12/08/2025
টিউবারকিউলোসিস (যক্ষ্মা) - পর্ব _১
এপিডেমিওলজি (মহামারীবিদ্যা)
টিউবারকিউলোসিস (টিবি) বা যক্ষ্মা রোগটি মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (MTB) নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়। এই ব্যাকটেরিয়াটি মাইকোব্যাকটেরিয়া কমপ্লেক্সের অংশ, যার মধ্যে M. bovis (যার আশ্রয়স্থল গরু) এবং M. africanum (যার আশ্রয়স্থল মানুষ) অন্তর্ভুক্ত। ২০ শতকের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে যক্ষ্মার যে পুনরুত্থান দেখা গিয়েছিল, তা এখন কমে এসেছে। ২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৪৪% হ্রাসের পর, ইংল্যান্ডে যক্ষ্মার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৬০ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। তা সত্ত্বেও, বিশ্ব স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব এখনও উল্লেখযোগ্য। ২০১৮ সালে, আনুমানিক ১ কোটি নতুন রোগী রেকর্ড করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোতে দেখা যায়। এই দেশগুলো যক্ষ্মা ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খায়। একই বছরে, ১৫ লক্ষ পুরুষ, মহিলা এবং শিশু যক্ষ্মায় মারা গিয়েছিল, যেখানে এইচআইভি/এইডস-এ মারা গিয়েছিল ১০ লক্ষ মানুষ। এর ফলে, যক্ষ্মা সেই বছর একটি একক সংক্রামক জীবাণু থেকে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মডার্ন চিকিৎসা দর্শন --
কাশতে কাশতে যখন রক্ত পড়ে, তখন বলা হয় যক্ষা হয়েছে। আর রক্ত না পড়লে বলা হয়, এজমা হয়েছে। ইনহেলার নেবুলাইজার দিয়ে সাময়িক উপশম পাওয়া যায়।
এটি হল মডার্ন চিকিৎসা ব্যবস্থার দর্শন।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দর্শন --
আর হোমিওপ্যাথি তে এটা হল, জেনেটিক টিউবারকুলার ডিজিজ। বংশগতভাবে, উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জিত রোগ। এই রোগের চিকিৎসা না করে বাচ্চা উৎপাদন করলে সে বাচ্চা ও তার পরবর্তী প্রজন্ম এই রোগ এর ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করবে। আর রোগী এই রোগের চিকিৎসা করে বাচ্চা উৎপাদন করলে, তার পরবর্তী প্রজন্ম এর ক্ষেত্রে এই রোগ হবার সম্ভাবনা কমে যায় বা হয় না।
আমাদের কাছে, যে সকল রোগী আসে তাদের মধ্যে দেখা যায় যে, মা বাবা এক বা উভয়ের বা রক্ত সম্পর্কের উপরের সিড়ি দাদা দাদী, নানা নানী, চাচা মামা, খালা ফুপু এদের কারো না কারো এজমা হাপানী ছিল বা আছে।
অনেক সময়, দেখা যায় যে, দাদার ছিল, বাবার নাই এখন আবার নাতির দেহে মারাত্মক অবস্থা। এখানে বাবা ধারক ও বাহক হলেও বাবার দেহে সুপ্ত অবস্থায় ছিল। এখন নাতির দেহে প্রকট আকারে প্রকাশ পেয়েছে।
চিকিৎসা --
মডার্ণ চিকিৎসা হল, থিওরি ও প্যাথলজি বেজড।
হোমিওপ্যাথি তে থিওরি প্যাথলজি সব জানতে হবে৷ তবে রোগীকে ঔষধ দিতে হবে প্রকাশিত সিম্পটম বেজড। পাশাপাশি তার জিনগত তথ্য তথা পারিবারিক ইতিহাস ও মায়াজম ভিত্তক তথ্য সমন্বয়ে চিকিৎসা দেয়া হলে, এই রোগ উক্ত রোগীতে আর ফিরে আসবে না। এবং সে সারাজীবনের জন্য সুস্থতা লাভ করে।
আমার চেম্বারের এ ধরনের রোগিদের ৬-৮ মাসের চিকিৎসায় নির্মল আরোগ্য লাভ হয়।
বিদ্র: যক্ষা কিন্তু অনেকরকম আছে, শুধু ফুসফুসেই নয়, হাড়, চর্ম অন্যান্য অংগেও যক্ষা হতে পারে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত A 2 Z দেয়া হবে। সাথে থাকবেন।