Al-Rafi Homeo Care

Al-Rafi Homeo Care A computerized homeopathic treatment center

প্রতিদিন মাত্র ৪টি কাঠবাদাম খেলে কী হবে জানেন?? প্রাচীনকাল থেকেই মিশরীয় ও ভারতীয়দের খাদ্যতালিকায় কাঠবাদাম থাকত। এই বাদাম...
14/09/2024

প্রতিদিন মাত্র ৪টি কাঠবাদাম খেলে কী হবে জানেন??
প্রাচীনকাল থেকেই মিশরীয় ও ভারতীয়দের খাদ্যতালিকায় কাঠবাদাম থাকত। এই বাদামে রয়েছে প্রচুর খনিজ উপাদান ও ভিটামিন। ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি, আমিষ ও অ্যামাইনো অ্যাসিডেও সমৃদ্ধ কাঠবাদাম। এই বাদাম খেলে কয়েক প্রকার ক্যানসারও প্রতিরোধ করা যায়। কাঠবাদাম খেলে শরীরে যে আটটি উপকারী ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে আজকের আয়োজন।

১. ওজন কমায়

উচ্চ ক্যালরি থাকা সত্ত্বেও ওজন কমাতে বেশ উপকারি কাঠবাদাম। এই বাদাম আঁশ, আমিষ ও কিছু স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর। গবেষণা বলছে, কাঠবাদাম ক্ষুধা কমায়, দিনশেষে বাড়তি খাওয়ার ইচ্ছা দূর করে। তাই শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি দূর করতেও এটি সাহায্য করে। তবে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় এটি বেশি খাওয়া যাবে না।

২. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়

মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান কাঠবাদামে রয়েছে। এতে থাকা অ্যামাইনো এসিড, উপকারি ফ্যাট আমাদের মস্তিষ্ককে যেকোনো কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা বাড়াতেও কাঠবাদামের ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া কাঠবাদাম অনিদ্রা ও মানসিক চাপ কমায়।

৩. ত্বক ভালো রাখে

কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। এই গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি ত্বককে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। দিনে অন্তত চারটি করে কাঠবাদাম খেলে শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ত্বককে নরম ও স্থিতিস্থাপক করে তোলে।

৪. হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়

গবেষণা বলছে, যাঁরা সপ্তাহে অন্তত পাঁচ বার কাঠবাদাম খান, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। আগেই বলেছি, কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ধমনীর ক্ষতির জন্য দায়ী সি-রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন কমাতে ভূমিকা রাখে কাঠবাদাম। কাঠবাদামে ভালো পরিমাণে মনোআনস্যাচুরেটেড ও কিছু পরিমাণে পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি থাকে—যা আমাদের শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়।

৫. হাড় শক্তিশালী করে

কাঠবাদাম ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। ক্যালসিয়াম অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে হাড়, দাঁত এবং মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে। এ ছাড়াও কাঠবাদামে থাকে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। প্রতিদিন কাঠবাদাম খেলে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। এতে আমাদের কঙ্কালতন্ত্র শক্তিশালী হয়।

৬. দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে

কাঠবাদামে রয়েছে ফসফরাস। এটি আমাদের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে। আর সার্বিকভাবে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৭. গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য ভালো রাখে

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন অল্পকিছু পরিমাণে হলেও কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। এতে থাকে ভিটামিন ই যা অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য খুবই দরকারি। কাঠবাদাম খেলে গর্ভের অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিশেষ করে, গর্ভের ফিটাস যদি স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরে বৃদ্ধি পায় তাহলে কাঠবাদাম খাওয়া হতে পারে ভালো সমাধান।

৮. ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

মার্কিন জৈব রসায়নবিদ এডউইন ক্রেবস মনে করেন, নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন বি–এর অভাবে কয়েক ধরনের ক্যানসার সেল তৈরি হতে পারে। কাঠবাদামে প্রচুর ভিটামিন বি ও ফ্ল্যাভনয়েড থাকে, যা নারীদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এতে বোরন থাকায় প্রস্টেট ক্যানসারও প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে কাঠবাদাম।

কীভাবে খাবেন?

প্রতিদিন ১৪টা পর্যন্ত কাঠবাদাম খাওয়া যেতে পারে। তবে প্রতিদিন মাত্র চারটি কাঠবাদাম খেলেই আপনি ওপরের সমস্ত উপকার পাবেন। রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালিপেটে খেতে পারেন কাঠবাদাম। সালাদ, পায়েস, আইসক্রিম, কেক, পোলাও, ফ্রায়েড রাইস—সবখানেই চলে কাঠবাদাম। দুই খাবারের মধ্যেও খেতে পারেন। স্মুদি, বিভিন্ন মিশ্র ফল, মিল্কশেকের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন কাঠবাদাম। মাংসসহ বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন কাঠবাদামের পেস্ট। অফিসে একটা ছোট কৌটায় রেখে দিতে পারেন কাঠবাদাম। কাজের ফাঁকে পেট খিদের জানান দিলে চিবিয়ে খেয়ে নিলেন!

কিডনি রোগের ক্ষেত্রে যেসব খাবার খাওয়া যাবে না :কিডনি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে, জরুরি হরমোন তৈরি করে। এছা...
25/07/2023

কিডনি রোগের ক্ষেত্রে যেসব খাবার খাওয়া যাবে না :
কিডনি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে, জরুরি হরমোন তৈরি করে। এছাড়াও নানা জটিল কাজে জড়িত এই অঙ্গ।ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই অঙ্গটি। কিডনি ডিজিজের মূল কারণ ডায়াবিটিস ও হাই ব্লাড প্রেশার। এই রোগ দুটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাশাপাশি কিছু খাবার এই অঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে, কিডনির রোগ দূরে রাখতে কিছু খাবার ছাড়তে হবে। কিডনি সমস্যা দেখা দিলে জীবনযাপনে বদল আনতে হবে। খাবার খেতে হবে হিসাব করে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধিকে ধীর গতিতে রাখার জন্য সঠিক খাবার খাওয়া জরুরি।
সোডা বা কোল্ড ড্রিংকস স্বাদ দারুণ হওয়ায় মানুষের মন জয় করেছে। এতে পুষ্টিগুণ নেই। এমনকী শরীরের জন্য ভালো নয়। এই পানীয়ে রয়েছে বেশি মাত্রায় ক্যালোরি থেকে শুরু করে সুগার। এছাড়া থাকে কিছু ক্ষতিকর উপাদান। এই সকল উপাদান কিডনির জন্য একবারেই ভালো নয়। কিডনির সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে কোল্ড ড্রিংকস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
প্রসেসড ফুড খান। মনে রাখবেন, এই খাবারে রয়েছে ভীষণ পরিমাণে ক্যালোরি। এছাড়াও খাবারগুলিতে প্রচুর লবণ থাকে বেশি। আর লবণ মানেই সোডিয়াম। আবার এই খাবারে মেশানো থাকে প্রিজারভেটিভস। এই সমস্ত উপাদানগুলি কিডনির জন্য একবারেই ভালো নয়।
কিছু সবজিতেও রয়েছে অনেকটা পরিমাণে পটাশিয়াম। আপনি সেই সব খাবার থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করুন। সেই তালিকায় রয়েছে থোর, মোচা, পালং, নটে, আলু, রাঙা আলু ইত্যাদি। এখন থেকে এই খাবার একটু কমান।
সব ধরনের ড্রাই ফ্রুটে অত্যধিক পটাশিয়াম রয়েছে। তাই এই খাবারটি খাবার আগে সচেতন হন।
সবজি
রক্তে পটাশিয়াম, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা, ফসফরাস ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে সবজি হিসাব করা হয়। কিডনি সমস্যা দেখা দিলে অতিরিক্ত পিউরিন ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ শাকসবজি, পিচ্ছিল ও গাঢ় লাল রঙের শাকসবজি এড়িয়ে যেতে হবে। কিডনি রোগীদের জন্য চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ইত্যাদি পানীয় সবজি উপকারী। উপকারী হলেও এগুলোর পরিমাণ মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচাসবজির সালাদ, সবজি স্যুপ ইত্যাদি কিডনি রোগীদের এড়িয়ে চলতে হয়। ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, কচু, মুলা, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, গাজর, কাঁঠালের বিচি, শিমের বিচি, মুলাশাক খাবেন না
ফল
হাই পটাশিয়াম যুক্ত ফল কিন্তু কিডনির জন্য খারাপ। আসলে পটাশিয়াম বেশি হলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। তখন কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই আপনাকে হাই পটাশিয়াম যুক্ত খাবার থেকে দূরে যেতে হবে। এক্ষেত্রে কলা ,কমলালেবু, টমেটো, ডাব, কলা, আঙুর একেবারেই খাবেন না, কেননা, এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। এই খাবারে থাকা পটাশিয়াম কিডনির রোগে খারাপ। তাই কিডনির অসুখ থাকলে এই সব ফল আর খাওয়া চলবে না। অন্যথায় জটিলতা বাড়তে পারে।অনেক কিছু বিবেচনা করে ফল নির্ধারণ করা হয়। তিন-চারটি ফল রোগী ভেদে সীমিত আকারে দেওয়া হয়,, যেমন : কম পটাশিয়ামযুক্ত ফল, নাসপাতি ,আপেল, পাকা পেঁপে, পেয়ারা ইত্যাদি।
লবণ
লবণ বা সোডিয়াম নিয়ন্ত্রিত পথ্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে জরুরি। রক্তচাপ, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা, ইডিমা বা শরীরের পানি পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে লবণের পরিমাপ করা হয়। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ গ্রাম লবণ নির্ধারণ করা হয়, যা নির্ভর করবে আপনার শারীরিক অবস্থা ও ডায়েটেশিয়ানের ওপর। আলাদা লবণ গ্রহণ পরিহার করতে হবে এবং অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন— চিপস, পাপড়, চানাচুর, আচার ইত্যাদি, যা শুধু কিডনি রোগীর চিকিৎসায় নয়, কিডনি রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
তরল বা পানীয়
কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে তরল খাবার নিয়ন্ত্রণ জরুরি। চা, দুধ, পানি সব মিলিয়ে তরলের হিসাব করা হয়। কোন রোগীকে কতটুকু তরল বরাদ্দ করা হবে, তা নির্ভর করবে রোগীর অবস্থার ওপর। খুব গাঢ় করে জাল দিয়ে দুধ পান করা যাবে না। শরীরের ইডিমা, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, সোডিয়ামের মাত্রা, ইজিএসআর- এসবের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে এক থেকে দেড় লিটার, কখনও কখনও দুই লিটার পর্যন্ত তরল বরাদ্দ হয়। অনেকেই অসুস্থ কিডনিকে সুস্থ করার জন্য অতিরিক্ত পানি খান— এটি ভুল।
এই রকম জটিল রোগের সঠিক চিকিৎসা হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে করা সম্ভব

Address

Koddar Mor
Sirajganj
6700

Telephone

+8801732535949

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Al-Rafi Homeo Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Al-Rafi Homeo Care:

Share