Barakah Homeo Care

Barakah Homeo Care আমি যখন অসুস্থ হই তখন আল্লাহ আমাকে শিফা দান করেন।

13/08/2025
06/08/2025

দেশে দেশে হোমিওপ্যাথি

অনেকে এখনো মনে করেন হোমিওপ্যাথি বুঝি শুধু আমাদের উপমহাদেশেই চলে। উন্নত বিশ্বে এসবের কদর নেই। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো। ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া সবখানেই হোমিওপ্যাথি একটি প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা ব্যবস্থা, যদিও নিয়মকানুন ও কাঠামো ভিন্ন।

প্রথমে ইউরোপের কথা বলি।

জার্মানি, যেখানে হ্যানিম্যান নিজে হোমিওপ্যাথির জন্ম দিয়েছেন, আজও সেখানে এটি সরকারি স্বীকৃত চিকিৎসা ব্যবস্থা। জার্মানিতে প্রায় ৭,০০০ এরও বেশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রয়েছেন এবং বহু জার্মান নাগরিক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি বেছে নেন। ২০১৮ সালের একটি জার্মান হেলথ ইনস্যুরেন্স রিপোর্টে (Techniker Krankenkasse) বলা হয়েছে, জার্মানিতে প্রতি ১০ জনে ৭ জন মানুষ হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করে থাকেন।

এরপর সুইজারল্যান্ড। ২০১২ সালে সুইস সরকার একটি বিস্তারিত গবেষণা করে দেখেছে হোমিওপ্যাথি শুধু নিরাপদ নয়, কার্যকর এবং খরচেও সাশ্রয়ী। সেই গবেষণার ভিত্তিতে ২০১৭ সাল থেকে হোমিওপ্যাথি সেখানে সরকারি হেলথ ইন্স্যুরেন্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ভেতরেই একজন নাগরিক হোমিও ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন।

ফ্রান্সেও হোমিওপ্যাথির জনপ্রিয়তা ব্যাপক। ফ্রান্সের প্রায় ৩০,০০০ এর বেশি ফার্মাসিস্ট হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রাখেন এবং ৪২% ফ্রেঞ্চ চিকিৎসক হোমিওপ্যাথি ব্যবহারে প্রশিক্ষিত। যদিও সম্প্রতি কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে reimbursements কমেছে, কিন্তু জনসাধারণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা একটুও কমেনি।

ইউকে-তে হোমিওপ্যাথির ইতিহাস বহু পুরনো। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ হোমিওপ্যাথির একজন বড় সমর্থক ছিলেন। আজও রয়্যাল ফ্যামিলির জন্য একজন রেসিডেন্ট হোমিওপ্যাথ থাকে। ১৯৪৮ সালে তৈরি হওয়া NHS-এর (National Health Service) অধীনেও হোমিও ট্রিটমেন্ট দেওয়া হতো, যদিও পরবর্তীতে বাজেট সংকোচনের কারণে কিছুটা কমেছে।

কানাডায় হোমিওপ্যাথি একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত চিকিৎসা পেশা। বিশেষ করে অন্টারিও প্রদেশে “College of Homeopaths of Ontario” দ্বারা রেজিস্ট্রেশন ও নিয়মাবলী পরিচালিত হয়। রোগীরা সেখানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন, এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রাইভেট ইন্স্যুরেন্স কভার করে থাকে।

অস্ট্রেলিয়ায় National Institute of Complementary Medicine-এর অধীনে হোমিওপ্যাথি নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে। যদিও কিছু বিতর্ক রয়েছে, তথাপি সেখানকার বহু মানুষ হোমিওপ্যাথিকে সাপ্লিমেন্টারি থেরাপি হিসেবে নেন।

আমেরিকাতে হোমিওপ্যাথির FDA রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে বহুদিন ধরে। United States Homeopathic Pharmacopeia (HPUS) অনুসারে ওষুধ প্রস্তত হয়। বহু Integrative Medicine Center-এ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আমেরিকার National Center for Complementary and Integrative Health (NCCIH) হোমিওপ্যাথি নিয়ে রেগুলার গবেষণা করে।

ভারতের কথা না বললেই নয়। যদিও উন্নয়নশীল দেশ, তবে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ভারতেই আছেন প্রায় ৩ লাখের বেশি। সেখানকার AYUSH মন্ত্রণালয় পুরো হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা, গবেষণা, নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে। এবং সরকারি হাসপাতালেও হোমিওপ্যাথিক ইউনিট রয়েছে।

WHO এর একটি রিপোর্ট (2019) অনুযায়ী, পৃথিবীর অন্তত ৮৮টি দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চর্চা হয় এবং প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশে এটি আইনত স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি।

তাই যারা ভাবেন হোমিওপ্যাথি বুঝি গ্রাম্য চিকিৎসা, তারা অন্ধকারে আছেন। উন্নত বিশ্বের বহু চিকিৎসক আজ এই পথ্যকে evidence-based complementary medicine হিসেবে গ্রহণ করছেন। পার্থক্য শুধু তারা নিয়ম মেনে করে, আমরা অনেকসময় সেটা না বুঝেই চলি।

বিদ্র: আমার প্রতিটি পোস্ট শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথদের জন্য, রোগীদের জন্য নয়। দয়া করে নিজে নিজে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন না, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে।
জাকির হুসেন পোষ্ট থেকে সংগৃহীত

স্ট্রোক হলে এলোপ্যাথি শ্রেষ্ঠ নাকি হোমিওপ্যাথি শ্রেষ্ঠ,আমরা কোনটার উপর নির্ভর করবো.. মস্তিষ্কে প্রতি সেকেন্ডে ৭০০ মিলিয়ন...
26/07/2025

