ডা. শংকর কুমার ঘোষ

ডা. শংকর কুমার ঘোষ MD(RHEUMATOLOGY) RESIDENT,BANGABANDHU SHEIKH MUJIB MEDICAL UNIVERSITY, DHAKA

MBBS (SSMC,DHAKA), BCS(HEALTH),
FCPS(MEDICINE)FINAL PART, CCD(BIRDEM),PGT(MEDICINE & CARDIOLOGY)

02/05/2024
10/09/2023

আত্নহত্যার প্রবণতা বুঝবেন যে ১০ লক্ষণে

আজ ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দিনটি পালিত হয়।

কাছের কেউ আত্মহত্যাপ্রবণ কিনা সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি।

অপ্রতিরোধ্য মানসিক ব্যথা, হতাশা এবং একটি অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনও উপায় নেই এমন অনুভূতির ফলাফল হচ্ছে আত্নহত্যা। একটি আত্নহত্যার ঘটনা প্রিয় মানুষদের জন্য সারাজীবনের বয়ে বেড়ানো কষ্টের কারণ। তাই কাছের কেউ আত্মহত্যাপ্রবণ কিনা সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। কারোর আচরণে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ করলে সচেতন হতে হবে এবং তাকে সাহায্য করতে হবে। জেনে নিন আত্মঘাতী আচরণের কিছু লক্ষণ।

আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা কেউ প্রকাশ করলে সঙ্গে সঙ্গে সচেতন হতে হবে। কেউ বলতে পারে যে সে মারা যেতে চায় বা সে আশাহীন বোধ করছে ও বেঁচে থাকার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছে না। এমন কথা শুনলে অবহেলা করবেন না।

সামাজিক কার্যকলাপ থেকে নিজেকে হঠাৎ সরিয়ে নেওয়া এবং সেটা দীর্ঘায়িত করা হতাশার লক্ষণ যা চরম পরিণতির কারণ হতে পারে।

ঘন ঘন এবং চরম মেজাজের পরিবর্তন, বিশেষ করে চরম দুঃখ থেকে হঠাৎ প্রশান্তি একটি সতর্কতা সংকেত হতে পারে।

কেউ যদি নিজের জিনিসপত্র বিলিয়ে দিতে শুরু করে তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখুন।

একজন ব্যক্তি যিনি গভীরভাবে কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি হঠাৎ করে প্রশান্তির অনুভূতি প্রদর্শন করতে পারেন, যা ইঙ্গিত করে যে তিনি তার কষ্ট শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিজেকে বোঝা মনে হচ্ছে বা হতাশার কোনও সমাধান করা সম্ভব না এমন কথা শুনলে সচেতন হোন।

অত্যধিক ঘুম বা গুরুতর অনিদ্রা মানসিক কষ্টের ইঙ্গিত হতে পারে।

হাত কাটা বা আত্ম-ধ্বংসাত্মক আচরণের মতো কাজগুলো দেখলে সচেতন হওয়া জরুরি।

শখের কাজ থেকে আগ্রহ কমতে থাকা বা কিছু করতে ভালো না লাগা হতাশার লক্ষণ।

আত্নহত্যার উপায় সম্পর্কে কেউ খোঁজখবর করলে তার কাছের মানুষদের বিষয়টি জানান।

31/07/2023

ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয়ের জন্য আমরা র‍্যাপিড টেস্ট ICT for dengue NS1, IgM and IgG করে থাকি। বিভিন্ন ভাবে টেস্টগুলোর interpretation নিম্নরূপঃ

জ্বরের ০-২ দিনের মধ্যে:

1. NS1 negative - জ্বর আসার সাথে সাথেই চলে আসলে

2. NS1 positive- ১৮-২৪ ঘন্টা পর আসলে

জ্বরের >২-৫ দিনের মধ্যেঃ

1. NS1 positive IgM negative IgG negative - এটা ব্যাখ্যা করার কিছু নাই

2. NS1 negative IgM negative IgG negative: দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই IgG রক্তে আসতে শুরু করে। একটা সময়ে ভাইরাস ও IgG সমান সংখ্যক হয়ে যায়। এসময়ে IgG, ভাইরাসের সাথে যুক্ত হয়ে থাকে। ফলে নির্ণয়ের জন্য কোন ফ্রি ভাইরাস বা IgG থাকেনা। অর্থাৎ ভাইরাস লুক্কায়িত থাকে বলে NS1 negative আসে।

3. NS1 negative, IgM negative, IgG positive:
এসময় ভাইরাসের তুলনায় IgG অনেক বেড়ে যায় ফলে পরস্পরের সাথে যুক্ত হওয়ার পরেও অতিরিক্ত IgG রক্তে মুক্ত অবস্থায় থাকে। এটা একাধিকবার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

