Mondol Homeo Chikitshaloy

Mondol Homeo Chikitshaloy A Simple Homeo Chikitshaloy

It provides treatment for new and old diseases including gastric, ulcer, dysentery, appendicitis, flagellum, gonorrhea, white discharge, irregular bleeding, uterine tumor, rheumatic pain, gallstones, horse, skin diseases, acne, mesta.

৫ কেজি কিনলে ২০০৳ ছাড়✅️🔺সাথে কিন্তু হোম ডেলিভারি ফ্রি ✅তাই আর অপেক্ষা কীসের। জলদি নিয়ে নিন। যোগাযোগে ঠিকানাঃমোবাইল : +8...
11/01/2025

৫ কেজি কিনলে ২০০৳ ছাড়✅️
🔺সাথে কিন্তু হোম ডেলিভারি ফ্রি ✅

তাই আর অপেক্ষা কীসের। জলদি নিয়ে নিন।

যোগাযোগে ঠিকানাঃ
মোবাইল : +88 01729-417880

11/01/2025

সরিষা ফুলের মধু নিতে চাইলে ইনবক্স 📥 😊

Calcarea Carbonica হোমিওপ্যাথিতে একটি সাধারণ এবং বহুল ব্যবহৃত ওষুধ, যা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার জন্য প্রয়...
01/10/2024

Calcarea Carbonica হোমিওপ্যাথিতে একটি সাধারণ এবং বহুল ব্যবহৃত ওষুধ, যা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার জন্য প্রয়োগ করা হয়। নিচে কিছু সাধারণ লক্ষণ ও পরিস্থিতি দেওয়া হলো, যেগুলোর জন্য Calcarea Carbonica দেওয়া হতে পারে:

১. দুর্বলতা এবং ক্লান্তি:
শরীর ভারী ও দুর্বল মনে হওয়া।
সামান্য কাজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া।
ওজন বেড়ে যাওয়া এবং শরীরের অস্বস্তি অনুভব করা।
২. অতিরিক্ত ঘাম:
বিশেষ করে মাথায় ঘাম হওয়া, যা সাধারণত বালকের মাথায় দেখা যায়।
রাতে বা সামান্য পরিশ্রমেই অস্বাভাবিক ঘাম দেখা দেওয়া।
৩. পাচনতন্ত্রের সমস্যা:
হজমের দুর্বলতা, অ্যাসিডিটি, বা পেট ফুলে থাকা।
দুধ সহ্য করতে না পারা বা দুধ খেলে পেটে সমস্যা হওয়া।
কোষ্ঠকাঠিন্য, বিশেষ করে কঠিন মল।
৪. হাড়ের দুর্বলতা:
শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হওয়া।
হাড় দুর্বল হওয়া, সহজেই ভেঙে যাওয়া বা পায়ে ব্যথা হওয়া।
৫. ঠান্ডার প্রতি সংবেদনশীলতা:
ঠান্ডা পরিবেশে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় সহজেই অসুস্থ হওয়া।
বাতাসে শীত অনুভব করা এবং ঠান্ডা পরিবেশে অস্বস্তি অনুভব করা।
৬. মনের অবস্থা:
ভয় বা উদ্বেগ, বিশেষত ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা।
নতুন পরিস্থিতিতে সহজে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হওয়া।
মনোযোগের অভাব এবং শারীরিক এবং মানসিকভাবে ধীর অনুভব করা।
৭. কোমরে আটোসাটো বাধন সহ্য না করতে পারা:
শরীরের আটোসাটো কাপড় বা বেল্ট সহ্য না করতে পারা এবং এতে অস্বস্তি হওয়া।
৮. ঠান্ডা ও সংক্রমণ:
সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সাইনাসের সমস্যা, এবং সংক্রমণের প্রতি প্রবণতা থাকলে।
Calcarea Carbonica মূলত শরীরের সামগ্রিক দুর্বলতা এবং শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীনতার ক্ষেত্রে সহায়ক বলে বিবেচিত হয়। তবে এই ওষুধটি দেওয়ার আগে আপনার লক্ষণগুলো সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা এবং একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

গার্মেন্টস এর সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন মানুষজন প্রায় প্রশ্ন করে, এই দেশের সবচেয়ে বড় সেক্টর গার্মেন্টস।গার্মেন্টস সেক্টরে...
24/09/2024

গার্মেন্টস এর সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন মানুষজন প্রায় প্রশ্ন করে, এই দেশের সবচেয়ে বড় সেক্টর গার্মেন্টস।
গার্মেন্টস সেক্টরে ইনকাম হয় ডলারে, তারা হাজার হাজার কোটি টাকা ইনকাম করে এই ওয়ার্কারদের শ্রমে- তাহলে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ২০/২৫ হাজার টাকা স্যালারি দিতে সমস্যা কোথায়?

সমস্যা গুলো কোথায় জানার পর আপনাদের মনে হবে তারা তাদের যোগ্যতার চেয়ে বেশি পাচ্ছে..

সমস্যা গুলো হচ্ছে....
১) গার্মেন্টস হচ্ছে একটা যাযাবরি ব্যাবসা , এই ব্যাবসা সেই দেশেই চলে যেখানে শ্রমের মুল্য কম- একটা সময়ে গার্মেন্টস জার্মানে ছিলো , ফ্রান্সে ছিলো , শ্রীলংকায় ছিলো , সব থেকে বেশি ছিলো চায়নাতে - সবশেষ ৩০/৪০ বছরের চায়না থেকে গার্মেন্টস কমে বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামে বাড়ছে-
এর কারণ শ্রম মুল্য ।

যে দেশে শ্রম মুল্য কম, গার্মেন্টস সেই দেশে চলে যাবে, এটাই
গার্মেন্টস সেক্টরের তরিকা, ভবিষ্যতে এই গার্মেন্টস আফ্রিকার দেশ গুলো তে চলে যাবে এবং যাচ্ছে।