স্ট্রোক হলে এলোপ্যাথি শ্রেষ্ঠ নাকি হোমিওপ্যাথি শ্রেষ্ঠ,আমরা কোনটার উপর নির্ভর করবো..
মস্তিষ্কে প্রতি সেকেন্ডে ৭০০ মিলিয়ন নিউরন কাজ করে। যখন রক্ত চলাচল বন্ধ হয়, সেই নিউরনগুলো অক্সিজেন না পেয়ে ৩–৫ মিনিটেই মারা যেতে থাকে,ঠিক এই কারণেই স্ট্রোকের প্রথম ৩ ঘণ্টাকে বলে Golden Hour – এ সময় এলোপ্যাথি চিকিৎসা জীবনের জন্য অপরিহার্য। তবে তারপর কী হয়,,নিউরন মারা গেছে, স্নায়ু নিস্তেজ, শরীর সাড়া দিচ্ছে না।................. এখন প্রশ্ন......................
এই নিউরন ও স্নায়ু কি আর জেগে উঠতে পারে?
স্নায়ু পুনর্জাগরণ – যেখানে হোমিওপ্যাথি শুরু করে তার কাজ,এখানে শুরু হয় একটি অদৃশ্য কিন্তু বৈজ্ঞানিক সত্য হোমিওপ্যাথি কাজ করে সেই স্তরে, যাকে বলে Bioenergetic Information Healing হোমিও রেমেডিগুলো শরীরের নিজস্ব স্নায়ুবিক ইমপালস পুনরুজ্জীবিত করে।
Arnica মস্তিষ্কে ক্ষত স্থানে রক্ত চলাচল ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
Causticum প্যারালাইসিসের ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করে – কথাবলা ফিরিয়ে আনে।
Baryta carb স্মৃতিশক্তি ও মানসিক ভারসাম্যে কাজ করে।
Natrum Sulph মস্তিষ্কে জমে থাকা পুরোনো রক্ত বা টক্সিক আবর্জনা দূর করে।
এইসব চিকিৎসা কেবল লক্ষণভিত্তিক নয়, ন্যানো লেভেলে কোষের তথ্যপ্রবাহে কাজ করে।
স্ট্রোক রিকভারিতে হোমিওপ্যাথি বনাম এলোপ্যাথি – এক নজরে তুলনা
জরুরি মুহূর্তে রোগীকে বাঁচাতে এলোপ্যাথি শ্রেষ্ঠ হোমিওপ্যাথি নয়।
স্নায়ু পুনর্জীবন এলোপ্যাথিতে সীমিত কিন্তু হোমিওপ্যাথি অনেক বেশি কার্যকর।
হাঁটা-চলা, কথা বলাএলোপ্যাথিতে ধীরে/অকার্যকর কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে সম্ভাবনাময় রিকভারি হয়।
চিকিৎসার খরচ এলোপ্যাথিতে অধিক যা অনেকের সম্ভব হয় না কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে তুলনামূলক কম যা সবার সাধ্যের মধ্যে ।
একটি বাস্তব সত্য,আপনি কি জানেন?
বহু স্ট্রোক করা রোগী যাদের কে হাসপাতাল থেকে বলেছিল এখন আর কিছু করার নেই,তাদের অনেকেই হোমিওপ্যাথিতে ফিরে পেয়েছেন হাঁটার ক্ষমতা, মুখের কথা, চোখের দৃষ্টি,এই কথা আপনি হয়তো গুগলে পাবেন না,কিন্তু আমার চেম্বারে বসে আমি প্রতিদিন সেই অলৌকিক বাস্তবতা দেখছি।
তাই আমি বলি – স্ট্রোক মানেই শেষ নয় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা আপনাকে শুধু আশ্বাস দেয় না,আমরা চেষ্টা করি স্নায়ুর ঘুম ভাঙাতে,আপনার প্রিয়জন যদি আজ হুইলচেয়ারে থাকেন –তাহলে বিশ্বাস রাখুন, হোমিওপ্যাথিতে আছে হাঁটার আশার সিঁড়ি।
ডা.আব্দুল্লাহেল কাফী
ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথ
আবিদ হোমিও হল, মফিজ পাগলার মোড়, বগুড়া।

#আবিদহোমিও #স্ট্রোক

31/05/2025

একজন স্ত্রী একজন মেয়ে,বোন ,ভাগনী,ভাতিজী,ফুফু,খালা,সবাই কিন্ত মায়ের জাতী,
তাদের কে মা হিসেবে গড়ে তুলুন,তাঁদের কে ন্যায্য মর্যাদার আসনে আসীন করুন।
"""" """""" """"""" """"""" """""" """"""" """"""""

এক ভদ্রমহিলা পাসপোর্ট অফিসে এসেছেন পাসপোর্ট করাতে। অফিসার জানতে চাইলেন, "আপনার পেশা কি?"
মহিলা জবাব দিলেন, "আমি একজন মা।"

অফিসার হেসে বললেন, "আসলে শুধু মা তো কোনো পেশা হতে পারেনা, তাহলে আমি লিখে দিচ্ছি আপনি একজন গৃহিনী।"

মহিলা কিছু বললেন না। পাসপোর্টের কাজ কোনো ঝামেলা ছাড়াই শেষ হলো।

অনেকদিন পর, এবারে পাসপোর্টটা রিনিউ করাতে, ভদ্রমহিলা আবার পাসপোর্ট অফিসে আসলেন। দেখলেন আগের সেই অফিসার নেই। খুব ভারিক্কি, রুক্ষ মেজাজের এক লোক বসে আছেন।

যথারীতি ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে অফিসার জানতে চাইলেন, "আপনার পেশা কি?"

মহিলা চট করে কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেলেন।

কয়েক মুহূর্ত ভেবে বললেন, "আমি একজন গবেষক। নানারকম চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করি। আমি শিশুর মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ সাধন করি, শিশুকে পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন করি। বয়স্কদের নিবিড় পরিচর্যা করি ও খেয়াল রাখি। সুস্থ পরিবার ও সমাজ বিনির্মাণে নিরলস শ্রম দিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামোগত ভিত মজবুত করি।"

মহিলা বলে যাচ্ছেন, "প্রতিটি মূহুর্তেই আমাকে নানারকমের চ্যালেঞ্জের ভিতর দিয়ে যেতে হয় এবং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তা মোকাবিলা করতে হয়। কারণ, আমার সামান্য ভুলের জন্য বিশাল ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।"

মহিলার কথা শুনে অফিসার একটু নড়ে চড়ে বসলেন। মহিলার দিকে এবার যেন একটু শ্রদ্ধা আর বিশেষ নজরে তাকালেন। অনেক কৌতূহল নিয়ে অফিসারটি জিজ্ঞেস করলেন, "ম্যাডাম, আসলে আপনার মূল পেশাটি যদি আরেকটু বিশদভাবে বলতেন?"

"আমাদের রিসার্চ প্রজেক্ট তো আসলে সারাজীবন ধরেই চলে। সর্বক্ষণ আমাকে ল্যাবরেটরি এবং ল্যাবরেটরির বাইরেও কাজ করতে হয়। এই কাজের চাপে আমার নাওয়া খাওয়া ঘুমের সময়ের ঠিক থাকে না। সব সময় আমাকে কাজের প্রতি সজাগ থাকতে হয়। এই তো আজকাল আমি সমাজবিজ্ঞান, পারিবারিক স্বাস্থ্য আর নৈতিকতা বিকাশ এই তিনটি ক্ষেত্রেই একসাথে কাজ করছি, যা পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল প্রকল্পগুলোর অন্যতম।"

অফিসার মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে মহিলার কথা শুনছেন। এমন গুণী, বিস্ময়কর মহিলা, প্রথমে কিন্তু মনে হয়েছিল খুবই সাধারণ।

"প্রতিদিন আমাকে ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা, আবার কোনো কোনো দিন আমাকে ২৪ ঘন্টাই ল্যাবে কাজ করতে হয়। পৃথিবীর সব পেশাতেই কাজের পর ছুটি বলে যে কথাটি আছে আমার পেশাতে সেটা একেবারেই নেই। ২৪ ঘন্টাই আমার অন কল ডিউটি।"

এও কিভাবে সম্ভব, অফিসারটি ভাবতেই পারছেন না!

"আপনার হয়তো বা জানতে ইচ্ছে করছে, বিনিময়ে কি পাই? এই চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প পরিচালনায় আমার সেই অর্থে কোনো পারিশ্রমিক নেই। পরিবারের সবার মুখে হাসি আর তাদের প্রশান্তিই আমার পারিশ্রমিক। আর আমার কাজের পুরষ্কার হিসেবে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ থেকে পেয়েছি তিনটা স্বর্ণপদক!"

অফিসার হতভম্ব, এ কেমন নিঃস্বার্থ কাজ পাগল মানুষ!

"এবার আমি বলি, আমার পেশা কি?"

অফিসার এতক্ষণ যেন এই উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন!

