27/08/2025
Direct Selling Business কেন করবেন ?
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আমি মাসুদুর রহমান ডাইরেক্ট সেলিং এন্ড টেকনিক্যাল চ্যানেল এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই ধন্যবাদ । আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে ভালো আছেন । আপনাদের দোওয়ার বরকতে আমিও খুব ভালো আছি । আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব , সেটা হলো ডাইরেক্ট সেলিং বিজনেস আমরা কেন করবো ? আরও তো অনেক কাজ রয়েছে এর উত্তরে বলব কথাটা ঠিকই ! কিন্তু আমাদের জানতে হবে যে কোন কাজ করলে আমরা টাইম ফ্রি ও মানি ফ্রি পাবো।
ব্যাপারটা ভালো করে বোঝানোর জন্য কয়েকটি স্টেপ এ আলোচনা করব । যেমন (এক নম্বর) হলো গভমেন্ট জব (দু'নম্বর) হলো প্রাইভেট জব (তিন নম্বর) হলো বিজনেস এবং (চার নম্বর) হল ডাইরেক্ট সেলিং ।
এক নম্বর গভমেন্ট জব : বর্তমানকালে একটা গভমেন্ট জব পাওয়াটা চাট্টিখানি কথা নয় । কিন্তু যদি পেতেই হয় তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে হাই এডুকেটেড হতে হবে । যেমন জেনারেল লাইনে যদি জব পেতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক ও সেইসঙ্গে বিএড হতে হবে এবং সাথে দশ লক্ষ টাকা এবং যোগাযোগ। আর যদি টেকনিকেল লাইনে হয় তাহলে বিটেক হতে হবে আর সাথে সাথে 2 থেকে 3 বছরের এক্সপেরিয়েন্স দশ থেকে বারো লক্ষ টাকা ও যোগাযোগ তো অবশ্যই চাই। কিন্তু আমাদের সাধারণ বাড়ির ছেলেরা হয়তো কষ্ট করে ডিগ্রিটা অর্জন করে নিতে পারবে।কিন্তু অর্থ বা যোগাযোগটা সম্ভব হয়ে ওঠেনা । তাই তাদের পক্ষে চাকরি পাওয়াটা অরণ্যেরোদন এর মত হয়ে ওঠে ।
দু'নম্বর প্রাইভেট জব : এখানেও একটা জিনিস আমরা দেখতে পাই যে , সরকারি চাকরির মতোই অনেক কম্পিটিশন হয় । তাই ভালো একটা কোম্পানিতে জব পাওয়াটা দুষ্কর হয়ে ওঠে । কিন্তু আবার যদি জব পেয়েও যায় , সেখানেও নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । যেমন আট থেকে বারো ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। আর সেলারি সময় দশ থেকে এগারো হাজার বা বারো হাজার। অপরদিকে আমাদের সেখানে থেকেই কাজ করতে হয় । মাসে চারটার বেশি ছুটি পাওয়া যায় না । তারপর বসের বকা-ঝকা তো আছেই। এই জন্য অনেকেই প্রাইভেট জব এর প্রতি সন্তুষ্ট নয় ।
তিন নম্বর বিজনেস: বিজনেস নাম শুনলেই আমরা চমকে উঠি। একটা বিজনেস করতে গেলে বর্তমান যুগে কমপক্ষে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা অবশ্যই দরকার। তাছাড়া একটা বিজনেস শুরু করা সম্ভব নয়। তারপর তো ভালো একটা প্লেস চায়।এছাড়াও রিক্স আছে।বহু মানুষ এর সঙ্গে পরিচিত থাকাটাও দরকার । তাই আমরা বিজনেস করতে পারিনা ।
এমত অবস্থায় তাহলে আমরা কি করব। তাহলে কি আমাদের হার্ডওয়ার্ক করতে হবে! তাছাড়া কি করে ফ্যামিলি মেনটেনেন্স করবো। আর যদি হার্ডওয়ার্ক করেও নি । তবে যখন পঞ্চাশ বছর বয়স হয়ে যাবে তখন কি পারব সেসব করতে।তাছাড়া যদি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে কি হবে ! এমন শত শত চিন্তা মাথায় নিয়ে আমরা দিনের পর দিন কাটিয়ে দি !
কোন চিন্তা নেই ! আমার আসল কথাটা এবার একটু মন দিয়ে শুনুন ! আপনারা হয়তো ভুলেই গেছেন এখনও একটি পয়েন্ট আছে। তো চলুন সেই পয়েন্ট এর দিকে আমরা যাই । পয়েন্ট টা হল -
চার নম্বর ডাইরেক্ট সেলিং : এর আগের ভিডিওতে আপনাদের ডাইরেক্ট সেলিং এর ইতিহাস বলেছিলাম । যদি পারেন তাহলে সেই ভিডিওটা একবার দেখে নেবেন। তাহলে ব্যাপারটা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন । ডাইরেক্ট সেলিং হলো এমন একটা ইন্ডাস্ট্রি, যেখানে আপনি জিরো থেকে শুরু করতে পারবেন । তবে হ্যাঁ ডাইরেক্ট সেলিং এ কাজ করতে গেলে আপনাকে কিছু রুলস অবশ্যই মেনে চলতে হবে ।যেমন প্রথমে আপনাকে এডুকেশন নিতে হবে ,কোম্পানি, কোম্পানির প্রোডাক্ট ,টীম কিভাবে তৈরি করতে হয,মানুষের সাথে কেমন ভাবে কথা বলতে হয়, সেল্ফ কনফিডেন্স ,মোটিভেট কিভাবে থাকা যায় ইত্যাদি।আর এই সমস্ত জিনিস গুলি একবার শিখে নিতে পারলে তাহলে একদম ছক্কা।যদি আপনি অন্তর দিয়ে মাত্র এক বছর কাজ করে দেন,তাহলে আপনাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবেনা।
তখন আপনি " টাইম ফ্রি ,ও মানী ফ্রি দুটিই পেয়ে যাবেন ।"
তবে হ্যাঁ ডাইরেক্ট সেলিং এমন একটা ইন্ডাস্ট্রি যেখানে আপনাকে প্রত্যেকদিন নতুন নতুন কিছু শিখতে হবে। তাই আমি আগেই বলেছি যে,"টাইম ফ্রি ,মানী ফ্রি " কিন্তু এডুকেশন ফ্রি নয়।এডুকেশন আপনাকে অর্জন করতেই হবে ।
আশা করছি ব্যাপারটা ভালো করে বুঝতে পেরেছেন তাই দেরি না করে আজই ডিসিশন নেন আপনি কি করবেন !
আর একটা কথা আমি বলে থাকি - "যদি আপনার চিন্তার পরিবর্তন হয় ,তাহলে আপনার জীবনও পরিবর্তন হবে !"
Formula