25/08/2021
গর্ভবতী মায়েদের জন্য
গর্ভকালীন সময়ে পা ফুলে যাওয়া/ পায়ে পানি আসা
🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀
প্রেগনেন্সিতে পায়ে পানি অনেকেরই আসে। অল্প পানি আসা স্বাভাবিক। কিন্তুু এরসাথে হাতে মুখে পানি আসা, প্রেসার বেশী, ইউরিনে প্রোটিনের আধিক্য থাকে তাহলে সেইটা গর্ভকালীন সময় চিন্তার বিষয়, এমনকি ঝুঁকিপুর্ন।
পানি আসা যেকোনো সময় হতে পারে, তবে গর্ভকালীন মধ্যবর্তী সময় বেশি হয়ে থাকে (2nd Trimester)🤰।
আসুন জানি এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে।🤷♀
৷
কেন গর্ভকালীন সময় পা ফুলে/ পানি আসে
🔵🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🔵
🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵
গর্ভাবস্থা শিশুর বৃদ্ধির কারনে প্রায় ৫০% বেশি রক্ত ও তরল উৎপন্ন হয়।
⬇
এই অতিরিক্ত রক্ত ও তরলের কারনে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।
⬇
গর্ভাবস্থায় জরায়ুর আকার বাড়ার সাথে মায়ের পেলভিক শিরায় ও ভেনাকাভাতে চাপ সৃস্টি হয়।
⬇
এরফলে নিম্নাঙ্গ থেকে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমে যায়।
⬇
যার ফলে শিরা থেকে থেকে তরল বের হয়ে শরীরের টিস্যুতে জমা হয়।
⬇
পায়ে পানি আসা/ ফুলে যাওয়া।
৷
ইতিহাস
🔵🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🔵
🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵
১। ওজন কেমন?
২। এটা কি প্রথম প্রেগনেন্সি? আগেরবার কি পায়ে পানি আসছিলো?
৩। তিনি কি চেক-আপ করছেন ( ANC)?
৪। যদি চেক-আপ করে থাকেন সেখানে বিপি কেমন আছে দেখুন।
৫। ফ্যামিলি হিস্ট্রি অব হাইপারটেনশন?
৬। রোগী কি একটানা অনেকক্ষণ দাড়িয়ে রান্নার কাজ বা অন্যকোন কাজ করেন?
৭। ধুমপানের ইতিহাস, হরমোনের সমস্যা।
৮। এমনিওটিক ফ্লুইড বেশি, জমজ বাচ্চার ইতিহাস।
Factors may affect swelling
🔵🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🔵
🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵
💁 রক্তশুন্যতা
💁 প্রি-একলাম্পশিয়া, পুর্ব ইতিহাস উচ্চরক্তচাপ, প্রেগনেন্সির পর উচ্চরক্তচাপ, হার্ট/ কিডনি ডিজিজ ইত্যাদি।
💁 দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা
💁অনেকক্ষন একটানা কাজ করা
💁 কম পরিমানের পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া/ খাবারে পটাশিয়ামের পরিমান কম থাকা
💁 অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় খাওয়া
💁 অতিরিক্ত সোডিয়াম (লবন) খাওয়া।
অল্প পা ফুলা প্রেগনেন্সিতে হয়ে থাকে। কিন্তুু হিস্ট্রি এবং উপরের রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো বের করতে হবে। যদি হঠাৎ পা ফুলে যায় সাথে ব্যাথা হয় ( বিশেষ করে এক পায়ে) তাহলে ব্লাড ক্লট কে ইন্ডিকেট করে যেমন- DVT.
------------------------------------------------+++++++++++++++++++++++++++++++------------------------------------------
Counselling/Advice
🔵🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🔵
🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵
🔴 অনেকক্ষণ একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকা থেকে বিরত থাকা।
🔴 Rest with ur feet elevated
(আমি বলিঃ পা ঝুলিয়ে বসবেন না, যখন বসবেন হয় সামনে একটা টুল দিয়ে পা তুলে সমান্তরাল করে বসবেন অথবা একেবারে পা তুলে বেড/ চেয়ারে বসবেন)
🔴 আরামদায়ক জুতা পরা, হাইহিল পরা থেকে বিরত থাকা।
🔴 পাতে অতিরিক্ত আলাদাভাবে লবন না নেয়া, এমনকি লবন ভাজা/টালাও না খাওয়া। কারন ভাজা/টালা লবন এবং এমনি লবনের গুনাগুন একই।
🔴 প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন চিপস, চানাচুর, ক্যানড ফুড, মাংস এগুলোতে লবন ও ফ্যাটের পরিমান বেশি থাকে। এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
🔴 ভিটামিন, মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার, ফল, ভেজিটেবলস, সুষম খাবার খেতে হবে।
🔴 পটাসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
🔴 প্রচুর পানি পান করা (Water retention)
🔴 রাতে ঘুমানোর সময় পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে উচা করে শোয়া
🔴 যেসব কাপড় পা ও গোড়ালি/ Ankle joint এ চাপ সৃস্টি করে এমনসব পোশাক এড়িয়ে চলা।
🔴 যদি প্রেসার বেশি থাকে তাহলে প্রেগনেন্সিতে সেইফ এন্টিহাইপারটেন্সিভ খেতে হবে
🔴 যদি ব্যাথা হয় তাহলে প্যারাসিটামল, টপিক্যাল এনালজেসিক (Ketoprofen), বরফের স্যাক দিবেন।
কখন সতর্ক হতে হবে
🔵🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🏁🔵
🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵
১।। হঠাৎ করে হাতে, মুখে পানি আসা সাথে মাথা ব্যাথা থাকা/না থাকা, দেখার সমস্যা মানে ঝাপসা দেখা।
২।। বুকে ব্যাথা, শ্বাসকস্ট, অনেকদিন যাবত কাশি।
৩।। এক পায়ে পানি আসা / ফুলে যাওয়া, সাথে ব্যাথা (Culf and thigh)।
রোগীর কাউন্সিলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সুতরাং এই বিষয়ে আমাদের ভুমিকা আছে।
Courtesy,
ডাঃ তানিয়া হাফিজ