"আমি একজন মা। এই পৃথিবীর অতি সাধারণ এক মা।"

মহিলার কথা শুনে গম্ভীর অফিসারটি এবারে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন, চেষ্টা করেও আর নিজের চোখে অশ্রু আটকাতে পারছেন না। তার নিজের মায়ের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তিনি খুব সুন্দর করে ফর্মের সব কাজ শেষ করে, মহিলাকে একদম সিঁড়ির দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন।

তারপর নিজের অফিস রুমে এসে বসলেন, ড্রয়ার হাতড়ে একটি ধূসর হয়ে যাওয়া ছবি বের করলেন। ক্ষণিকের নীরবতা! অপলক নয়নে সামনের দিকে তাকিয়ে — যেন কিছুই দেখছেন না — বিড়বিড় করে আপন মনে ডাকছেন, "মা, মা গো!"
# collected #

30/05/2025

শক্তি নির্বাচন (পটেন্সি সিলেকশন)

(জর্জ ভিথুলকাসের "দ্য সায়েন্স অফ হোমিওপ্যাথি" বইটিতে বিভিন্ন শক্তির ওষুধ তৈরির বিষয়ে বিস্তারিত পড়তে পারেন)।

পটেন্সির প্রকারভেদ:

ক) ডেসিমাল/দশমিক পটেন্সি

ডাইলুশনশন ডি / D বা X (রোমান নম্বর ১০) দিয়ে নির্দেশিত হয়। যেমন: D6, D12, D24, 1X, 2X,200X ইত্যাদি।

খ) সেন্টিসিমাল/শততমিক পটেন্সি

ডাইলুশনশন সি/C দিয়ে নির্দেশিত হয়।
যেমন: C30, C200 ইত্যাদি।

সর্বাধিক ব্যবহৃত সি পটেন্সির হলো: 30, 200, 1000 (1M), 10 000 (10M), 50 000 (50M) এবং 100 000 (CM)।

গ) 50-মিলিসিমাল/ ৫০ সহস্রতমিক পটেন্সি

ডাইলুশন LM/এলএম দিয়ে নির্দেশিত হয়। যেমন: 6 LM, 12 LM, 30LM ইত্যাদি।

এলএম পটেন্সিকে 0/1,0/2,0/3…. বা Q1,Q2,Q3,.... এভাবেও লেখা হয়।
Q= কুইন পটেন্সি

নোট:

ক) শততমিক ওষুধে ৩০ শক্তি পর্যন্ত তৈরিতে হ্যানিম্যান এর তরলীকরণ এবং ঝাঁকান পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তখন CH দিয়ে লেখা হয়। যেমন: 12 CH, 30 CH ইত্যাদি।

CH= সেন্টিসিমাল হ্যানিম্যানিয়ান]।

খ) 30 শক্তি থেকে উচ্চ শক্তির ওষুধ তৈরিতে কর্সাকভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় (যান্ত্রিকভাবে)।
তখন CK বা K দিয়ে লেখা হয়, যেমন: 30CK, 200CK অথবা 30K, 200K ইত্যাদি।

গ) ১২ সি বা ২৪ ডি (২৪ এক্স) এর নিচেট পটেন্সিতে মুল ভেষজের কিছু উপাদান বর্তমান থাকে। কিন্তু উচ্চতর শক্তির ওষুধে মূল উপাদানের কোনও অণুও বর্তমান থাকে না- কেবল ওষুধজ শক্তি উপস্থিত থাকে।

ঘ) সবচেয়ে ব্যবহৃত শক্তি: ৩০,২০০,১এম, ১০এম, ৫০এম এবং কিছু ক্ষেত্রে সিএম।

উপরে উল্লেখিত উচ্চ শক্তি ছাড়াও, প্রতিদিন একবার করে ১০, ২০ বা ৩০ দিনের জন্য ৬সিএইচ বা ১২সিএইচ শক্তি ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া বায়োকেমিক ৬এক্স বা ১২এক্স শক্তি বেশি ব্যবহৃত হয়।

★শক্তি: সাধারণ নিয়ম:

সাধারণ নিয়ম হল: যখন কোনও ওষুধ সঠিক হয়, তখন এটি সর্বদাই কাজ করবে, শক্তি যাই হোক না কেন। তবে ওষুধটি কত গভীর এবং কতক্ষণ কাজ করবে তা ওষুধের শক্তির উপর নির্ভর করে।

একটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধকে একটি এলার্জেনের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।
যেমন: কোন এলার্জিক রোগী কেবল বিড়াল যে কক্ষে আছে ঐ কক্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথেই হাঁচি শুরু হয়ে যেতে পারে, যদিও বিড়ালটি এখনো পাঁচ ফুট দূরে আছে। সুতরাং, এটি এলার্জেনের পরিমানের উপর নির্ভর করে না(পরিমানগত নয়/ নট কোয়ানটিটেটিভ ), বরং এলার্জেনের প্রতি সংবেদনশীলতাই দায়ী (গুনগত/কোয়ালিটেটিভ)। হোমিওপ্যাথিতেও, সঠিক ওষুধের গুণমানটি সঠিক প্রতিক্রিয়া শুরু করবে, শক্তিটির পরিমাণ নয়।

শক্তি যত বেশি হবে, ওষুধের ক্রিয়া তত গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
নিম্ন শক্তি শারীরিক স্তরে কাজ করে কিন্তু আবেগীয় এবং মানসিক স্তরে তেমন কাজ করতে পারে না।
একটি উচ্চ শক্তি অনায়াসেই মানসিক এবং আবেগীয় স্তরে কাজ করে।

সুতরাং ওষুধের শক্তি নির্বাচন রোগের গভীরতার উপর নির্ভর করে হওয়া উচিত। উপরন্তু, জীবের শক্তি এবং রোগীর সংবেদনশীলতাও অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে।

একটি সাধারণ নির্দেশিকা:

শারীরিক সমস্যা: 200 শক্তি
আবেগীয় সমস্যা: ১এম শক্তি
মানসিক সমস্যা: ১০এম শক্তি।

★সমস্ত পটেন্সির জন্য উপদেশ:

যদি একটি নির্দিষ্ট শক্তির ওষুধ ভালভাবে কাজ করে, তবে শক্তি বাড়ানোর আগে সর্বদা একই শক্তি পুনরাবৃত্তি করুন।
আপনি যদি একই শক্তির ওষুধ দুইবার দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনি এক ডিগ্রী শক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন (যেমন: ৩০ থেকে ১এম এ পরিবর্তন করবেন না, কিন্তু ৩০ এর পর ২০০ দিন)।
যদি একটি ওষুধ ভালো কাজ করে এবং কোনভাবে ক্রিয়া নষ্ট হয়(এন্টিডোট), তাহলে আগের মত একই শক্তি পুনরাবৃত্তি করুন।
যদি কোনও প্রতিষেধকের প্রভাব না থাকে এবং দ্রুত রিল্যাপস হয়, একই শক্তি পুনরাবৃত্তি করুন এবং বিপজ্জনক বা দুরারোগ্য রোগের সন্দেহ করুন।
যদি দীর্ঘ সময়ের পরে পুনরায় রোগ ফিরে আসে,তাহলে আপনি একটি উচ্চতর শক্তি ব্যবহার করতে পারেন, বা একই শক্তি পুনরাবৃত্তি করতে পারেন।
যদি আপনি নিশ্চিত না হন যে একটি প্রতিষেধক ছিল, তাহলে একই শক্তি পুনরাবৃত্তি করুন।

২য় এবং ৩য় ওষুধের জন্য পরামর্শ:

