Human Life

Human Life শির্ক মুক্ত ঈমান এবং বিদ'আত মুক্ত আমল সমাজে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস।

01/09/2025

রাষ্ট্রে যেন পরিপূর্ণ ভাবে ইসলাম প্রতিষ্টা না হয় এর জন্য এতো তন্ত্র-মন্ত্র⁉️

-আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক (হাফিযাহুল্লাহ)

26/08/2025

"সন্তানদের ওপর যে নেয়ামত বর্ষিত হয়,তা তাদের মা-বাবার আমলের কারণে।

আর মা-বাবার ওপর যে নেয়ামত বর্ষিত হয়,তা তাদের সন্তানদের দু'আর কারনে।"

— ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহিমাহুল্লাহ)
[সূত্র : আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ২০/৪১৬]

23/08/2025

📗 সৌদি আরবের ইফতা বোর্ড ধর্মসমূহের ঐক্যের (ইউনিটি অব রিলিজিয়ন/বাইতুল ইবরাহিমি) ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো 📗👉

📗 সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটি “ধর্মের ঐক্য” বা তথাকথিত বাইতুল ইবরাহিমি প্রসঙ্গে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে ফতোয়া প্রদান করেছে। নিচে ফতোয়া নং (১৯৪০২) পূর্ণরূপে তুলে ধরা হলো।
📗 সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ একক এবং অদ্বিতীয় সত্তার জন্য, আর দরুদ ও সালাম সেই নবীর উপর যার পর আর কোনো নবী নেই, তাঁর পরিবার, সাহাবিগণ এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের সঠিকভাবে অনুসরণ করে।
এরপর বলা হলো— স্থায়ী কমিটি বিভিন্ন প্রশ্ন, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মতামত ও প্রবন্ধ পর্যালোচনা করেছে যেখানে বলা হচ্ছে ইসলাম, ইহুদী ধর্ম ও খ্রিস্টধর্মকে একত্র করে “ধর্মের ঐক্য” গঠন, একই স্থানে মসজিদ-গির্জা-মন্দির নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়-মহানগর ও বিমানবন্দরে এসব প্রকল্প, একই মলাটে কুরআন-তাওরাত-ইঞ্জিল প্রকাশনা ইত্যাদি কর্মকাণ্ড—এবং এসব প্রচারণার জন্য বিশ্বব্যাপী সম্মেলন, সেমিনার, সংগঠন ইত্যাদি আয়োজন করা হচ্ছে। গভীরভাবে পর্যালোচনা শেষে কমিটি নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত দেয়:
☘️ প্রথমত:
ইসলামের আকীদার অন্যতম মূলনীতি, যা “দীনের প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহের অন্তর্ভুক্ত” এবং "মুসলিমদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত" তা হলো— আল্লাহর কাছে একমাত্র সত্য দীন হলো ইসলাম। ইসলামই শেষ ও চূড়ান্ত দীন, পূর্ববর্তী সব শরিয়ত ও ধর্মকে বাতিল করেছে। সুতরাং পৃথিবীতে আল্লাহর কাছে কবুলযোগ্য একমাত্র দীন ইসলাম। আল্লাহ বলেন: “নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে দীন হলো ইসলাম।”
☘️ দ্বিতীয়ত:
ইসলামের আকীদার আরেকটি মূলনীতি হলো— কুরআনুল কারীম আল্লাহর সর্বশেষ আসমানি কিতাব। এটি পূর্ববর্তী সব কিতাবকে (তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল ইত্যাদি) নাসিখ করেছে এবং এগুলোর উপর হাকিম ও মুজাহিদ।
☘️ তৃতীয়ত:
তাওরাত ও ইঞ্জিল কুরআন দ্বারা নাসিখ হয়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে বিকৃতি ও পরিবর্তন ঘটেছে—সংযোজন, বিয়োজন, বিকৃত অর্থ—যার বিস্তারিত আল্লাহ তাআলা কুরআনে বর্ণনা করেছেন।
☘️ চতুর্থত:
আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী ও রাসূল। তাঁর পর আর কোনো নবী নেই।
☘️ পঞ্চমত:
ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস হলো— যে কেউ ইসলাম গ্রহণ করেনি, যেমন ইহুদী, খ্রিস্টান বা অন্য কোনো ধর্মাবলম্বী—তাকে কাফের হিসেবে বিশ্বাস করতে হবে (যার উপর হুজ্জত কায়েম হয়েছে অর্থাৎ ইসলামের বাণী ও দাওয়াত পৌঁছেছে)। তারা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের শত্রু। তাদের পরিণতি জাহান্নাম।
☘️ ষষ্ঠত:
উপরোক্ত আকীদার আলোকে বলা যায়— “সকল ধর্মের ঐক্য”র (Unity of Religions) আহ্বান একটি ধূর্ত ও কু-প্রচেষ্টা। এর উদ্দেশ্য হলো হক ও বাতিলকে মিশিয়ে দেওয়া, ইসলামকে ধ্বংস করা, মুসলিমদের ধর্মচ্যুতির পথে ঠেলে দেওয়া।
☘️ সপ্তমত:
এই ভ্রান্ত মতবাদের ফলাফল হবে— ইসলাম ও কুফরের পার্থক্য মুছে যাওয়া, হক ও বাতিল, ভালো ও মন্দের মধ্যে কোনো সীমারেখা না থাকা। মুসলিম ও কাফেরের মাঝে যে বৈরিতা ও দূরত্ব থাকা উচিত, তা নষ্ট করা। এর ফলে ওয়ালা ও বারা’, জিহাদ ও আল্লাহর কালেমা উঁচু করার লড়াই সবই হারিয়ে যাবে।
☘️ অষ্টমত:
“সকল ধর্মের ঐক্য”র আহ্বান যদি কোনো মুসলিম দেয়— তবে এটি স্পষ্টত ইসলাম ত্যাগ বা প্রকাশ্য কুফর। কারণ এটি ইসলামের আকীদার মূল ভিত্তির বিপরীত, কুফরকে মেনে নেওয়া, কুরআনের সত্যতাকে অস্বীকার করা এবং পূর্ববর্তী সব ধর্ম নাসিখ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা। তাই শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি কঠোরভাবে হারাম, এবং ইসলাম, কুরআন, হাদিস ও ইজমার খিলাফ।
☘️ নবমত:
তাহলে স্পষ্ট হলো:
✍🏻 কোনো মুসলিমের পক্ষে এই ভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করা, সমর্থন করা, মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া, এর সম্মেলন-সেমিনারে অংশ নেওয়া বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনে যুক্ত হওয়া বৈধ নয়।
✍🏻 মুসলিমদের জন্য তাওরাত-ইঞ্জিল আলাদাভাবে মুদ্রণ করা জায়েজ নয়, আর কুরআনের সঙ্গে একই মলাটে ছাপানো তো আরো গুরুতর ভ্রান্তি। কারণ এতে হক (কুরআন) ও বিকৃত/বাতিল কিতাব একত্র করা হয়।
✍🏻 একই স্থানে মসজিদ-গির্জা-মন্দির নির্মাণও মুসলিমের জন্য বৈধ নয়। কারণ এটি এমন ধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়ার শামিল—যা আল্লাহর কাছে কবুলযোগ্য নয়। অথচ ইসলাম স্পষ্টত বলে দিয়েছে— ইসলাম সব ধর্মকে নাসিখ করেছে। এগুলোকে সমান বলে স্বীকার করা কুরআন-সুন্নাহ ও মুসলিমদের সর্বসম্মতির বিরোধী এবং তা কুফর ও ভ্রান্তি।
📗 (সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটি) 📗

