Dr. Sukumar Sur Roy

Dr. Sukumar Sur Roy I'm a general physician, practicing at ibne sina Prime Diagnostic Centre, ullapara, Sirajganj.

I want to disseminate medical general knowledge to common people thereby update their health consciousness...

★★★★★" সোনার হরিণ "★★★★★       --------- ( একাদশ পর্ব)(দেখামাত্র গুলি)----একেবারে চাকুরি জীবনের গোড়ার  দিকের কথা ।মেডিকে...
07/07/2025

★★★★★" সোনার হরিণ "★★★★★

--------- ( একাদশ পর্ব)(দেখামাত্র গুলি)----

একেবারে চাকুরি জীবনের গোড়ার দিকের কথা ।
মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আমাকে মহিলা আউটডোরে রোগী দেখার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দিলেন।

এর কারন পরে বুঝতে পেরেছিলাম। পুরুষ ও শিশু আউটডোরে তুলনা মূলক ভীর কম। এই কারনেই হয়তোবা অন্যান্য কলিগ পুরুষ ও শিশু আউটডোরে বসতে শুরু করেছে। মহিলা আউটডোর তখনো খালি পরে আছে।

চা খেয়ে নির্ধারিত রুমে বসে আছি রোগী দেখার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে।
''আচ্ছালামালাইকুম" বলে ঢুকলেন একজন মাঝবয়সী লোক। ছোট ছোট করে কাটা আউটডোরের সিল ছাপ্পর মারা সাদা কাগজের স্লিপ আমার টেবিলে সাজিয়ে রেখে চলে যাচ্ছিলেন।

হাতের ইশারায় ডেকে পরিচয় জানতে চাইলাম।
তিনি বললেন তার নাম রমজান আলি।
তিনি এই হাসপাতালের ' মালি' পদে আছেন। তবে বাগান না থাকায় বড় স্যার তাকে আউটডোরে ডিউটি করতে বলেছেন।
বেশ! বেশ!, জিজ্ঞেস করলাম - ''এখানে রোগী কেমন হয়? ''
রমজান জবাব দিল--" রুগি ম্যালা স্যার, বানের পানির লাহান ঠেকায়া রাখা যায় না। "

রমজান কে বললাম - '' টেবিলে বা ড্রয়ারে কোন প্রেশার মাপার যন্ত্র দেখছিনা যে! ''

রমজান অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল --"কোন স্যারতো চায় না ; পাশের ঘরে আছে, আইন্যা দিমু? "

বললাম - '' আনো। ''
নিতান্ত অনিচ্ছা সত্বেও রমজান পাশের মেডিকেল অফিসারের রুম থেকে প্রেশার মাপার যন্ত্র এনে তাচ্ছিল্যের সাথে আমার টেবিলে রেখে দিলো।

ইতিমধ্যে ফার্মাসিস্ট সাহেব কয়েকটি ওষুধের নাম লেখা একটি ছোট কাগজ আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে গেলেন - " এটি হল আজকের সাপ্লাইকৃত ওষুধের তালিকা। "

দেখলাম লেখা আছে -- ১) পি, সি, ( মানে প্যারাসিটামল) - ২০০।
২) হিস্টা (মানে হিস্টাসিন) - ২০০।
৩) এন্টাসিড -- ৩০০।
৪) এফ এস ( ফেরাস সালফেট ; মানে আয়রন ট্যাবলেট) --- ৫০০।

আরো ৩/৪ টি আইটেম, সংখ্যা উল্লেখ পুর্বক লেখা আছে।

আমি বললাম -- " ওষুধের লিস্ট বুঝলাম। তার পাশে এই সংখ্যা লেখা কেন?"

তিনি বুঝিয়ে বললেন - " এগুলি আজকের দিনের জন্য বরাদ্দ। এর বেশি আজ খরচ করা যাবে না।"

আমি বোকার মত জিজ্ঞেস করলাম "কেন?"

তাতে তিনি যা বললেন তার সারমর্ম হল এই যে, স্টোর কিপারের কাছে যা স্টকে আছে তা পর্যাপ্ত নয়।
তিনি জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে প্রতি তিন মাসের কিস্তিতে মালামাল নিয়ে আসেন।

সেই মালামালের বড় অংশ থাকে ইনডোরে ভর্তি রোগিদের জন্য। কিছু মালামাল জরুরি বিভাগের জন্য। আর সামান্য কিছু আউটডোরের জন্য।

আউটডোরের প্রাপ্য মালামালের সবটাই যদি আউটডোরে একবারে সাপ্লাই দিয়ে দেয়া হয় , তাহলে তা দিয়ে সাকুল্যে পনের দিন চলতে পারে। বাকী আড়াইমাস আউটডোর বন্ধ রাখতে হবে। " সরকারি অফিসতো বন্ধ রাখা যায় না স্যার!"

তাই এটা হল স্থানীয় ব্যবস্থাপনা। যাতে রেশনিং সিস্টেমে প্রতিদিন আউটডোর চালু রাখা যায়!

আমি বললাম - " আচ্ছা বুঝলাম, এখন আজকের যে বরাদ্দ, সেটা যদি আধাঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় তখন উপায় কি হবে? "

তিনি বললেন - " কোন উপায় নাই স্যার, শেষ হওয়ার পর শেষ। এরপর রোগি আসলে 'ওষুধ নাই ' বলে বিদায় করে দিতে হবে। "

আমি বললাম - " এই যে ওষুধ নাই, রোগিকে এ কথা কে বলবে? ডাক্তার বলবে, নাকি আপনি ফার্মাসিস্ট বলবেন ? "

ফার্মাসিস্ট মহাশয় বললেন -- " স্যার এটাতো ডাক্তার স্যারেরা বলবেন, কারন রোগিরাতো ডাক্তারের কাছে আসবেন। "

ফার্মাসিস্টের কাছে এই নসিহত শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। রেডিও টেলিভিশনে এরশাদ স্বয়ং এবং তার মন্ত্রীরা অহরহ বলে যাচ্ছেন যে, নতুন নতুন হাসপাতাল করা হচ্ছে! চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে!পর্যাপ্ত ওষুধ পত্র দেওয়া হচ্ছে! স্বাস্থ্য সেবা জনগের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়া হচ্ছে! ইত্যাদি ইত্যাদি। আর তার বিপরীতে আমরা নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তারবাবুরা বলবো - "ওষুধ নাই, ওষুধ নাই। "
"আমাদের পিঠের চামড়া থাকবেতো!?"

কিছুক্ষণ পর দুই একজন করে মহিলা রোগী আসতে শুরু করলো।
তাদেরকে পাশের টুলে বসিয়ে, ধীরে সুস্থে জিজ্ঞাসাবাদ করে, টুকটাক পরীক্ষা করে, তাদের নিয়ে আসা ছোট্ট টিকেটে প্রেস্ক্রিপশন লিখে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম।

কিন্তু দেখা গেল তারা বড়ই অসহিষ্ণু!
টুলে বসিয়ে, সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করার আগেই তারা কেউ বলল - " 'আমাশার -' ওষুদ দ্যান, কেউ বলল - ' গ্যাসের ওষুদ দ্যান।

আমি এসব কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে তাদেরকে টুলে বসিয়ে কিছু কথাবার্তা জিজ্ঞেস করে প্রেস্ক্রিপশন সহ দুই একটি ওষুধ যেগুলি সাপ্লাই আছে সেগুলি দিয়ে বিদায় করতে লাগলাম।

কিছুক্ষনের মধ্যে মনে হল বাইরে বেশ শোরগোল লেগে গেছে!
মুখ তুলে দেখলাম অসংখ্য মহিলা! কারো কোলে দুধের বাচ্চা, হাতে ধরা আরেক বাচ্চা! পরস্পর ঠেলাঠেলি করতে করতে চিৎকার চেঁচামেচি করে গোটা বারান্দা নরক গুলজার করে ফেলেছে!

মুহুর্তের মধ্যে এত মানুষ কোত্থেকে এলো বুঝতেই পারিনি। রমজান আলি দরজার একটি কপাট বন্ধ করে দিয়ে এক পাল্লা খোলা রেখে, চিৎকার করে শিশুসমেত উশৃংখল নারীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। মনে হচ্ছে মহিলারা দরজা ভেঙে একবারে ঘরের মধ্যে হুরমুড় করে ঢুকে পড়বে!

আমি কিছুটা থতমত খেয়ে গেলেও রোগী দেখতে মনোনিবেশ করলাম।

কিছুক্ষন পরেই রমজান ধাক্কাধাক্কি করতে করতে ভিতরে ঢুকে এসে আমার কানে কানে বলে গেলো-- " স্যার, 'হাত চালান'। "
"হাত চালান! " মানে আমাকে দ্রুত বেগে রোগি দেখতে হবে!?

আমি ছিলাম বরাবর এক বোকা কিসিমের মানুষ।
কিভাবে দ্রুত রোগি দেখতে হয় তখনো তা আমি শিখে উঠতে পারিনি।

এভাবে প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে ডাক্তার হিসাবে রোগি দেখা নয়, যেন এক প্রচন্ড ঘুর্নীঝড়ের মোকাবেলা চলতে লাগলো।

আধাঘণ্টার মধ্যে ওষুধ শেষ হয়ে গেলে আবার নতুন
গজব শুরু হতো -- " ওষুধ নাই ক্যান ? , সরকার ওষুধ ঠিকই দ্যায় , ডাক্তারেরা বেঁইচ্যা খায়!, ওষুধ নাইতো এখানে বইস্যা আছেন ক্যান?

এসব কথাবার্তা ইতিমধ্যে গা সহা হয়ে গেছে।
প্রাণপণ চেষ্টা করছিলাম, যাতে ওষুধ না দিয়েও ভালো প্রেসক্রিপশন দিয়ে বিদায় করা যায়।
তার জবাবে উলটা মুখ ঝামটানি শুনতে হতো --
" ওষুদ যুদিল বাইরে থেইক্যাই কিনা খামু তাইলে হাসপাতালে আপনেগারে কাছে আসমু ক্যা ? "

কখনো কখনো বলতাম - " তখন কোথায় যেতেন? "
তাদের উত্তর হত - " ক্যা, ডাক্তারের কাছে যামু। "

এই ডাক্তার মানে - 'গ্রাম ডাক্তার ', পল্লি চিকিৎসক! '

এই ভাবে কয়দিন চলার পর নিজের মধ্যে একধরনের হীনমন্যতা শুরু হল। নিশ্চয়ই আমি সব কিছু ঠিকমত ম্যানেজ করতে পারছি না। কোথাও হয়তো আমার ত্রুটি আছে। আমার রুমেই সবচেয়ে বেশি গ্যাঞ্জামের উৎপত্তি হচ্ছে । এর মাঝে বড় স্যার একদিন আমার রুমে উঁকি মেরে দেখে গেছেন।

আমার মনে হল, নতুন মেডিকেল অফিসার হিসাবে আমার অদক্ষতা ওনার কানে চলে গেছে!
রমজানের পরামর্শমত আমার 'হাত যথেষ্ট চালু' হয় নাই। এসব চিন্তা করে আমার হীনমন্যতা আরো বেড়ে যেতে লাগলো।

ইতিমধ্যে এক অদ্ভুত জিনিষ খেয়াল করলাম, আমার পাশের রুমের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার শমসের ভাইয়ের রুমে কখনোই কোন ভীরভাট্টা নাই, কোন গ্যাঞ্জামও নাই।
এতে আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে, আমার অদক্ষতাই আমার নাকানিচুবানি খাওয়ার অন্যতম কারন।

একদিন আউটডোর শেষে শমসের ভাই চা খেতে ডাকলেন।
চা খেতে খেতে কথাটা পেরেই ফেললাম।

শমসের ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম -- " আমার রুমে সারাক্ষণ ভীর আর গ্যাঞ্জাম লেগে থাকে, অহরহ গঞ্জনা সহ্য করতে হচ্ছে! , আপনার রুমে কোন ভীর নাই, গ্যাঞ্জাম নাই, বসে বসে চা খান আর পেপার পড়েন, রহস্য টা কি? "

শমসের ভাই এক রহস্যময় হাসি দিয়ে বললেন --
" যেদিন রমজান আলি আমার ড্রয়ার থেকে প্রেশার মাপার মেশিন নিয়ে আপনার টেবিলে দিয়েছে, সেদিনই বুঝেছি আপনার রুমে গ্যাঞ্জাম হবে, আপনি বিপদে পড়বেন। "

আমি কিছু বুঝে উঠতে না পেরে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম শমসের ভাইয়ের রহস্যময় হাসির দিকে।

শমসের ভাই আবারো বললেন -- " দাদা, এভাবে হবে না। "

আমি বললাম - " কিভাবে হবে? আমাকে কি করতে হবে? "

তিনি বললেন -"দেখামাত্র গুলি করতে হবে! "

তিনি ব্যাখ্যা করে বললেন - " এখানে ডাক্তারি করার কোন দরকার নাই। রোগি আসা মাত্র যে যা চায় দিয়ে দিবেন। 'জ' উচ্চারণ করার সাথে সাথে বুঝে নিবেন জ্বরের কথা বলছে, সোজা পিসি ( প্যারাসিটামল) লিখে দিয়ে দিবেন। সর্দি কাশি বলার সাথে সাথে হিস্টা (হিস্টাসিন) লিখে দিবেন । যখন অন্য ওষুধ সব শেষ হয়ে যাবে তখন কোন কিছুই আর শোনার দরকার নাই ;যতক্ষন এফএস (আয়রন ট্যাবলেট) অথবা বিসি ( বি কম্পলেক্স ট্যাবলেট) আছে, ততক্ষন তাই দিতে থাকবেন ;এগুলিতো শরীরের কোন ক্ষতি করবে না। আবার রোগিদেরও পাওনা ওষুধ পাওয়া হয়ে গেল!।