* যদি প্রথম ওষুধটি পুরোপুরি যথাযথভাবে কাজ করে এবং এরপর আপনি একটি পরিপূরক ওষুধের পরিষ্কার চিত্র পান কিন্তু সমস্যাটি আরও পেরিফেরাল(আঙ্গিক), তাহলে একটি কম শক্তির পরিপূরক ওষুধ দিন।
যেমন: ক্যালক ১০০০ এর পরে রোগী সার্বিকভাবে ভালো আছে, কিন্তু পরে রাসটক্সের আঙ্গিক লক্ষণ প্রকাশ পায়, এক্ষেত্রে রাস টক্স ৩০ বা ২০০ দিন।

* যদি প্রথম প্রয়োগকৃত ওষুধটি কাজ না করে এবং পরে একটি খুব স্পষ্ট বিকল্প ওষুধ চিত্র দেখতে পান, তাহলে উচ্চতর শক্তি দিন।

যেমন: সালফার ১০০০কাজ করেনি, কিন্তু পরে স্পষ্ট পালসেটিলার চিত্র প্রকাশ পেয়েছে, পালসেটিলা ১০ এম দিন।

* যদি ইতিমধ্যে কোন ফলাফল ছাড়াই (ওষুধ কাজ করেনি) ২ বা ৩টি ওষুধ দিয়ে থাকেন, তবে কম শক্তির ওষুধ দেওয়া উচিত (প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জীবকে উদ্দীপিত করবেন না)।

* যদি একটি ওষুধ ভালো কাজ করে, কিন্তু তা শুধুমাত্র উপরিভাগে(সুপারফিশিয়াল- কেসের গভীরে তেমন কাজ করেনি), এবং এরপর একটি নতুন ওষুধচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে, তাহলে একটি কম বা একই শক্তির ওষুধ দিন।
ভাসাভাসা কাজ করা ওষুধটি পরবর্তী ওষুধের পথ খুলে দিলো।

* ৩ বছর ভালো ফলাফল সহ সুপারফিশিয়াল চিকিৎসার পরে, হঠাৎ একটি সুস্পস্ট গভীর ক্রিয়াশীল ওষুধচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে, এটি উচ্চ শক্তিতে দিতে পারেন।

★আপনি যে শক্তি দিবেন তা নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে:

রোগের ধরণ এবং রোগের গভীরতা (মানসিক, আবেগীয় বা শারীরিক)
জীবের শক্তি এবং এর শক্তির অবস্থা (বৃদ্ধ, দুর্বল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, গুরুতর হার্টের রোগে নিম্ন শক্তি দিয়ে শুরু করা উচিত)
রোগটি কি শান্ত অবস্থায় আছে, নাকি একটি ফ্লেয়ার-আপ (উপসর্গের বৃদ্ধিজনিত অবস্থা) অবস্থায় আছে? ফ্লেয়ার আপের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ শক্তি দিন।
রোগী কি অন্য কোন ওষুধ সেবন করেন? (প্রতিষেধক?)
রোগী দীর্ঘদিন ধরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আছেন নাকি?

★কিছু ওষুধের পটেন্সি সম্পর্কে সতর্ক থাকুন:

ত্বকের সমস্যায় ল্যাকেসিস নিম্ন শক্তিতে দিন।
হার্টের সমস্যা বা নিম্ন রক্তচাপের ক্ষেত্রে নোসড নিম্ন শক্তিতে দিন (সর্বোচ্চ ৩০ বা ২০০)।
গুরুতর মানসিক পরিস্থিতিতে ভারী ওষুধ (Heavy remedy) বরং কম শক্তিতে দিন যেমন: অরাম মেট, এসিড ফস, এসিড মিউর, জেলস, প্লাম্বাম মেট, হেলিবোরাস
গুরুতর একিউট পরিস্থিতিতে, কিছু ওষুধ উচ্চ শক্তিতে দেওয়া উচিত।
যেমন: ইগ্নেশিয়া, আর্নিকা, বেলাডোনা,একোনাইট, ব্রায়োনিয়া।

দুর্বল ব্যক্তি বা একটি ক্লাত জীবের ক্ষেত্রে: কম শক্তি পছন্দ করুন, যেমন: এসিড মিউর।

যদি একজন রোগী গুরুতরভাবে, অচির রোগে অসুস্থ হয় এবং একটি পরিষ্কার ওষুধ চিত্র দেখা যায়, যদি অর্গানিজম শক্তিশালী হয় তবে একটি উচ্চ শক্তির ওষুধ দিন (যেমন: একজন রোগী ইতিপূর্বে যার সফলভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়েছে)। যদি জীব দুর্বল হয়, নিম্ন শক্তি দিন।

★আপনি কখন ১২সিএইচ শক্তি ব্যবহার করবেন?

৫০% এর রিল্যাপসের ক্ষেত্রে এবং যখন আপনি সম্ভবত অপেক্ষা করতে পারবেন না, তখন ২০ বা ৩০ দিনের জন্য প্রতিদিন ১২ সিএইচ শক্তি দিতে পারেন।

যে সমস্ত রোগীরা শক্তিশালী এলোপ্যাথিক ওষুধ খান বা যারা এলোপ্যাথিক ওষুধ বন্ধ করতে চান না, ফলে রিল্যাপস হয়।
বৃদ্ধ ও দুর্বল রোগীদের ক্ষেত্রে।

গুরুতর সমস্যা সহ দুর্বল রোগীদের ক্ষেত্রে যারা চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে অচির রোগে আক্রান্ত হন - দৈনিক ৩ বার করে ১২ শক্তি ২ বা ৩ দিনের জন্য দিতে পারেন। এর মধ্যে ওষুধচিত্র বদলায় কিনা লক্ষ্য রাখুন।

যদি একটি ওষুধ ২০০, ১এম বা ১০এম শক্তিতে ভালো কাজ করে এবং হঠাৎ করে আর কাজ করছে না এমন হয়- তাহলে ১ মাসের জন্য প্রতিদিন ১বার করে ১২ শক্তি দিতে পারেন এবং অন্য ওষুধ চিত্র প্রকাশিত হয় কিনা তা লক্ষ্য করুন পারেন। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে একবার করে ৩০ শক্তিও দিতে পারেন। কখনও কখনও, ১২ শক্তির একটি ডোজ দিয়ে বিশাল উন্নতি দেখতে পাবেন, এই ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই ওষুধ গ্রহণ করা বন্ধ করতে হবে। অথবা যদি ১২ শক্তির ডোজে সমস্যা বৃদ্ধি পায়, তাহলেও ওষুধ প্রয়োগ থামাতে হবে।
যদি কোন রোগী অন্য হোমিওপ্যাথের থেকে আসেন, যিনি অনেকগুলো ওষুধ ইতিমধ্যে সেবন করেছেন এবং এরমধ্যে একটি ওষুধ ভালো কাজ করেছে। কিন্তু ঐ ওষুধের শক্তি বলতে পারছেন না বা মনে নেই, তাহলে আপনি নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন:

পূর্বোক্ত চিকিৎসক থেকে ওষুধের পটেন্সি জেনে নিন।
অথবা, সংশ্লিষ্ট ওষুধের একটি ১০​​এম ডোজ দিন।
যদি কোন উন্নতি না হয় তবে এক মাসের জন্য প্রতিদিন ১২ শক্তি দিন।
যদি তাতেও কোন উন্নতি না হয়, তাহলে অন্য ওষুধ সন্ধান করুন।

যদি কোনও ওষুধ উচ্চ শক্তিতে পুরোপুরি ভালো কাজ করে এবং রোগী আবার আগের মতো একই একই সমস্যায় ভূগে- তাহলে এক মাসের জন্য প্রতিদিন ১২ শক্তি দিন।

নিম্নলিখিত ওষুধগুলো কখনোই ১২ শকৃতিতে বারবার দেবেন না:

নোসোড: টিউবার, মেডো, কার্সি, সিফিলিনাম ইত্যাদি।
বিষ: ল্যাকেসিস, ক্রোটেলাস এইচ, ক্রোটেলাস সি, এপিস, বেলাডোনা, আর্স এলব ইত্যাদি।
কোনিয়াম, হায়োস
ক্যামোমিলা, এসিড নাইট।

★ আপনি কখন ৩০সিএইচ শকৃতি ব্যবহার করবেন?

- বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, আপনি ৪ সপ্তাহের জন্য প্রতি সপ্তাহে একবার করে ৩০ শক্তি দিয়ে শুরু করতে পারেন। যদি একটি ডোজ সেবনের পরে উন্নতি হয়, তাহলে অবশ্যই পুনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। পরবর্তীতে পুনরায় আক্রমন ঘটলে, 200 শক্তিতে পরিবর্তিত হতে পারেন।

- জীবন-হুমকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে, এমনকি যদি ওষুধচিত্র স্পষ্টও হয়, (যেমন: হার্টের সমস্যা)।

- স্পস্ট ওষুধ চিত্রহীন গুরুতর পরিস্থিতিতে।

- সালফার, মেডো, ল্যাকেসিস মেডিসিন শুরু করার জন্য ৩০ শক্তি একটি উত্তম শক্তি, বিশেষ করে চর্মরোগে যখন সালফার প্রয়োগ করতে হয়। যদি প্রদত্ত ওষুধটি ভুল হয় কম শক্তির হয় তবে কম বৃদ্ধিজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

- পূর্ববর্তী ওষুধে যদি গুরুতর বৃদ্ধির ঘটনা ঘটে থাকে, তবে পরের বার ৩০ শক্তি দিতে হবে।

- যাদের শরীরে সহজে মেডিসিন প্রুভিং শুরু
হয়ে যায়।

- যারা হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে সবকিছু জানেন এবং ওষুধ সেবন পরবর্তী উপসর্গের বৃদ্ধির ভয় পান।

- যদি ওষুধটি নিখুঁতভাবে কাজ করে এবং রোগীর হঠাৎ অন্য একটি ওষুধের স্পষ্ট লক্ষণচিত্রসহ একটি অচির রোগ দেখা দেয় (যেমন: সার্সাপ্যারিলার লক্ষণ সহ একিউট সিস্টাইটিস)।

- যদি ওষুধ চিত্র পরিষ্কার না হয় এবং আপনি নিশ্চিত না হন।

- বিরক্তিকর, খামখেয়ালি এবং অতি-সমালোচনাকারী রোগী যারা হোমিওপ্যাথির ওষুধ চান কিন্তু যারা প্রকৃতপক্ষে হোমিওপ্যাথির পক্ষে নন এবং যারা ন্যূনতম সমস্যা বা এগ্রাভেশনের জন্য এলোপ্যাথ বা হাসপাতালে যাবেন।

- দুর্বল ব্যক্তিদের অচির রোগে বা গুরুতর সমস্যায়, যা একদিনে নিরাময় করা সম্ভব না। আপনি 30 শক্তির কয়েকটি বড়ি পানিতে দ্রবীভূত করে রোগীকে এক বা দুই দিনের জন্য প্রতিদিন এক চামচ করে ৩ বার সেবন করতে দিতে পারেন (ফ্রাকশনাল ডোজ)।

[নোট: ৩০ শক্তি পর্যন্ত, সিএইচ শক্তি ব্যবহার করা উচিত।৷ এগুলি হাতে তৈরি করা সহজ। ২০০ থেকে উচ্চতর শক্তি, K (Korsakov) শক্তি ব্যবহার করুন যা মেশিন দ্বারা উৎপাদিত হয়। ]

★আপনি কখন ২০০ শক্তি ব্যবহার করবেন?

- প্রথম সাক্ষাৎকারের পরে প্রেসক্রিপশন শুরু করার সবচেয়ে কমন শক্তির ওষুধ ২০০ শক্তি। যদি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ চিত্র এতটা পরিষ্কার না হয়, অবশ্যই উচ্চতর শক্তি দেয়া উচিত নয়।

প্রারম্ভিক হোমিওপ্যাথদেরও উচ্চ ক্ষমতার ওষুধ দেওয়া উচিত নয়।

- ভারী ওষুধের ক্ষেত্রেও, ২০০ এর বেশি প্রেসক্রাইব না করা ভালো, যেমন: এসিড মিউর, এসিড ফস, হেলিবোরাস, প্লাম্বাম মেট, জিঙ্কাম মেট, এলুমিনা, স্ট্যানাম মেট ইত্যাদি।

- আপনি যদি ২০০ দিয়ে শুরু করেন, তবে ভবিষ্যতে আপনার কাছে রিজার্ভ হিসাবে কিছু উচ্চ ক্ষমতার ওষুধ অবশিষ্ট আছে।

- যদি ফলাফল ছাড়াই বেশ কয়েকটি ওষুধ ইতিমধ্যে দিয়ে থাকেন তবে পরবর্তী ওষুধ দেয়ার ক্ষেত্রেও ২০০ শক্তিতে লেগে থাকুন এবং উচ্চতর শক্তি দিবেন না।

- যদি ১এম প্রয়োগে দুবার ভালো প্রতিক্রিয়া হয় এবং তৃতীয়বার কোনও প্রতিক্রিয়া না হয়, তবে আপনি ১০এম (এক ডিগ্রি বেশি) দিতে পারেন, যদি ১০এম কোনও কাজ না করে, তবে উক্ত ওষুধটি ছেড়ে দেওয়ার আগে ২০০ শক্তি প্রয়োগ করে দেখতে হবে (যখন কোন একটি ওষুধ ভালো করে, তখন তাকে দ্রুত পরিবর্তন করবেন না)।

- অচির রোগের ক্ষেত্রে, আপনাকে ২০০ দিয়ে শুরু করতে হবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে অচির রোগে যদি খুব স্পষ্ট চিত্র পান তাহলে প্রয়োজনে ১এম দিতে পারেন।

অচির রোগে শুধুমাত্র আর্নিকা বা একোনাইট উচ্চতর শক্তিতে প্রয়োগ করতে হবে।

★ আপনি ১এম কখন ব্যবহার করবেন?

- খুব সুস্পষ্ট ওষুধ চিত্রসহ শক্তিশালী জীবনীশক্তি সম্পন্ন রোগীদের প্রথম প্রেসক্রিপশনে।

- শিশুদের প্রথম প্রেসক্রিপশনে যখন ওষুধ চিত্র খুব স্পষ্ট হয়।

- আবেগীয় বা মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে (যেমন: স্ট্যাফিসেগ্রিয়া বা ইগ্নেশিয়া)।

- রোগী দীর্ঘদিন ধরে এলোপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার করলে।

- একিউট পরিস্থিতিতে আর্নিকা বা একোনাইট।

- যখন নিম্ন শক্তি আর কোন কাজ করছে না।

- শিশুদের বেলাডোনা বা ব্রায়োনিয়া ওষুধ চিত্র প্রকাশিত হলে।

★আপনি কখন ১০ এম ব্যবহার করবেন?