২) বাংলাদেশ একটা গার্মেন্টস মুলত ইনকাম করে শুধুমাত্র সেলাই করে, একটা গার্মেন্টস এর প্রয়োজনীয় সব কিছু ইম্পোর্ট করে নিয়ে আসতে হয় চায়না, ইন্ডিয়া থেকে- সহজ করে বললে একটা গার্মেন্টস বানানো জন্য প্রয়োজনীয় raw materials (তুলা,সুতা,ফেবিক্স, এক্সেসরিজ) নিয়ে আসতে হয় অন্যদেশ থেকে-
একটা গার্মেন্টস এর ৬০/৮০% টাকা চলে যায় এই raw materials এ, অবশিষ্ট ২০/৩০% এর মধ্যে থেকেই গার্মেন্টস সেক্টর লাভ করে লস করে গার্মেন্টস সংশ্লিষ্টদের স্যালারি দেয়, ফ্যাক্টরির যাবতীয় মেইনটেন্যান্স বহন করে।

৩) শুনতে বাজে শোনাবে- তবুও সত্য হচ্ছে বাংলাদেশের ওয়ার্কারদের ব্রেইন এবং স্কিল দুইটাই বেশিরভাগরেই নেই, যার কারণে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফ্যাক্টরি ই খুব সাধারণত আইটেম নিয়ে কাজ করে, সহজ জিনিস এর মুল্যে কম, এই শ্রমের ও মুল্যে কম, কোনো কাস্টমার লুঙ্গি সেলাই করার জন্য জ্যাকেট সেলাই এর টাকা দিবেনা।

কিন্তু এই দেশের ওয়ার্কাররা লুঙ্গি সেলাই করে, জ্যাকেট সেলাই এর টাকা চাচ্ছে।

৪) এই দেশে একজন পড়াশোনা করে জব শুরু করে ১৩/১৫ ঘন্টা ডিওটি করে স্যালারি পায় ১৫/২০ হাজার টাকা, যার সব কাজেই ব্রেইনের ব্যাবহার স্কিল টেকনিক এর প্রয়োজন হয়। আর একজন ওয়ার্কার দাবি করছে স্টারটিং স্যালারি ২৫ হাজার,অথচ... যার একজনের পিছনে অতিরিক্ত দুইজন রাখা লাগে তার কাজ ঠিক করে দেয়ার জন্য।

আচ্ছা মনে করেন...ফ্যাক্টরির মালিকগণ মেনে নিলো ২৫ হাজার টাকা স্যালারি....
এর পর কি হবে জানেন....
তার পরের দিন থেকে বাসার যে বুয়ার বেতন ৫ হাজার টাকা, তাকে দিতে হবে ১৫ হাজার, যে রিক্সা ভাড়া ৩০ টাকা সেটা দিতে হবে ১০০ টাকা, এই চাপ কি বাকি সাধারণ মানুষে রা নিতে পারবে???

তাই আমরা বুঝে শুনে আন্দোলন সমর্থন করি
ওয়ার্কারদের না পোষালে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এই দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যাবে, এর বাইরে কিছু হবেনা।

07/08/2024

কারো ক্ষতি করার ভয়াবহ পরিণতি :

মুমিনরা সর্বদা তার দ্বিনি ভাইদের কল্যাণকামী হয়। তারা কখনো অন্যের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করে না। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা নিয়ে উল্লাসও করে না। কারণ এটা ইসলামের শিক্ষা নয়। ইসলামের শিক্ষা হলো, সর্বদা অন্যের উপকার করার চেষ্টা করা। কারণ যারা মানুষের উপকার করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। এর বিপরীতে যারা অন্যের ক্ষতিসাধনের সুযোগ সন্ধানে লিপ্ত থাকে, মহান আল্লাহ তাদের সাময়িকভাবে ছাড় দিলেও তাদের কখনো ছেড়ে দেন না। দুনিয়া হোক কিংবা আখিরাত, এই গুনাহের শাস্তি তাদের অবশ্যই ভোগ করতে হবে। আবু সিরমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য কারো ক্ষতিসাধন করে, আল্লাহ তাআলা তা দিয়েই তার ক্ষতিসাধন করেন। যে ব্যক্তি অন্যকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে কষ্টের মধ্যে ফেলেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪০)
কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, কাউকে কষ্টে ফেলে দেওয়া কল্যাণ বয়ে আনে না; বরং এগুলো মানুষকে তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। মহান আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে দেয়। আবু বকর সিদ্দিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের ক্ষতিসাধন করে অথবা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সে অভিশপ্ত।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪১)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু সিরমাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘কেউ অন্যের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। কেউ অযৌক্তিকভাবে কারো বিরোধিতা করলে আল্লাহ তার বিরোধী হবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৩৫)

আর মহান আল্লাহ নিজেই যার বিরোধী হবেন, তার চেয়ে হতভাগা আর কে হতে পারে? মহান আল্লাহ তাদের মন থেকে অপরাধবোধটাও তুলে দেন, ফলে তারা অন্যের ক্ষতি করে, অন্যের হক নষ্ট করে গর্ববোধ করে, যা তাদের পূর্ণ ধ্বংসের দিকে টেনে নেয়। তাদের দেউলিয়া করে দেয়। তাদের যশ-খ্যাতি তাদের কোনো উপকারেই আসে না। তারা পাহাড়সম আমল নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হলেও এগুলো তাদের কোনো কাজেই আসবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের প্রশ্ন করেন, তোমরা কি জানো, দেউলিয়া কে? তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমাদের মধ্যে দেউলিয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তি, যার দিরহামও (নগদ অর্থ) নেই, কোনো সম্পদও নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে ওই ব্যক্তি হচ্ছে দেউলিয়া যে কিয়ামত দিবসে নামাজ, রোজা, জাকাতসহ বহু আমল নিয়ে উপস্থিত হবে এবং এর সঙ্গে সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত (হত্যা) করেছে, কাউকে মারধর করেছে, ইত্যাদি অপরাধও নিয়ে আসবে। সে তখন বসবে এবং তার নেক আমল হতে এ ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে, ও ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে। এভাবে সম্পূর্ণ বদলা (বিনিময়) নেওয়ার আগেই তার সৎ আমল নিঃশেষ হয়ে গেলে তাদের গুনাহ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে, তারপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১৮)
নাউজুবিল্লাহ! মহান আল্লাহ সবাইকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। সুবুদ্ধি ও হিদায়াত দান করুন।