জ্বরের ৫ দিন পরঃ

1. NS1 positive, IgM positive
2. NS1 negative, IgM positive- রোগী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত
একাধিকবার আক্রান্ত হলে IgG ও positive থাকবে।

তাই রিপোর্ট যাই আসুকনা কেন, সন্দেহজনক রোগীকে কনফার্মড ডেঙ্গু হিসেবে বিবেচনা করুন। জ্বর ভালো হয়ে যাওয়ার ৪৮-৭২ ঘন্টা খুবই ক্রিটিক্যাল। এই সময়ে রোগী যাতে পানিশুন্য না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

ঘন ঘন বমি হলে, রোগী অস্থির হলে বা অধিকতর দূর্বল হয়ে পড়লে, মুখে কিছু না খেতে পারলে, পেটে প্রচন্ড ব্যথা হলে, নাক, মুখ, পায়খানা বা প্রস্রাব দিয়ে রক্ত গেলে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি করুন।

ডেঙ্গুতে আতংকিত না হয়ে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে রোগী সুস্থ হয়।

আল্লাহ আমাদের সহায় হোন

ডা. নুসরাত সুলতানা
সহযোগী অধ্যাপক
ভাইরোলজী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

মন বসে না পড়ার টেবিলে?কেউ কেউ গণপরিবহনেও দিব্যি বই পড়তে পারে। অনেকে আবার হট্টগোল, হইচইয়ের মধ্যে মনোযোগই ধরে রাখতে পারেন ...
12/07/2023

মন বসে না পড়ার টেবিলে?

কেউ কেউ গণপরিবহনেও দিব্যি বই পড়তে পারে। অনেকে আবার হট্টগোল, হইচইয়ের মধ্যে মনোযোগই ধরে রাখতে পারেন না। তাঁদের চাই নীরবতা। আবার নীরব পরিবেশে পড়তে পারেন না, এমন মানুষও আপনি আশপাশেই পাবেন। পরিবেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বটে। কিন্তু এর বাইরেও একেবারেই নিজস্ব কিছু বিষয় থাকে, যার ওপর নির্ভর করে মনঃসংযোগের ক্ষমতা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে, পড়ায় মন বসছে না, কিংবা পড়া মাথায় ঢুকছে না—এমন সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা, এই লেখাটি তাঁদের জন্যই।

🎯 মুহূর্তকে গুরুত্ব দিন
যে মুহূর্তে আপনি পড়ালেখা করছেন বা এমন কোনো কাজ করছেন, যাতে মনোযোগ দিতে হবে, সেই মুহূর্তে অন্য সব ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রাখুন। পড়ার মধ্যে হয়তো এমন কোনো কথা মনে পড়ল, যা পরে প্রয়োজন হবে, সেই বিষয়টি আলাদা একটা কাগজে খুব সংক্ষেপে লিখে রাখুন। পড়ালেখা শেষে তবেই অন্য কাজে হাত দিন। একই সঙ্গে একাধিক কাজ করবেন না। না চাইতেই নানা ভাবনা মাথায় চলে আসার সমস্যা এড়াতে মনকে স্থির করার অভ্যাস করুন। রোজ কয়েক মিনিটের জন্য চোখ বুজে স্থির হয়ে বসে থাকুন। ওই সময় লম্বা শ্বাস নিন, আর লম্বা করে নিশ্বাস ছাড়ুন। চোখ বুজে কানে আসা শব্দটাকে কেবল অনুভব করুন। ‘ফোকাস’ স্থির রাখুন। রোজকার এই অভ্যাস পড়ালেখায় মনোযোগ আনতে বেশ কার্যকর।

🎯 এদিক-ওদিক-সেদিক নয়
পড়ার সময় কেউ ডাকলে তাঁকে বলে দিন, খুব জরুরি কোনো বিষয়ে না হলে পড়া শেষ করে তাঁর কথা আপনি শুনবেন। পড়ার সময় বারবার মুঠোফোন দেখবেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ওই সময়টুকুর জন্য নিজেকে বিচ্ছিন্ন থাকুন। সম্ভব হলে মুঠোফোন নীরব রাখুন এবং দূরে রাখুন। তবে হোস্টেল জীবনে এভাবে মুঠোফোন নীরব রাখতে হলে বাড়িতে জানিয়ে রাখুন। নইলে হঠাৎ আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বাড়ির সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যেতে পারেন। তা ছাড়া বাড়িতে কোনো জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তাঁরা যেন আপনার সঙ্গে বিকল্প কারও মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন, এমন ব্যবস্থাও রাখুন। পড়ালেখার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজন হলেও সেই সময় অন্য কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকবেন না বা কারও বার্তা পড়বেন না।