- ইমোশনাল সমস্যার ক্ষেত্রে যখন একটি পরিষ্কার ওষুধ চিত্র থাকে।

- মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে।

- যখন নিম্ন শক্তি আর কোন কাজ করছে না।

- গুরুতর অচির রোগে নিম্ন ক্ষমতা ব্যবহার করার পরে (যেমন: নিউমোনিয়া, পাইলোনেফ্রাইটিস)।

- সাইকোলজিক্যাল সমস্যা বা মৃগী রোগে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে যাদের একটি শক্তিশালী ওষুধ প্রয়োজন, যেমন: বেলাডোনা, ভিরেট্রাম এলব, স্ট্র্যামোনিয়াম, হায়োসিয়ামাস।

★আপনি কখন ৫০এম ব্যবহার করবেন?

- যখন ইতিমধ্যে নিম্ন ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়ছে (নোসোড ছাড়া)।

- মানসিক সমস্যায়।

- মনস্তাত্ত্বিক বা মানসিক সমস্যাযুক্ত শিশুদের ক্ষেত্রে।

- সাবডুরাল হেমাটোমায় আর্নিকা ৫০ এম দিন।

- যদি সালফার প্রয়োগের পরে খুব শক্তিশালী প্রুভিং লক্ষণ প্রকাশ পায়, আপনি ৫০এম দিয়ে প্রতিষেধক করতে পারেন।

- খুব ভালো প্রতিক্রিয়ার পরেই যদি একটি পরিপূরক ওষুধের একটি নিখুঁত চিত্র পান এবং রোগী মানসিকভাবে ভুগছেন, তাহলে আপনাকে অবিলম্বে ৫০এম দিতে হবে।
যেমন: রোগী আর্স এলবাম এ খুব ভালো ছিলেন এবং যিনি এখন ফসফরাসের ভয় এবং স্পষ্ট লক্ষণচিত্র সহ খুব অসুস্থ।

[ নোট: নোসোড ৫০ এম বা সিএম শক্তি দেওয়া উচিত নয়। যদি তারা কাজ করে, তাদের কাজ করতে দাও, নোসড সাধারণত একটি মায়াজমেটিক লেয়ার সরিয়ে দিবে এবং এইভাবে পরবর্তী ওষুধের পথ পরিষ্কার করবে ]

★আপনি কখন সিএম শক্তি ব্যবহার করবেন?

- যতটা সম্ভব সিএম-এর ব্যবহার সীমিত করার পরামর্শ ।

- তবে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন, যখন নিম্ন শক্তির ভালো করেছিলো এবং যদি তারা এখন আর কাজ না করে।

- প্রবল মানসিক সমস্যার কেসে সিএম দিতে পারেন।

★উচ্চ শক্তি ওষুধের পুনরাবৃত্তি:

- নোসোড (টিউবারকুলিনাম, মেডোরিনাম, কার্সিনোসিনাম, সিফিলিনাম) এবং ল্যাকেসিস উচ্চ শক্তিতে দ্রুত পুনরাবৃত্তি করা অনুচিত। অন্ততপক্ষে ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে এবং প্রয়োজনে এই মধ্যবর্তী সময়ে অন্য ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।

- উচ্চ শক্তির ভুল ওষুধ সহজেই লক্ষণ চাপা দিতে পারে, শক্তি যত উচ্চতর হবে, অবদমনের সময়কাল তত দীর্ঘ হবে।

- ভুল ওষুধ উচ্চ শক্তিতে বারবার পুনরাবৃত্তি করলে কেসে বিশৃঙ্খলা বা বিভ্রান্তি দেখা দিবে, ঐ কেসে আর সঠিক ওষুধ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না। ফলে অনারোগ্য কেসে পরিনত হবে।

সুতরাং, ওষুধ চিত্র সুস্পষ্ট না হলে উচ্চতর শক্তি প্রয়োগ করা উচিত নয়।

(জর্জ ভিথুলকাস, ভেসেলিস গিগাস, ডেভিড লিটল অবলম্বনে)

21/05/2025

★★ Shot niger #হাইওসিয়ামাস
★One Shot Symptoms-
✅তন্দ্রাচ্ছন্ন প্রলাপ।
✅নগ্নতা বা অশ্লীলতা ও ঈর্ষা।
✅সন্দেহ ও জলাতঙ্ক।
✅সংজ্ঞাশূন্য আক্ষেপ।

#বিস্তারিত লক্ষণ
★ হাইওসিয়ামাসের রোগী রোগের আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বা অল্প সময়ের মধ্যে এত দুর্বল হয়ে পড়ে যে, তাকে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে হয়।
★ জ্বর খুব বেশি না হলেও তন্দ্রাচ্ছন্নতা থাকে এবং তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থেকে সে সর্বদা আবোল-তাবোল বকতে থাকে বা নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে।
★ অবশ্য রোগের প্রাথমিক অবস্থায় বা যতক্ষণ না সে সম্পূর্ণ নিস্তেজ হয়ে পড়ে, ততক্ষণ তার মধ্যে মারতে যাওয়া, কামড়াতে চাওয়া, বিছানা থেকে লাফিয়ে পড়া ইত্যাদি প্রলাপের প্রচণ্ডতা লক্ষ করা যায়।
⏺️ব্রায়োনিয়া, ওপিয়াম এবং জেলসিমিয়ামেও তন্দ্রাচ্ছন্নতা দেখা যায়।
⏺️তবে ব্রায়োনিয়ার রোগী তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে কারণ নড়াচড়া করলে, এমনকি চোখ মেলে তাকালেও তার সব যন্ত্রণা বাড়ে।
⏺️ওপিয়াম ও জেলসিমিয়ামের ক্ষেত্রে স্নায়বিক পক্ষাঘাতের কারণে রোগী জেগে থাকতে পারে না—দেহ ও মন যেন অসাড় হয়ে থাকে।
⏺️হাইওসিয়ামাসের তন্দ্রাচ্ছন্নতা মুমূর্ষু অবস্থার পূর্বাভাস মাত্র।
✅জ্বর খুব প্রবল না হলেও তন্দ্রাচ্ছন্নতা থাকে, আর তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থেকেও রোগী চুপ করে থাকতে পারে না।
✅ রোগী একেবারে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থেকে নীরবে বিছানা খোঁটে, শূন্যে কিছু ধরতে চায়।
✅নিম্ন চোয়াল ঝুলে পড়ে, বালিশ থেকে মাথা গড়িয়ে পড়ে।
✅মল, মূত্র অসাড়ে নির্গত হতে থাকে।

★ বেলাডোনা ও স্ট্রামোনিয়ামের ক্ষেত্রে প্রলাপের তীব্রতা লক্ষ করা যায়, তবে বেলাডোনার জ্বর যেমন আকস্মিকভাবে প্রবল হয়ে ওঠে, স্ট্রামোনিয়ামে তা হয় না।
★ বেলাডোনার জ্বর স্বল্প বিরাম হলেও তা কখনো সান্নিপাতিক বা টাইফয়েড অবস্থায় পৌঁছায় না।
★ স্ট্রামোনিয়ামে সান্নিপাতিক জ্বর এবং প্রলাপের প্রচণ্ডতা থাকে।
★ কিন্তু হাইওসিয়ামাসের তন্দ্রাচ্ছন্নতার পরিবর্তে স্ট্রামোনিয়ামে উত্তেজনা এবং প্রলাপের তীব্রতা দেখলে ভয় হয়।
★ স্ট্রামোনিয়ামের রোগী ক্ষণে ক্ষণে উঠে বসে, দাঁতে দাঁত ঘষে, বিস্ফারিত নয়নে তাকায়, মারতে চায়, কামড়াতে চায়, উলঙ্গ হয়ে নাচতে চায়, উচ্চহাস্যে ঘর প্রতিধ্বনিত করে।
★ হাইওসিয়ামাসে এসব থাকলেও উগ্রতা, উত্তেজনা বা প্রচণ্ডতা নেই।
★ রোগের প্রাথমিক অবস্থায় বা ক্ষণিকের জন্য সে উত্তেজিত হয়ে মারতে, কামড়াতে বা ঔষধ খেতে অস্বীকার করে—মনে করে তাকে বিষ খাওয়ানো হচ্ছে।
★ মনে করে সে নিজের বাড়িতে নেই বা কল্পনাপ্রসূত।

