Dr Md Abu Taher Miah

Dr Md Abu Taher Miah MBBS(Dhaka),MS(Neurosurgery)
Spine and Neurosurgeon,BSMMU
Chairman,Central Hospital(Savar &Hemayetpur)

08/05/2025
01/05/2025

ইইজি স্ক্যান চলাকালীন মারা যান পেশেন্ট।
পেশেন্টের বয়স ৮৭ বছর। মৃগী রোগে আক্রান্ত। চলছিল ইলেকট্রো-এন-সেফালোগ্রাফি বা ইইজি। স্ক্যান চলা অবস্থায়ই হার্ট-অ্যাটাক করেন পেশেন্ট। মৃত্যু হয় তার। ৯০০ সেকেন্ড ইইজি স্ক্যানিং চলে। তবে মস্তিষ্কের উল্লেখযোগ্য আচরণ দেখা যায় হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়ার ৩০ সেকেন্ড আগে থেকে পরবর্তী ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত।
দেখা যায়, মৃত্যুর ঠিক আগে ও পড়ে মস্তিষ্কে গামা তরঙ্গ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা যখন স্বপ্ন দেখি, পুরনো স্মৃতি মনে করি কিংবা গভীর মনযোগ দিয়ে কিছু পড়ি বা নামাজ পড়ি, সে সময় মস্তিষ্কে ৩০-১০০ হার্জের বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি হয়। এই তরঙ্গকে গামা তরঙ্গ বলে।
এটিকে আবার ফিজিক্সের গামা রশ্মি ভাববেন না। ইইজি পরীক্ষায় গামা তরঙ্গ ধরা পড়ে।
পরীক্ষাটির নেতৃত্বে ছিলেন লুইভিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জন ড. আজমাল জিমার। গবেষণাপত্রটি ফ্রন্টায়ার্স ইন এজিং নিউরোসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়।

তথ্যঃ বিজ্ঞানপ্রিয়।

বিজ্ঞান বলছে মৃত্যুর ঠিক আগে ও পরে (হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়ার ±৩০ সেকেন্ডের মধ্যে) মস্তিষ্কে গামা তরঙ্গ বৃদ্ধি পায়।গামা তরঙ্গ মূলত গভীর মনোযোগ, স্মৃতি রিভিউ, স্বপ্নদ্রষ্টা অবস্থার সময় সক্রিয় হয়।
অন্যদিক ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী,
ইমাম ইবনু কাসীর (রহ.) বলেনঃ
"মৃত্যুর মুহূর্তে মানুষের সমস্ত কাজের চিত্র তার সামনে আসে, এবং সে বুঝতে পারে তার অবস্থান কী হতে যাচ্ছে।"
(তাফসীর ইবনু কাসীর, সূরা ক্বাফের ব্যাখ্যা)
ইমাম গাযালী (রহ.) বলেনঃ
"মৃত্যুর সময় মানুষ তার পাপ ও সৎকর্মের স্পষ্ট চিত্র দেখতে পায়। তার মস্তিষ্ক ও মন অতিমাত্রায় সচেতন ও জাগ্রত হয়।"

©️প্ল্যাটফর্ম

26/03/2025

দান-ছদকা:
বেতন এর টাকাকে মাসের শেষ পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখার পরামর্শ-

ঘটনাটি এক সৌদি-যুবকের। সে তার জীবনের প্রতি মোটেও সন্তুষ্ট ছিল না। তার বেতন ছিল মাত্র চার হাজার রিয়াল। বিবাহিত হওয়ায় তার সাংসারিক খরচ বেতনের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। মাস শেষ হওয়ার আগেই তার বেতনের টাকা শেষ হয়ে যেত, তাই প্রয়োজনের তাগিদে তাকে ঋণ নিতে হত। এভাবে সে আস্তে আস্তে ঋণের কাদায় ডুবে যাচ্ছিল। আর তার বেতনে এমন বিশ্বাস জন্ম নিচ্ছিল যে, তার জীবন এই অভাবেই কাটবে। অবশ্য তার স্ত্রী তার এ-অবস্থার প্রতি খেয়াল রাখত। কিন্তু ঋণের বোঝা এত ভারী হযেছিল, যেন নিশ্বাস নেওয়াও দুষ্কর।

একদিন সে তার বন্ধুদের এক মজলিসে গেল। সেদিন এমন একজন বন্ধু সেখানে উপস্থিত ছিল, যে অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। যুবকের বক্তব্য এমন ছিল যে, আমার ওই বন্ধুর সকল পরামর্শকে আমি খুব গুরুত্ব দিতাম।

কথায় কথায় যুবক তার সকল অবস্থা বন্ধুকে বলল। বিশেষত আর্থিক সমস্যাটা তার সামনে তুলে ধরল। তার বন্ধু মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনল এবং বলল, আমার পরামর্শ হল- তুমি তোমার বেতন থেকে কিছু টাকা ছদকার জন্য নির্ধারণ কর। যুবক আশ্চর্য হয়ে বলল, জনাব! সাংসারিক প্রয়োজন পুরনেই ঋণ নিতে হয়; আর আপনি আমাকে ছদকার জন্য টাকা নির্ধারণ করতে বলেছেন?

যাইহোক, যুবক বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি স্ত্রীকে জানাল। তার স্ত্রী বলল, পরিক্ষা করতে সমস্যা কী? হতে পারে আল্লাহ্ তা’আলা তোমার জন্য রিযিকের দরজা খুলে দিবেন। যুবক বেতনের চার হাজার রিয়াল থেকে ত্রিশ রিয়াল ছদকার জন্য নির্ধারণের ইচ্ছা করল এবং মাসশেষে তা আদায় করতে শুরু করল।

সুবহানাল্লাহ! কসম করে বললে মোটেও ভুল হবে না, তার (আর্থিক) অবস্থা সম্পূর্ণ বদলে গেল। সে তো সবসময় টাকা-পয়সার চিন্তা টেনশনেই পড়ে থাকত; আর এখন তার জীবন যেন ফুলের মতো হয়ে গেছে। এত ঋণ থাকা সত্ত্বেও নিজেকে স্বাধীন মনে হত। মনের মধ্যে এমন এক অনাবিল শান্তি হচ্ছিল, যা বলে বুঝানো সম্ভব নয়।

কয়েক মাস পর থেকে সে নিজের জীবনকে সাজাতে শুরু করল। নিজের আয়কৃত টাকা কয়েক ভাগে ভাগ করল, আর তাতে এমন বরকত হল, যা পূর্বে কখনও হয়নি। সে হিসাব করে একটা আন্দাজ করল, কত দিনে ঋণের বোঝাটা মাথা থেকে নামাতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

কিছুদিন পর আল্লাহ তা’লা তার সামনে আরও একটি পথ খুলে দিলেন। সে তার এক বন্ধুর সাথে প্রপাটি-ডিলিং এর কাজে অংশ নিতে শুরু করে। সে বন্ধুকে গ্রাহক/ক্রেতা এনে দিত, তাতে ন্যায্য প্রফিট পেত।

আলহামদুলিল্লাহ! সে যখনই কোনো গ্রাহকের কাছে যেত, গ্রাহক অবশ্যই তাকে অন্য গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছনোর রাস্তা দেখিয়ে দিত। এখানেও সে ঐ আমলের পুনরাবৃত্তি করত। অর্থাৎ প্রফিটের টাকা হাতে আসলে (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) অবশ্যই তা থেকে ছদকা নির্ধারণ করত।

আল্লাহর কসম! ‘ছদকা কী’ তা কেউ জানে না; ঐ ব্যক্তি ব্যতিত যে তা পরিক্ষা করেছে। ছদকা কর এবং ছবরের সাথে চল- আল্লাহর ফযলে খায়ের বরকত নাযিল হবে, যা নিজ চোখে দেখতে পাবে।

নোট:- যদি আপনি কোনো মুসলমানকে তার উপার্জনের একটি অংশ ছদকার জন্য নির্ধারণ করতে বলেন এবং এর উপর আমল করে, আপনিও ঐ পরিমাণ ছওয়াব পাবেন যে পরিমাণ ছদকাকারী পেয়েছে। আর ছদকাকারীর ছওয়াবে কোনো কমতি আসবে না।

আপনি দুনিয়া থেকে চলে যাবেন আর আপনার অবর্তমানে কেউ আপনার কারণে ছদকা করতে থাকবে। আপনি ছওয়াব পেতে থাকবেন।