06/08/2024

ইসলামে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব :

আল্লাহ তাআলা ইসলামকে পরিপূর্ণ দ্বিন হিসেবে নির্বাচন করেছেন। মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে একমাত্র তাঁর ইবাদতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশনার মধ্যে মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের সব কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত আছে। তাই ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিসরে একজন মুসলিমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি যেন তারা একমাত্র ইবাদত করে।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ৫৬)
রাষ্ট্র পরিচালনায় কোরআনের নির্দেশনা : আমানত তথা অন্যের প্রাপ্য যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, সর্বোপরি কোরআন ও সুন্নত অনুসরণ করা একজন দায়িত্বশীলের প্রধান কর্তব্য। পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতে দায়িত্বশীলদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, যেন তোমরা আমানত হকদারের কাছে অর্পণ করো। তোমরা যখন মানুষের মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে, আল্লাহ তোমাদের কতই না উত্তম উপদেশ দেন, আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করো এবং তাদের, যারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী, তোমাদের কোনো বিষয়ে মতভেদ হলে তা আল্লাহ ও রাসুলের কাছে উপস্থাপন করো, এটাই উত্তম ও পরিণামে সুন্দরতর।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯-৫৮)
শাসনব্যবস্থার গুরুত্ব : শরিয়তের দৃষ্টিতে একজন নেতা নির্বাচন আবশ্যক। রাসুল (সা.)-এর মৃত্যুর পর সাহাবিরা আবু বকর (রা.)-এর কাছে দায়িত্ব অর্পণ করে শপথ গ্রহণের জন্য এসেছিলেন। র পর থেকে সব যুগে মানুষের বিভিন্ন বিষয় তত্ত্বাবধানের জন্য কাউকে নিযুক্ত করার নিয়ম চলে আসছে। কখনো মানুষকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে রাখা হবে না। (মুকাদ্দিমা, পৃষ্ঠা : ২৯১)
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুত্ব তুলে ধরে ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেছেন, ‘এ কথা জানা জরুরি যে সমাজে শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা দ্বিনের আবশ্যকীয় বিধানগুলোর অন্যতম। বরং এটি ছাড়া দ্বিনের অস্তিত্ব থাকে না। কারণ পারস্পরিক প্রয়োজন পূরণে আদমসন্তানের ঐক্য ছাড়া সমাজের কল্যাণ সম্ভব নয়। তাই রাসুল (সা.) বলেছেন, তিনজন ভ্রমণে বের হলে তারা যেন একজনকে প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে।’ (আস-সিয়াসা আশ-শরইয়্যাহ, পৃষ্ঠা : ২০)
কোরআনে বর্ণিত দুই মুমিন শাসক : পবিত্র কোরআনে দুজন শাসকের কথা বর্ণিত হয়েছে। বিশিষ্ট তাবেঈ মুজাহিদ (রহ.) থেকে ইবনে কাসির (রহ.) বর্ণনা করেছেন, চার ব্যক্তি পৃথিবী শাসন করেছেন। এর মধ্যে দুজন মুমিন ও দুজন কাফির। মুমিন দুজন হলো সুলাইমান (আ.) ও জুলকারনাইন (আ.)। কাফির দুজন হলো নমরুদ ও বুখতেনসর। (তাফসিরে ইবনে কাসির, পৃষ্ঠা : ৩১৪, খণ্ড : ১)

মহান আল্লাহ তাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। সুলাইমান (আ.)-এর রাজত্ব সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘সুলাইমান (আ.) ছিল দাউদ (আ.)-এর উত্তরাধিকারী, সে বলেছিল, হে মানুষ, আমাকে পাখিদের ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে সব কিছু দেওয়া হয়েছে, তা অবশ্যই সুস্পষ্ট অনুগ্রহ। সুলাইমানের সামনে তার বাহিনী জিন, মানুষ ও পাখিদের সমবেত করা হয়, তাদের বিভিন্ন ব্যুহে বিন্যস্ত করা হয়।’ (সুরা : নামল, আয়াত : ১৯)

অন্য শাসক জুলকারনাইন সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আপনাকে জুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, আপনি বলুন, আমি তোমাদের কাছে তার বর্ণনা দিচ্ছি। আমি তাকে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দিয়েছিলাম এবং সব বিষয়ে উপায়-উপকরণ দিয়েছিলাম।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৮৫)

https://www.youtube.com/watch?v=MBCAMNCje3cএই দেশ আর দেশ নাই . ইসরাইলের হামলা শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশেও
18/07/2024

https://www.youtube.com/watch?v=MBCAMNCje3c

এই দেশ আর দেশ নাই . ইসরাইলের হামলা শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশেও

এ কেমন নির্মমতা ? | Savar | MIST | Nagorik TVThanks for your trust In Nagorik TV, subscribe to our official channel to stay updated. ...

https://www.youtube.com/watch?v=vxer4or3qF4স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং জাফর ইকবালকে মূর্খ বললেন আসিফ নজরুল
18/07/2024

https://www.youtube.com/watch?v=vxer4or3qF4

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং জাফর ইকবালকে মূর্খ বললেন আসিফ নজরুল

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয়:পরিবার হলো সমাজ-সংগঠনের একক। অর্থাৎ এই পরিবারের সমষ্টিই সমাজ। ফলে সামাজিক শৃঙ্খলা ও শান্তির ...
07/05/2024

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয়:

পরিবার হলো সমাজ-সংগঠনের একক। অর্থাৎ এই পরিবারের সমষ্টিই সমাজ। ফলে সামাজিক শৃঙ্খলা ও শান্তির মূল উৎসভূমিই হলো পরিবার। একটি পরিবারের স্তম্ভ¢ হলো দুটি৷ নারী-পুরুষ তথা স্বামী ও স্ত্রী৷ এই পারিবারিক শৃঙ্খলা, শান্তি ও ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে স্বামী ও স্ত্রীর রয়েছে অনেক দায়িত্ব।

