01/01/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া  :
এটি একটি প্রাণিবাহিত র্যাবিস ভাইরাসঘটিত রোগ।
      কিভাবে ছড়ায় :
কুকুর, শিয়াল, বিড়াল, বাদুড়, বেজি, বানর ইত্যাদি প্রাণী জলাতঙ্ক সৃষ্টিকারী ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এবং আক্রান্ত প্রাণীটি সুস্থ মানুষ বা গবাদিপশুকে কামড়ালে ওই মানুষ কিংবা গবাদিপশু এ রোগে আক্রান্ত হয়।
সচরাচর ইঁদুর, খরগোশ, কাঠবিড়ালি, গুইসাপ ইত্যাদি প্রাণী জলাতঙ্ক ছড়ায় না, তাই এ ধরনের প্রাণী কামড় দিলে জলাতঙ্কের টিকা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
      কিভাবে ক্ষতি করে :
আক্রান্ত প্রাণীর মুখের লালায় জলাতঙ্কের ভাইরাস থাকে। ভাইরাস বহনকারী এই লালা সুস্থ ব্যক্তির শরীরে পুরোনো ক্ষতে বা দাঁত বসিয়ে দেওয়া ক্ষতের মাধ্যমে কিংবা সামান্য আঁচড়ের মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শে এলে বা আক্রান্ত প্রাণীর লালা থেকে সৃষ্ট অ্যারোসল বাতাসের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসে প্রবেশ করলে র্যাবিস ভাইরাস ধীরে ধীরে স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়। ফলে শ্বাসনালী এবং খাদ্যনালির মাংসপেশির কাজ নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুও আক্রান্ত হয়।
       রোগের তীব্রতা :
 সাধারণত আক্রান্ত প্রাণী সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ানোর ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। তবে এ সময়সীমা এক সপ্তাহ থেকে এক বছর পর্যন্তও হতে পারে।সাধারণত লক্ষণ দেখা দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই রোগী মারা যেতে পারে।
        রোগের লক্ষণ :
১|পানির প্রতি আতঙ্ক
২|অস্বাভাবিক কথাবার্তা ও ভাবভঙ্গি
৩| উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো
৪|ক্ষুধামান্দ্য, খাওয়াদাওয়ায় অরুচি
৫|বিকৃত আওয়াজ, কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়া
৬|বিনা প্ররোচনায় অন্যকে আক্রমণ বা কামড় দেওয়ার প্রবণতা
৭|আলো-বাতাসের সংস্পর্শে ভীতি
৮|একাকী থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা
৯|খিঁচুনিসহ মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা নিঃসৃত হওয়া
১০| শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়া, ঝিমুনি হওয়া, ক্ষতস্থানে অবশতা ও অসারতা অনুভূত হওয়া
১১|শরীরের শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু ও মাংসপেশি দুর্বল হয়ে শ্বাসকষ্ট হওয়া ১২|শেষ পর্যন্ত অবধারিতভাবে মৃত্যুবরণ করা
          চিকিৎসা :
১|কোনো সন্দেহজনক বা অচেনা প্রাণী আঁচড় বা কামড় দিলে শুরুতেই আক্রান্ত স্থানে ক্ষত ও রক্তপাতের তীব্রতা খেয়াল করতে হবে।
২|প্রথমেই ক্ষতস্থান চেপে ধরতে হবে যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়।
৩|এরপর টিউবওয়েল বা কলের পানি দিয়ে প্রবহমান পানির ধারার নিচে ন্যূনতম দশ মিনিট ধরে ক্ষত পরিষ্কার করতে