★ কখনো কখনো সে ভয়ে চিৎকার করে, কখনো কাল্পনিক দৃশ্যকে বাস্তব মনে করে তাদের সঙ্গে কথা বলে বা নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে।
★ কিন্তু শীঘ্রই সে আবার তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থাকে এবং তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় আপন মনে নানা কথা বকতে থাকে।
★ তার কথাবার্তায় মল, মূত্র, জননেন্দ্রিয় সম্পর্কিত আলোচনাই বেশি থাকে।
★ স্ট্রামোনিয়ামের রোগীও জননেন্দ্রিয় প্রদর্শন করে এবং অশ্লীল কথা বলে, কিন্তু পরক্ষণে প্রার্থনা করে, অনুতপ্ত হয়, অনুনয়-বিনয় করে, সঙ্গী পছন্দ করে, আলো পছন্দ করে।
★ হাইওসিয়ামাস আলো চায় না এবং সঙ্গী বা আত্মীয়-পরিজনদের সন্দেহ করে, মনে করে তারা তাকে বিষ দিয়ে হত্যা করতে চায়।
★ ধর্মভাব থাকলেও কামভাবের তুলনায় তা প্রায় নেই বললেই চলে—সর্বদা উলঙ্গ থাকতে চায়, জননেন্দ্রিয় নিয়ে হাত দেয়, অশ্লীল কথা বলে, অশ্লীল গান গায়, অশ্লীল ভঙ্গি করে।
★ স্ট্রামোনিয়ামের অনুনয়-বিনয়, অনুতাপ, কবিতার মতো কথা, বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা বা করতালি দেওয়া হাইওসিয়ামাসে নেই।

★ হাইওসিয়ামাসের রোগী অনেক সময় মনে করে সে তার বাড়িতে নেই।
★ এই লক্ষণ ব্রায়োনিয়া ও ওপিয়ামেও দেখা যায় এবং ব্রায়োনিয়া ও ওপিয়ামের মতো দৈনন্দিন কর্মের আলোচনাও হাইওসিয়ামাসে লক্ষ করা যায়।
★ কিন্তু হাইওসিয়ামাসের অশ্লীলতা বা কামোন্মাদ ভাব ব্রায়োনিয়া বা ওপিয়ামে নেই।
★ হাইওসিয়ামাস শীতকাতর, ব্রায়োনিয়া ও ওপিয়াম গরমকাতর।
★ পিপাসা তিনটি ঔষধেই থাকলেও হাইওসিয়ামাসে জলাতঙ্কও আছে।
★ ব্রায়োনিয়া ও ওপিয়ামে জ্বর খুব বেশি, হাইওসিয়ামাসে জ্বর খুব কম।
★ তবে ওপিয়ামের রোগী যেমন তার অভাব-অভিযোগ সম্পর্কে কিছু বলতে চায় না, হাইওসিয়ামাসেও তা আছে এবং আর্নিকার মতো প্রলাপের সময়ও সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়।

★ ব্যর্থ প্রেমিকের তরুণ উন্মাদ রোগে এই লক্ষণ দেখা গেলে হাইওসিয়ামাস প্রায়ই উপকারী হয়। ভিরেট্রাম এবং স্ট্রামোনিয়ামেও এই লক্ষণ দেখা যায়।
★ তবে ভিরেট্রামে জিনিসপত্র ভাঙা বা ছিঁড়ে ফেলা খুব বেশি এবং স্ট্রামোনিয়ামে অনুনয় ও অনুতাপ খুব বেশি।
★ ভালোবাসা সংক্রান্ত বিষয়ে ঈর্ষা বা সন্দেহজনিত উন্মাদ হাইওসিয়ামাস ও ল্যাকেসিসে দেখা যায়।

★ ডাকলে কখনো সাড়া পাওয়া যায়, কখনো পাওয়া যায় না, কখনো উত্তর দিতে দিতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
★ আর্নিকা ও ব্যাপটিসিয়াতে এই লক্ষণ থাকলেও অশ্লীলতা বা কামোন্মাদ ভাব নেই।
★ প্রবল পিপাসা থাকলেও ক্ষণে ক্ষণে অল্প জল পান করে।
★ জলাতঙ্ক খুব বেশি, জল দেখলেই ভয়ে শিহরিত হয়।
★ মুখ শুকিয়ে কাঠের মতো হয়, জিহ্বা শুকিয়ে শক্ত চামড়ার মতো হয়, তবু জল খেতে চায় না, জলের নাম শুনলেও ভয় পায়।

★ তন্দ্রাচ্ছন্নতা হাইওসিয়ামাসের একটি বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্য হলেও আক্ষেপও তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
★ আক্ষেপ—সর্বাঙ্গীণ আক্ষেপ বা অঙ্গবিশেষের আক্ষেপ।
★ মানসিক উত্তেজনার কারণে আক্ষেপ, দাঁত ওঠার সময় আক্ষেপ, ঋতুকালীন আক্ষেপ, প্রসবের আগে বা পরে আক্ষেপ, গর্ভাবস্থায় আক্ষেপ, কৃমিজনিত আক্ষেপ, মৃগীজনিত আক্ষেপ, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আক্ষেপ বা আক্ষেপের সঙ্গে সংজ্ঞাশূন্যতা।
★ আক্ষেপ অনেক ঔষধেই আছে, বেলাডোনা ও স্ট্রামোনিয়ামেও আছে।
★ কিন্তু সংজ্ঞাশূন্য আক্ষেপ হাইওসিয়ামাসেরই বৈশিষ্ট্য।
★ স্ট্রামোনিয়ামের রোগী আক্ষেপের সময় সংজ্ঞাশূন্য হয় না, তার জ্ঞান থাকে।
★ হাইওসিয়ামাস একেবারে জ্ঞানহীন হয়ে পড়ে।
★ তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থাকলে দেখা যায় তার দেহের বিভিন্ন স্থানে মাংসপেশী থরথর করে নাচছে, চোখের গোলক ঘুরছে।