📗 সুতরাং, আগে এই ভ্রান্ত “বাইতুল ইবরাহিমি” ধারণা প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করুন, এরপর মানুষকে সতর্ক করুন, শিক্ষা দিন, আহ্বান করুন এবং আল্লাহর কাছে সওয়াবের আশায় প্রচার করুন। 📗

©️শায়খ ড: আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)

21/08/2025

দুশ্চিন্তা,দুঃখ থেকে,অপারগতা অলসতা,ভীরুতা,কাপুরুষতা,শত্রুর দমন-পীড়ন থেকে আল্লাহ সুবাহানাহুতা'লার নিকট রাসূল ﷺ আশ্রয় চেয়েছেন।এই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হলে ক্ষেত্রবিশেষে আমরা অনেকে সাধারণত মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অথবা প্রশাসন/বিচার ব্যবস্থার শরণাপন্ন হয়ে থাকি।অথচ যেকোনো সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে বড় সমাধানদাতা আল্লাহ সুবাহানাহুতা'লার শরণাপন্ন হতে আমরা ভুলে যাই অথবা কার্পণ্য করি।
নিম্নোক্ত দো'আর মাধ্যমে আমরা আল্লাহ সুবাহানাহুতা'লার শরণপন্ন হতে পারি যেমনটা রাসূল ﷺ হয়েছেন-

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْٓ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ‘ঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালা‘ইদ দ্বাইনে ওয়া গালাবাতির রিজা-লি

*হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে,কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
*
রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ দো‘আটি বেশি বেশি করতেন।

রেফারেন্স -বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩; আরও দেখুন, বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১৭৩; আরও দেখুন যা ৪১.২ নং দুআ এ বর্ণিত হবে।

17/08/2025

সালেহ (ধার্মিক) ও মুসলিহ (সংস্কারক) এর মধ্যে পার্থক্য 👉

বেশিরভাগ মানুষ সেই মানুষকে ভালোবাসে,যে শুধু সালেহ (ধার্মিক)। কিন্তু তারা ঘৃণা করে তাকে,যে মুসলিহ (সংস্কারক)। বেশিরভাগ মানুষ সালেহদের ভালোবাসে আর মুসলিহদের শত্রুতা করে।

মক্কার লোকেরা নবুওয়াতের পূর্বে মুহাম্মদ ﷺ-কে ভালোবাসত,কারণ তিনি তখন ছিলেন সালেহ (ধার্মিক)।কিন্তু যখন আল্লাহ তাঁকে নবুওয়াত দিয়ে পাঠালেন এবং তিনি হলেন মুসলিহ (সংস্কারক),তখন তারা তাঁর বিরোধিতা করল!!
তারা বলল: তিনি তো জাদুকর,মিথ্যাবাদী,পাগল!

কেন❓

👉 কারণ মুসলিহ মানুষের খেয়াল-খুশি ও বাসনার সাথে সংঘর্ষে আসে। সালেহ যখন মুসলিহ হয় তখন সে জগদ্দল পাথরের সাথে ধাক্কা খায়।

আহলুল ইলম (জ্ঞানীজন) বলেছেন:

➡ একজন মুসলিহ আল্লাহর কাছে হাজার সালেহ মানুষের থেকেও প্রিয়।কারণ মুসলিহ আল্লাহর জমিনে আল্লাহর সমগ্র উম্মাহকে রক্ষা করার কাজ করে।কিন্তু সালেহ মানুষ শুধু নিজেকে রক্ষা করে চলে।

আল্লাহ তাআলা বলেন:
‎﴿وَمَا كَانَ رَبُّكَ لِيُهْلِكَ الْقُرَى بِظُلْمٍ وَأَهْلُهَا مُصْلِحُونَ﴾
“আর তোমার প্রতিপালক কোনো জনপদকে ধ্বংস করেন না জুলুমের কারণে, যতক্ষণ তার অধিবাসীরা সংস্কারক (মুসলিহ) থাকে।”
📖 সূরা হুদ: ১১৭
আল্লাহ বলেননি: সালেহুন (ধার্মিক)।

-🌿 আল্লাহ আমাদের ও আপনাদেরকে মুসলিহীনদের অন্তর্ভুক্ত করুন। 🌿 আমীন।

©️শায়খ ড: আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)

09/08/2025

আমি চেষ্টা করছিলাম বুঝতে—কেন মারইয়াম (আলাইহাস সালাম) বলেছিলেন:

"ইশ! এ ঘটনার আগে যদি আমি মারা যেতাম,আর একেবারে বিস্মৃত জিনিস হয়ে যেতাম!" [সূরা মারইয়াম:২৩]

অবশেষে আমি বুঝলাম তিনি নারীদের জানাচ্ছিলেন যে,পবিত্র চরিত্রের বিষয়টি জীবনের চেয়েও মূল্যবান।

আমি এখনো চেষ্টা করছিলাম বুঝতে—মূসা (আলাইহিস সালাম) মাদইয়ান শহরের সেই কন্যার মধ্যে এমন কী দেখেছিলেন যে,তার জন্য তিনি নিজের জীবনের দশ বছর মাহর হিসেবে ব্যয় করলেন?

অবশেষে আমি উত্তর পেলাম আল্লাহর বাণীতে: "সে লজ্জাশীলভাবে হেঁটে এলো।" [সূরা আল কাসাসঃ ২৫]

আল্লাহ তাআলা তাঁর উচ্চতা, সৌন্দর্য বা রূপ বর্ণনা করেননি; বরং সবচেয়ে মূল্যবান গুণ ❝লজ্জা❞ এর কথা বলেছেন।
তখন আমি বুঝলাম—লজ্জাশীলতাই হলো সেই জিনিস যা আমরা এই যুগে হারিয়ে ফেলেছি।

আজ যে যত বাচাল,যত নির্লজ্জ,যে যত প্রগলভা,যে যত উলঙ্গ হয়ে নিজেকে দেখিয়ে বেড়াচ্ছে সে তত বেশি শৈল্পিক খেতাব পাচ্ছে।

হে আল্লাহ! আমরা এসব সব অশ্লীলতা ও অনাচার থেকে আপনার কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করছি,আর আমাদের কোনো শক্তি বা সামর্থ্য নেই আপনার সাহায্য ছাড়া।
আমাদের মনে রাখতে হবে—মৃত্যুর যন্ত্রণা,কণ্ঠরোধ হয়ে যাওয়া,আর মৃত্যুর সেই মুহূর্তকে।যখন আমাদের গোসল দেওয়া হবে,কাঁধের ওপর তুলে নিয়ে যাওয়া হবে তখন না পরিবার থাকবে,না বন্ধু,না আত্মীয়স্বজন,না প্রিয়জন।সবাই আমাদের ছেড়ে চলে যাবে; আমাদের এক সংকীর্ণ গর্তে রেখে আসবে।সবাই আমাদের ভুলে যাবে; আর আমরা বারযাখের ঘরে আমাদের চূড়ান্ত অবস্থানের মুখোমুখি হব। হে আল্লাহ! আমাদের আপনার দিকে সুন্দরভাবে ফিরিয়ে নিন,আর আমাদের জন্য মৃত্যুর যন্ত্রণাকে সহজ করে দিন।

©️শায়খ আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)

07/08/2025

اِذَا زُلْزِلَتِ الْاَرْضُ زِلْزَالَهَا۟ۙ

যখন প্রচন্ড কম্পনে যমীন প্রকম্পিত হবে।

وَاَخْرَجَتِ الْاَرْضُ اَثْقَالَهَا۟ۙ

আর যমীন তার বোঝা বের করে দেবে,

وَقَالَ الْاِنْسَانُ مَا لَهَا۟ۚ

আর মানুষ বলবে, ‘এর কী হল?’

یَوْمَىِٕذٍ تُحَدِّثُ اَخْبَارَهَا۟ؕ

সেদিন যমীন তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে,

بِاَنَّ رَبَّكَ اَوْحٰی لَهَا۟ؕ

যেহেতু তোমার রব তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

یَوْمَىِٕذٍ یَّصْدُرُ النَّاسُ اَشْتَاتًا ۙ۬ لِّیُرَوْا اَعْمَالَهُمْ۟ؕ

সেদিন মানুষ বিক্ষিপ্তভাবে বের হয়ে আসবে যাতে দেখানো যায় তাদেরকে তাদের নিজদের কৃতকর্ম।

فَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَیْرًا یَّرَهٗ۟ؕ

অতএব, কেউ অণু পরিমাণ ভালকাজ করলে তা সে দেখবে,

وَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا یَّرَهٗ۟۠

আর কেউ অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করলে তাও সে দেখবে।

📖সূরা আয-যালযালাহ

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. কিয়ামতের পূর্বে ভূমিকম্প হবে যার ফলে সকল মৃত মানুষ ও ধন সম্পদ বের হয়ে আসবে।
২. মানুষ যা কিছু করছে সব ব্যাপারে জমিন সাক্ষ্য দেবে।
৩. মানুষ তার কৃত বিন্দু পরিমাণ ভালমন্দ আমলও দেখতে পাবে।

©️Quran Majeed App, IRD Foundation

29/07/2025

আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেনঃ হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও।

👉যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়।তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়,যা পূর্বেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।

👉যখন কোন জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ,কঠিন বিপদ-মুসীবত।
এবং
👉যখন যাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়।যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না।

👉 যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে,তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়।

👉 যখন *তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না,তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।*

📖সুনানে ইবনে মাজাহ:৪০১৯ (হাসান)

26/06/2025

নতুন বছরের শুরুতে একটি সুন্দর দুআ রয়েছে। সাহাবায়ে কেরাম নতুন মাস বা নতুন বছর শুরুর এ দুআটি তেমন গুরুত্ব দিয়ে শিখতেন, যেভাবে কুরআনুল কারীম শিখতেন।

اَللّٰهُمَّ أَدْخِلْهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالإِسْلَامِ وَجِوَارٍ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرِضْوَانٍ مِنَ الرَّحْمٰنِ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মাঝে এ মাস/বছরের আগমন ঘটান- শান্তি ও নিরাপত্তা এবং ঈমান ও ইসলামের (উপর অবিচলতার) সাথে; শয়তান থেকে সুরক্ষা ও দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে।

(আলইসাবাহ ফী তাময়ীযিস সাহাবাহ, ইবনে হাজার আসকালানী, খ. ৪, পৃ. ২১৮, দারুল কুতুবুল ইলমিয়্যা, বৈরুত, প্র. সংস্করণ ১৪১৫ হি.)
©️মুসলিম ডে

25/06/2025

‎وَیَوْمَ یَحْشُرُهُمْ جَمِیْعًا ۚ یٰمَعْشَرَ الْجِنِّ قَدِ اسْتَكْثَرْتُمْ مِّنَ الْاِنْسِ ۚ وَقَالَ اَوْلِیٰٓؤُهُمْ مِّنَ الْاِنْسِ رَبَّنَا اسْتَمْتَعَ بَعْضُنَا بِبَعْضٍ وَّبَلَغْنَاۤ اَجَلَنَا الَّذِیْۤ اَجَّلْتَ لَنَا ؕ قَالَ النَّارُ مَثْوٰىكُمْ خٰلِدِیْنَ فِیْهَاۤ اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰهُ ؕ اِنَّ رَبَّكَ حَكِیْمٌ عَلِیْمٌ۟

আর যেদিন আল্লাহ তাদের সবাইকে সমবেত করবেন। সেদিন বলবেন, ‘হে জিনের দল, মানুষের অনেককে তোমরা বিভ্রান্ত করেছিলে’ এবং মানুষদের মধ্য থেকে তাদের অভিভাবকরা বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমরা একে অপরের দ্বারা লাভবান হয়েছি এবং আমরা সে সময়ে উপনীত হয়েছি, যা আপনি আমাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন’। তিনি বলবেন, ‘আগুন তোমাদের ঠিকানা, তোমরা সেখানে স্থায়ী হবে। তবে আল্লাহ যা চান (তা ভিন্ন)’। নিশ্চয় তোমার রব প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।

-সূরা আল- আনআম:১২৮
©️কোরআন মাজিদ এপ

21/06/2025

"যে সম্মান চায়, সে যেন তা অর্জন করে আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে, উত্তম কথার মাধ্যমে, নেক আমলের মাধ্যমে।"

- ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)
[ইগাসাতুল লাহফান, ২/২২৯-২৩৩]

06/06/2025

আমরা আরাফার ময়দানে যেতে পারি না, আর এ কারণেই আমাদের জন্য রোজা রাখা নির্ধারিত হয়েছে। আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ঐ দিনে হাজীদের একটি নির্দিষ্ট কাজ মাত্র। আমাদের সঙ্গে এই কাজের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। মূল ফজিলত হলো সেই দিনের—অর্থাৎ ৯ জিলহজ্জের। যেমন ১০ জিলহজ্জে কুরবানি একটি নির্দিষ্ট আমল।

সুতরাং, আমাদের জন্য হাজীদের কাজ বা অবস্থানকে প্রাধান্য দেওয়ার কোনো কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক যৌক্তিকতা নেই। ঠিক যেমন ১০ জিলহজ্জ ‘কুরবানির দিন’, তেমনই ৯ জিলহজ্জ ‘আরাফার দিন’। দিনের ফজিলতের ভিত্তিতে আমল নির্ধারিত হয়েছে, স্থানের ভিত্তিতে নয়। সারা বছর কেউ আরাফার ময়দানে গেলেও তাতে সেই আমল আদায় হবে না। বরং ৯ জিলহজ্জে অবস্থান করলেই তাতে আরাফার আমল আদায় হবে, এবং সেটি শুধুমাত্র হাজীদের জন্য নির্ধারিত।

এখন যদি কেউ বলে আজ আমাদের আরাফা (৯ জিলহজ্জ), তাহলে প্রশ্ন হলো—আগামীকাল আমাদের কী? যদি আগামীকাল ৯ জিলহজ্জ হয়, তাহলে আমরা কিসের ভিত্তিতে রোজা রাখব না? আবার যদি আজই আরাফা হয়, তাহলে আগামীকাল তো কুরবানি করতে হবে, কারণ হাজিরা তো সেই দিনই কুরবানি করবেন। তাহলে আমরা কি কাজকে গুরুত্ব দেব, নাকি দিনকে?

যাই হোক, যেহেতু এ বিষয়ে অনেক বড় বড় আলেমের মধ্যে মতভেদ রয়েছে, তাই আমরা বলব—আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের নিয়তের উপরেই প্রতিদান দেবেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে ‘৯ জিলহজ্জই আরাফার দিন’—এই অভিমতই অধিকতর যুক্তিযুক্ত মনে হয়।

ওয়াল্লাহু আলাম বিস্‌সাওয়াব।

©️আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক (হাফিযাহুল্লাহ)
#ইয়াওমেআরাফাহ

Address

Sylhet

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Human Life posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share