যখন সব শেষ হয়ে যাবে তখন দেখবেন, ফার্মাসিস্ট সাহেব একটা কাগজে লিখে দিয়ে যাবে -- " এসব ওষুধ নাই।"
যে সব রোগি পরে এসে হাউকাউ করবে ' ওষুধ নাই কেন? -- তাদেরকে মুখে কিছু বলার দরকার নাই ; ফার্মাসিস্ট এর "কোন ওষুধ নাই "লেখা কাগজটি দেখিয়ে দিবেন! "

এইভাবে নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমিও এক সময় " দেখামাত্র গুলি চালানোতে " অভ্যস্ত হতে থাকলাম !!!।।।

(------- চলবে --------)

------ ডাঃ সুকুমার সুর রায়।।

পাদটীকা ঃ
( পঁয়ত্রিশ বছর আগের এই পদ্ধতি " দেখা মাত্র গুলি "
এখনো বহাল তবিয়তে চলমান আছে।
এর সুদূর প্রসারী ফলাফল কি হয়েছে বা হচ্ছে! বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে! বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এ থেকে মুক্ত কিনা? বাংলাদেশের নিম্নবিত্তের মানুষ মেডিকেল ভিসা নিয়ে কেন বন্যার পানির লাহান ভারতে চলে যাচ্ছে!?
এসব বিষয় পর্যায়ক্রমে আলোকপাতের ইচ্ছা রইল।)

চার শত বছরের পুরনো হইয়ান সিটি।ভিয়েতনামের একটি পুরনো ছোট্ট শহর। একজন মহিলা চাষি ফলমূল নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে। উচ্ছল হাসি...
05/07/2025

চার শত বছরের পুরনো হইয়ান সিটি।
ভিয়েতনামের একটি পুরনো ছোট্ট শহর। একজন মহিলা চাষি ফলমূল নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে। উচ্ছল হাসি দিয়ে পর্যটকদের কাছে ভালই ব্যবসা করলেন তিনি।

"পুবালি বাতাস"----------------------      পঁচা ভাদরে, ছ্যাচড়া বাদলের ভোরে ;জন্ম হয়েছিল উঠানে শোলার ঘরে, খিচ কাঁদা আর তাল...
02/07/2025

"পুবালি বাতাস"
----------------------
পঁচা ভাদরে, ছ্যাচড়া বাদলের ভোরে ;
জন্ম হয়েছিল উঠানে শোলার ঘরে,
খিচ কাঁদা আর তালপাকা ভ্যাপসা গরমে।

আশ্বিনে পূজার গন্ধ ছিল,
ছিল শিউলি, নদীর কাশফুল গুলো ;
শুভ্র মেঘের ভেলায় উড়েছিল গগনে।

কার্তিকের ধূসর সকালে, কুয়াশার আড়ালে
জলপাই কিংবা বড়ইতলার খুনসুটিতে;
কেটেছিল শৈশব আর কৈশোরের আবডালে।

নবান্নের অঘ্রাণে ; ভরা ছিল সোনার ধানে,
দুপুরে এক থালা ধোঁয়া ওঠা ভাত ;
বেড়ে দিয়েছিল এক মমতা জড়ানো হাত।

পৌষের শেষ বিকেলের হিমে,
ছিল পিঠা পুলি পায়েসের আয়োজনে;
মা'য়ের মমতার হাত ছিল সবখানে।

মাঘের শীতে হাড় কেঁপেছিল নাকি!
রাতের আকাশে ফুটেছিল অজস্র জোনাকি;
ওম দিয়েছিল, মালের কাঁটার আগুনে।

ফাগুনের বুনো ফুলে প্রজাপতি উড়েছিল,
আর সজনের ডালে ডালে বুলবুলি;
এলোমেলো বাতাসে, রোমান্টিক বসন্ত! উড়ে এসেছিল!

চৈত্রের ধূলায় ছেয়েছিলো আকাশ,
অকস্মাৎ এক পশলা বৃষ্টি এলো; মঁ মঁ মাটির গন্ধে, সেকি সৃষ্টির উল্লাস!

বৈশাখের দুপুরে, করালি আমের ঘ্রাণ,
জৈষ্ঠ্যের পাকা কাঁঠালের গন্ধে,
মস্তিষ্কের সুগভীর কোন রন্ধ্রে ; জেগে আছে মনের স্মৃতিতে হয়ে অম্লান।

আষাঢ়ে বানের পানিতে
উঠেছিল ঢেউ পুবালি বাতাসে ;
শাওনের ধারা, ভাসিয়ে নিয়ে যাবে _ মাঠ ঘাট পাথার।

সময়তো হয়ে এলো যাবার, যাবে নাকি ভেসে ভেসে? আকাশ যেখানে গিয়েছে মিশে;
সীমাহীন দিগন্তের ওইপার!!

---- ডাঃ সুকুমার সুর রায়।

আমি কে?আমি দশ জন সাধারণ ধান্দাবাজ, সবজান্তা  পাবলিকদের  মতন একজন,  আমি খাদ্যমন্ত্রীকে দাম্ভিক বলি, আমি প্রধানমন্ত্রীকে স...
01/07/2025

আমি কে?

আমি দশ জন সাধারণ ধান্দাবাজ,
সবজান্তা পাবলিকদের মতন একজন,

আমি খাদ্যমন্ত্রীকে দাম্ভিক বলি,
আমি প্রধানমন্ত্রীকে সাম্প্রদায়িক বলি,
আমি স্বাস্থ্যসচীবকে ব্যর্থ বলি,
আমি অর্থমন্ত্রীকে স্তাবক বলি,

আমি ডাক্তারকে খুনী বলি ,
পুলিশকে ঘাতক বলি,
রেশন ডিলারকে চোর বলি,
সরকারি কর্মচারীকে অলস বলি,
শিক্ষককে নিষ্কম্মার ঢেঁকি বলি,

কিন্তু আমি কি?
আমি হলাম পাবলিক,
সবজান্তা একজন পাবলিক,
আমি কখনও হিন্দু,
আমি কখনও মুসলমান,
কখনোও মন্দিরে নারীদের প্রবেশে বাধা দিই,
কখনও করোনার দাওয়াই খুঁজি নানা পুস্তকে,

আমি কার্ফুতে মাছ খুঁজতে বাজারে যাই,
মাস্ক কানে ঝুলিয়ে আকাশপানে তাকাই,
আমি আবার জীবাণুনাশক স্প্রে খুঁজি,

আমি কথায় কথায় নেতা মন্ত্রীকে শাপান্ত দিই,
প্রয়োজনে নেতা মন্ত্রীদের তৈল মর্দনেও যাই,

আমি সরকারি অনুদান সাদরে গ্রহন করি,
চায়ের দোকানে সেই সরকারের অতি ব্যায়ের নিন্দাও করি,
আমি সবরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করি,
আবার সরকারের সব নির্দেশিকা ভঙ্গও করি,

আমি ডাক্তার পেটাই,
হাসপাতালে নার্সদের গায়ে থুতু ছিটাই,
পুলিশ লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ি,
আমি সিগন্যাল ভেঙে পুলিশকে হাতে পায়ে ধরে ঘুষ দিই,
আমি আবার পুলিশদেরকে ঘুষখোর বলি,

আমি পরিযায়ী শ্রমিকের দুঃখে কাতর হই,
আবার সেই শ্রমিকের মজুরি দিতে দশটা টাকা কম দিতে মরিয়া হই ,

আমি ভনিতা দেখাতে রেস্টুরেন্টের দারোয়ানকে ১০ টাকা বখশিশ দিই,
আমিই আবার বাজারের গরীব সবজিওয়ালার সাথে এক টাকার জন্যে তর্ক করি।

আমি রাস্তার মোড়ে মাতালের মাতলামির নিন্দা করি,
আমিই আবার লকডাউনের মধ্যে পাগল হয়ে একটা বোতল খুঁজি,
হ্যাঁ,
উপরের সবগুলোই আমি,
আমি শিক্ষিত,
আমি বিজ্ঞানমনস্ক,
আমি প্রতিবাদী,
আমি মিথ্যাবাদী,
আমি হিন্দু,
আমিই মুসলমান,
আমি পাবলিক,
আমি সবজান্তা একজন রাষ্ট্রের নাগরিক

আমার মান আছে তো হূঁশ নেই,
আমার হূঁশ আছে তো মান নেই,

আমি জাত খুঁজি,
আমি পাত খুঁজি,
আমি লিঙ্গ খুঁজি,
আমি বর্ণ খুঁজি,
আমি অর্থ খুঁজি,
আমি সর্বদা অন্যের দোষ খুঁজি,

আমি মানুষ খুঁজি,
শুধু মনুষ্যত্ব খুঁজিনা! ( সংগৃহীত)

ডাঃ সুকুমার সুর রায়।

★ মৃত্তিকার ঘ্রান ★                  ( দত্ত বাড়ি)                      সরকার পাড়া থেকে ফেরার পথে অবিনাশের ভিটা থেকে একটু...
30/06/2025

★ মৃত্তিকার ঘ্রান ★
( দত্ত বাড়ি)


সরকার পাড়া থেকে ফেরার পথে অবিনাশের ভিটা থেকে একটু দক্ষিন দিকে ফিরতেই নজরে এলো 'দত্ত বাড়ির' বাঁশ ঝাড়!
দত্ত বাড়ির দিকে চোখ পড়তেই এক লহমায় চলে গেলাম সোনালি শৈশবে।
মনে পড়ে গেলো আম চুরির পরিকল্পনার কথা। বৈশাখের কোন একদিন আম চুরির পরিকল্পনার চুড়ান্ত অনুমোদন করে ফেললাম ।
পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য কোন গোপন বৈঠকের প্রয়োজন হয় নাই।
যেহেতু আমি একাই এই চুরি মিশনের সদস্য - বলতে গেলে ' ওয়ান ম্যান আর্মি ', তাই কারো সাথে পরামর্শের দরকার পড়ে নাই।

বাঁশের একটি কঞ্চির মাথায় একটি 'কাল' লাগিয়ে 'কোটা ' তৈরি করা হলো।

আমাদের বাড়ির সামনের পাটক্ষেতের মাঝ দিয়ে পুর্বদিকে গেলে একটি ডোবা। ডোবার পুর্ব পাড়ে দত্তবাড়ির দক্ষিনের ভিটার আমগাছের ডাল আমের ভারে ডোবার দিকে নুইয়ে পড়েছে। সেই ডালের থোকা থোকা আম ডোবার বিষকাঁটালির জঙলের দিকে ঝুলে আছে।
জঙলের মাঝখানে মাথা নীচু করে বসে, কোটা দিয়ে টপাটপ কয়েকটি আম পেড়ে যেই আরেকটি আমের বোঁটায় কোটার কাল লাগিয়েছি, অমনি জলদগম্ভীর কন্ঠে হুঙ্কার -- " কে... রে... !?
পড়িমরি করে জঙল মাড়িয়ে পাটক্ষেতের মাঝ দিয়ে সোজা বাড়ি!

আম চুরির মিশন পুরোপুরি সফল হল না।
তাতে কি? 'একবার না পারলে দেখ শত বার '।

'দত্ত দাদার' গাছ থেকে আম চুরি করা সত্যিই দুঃসাহসিক ব্যাপার।
তার চোখ ফাঁকি দেওয়া ছিল কঠিন কাজ।

তিনি ছিলেন ব্রিটিশ আর্মির সদস্য।
মিলিটারি থেকে অবসর নেওয়ার পর ছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক।
সেই শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পর তার একমাত্র কাজ হল বিশাল বাড়ি পাহারা দেওয়া।

বাড়িটি ছিল আসলেই বড়।
দুই বিঘারও বেশি জায়গা জুড়ে বাড়ি। বাড়ির উত্তর পাশে দুইটি বড় বড় বাঁশ ঝাড়। দুই বাঁশ ঝাড়ের মাঝখানে এক চিলতে গলির মত খোলা জায়গা। এই জায়গাটি ছিল আমাদের ডাংগুলি খেলার জায়গা।

পুরো বাড়িটির চারিদিকে সীমান্তের কাঁটাতারের মত বাঁশের কচার বেড়া দিয়ে ঘেরা দেওয়া থাকতো ।
প্রতি বছর নিয়মিত এই বেড়া রিপেয়ার করা হতো।

বাড়ির সামনে বৈঠকখানা ঘরের দুইপাশে দুইটি বড় নিম গাছ ছিল। নিমগাছের হাওয়া নাকি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
গ্রীষ্মকাল জুড়ে আমাদের আড্ডা হতো এই নিমতলায় ।
হাতের বামে পুর্ব পাশে ছিল বড় খড়ের পালা। তার সাথেই ছিল 'চুনী আম গাছ'। চুনি গাছের দক্ষিন পাশে একচিলতে জায়গায় ছিল ফুলের বাগান। এর দক্ষিনে দক্ষিন সীমান্তের বাঁশের বেড়া জুড়ে, লতানো গাছে নীল অপরাজিতা ফুল ফুটে থাকতো।