আজকের প্রবন্ধে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব সম্পর্কিত ইসলামে যে নির্দেশনা রয়েছে তা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব, ইনশাল্লাহ্।

১.শরী’আতসম্মত প্রত্যেক কাজে স্বামীর আনুগত্য করা।

২.অবাধ্য না হওয়া: শরী’আত বিরোধী আদেশ ব্যতিত স্বামীর অবাধ্য না হওয়া। স্বামীর শরী’আত বিরোধী কোনো কাজের আদেশ পালন করা স্ত্রীর জন্য জায়িজ নয়। তা অমান্য করাই ঈমানদার স্ত্রীর কর্তব্য। কাজেই গুনাহ এবং শরী’আত বিরোধী কোন কাজে স্বামী আদেশ করলে তার নিকটে এব্যাপারে অপারগতা তুলে ধরা এবং তাকে নরম ভাষায় বোঝানো।

৩. শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে উত্তম আচরন করা।

৪. আদব রক্ষা করে চলা।

৫. কৃতজ্ঞ হওয়া: জগত সংসারে এমন অনেক নারী রয়েছেন, যাদের অধিকাংশই পরশ্রীকাতর হয়ে থাকেন। প্রতিবেশীদের ঘরে এটা আছে, সেটা আছে আমাদের কেন নেই-আমাদের অবশ্যই সেটা থাকতে হবে। স্বামীর আয় রোজগারের কথা না ভেবেই এরকম চিন্তা করেন। স্বামী যদি তাঁর আর্থিক সমস্যার কথা জানান, তাহলে উল্টো বলে বসেন-অন্যদের থাকলে তোমার কেন নেই, তুমি একটা বুদ্ধু, হাবা ইত্যাদি। তখন যদি স্ত্রী বলে ফেলে আহা! আমার বিয়েটা যদি অমুকের সাথে হতো, তাহলে কতোই না ভালো হত! কিংবা কী চেয়েছিলাম, আর কী পেলাম! ইত্যাদি। এতে করে স্বামী পুরুষটি ভীষণভাবে মর্মাহত হন, হতাশায় ভোগেন। সব সময় তার মনে স্ত্রীর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের বিষয়টি কাজ করে। স্ত্রীর কাছে নিজেকে নতজানু মনে হতে হতে সকল আগ্রহ-উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলেন-যার পরিণতি খুবই অপ্রত্যাশিত।

৬. পরস্পরের প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রাখা: আমাদের প্রতিবেশী বা নিকটজনদের অনেকেই আছে যারা হিংসুক, পরশ্রীকাতর ও প্রতিহিংসা পরায়ণ। যদি কোন পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর সম্পর্ক থাকে, তাদের তা সহ্য হয় না, এই পরশ্রীকাতর মানুষ গুলির আর ঘুম হয়না তারা উঠে পড়ে লাগে তাদের সম্পর্কের মাঝে অবনতি ঘটানোর জন্য।

যর্থাথই বলেছেন একজন দার্শনিক ‘হিংসুক এ চিন্তাতেই শুকিয়ে যায় যে তার প্রতিবেশী কেন এতো সুখে থাকে।’

মনে রাখতে হবে, এসব ক্ষেত্রে নিন্দুকেরা এমন সব গুজব ছড়ায়, যা থেকে রেহাই পেতে হলে প্রয়োজন ঠান্ডা মাথায় সংবেদনশীল মন নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মাঝে বিষয়টি আলোচনা করা। সত্য না জেনেই কোন রকম সিদ্ধান্ত নেয়া, বাড়াবাড়ি করা মারাত্মক ভুল।

৭. সর্বদা স্বামীর মন জয় করার চেষ্টা করা।

৮. স্বামীকে অসন্তুষ্ট না রাখা।

৯. স্বামীর সাথে অসংযত আচরণ না করা।

১০. স্বামীকে কষ্ট না দেওয়া।

১১. ধৈর্য, দৃঢ়তা ও বিচক্ষনাতার সাথে সাথে সব প্রতিকূল অবস্থার মুকাবিলা করা।

১২. দুঃখ-কষ্ট ও মুসীবতের সময় হা-হুতাশ না করা, ধৈর্যধারণ করা।

১৩. স্বামী অফিস, ব্যবসা বা বাইরে থেকে বাসায় ফেরার পর স্ত্রীদের উচিত এমন আচরণ করা, যাতে বোঝা যায় যে, তার আগমনে স্ত্রী ভীষণ খুশী ও আনন্দিত হয়েছে।

১৪. স্বামী বিদেশ কিংবা বাইরে থেকে আসলে, স্ত্রী সব কাজ ফেলে সামনে এসে প্রথমেই হাসিমুখে তার কুশল জিজ্ঞাসা করবে। টাকা-পয়সা বা আমার জন্য কি কি এনেছেন, বাক্স বা থলের মধ্যে কি আছে? এই ধরনের কথাবার্তা বলবে না। কোনরূপ নাখোশী বা বিরক্ত ভাব প্রকাশ করবে না।

১৫. স্বামীর মনোরঞ্জনের জন্য ঘরের ভিতরে সাজগোজ করা।

১৬. স্বামীর ভালোলাগা মন্দলাগার দিকে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখা।

১৭. আল্লাহর দীন পালনের জন্য ইবাদত বন্দেগীর পথে একে অপরকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করা।

১৮.প্রয়োজনাতিরিক্ত ভরণ-পোষণ দাবি না করা।

১৯. স্বামী যদি স্ত্রী অপেক্ষা অস্বচ্ছল হয় তাহলে স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীকে সাহায্য সহযোগীতা করা।

২০. আল্লাহর রাজিখুশির জন্য ঘর-গৃহস্থালীর কাজকর্ম ও সন্তান প্রতিপালনে স্বামীকে যথাসাধ্য সাহায্য করা। রসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘর-গৃহস্থালীর যাবতীয় দায়িত্ব অন্যের উপর ছেড়ে না দিয়ে হযরত খাদীজা রাযিয়াল্লাহু আনহা নিজই সম্পন্ন করতেন।