যদি আপনি তালিবে ইলমও হন এবং আপনার আয় একেবারে সীমিত ও নির্ধরিতও হয়। তবুও কম-বেশি, যতদূর সম্ভব (সামান্য কিছু হলেও) ছদকার জন্য নির্ধারণ করুন।

যদি ছদকাকারী জানতে ও বুঝতে পারে যে, তার ছদকা ফকিরের হাতে যাওয়ার আগে আল্লাহর হাতে যায়। তাহলে অবশ্যই ছদকা গ্রহণকারীর তুলনায় ছদকাদানকারী অনেক গুণ বেশি আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবে।

◾ছদকা দানের উপকারিতা:-

ছদকা দানকারী এবং যে তার কারণ হবে সেও এ সকল ফায়েদার অন্তর্ভুক্ত।

১. ছদকা জান্নাতের দরজাসমূহের একটি।
২. ছদকা আমলের মধ্যে উত্তম আমল।
৩. ছদকা কেয়ামতের দিন ছাঁয়া হবে এবং ছদকা-আদায়কারীকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবে।
৪. ছদকা আল্লাহ তা‘লার ক্রোধকে ঠান্ডা করে এবং কবরের উত্তপ্ততায় শীতলতার উপকরণ হবে।
৫. মৃতব্যক্তির জন্য উত্তম বদলা এবং সবচে’ উপকারী বস্তু হল ছদকা। আর ছদকার ছওয়াবকে আল্লাহ তা‘আলা ক্রমাগত বৃদ্ধি করতে থাকেন।
৬. ছদকা পবিত্রতার আসবাব, আত্মশুদ্ধির মাধ্যম ও সৎকাজের প্রবর্ধক।
৭. ছদকা কেয়ামতের দিন ছদকাকারীর চেহারার আনন্দ ও প্রফুল্লতার কারণ হবে।
৮. ছদকা কেয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় নিরাপত্তা হবে। অতীতের জন্য আফসোস করা থেকে বিরত রাখে।
৯. ছদকা গুনাহের ক্ষমা এবং খারাপ কাজের কাফফারা।
১০. ছদকা উত্তম মৃত্যুর সুসংবাদ এবং ফেরেস্তাদের দোয়ার কারণ।
১১. ছদকা দানকারী সর্বোত্তম বান্দাগণের অন্তর্ভুক্ত এবং ছদকার ছওয়াব প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি পায় যে কোনো না কোনোভাবে অংশিদার হয়।
১২. ছদকা দানকারীর সঙ্গে সীমাহীন কল্যাণ ও বিরাট প্রতিদানের ওয়াদা রয়েছে।
১৩. খরচ করা মানুষকে মুত্তাকীদের কাতারে শামিল করে। ছদকাকারীকে সৃষ্টিকূল মুহাব্বত করে।
১৪. ছদকা দয়া-মায়া ও দানশীলতার আলামত।
১৫. ছদকা দোয়া কবুল এবং জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম।
১৬. ছদকা বালা-মসিবত দূর করে দুনিয়াতে সততরটা খারাপির দরজা বন্ধ করে।
১৭. ছদকা হায়াত ও মাল বৃদ্ধির মাধ্যম। সফলতা এবং রিজিকের প্রশস্ততার মাধ্যম।
১৮. ছদকা চিকিৎসা, ঔষধ ও সুস্থতা।
১৯. ছদকা আগুনে পোড়া, পানিতে ডোবা ও অপহরণসহ (সকল) অপমৃত্যুর প্রতিবন্ধক।
২০. ছদকার প্রতিদান পাওয়া যায়- চাই তা পশু-পাখিকেই দেওয়া হোক না কেন।

শেষকথা: এই মুহূর্তে আপনার জন্য সর্বোত্তম ছদকা হল, এই কথাগুলো ছদকার নিয়তে প্রচার করা।

#আমার #আমার #এই

26/03/2025

একদা, এক দরিদ্র কিন্তু জ্ঞানী কৃষক তার পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে জমি চাষ করত। একদিন তার পুত্র দুঃখের সঙ্গে বলল,
"বাবা, কী দুর্ভাগ্য! আমাদের ঘোড়াটি পালিয়ে গেছে!"