পশ্চিম পাশে ছিল আরেকটি বড় বাগান। সেই বাগানে ছিল লাল জবা, সাদা জবা, জুঁই সহ হরেক রকম ফুলের গাছ। মাঝে মাঝে ছিল আমগাছ। কোনটির নাম 'পান্না গাছ', কোনটির নাম 'বেলী গাছ।'

এই বাগানেরই দক্ষিন পাশে ছিল বিরাট লেবু বাগান।
এই লেবু বাগানের সাথেই ছিল একটি হিজল গাছ আর একটি সোনালু গাছ।
আষাঢ় মাসে হিজল গাছের বেগুনি ফুল ঝরে পড়ত দক্ষিন পাশের পায়ে চলা রাস্তায়। রাস্তাটা পিচ্ছিল হয়ে থাকতো।

বাড়ির দক্ষিন পাশের সীমানার বাইরে উঁচু জমির আইল ঘেঁসে দাঁড়িয়ে ছিল তিনটি আমগাছ। একটির নাম 'কাঁচা মিঠা,' ডোবার ধার ঘেঁসে যেটা তার নাম 'কালা গাছ ',আর বুন্দ্যালি শেখের বাড়ির সীমানা ঘেঁসে ছিল 'নাদাইড়্যা' গাছ।

বাড়িটি ছিল ঝক ঝকে পরিস্কার।
দুই নিম গাছের মাঝখানে বৈঠকখানার বারান্দায় একটি জল চৌকিতে বসে থাকতেন দত্ত দাদা।

শুধু বসে থাকতেন বললে ভুল হবে। যেমন করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দুরবিন তাক করে দূর আকাশের নক্ষত্রমণ্ডলী পর্যবেক্ষন করে থাকেন, তেমনি দত্ত দাদা তার তীক্ষ্ণ চোখ দুইটি দিয়ে বাড়ির আনাচে কানাচের সব কিছু নজরে রাখতেন।

তার নজর এড়িয়ে এই বাড়ির কোন কিছু খোয়া যাওয়া ছিল অসম্ভব।
মাঝে মধ্যে তার জলদগম্ভীর গলার আওয়াজ ভেসে আসতো।
শুধু ছোটরা নয়, বড়রাও এই মিলিটারি গলার আওয়াজ সমীহ করে চলতো।

দত্ত দাদা ছিলেন তার পিতার একমাত্র পুত্র।
বয়স অনুমান পঁচাত্তর বছর।
মাথার চুল ধব ধবে সাদা। শরীরের গড়ন তখনো পেটানো। সম্ভবত মিলিটারি হওয়ার কারনে।

তিনি যেন যক্ষের ধনের মত আগলে রাখতেন তার বাড়িটি।
আমাদের বাড়ি থেকে পুর্বদিকে জ্যাঠার বাড়ি পার হয়ে দুইদিকে বাঁশের কচার বেড়া দেওয়া সরু একটি করিডোর পাড়ি দিলেই দত্ত বাড়ি।
দত্ত বাড়ির অন্দর মহল দিয়ে উত্তরের বাঁশ ঝাড়ের মাঝখানে ডাংগুলি খেলার জায়গায় জমায়েত হতাম আমি, দুলাল, ভাষা, মোহন।
তার পর বাড়ির আনাচে কানাচে, বাগানের এখানে সেখানে চলতো অবাধ বিচরন।

এইভাবে প্রি ইস্কুল পিড়িয়ড একদিন পাড় হয়ে গেল। প্রাইমারির গণ্ডীও পেড়িয়ে গেলাম।
তারপর একদিন কে কোথায় ছিটকে চলে গেলাম।

হোস্টেলে থেকেই একদিন খবর পেলাম দত্ত বাড়ির বৌদি মারা গেছেন।
তারও বেশ কিছুদিন পরে দত্ত দাদার একমাত্র ছেলে দুলাল দত্ত'র বিয়ে হল। তার প্রথম কন্যা সন্তান পাপড়ি বড় হয়ে উঠল। একটি ছেলেও জন্ম নিল।
হোস্টেল থেকে মাঝে মাঝে বাড়ি ফিরে দেখা হত সবার সাথে।

তারপর দত্ত দাদার নিতান্ত অনিচ্ছা সত্বেও দুলাল দত্তের পিড়াপিড়িতে একদিন ওরা ইন্ডিয়া চলে গেল।
পরদিন দেখা গেল দত্ত দাদার বাড়িতে দত্তরা কেউ নেই।

মুক্তি যোদ্ধা বাহাদূর শেখের পরিবারের লোকেরা বাড়ির অন্দরে ও বাহিরে তাদের সরব উপস্থিতির জানান দিচ্ছে।

কিছুদিন পরেই খবর পাওয়া গেল দত্ত দাদা মারা গেছেন।
এই খবর শুনে মা শুধু বলল -- " শেকড় ছাড়া মানুষ বাঁচে না। "

তারপর অনেক সময় পার হয়ে গেছে।
অনেকদিন পর , দত্ত বাড়ির সামনের পায়ে চলা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম বাড়িতে কোন আম গাছ নেই , সেই নিম গাছ দুইটিও নেই, ফুলের বাগানে কোন ফুলের গাছ নেই।
এসবের বদলে সেখানে দেখা গেল লম্বা লম্বা ইউক্যালিপটাস গাছ।

অনেক খোঁজা খুঁজি করেও সেই সোনালু গাছ, সেই হিজল গাছ, কোনটিরই কোন অস্তিত্ব পাওয়া গেল না। লেবু বাগানের জায়গায় একটি বড় বাঁধানো কবর দেখা গেলো।

কার কবর জিজ্ঞাসা করে জানা গেল এটা ' কবর' নয়
এটা হল ' হবু কবর '!
" হবু কবর " কি জিনিষ বুঝতে না পারায় বুন্দ্যালি শেখের ছেলে সিদ্দিক বুঝিয়ে বলল --- " মুক্তি যোদ্ধা বাহাদূর শেখ মৃত্যুর আগেই কবর বাঁধিয়ে রেখেছেন ; যাতে মৃত্যুর পর তাকে এখানে কবরস্থ করা হয়! "

বেশ! বেশ! মানুষের কি দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষা!! আকাঙ্ক্ষার কোন শেষ নেই !!

সিদ্দিক বলে উঠলো - " রাব্বানা আতিনা, ফিদ্দুনিয়া
হাসানাতাও, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও, ওয়াকিনা আজাবান্নার। "
- হে আল্লাহ্‌ , ইহ কালের মঙ্গল কর, পরকালের মঙ্গল
কর, কবরের আজাব মাফ কর প্রভু!

----------ডাঃ সুকুমার সুর রায়।

প্রাগৈতিহাসিক  - ৬।                                                 ★★★"" পিতৃপুরুষের বয়ান ""★★★------------------------...
30/06/2025

প্রাগৈতিহাসিক - ৬।

★★★"" পিতৃপুরুষের বয়ান ""★★★
--------------------------------------------------
'বাবা-মা ' বলতে আমরা ভারতীয় প্রায় সকল ভাষাতে ''পিতা-মাতা '' শব্দযুগল ব্যবহার করে থাকি। সম্ভবত সংস্কৃত ' পিতঃ- মাতঃ' থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে।

আশ্চর্যের ব্যাপার হল, প্রায় সকল ইউরোপীয় ভাষায় এই শব্দ যুগলের হুবহু একইরকম প্রতিরুপ দেখতে পাওয়া যায়।
যেমন জার্মান ভাষায় ' ফুতুর -মুতুর ', ফরাসি ভাষায় ' পিয়েরে- মিয়েরে ', ইংরেজি ভাষায় 'ফাদার-মাদার', ল্যাটিন ভাষায় ' পাতের-মাতের', গ্রীক ভাষায় ', 'পেতেরা -মেতেরা', ইত্যাদি।

এইরকম অদ্ভুত মিল কি করে হলো! ? তাহলে ভারতবর্ষ থেকে শুরু করে ইউরোপ পর্যন্ত সকল মানুষের পিতৃপুরুষ কি একই ছিল?
হ্যাঁ, পন্ডিত ফ্রেডারিখ শ্লেগেল ১৮০৮ সালে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ভারত, পারস্য, গ্রীস,ইটালি, জার্মানির সকল ভাষা একটি মাত্র বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কমন ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে।

সেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ভাষাটি হল প্রাচীণ প্রোটো ইন্দো ইউরোপীয়ান ভাষা।

এই তথ্য জানার জন্য ইউরোপীয় পন্ডিতদের সংস্কৃত ভাষা শিখতে হয়েছিল।বেদ চর্চা করতে হয়েছিল।
কারন প্রাচীণ আর্যদের এই ভাষা আর কোথাও লিপিবদ্ধ ছিল না।

প্রাচীণ ভারতীয় ধর্মশাস্ত্র বেদ ছাড়াও প্রাচীণ পারস্যের ধর্মশাস্ত্র - ' জেন্দ আবেস্তা' রচিত হয়েছিলো 'সংস্কৃতের' সাথে মিল আছে এমন এক প্রাচীন 'আবেস্তান' ভাষায়।
বেদ রচিত হয়েছিলো আজ থেকে তিন হাজার বছর আগে। জেন্দ আবেস্তা ' রচিত হয়েছিলো তিন হাজার বছর আগে।
প্রাচীণ এই দুই গ্রন্থে ' আর্য জাতির ' কথা পই পই করে বলা আছে।

এই গ্রন্থেই আর্যদের উৎপত্তিস্থল বা মাতৃভূমি হিসাবে " আরিয়ানা ভাইজোর" নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এই " আরিয়ানা ভাইজো" হল এক মনোরম পার্থিব স্বর্গ। সম্ভবত মধ্য এশিয়ার আমুর দরিয়ার উত্তর তীরবর্তী অঞ্চল এবং কাস্পিয়ান সাগরের পুর্বাঞ্চলই হল এই 'আরিয়ানা ভাইজো '। ( বর্তমান তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান অঞ্চল) ।
প্রাচীণ ভারত ও প্রাচীণ পারস্যের মধ্যবর্তী অঞ্চলে আর্যদের যে রাজ্য ছিল তার নাম ছিল ' আরিয়ানা '। ( বর্তমান ইরান ও আফগানিস্তান অঞ্চল, ''আরিয়ানা'' শব্দটি থেকে " ইরান " শব্দের উৎপত্তি হয়ে থাকতে পারে )।

আরিয়ানা রাজ্যের একদম পুর্বে - ভারতের যে অংশে আর্যরা বসবাস করতো সেই এলাকার নাম বেদে' উল্লেখ করা হয়েছে - " সপ্ত সিন্ধু " নামে। এই সপ্তসিন্ধু হল পাঞ্জাবের পঞ্চনদী এবং সিন্ধু ও স্বরস্বতী এই সাতটি নদী বিধৌত এলাকা।
বেদের এই " সপ্তসিন্ধুই' পারস্যের ' জেন্দ আবেস্তায় " হপ্ত হিন্দু " নামে উল্লিখিত আছে।
এসবের অর্থ হল প্রাচীন ভারত ও প্রাচীণ পারস্যে যে প্রভাবশালী জাতি বসবাস করতো তারা প্রাথমিকভাবে একই জাতি ছিল।
পারস্য সম্রাট দারিয়াস হিসতাসপাসের কবরে খোদাই করে ঘোষণা করা ছিল যে, তিনি ছিলেন আর্যদের বংশধর।
আরমেনীয় লেখকদের লেখায় ইরানীয় মেদেস' দের আর্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাচীন ইতিহাসবিদ ' হেরেদোতাস' এই আর্য খেতাবের সাথে পরিচিত ছিলেন।

'আর্য ' শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো - যারা ভূমি কর্ষণ করেন ( কৃষক) ।
' আর্য' বলতে একটি জাতিকে বুঝানো হলেও ভারত বর্ষে এবং প্রাচীন পারস্যে পদবী হিসেবে এই শব্দটি ব্যবহার করা হতো।
যেমন " আর্য" বলতে ' ভদ্র', 'সম্ভ্রান্ত', ' 'অভিজাত', ধার্মিক ', শাসক শ্রেণির ' ইত্যাদি বুঝানো হত।
ধারনা করা হয় যে, প্রাচীন আর্যগণ মধ্য এশিয়া থেকে একদল পারস্য ও ভারতের দিকে এসেছিলো এবং আরেকদল পশ্চিমে ইউরোপের দিকে পাড়ি জমিয়েছিল।

৪ হাজার বছর পরে জাতি হিসাবে আর্যদের আর ট্রেস করার কোন উপায় নাই।
এইজন্য জাতিকে নয় তাদের রেখে যাওয়া ভাষা বিশ্লেষণ করে তাদেরকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
পন্ডিতগন আর্যদের রেখে যাওয়া ভাষা কালের বিবর্তনে যে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে সেই মূল ভাষাকে ৮টি প্রধান ভাষাগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এই গুলি হলো ----
১) ইন্ডিক ভাষা গোষ্ঠী।
২) ইরানিক ভাষা গোষ্ঠী।
৩) কেলটিক ভাষা গোষ্ঠী।
৪) ইটালিক ভাষা গোষ্ঠী।
৫) হেলেনিক ভাষা গোষ্ঠী।
৬) টিউটোনিক ভাষা গোষ্ঠী।
৭) লেটিক ভাষা গোষ্ঠী ও
৮) স্ল্যাভোনিক ভাষা গোষ্ঠী।

সংক্ষেপে এই ভাষাগোষ্ঠীর দিকে আলোকপাত করা যাক।
১) ইন্ডিক ভাষা গোষ্ঠী ঃ
এই ভাষাগোষ্ঠীর মূল হল ' সংস্কৃত ভাষা '।
তিন হাজার বছর আগে এই ভাষায় প্রাচীন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্র বেদ রচিত হয়েছে।
সংস্কৃত ভাষার সমসাময়িক ' প্রাকৃত' ও ' পালি' ভাষার উৎপত্তি হয়েছে।
তারপর কালক্রমে পাঞ্জাবি, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি, বাংলা, অহমীয়া, এরকম প্রায় বিশটির অধিক ভারতীয় ভাষার জন্ম হয়েছে।

২) ইরানিক ভাষা গোষ্ঠী ঃ
মূল এই ভাষা থেকেই উৎপত্তি হয়েছে -
' জেন্দ', পার্সি, ফার্সি, পশতু ,আর্মেনিয়ান, কুর্দি, ওসেতান ভাষা সমুহ।

৩) কেলটিক ভাষা গোষ্ঠী ঃ
এই প্রাচীন আর্য ভাষা থেকেই উৎপত্তি হয়েছিল পুরাতন স্পানিস,ইটালীয়, ভাষা সমুহ যা রোমান ভাষা কর্তৃক অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যায়।

৪) ইটালিক ভাষা গোষ্ঠী ঃ
আম্ব্রিয়ান, অস্কান, ল্যাটিন এই তিনটি ভাষা থেকে পরবর্তীতে নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আধুনিক ইটালীয়', ফ্রেঞ্চ', স্প্যানিশ, পর্তুগীজ, রুমানীয় ভাষা গুলির বিকাশ হয়েছে।

৫) হেলেনিক ভাষা গোষ্ঠী ঃ
এই ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত দুইটি মাত্র ভাষা - গ্রীক ও আলবেনিয়ান ভাষা।

৬) টিউটোনিক ভাষা গোষ্ঠী ঃ
স্ক্যান্ডিনেভীয় ভাষা যেমন নরওয়েজিয়ান, সুইডিশ, ড্যানিশ ভাষা।
জার্মান ভাষা ও জার্মান থেকে এংলো- সাক্সান ভাষা হয়ে ইংরেজি ভাষার উদ্ভব হয়েছে।

৭) লেটিক ভাষা গোষ্ঠী ঃ
এই ভাষাগোষ্ঠীর আওতায় পুরাতন প্রুশিয় ভাষা ও অন্যান্য বাল্টিক ভাষা যেমন লিথুয়ানীয় ভাষা।
গোটা ইউরোপের মধ্যে এই লিথুয়ানীয় ভাষাই সবচাইতে প্রাচীন এবং এই ভাষাতে এখনো কিছু ভারতীয় সংস্কৃত শব্দ অবিকৃত ভাবে ব্যবহার করা হয় যেমন --
* সংস্কৃত "অভিস"(Avis)শব্দের অর্থ ভেড়া,
সংস্কৃত - " শ্বান "(shvan) শব্দের অর্থ কুকুর
হুবহু লিথুনিয়ার ভাষায় ব্যবহৃত হয়।

৮) স্ল্যাভোনিক ভাষা গোষ্ঠী ঃ
পুরাতন বুলগেরিয়ান ভাষা, আধুনিক রাশিয়ান ভাষা, পোলিশ ভাষা, বোহেমিয়ান, ক্রোয়েশিয়ান, সার্বিয়ান ভাষা এই ভাষাগোষ্ঠীর আওতাভূক্ত।

এইভাবে দেখা যাচ্ছে যে, ভারত থেকে শুরু করে ইউরোপের আটলান্টিক তীরবর্তী অঞ্চল পর্যন্ত আমরা একই "ইন্ডো-ইউরোপীয় " ভাষার অন্তর্ভুক্ত।
তারমানে হল আমাদের পুর্বপুরুষেরা একই বংশের লোক ছিল।
সেইজন্য আমরা যেখানে " পিতা মাতা" বলি, গ্রীকরা সেখানে "পাতেরা মাতেরা" বলে।!
অথচ রাজনৈতিক ও ভৌগলিক ভাবে মধ্যপ্রাচ্য গ্রীসের অনেক নিকটে হওয়া সত্বেও হিব্রু ও আরবি ভাষার সাথে গ্রীক কিংবা ল্যাটিন ভাষার বিন্দুমাত্র সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায় না।
যেমন হিব্রু ভাষায় পিতা মাতাকে বলে -- "আভ" (Av) ও "এম্ম" ( Emm)।
আরবিতে পিতা ও মাতাকে বলে যথাক্রমে
" আবু" অথবা "আব্বা" ( Abu or Abba) এবং " উম্ম" ( Umm)। উম্মে সালমা মানে - " মা সালমা "।
ভাষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, " আর্যগণ " ছিল আমাদের পুর্বপুরুষ। যারা মধ্য এশিয়া থেকে দক্ষিন এশিয়া এবং পশ্চিমে ইউরোপ পর্যন্ত বসতি স্থাপন করেছিল।

কিন্তু একটি প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়। সেটি হলো ভারতীয় আর্যরা যেখানে বেদের মত মহান গ্রন্থের স্রষ্টা! পারস্যবাসী আর্যগণ যেখানে " জেন্দ আবেস্তার" মত গ্রন্থের প্রনেতা! সেখানে গোটা ইউরোপ বাসী হাজার বছর যাবত কেন এইরকম কোন গ্রন্থ প্রনয়ণ করতে পারেনি?

--- ডাঃ সুকুমার সুর রায়।

" কুয়োর ব্যাঙ "---------------------আমাদের গ্রামে গঞ্জে আগে পাত কুয়োর খুব প্রচলন ছিল।কুমোরেরা গর্ত খুঁড়ে আগুনে পোড়ানো  ম...
30/06/2025

" কুয়োর ব্যাঙ "
---------------------
আমাদের গ্রামে গঞ্জে আগে পাত কুয়োর খুব প্রচলন ছিল।
কুমোরেরা গর্ত খুঁড়ে আগুনে পোড়ানো মাটির তৈরি 'চাক' বা পাত দিয়ে গর্ত মুড়িয়ে তৈরি করতো ' পাতকুয়ো '। এটাই ছিল তখনকার দিনের পানীয়জলের প্রধান উৎস।

এই রকম একটি কুয়োর ভিতরে দৈবক্রমে কোন একটি ব্যাঙ পড়ে গেলে তার আর সারা জীবনে উপরে উঠে আসার কোন সুযোগ থাকতো না । কালক্রমে এই ছোট্ট কুয়োর ভিতরেই ব্যাঙটিকে আজীবন বসবাস করতে হতো যদি এটা বেঁচে থাকে।
এই কুয়োটাই হত ব্যাঙের জগত।