২১. স্বামীর আত্মমর্যাদাবোধের প্রতি খেয়াল রাখা।

২২.শরী’আত অনুমদন করে না এমন বিষয়ে পরপুরুষের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক না রাখা।

২৩.স্বামীর আমানত হিসেবে নিজের ইজ্জত-আব্রু হেফাযত করা। কোনো ধরনের খেয়ানত না করা।

২৪.স্বামীর অনুমতি ছাড়া কাউকে ঘরে ঢোকার অনুমিত না দেওয়া।

২৫. স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক। যদি কোন সময় কোন কারণে অকারণে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সংঘটিত হয় তাহলে স্ত্রী ধৈর্যের সাথে ঝগড়া বিবাদ এড়িয়ে চলবে এবং সুযোগ সাপেক্ষ স্বামীকে বুঝাবে। এমতাবস্থায় রাগবশত স্বামীর গৃহ ত্যাগ করবে না।

২৬.স্বামীর সম্পদ হেফাযত করা। অনুমতি ছাড়া সেখান থেকে কাউকে কোনো কিছু না দেওয়া।

২৭.স্বামীকে অসন্তুষ্ট করে অতিরিক্ত নফল ইবাদতে মশগুল না থাকা। যেমন অতিরিক্ত নফল নামাজ, রোযা না রাখা।

২৮.স্বামী মেলামেশার জন্য আহবান করলে শরী’আতসম্মত কোনো ওযর না থাকলে আপত্তি না করা।

২৯.স্বামী দরিদ্র কিংবা অসুন্দর হওয়ার কারণে তাকে তুচ্ছ না করা।

৩০.স্বামীকে কোনো গুনাহের কাজ করতে দেখলে আদবের সাথে তাকে বিরত রাখা।

৩১.স্বামীর নাম ধরে না ডাকা।

৩২.কারো কাছে স্বামীর বদনাম, দোষ-ত্রুটি বর্ণনা না করা।

৩৩.শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনেকে সম্মানের পাত্র মনে করা। তাদেরকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করা। তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করা। ঝগড়া-বিবাদ কিংবা অন্য কোনো উপায়ে তাদের মনে কষ্ট না দেওয়া।

৩৪.স্বামীর মৃত্যুর পরও স্ত্রীর তাঁর স্বামীর প্রতি কর্তব্য রয়েছে। ইয়াতীম সন্তানদের লালন পালন ও তাদের মানুষ করা। স্বামীর ধন-সম্পদ রক্ষা করা। স্বামীর সুনাম রক্ষা করা, স্বামীর আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করা। স্বামীর অসম্পূর্ণ কাজ সমাধান করা। যদি স্বামীর কোন ঋণ থাকে, তা পরিশোধ করে দেওয়া এবং সর্বদা স্বামীর মাগফিরাতের জন্য আল্লাহ্র নিকট দু’আ করা।

মহান আল্লাহ তা’য়ালা স্বামীর যথার্থ কল্যাণ কামনার মাধ্যমে আমাদের তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করার তৌফিক দান করুন, অমিন।

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের দায়িত্ব:সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের দায়িত্ব অত্যন্ত কঠিন এবং দীর্ঘমেয়াদি। মাতৃগর্ভে সন্তানের বৃদ...
07/05/2024

সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের দায়িত্ব:

সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের দায়িত্ব অত্যন্ত কঠিন এবং দীর্ঘমেয়াদি। মাতৃগর্ভে সন্তানের বৃদ্ধি শুরুর সময় হতে বড় হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তার দায়িত্ব অব্যাহত থাকে। সুসন্তান পার্থিব জীবনে সুখ-শান্তি এবং পরকালে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। জনৈক ব্যক্তিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদার আসীন করা হলে সে অবাক হয়ে বলবে, এমন মর্যাদা কোন আমলের বিনিময়ে পেলাম? আমি তো এত সৎ আমল করিনি। বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তানের প্রার্থনার কারণেই তোমাকে এ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ইবনে মাজাহ : ৩৬৬০
সন্তান আল্লাহতায়ালার বিশেষ নেয়ামত। বৃদ্ধকালে সন্তানই হয় মা-বাবার আল্লাহ ছাড়া একমাত্র ভরসা। সন্তানের প্রতি মা-বাবার রয়েছে অসংখ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেমন কানে আজান ও একামত দেওয়া : সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে, তার ডান কানে আজান দেওয়া এবং বাম কানে একামত দেওয়া সুন্নত। হজরত আবু রাফে (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি নবী করিম (সা.)-কে দেখেছি, হজরত ফাতেমা (রা.)-এর গর্ভে হজরত হাসান (রা.) জন্মগ্রহণ করলে তিনি তার কানে নামাজের আজানের মতো আজান দিয়েছেন। জামে তিরমিজি : ১৮৩

সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা : মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে নামের মাধ্যমে। দুনিয়ার এ নামেই পরকালে তাকে ডাকা হবে। এ নামের প্রভাব পড়ে জীবন চলার পথে ও বংশের মধ্যে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন আমার কাছে কোনো দূত পাঠাবে তখন সুন্দর চেহারা ও সুন্দর নামবিশিষ্ট ব্যক্তিকে পাঠাবে।’ জামে তিরমিজি : ২৮৩৯
আকিকা ও সদকা : বাবা-মার দায়িত্ব হলোসন্তান জন্মের সপ্তম দিনে নবজাতকের দেহের ময়লা পরিষ্কার করা, চুল কাটা, চুলের ওজনের সমপরিমাণ রুপা দান এবং সন্তান লাভের শোকরিয়া হিসেবে আকিকা করা। আর এটি সুন্নত। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত হাসান (রা.)-এর পক্ষ থেকে একটি বকরি আকিকা দিয়েছেন এবং বলেছেন, হে ফাতেমা! তার মাথা মু-ন করো এবং চুল পরিমাণ রুপা সদকা করো।’ সুনানে তিরমিজি : ১৫১৯

