coordination and motor control.
Cognitive: Concrete operational stage (Piaget): logical thinking about concrete events, conservation, classification.
Social/Emotional: Peer group importance increases; industry vs. inferiority (Erikson), development of self-esteem.

Adolescence (12–18 years)
Physical: Puberty, growth spurts, sexual maturation.
Cognitive: Formal operational stage (Piaget): abstract thinking, hypothetical reasoning, metacognition.
Social/Emotional: Identity vs. role confusion (Erikson), peer influence and identity formation, personal fable and imaginary audience (Elkind).
B. Key Theorists and Their Perspectives

Jean Piaget (Cognitive Development)
Sensorimotor (0–2 yrs): Sensory exploration, object permanence.
Preoperational (2–7 yrs): Symbolic thought, egocentrism, lack of conservation.
Concrete Operational (7–11 yrs): Logical thinking about concrete objects/events, mastery of conservation tasks.
Formal Operational (11+ yrs): Abstract and hypothetical reasoning.

Erik Erikson (Psychosocial Development)

Trust vs. Mistrust (0–1 yr): Secure attachment if needs are consistently met.
Autonomy vs. Shame/Doubt (1–3 yrs): Developing independence and self-control.
Initiative vs. Guilt (3–6 yrs): Exploring environment, asserting power.
Industry vs. Inferiority (6–12 yrs): Mastering tasks, developing competence.
Identity vs. Role Confusion (Adolescence): Forming a sense of self, personal identity.
Lev Vygotsky (Sociocultural Theory)

Zone of Proximal Development (ZPD): Difference between what a child can do alone and with help.
Scaffolding: Providing support structures to assist learning within the ZPD.
Emphasis on social interaction and language as key to cognitive development.

Lawrence Kohlberg (Moral Development)

Preconventional Level: Morality based on consequences (punishment vs. reward).
Conventional Level: Upholding laws and social rules; seeking approval.
Postconventional Level: Abstract principles of justice and rights, internal moral reasoning.

II. Individual Differences and Learner Diversity

A. Multiple Intelligences (Howard Gardner)
Linguistic: Sensitivity to language, writing, and reading.
Logical-Mathematical: Aptitude for reasoning, problem-solving, math.
Spatial: Ability to perceive the visual-spatial world accurately.
Bodily-Kinesthetic: Skillful use of the body or manipulation of objects.
Musical: Sensitivity to pitch, melody, rhythm, and tone.
Interpersonal: Capacity to understand and work with others.
Intrapersonal: Self-awareness and introspection.
Naturalistic: Recognition and classification of flora, fauna, and natural phenomena.
(Some models also include Existential Intelligence.)

B. Learning Styles and Preferences
Visual: Learns best through images, diagrams, and visual aids.
Auditory: Prefers listening, discussions, lectures, and audio materials.
Kinesthetic (Tactile): Gains understanding through hands-on activities, movement, and touch.

C. Cultural, Socio-Economic, and Gender Considerations
Acknowledge cultural backgrounds and language diversity (e.g., Mother Tongue-Based Multilingual Education in K–12).
Recognize socio-economic challenges (lack of resources, financial constraints) and provide support or differentiation where possible.
Avoid gender bias; promote inclusive classroom practices and equal opportunities.

D. Special Education Needs and Inclusive Education
Inclusive Education: Integrating learners with special needs in regular classrooms with appropriate support and accommodations.
Common Exceptionalities:
Intellectual disabilities (e.g., Down syndrome)
Learning disabilities (e.g., dyslexia, dyscalculia)
Behavioral disorders (e.g., ADHD)
Physical impairments (mobility, visual, hearing impairments)
Differentiated Instruction: Adapting content, process, and product to meet diverse learner needs.
Individualized Education Program (IEP): Personalized goals and plans for learners with special needs.

Address

Al-Razi Health & Hijama Centre, Bina Kuthir (2-B, 2nd Floor), Narkeltola More
Satkhira

Opening Hours

Monday 14:00 - 21:00
Tuesday 14:00 - 21:00
Wednesday 14:00 - 21:00
Thursday 14:00 - 21:00
Saturday 14:00 - 21:00
Sunday 14:00 - 21:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আল-রাজী হেলথ এন্ড হিজামা সেন্টার Al-Razi Health & Hijama Centre posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram