20/08/2023                                                                            
                                    
                                                                            
                                            গরমেই ঠান্ডা লাগে বেশি। চলতি কথায় সর্দিগর্মি। খুবই বিরক্তিকর সমস্যা এটি। নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়া, নাক বন্ধ, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথা, জ্বর, কাঁপুনি—এগুলো হলো এর প্রধান লক্ষণ। আবহাওয়ার আকস্মিক ও দ্রুত পরিবর্তন, গরমে ঘাম ও রোদের তাপ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বেরিয়েই প্রচণ্ড গরম, আবার প্রচণ্ড গরম থেকে এসে খুব ঠান্ডা পানি বা বরফপানি পান করা—এই সবকিছু মিলিয়ে সর্দিগর্মির প্রকোপ এ সময় বেশি। অ্যালার্জির কারণ ছাড়াও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো না-কোনো ভাইরাস এই রোগের জন্য দায়ী। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আসল আসামি রাইনো ভাইরাস।তাপমাত্রার ওঠা-নামায় এই ভাইরাস যেমন দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, তেমনি এ সময় ছড়ায়ও। হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে নাক-মুখ থেকে অন্তত ছয় ফুট দূরত্ব পর্যন্ত ছড়াতে পারে এই ভাইরাসগুলো। আর প্রকৃতিতে বেঁচে থাকতেও পারে বেশ কয়েক ঘণ্টা। এ ছাড়া হাত দিয়ে নাক মোছা বা নাক-মুখে হাত দেওয়ার পর সেই হাত দিয়েই অন্যজনের কাছে ছড়ায়। স্কুল, কলেজ, অফিস বা দোকানপাটের দরজার হাতল, টেবিলের কোণ, রিকশা-গাড়ির হ্যান্ডেল, টেলিফোন ও ব্যবহূত ব্যক্তিগত জিনিসপত্র দিয়েই ছড়ায় বেশি। তবে আর দশটা ভাইরাসজনিত রোগের মতো এই রোগও তেমন মারাত্মক কিছু নয়। সেরেও যায় তেমন কোনো চিকিৎসা ছাড়াই। চিকিৎসা যা দেওয়া হয় তার সবটাই খানিক আরাম পাওয়ার উদ্দেশ্যে। যেমন জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ, সর্দি-কাশিতে অ্যান্টিহিস্টামিন—ব্যস।প্রচুর পানি পান করুন। কোমল পানীয়, অ্যালকোহল বা এনার্জি ড্রিংক নয়; দরকার শুধুই পানি বা ফলের রস। প্রচুর বিশ্রাম নিন। স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ করুন, অফিস থেকে ছুটি নিন। ভালো ঘুম দিন। তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন।গলা ব্যথা বা অস্বস্তিভাব কাটাতে আধকাপ কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করতে পারেন। প্রচুর ভিটামিন সি ও জিংকযুক্ত খাবার খান। লেবু ও লেবুজাতীয় ফলে আছে ভিটামিন সি। গরম স্যুপ, গরম পানিতে লেবুর রস বেশ উপকারী। দোকান থেকে দোকানির পরামর্শে কফ সিরাপ বা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না, এতে অনেক সময় হিতে বিপরীত হতে পারে। আক্রান্ত হলে নিজের ব্যবহার্য বস্তু যেমন তোয়ালে, রুমাল, সেলফোন কাউকে ধরতে দেবেন না। হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ টিস্যু দিয়ে ঢাকুন, তারপর সেটি ফেলে দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
 D M Rasel Mia