নিরাপত্তা নিশ্চিত করা : মানবশিশু অত্যন্ত অসহায় ও দুর্বল অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। মা-বাবা সন্তানের বেড়ে ওঠা নিরাপদ করবেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘দারিদ্র্যের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না। তাদের এবং তোমাদের জীবিকা আমিই দিয়ে থাকি। নিশ্চয় তাদের হত্যা করা মারাত্মক অপরাধ।’ সুরা বনি ইসরাঈল : ৩১

ধর্মীয় শিক্ষাদান : ধর্মীয় আকিদা, আমল সম্পর্কে সন্তানকে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া বাবা-মার দায়িত্ব। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশুই ফিতরাত তথা ইসলামের ওপর জন্মগ্রহণ করে। তারপর মা-বাবা তাকে ইহুদি বা খ্রিস্টান অথবা অগ্নিপূজারিতে পরিণত করে। সুনানে তিরমিজি

আদব-কায়দা ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া : মা-বাবা শৈশবেই সন্তানকে ভদ্রতা, বিনয়, সততা, সত্যবাদিতা, স্নেহ, শ্রদ্ধা, সদাচার প্রভৃতি সুনীতি ও সদাচার শিক্ষা দেবেন। সেজন্য হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) মা-বাবাকে দায়িত্ব পালনে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, ‘সন্তানের জন্য বাবার দানের মধ্যে সুন্দর আদব-কায়দা শিক্ষা দেওয়ার চেয়ে উত্তম কিছু নেই।’ সুনানে তিরমিজি

শিরক ও কুফরি থেকে দূরে রাখা : শিরক ও কুফরি অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। সেজন্য মা-বাবা সন্তানের অত্যন্ত উপযোগী যুক্তিতে আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে জ্ঞানদান করবেন। হজরত লোকমান (আ.) তার সন্তানকে নসিহত করেছেন, ‘হে আমার সন্তান। তুমি আল্লাহর সঙ্গে শিরক করো না। নিশ্চয়ই শিরক অত্যন্ত ভয়াবহ জুলুম।’ সুরা লোকমান : ১৩

দাম্পত্য সম্প্রীতি সংরক্ষণ : শিশুর সুষ্ঠু বিকাশ ও যথাযথ বেড়ে ওঠার জন্য মা-বাবা নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন। কখনোই শিশুর সামনে কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করবেন না, ঝগড়া করবেন না।

বিয়ে দেওয়া ও স্বাবলম্বী করা : সন্তান বিয়ের উপযুক্ত হলে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সন্তানকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে হবে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বিয়ের উপযুক্ত সন্তানের বিয়ের ব্যাপারে জোরালো তাগিদ দিয়ে বলেছেন‘সন্তান যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তার বিয়ে দিয়ে দাও। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে না দিলে সন্তান যদি কোনো পাপে লিপ্ত হয় তবে তার জন্য সন্তানের বাবাও দায়ী হবে। বায়হাকি

সৎ নসিহত দেওয়া : জীবনের চলার পথে সন্তান কোন আদর্শ ও নীতির অনুসরণ করবে, সে ব্যাপারে বাবা-মা নসিহত করবেন। হজরত লোকমান (আ.) তার সন্তানকে বলেন, ‘হে আমার সন্তান! তুমি নামাজ কায়েম করো, সৎ কাজের আদেশ দাও, অসৎ কাজে নিষেধ করো এবং বিপদে ধৈর্যধারণ করো। নিশ্চয় ধৈর্যধারণ করা সাহসিকতার কাজ। অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে চলাফেরা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। পদচারণায় মধ্যম পথ অবলম্বন করো এবং কণ্ঠস্বর নিচু রাখো। নিঃসন্দেহে গাধার কণ্ঠই সবচেয়ে অপ্রীতিকর।’ সুরা লোকমান : ১৭-১৯

আজকে আমার আলোচ্য বিষয় হচ্ছে মুত্রকষ্ট বা মুত্রের জ্বালার কয়েকটি ঔষধের উপর আলোচনা । আমরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মুত্রের জ্ব...
25/02/2024

আজকে আমার আলোচ্য বিষয় হচ্ছে মুত্রকষ্ট বা মুত্রের জ্বালার কয়েকটি ঔষধের উপর আলোচনা । আমরা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মুত্রের জ্বালা-যন্ত্রণার রোগী কমবেশী পেয়ে থাকি এবং চিকিৎসাও দিয়া থাকি । আমি যে বিষয়টি আলোচনা করতে চাচ্ছি সেটি হচ্ছে রোগীরা সাধারণতঃ এসে বলে ডাঃ আমার মুত্রের প্রচণ্ড জ্বালা হচ্ছে তাড়াতাড়ি ঔষধ দিন । আমরা সচরাচর রোগীর কাছে শুনেছি যে – কোন রোগী বলে প্রস্রাব করিবার পূর্বে জ্বালা, কোন রোগী বলে প্রস্রাব করিবার সময় জ্বালা, এবং কোন রোগী বলে প্রস্রাব করিবার পর জ্বালা ।
আমরা এখানে রোগীর নিকট হইতে তিনটি লক্ষণ পেলাম – প্রস্রাব করিবার পূর্বে, প্রস্রাব করিবার সময়ে এবং প্রস্রাব করিবার পরে জ্বালা ।
♦♦♦ প্রস্রাব করিবার পূর্বে জ্বালা >
এই লক্ষণের সাহায্যে আমরা সাধারণতঃ যে কয়টি ঔষধের কথা মনে করতে পারি তার মধ্যে আমরা আলোচনা করব – এপিস, বার্বারিস, বোরাক্স, ক্যানাবিস ইন্ডিকা, মার্ক – সল, মার্ক-কর, নেট্রাম-কার্ব, নাইট্রিক অ্যাসিড, পালসেটিলা ও সালফার নিয়ে ।
♦♦♦ এপিস >
প্রস্রাব করিবার সময় মুত্রনলীর মধ্যে অত্যন্ত জ্বালা ও হুলফোটান ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, কিন্তু মাত্র ২/১ ফোঁটা প্রস্রাব নির্গত হয় । প্রস্রাবের বেগ আসিলে রোগী এক মিনিটিও তাহা ধারন করিতে পারে না, জ্বালা-যন্ত্রণার সহিত রক্তস্রাব, মুত্রকৃচ্ছতা, ব্রাইটস-ডিজিজ । ওলাউঠা রোগের ইউরিমিক-অবস্থায় উহার অন্যান্য লক্ষণসহ এপিসের চরিত্রগত লক্ষণ পিপাসা না থাকিলে – ক্যান্থারিস, টেরিবিস্থিনা প্রভৃতির মত ইহাতেও প্রস্রাব নিঃসরণে সহায়তা করে । “ In Cystitis dysuria and stranguiry Apis is only, secondary to Cantharis in usefulness ” The urine is highly albuminous and contains tube casts . ★ এপিসের দুধের মত সাদা প্রস্রাবও আছে ।
♦♦♦ বার্বারিস ভলগ্যারিস > পিত্ত-পাথরী ও মুত্র-পাথরী ( Biliarycal cali . Renal calculi ) উভয়বিধ পীড়াতেই পাথরী নিঃসরণকালে যখন বেদনায় মনে হয় যেন কি ফোটাইতেছে, নড়িবার ক্ষমতাটি থাকে না, বেদনা কিডনী হইতে আরম্ভ হইয়া পায়ের দিকে নামিয়া আসে, রোগী পুনঃ পুনঃ প্রস্রাবত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে, তখন বার্বারিসে বিশেষ উপকার হয় । * কিডনী হইতে মুত্রথলী পর্যন্ত কাঁটাইছেঁড়ার মত বেদনা । * বাম কিডনী হইতে বেদনা আরম্ভ হইয়া ইউরেটারের মধ্যদিয়া ব্ল্যাডারে ও তথা হইতে ইউরেথ্রায় পরিচালিত হয় । * কোমরে ভয়ানক বেদনা এবং কোমরে ও কিডনীর স্থানে যেন কি বুজবুজ করে । প্রস্রাবের সময় উরুতে ও কোমরে বেদনা । * কোমর শক্ত ও আড়ষ্ট, পাছায় ও কোমরে ভীষণ বেদনা । * প্রস্রাব সবুজাভ কিম্বা রক্তের মত লালবর্ণ, তলানিতে ঘন শ্লেষ্মা । * প্রস্রাব পাইলে বেগ ধারণ করা যায় না, নড়িলে-চড়িলেই প্রস্রাব সম্বন্ধীয় যন্ত্রণার বৃদ্ধি । প্রস্রাবের সময় নহে, অন্য সময় জ্বালা ।
♦♦♦ বোরাক্স > শিশু প্রায় ঘন ঘন প্রস্রাব করে এবং প্রত্যেকবার প্রস্রাবের সময় কাঁদিয়া উঠে, এই লক্ষণসহ প্রস্রাবে অত্যন্ত দুর্গন্ধ এবং প্রস্রাব গরম থাকিলে – বোরাক্স – উপকারি । যদি শিশুর প্রস্রাবের তলানি বালিকনার মত হয়, অর্থাৎ - পাথরী পীড়ার লক্ষণ থাকে, তাহা হইলে – লাইকোপোডিয়াম, সার্সাপ্যারিলা উপযোগী , কিন্তু উহা মুত্রনলী প্রদাহজনিত হইলে – ক্যান্থারিস উপকারী । পেট্রোসেলিনিয়মে – হঠাৎ প্রস্রাবের
বেগ আসে, ছেলে কাঁদিয়া উঠে ও প্রস্রাব করে ।
♦♦♦ ক্যানাবিস ইন্ডিকা > মুত্রনলীর ( ইউরেথ্রার ) মধ্যে ভয়ানক জ্বালা ও সুচফোটান ব্যথা, এই দুইটি কষ্টকর উপসর্গ – প্রস্রাব করিবার পূর্বে, প্রস্রাব করিবার সময়ে ও প্রস্রাব করিবার পরে অত্যন্ত অধিক হয়, প্রস্রাব শেষ হইলে ফোঁটা ফোঁটা করিয়া মুত্র ঝরিতে থাকে । * কচলিরিয়া – প্রমেহ কিম্বা অন্য কোনও পীড়ায় গ্ল্যান্স-পেনিসে ( লিঙ্গমুণ্ডে ) জ্বালা, কাটাছেঁড়ার মত বেদনা এবং প্রস্রাবের পূর্বে, সময়ে ও পরে জ্বালা থাকিলে উপকারী ।