🎯 মনকে অবহেলা নয়
যে সময়টায় আপনার পড়া ভালো হয়, সেই সময়েই পড়ুন। রোজকার জীবনধারায় ভালো লাগার কোনো কাজ, যা না করলে অতৃপ্তি রয়ে যায়, করে ফেলতে পারেন পড়তে বসার আগেই। তবে যদি পড়া শেষ করে পরে সেই কাজটি করতে চান, তাহলে পড়ার সময় কিন্তু বারবার সেটির কথা মনে আনা যাবে না। যখন পড়তে একেবারেই ভালো লাগছে না, তখন জোর করে বই সামনে না রাখাই ভালো। অন্য ধরনের কাজে খানিকটা সময় কাটিয়ে এরপর পড়তে বসুন। ছাদের খোলা হাওয়ায়, খোলা মাঠে কিংবা বারান্দার গাছের সঙ্গে বা পোষা প্রাণীর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন এমন পরিস্থিতিতে।

🎯 জীবনযাপন হোক ইতিবাচক
ঘুম, খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা—সবই হওয়া চাই ঠিকঠাক। রাত জেগে সিনেমা দেখে, আড্ডা দিয়ে কিংবা চ্যাট করে সকালে ক্লাসে গেলে মনোযোগ বসাতে না পারাটাই স্বাভাবিক। ঘুম চাই পর্যাপ্ত। পরীক্ষার আগমুহূর্তের জন্য সব পড়া জমিয়ে রাখলে তখন কিন্তু ঘুমের অভাবে পড়ায় মনোযোগ না-ও আসতে পারে। তাই সময়ের পড়া সময়েই করে ফেলুন। ক্ষুধার্ত অবস্থায় পড়ায় মন বসবে না। আর এমন খাবার খেতে হবে, যাতে হঠাৎ করে মস্তিষ্কে গ্লুকোজের অভাব না হয়। গোটা শস্যদানার খাবার (রিফাইনড নয়) এবং আঁশসমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খেলে বেশ লম্বা সময় পর্যন্ত ক্ষুধা লাগে না। এসব খাবার ছাড়াও মাছ, বাদাম এবং অলিভ অয়েল দিয়ে সাজিয়ে নিন আপনার খাদ্যতালিকা। এভাবে গড়ে তুলতে পারেন ‘মেডিটেরিনিয়ান ডায়েট’-এর অভ্যাস, যা মস্তিষ্কের জন্য ভালো। খানিকটা চা বা কফি খেতে পারেন রোজ। নেশাজাতীয় দ্রব্য অবশ্যই বর্জনীয়। রোজ অল্প সময়ের জন্য হলেও শরীরচর্চা করুন। কায়িক শ্রমের খেলাধুলা কিন্তু দারুণ ব্যায়াম। এ ছাড়া সুডোকু, পাজল, ক্রসওয়ার্ড বা শব্দজব্দ সমাধান করার অভ্যাস করতে পারেন। এগুলো মস্তিষ্কের ব্যায়াম।

🎯 বুঝে পড়ুন, বিরতি দিন
যা পড়ছেন, তা বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। না বুঝে মুখস্থ করলে আখেরে কোনো কাজে আসে না। ক্লাসে পড়া বুঝে নিন। না বুঝলে প্রশ্ন করুন, দ্বিধা করবেন না। প্রয়োজনে গ্রুপ স্টাডি করুন। সেখানেও মন দিয়ে শুনুন অন্যের কথা। একটানা পড়ালেখা না করে প্রয়োজনমতো বিরতি নিন। কিন্তু বিরতির সময় মুঠোফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করাই ভালো। বরং মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন। বিরতিতে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। হালকা ধাঁচের কোনো ‘স্ট্রেচিং’ ব্যায়ামও করতে পারেন।

🎯 বলার অভ্যাস
নিজে যা পড়লেন, তা বলতে পারেন সহপাঠী বা বন্ধুকে, এমনকি নিজেকেও। যা শিখলেন, তা অন্যকে বোঝাতে হলে যেভাবে বলবেন, সেভাবে নিজে নিজেও আওড়াতে পারেন পড়ার বিষয়গুলো। এক দিনেই এভাবে বলতে না পারলেও পড়ার পরে বলার এই অভ্যাস পরে আপনার পড়ার সময় মনোযোগ বাড়াবে।

🎯 পড়ার অভ্যাস
পড়ার বইয়ের বাইরেও কিন্তু অনেক বই আছে, যা পড়ার অভ্যাস ধরে রাখতে সাহায্য করে। আপনার পছন্দের বিষয়ের ওপর কিছু পড়তে পারেন, আবার মজার কোনো বইও পড়তে পারেন। কোনো না কোনো বইয়ের পাতায় মনোযোগ স্থির করার অভ্যাসটা পরে পাঠ্যবইয়ে মন বসাতেও কাজে দেবে।

Alo

Address

Nalta Sharif, Kaliganj
Satkhira

Telephone

+8801978188502

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডা. শংকর কুমার ঘোষ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ডা. শংকর কুমার ঘোষ:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category