বৃদ্ধ বাবা মৃদু হেসে বললেন,
"তুমি একে দুর্ভাগ্য বলছ কেন? সময়ের অপেক্ষা করো, দেখো ভবিষ্যতে কী ঘটে!"

কয়েক দিন পর, পালিয়ে যাওয়া ঘোড়াটি ফিরে এলো, আর তার সঙ্গে একটি নতুন ঘোড়াও এল। ছেলেটি আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে বলল,
"বাবা, কী ভাগ্য! আমাদের ঘোড়া একটি নতুন ঘোড়া নিয়ে এসেছে!"

কিন্তু জ্ঞানী বৃদ্ধ শান্তভাবে বললেন,
"তুমি একে সৌভাগ্য বলছ কেন? সময়ের অপেক্ষা করো, দেখো ভবিষ্যতে কী ঘটে!"

কয়েক দিন পর, ছেলেটি নতুন ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে পড়ে গেল। ঘোড়াটি তখনও অভ্যস্ত ছিল না, ফলে সে রেগে গিয়ে ছেলেটিকে ছুঁড়ে ফেলে দিল। এতে ছেলেটির পা ভেঙে গেল। ব্যথায় কাতর হয়ে সে বলল,
"বাবা, কী দুর্ভাগ্য! আমার পা ভেঙে গেছে!"

বৃদ্ধ এবারও শান্তভাবে বললেন,
"তুমি একে দুর্ভাগ্য বলছ কেন? সময়ের অপেক্ষা করো, দেখো ভবিষ্যতে কী ঘটে!"

ছেলেটি বাবার এই কথায় খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারল না। সে ব্যথায় শয্যাশায়ী হয়ে কেবল অভিযোগ করতে লাগল।

কয়েক দিন পর, রাজ্যের সেনারা গ্রামে এলো। তারা তরুণ যুবকদের জোরপূর্বক যুদ্ধের জন্য সৈন্য হিসাবে নিয়ে যাচ্ছিল। তারা যখন বৃদ্ধ কৃষকের ঘরে এল, তখন ছেলেটির ভাঙা পা দেখে তাকে ছেড়ে চলে গেল।

এবার ছেলেটি বুঝতে পারল, জীবনের কোনো ঘটনাকে তৎক্ষণাৎ ভালো বা খারাপ বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা দুর্ভাগ্য মনে হয়, তা সৌভাগ্যে পরিণত হতে পারে, আবার যা সৌভাগ্য মনে হয়, তা দুর্ভাগ্যও হতে পারে।

উপদেশ:
ভাগ্য বা দুর্ভাগ্য বলতে কিছুই নেই, সময়ই ঠিক করে দেয় সবকিছু!

26/03/2025

বাংলাদেশে তরুণ নেতৃত্বের ক্ষমতায়নের জন্য ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের লি কাওন ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসির (এলকেওয়াইএসপিপি) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘ইয়াং লিডারশিপ প্রোগ্রাম’ শীর্ষক একটি আবাসিক কর্মসূচি চালু করেছে ইউনিসেফ। এই উদ্যোগের আওতায় সদ্য পাশকৃত শিক্ষার্থীরা নীতি-নির্ধারণী, অ্যাডভোকেসি ও নেতৃত্ব বিষয়ে আবশ্যকীয় দক্ষতাসম্পন্ন করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।

✅ আবেদনের সময়সীমা: ৫ মার্চ- ৩০ মার্চ ২০২৫
✅ কর্মসূচির তারিখ: ৪-১০ মে ২০২৫ (যাতায়াতের সময়সহ)
✅ কোথায়: ঢাকা, বাংলাদেশ (আবাসিক)

আবেদনকারীকে অবশ্যই ৩০ মার্চ ২০২৫ এর মধ্যে infobangladesh@unicef.org মেইল করতে হবে। কীভাবে মেইল করবেন এবং কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন, বিস্তারিত দেখে নিন 👇
https://www.unicef.org/bangladesh/en/call-applications

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর – জীবনানন্দ দাশ।যাদের আত্মত্যাগে আজ আমরা স্বাধীন তাদের আ...
26/03/2025

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর – জীবনানন্দ দাশ।
যাদের আত্মত্যাগে আজ আমরা স্বাধীন তাদের আমরা গর্বভরে স্বরন করি।