♦♦♦ মার্ক–সল >কিডনী বা মুত্রগ্রন্থির প্রদাহে পিঠের দিকে কোমরের উপর দুই পার্শ্বে অর্থাৎ যেখানে কিডনী আছে সেখানে একপ্রকার তীব্র বেদনা, সময়ে সময়ে সেই বেদনা – মুত্রথলীতে, অণ্ডকোষে ও উরুতে পর্যন্ত পরিচালিত হয় । নড়িতে-চড়িতে, উঠিতে বসিতে, চিৎ হইয়া শুইতে, কোমরে ভয়ানক যন্ত্রণা, বারবার প্রস্রাব ত্যাগের ইচ্ছা, অল্প-প্রস্রাব হওয়া বা প্রস্রাব বন্ধ, প্রস্রাবের সময় কোঁথানি, বেগে প্রস্রাব সহ রক্ত-পুঁজ-শ্লেষ্মা নিঃসরণ, বমি, কাঁপ দিয়া জ্বর হওয়া প্রভৃতি কতকগুলি এই বিশেষ লক্ষণ এবং ইহাতে – মার্কুরিয়াস-ভাইভাস বা মার্কুরিয়াস-কর উভয়ই উপযোগী । ♦ মার্কুরিয়াসের জিহ্বা – মোটা, ফোলা-ফোলা এবং থলথলে দেখায়, মুখ দিয়া লালা পড়ে, পীড়ার উপসর্গ সমূহ রাত্রিতে বৃদ্ধি হয় । প্রস্রাবের সঙ্গে কিম্বা প্রস্রাবের পর সুতার মত পদার্থ নির্গমন ( সাইলিসিয়া ) প্রস্রাবকালে জ্বালা ।
♦♦♦ মার্ক-কর > মুত্রনলীর কোঁথানি, মুত্রনলীর মধ্যে জ্বালা, প্রস্রাব গরম, পরিমাণে অল্প, অত্যন্ত যন্ত্রণাসহ ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব নির্গমন, রক্ত-প্রস্রাব । প্রমেহের দ্বিতীয়বস্থায় – সবুজবর্ণের স্রাব, অত্যন্ত জ্বালা, কোঁথানি । মুত্রথলীর প্রদাহে – প্রস্রাবের ভয়ানক বেগ, কোঁথানি ও জ্বালা, প্রস্রাবে-রক্ত, শ্লেষ্মা ও পুঁজ । প্রস্রাব অনেক সময় হয় না, বন্ধ হইয়া যায় কিম্বা অনেক কষ্টে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হয়, সেই সঙ্গে মুত্রনলীতে ও মুত্রথলীর গ্রীবাদেশে ভীষণ জ্বালা । ** ডাঃ কালি বলেন ওলাউঠা পীড়ায় মুত্রথলীতে প্রস্রাব না জমিলে ও তৎসহ পেটে বেদনা থাকিলে – মার্কুরিয়াস-কর ৩০ শক্তি একমাত্রা প্রয়োগে আশাতীত উপকার হয় ।
♦♦♦ নেট্রাম-কার্ব > এই ঔষধটির পুনঃপুনঃ পরীক্ষিত লক্ষণ এর হ্রাস-বৃদ্ধি । মানসিক পরিশ্রমেই সবকিছুর বৃদ্ধি হয় । রোগী কোন মানসিক কাজ করতে গেলেই মাথা ধরা, মাথা ঘোরা, মস্তিস্কের জড়তা উপস্থিত হয় । শুধু এই লক্ষণটিই একে একটি মুল্যবান ঔষধ বলে প্রতিষ্ঠিত করেছে । মানসিক লক্ষণ বিমর্ষতা, শব্দে বিশেষতঃ গানবাজনার শব্দে অতিরিক্ত অনুভুতি, দুগ্ধ সহ্য হয় না, দুধ খাইলেই উদরাময়, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, পায়ের গোছের দুর্বলতা প্রভৃতি আনুসাঙ্গিক লক্ষণ দেখে একে নির্বাচন করতে হয় ।
♦♦♦ নাইট্রিক অ্যাসিড > অল্প হউক, অধিক হউক, প্রস্রাবে প্রায়ই রক্ত থাকে, ঘোড়ার প্রস্রাবের ন্যায় প্রস্রাবে ঝাঁজাল গন্ধ ( অ্যাসিড-বেঞ্জো ) ; It is also useful in Oxaluria . ক্রমাগত প্রস্রাবের বেগ, কিন্তু একটু একটু করিয়া প্রস্রাব হয়, প্রস্রাবের সময় অত্যন্ত জ্বালা করে, মুত্রনলীর মধ্যে জ্বালা হয়, সেই জ্বালা নিবারণের জন্য রোগী ক্রমাগত প্রস্রাবত্যাগের চেষ্টা করে, কিন্তু তাহাতে আরও অধিক যন্ত্রণা বৃদ্ধি হয়, এই লক্ষণগুলি প্রায়ই নাইট্রিক অ্যাসিডে দেখতে পাওয়া যায় । * প্রমেহ পীড়ার কিম্বা অন্য কোনও কারণে মুত্রনলীর মধ্যে ক্ষত হইলে – নাইট্রিক অ্যাসিড বিশেষ উপকারী ।
♦♦♦পালসেটিলা > প্রমেহপীড়ার প্রথম অবস্থায় প্রস্রাবে অত্যন্ত জ্বালা, লিঙ্গে বেদনা ও ফোলা, রাত্রিতে অত্যধিক লিঙ্গোদ্গম ( কর্ডি ) থাকিলে কখনও কখনও পালসেটিলার পর – ক্যানাবিস স্যাটাইভা প্রয়োজন হয় । পালসেটিলার শান্ত স্বভাব ও অতি সহজেই বশ্য প্রকৃতি, সকল সময়েই কাঁদে বিমর্ষতা ও হতাশা, সব কিছুতেই চোখের জল ফেলা, এমনকি চোখের জলের জন্য রোগী তার রোগের লক্ষণগুলি বলতে পারে না ।
♦♦♦ সালফার > প্রমেহ পীড়ায় প্রস্রাবত্যাগকালে জ্বালা থাকিলে ও প্রস্রাবদ্বারের চতুর্দিকে লালবর্ণ হইলে স্রাব যে প্রকারেরই হউক না কেন – সালফারে উপকৃত হইবে ।
♦♦♦ তবে কারো যদি এরূপ ধারণা হয় যে তিনি শুধু নিদান-শাস্ত্র বিশারদই ( Pathologist ) হবেন এবং কেউ যদি শুধু লক্ষণতত্ত্বরুপে ( Symptomtologist ) থাকতে চান তাহলে উভয়েই ভুল করবেন । নিদান শাস্ত্র ( Pathology ) এবং লক্ষণতত্ত্ব উভয়ই মুল্যবান ও অভিন্ন, কোনটিই বাদ দেওয়া চলে না । তবে নিদান তত্ত্ব বলতে বুঝায় চিকিৎসক যা বলতে পারেন ( Doctor can tell sometimes ) এবং লক্ষণ তত্ত্ব বলতে বুঝায় রোগী যা বলতে পারেন ( Patient can tell ) ।

Mandal Homeo Chikitshaloy, Dokhin Kandapara, Shahibari, Sirajgonj.
+880 1718-177122

Address

Mandal Homeo Chikitshaloy, Dokhin Kandapara, Shahibari
Sirajgonj
6700

Opening Hours

Monday 09:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 20:00
Saturday 09:00 - 20:00
Sunday 09:00 - 20:00

Telephone

+8801718177122

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mondol Homeo Chikitshaloy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Mondol Homeo Chikitshaloy:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category