কুপ মানে কুয়ো এবং মুন্ডুক মানে ব্যাঙ। এই হল 'কুয়োর ব্যাঙ।'
সম্ভবত মানুষের সংকীর্ণতা, কুপমন্ডুকতা বুঝাতেই এই 'কুয়োর ব্যাঙ ' শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে।
এখন দেখা যাক কুয়োর ব্যাঙের ক্ষেত্রে কী ঘটতে পারে!
ব্যাঙ যদি কুয়োর ভিতর থেকে বের হয়ে আসতে চায় তবে তাকে ক্রমাগত উপরের দিকে ধাপে ধাপে লাফিয়ে উঠতে হবে। ধরা যাক প্রতি লাফে এটা একটা 'চাক' অতিক্রম করতে পারে এবং প্রতি চাকে'একদিন বিশ্রাম ও অবস্থান করে পরের দিন আবার দ্বিতীয় চাক'য়ে লাফ দিয়ে উঠতে পারবে। এই ভাবে মোটামুটি ভাবে নব্বই দিন ক্রমাগতবভাবে লাফিয়ে উঠতে থাকলে একসময় ব্যাঙটি কুয়োর বাইরে চলে আসতে পারবে। যদিও বিভিন্ন চাক' থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে তার পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে। এবং একবার পড়ে গেলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। একই সংগে ব্যাঙটিকে একটু খানি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে -
- তার লাফ সব সময় ক্রমাগত উর্দ্ধমুখি হতে হবে, তবেই তার মুক্তি মিলবে।
এই মুক্তি তার জীবদ্দশাতেই, সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে হওয়া সম্ভব।

এখন দেখা যাক 'মানুষ ' নামের প্রানী কেমন কুয়োর মধ্যে বসবাস করে!

আমাদের সৌরজগতটি একটি পাত কুয়োর মত!
সূর্য হচ্ছে এই কুয়োর তলা।
বুধ গ্রহটি সেই কুয়োর প্রথম 'চাক'। শুক্র গ্রহ দ্বিতীয় চাক'। আমরা মানুষেরা আছি তৃতীয় চাক'রুপি পৃথিবীতে । চতুর্থ চাক' মঙ্গল গ্রহ, এই ভাবে বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন,? মাত্র গোটা পাঁচ ছয় চাক' পাড় হতে পারলেই আমরা 'সৌরজগত' নামক কুয়োর বাইরে যেতে পারি। মনে হচ্ছে বেশ সোজা!
মজার বিষয় হলো, আমরা যাকে মাধ্যাকর্ষণ বলে জানি, তা আসলে এক একটা বড় গর্ত!
সূর্যের মত একটা বড় ভর বিশিষ্ট বস্তু 'স্থান-কাল' কে বাঁকিয়ে দিয়ে একটা বড় গর্ত তৈরি করে ফেলেছে!
এই বড় গর্তটির কিনারায় পর্যায়ক্রমে পৃথিবী সহ আট/ নয়টি গ্রহ আটকা পড়ে আছে। আরো মজার ব্যাপার হলো এই গ্রহগুলিও নিজেদের ভরের জন্য একেকটি ছোট ছোট গর্ত তৈরি করে আছে!
এই জন্য আমরা যখন আমাদের নিকটবর্তী ' চাক' মংগল গ্রহে যেতে চাইবো তখন পৃথিবীর গর্ত থেকে আবার মংগলের গর্তে যেয়ে পড়তে হবে।
আরো সমস্যা আছে। ব্যাঙ যেমন উর্দ্ধমুখি লাফ দিয়ে সহজেই তার পরবর্তী 'চাক'য়ে গিয়ে পৌছাতে পারে, মানুষের ক্ষেত্রে পৃথিবী থেকে এক লাফে মঙ্গলে পৌছানোর ঝামেলা আছে।
দুইটিই গতিশীল, ফলে দুইটির দুরত্ব কখনোই এক থাকে না।
ফলে সরল সোজা লাফ দিলে এখানে চলবে না।
তবুও যেহেতু আমরা ব্যাঙের চেয়ে বুদ্ধিমান, তাই অংক কষে ঠিকই আমরা কীভাবে কতদূর লাফ দিতে হবে তা বের করে ফেলেছি।
আর এভাবেই আমরা আগামী দুই একশো বছরের মধ্যে এই ছোট্ট কুয়োর বাইরে যাওয়ার আশা করছি।
কিন্তু কথা হলো আমাদের জগতে কুয়ো তো একটা দুইটা নয় -- বিলিয়ন বিলিয়ন!।
আবার 'ব্ল্যাক হোল ' নামে এমন কুয়ো আছে যে, যেখানে যাওয়া যেতে পারে কিন্তু ফেরার কোন পথ নেই , একদম চোরা গর্ত! যেখানে 'স্থান-কাল' বেঁকে দুমড়ে মুচড়ে একেবারে চোরাবালির কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে যায়।!

আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে কাছের আর একটি সৌরজগতের নাম ' আল্ফা সেন্টুরি ', আমাদের কাছ থেকে মাত্র চার ' আলোকবর্ষ ' দূরে তার অবস্থান।

বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত আমাদের মহাশুন্য যানের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ষাট হাজার কিলোমিটার মাত্র। এই বেগে একটানা বিরতিহীন যেতে থাকলে সেখানে পৌছাতে আমাদের সময় লাগবে মাত্র 'আটাত্তর হাজার' বছর!
আমাদের আয়ুষ্কাল সর্বোচ্চ একশো বছর।

তাহলে 'সৃষ্টির সেরা জীব' আমরা 'মানুষেরাই' কি সেই কুয়োর ব্যাঙ নই!?

( পৃথিবী নামক গর্তের বাইরে যেতে চাইলে যে বেগে লাফ দিতে হবে সেই এস্কেপ ভেলোসিটি হলো ১১.২ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে। সূর্যের আওতার বাইরে যেতে চাইলে এস্কেপ ভেলোসিটি হতে হবে ৬১৮ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে। ব্ল্যাকহোল থেকে বের হয়ে আসতে চাইলে এস্কেপ ভেলোসিটি হতে হবে প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার এর বেশি বেগ। বিশ্ব ব্রম্মান্ডের সব খানেই এইরকম ভয়ংকর গর্ত ও চোরাবালিতে ভরপুর । অতএব কুয়োর ব্যাঙেরা যাবেন কোথায়? )

- ডাঃ সুকুমার সুর রায়।

যাত্রাপথে দেখা আমাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।
28/06/2025

যাত্রাপথে দেখা আমাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।

24/06/2025

সুর্য যখন অস্তাচলে।

23/06/2025
23/06/2025
French village..
21/06/2025

French village..

Address

Thana Mor, Ullapara
Sirajganj
6760

Opening Hours

Monday 09:00 - 14:00
17:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 14:00
17:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 14:00
17:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 14:00
Friday 09:00 - 14:00
Sunday 09:00 - 14:00

Telephone

+8801711301759

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Sukumar Sur Roy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category