হিন্দু বা বৌদ্ধরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয় "উপবাস"। খ্রিস্টানরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয় ‘’ফাস্টিং"। মুসলিমরা রোজা রাখ...
24/03/2025

হিন্দু বা বৌদ্ধরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয় "উপবাস"। খ্রিস্টানরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয় ‘’ফাস্টিং"। মুসলিমরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় "সিয়াম"। বিপ্লবীরা না খেয়ে থাকলে তাকে বলা হয় ‘’অনশন"। আর, মেডিক্যাল সাইন্সে উপবাস করলে, তাকে বলা হয় "অটোফেজি"।

২০১৬ সালে নোবেল কমিটি জাপানের ডাক্তার ‘ওশিনরি ওসুমি’-কে অটোফেজি আবিষ্কারের জন্যে নোবেল পুরষ্কার দেন ।

যাই হোক, ‘Autophagy‘ কি ?

Autophagy শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ ।

Auto অর্থ নিজে নিজে এবং Phagy অর্থ খাওয়া ।

সুতরাং, অটোফেজি মানে নিজে নিজেকে খাওয়া ।

মেডিক্যাল সাইন্স থেকে জানা যায়, শরীরের কোষগুলো বাইরে থেকে কোনো খাবার না পেয়ে, নিজেই যখন নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে, তখন মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় তাকেই অটোফেজি বলা হয়।

আরেকটু সহজভাবে বলি -

আমাদের ঘরে যেমন ডাস্টবিন থাকে, অথবা আমাদের কম্পিউটারে যেমন রিসাইকেল বিন থাকে, তেমনি আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ডাস্টবিন আছে ।

সারা বছর শরীরের কোষগুলো খুব ব্যস্ত থাকার কারণে, ডাস্টবিন পরিষ্কার করার সময় পায় না। ফলে, কোষগুলোতে অনেক আবর্জনা ও ময়লা জমে যায় ।

শরীরের কোষগুলো যদি নিয়মিত তাদের ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে না পারে, তাহলে কোষগুলো একসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের উৎপন্ন করে। ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতো অনেক বড় বড় রোগের শুরু হয় এখান থেকেই। মানুষ যখন খালি পেটে থাকে, তখন শরীরের কোষগুলো অনেকটা বেকার হয়ে পড়ে। কিন্তু তারা তো আর অলস হয়ে বসে থাকে না, তাই প্রতিটি কোষ তার ভিতরের আবর্জনা ও ময়লাগুলো পরিষ্কার করতে শুরু করে দেয় ।

কোষগুলোর আমাদের মতো আবর্জনা ফেলার কোন জায়গা নেই বলে, তারা নিজের আবর্জনা নিজেই খেয়ে ফেলে। মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকে বলা হয় অটোফেজি।

শুধুমাত্র এই জিনিসটা আবিষ্কার করেই জাপানের, ওশিনরি ওসুমি ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কারটা পেয়ে গেলেন ।

তিনি আবিষ্কার করেন যে ১২-২৪ ঘন্টা উপবাস রাখলে মানুষের দেহে অটোফেজি চালু হয়।

তিনি প্রমান করেন যে, উপবাস থাকার মাধ্যমে মানুষের নিম্নলিখিত উপকার গুলো হয়-

১| দেহের সেল পরিস্কার হয়।

২| ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়।

৩| পাকস্থলীর প্রদাহ সেরে যায়।

৪| ব্রেইনের কার্যকরীতা বাড়ে।

৫| শরীর নিজে নিজেই সেরে যায়।

৬| ডায়াবেটিস ভালো হয়।

৭| বার্ধক্য রোধ করা যায়।

৮| স্থূলতা দূর হয়।

৯| দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়।

তাহলে বুঝুন ধর্মগ্রন্থে অনেক আগেই যেটা বলে এসেছে যে উপোস করা শরীরের পক্ষে ভালো। সেটাকে এতদিন বিজ্ঞানমনস্করা কুসংস্কার বলে এসেছে। 2016 সালের পর থেকে ওনারাও ধর্ম গ্রন্থের কথাই নুতুন নামকরণ (অটোফেজি) বলে চালাচ্ছে 😊।

Source: internet...

Address

Savar
1340

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Md Abu Taher Miah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category