★ হাইওসিয়ামাস অত্যন্ত শীতকাতর।
★ কিন্তু কখনো গাত্রাবরণ খুলে ফেলে, তবে এটি গরম বোধের জন্য নয়, এটি তার মানসিক ব্যাপার।
★ রাত্রে লক্ষণ বাড়ে, শুয়ে থাকলে বাড়ে।
★ মৃগীজনিত আক্ষেপ রাতে বাড়ে।
★ আহারের পর লক্ষণ বাড়ে।
★ কাশি শুয়ে থাকলে এত বাড়ে যে শুয়ে থাকা অসম্ভব হয়, উঠে বসলে উপশম হয়।
★ শিশুরা আহারের পর হঠাৎ বমি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে, সঙ্গে আক্ষেপ দেখা দেয়।
★ গর্ভাবস্থায় বা প্রসবকালীন আক্ষেপ।
★ সর্বাঙ্গ বেঁকে যায় বা কোনো অঙ্গের মাংসপেশী কাঁপতে কাঁপতে নাচতে থাকে, চোখ ঘুরতে থাকে।
★ তন্দ্রাচ্ছন্নতা বা অনিদ্রা।
★ নাসিকাধ্বনি সহ শ্বাসপ্রশ্বাস।
★ প্রস্রাবের ইচ্ছা থাকে না।
★ একলাম্পসিয়া বা প্রসবকালীন আক্ষেপে হাইওসিয়ামাস একটি চমৎকার ঔষধ।
★ ঋতুকালে আক্ষেপ, ঋতুকালে প্রলাপ।
★ পেটে অতিরিক্ত বায়ু সঞ্চার, পেট অত্যন্ত স্পর্শকাতর (এপিস)।
★ চোখ ঘুরতে থাকে, দৃষ্টি টেরা হয়ে যায়, নত দৃষ্টিতে তাকায় বা একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে।
★ মল-মূত্র অসাড়ে নির্গত হয়।
★ গর্ভাবস্থায় উদরাময়, প্রসবের পর উদরাময়।
★ কোষ্ঠবদ্ধতা, মূত্রাবরোধ।
★ তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থেকে নানারকম মুখভঙ্গি বা অঙ্গভঙ্গি করে।
★ মারতে চায়, কামড়াতে চায়, বিছানা থেকে পালাতে চায়।
★ হাতের আঙ্গুল নিয়ে খেলা করে, হাসতে থাকে।
★ ধর্মভাব, কামভাব—সর্বদা উলঙ্গ থাকতে চায়।
★ উন্মাদ অবস্থায় ক্ষণে হাসে, ক্ষণে কাঁদে, আপন মনে নানা কথা বলে, নানা কিছু দেখে।
★ বলে যে
★ বিছানা খোঁটে, নিম্ন চোয়াল ঝুলে পড়ে, বালিশ থেকে মাথা গড়িয়ে পড়ে।
★ প্রবল পিপাসা, ক্ষণে ক্ষণে অল্প জল পান, জলাতঙ্ক।
★ আক্ষেপ, আক্ষেপকালে সংজ্ঞাশূন্যতা, মুখের মাংসপেশী ক্ষণে ক্ষণে নাচতে থাকে।
★ আক্ষেপের পর পক্ষাঘাত।
★ মানসচক্ষে নানা দৃশ্য দেখে বা কাল্পনিক দৃশ্যকে সত্য মনে করে।
★ নানারকম অঙ্গভঙ্গি বা কথাবার্তা, মৃত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে।
★ মনে করে সে তার বাড়িতে নেই, মনে করে লোকে তাকে বিষ খাওয়িয়ে মারতে চায়।
★ প্রলাপকালে দৈনন্দিন কর্মের আলোচনা।
★ কাজকর্ম বা ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপর্যয়ের কারণে উন্মাদ।
★ রাত্রে, ঠান্ডায়, আহারের পর, শুয়ে থাকলে লক্ষণ বাড়ে।
★ ভয়ে বাকরোধ।
★ মানসিক উত্তেজনার কারণে অনিদ্রা (নাক্স)।






#হোমিওপ্যাথি #প্রাকৃতিক_চিকিৎসা
#নিরাপদ_চিকিৎসা #ভেষজ_চিকিৎসা #মনোরোগ_চিকিৎসা

20/05/2025

Pulsatilla রোগী দেখতে কেমন ✍️✍️❤️❤️

Pulsatilla রোগী সাধারণত দেখতে হয় হালকা গড়নের, রং ফর্সা, চুল সোনালি বা বাদামি, চোখ নীলচে বা হালকা রঙের। মুখাবয়ব নরম, কোমল এবং মায়াময় থাকে, যেন মনের গভীরে লুকানো একটি নিরব কান্না 🥲 কাজ করছে। এদের শরীর গরম সহ্য হয় না, বরং খোলা বাতাসে ভালো লাগে 🌬️, ঘরের ভিতর গরম পরিবেশে কষ্ট হয় 🔥। রোগের ধরণ হয় পরিবর্তনশীল 🔄, যেমন আজ মাথা ব্যথা, কাল পেট ব্যথা।

মানসিক বৈশিষ্ট্যে রোগী হয় সহজে কাঁদে 😭, আবেগপ্রবণ ❤️‍🩹, এবং চায় কেউ সান্ত্বনা দিক। তারা নির্ভরশীল প্রকৃতির 🤝, সিদ্ধান্ত নিতে পারে না 🤷‍♀️, কখনো হাসে, কখনো কাঁদে—মুড পরিবর্তনশীল। অনেক সময় নিজের উপসর্গ বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ে 🗣️🥹। শিশু হলে মায়ের কোলে থাকতে চায় 🤱, বড়দের ক্ষেত্রেও একা থাকতে ভয় পায় 😨।

Clinical Uses 🌺🌺

১. Gynecological (নারীজনিত সমস্যা):

মাসিক অনিয়মিত, বিলম্বিত, বন্ধ হয়ে যাওয়া 🕰️🩸

মাসিকের সময় নিচের দিকে টান বা ভার অনুভব 📉

পিরিয়ডের সময় বা আগে মানসিক দুর্বলতা, কান্নাকাটি 🥺

২. Gastrointestinal (পরিপাকতন্ত্র):

চর্বিযুক্ত খাবার সহ্য হয় না 🍟🚫

খাওয়ার পর পেট ফাঁপা, ঢেঁকুর 😵‍💫

"No two stools alike" – প্রতিবার ভিন্ন রকমের পায়খানা 🚽🔀

৩. Respiratory (শ্বাসযন্ত্র):

সন্ধ্যায় বা রাতে কাশি বেড়ে যায় 🌆🗣️

গরম ঘরে কষ্ট হয়, খোলা বাতাসে উপশম 🔥➡️🌬️

৪. ENT (নাক-কান-গলা ও চোখ):

নাক দিয়ে সাদা, পাতলা, non-irritating স্রাব 🤧💧

চোখে জল বা পাতলা পুঁজ 👁️‍🗨️, কান দিয়ে স্রাব 🦻🫧

৫. Mind (মানসিক উপসর্গ):

কাঁদে এবং সান্ত্বনা চায় 😭🤲

নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে না 🤷‍♀️

মুড পরিবর্তনশীল—একবার হাসে, একবার কাঁদে 🔁

৬. Children (শিশুদের ক্ষেত্রে):

মায়ের কোল ছাড়া শান্ত হয় না 👶🤱

কান্নাকাটি করে, একা থাকতে চায় না 😢🛏️

৭. Modalities (ভালো-মন্দের অবস্থা):

Worse: গরম ঘর, সন্ধ্যায়, চর্বিযুক্ত খাবারে, আবদ্ধ জায়গায় 🔥🌇🍗

Better: খোলা হাওয়া, ঠান্ডা পরিবেশ, সান্ত্বনায় 🌬️🤗

চিকিৎসা বিষয়ক জানতে Medi Cure পোজটি ফলো করুন।

Address

সাদার পাড়া জামে মসজিদের উত্তর দিকে বলপার্কের সাথে শাহজালাল উপশহর
Sylhet
3100

Telephone

+8801726337719

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Barakah Homeo Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Barakah Homeo Care:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram