17/12/2022
🟢হিজামা_বিষয়ক_হাদীসঃ
হিজামার একটি বিজ্ঞানসম্মত ইসলামী চিকিৎসা।ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা. তিনি নিজে হিজামা নিয়েছেন এবং উম্মতদেরকে হিজামা নিতে উৎসাহিত করেছেন।
হিজামার ওপর অনেকগুলো হাদিস আছে। যেমন- হিজামা কখন করতে হবে,কেন করতে হবে, কোন কোন পয়েন্টে করতে হবে প্রভৃতি। তবে, আমরা এখন শুধু সেই হাদীস গুলোই আলোচনা করতে যাচ্ছি, যেগুলোতে হিজামার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়।
★হযরত জাবির রা. থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন ," নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে"।
[সহিহ বোখারীঃ হাদিস নং - ৫৬৯৭,
মুসলিম শরীফঃ হাদীস নং-২২০৫]
★হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আছে, নবীজী সা. বলেন," জিব্রাইল আ. আমাকে জানিয়েছেন যে, মানুষ চিকিৎসার জন্য যত উপায় অবলম্বন করে তন্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম।"।
[আল-হাকীমঃ হাদীস নং-৭৪০]
★হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.থেকে বর্ণিত আছে, নবীজী সা.বলেছেন,"হিজামাকারী কতই না উত্তম লোক! সে দূষিত রক্ত বের করে দিয়ে মেরুদন্ড শক্ত করে এবং দৃস্টিশক্তি প্রখর করে"।
[সুনানে তিরমিজীঃ হাদীস নং-২০৫৩]
★হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, "রাসূলুল্লাহ সা. কাধের দু'পার্শে ও কাধের মধ্যবর্তী স্থানে হিজামা লাগাতেন"।
[মিশকাত শরীফঃ হাদীস নং-৪৫৪৬]
★হযরত আনাস রা.থেকে বর্ণিত আছে, নবীজী সা. বলেন, "আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি তাদের সবাই আমাকে বলেছেন যে, হে মুহাম্মাদ! আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করুন"।
★ হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, “কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে। রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।”
[সুনানে ইবনে মাজাহঃ হাদীস নম্বর-৩৪৮৬]
★হযরত জাবির ইবনে ‘আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি নবী কারীম সা.কে বলতে শুনেছি, "তোমাদের ঔষধসমূহের কোনটির মধ্যে যদি কল্যাণ বিদ্যমান থেকে থাকে তাহলে তা রয়েছে শিঙ্গাদানের (হিজামার) মধ্যে কিংবা মধু পানের মধ্যে কিংবা আগুনের দ্বারা ঝলসিয়ে দেয়ার মধ্যে। তবে, তা রোগ অনুযায়ী হতে হবে। আর আমি আগুন দ্বারা দাগ দেয়াকে পছন্দ করি না"।
লেখক: Dr. Nazmul Islam Noman